Logo
আজঃ শনিবার ১০ জুন ২০২৩
শিরোনাম

সবাইকে পেনশনের আওতায় আনতে সংসদে বিল পাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১২২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: সব নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনতে সংসদে বিল পাস হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল-২০২৩’শিরোনামে এটি পাস হয়েছে। এর মাধ্যমে ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন দেশের নাগরিকরা। এই সুবিধা পেতে ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী নাগরিকদের নির্ধারিত হারে চাঁদা দিতে হবে।

আজ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে বিলটি স্থিরকৃত আকারে পাস হয়। সংসদে এটি পাসের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। তবে কতিপয় সংশোধনী গৃহীত হয়।

বিলটি সরাসরি সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে, তা পাস না করে ফেরত পাঠানো বা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণের পক্ষে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, ফখরুল ইমাম, মুজিবুল হক চুন্নু, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু।

বিলে বলা হয়েছে, বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ্বরাও এই আইনের আওতায় নিরবচ্ছিন্ন ১০ বছর চাঁদা পরিশোধ করে পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে স্কিমে অংশগ্রহণের তারিখ থেকে নিরবচ্ছিন্ন ১০ বছর চাঁদা প্রদান শেষে তিনি যে বয়সে উপনীত হবেন, সে বয়স হতে আজীবন পেনশন প্রাপ্য হবেন। আজীবন বলতে পেনশনারের বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত বিবেচনা করা হয়েছে।

পেনশন বিলে বলা হয়েছে, চাঁদাদাতা ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দিলে মাসিক পেনশন পাবেন। চাঁদাদাতার বয়স ৬০ বছর পূর্তিতে পেনশন তহবিলে পুঞ্জীভূত মুনাফাসহ জমার বিপরীতে পেনশন দেওয়া হবে। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন।

বিলে বলা হয়েছে, এ চাঁদার হার কত হবে, তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। আইন হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটি নির্ধারণ করবে। মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে চাঁদা দেওয়া যাবে এবং অগ্রিম ও কিস্তিতেও চাঁদা দেওয়ার সুযোগ থাকবে।

এতে বলা আছে, নিম্ন আয়ের নাগরিকদের অথবা অসচ্ছল চাঁদাদাতার ক্ষেত্রে পেনশন তহবিলে মাসিক চাঁদার একটি অংশ সরকার অনুদান হিসেবে দিতে পারবে। একজন পেনশনার আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন। তবে পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে মারা গেলে তার নমিনি অবশিষ্ট সময়ের জন্য (৭৫ বছর পর্যন্ত) মাসিক পেনশন পাবেন। চাঁদাদাতা ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার আগে মারা গেলে জমা করা অর্থ মুনাফাসহ তার নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে।

বিলে বলা হয়েছে, পেনশনের জন্য জমা দেওয়া অর্থ, কোনো পর্যায়ে এককালীন তোলার প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ হিসেবে তুলতে পারবেন, যা ফিসহ পরিশোধ করতে হবে। পেনশন থেকে পাওয়া অর্থ আয়কর মুক্ত থাকবে। পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করে কর রেয়াতের জন্য বিবেচিত হবে।

পেনশন বিলে বলা হয়েছে, সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতিতে সরকারি অথবা আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারবে। এক্ষেত্রে কর্মী ও প্রতিষ্ঠানের চাঁদার অংশ নির্ধারণ করবে কর্তৃপক্ষ। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত সরকারি ও আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা পেনশন ব্যবস্থার আওতাবহির্ভূত থাকবেন।

এতে বলা হয়েছে, এই আইন কার্যকর হওয়ার পর সরকার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পাঁচ সদস্যের একটি জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন করবে। যার প্রধান হবেন নির্বাহী চেয়ারম্যান। আর বাকি চারজন সদস্য হিসেবে থাকবেন। এদের নিয়োগ করবে সরকার। তাদের চাকরির মেয়াদ শর্তবিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ব্যয় নির্বাহ করবে সরকার। সরকারের অনুমোদন নিয়ে এ কর্তৃপক্ষ ঋণ নিতে পারবে।

বিলে বলা হয়েছে, এছাড়া পেনশন ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৬ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠনের বিধান রাখা হয়েছে বিলে। এর চেয়ারম্যান হবেন অর্থমন্ত্রী। এতে সদস্য হবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি, এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি এবং উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি। আর পর্ষদের সদস্যসচিব হবেন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদের দফা (ঘ)-এর বিধান অনুযায়ী, সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার ও অন্যান্য অভাবগ্রস্থার ক্ষেত্রে নাগরিকদের সরকারি সাহায্য লাভের অধিকারের বিধান অন্তর্ভুক্ত করে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন আবশ্যক। উন্নয়নের অগ্রযাত্রার সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা ও দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনার বিষয়টি নিশ্চিতে সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন বিল প্রণয়ন করা সমীচীন।

বিলটির বিরোধিতাকারীদের জবাবে সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বিলটি আনার আগে অনেক আলোচনা করা হয়েছে। যারা লিখিত মতামত দিয়েছিলেন, তাদের মতামত আমলে নেওয়া হয়েছে। সংসদীয় কমিটিতেও বিলটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিলটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে বিবেচনায় এটি সংসদে আনা হয়েছে।


আরও খবর



তানোরে জীবনের জন্য বিজ্ঞান বিষয়ক সেমিনার ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:জীবনে জন্য বিজ্ঞান,,শেখ হাসিনার দর্শন সব মানুষের উন্নয়ন স্লোগানকে সামনে রেখে রাজশাহীর তানোরে দুই দিন ব্যাপি স্থানীয় ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনীর অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকালের দিকে  উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের আয়োজনে  অনুষ্ঠিত সেমিনার প্রদর্শনীতে সভাপতিত্ব করেন সদ্য যোগদানকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিল্লাল হোসেন। এতে
 সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবিদা  সিফাতের সনঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাংসদ প্রতিনিধি  লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষনা পরিষদের (বিসিএসআইআর) সিনিয়ন সাইন্টিফিক অফিসার আজিজুল হক, থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া,  উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান,  উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা (টিএইচও) ডাঃ বার্নাবাস হাসদাক,  কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ,  প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম,  মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এসএম ফজলুর রহমান।মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল হোসেন,  প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত) ডা: সুমন মিয়া,  জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম প্রমুখ। 

এসময়  উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগন, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, সুধীজনসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। 

তানোর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মিলনায়তনে ১৩টি স্টোল সাজিয়ে  উদ্ভাবনী বিষয় সকলের সামনে তুলে ধরেন।  অনুষ্ঠানে বিষয় ভিত্তিক আলোচনা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিষয়ক প্রজেক্ট উপস্থাপন করা হয়।

আরও খবর



সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত চার রোহিঙ্গা মুক্তিপনের বিনিময়ে উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৪১জন দেখেছেন

Image

আমান উল্লাহ, কক্সবাজার:কক্সবাজার জেলার টেকনাফের আলীখালী পাহাড় থেকে দুদিন পর অপহৃত চার রোহিঙ্গা  সন্ত্রাসীদের  আস্তানা  থেকে ফিরে এসেছেন। এ জন্য তাদেরকে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হয়েছে।গত সোমবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় মুক্তিপণ দেয়ার পর তাদের ক্যাম্পের পাশে ছেড়ে দেয়া হয়। ফেরত আসা অপহৃত চারজন হলেন, হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী ক্যাম্প-২৫ ব্লক ডি/২২/-এর বাসিন্দা নুর হোসেনের পুত্র  মোহাম্মদ ইউনুস (৩২), একই ক্যাম্পের মোহাম্মদ রফিকের পুত্র মোহাম্মদ সুলতান (২৪), আব্দুর রহমানের পুত্র  আব্দুল্লাহ (১৬) ও মোহাম্মদ সৈয়দের পুত্র  আনোয়ার ইসলাম (১৮)।বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা পাঁচ লাখ টাকার মুক্তিপণ নিয়ে চার রোহিঙ্গাকে ছেড়ে দেয়। তাদেরকে এনজিও হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে এপিবিএন পুলিশ তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। এর আগে গত রবিবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পের পাশে অপহৃত জাহাঙ্গীর আলমের হাতের কব্জি  বিচ্ছিন্ন করে গুরুতর আহত করে  ছেড়ে দেই সন্ত্রাসীরা । খবর পেয়ে ক্যাম্পের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।অপহরণকারীরা তাদের ছেড়ে দেয়ার পর ফিরে আসার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) পুলিশ সুপার মোঃজামাল পাশা। তার দাবি, তিনি মুক্তিপণের টাকা দেয়ার বিষয়টি জানেন না। তবে তিনি জানান, হয়তো অভিযানের কারণে সন্ত্রাসীরা তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। 


আরও খবর



বিটঘর ইউনিয়ন প্রবাসী সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে প্রায় ৬ শতাধীক শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ বিতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১৬৯জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ ,নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়ন প্রবাসী সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে বিটঘর ইউনিয়নের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়,কিন্ডার গার্টেন,উচ্চ বিদ্যালয়,আলিয়া,কওমি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ৬০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রথম,দ্বিতীয়,তৃতীয় স্থান অধিকারকারী ও নতুন হাফেজদের সহ প্রায় ৬ শতাধীক ছাত্র ছাত্রীদের কে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।আজ শনিবার সকালে বিটঘর রাধানাথ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।


এসময় অত্র সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা হাজ্বী ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিটি মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল এর সঞ্চালণায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন,নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ভিসি ডা: মো. আতিকুল ইসলাম আলমগীর।অনুষ্ঠান টি উদ্বোধক করেন অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী জাফর দস্তগীর।


বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,বিটঘর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুূম,সাবেক চেয়ারম্যান শরীফ শওকত ওসমান,বিটঘর দানবীর মহেশচন্দ্র ভট্রাচার্য্য কলেজের অধ্যক্ষ একেএম রমজান আলী,ভোলাচং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমীর ফয়সাল,অত্র সংগঠনের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. মোছা ভূইয়া বকুল,প্রচার সম্পাদক মো. হিমেইল ভূইয়া সহ অত্র ইউনিয়নের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


অনুষ্ঠানের শুরুতে,পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত পাঠ করেন মাইনুদ্দিন আহমেদ অনিক,গীতা পাঠ করেন রাজন চন্দ্র শাহা।


সংগঠনের সদস্যরা তাদের বক্তব্যে বলেন,সংগঠনের সাবেক সভাপতি আবু হানিফ ও বর্তমান সভাপতি মেহেদী হাসান সুহেল এর দিক নির্দেশনায় আমরা আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে আমাদের ইউনিয়নের অসহায় হতদরিদ্র মানুষদের সহযোগিতা করে আসছি।আজকেও প্রায় ৬ শতাধীক শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ বিতরণ করেছি।আমরা যেন আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারি সকলে আমাদের জন্য দোয়া করবেন।


প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন,বিটঘর ইউনিয়ন প্রবাসী সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ইউনিয়নের গরিব অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করে আসছে।মহামারি করোনার সময়ও তারা অসহায়দের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছে।অনেকে টাকার জন্য চিকিৎসা করতে পারেনি এই সংগঠনের সদস্যরা অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। তাদের এই কাজ গুলি সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে।অত্র সংগঠনের সদস্যরা যদি আমাকে সদস্য করে নির্বাচিত করে তাহলে একজন সদস্য হয়ে সংগঠনের সকলের সাথে আমিও গরিব অসহায়দের সহযোগিতা করতে চাই।


দেশে অবস্থানরত সংগঠনের যে সকল সদস্যরা অনুষ্ঠানকে সুন্দর ও সার্থক করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তারা হলেন,নির্বাহী উপদেষ্টা,মোহাম্মদ আমীন বস,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,মোঃ আনিসুর রহমান,সহ সাধারণ সম্পাদক: মোঃ সুমন ভূঁইয়া বকুল সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা ভূঁইয়া।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



শপথ নিলেন এরদোগান

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকটানা তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় শপথ নিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। গতকাল শনিবার আঙ্কারায় পার্লামেন্ট ভবনে শপথ নেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে ৭৭টি দেশের নেতাদের পাশাপাশি যোগ দেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন ও তার সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা।

শপথ নেওয়ার সময় এরদোগান বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য মহান তুর্কি জাতি ও তুরস্কের ইতিহাস-অখণ্ডতার প্রতি আমার শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।

গত ১৪ মে তুরস্কে নির্বাচনে ৪৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোট পান এরদোগান। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলু পেয়েছিলেন ৪৪ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট। কোনো প্রার্থী ৫১ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রান-অফ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি।

রাফ-অফ নির্বাচনে ৫২ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তুরস্কে দীর্ঘসময় ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোগান। ৯ বছর প্রেসিডেন্ট আর ১১ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এরদোগানের নেতৃত্বে ক্রমাগত কর্তৃত্ববাদী শাসনের পথে হাঁটা তুরস্কে স্মরণকালের ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট চলছে। এরদোগানের জন্য আরও বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল তিন মাস আগে দেশটিতে আঘাত হানা স্মরণকালের ভয়াবহ এক ভূমিকম্প। ওই ভূমিকম্পে অর্ধলাখের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ভূমিকম্পের পর উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে দেশ ও বিদেশি তীব্র সমালোচনার শিকার হতে হয় এরদোগান নেতৃত্বাধীন সরকারকে।

এরদোগানের শপথ অনুষ্ঠানের পর প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। এতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর আরবান ও আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানসহ ৭৮টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন এবং বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।


আরও খবর



ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর ঢাকায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনে যোগ দি‌তে ঢাকায় এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আজ বৃহস্প‌তিবার বিকেলে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।

বিমানবন্দরে জয়শঙ্করকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহ‌রিয়ার আলম। এ সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকায় অবস্থানকালে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনে যোগ দেওয়া ছাড়াও জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ কর‌বেন। এছাড়া তি‌নি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মো‌মেনের স‌ঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক কর‌বেন।

সবশেষ, গত বছরের এপ্রিলের শেষের দিকে ঢাকা সফর করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি ২০১৯ সালে প্রথম ঢাকা সফর করেন। এরপর ২০২১ সালের মার্চে বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি।

দুই দিনব্যাপী ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন শুক্রবার ঢাকায় শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এই সম্মেলনের ষষ্ঠ আসর বসছে। সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর