Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

সাংস্কৃতিক আন্দোলনে রবীন্দ্র-নজরুল মুখোমুখি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২০৪জন দেখেছেন

Image

আমরা রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল ভালোবাসি। দুজনই বাংলা ভাষার কবি। বাংলাদেশের কবি, বাঙালি কবি। আমরা তাদের সাহিত্য পড়ি, আলোচনা-সামালোচনা ও গবেষণা করি। রবীন্দ্র-নজরুল সংগীত আমাদের সংগীতের অন্যতম উপাদান। কারণ রবীন্দ্রনাথ তাঁর লেখা দিয়ে আবহমান বাঙালির চিরচেনা বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার কথা বলেছেন। তিনি বিশ্ব দরবারে বাংলা ভাষাকে আলোকিত করেছেন। 

অন্যদিকে নজরুল আমাদের যুদ্ধদিনের কবি, প্রাণ ও প্রেরণার কবি, তারুণ্যের কবি। নজরুল তাঁর লেখা দিয়ে মানব মুক্তির কথা বলেছেন, দেশের কথা বলেছেন, নিপীড়িত-বঞ্চিত মানুষের কথা বলেছেন। তিনি আমাদের জাতীয় কবি। 

১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হলেও কবি নজরুল পাকিস্তানকে সমর্থন করেননি। কবি মুসলীম লীগকে পছন্দও করেতন না। দেশভাগ হলেও নজরুল পরিবার নিয়ে কলকাতা থেকে যান। অবশ্য এ সময় তিনি পুরোদমে অসুস্থ ছিলেন। দেশভাগ পরবর্তী অনেক পাকিস্তানপন্থি ও রবীন্দ্রবিরোধীরা অপপ্রচার শুরু করলেন যে, রবীন্দ্রনাথ হিন্দু; ভারতের কবি। কাজী নজরুল মুসলমান; পাকিস্তানের কবি। নজরুল যে হিন্দু নারী বিবাহ করেছেন সেটিকেও উপক্ষো করে তাঁরা রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে বলা শুরু করলেন।  ১৯৪৮ সালে ঢাকায় রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন সূচনাকে পশ্চিম পাকিস্তানিরা ভালো চোখে দেখেনি। ১৯৪৮ সালের মে মাসের ৯ তারিখের পর থেকে ঢাকা এবং পূর্ব বাংলার বিভিন্ন স্থানে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালিত হয়ে আসছে। যা স্বাধীন বাংলাদেশেও পঞ্চাশ বছর ধরে চলমান। 

কিন্তু ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের দুই প্রধান বাঙালি কবিকে নিয়ে রাজনীতি করেছেন। একজনকে অন্যজনের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছেন। রবীন্দ্র নজরুলকে জীবদ্দশায়ও অনেকে আক্রমণ করেছেন। সাতচল্লিশ পরবর্তী বারবার আমাদের ভাষা সংস্কৃতির উপর আঘাত করে দমিয়ে রাখতে চেয়েছেন পশ্চিম পাকিস্তান ও তাদের অনুসারীরা। অনেক সময় এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আমাদের বাঙালি অনেক কবি, সাহিত্যিক, রাজনৈতিক ও  মৌলবাদীরা। দেশভাগের পর ঢাকাকেন্দ্রিক এই অপরাজনীতি বারবার লক্ষ্য কার যায়। ‘বায়ান্নর মার্কিন গোপন দলিল-১৭’ এর নথিতে এরকম কিছু অজানা তথ্য উঠে এসেছে পরবর্তীতে। 

১৯৫৫ সালে ঢাকায় উপমহাদেশের প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী বুলবুল চৌধুরীর নামে প্রতিষ্ঠিত হয় বাফা। এই প্রতিষ্ঠানে তৎকালীন রবীন্দ্রসংগীত শিখিয়েছেন শিল্পী কলিম শরাফী, ভক্তিময় সেনগুপ্ত ও আতিকুল ইসলাম। তৎকালীন পূর্ববাংলায় রবীন্দ্র চর্চায় বাফার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন ছায়ানটের অন্যতম রুপকার সনজীদা খাতুন। ১৯৬১ সালে রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবর্ষ উদযাপনের পরপর শিল্পী সাংস্কৃতিক কর্মীদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় ছায়ানট। ঢাকার বটমূলে পয়লা বৈশাখ উদযাপন একদিকে যেমন ছিল বাঙালি সংস্কৃতির উৎসব। অন্যদিকে ছিল পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এবং তাদের অনুসারীরা সবসময় বাঙালি সংস্কৃতিকে ধ্বংস ও দমিয়ে রাখতে চেষ্টা করতেন।  

১৯৬৭ সালের ৭ নভেম্বর ঢাকার তৎকালীন মার্কিন কনসাল ডরিস ভার্জিনিয়া মেটকাফ ওয়াশিংটনে পাঠানো এক বার্তায় মন্তব্য করেছিলেন: 

‘বাঙালিদের বিরুদ্ধে মুসলিম লিগের ওই মিশন ছিল উচ্চাভিলাষী। কারণ, শিক্ষিত বাঙালিরা রবীন্দ্রনাথকে শেক্সপিয়ার-ওয়ার্ডসওয়ার্থ-ইয়েটস-গ্যেটের দলভুক্ত মনে করেন। অন্যদিকে নজরুলকে তাঁরা মনে করেন জর্জ এম কোহেন এবং আরভিং বার্লিনদের (এই দুজনই মার্কিন লেখক ও গীতিকার) দলভুক্ত। যদিও নজরুল মুসলমান হয়েও পাকিস্তান সমর্থন করেননি। তিনি তাঁর হিন্দু স্ত্রীকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বাস করেন।’

মার্কিন কনসালের বর্ণনায়-

‘১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৭ পাকিস্তান সরকার ঢাকায় ব্যাপক উদ্দীপনায় নজরুল একাডেমি প্রতিষ্ঠা করে। এর উদ্দেশ্য ছিল মুসলিম ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকারের ভিত্তিতে পাকিস্তানি সংস্কৃতির উন্নয়ন সাধন করা। ২৪ সেপ্টেম্বরে মুসলিম লিগের নেতা খান এ সবুরকে একাডেমির প্রধান পৃষ্ঠপোষক করা হয়। অথচ তিনি কোনো সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নন এবং সাহিত্যে তাঁর অনুরাগও নেই।’

ওই প্রতিবেদনে আরো স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে, মূলত ঢাকায় নজরুল একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল সেই সময় নজরুলকে রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে কৌশলে দাঁড় করিয়ে হিন্দু-মুসলিম বিভেদ সৃষ্টির জন্য। কারণ পূর্ব বাংলায় তখন রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকে নিজ দেশের স্বকীয়তার শিল্পী হিসেবেই বাঙালিরা গ্রহণ করেছিল। আর সেই সময় মুসলীম লিগের নেতা খান এ সবুর বাঙালির আকাঙ্খা ও বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালান। প্রকৃতপক্ষে বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ ঠেকাতে পাকিস্তানি সরকার এবং মুসলিম লিগের সমর্থকরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিরুদ্ধে মুসলিম কবি বিবেচনায় নজরুলকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। 

ঠিক একই ধারাবাহিকতায়  ১৯৬৭ সালের ২৩ জুন, পাকিস্তানি সরকারের তদান্তীন তথ্যমন্ত্রী ঢাকার নবাব বাড়ির খাজা শাহাবুদ্দিন বেতার ও টেলিভিশনে রবীন্দ্রসংগীত প্রচার বন্ধ করে ফতোয় জারি করে জানালেন- ‘রবীন্দ্রসংগীত আমাদের সংস্কৃতি নয়, এই সংগীত পাকিস্তানের আদর্শবিরোধী’। এই ফতোয়ার বিরুদ্ধে পূর্ব বাংলার ১৯ জন নাগরিক বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদে জানালেন যে, রবীন্দ্রনাথ পাকিস্তানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই সময় রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর সংগীতের বিরুদ্ধে পাল্টা বিবৃতি দিলেন রবীন্দ্রবিরোধী এবং পাকিস্তানপন্থি ৪২ জন।

সেসময় অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ বলেছিলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের বর্ণাঢ্য বিচিত্রমুখী অবদান বাঙালিসত্তাকে ঋদ্ধ করেছে। পাকিস্তানি (তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান) হয়েও আমরা তাঁর অংশীদার। সুতরাং সে মহৎ সাহিত্য আমার এবং আমার উত্তরাধিকারীকে আমি তা থেকে বঞ্চিত হতে দেব কেন?’ 

কিন্তু এর পরই ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে তিনদিন ধরে পালিত হয় বুলবুল ললিতাকলা কেন্দ্র (বাফা), ছায়ানট, ক্রান্তির সম্মেলন অনুষ্ঠান। চারিদিকে পুরোদমে বইতে শুরু করে রবীন্দ্র হাওয়া। রবীন্দ্রসংগীত আরো মানুষের মুখে মুখে প্রচারিত হতে লাগলো তখন। বঙ্গবন্ধু কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরপর ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এক ভাষণে তিনি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, 'আমরা মির্জা গালিব, সক্রেটিস, শেকসপিয়ার, অ্যারিস্টটল, দান্তে, লেনিন, মাও সে তুং পড়ি জ্ঞান আহরণের জন্য, আর সরকার আমাদের পাঠে নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথের লেখা, যিনি একজন বাঙালি কবি এবং বাংলা কবিতা লিখে বিশ্বকবি হয়েছেন। আমরা এ ব্যবস্থা মানি না। আমরা রবীন্দ্রনাথের বই পড়বই, আমরা রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবই এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত এ দেশে গীত হবেই।' 

প্রয়াত জাতীয়  অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান তাঁর এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন, ‘রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্পর্কিত এই বিতর্ক শুরু হওয়ার আগেই আমি রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে পূর্ব পাকিস্তানের লেখকদের প্রবন্ধের একটি সংকলনের কাজে হাত দিয়েছিলাম। তথ্যমন্ত্রীর বিবৃতির পরে আমার সে-প্রয়াস অন্য মাত্রা নিলো। আমার প্রস্তাবিত  লেখকদের কেউ কেউ সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় তাঁরা এতে লিখবার ঝুঁকি নিতে রাজি হলেন না, কিন্তু অন্য অনেকে আবার বেশ উৎসাহী হয়ে উঠলেন। পরিকল্পিত সংকলনটি সরকারি নীতির উপযুক্ত প্রতিবাদ হিসেবে গণ্য হলো। আমি জয়নুল আবেদিনকে ধরলাম বইটির জন্যে রবীন্দ্রনাথের একটি প্রতিকৃতি এঁকে দিতে। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, আমি কি তাঁকে প্রতিকৃতিশিল্পী মনে করি? বললাম, তা নয়; যে-মনোভাব নিয়ে তিনি সরকারি নীতির বিরুদ্ধে বিবৃতিতে স্বাক্ষর দিয়েছেন, সেই মনোভাব থেকেই যদি ছবিটা এঁকে দেন! তিনি আর দ্বিধা করলেন না। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তখন তাঁর বয়স ৮২, রবীন্দ্রসংগীত-বিষয়ে বিতর্ক এড়িয়ে গেছেন এ-যাবত। তাঁর কাছে যখন আমার সংকলনের জন্যে লেখা চাইলাম, তিনি বললেন, তিনি মুখে-মুখে বলে যাবেন, আমি যেন শ্রুতিলিপি নিই।

একদিন তাঁর বাড়িতে, একদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবনে তাঁর অফিসকক্ষে বসে কাজটা করলাম। পরে তিনি সংশোধন করে দিলে সংকলনের গোড়ায় সেটা ছাপলাম। যতদূর জানি, এটাই শহীদুল্লাহর শেষ লেখা। তিরিশজন প্রাবন্ধিকের লেখা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ বের হলো ১৯৬৮ সালে। এর প্রকাশনা-অনুষ্ঠানে যেমন জনসমাগম হলো, পত্র-পত্রিকায়  তেমনি তার খবর বের হলো গুরুত্বের সঙ্গে। পরের বছরেই তো শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘটল গণ-অভ্যুত্থান, বাঙালি জাতীয়তাবাদের ঢেউ তুঙ্গে উঠল। সভা-সমিতিতে ‘আমার সোনার বাংলা’ গাওয়া প্রায় রেওয়াজ হয়ে দাঁড়াল।’ 

আমরা আমাদের স্বাধীনতার সেই স্বপ্নবুনোন থেকেই রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর রচিত জাতীয় সংগীতকে ভালোবাসি। নজরুলের গান ও কবিতাকে ভালোবেসে আসছি। একাত্তরের যুদ্ধদিনে আমাদের যোদ্ধারা জাতীয় সংগীত ও নজরুলের গান এবং কবিতা গেয়ে যুদ্ধ করতেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকেও রবীন্দ্র নজরুলের গান, কবিতা, বাণী প্রচার করা হতো। বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকে ভালোবাসতেন। তিনি নিজেও জাতীয় সংগীত খুব পছন্দ করতেন। 

একাত্তর সালে পাকিস্তানের পরাধীন থেকে মুক্ত হলে বঙ্গবন্ধু ও সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ সালের ১৩ জানুয়ারি রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানের দশ লাইন জাতীয় সংগীত হিসেবে এবং নজরুলের সন্ধ্যা কাব্য গ্রন্থের ‘নতুনের গান’ কবিতার ‘চল চল চল’ শিরোনামের ২১ লাইনকে রণসংগীত হিসেবে মন্ত্রীসভার বৈঠকে নির্বাচন করে। এর মাধ্যমে প্রধান দুই কবিকে সম্মানের সাথে মূল্যায়ন করা হয়। কিন্ত তারপরও আমাদের দেশে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল নিয়ে বহু আলোচনা সমালোচনা রয়েছে। নজরুলকেও নাস্তিক তকমা দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানপন্থি, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক মানুষেরা এখনো আমাদের সংস্কৃতি থেকে রবীন্দ্র সৃষ্টিকে দূরে রাখার সর্বদা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি পাঠ্যপুস্তক থেকেও রবীন্দ্র রচনা মূছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। চেষ্টা করা হয়েছে আমাদের জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতার অন্যতম মূলমন্ত্র ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা। বঙ্গবন্ধু বারবার বলেছেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। সকল ধর্মকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করা’।

আমরা বাঙালি, আমাদের দেশে বহু ধর্মের মানুষ মিলে মিশে বসবাস করে আসছি আমরা। আমরা যেমন আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও ভূখন্ড এবং জাতীয়তাকে ভালোবাসি ঠিক একইভাবে রবীন্দ্র নজরুল সৃষ্টিকে ভালোবাসি। কারণ রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল আমাদের চির আধুনিক কবি। আমাদের দেশের কবি, মাটির কবি, বাংলাদেশের কবি আমাদের যুদ্ধদিনের কবি।   

তথ্য সহায়ক 
০১. মিজানুর রহমান খান, রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে নজরুলকে ব্যবহার, প্রথম আলো, ১৭ ফ্রেবয়ারি, ২০১৪।
০২. বিশ^জিৎ ঘোষ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় এবং রবীন্দ্রনাথ, প্রথম আলো, ০৩ মে, ২০১৩।
০৩. বাশার খান, নজরুলকে ঢাকার আনার ইতিহাস, বাংলা ট্রিবিউন, ২৭ আগস্ট, ২০১৯।
০৪.  সৌমিত্র শেখর, কবি নজরুলকে কেন প্রয়োজন, ২৭ আগস্ট, ২০১৫।
০৫. দীপঙ্কর গৌতম, আমাদের জাতীয় সংগীত ও রবীন্দ্রনাথ, দৈনিক জাগরণ, ০৮ মে, ২০১৯।
০৬. অনন্য মুশফিক, সনজীদা খাতুন ও আলোর পথযাত্রী, দৈনিক ভোরের কাগজ, ০৬ এপ্রিল, ২০১৮। 
০৭. আগে তো আমাদের বাঙালি হতে হবে, সনজীদা খাতুন, দ্য ওয়াল, পুজো ম্যাগাজিন, ১৪২৬।
০৮. আনিসুজ্জামান, রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ, ৬ মে, ২০১৮, কালি ও কলম।
০৯. ড. তানভীর আহমেদ, বঙ্গবন্ধুর ভাবনায় রবীন্দ্রনাথ, রাইজিংবিডি.কম, ৭ আগস্ট ২০২১ 
১০. মোজাফ্ফর হোসেন, টার্গেট রবীন্দ্রনাথ না জাতীয় সংগীত, রাইজিংবিডি.কম, ৫ আগস্ট, ২০১৯)


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি জিয়া হত্যার রাজনীতি শুরু করেন-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন

Image

দিনাজপুর প্রতিনিধি:মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করে বলেছেন, জিয়াউর রহমান শাসন আমল থেকেই গুম,খুন ও বিনা বিচারে হত্যার রাজনীতি শুরু হয় এই দেশে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে খুনি জিয়া হত্যার রাজনীতি শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়া ও তার কুলাঙ্গার পুত্র তারেক রহমান গুম খুন ও বিনা বিচারে হত্যার রাজনীতি অব্যাহত রাখে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১বার হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। তিনি বলেন, রায়ের ৬মাস আগেই সেনাবাহিনী সদস্যদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। রায় ঘোষণা করা হয়েছিল ছয় মাস পর। ১৯৭৭ সালে যাদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের লাশও পরিবারকে দেওয়া হয়নি। ক্লিন হার্ট অপারেশন নামে এবং ২০১৩ ও ১৪ সালে অগ্নিসংযোগ এর মাধ্যমে শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বাস ট্রাকসহ অমূল্য সম্পদ। জাতির দাবি ও প্রত্যাশা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, নতুন আইন এর মাধ্যমে কমিশন গঠন করে ১৯৭৭সাল ও ২০১৩-১৪ সালের অগ্নিসংযোগ হত্যার বিচার করা হোক এটা এখন সময়ের দাবি।শনিবার দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথি হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, খুনের রাজনীতি শুরু করেছেন জিয়াউর রহমান তার পথ ধারে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দেশে খুন ,অগ্নি সন্ত্রাস,অরাজকতা সৃষ্টি চালিয়ে দেশকে অকার্যকর করার অপচেষ্টা চালিয়েছে।

জাতীয় সংসদ এলাকা থেকে জিয়ার কবর অন্যত্র সরানোর দাবী জানিয়ে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা নাহিদ এজাহার খান এমপি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস হত্যা,মানুষ পুড়িয়ে হত্যার দায়ে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কাঠগড়ায় আনার দাবী জানানো হয়। ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা নাহিদ এজাহার খান এমপির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, হুইপ ইকবালুর রহিম, আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক এমপি, ফুয়াদ চৌধুরী গণ ফাসী ৭৭প্রামান্যচিত্র নির্মাতা প্রমুখ। এছাড়াও ভুক্তভোগীদের সন্তান , মাতা, পিতা এবং ভুক্তভোগীগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

ডেঙ্গুতে ৮ মৃত্যু, হাসপাতালে ১৭৯৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




“ইউনিভার্সেল কার্ডিয়াক হাসপাতালে ফ্রি হার্ট ক্যাম্প”

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

প্রেস রিলিজ:আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ইউনিভার্সেল কার্ডিয়াক হাসপাতাল আয়োজন করেছে ”ফ্রি হার্ট ক্যাম্প”। হাসপাতাল প্রাঙ্গনে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই ফ্রি হার্ট ক্যাম্প চলবে। এতে বিনামূল্যে রোগীদের বিশেষায়িত চিকিৎসা পরামর্শ দেবেন সিনিয়র ক্লিনিক্যাল এন্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ডাঃ এস. এম. মামুনুর রহমান; ক্লিনিক্যাল এন্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিষ্ট - ডাঃ সানিয়া হক; মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও ক্লিনিক্যাল এন্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিষ্ট - ডাঃ এম এ হাসনাত; কার্ডিওভাস্কুলার ও থোরাসিক সার্জন ডাঃ মাহবুব আহসান; সহকারী অধ্যাপক (কার্ডিয়াক সার্জারী) - ডাঃ রোমেনা রহমান; সিনিয়র কনসালটেন্ট কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ শিব পদ চক্রবর্ত্তী, সহকারী অধ্যাপক (কার্ডিওলজী) মেজর ডাঃ রেজওয়ানা সিদ্দিক ও সহযোগী অধ্যাপক (ডায়াবেটিস ও হরমোন) ডাঃ মোহনা জামান। ক্যাম্পে আগত হৃদরোগীদের এনজিওগ্রাম এর সিডি (যদি থাকে) নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। ”ফ্রি হার্ট ক্যাম্প” এ সিরিয়াল নেয়ার জন্য উল্লেখিত নাম্বারে ফোন করা যাবে- ১০৬৬৭, ০৯৬১২ ৮০৮০৮০। উল্লেখ্য- ক্যাম্পে আসা রোগীদের সকল পরীক্ষায় থাকছে ৩৫% ছাড় (শর্ত প্রযোজ্য)! বিস্তারিত জানতে: https://www.facebook.com/events/1057089721862731/


আরও খবর

ডেঙ্গুতে ৮ মৃত্যু, হাসপাতালে ১৭৯৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশে প্রথমবারের মতো ডেঙ্গু টিকার সফল গবেষণা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




পাকিস্তানকে হারিয়ে সুপার ফোর শুরু করলো ভারত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক :বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের জোড়া সেঞ্চুরির পর স্পিনার কুলদীপ যাদবের দারুন বোলিং নৈপুন্যে পাকিস্তানকে ২২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে এশিয়া কাপ সুপার ফোর পর্ব শুরু করলো ভারত। রান বিবেচনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এটিই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় ভারতের। আগেরটি ছিল ২০০৮ সালে মিরপুরে কিটপ্লাই কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪০ রানের।

বৃষ্টি বিঘিœত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ২ উইকেটে ৩৫৬ রানের পাহাড় গড়ে ভারত। কোহলি ১২২ ও রাহুল ১১১ রানে অপরাজিত থাকেন। জবাবে ৩২ ওভারে ১২৮ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। কুলদীপ ২৫ রানে ৫ উইকেট নেন। বৃষ্টির কারনে রিজার্ভ রেখে দু’দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ ম্যাচটি।

গতকাল শ্রীলংকার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল উদ্বোধনী জুটিতে ১০০ বলে ১২১ রান তুলেন। রোহিত ৫৬ ও গিল ৫৮ রানে আউট হন।

১৮তম ওভারে দলীয় ১২৩ রানে রোহিত-গিল ফেরার পর জুটি বাঁধেন কোহলি ও রাহুল। ২৫তম ওভারের প্রথম ডেলিভারির পর বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে গেলে ম্যাচটি আজ রিজার্ভ ডে’তে গড়ায়।

বৃষ্টিতে গতকাল খেলা শেষ হবার আগে ২৪ দশমিক ১ ওভার ব্যাট করে ২ উইকেটে ১৪৭ রান তুলেছিলো ভারত। কোহলি ১৬ বলে ৮ এবং রাহুল ২টি চারে ২৮ বলে ১৭ রানে অপরাাজিত ছিলেন।

আজও বৃষ্টির কারনে নির্ধারিত সময়ে শুরু হতে পারেনি ভারত-পাকিস্তান লড়াই। প্রায় দেড় ঘন্টা পর খেলা শুরু হলে পাকিস্তানের বোলারদের উপর ব্যাট হাতে ছড়ি ঘুড়িয়েছেন আগের দিন অপরাজিত দুই ভারতীয় ব্যাটার কোহলি ও রাহুল। ৩৩তম ওভারে ভারতের রান ২শ স্পর্শ করেন তারা। এরপর হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন কোহলি ও রাহুল। হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করার পথে ৪৫তম ওভারেই দলের রান ৩শ নেন কোহলি-রাহুল জুটি।

৪৭তম ওভারে ওয়ানডেতে ষষ্ঠ সেঞ্চুরি করেন ১০০ বল খেলে রাহুল। পরের ওভারে ৮৪ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৭তম সেঞ্চুরির দেখা পান কোহলি। ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ৪৯ সেঞ্চুরি নিয়ে বিশ^রেকর্ডের মালিক ভারতের শচীন টেন্ডুলকার।

জোড়া সেঞ্চুরির পর স্লগ ওভারে রানের গতি বাড়িয়ে ভারতকে ২ উইকেটে ৩৫৬ রানে রানের পাহাড়ে বসিয়েছেন কোহলি-রাহুল। পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি যৌথভাবে সর্বোচ্চ দলীয় রান ভারতের। ২০০৫ সালে বিশাখাপতœমে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৫৬ রান করেছিলো ভারত।

৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৯৪ বলে ১২২ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি। এই ইনিংস খেলার পথে বিশে^র পঞ্চম ও ভারতের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ১৩ হাজার পূর্ণ করেন কোহলি। এর আগে ১৩ হাজার রান ক্লাবের সদস্য হয়েছেন-ভারতের টেন্ডুলকার (১৮৪২৬), শ্রীলংকার কুমার সাঙ্গাকারা (১৪২৩৪), অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং (১৩৭০৪) এবং লংকান সনাথ জয়সুরিয়া (১৩৪৩০)।

১২টি চার ও ২টি ছক্কায় ১০৬ বলে অপরাজিত ১১১ রান করেন গত মার্চের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে নামা রাহুল। তৃতীয় উইকেটে ১৯৪ বলে অবিচ্ছিন্ন ২৩৩ রান তুলেছেন কোহলি-রাহুল। পাকিস্তানের বিপক্ষে যেকোন উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। ভারতের পক্ষে তৃতীয় উইকেট জুটিতে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান।

বোলিংয়ে পাকিস্তানের পক্ষে ১০ ওভার করে বল করে আফ্রিদি ৭৯ রানে এবং শাদাব ৭১ রানে ১টি করে উইকেট নেন।৩৫৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে পঞ্চম ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। ইমাম উল হককে ৯ রানে ফিরিয়ে দেন পেসার জসপ্রিত বুমরাহ। দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার ফখর জামান ও অধিনায়ক বাবর আজম। তবেন বেশি দূর যেতে পারেননি তারা। দশম ওভারে ইনসুইং ডেলিভারিতে বাবরের (২৪ বলে ১০ রান)স্টাম্প উপড়ে দেন পেসার হার্ডিক পান্ডিয়া।

পরের ওভারে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ২ রানে শিকার করে পাকিস্তানকে চাপে ফেলে দেন শারদুল ঠাকুর। ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ঘুড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যাটারদের বড় ইনিংস খেলার সুযোগ দেননি ভারতের বাঁ হাতি স্পিনার কুলদীপ যাদব।

কুলদীপের ঘুর্ণিতে পড়ে ৩২ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৮ রান করে ম্যাচ হারে পাকিস্তান। ইনজুরির কারনে পাকিস্তানের শেষ দুই ব্যাটার নাসিম শাহ ও হারিস রউফ ব্যাটিং করেননি। এতে ১২৮ রানে অলআউট হয় পাকরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন জামান। এছাড়া আগা সালমান ও ইফতিখার আহমেদ ২৩ রান করে করেন।

৮ ওভার বোলিং করে ২৫ রানে ৫ উইকেট নেন কুলদীপ। ৮৭ ম্যাচের ওয়ানডেতে দ্বিতীয়বারের মত ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন কুলদীপ।

সুপার ফোর-এ আগামীকাল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলংকার মুখোমুখি হবে ভারত। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর সুপার ফোরে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে খেলবে পাকিস্তান। নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিলো পাকিস্তান।

সূত্র: বাসস


আরও খবর



নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে, জানাল ইসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পূর্ণাঙ্গ দল না পাঠালেও সার্কভুক্ত দেশগুলো আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পূর্ণাঙ্গ দল না পাঠালেও আরও অনেক দেশ আছে। সার্কভুক্ত দেশগুলোকে (আফগানিস্তান, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা) আমন্ত্রণ জানাবে নির্বাচন কমিশন। 

মো. আলমগীর বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী যেকোনো দেশের যেকোনো সংস্থা আবেদন করতে পারে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ফেম্বোসার সদস্যদের দেশ বিশেষ করে আমাদের আশপাশের যেসব দেশ আছে তাদের আমরা ইনভাইট করি। আমরা শিগগিরই তাদের ইনভাইট জানাব। সার্কভুক্ত দেশগুলো আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী মাসে তাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হবে। 

ইসি আলমগীর আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত না হলে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হবে। 


আরও খবর



দেশের মানুষ আর জঙ্গীবাদ দেখতে চায়নাঃ সোহাগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

শেফালী আক্তার রাখি মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ সারাদেশে জামায়াত-বিএনপি জোটের সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। (২০ সেপ্টেম্বর) বুধবার বেলা ১১ টায় কাপুড়িয়া পট্টিতে এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেছেন, বিএনপি জোট সরাকারের আমলে সৃষ্টি বাংলা ভাই, দেশের মানুষ আর জঙ্গীবাদ চায়না। আওয়ামী লীগ সরকারের ১৪ বছরের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে জনগন আবারও নৌকায় ভোট দিবেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. লিয়াকত আলী খান। শান্তি সমাবেশে মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলার ২০ টি ইউনিয়ন থেকে খন্ড খন্ড বনার্ঢ্য মিছিল সহকারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ সমাবেশে যোগদান করেন। দুর্যোগপূন আবহাওয়া উপেক্ষা করে নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহনে জনসমুদ্রে পরিণত হয় শান্তি সমাবেশ। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোসলেম উদ্দিন হাওলাদার, শরণখোলা উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যাপক মাহফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সাহাবুদ্দিন তালুকদার, বলইবুনিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাজাহান আলী খান, হোগলাবুনিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আকরামুজ্জামান, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম, বণগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রিপন দাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান লাল, সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই খান, রামচন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমীন নাহার। এছাড়াও শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খান, বহরবুনিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রিপন তালুকদার, বণগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রিপন দাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান লাল, সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই খান, রামচন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম, সাবেক চেয়ারম্যান শিকদার মাহবুবুর রহমান, পুটিখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাদের, কাউন্সিলর সুজন শেখ, যুবলীগ নেতা হাসিব খান, রাসেল হাওলাদার, ছাত্রলীগ নেতা ওবায়দুল ইসলাম টিটু, মনির হোসেন রাজ্জাক প্রমূখ বক্তৃতা করেন। 


আরও খবর

সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩