Logo
আজঃ সোমবার ২৯ মে ২০২৩
শিরোনাম

সব বিভাগেই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৭৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের দেশে কোনো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছে। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সব বিভাগেই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব। এরইমধ্যে চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে নার্সিং কলেজের দ্বিতীয় স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। গাজীপুরের তেতুইবাড়ির কলেজ প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নার্সিং পেশাকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করে দিয়েছি। এই সেবার প্রতি আমাদের ছেলেমেয়েরা আরও যেন আকৃষ্ট হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজে আরও বেশি নিয়োজিত হয় আমরা সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সেই সঙ্গে আমরা নার্সদের কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

৪০ হাজারের মতো নার্স নিয়োগ দিয়েছি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বয়স ছিল না তবে অভিজ্ঞ হিসেবে আমরা ১৫ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি। যাতে তারা সেবাটা দিতে পারেন। তার সঙ্গে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাও করেছি।

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের সেবা করার দিকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমরা ২৩টি নার্স ইনস্টিটিউটকে কলেজে উন্নীত করেছি। আরও ১৬টি নার্স ইনস্টিটিউটকে কলেজে উন্নীত করার প্রক্রিয়া রয়েছে। আমরা প্রতিটি জেলায় মেডিকেল কলেজ করে দিচ্ছি। এর সঙ্গে নার্সিং ট্রেনিংয়েরও ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় জনগণের সেবা করে। বাংলাদেশটাকে আমরা বদলে দিতে পেরেছি। আজকের বাংলাদেশ হলো ডিজিটাল বাংলাদেশে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, শিক্ষার হার বৃদ্ধি করতে পেরেছি। শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমিয়েছি, স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকারের ওষুধ আমরা বিনা পয়সায় মানুষকে দিয়ে থাকি। সেই সঙ্গে সঙ্গে আমরা এটাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি কমিউনিটি ক্লিনিকে আমরা যে বিনা পয়সায় ওষুধ দেই সেখানে ইনসুলিনটাও বিনা পয়সায় দিয়ে দেব। যাতে এই রোগটা থেকে মানুষ মুক্তি পায় সেই ব্যবস্থাটাও আমরা নিয়েছি।'

কোভিড মহামারীকালে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'এখনই আমরা ইউক্রেন যুদ্ধের পর সারা বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি, যার ফলে মানুষের কষ্ট, যে কারণে আমরা অধিক দামে খাদ্য ক্রয় করে অল্প দামে আমরা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। যারা একেবারেই কর্মক্ষম তাদের জন্য আমরা বিনা পয়সায় খাবার দিচ্ছি। প্রায় ১ কোটি বিশেষ পারিবারিক কার্ড করে দিয়েছি, যেখানে মাত্র ৩০ টাকা দামে চাল কিনতে পারবে। সেই সঙ্গে তেল, ডাল বা রোজার সময় প্রয়োজনীয় জিনিস ছোলাসহ অন্যান্য জিনিস আমরা দিচ্ছি।'

সরকারপ্রধান বলেন, বেসরকারি খাতকেও উৎসাহিত করছি, তারাও মেডিকেল কলেজ করছে এবং সেই সঙ্গে নার্সিং ট্রেনিংকেও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নার্সিংয়ের ব্যাপক চাহিদা, আমাদের দেশে জনসংখ্যা বেশি, আমাদের প্রতিটি জেলা, উপজেলায় হাসপাতাল রয়েছে, কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে, মাতৃসেবা কেন্দ্র রয়েছে, সবক্ষেত্রে আমাদেরই বেশি নার্সও দরকার। ’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজের সিইও মো. তৌফিক বিন ইসমাইল।

এতে স্নাতক সমাপনী বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া কেপিজে হেলথকেয়ার ইউনিভার্সিটি উপাচার্য প্রফেসর ইমেরিটাস দাতো ডা. লোকমান সাইম।


আরও খবর



ফুলবাড়ী উপজেলার জয়ন্তী গ্রামে হাঁস ধান খাওয়া কেন্দ্র করে মারপিটে আহত-১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুররের ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল ইউপির জয়ন্তী গ্রামে হাঁস ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের মারপিটে মোছাঃ মাজেদা খাতুন (৪৫) নামে এক নারী আহত হয়। ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল ইউপির জয়ন্তী গ্রামের মৃত তফির উদ্দীন এর পুত্র মোঃ মকছেদুল ইসলাম এর অভিযোগে জানা যায় যে, গত ০৩/০৫/২০২৩ইং তারিখে তার বোন মোছাঃ মাজেদা খাতুন বাড়ীর সংলগ্ন জমিতে প্রতিপক্ষ মোঃ তমিজ উদ্দীন এর হাঁস ধান ক্ষেতে গিয়ে ধান খাচ্ছিল।

এ সময় মোছাঃ মাজেদা খাতুন বাঁধা দিতে গেলে তাকে মোঃ তমিজ উদ্দীন এর পুত্র মোঃ মিজানুর রহমান (৩৫), মোঃ জিয়ারুল রহমান (২৫), মোঃ হাসানুর রহমান (৩২), মোঃ রেজাউল হক (২৮) তারা দলবদ্ধ হয়ে বাড়ীর সামনে মোঃ জমির উদ্দীন মন্ডল এর স্ত্রী মোছাঃ মাজেদা খাতুনকে বেধম মারপিট করে। এ সময় মোঃ আব্দুল করিম এর স্ত্রী মোছাঃ পারুল (৪৫) তাকে উদ্ধার করতে গেলে উল্লেখ্য ব্যক্তিরা তাকে মারপিট করে এবং তাকে হত্যার চেষ্ঠা করে।

এই ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ও তার ভাই মোঃ মকছেদুল ইসলাম তাকে উদ্ধার করে ঐ দিনে রাত্রী আনুমানিক ১১টায় চিকিৎসার জন্য ফুলবাড়ী হাসাপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এ ব্যাপারে তার ভাই মোঃ মকছেদুল ইসলাম জানান, আমার বোন সুস্থ্য হয়ে উঠলেই আমি প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


আরও খবর



বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান আজ ১২তম স্থানে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক:বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১২তম স্থানে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিন সকাল ৮টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ১০৫, যা বাতাসের মানকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বলে নির্দেশ করছে।

আইকিউ এয়ারের সূচকে ৫৪৭ স্কোর নিয়ে দূষণের শীর্ষস্থানে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ। তালিকায় দেখা গেছে, সমান ১৬১ স্কোর নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা দ্বিতীয় এবং চীনের বেইজিং তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে।

প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না তা জানিয়ে থাকে।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর



কলারোয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ট্যাবলেট বিতরণ করলেন এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি: কলারোয়ায় এমপিওভুক্ত ৪৩টি হাইস্কুল ও ২৬টি মাদরাসার ৯ম ও ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। রোববার (৬ মে) সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে ওই ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন-সংসদ সদস্য তালা-কলারোয়া-১০৫ সাতক্ষীরা-১ আসনের এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি।

এসময় সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ শিক্ষার্থীদের মাঝে ওই ট্যাবলেট বিতরণের শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন।  উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন-বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, উপজেলা আ.লীগের সাবেক আহবায়ক সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী মজনু, ইউপি চেয়ারম্যান সম মোরশেদ আলী (ভিপি মোরশেদ), রবিউল হাসান, অধ্যাপক এমএ কালাম, উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার তাহের মাহমুদ সোহাগ, সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার নুরুল ইসলামসহ অন্যানো সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



রূপগঞ্জের চনপাড়ায় পুলিশের যৌথ অভিযান মাদক ও ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার - ১৫

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ মে 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু নারায়ণগঞ্জপ্রতিনিধি :নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জে মাদকসহ অপরাধের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোববার (৩০ এপ্রিল) রাতভর আবারো মাদক কারবারী জয়নাল গ্রুপ, শাহাবুদ্দিন গ্রুপ ও শমসের গ্রুপের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সাধারণ মানুষের মাঝে ভয়-ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্যই এসব ঘটনা ঘটছে অপরাধীরা।

আর এই ঘটনার পর রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের প্রায় দেড়শতাধিক পুলিশ সদস্য চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকায় সোমবার (১মে) ভোর থেকে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা শুরু করেন।অভিযানকালে ৬০৮ পুরিয়া গাঁজা, ৭৫ পুরিয়া হেরোইন, ১০টি ককটেল, ৪টি রামদা, চাপাতি, ছুড়া, টেটা, খেলনা পিস্তল, হকিটকি, কাটার উদ্ধার   করা   হয়।      পুলিশ সন্দেহজনক ভাবে ১৫জনকে গ্রেপ্তার করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের মোস্তফা কামাল, ৩ নং ওয়ার্ডের আবু বক্কর সিদ্দিক, ডেমরা এলাকার আলামিন, চনপাড়া বহরের উজ্জল মিয়া, নাদিম, ২ নং ওয়ার্ডের সোহাগ মিয়া, ৩ নং ওয়ার্ডের আরিফ, ১ নং ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেন, ৮ নং ওয়ার্ডের খলিল আকন, শাহরিয়ার ইসলাম মন্ডল ওরফে রয়েল, ২ নং ওয়ার্ডের মুজিব, ৯ নং ওয়ার্ডের সাদেক, ৮ নং ওয়ার্ডের সোহেল, শামীম ও হাজারী মামুন চৌধুরী শেখ।

রূপগঞ্জ থানার ওসি /তদন্ত আতাউর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকায় একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে জয়নাল গ্রুপ, শমসের গ্রুপ ও শাহাবুদ্দিন গ্রুপ সহ আরো কয়েকটি অপরাধচক্র। পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন সময় মাদক উদ্ধার ও অস্ত্র উদ্ধারসহ অপরাধীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুনরায় অপরাধিরা জামিনে বের হয়ে এসে আবার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করে।

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোববার (৩০ এপ্রিল) রাতভর আবারো জয়নাল গ্রুপ, শাহাবুদ্দিন গ্রুপ ও শমসের গ্রুপের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সাধারণ মানুষের মাঝে ভয়-ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্যই এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে অপরাধীরা।আর এসব ঘটনার পর এবং চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের প্রায় দেড়শতাধিক পুলিশ সদস্য চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকায় সোমবার (১মে) ভোর থেকে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা শুরু করেন।

অভিযানকালে ৬০৮ পুরিয়া গাঁজা, ৭৫ পুরিয়া হেরোইন, ১০টি ককটেল, ৪টি রামদা, চাপাতি, ছুড়া, টেটা, খেলনা পিস্তল, হকিটকি, কাটার উদ্ধার করা হয়।এবং পুলিশ সন্দেহজনক ভাবে ওই ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন।

এসব ঘটনায় মাদক, অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ও সংঘর্ষের ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অভিযোগে রূপগঞ্জ থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। আর ওই মামলায় আসামিদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



অপরাধী যতই শক্তিশালী হোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: আইজিপি

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১০১জন দেখেছেন

Image

আমান উল্লাহ, কক্সবাজার: পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে যে জিরো ট্রলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন এর আলোকে আমরা কাজ করছি। যদি কোনো অপরাধী ভালো পথে ফেরত আসতে চায়, তাহলে তাকে অবশ্যই সুযোগ দেওয়া হবে। কারণে আমরা দস্যুমুক্ত সুন্দরবন ঘোষণা করতে পেরেছি।

যেসব জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে, তাদের মধ্যে কেউ অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে কিনা তা আমরা নজরে রাখছি। গতকাল বুধবার ( মে) বিকেল ৩টার সময় কক্সবাজার জেলা পুলিশের কার্যালয় প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ দেশে নানা অপরাধের বিষয়ে আইজিপি জানান, মাদকের বিরুদ্ধে সারাদেশে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে সব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। সকলে মিলে দেশে ভালো কাজগুলো করছি। যেখানে অপরাধ  সংগঠিত হচ্ছে সেখানে পুলিশ পৌঁছে যাচ্ছে। অপরাধ করে কেউ ছাড় পাবে না। যে যত বড় অপরাধী হোক না কেন পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।তিনি আরও জানান, বিভিন্ন কৌশলে প্রথমে আমরা অপরাধীদের তালিকা করি।

অপরাধের প্রমাণ পেলে তাদের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কোনো ঘটনা সংগঠিত হলে কাউকে আমরা ছাড় দিচ্ছি না। অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যে আইন-শৃঙ্খলার স্বাভাবিক গতি ভঙ্গ করার চেষ্টা করবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।ট্রলার থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আইজিপি জানান, ঘটনাটি আমি শুনার পর ডিআইজিকে দ্রুত তদন্ত করতে বলেছি এবং সিআইডির টিম পাঠিয়েছি। ঘটনায় সকল ডিপার্টমেন্ট গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে।

ঘটনায় বেশ কয়েকজন আসামি ধরা পড়েছে। তারা ১৪৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। ঘটনায় তদন্ত চলছে। আমরা আশা করছি এই তদন্তে ভালো কিছু আসবে।টেকনাফে অপহরণের ঘটনায় পুলিশপ্রধান জানান, এই ঘটনাগুলো যারা ঘটাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এসব ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এজন্য সবাইকে অনুরোধ করবো প্রয়োজনে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে আমাদের জানান।এ সময় এডিশনাল  আইজিপি (ক্রাইম)মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম, এডিশনাল আইজিপি(এপিবিএন) ডক্টর হাসান উল হায়দার , কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট  প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন


আরও খবর