Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩
শিরোনাম

‘সব পাখির গন্তব্য থাকে না’ কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উম্মোচণ

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ১৮৭জন দেখেছেন

Image

দেশের শিল্প-সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে দুইযুগের বেশী দিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে নক্ষত্র সাহিত্য সংসদ। আর শিল্প-সাহিত্য নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অর্জন করেছে নানা বৈচির্ত্রময় অভিজ্ঞতা। জাতীয় দিবস গুলোর পাশাপাশি ভূমিকা রেখেছে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

তাই প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ‘মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শীর্ষক আলোচনা’, স্বীকৃতি স্বরূপ ‘নক্ষত্র সাহিত্য পুরস্কার’- ২০২৩ প্রদান ও ‘সব পাখির গন্তব্য থাকে না’ কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উম্মোচণ অনুষ্ঠান হয়ে গেলো ২১ মার্চ ২০২৩, ৭ চৈত্র ১৪২৯, মঙ্গলবার, সময় সন্ধ্যা ৬টা, স্থান : বিশ^ সাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক তথ্য সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ।  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন : ৯০ দশকের অন্যতম কবি রানা হোসেন। প্রধান আলোচক : ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান। অতিথিবৃন্দ হিসেবে ছিলেন: কবি শাহীন রেজা, মোঃ মামুনুর হাসান টিপু (চেয়ারম্যান, কেটিভি বাংলা)। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গীতিকবি শান্তনা মিঠু ও জে আহমেদ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন : বশিরুল আলম নান্নু। ‘নক্ষত্র সাহিত্য পুরস্কার’-২০২৩ যারা পেলেন তারা হলেন: রুবিনা খাঁন (বীরমুক্তিযোদ্ধা), এ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান (বিজ্ঞ আইনজীবি), আমান সোবহান (গীতিকবি),জ্যোতিষ সম্্রাট জে আহমেদ (বিশিষ্ট সমাজ সেবক), মাহামুদুর রহমান ওয়াহাব (কবি), সানজিদা আক্তার (সাংবাদিক), মেহেদী হাসান (প্রতিষ্ঠাতা, গ্রেট আইটি), মোঃ মোক্তার হোসেন (সাংবাদিক), সুহেনা আক্তার হেনা (কবি), মোঃ তরিকুল ইসলাম (সাংবাদিক)।



আরও খবর



টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি মোখার তাণ্ডবে

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৭২জন দেখেছেন

Image

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া দুই এলাকায় বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী মো. কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান। 

আজ রোববার বিকেল ৩টার দিকে প্রচণ্ড গতির বাতাস নিয়ে কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মোখা।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সেন্টমার্টিন, টেকনাফ সদর, পৌর এলাকা, সাবরাং, ডেইলপাড়া, জাদিমুড়া এলাকায় প্রচুর গাছপালা ভেঙে পড়ে আছে। উড়ে গেছে ঘরের চালা। বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় লোকজনকে সড়কে পড়ে থাকা গাছ সরাতে দেখা গেছে। ঘূর্ণিঝড়ে দ্বীপের মাঝরপাড়া, কোনারপাড়া, গলাচিপা, দক্ষিণপাড়া, পশ্চিমপাড়া, উত্তরপাড়ার অন্তত ৩৪০টি ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। কয়েক শ গাছপালা ভেঙে পড়েছে। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে উত্তরপাড়া, পশ্চিমপাড়া ও পূর্বদিকের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। তিনটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৩৭টির বেশি হোটেল রিসোর্ট ও কটেজে অবস্থান করছেন স্থানীয় প্রায় ৬ হাজার মানুষ। বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

টেকনাফের ইউএনও মো. কামরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঝড়ের কারণে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। কিছু এলাকায় গাছ ও ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। দুই এলাকায় বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার সংবাদ পেয়েছি।’

সেন্টমার্টিনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিনের অনেক ঘরবাড়ি উড়ে নিয়ে গেছে। কয়েকজন আহত হওয়ার খবর শুনেছি।

বিকেল ৪টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সেন্টমার্টিনে দুপুর ১টার দিকে ১০০ কিলোমিটার বেগে, ২টার দিকে ১২১ কিলোমিটার বেগে, ২টা ২০ মিনিটের দিকে ১৫১ কিলোমিটার বেগে এবং ২টা ৩০ মিনিটে ১৪৭ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেছে।

এদিকে বেলা ১টা থেকেই ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব বাড়তে শুরু করে টেকনাফের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে। ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ছে পুরা টেকনাফ উপজেলায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট বাতাসের গতিবেগ যদি ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার হয়, তাকে ঘূর্ণিঝড় বা ট্রপিক্যাল সাইক্লোন বলা হয়। গতিবেগ যদি ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার হয়, তখন তাকে তীব্র ঘূর্ণিঝড় বা ‘সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বলা হয়। আর বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৮ থেকে ২১৯ কিলোমিটার হয়, তখন সেটিকে হ্যারিকেন গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় বা ‘ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বলা হয়। গতিবেগ ২২০ কিলোমিটার বা তার বেশি হলে তাকে ‘সুপার সাইক্লোন’ বলা হয়।


আরও খবর



গাইবান্ধায় চরাঞ্চলে পানির দরে বিক্রি হচ্ছে দুধ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৭১জন দেখেছেন

Image
গাইবান্ধা সংবাদদাতা: সমতলে ৬০ আর বালুচরে ৩০ টাকা লিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে। এই দাম কমের কারণে গাইবান্ধার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের গবাদিপশু পালনকারীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বারো মাস দুঃখ কষ্টে থাকা মানুষগুলো যা-ই উৎপাদন করেন তাই বিক্রি করতে হয় পানির দামে।চরে বাজার ব্যবস্থাপনা না থাকায় এক প্রকার বাধ্য হয়েই ব্যাপারী আর মহাজনদের হাতে তুলে দিতে হয় পানির দামে। এই কষ্টের কথা জানান, বাটিকামারী চরের বাসিন্দা এরশাদুল ইসলাম।

তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদী ঘেরা গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোল্লারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুজামান বলেন, চরের মানুষ বন্যা, খরা, নদী ভাঙ্গনসহ ভয়াবহ তিন দুর্যোগের সঙ্গে যুদ্ধ করে বাস করে বালুচরে। তাদের মূল্যবান সম্পদ বলতে গবাদি পশু পালন ও দুধ বিক্রি। বিভিন্ন দুর্যোগ, মেয়ের বিয়ে এবং বিপদে আপদে চরাঞ্চলের বাসিন্দারা নির্ভর করে গবাদি পশুর ওপর। এ কারণে তারা মানুষের মতো অতি যত্নে রাখেন গবাদি পশুকে। কিন্তু বর্তমানে চরাঞ্চলে চারণ ভূমি করে এসেছে। গো খাদ্য কিনতে হয় চড়া দামে। কিন্তু দুধ বিক্রি করতে হয় পানির দামে।

গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গাইবান্ধায় সাত উপজেলায় রেজিস্টার্ড ও রেজিস্ট্রি ছাড়াও সাড়ে ১৫ হাজার গো খামারিরা বিপাকে পড়েছেন।দুধ বিক্রি করে লাভের অংশ ঘরে তুলতে পারছেন না তারা। দিনের পর দিন বাড়ছে দুধের দাম বাড়ালেও- তিস্তা যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর ১৬৫টি চরের খামারিরা হতাশ। কেউ কেউ তাদের গো খামার গুটিয়ে নিয়েছেন। সে কারণে দেশি গুরুর দুধ আর পাওয়া যায় না বললেই চলে।গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের খাতাপত্র মতে, গাইবান্ধায় দুই হাজার ৫২, পলাশবাড়িতে এক হাজার ৬৭২, গোবিন্দগঞ্জে পাঁচ হাজার ২১৮, সাদুল্লাপুর দুই হাজার ৩৫, সুন্দরগঞ্জ দুই হাজার ৬৩৯, সাঘাটায় এক হাজার ২৩৫ ও ফুলছড়ি উপজেলায় ৩২৯টিসহ ১৫ হাজার ১৬৬টি গো খামার রয়েছে।

গাইবান্ধা জেলা খামার মালিক সমিতির সভাপতি প্রতাপ ঘোষ জানান, আমি কোটি টাকা খরচ করে খামার করেছি। অনেক ইনভেস্ট করেছি। ভালোই চলছিল খামার; কিন্তু গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় মহাবিপাকে পড়েছি। গরু থেকে যে পরিমাণ দুধ আসে তা বিক্রি করে টাকা ওঠে না। লেবার খরচ দিলে লাভের অংশ ঘরে তোলা কষ্টকর।গাইবান্ধার নানান সমস্যা মোকাবেলা করতে গিয়ে দোকানি, খামারি ও গবাদি পশুপালনকারীদের মধ্যে অনেকেই পেশা ছেড়ে যাচ্ছেন।পূর্বপাড়ার খামারি নুরুল ইসলাম জানান, গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। খামারিদেরও কয়েক দফা দুধের দাম বৃদ্ধি করতে হয়েছে কয়েকবার। যত দাম বাড়ছে তাতে দিনে দিনে বিরক্ত হচ্ছে খদ্দেররা।

গাইবান্ধার প্রাণিসম্পদ বিভাগের মতে, চরের এসব খামারের পরিমাণ দুধ অনেক মানুষের চাহিদা মেটায় কিন্তু বছর বছর বন্যা, খরাসহ নানা দুর্যোগে চরাঞ্চলের চারণ ভূমি নষ্ট হয়ে যায়। সে কারণে গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। আর এসব এলাকায় হাট বাজার না থাকায় ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম। তাই তাদের উৎপাদিত দুধ বিক্রি করতে হয় স্থানীয় দালাল, ফড়িয়া, ব্যাপারী ও পাইকারদের কাছে।কুন্দেরপাড়া চরের বাসিন্দা মঞ্জু সরদার বলেন, পাইকাররা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৩০ থেকে ৩২ টাকা লিটার দুধ কিনে নেন। আর এই ৩২ টাকার দুধ নদী পার হয়ে সমতলে এলেই বিক্রি হয় ৬০ টাকা লিটারে। খামারিরা ভালো দাম না পেলেও পাইকাররা তাদের খুশি মতো দুধ ক্রয়-বিক্রয় করতে পারছে।

মোল্লার চরের চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান বলেন, সরকারি হিসাবে গাইবান্ধার চরের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গবাদি পশু পালন করা হয়। প্রচুর পরিমাণে দুধ উৎপাদনও হয়; কিন্তু ভালো দাম পায় না খামারিরা। চরাঞ্চলে যদি দুধ কেনা-বেচার আলাদা ব্যবস্থা থাকতো তাহলে তারা দুধের ন্যায্য মূল্য পেত।এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান, গো খাদ্যের দামের প্রভাব পড়েছে দুধের ওপর। ক্রেতাদের চাহিদা থাকলে খামারিরা তাদের ন্যায্য দাম পাবে। তাহলে আর তাদের লোকসান গুনতে হবে না।


আরও খবর



ইউনিয়ন পরিষদ ঘরে দরিদ্র দের ১৫ বস্তা চাল মজুদ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদ ( ইউপির) হলরুমে দরিদ্র দের মাসিক ভিজিডির চাল বিতরন না করে মজুদ করে রেখেছেন চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলে অভিযোগ উঠেছে। ধনীদের নাম দেওয়ার কারনেই আসেন নি চাল নিতে বলে মনে করছেন ইউপির দরিদ্র জনগোষ্ঠী।  এতে করে চেয়ারম্যানের এমন কান্ডে এলাকায় বইছে সমালোচনার ঝড়, সেই সাথে তালিকা যাচাই বাছায়ের জন্যও তদন্তের জোরালো দাবি উঠেছে। বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে চালের বস্তা রাখা আছে। হলরুমের ভিতরের পূর্বদিকের দেয়াল সংলগ্ন ১৫ বস্তা চাল রাখা হয়েছে। অনেক বস্তা ছিড়ে চাল পড়ে আছে মেঝেতে। পড়ে থাকা চালে আবর্জনা প্রচুর। স্থানীয়রা জানান, প্রকৃত দরিদ্র দের তালিকা করা হয়নি। তালিকা হয়েছে দলীয় বিবেচনায়।যারা প্রকৃত দরিদ্র তারা সঠিক সময়ে চাল নিয়ে যান। কারন তাদের পেটে ক্ষুধা আছে। তাদের চালের প্রয়োজন। যে সব চাল পড়ে আছে হয়তো ধনীদের হবে। তাছাড়া চাল পড়ে থাকার কথা না। তারা ইচ্চেমত তালিকা করার করনেই চালের এঅবস্থা।

সুত্রে মতে, মাসিক ভিজিডির চাল বিতরনের সময় ট্যাগ অফিসার থাকতে হবে। কিন্ত বিতরনের সময় ট্যাগ অফিসার ছিলেন না।এদিকে নিয়ম বহির্ভুত ভাবে চেয়ারম্যান মতিন পরিষদে এসি ব্যবহার করে থাকেন। অথচ পরিষদে এসি ব্যবহারের কোন এখতিয়ার নেই, এটা সম্পূর্ন রুপে ক্ষমতার অপব্যবহার।চেয়ারম্যান মতিন জানান, গত সোমবারে চাল বিতরন করা হয়েছে। ১৫ জন ব্যক্তি না আসার কারনে পরিষদে আছে। চালের বস্তা ছিড়ে আবর্জনার মধ্যে পড়ে আছে এবং এভাবে চাল রাখা যায় কিনা ও ট্যাগ অফিসার ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কি তাদেরকে ডেকে আনব, সমস্যার কারনে ট্যাগ অফিসার আসেননি বলে দাম্ভিকতা দেখান তিনি। ট্যাগ অফিসার উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা  মশিউর রহমান  বলেন চাল বিতরনে থাকতে পারিনি, পরিক্ষার ডিউটিতে ছিলাম। আপনার কোন প্রতিনিধি ছিল কিনা ও মাস্টার রোল জমা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিনিধি ছিল না এবং মাস্টার রোলও জমা দেয়নি। ১৫ বস্তা চালের মধ্যে কয়েক বস্তা ছিড়ে আবর্জনার মধ্যে আছে চাল কিভাবে পুরুন হবে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন বৃহস্পতিবার বিতরন করবে আর এক সপ্তাহের মধ্যে মাস্টার রোল জমা হবে।গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানোর উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ইএনওর সরকারী মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেন নি। জেলা প্রশাসক(ডিসি) শামিম আহম্মেদ বলেন, ভিজিডির চাল এভাবে রাখা ঠিক না। ট্যাগ অফিসার ছাড়াই বিতরন এবং মাস্টার রোল জমা হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আরও খবর



করোনায় আক্রান্ত ডিএনসিসির চিফ হিট অফিসার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ১৯৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের মেয়ে ও করপোরেশনটির চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ আসে।

বুশরনা আফরিন বাসাতেই আইসোলেশনে রয়েছেন। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। মেয়ের সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। বুশরার করোনা পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি তাদের পরিবারের এক সদস্য  নিশ্চিত করেছেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে বিশ্বব্যাপী উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার প্রভাব রাজধানী ঢাকাতেও। প্রতিবছরই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কাজ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টার। সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্বাক্ষর করেছে ডিএনসিসি। আগামী দুই বছর আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশনের হয়ে ঢাকা উত্তর সিটিতে চিফ হিট অফিসার হিসেবে কাজ করেন বুশরা আফরিন।

যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে ঢাকা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন মেয়রকন্যা। ইতোমধ্যে তার নিয়োগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার হয়েছে। তবে বিষয়টি পরিষ্কার করেছে ডিএনসিসি। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তার নিয়োগ সিটি করপোরেশন থেকে নয়, এমনকি তার বেতন-ভাতা কোনো কিছুই সিটি করপোরেশন বহন করবে না।

বুশরাই প্রথম হিট অফিসার নন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি, লস অ্যাঞ্জেলস, গ্রিসের অ্যাথেন্স, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, আফ্রিকার কিছু দেশে এই চিফ হিট অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। এবার বাংলাদেশেও এই পদে নিয়োগ করা হলো।

বুশরা আফরিন ঢাকাতেই বড় হয়েছেন। পড়াশোনা কানাডার গ্লোবাল ডেভলপমেন্ট স্টাডিজে। এবার দেশের হয়ে কাজ করার সুযোগ পেলেন তিনি।


আরও খবর



আরতি রাণীকে অবশেষে শোকজ করলেন যশোর জেলা আইনজীবী সমিতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান : রিকশাচালককে জুতাপেটা করা সেই আরতি রাণীকে অবশেষে শোকজ করলেন যশোর জেলা আইনজীবী সমিতি। সোমবার রাতে সমিতির নির্বাহী কমিটি জরুরীসভা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু মোর্তজা ছোট। একই সাথে তিনদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত রোববার জেলা জজ আদালতের পাশে আইনজীবী আরতি রাণী ঘোষ এক রিকশাচালককে জুতাপেটা সহ বেধড়ক মারপিট করেন। এসময় পাশের কয়েকজন তাকে থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি ক্ষান্ত হননি। ওই রিকশাচালক হাত জোড় করে ক্ষমা প্রার্থনাও করেন। শেষমেষ প্রতক্ষ্যদর্শীরা একাট্টা হয়ে জোরালো অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে আরতি রাণী ওই রিকশা চালককে ছেড়ে দেন।

এদিকে, এসব ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে বিষয়টি নজরে আসে সমিতির। তারা এ ধরনের কাজ কেন করলেন তা জানতে চেয়ে শোকজ করেছেন। যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের আব্দুলপুর সিজালি গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে নিজবাড়িতেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।


আরও খবর