Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না: ওবায়দুল কাদের মাগুরার মহম্মদপুর ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত শেখ হাসিনা "সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক" যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী আফতাবনগরের গরুর হাটের ইজারার নিয়ে যত তালবাহনা !

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পানি ফলের বাম্পার ফলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৩২৫জন দেখেছেন

Image

কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় দিন দিন বাড়ছে পানি ফলের চাষ। জলাবদ্ধ এলাকায় পতিত জমিতে খুব সহজেই চাষ করা যায় এ ফলটি। অল্প খরচ করে অধিক ফলন। লাভজনক হওয়ায় পানি ফলের চাষে ঝুঁকছে এখানকার মানুষ।পানি সিঙ্গারা অনেকই চিনেন এখন পানি ফল হিসেবে। পানি ফল দেখতে খানিকটা বাজারের তৈরি সিঙ্গারার মতো হওয়ায় অনেকেই সিঙ্গারা বলেও চিনেন। তাছাড়াও এ ফলের নানা জায়গায় নানা নাম রয়েছে। স্বল্প সময়ের জন্য জমি পতিত না রেখে পানি ফলের চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিসার সুভ্রাংশু শেখর দাস বলছেন, পানিফল চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। এ ফলের পুষ্টিরমানও অনেক বেশি। কলারোয়া উপজেলার পতিত জমিতে এই পানিফলের চাষ ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় এ ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছে এখানকার মানুষ। প্রতিবছর বোরো ধান কাটার পর, খাল-বিল-ডোবায় জমে থাকা পানিতে প্রথমে এই ফলের লতা রোপণ করা হয়। তিন থেকে সাড়ে তিন মাসের মধ্যে ফল আসে প্রতিটি গাছে। এ ফল চাষে সার-কীটনাশকের তেমন প্রয়োজন হয় না।

প্রতি বিঘা জমি চাষে ৯/১০হাজার টাকা খরচ করে ৩৫/৪০ হাজার টাকা লাভ করে চাষিরা। উপজেলায় এবার ৩৭ হেক্টর পতিত জমিতে পানিফল চাষ হয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি পানিফল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। প্রথমে দাম ছিলো ৪০/৫০ টাকা কেজিতে। এখন একটু কমে গেছে। এদিকে ডোবা আর বদ্ধ জলাশয়ে পানিফল চাষ করে সাবলম্বী হয়ে উঠছে উপজেলার অনেক হতদরিদ্র মানুষ। অল্পপুঁজি ব্যয় করে পানিফল চাষের মাধ্যমে দু’পয়সা বাড়তি আয় করে অভাবের সংসারে সচ্ছলতা এনেছে প্রায় শতাধিক পরিবার। কলারোয়ায় প্রথম বাণিজ্যিকভাবে এই পানি ফলের চাষ শুরু হয়। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এই পানিফল চাষে অনেক আগ্রহী হয়েছেন। উপজেলায় পানিফল উৎপাদনে সফলতা পাওয়ায় অন্যান্য উপজেলার চাষিরাও অনুপ্রাণিত হয়ে চাষাবাদ পদ্ধতি শিখে তাদের পতিত জমিতে চাষ শুরু করছে। এটি একটি বর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ পানিফল। এই ফলের গাছটি ৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পানির নীচে মাটিতে এর শিকড় থাকে এবং পানির উপর পাতা গুলি ভাসতে থাকে। আশ্চর্য বিষয় হলো-এই গাছে ফুল ফোটে ভোর বেলায়, পানির উপর ভাসতে দেখা যায়। কিন্তু ফুল ফোটার কিছুক্ষণ পরে সেই ফুল পানির নিচে চলে যায়। আর সেখানেই পানি ফলে পরিণত হয়। পানি ফল চাষী রেজাউল ইসলাম ও আবু হাসান বলেন, ১৩বছর ধরে তারা কলারোয়া পৌর সদরের গোপিনাথপুরে পতিত ও জলাবদ্ধ জমিতে পানিফল চাষ করে আসছেন। পানি ফলে সার কীটনাশকের তেমন প্রয়োজন হয় না।

অন্যান্য ফসলের থেকে এর পরিচর্যাও কম। অল্পপুঁজি ব্যয় করে লাভ বেশী। খেতেও সুস্বাদু। এ বছর তাদের ৬বিঘা জমিতে পানিফল চাষের খরচ হয়েছে প্রায় ৭০হাজার টাকা। এতিমধ্যে পানি ফল বিক্রয় শুরু হয়েছে। আষাড় মাসে পানি ফলের চাষ শুরু হয়। এর তিন মাস পরে গাছে ফল আসে। তারা আরো বলেন-অন্যান্য ফসলের থেকে লাভও দ্বিগুণ। এই ফল চাষে বর্তমানে আমাদের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমাদের কলারোয়ায় বদ্ধ জলাশয়ে পানিফল চাষ করে সাবলম্বী হয়ে উঠছে অনেক হতদরিদ্র মানুষ। পানিফল যেমন শরীরের জন্য বেশ উপকারি। খেতেও সুস্বাদু। এই ফল শরীরের পুষ্টির অভাব দূর করে, বøাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে করতে সাহায্য করে। পানি ফল চাষী অজেদ আলী, আব্দুল মাজেদ, শিল্পী, একুব্বার, শফিকুল ইসলাম, মুনসুর আলী, নাজির গাজী, শামসুর রহমান, আব্দুর রউফ, রফিকুল ইসলাম, সোহাগ হোসেন, আবুল হোসেন, নুর ইসলাম, তৌহিদ, পফ্ফার, মোস্ত জানান, সরকারি-বেসরকারি খাত থেকে ঋণ সহায়তা পেলে আরো অনেক মানুষ পানিফল চাষ করতে পারতো। এতে একদিকে নিজেরা যেমন স্বাবলম্বী হতে পারে তেমনি গ্রামীণ অর্থনীতিতেও অবদান রাখা সম্ভব হবে। কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিসার সুভ্রাংশু শেখর দাস বলেন, বর্তমানে পানিফল কৃষিতে নতুন এক সম্ভাবনাময় ফসল। আমাদের কৃষি বিভাগ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে পানিফল চাষের বিস্তার ঘটাতে। যে কোন পতিত খাল, পুকুর, ডোবা অথবা জলাশয়ে চাষ করা সম্ভব। তুলনামূলক এর উৎপাদন খরচ কম। চলিত বছরের ৩৭হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। আগামী বছর আরো বেশি জমিতে চাষ হবে বলে তিনি মনে করেন।


আরও খবর



রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর শিশু হাসপাতালের ভবনে আগুন লেগেছে। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পাঁচটি ইউনিট।এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।

তিনি বলেন, আজ শুক্রবার ১টা ৪৭ মিনিটে শিশু হাসপাতালে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে দ্রুত প্রথমে দুই ইউনিট ও পরে আরও তিন ইউনিট হাসপাতালে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে। এখন পর্যন্ত পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।

এদিকে, আগুনের ঘটনায় হাসপাতালে থাকা রোগীর স্বজনদের ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি হাসপাতালে থাকা বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকরা আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।


আরও খবর



মাটিরাঙ্গায় বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর বনে অবমুক্ত করা হয়েছে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৪৫জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গায় বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর বনে অবমুক্ত করা হয়েছে

বুধবার (১৪ মে )বিকেল ৫টার দিকে খাগড়াছড়ি বনবিভাগের  বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো.ফরিদ মিঞা এর দিক নির্দেশনায় মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তীর সার্বিক সহযোগিতায় লজ্জাবতী বানরটি মাটিরাঙ্গা বন বিভাগের  কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে মাটিরাঙ্গা রেঞ্জ অফিস সংলগ্ন বনে অবমুক্ত করা হয়।

 লজ্জাবতী বানরটি মাটিরাঙ্গা রেঞ্জের বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের  ৮নং ওয়ার্ড হইতে স্থানীয় এলাকাবাসীর  সহযোগিতায় মাটিরাঙ্গা  রেঞ্জের কর্মকর্তা উদ্ধার করেন।গত ছয় মাসে মাটিরাঙ্গা 
রেঞ্জ অফিস সংলগ্ন বনে ৪টি লজ্জাবতী বানর
অবমুক্ত করা হয়েছে।

লজ্জাবতী বানর অবমুক্ত সময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা, মো. আতাউর রহমান লস্কর, মাটিরাঙ্গা রেঞ্জের ফরেষ্টার মো. তৌহিদুর রহমান, ফরেস্টার, মো. আক্কাচ আলী, মাটিরাঙ্গা প্রেস-ক্লাবের সহ-সভাপতি মো.জসীম উদ্দিন জয়নাল, মাটিরাঙ্গা প্রেস-ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো.মুজিবুর রহমান ভূইঁয়া সহ বনবিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা  উপস্থিত ছিলেন।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তী বলেন, বনজঙ্গল ও গাছপালা উজাড় হওয়ায় প্রায় সময় খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে বেরিয়ে এসে স্থানীয়দের হাতে লজ্জাবতী ধরা পড়ে প্রাণ হারাচ্ছে। এসব বন্যপ্রাণীকে রক্ষা করতে হলে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি স্থানীয়দেরও সচেতন করতে হবে।

আরও খবর



যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সাম্রাজ্যের অনুসন্ধান চেয়ে রিট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রায় ২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড (২৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তোলার ঘটনায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী অনুসন্ধান চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সালাউদ্দিন জনস্বার্থে এ রিটটি দায়ের করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

‘সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে’- শিরোনামে জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

প্রতিবেদনের প্রথমাংশে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের ব্যক্তিগত আবাসিক রাস্তায় একটি সম্পত্তি ২০২২ সালে ১ কোটি ৩৮ লাখ ডলারে (১৫২ কোটি টাকায়) বিক্রি হয়। রিজেন্টস পার্ক এবং লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড থেকে পাথর ছোড়া দূরত্বে যুক্তরাজ্যের রাজধানীর সবচেয়ে সমৃদ্ধ এলাকাগুলোর একটিতে সাদা টাউনহাউসের সারি। একটি সম্পত্তি বিপণন কোম্পানির আলোকচিত্রে দেখা যায়, এর মেঝে থেকে সিলিং পর্যন্ত জানালা, বেশ কয়েকটি ফ্লোরজুড়ে সর্পিল সিঁড়ি, রয়েছে থিয়েটার এবং ব্যায়ামাগার।

সম্পত্তি প্ল্যাটফর্মের হিসাবে বর্তমানে বাড়িটির দাম ১৮০ কোটি টাকারও (১.৩ কোটি পাউন্ড) বেশি। বাড়িটি বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের মালিকানাধীন।

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী দেশটির কোনো নাগরিক, বাসিন্দা এবং সরকারি কর্মচারী বছরে ১২ হাজার ডলারের (১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকার) বেশি অর্থ দেশের বাইরে নিতে পারেন না। বাংলাদেশের আইনে করপোরেশনের বিদেশে তহবিল স্থানান্তরেও নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। শুধু কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হয়।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ গত জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ বছর ভূমিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সাল থেকে তার মালিকানাধীন কোম্পানি প্রায় ২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড (২৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। যুক্তরাজ্যের কোম্পানি হাউস করপোরেট অ্যাকাউন্ট, বন্ধকি চার্জ এবং এইচএম ল্যান্ড রেজিস্ট্রি লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে এ পরিসংখ্যান পেয়েছে বার্তা সংস্থা ব্লুমবার্গ।

ব্লুমবার্গের প্রায় আড়াই হাজার শব্দের অনুসন্ধানি প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মধ্য লন্ডনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে ইংল্যান্ডে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বৃহত্তম আবাস টাওয়ার হ্যামলেটস এবং লিভারপুলে ছাত্রদের আবাসন পর্যন্ত বিস্তৃত তার সম্রাজ্য। জাভেদের প্রায় ২৫০টি সম্পত্তি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রায় ৯০ শতাংশ নতুন অবস্থায় কেনা হয়েছে।


আরও খবর



ইসলামপুরে ধান-চাল ও গম সংগ্রহ উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

লিয়াকত হোসাইন লায়ন,ইসলামপুর(জামালপুর )প্রতিনিধি:শেখ হাসিনার বাংলাদেশ,ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ এই আলোকে জামালপুরের ইসলামপুরে সরকারি ভাবে অভ্যান্তরীণ বোরো ধান -চাল ও গম সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (১৩ মে) উপজেলা খাদ্য বিভাগ আয়োজনে ধান-চাল ও গম সংগ্রহ অভিযান শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম জামাল আব্দুন নাসের বাবুল।

জানাগেছে, উপজেলায় ৫ হাজার ৭৮৭মেট্রিক টন চাল ও ১৬শ ১৯ মেট্রিক টন ধান ও ১শত ১২ মেট্রিক টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রায় ধান প্রতি কেজি ৩২টাকা,চাল প্রতি কেজি ৪৫টাকা ও গম প্রতি কেজি ৩৫টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সংগ্রহ অভিযান চলবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে,উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মাহবুবুল আলম তরফদার, উপজেলা কৃষি কমকর্তা এ.এল.এম রেজুয়ান, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মোফাজ্জল হোসেন, চাল কল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি আমিরুল ইসলাম মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাজুসহ অন্যান্যরা উপস্থিতি ছিলেন।


আরও খবর



পার্বত্যবাসীর কল্যাণে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল এিপুরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও পার্বত্যবাসীর কল্যাণে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, উন্নয়ন কাজে চেইন অব কমান্ড অনুযায়ী প্রত্যেকের কাজে সমন্বয় থাকা দরকার। পার্বত্য জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টায় সরকারের উন্নয়ন কাজকে গতিশীল রেখে যথাসময়ের মধ্যেই তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

বুধবার (১৫ মে)  ঢাকার বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র-এর সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের খসড়া এপিএ’র উপর দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।  

পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, প্রতিবছর সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কাজে ভালো পারফরমেন্সের জন্য টার্গেট অনুযায়ী কাজের মান নির্ধারণ বা মেধাভিত্তিক নির্বাচন করে থাকে। তিনি বলেন, মেধাভিত্তিক স্কোর বা মান নির্ধারণ একটি সংস্থা, বিভাগ বা মন্ত্রণালয়ের জন্য বড় পুরস্কার। প্রত্যেক সংস্থাকে যথাসময়ের মধ্যে এপিএ’র কৌশলগত উদ্দেশ্য, কর্মসম্পাদন সূচক, কাজের লক্ষ্যমাত্রা ও প্রক্ষেপণ যথাযথভাবে সম্পন্ন করা উচিত বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো.মশিউর রহমান এনডিসি-এর সভাপতিত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি,পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী অপু, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এনডিসি, যুগ্মসচিব সজল কান্তি বনিক, পার্বত্য তিন জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীগণ উপস্থিত ছিলেন। 

সভায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে কার্যপত্র উপস্থাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম ও উপসচিব খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম।

এপিএ সংক্রান্ত কর্মশালায় কৃষি, পরিবেশ উন্নয়ন এবং ভৌত অবকাঠামো ও পর্যটন বিকাশ; বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণ ও আত্মকর্মসংস্থানমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাসকরণ ও জীবানযাত্রার মানোন্নয়ন; পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির সংরক্ষণ; শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এরূপ পাঁচটি গ্রুপের কৌশলগত উদ্দেশ্যের মান ৭০ নম্বরের উপর আলোচনা হয়।

এর আগে সকালে একই জায়গায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এপ্রিল ২০২৪ সালের মাসিক উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এডিপিভুক্ত ১৬টি প্রকল্প, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন সহায়তা, পার্বত্য চট্টগ্রাম স্থানীয় সরকার উন্নয়ন সহায়তা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের জন্য উন্নয়ন সহায়তা বাবদ ৭৩৪ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রয়েছে বলে জানানো হয়। যার মধ্যে প্রকল্প সাহায্য থেকে পাওয়া গেছে ৩৪ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা। প্রকল্পসমূহের চলতি বরাদ্দ ও ব্যয়ের সার্বিক অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রকল্প/উন্নয়ন সহায়তা খাতে অনুমোদিত প্রকল্প ১৬টি  এবং উন্নয়ন সহায়তা ৩টির মোট বরাদ্দ ৭৩৪ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার মধ্যে এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে ৪৯.৭১ শতাংশ। যা একই সময়ে গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৪১.৪১ শতাংশ।

আরও খবর