Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সাংস্কৃতিক আন্দোলনে রবীন্দ্র-নজরুল মুখোমুখি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ২৮৭জন দেখেছেন

Image

আমরা রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল ভালোবাসি। দুজনই বাংলা ভাষার কবি। বাংলাদেশের কবি, বাঙালি কবি। আমরা তাদের সাহিত্য পড়ি, আলোচনা-সামালোচনা ও গবেষণা করি। রবীন্দ্র-নজরুল সংগীত আমাদের সংগীতের অন্যতম উপাদান। কারণ রবীন্দ্রনাথ তাঁর লেখা দিয়ে আবহমান বাঙালির চিরচেনা বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার কথা বলেছেন। তিনি বিশ্ব দরবারে বাংলা ভাষাকে আলোকিত করেছেন। 

অন্যদিকে নজরুল আমাদের যুদ্ধদিনের কবি, প্রাণ ও প্রেরণার কবি, তারুণ্যের কবি। নজরুল তাঁর লেখা দিয়ে মানব মুক্তির কথা বলেছেন, দেশের কথা বলেছেন, নিপীড়িত-বঞ্চিত মানুষের কথা বলেছেন। তিনি আমাদের জাতীয় কবি। 

১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হলেও কবি নজরুল পাকিস্তানকে সমর্থন করেননি। কবি মুসলীম লীগকে পছন্দও করেতন না। দেশভাগ হলেও নজরুল পরিবার নিয়ে কলকাতা থেকে যান। অবশ্য এ সময় তিনি পুরোদমে অসুস্থ ছিলেন। দেশভাগ পরবর্তী অনেক পাকিস্তানপন্থি ও রবীন্দ্রবিরোধীরা অপপ্রচার শুরু করলেন যে, রবীন্দ্রনাথ হিন্দু; ভারতের কবি। কাজী নজরুল মুসলমান; পাকিস্তানের কবি। নজরুল যে হিন্দু নারী বিবাহ করেছেন সেটিকেও উপক্ষো করে তাঁরা রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে বলা শুরু করলেন।  ১৯৪৮ সালে ঢাকায় রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন সূচনাকে পশ্চিম পাকিস্তানিরা ভালো চোখে দেখেনি। ১৯৪৮ সালের মে মাসের ৯ তারিখের পর থেকে ঢাকা এবং পূর্ব বাংলার বিভিন্ন স্থানে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালিত হয়ে আসছে। যা স্বাধীন বাংলাদেশেও পঞ্চাশ বছর ধরে চলমান। 

কিন্তু ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের দুই প্রধান বাঙালি কবিকে নিয়ে রাজনীতি করেছেন। একজনকে অন্যজনের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছেন। রবীন্দ্র নজরুলকে জীবদ্দশায়ও অনেকে আক্রমণ করেছেন। সাতচল্লিশ পরবর্তী বারবার আমাদের ভাষা সংস্কৃতির উপর আঘাত করে দমিয়ে রাখতে চেয়েছেন পশ্চিম পাকিস্তান ও তাদের অনুসারীরা। অনেক সময় এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আমাদের বাঙালি অনেক কবি, সাহিত্যিক, রাজনৈতিক ও  মৌলবাদীরা। দেশভাগের পর ঢাকাকেন্দ্রিক এই অপরাজনীতি বারবার লক্ষ্য কার যায়। ‘বায়ান্নর মার্কিন গোপন দলিল-১৭’ এর নথিতে এরকম কিছু অজানা তথ্য উঠে এসেছে পরবর্তীতে। 

১৯৫৫ সালে ঢাকায় উপমহাদেশের প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী বুলবুল চৌধুরীর নামে প্রতিষ্ঠিত হয় বাফা। এই প্রতিষ্ঠানে তৎকালীন রবীন্দ্রসংগীত শিখিয়েছেন শিল্পী কলিম শরাফী, ভক্তিময় সেনগুপ্ত ও আতিকুল ইসলাম। তৎকালীন পূর্ববাংলায় রবীন্দ্র চর্চায় বাফার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন ছায়ানটের অন্যতম রুপকার সনজীদা খাতুন। ১৯৬১ সালে রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবর্ষ উদযাপনের পরপর শিল্পী সাংস্কৃতিক কর্মীদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় ছায়ানট। ঢাকার বটমূলে পয়লা বৈশাখ উদযাপন একদিকে যেমন ছিল বাঙালি সংস্কৃতির উৎসব। অন্যদিকে ছিল পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এবং তাদের অনুসারীরা সবসময় বাঙালি সংস্কৃতিকে ধ্বংস ও দমিয়ে রাখতে চেষ্টা করতেন।  

১৯৬৭ সালের ৭ নভেম্বর ঢাকার তৎকালীন মার্কিন কনসাল ডরিস ভার্জিনিয়া মেটকাফ ওয়াশিংটনে পাঠানো এক বার্তায় মন্তব্য করেছিলেন: 

‘বাঙালিদের বিরুদ্ধে মুসলিম লিগের ওই মিশন ছিল উচ্চাভিলাষী। কারণ, শিক্ষিত বাঙালিরা রবীন্দ্রনাথকে শেক্সপিয়ার-ওয়ার্ডসওয়ার্থ-ইয়েটস-গ্যেটের দলভুক্ত মনে করেন। অন্যদিকে নজরুলকে তাঁরা মনে করেন জর্জ এম কোহেন এবং আরভিং বার্লিনদের (এই দুজনই মার্কিন লেখক ও গীতিকার) দলভুক্ত। যদিও নজরুল মুসলমান হয়েও পাকিস্তান সমর্থন করেননি। তিনি তাঁর হিন্দু স্ত্রীকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বাস করেন।’

মার্কিন কনসালের বর্ণনায়-

‘১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৭ পাকিস্তান সরকার ঢাকায় ব্যাপক উদ্দীপনায় নজরুল একাডেমি প্রতিষ্ঠা করে। এর উদ্দেশ্য ছিল মুসলিম ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকারের ভিত্তিতে পাকিস্তানি সংস্কৃতির উন্নয়ন সাধন করা। ২৪ সেপ্টেম্বরে মুসলিম লিগের নেতা খান এ সবুরকে একাডেমির প্রধান পৃষ্ঠপোষক করা হয়। অথচ তিনি কোনো সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নন এবং সাহিত্যে তাঁর অনুরাগও নেই।’

ওই প্রতিবেদনে আরো স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে, মূলত ঢাকায় নজরুল একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল সেই সময় নজরুলকে রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে কৌশলে দাঁড় করিয়ে হিন্দু-মুসলিম বিভেদ সৃষ্টির জন্য। কারণ পূর্ব বাংলায় তখন রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকে নিজ দেশের স্বকীয়তার শিল্পী হিসেবেই বাঙালিরা গ্রহণ করেছিল। আর সেই সময় মুসলীম লিগের নেতা খান এ সবুর বাঙালির আকাঙ্খা ও বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালান। প্রকৃতপক্ষে বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ ঠেকাতে পাকিস্তানি সরকার এবং মুসলিম লিগের সমর্থকরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিরুদ্ধে মুসলিম কবি বিবেচনায় নজরুলকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। 

ঠিক একই ধারাবাহিকতায়  ১৯৬৭ সালের ২৩ জুন, পাকিস্তানি সরকারের তদান্তীন তথ্যমন্ত্রী ঢাকার নবাব বাড়ির খাজা শাহাবুদ্দিন বেতার ও টেলিভিশনে রবীন্দ্রসংগীত প্রচার বন্ধ করে ফতোয় জারি করে জানালেন- ‘রবীন্দ্রসংগীত আমাদের সংস্কৃতি নয়, এই সংগীত পাকিস্তানের আদর্শবিরোধী’। এই ফতোয়ার বিরুদ্ধে পূর্ব বাংলার ১৯ জন নাগরিক বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদে জানালেন যে, রবীন্দ্রনাথ পাকিস্তানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই সময় রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর সংগীতের বিরুদ্ধে পাল্টা বিবৃতি দিলেন রবীন্দ্রবিরোধী এবং পাকিস্তানপন্থি ৪২ জন।

সেসময় অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ বলেছিলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের বর্ণাঢ্য বিচিত্রমুখী অবদান বাঙালিসত্তাকে ঋদ্ধ করেছে। পাকিস্তানি (তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান) হয়েও আমরা তাঁর অংশীদার। সুতরাং সে মহৎ সাহিত্য আমার এবং আমার উত্তরাধিকারীকে আমি তা থেকে বঞ্চিত হতে দেব কেন?’ 

কিন্তু এর পরই ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে তিনদিন ধরে পালিত হয় বুলবুল ললিতাকলা কেন্দ্র (বাফা), ছায়ানট, ক্রান্তির সম্মেলন অনুষ্ঠান। চারিদিকে পুরোদমে বইতে শুরু করে রবীন্দ্র হাওয়া। রবীন্দ্রসংগীত আরো মানুষের মুখে মুখে প্রচারিত হতে লাগলো তখন। বঙ্গবন্ধু কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরপর ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এক ভাষণে তিনি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, 'আমরা মির্জা গালিব, সক্রেটিস, শেকসপিয়ার, অ্যারিস্টটল, দান্তে, লেনিন, মাও সে তুং পড়ি জ্ঞান আহরণের জন্য, আর সরকার আমাদের পাঠে নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথের লেখা, যিনি একজন বাঙালি কবি এবং বাংলা কবিতা লিখে বিশ্বকবি হয়েছেন। আমরা এ ব্যবস্থা মানি না। আমরা রবীন্দ্রনাথের বই পড়বই, আমরা রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবই এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত এ দেশে গীত হবেই।' 

প্রয়াত জাতীয়  অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান তাঁর এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন, ‘রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্পর্কিত এই বিতর্ক শুরু হওয়ার আগেই আমি রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে পূর্ব পাকিস্তানের লেখকদের প্রবন্ধের একটি সংকলনের কাজে হাত দিয়েছিলাম। তথ্যমন্ত্রীর বিবৃতির পরে আমার সে-প্রয়াস অন্য মাত্রা নিলো। আমার প্রস্তাবিত  লেখকদের কেউ কেউ সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় তাঁরা এতে লিখবার ঝুঁকি নিতে রাজি হলেন না, কিন্তু অন্য অনেকে আবার বেশ উৎসাহী হয়ে উঠলেন। পরিকল্পিত সংকলনটি সরকারি নীতির উপযুক্ত প্রতিবাদ হিসেবে গণ্য হলো। আমি জয়নুল আবেদিনকে ধরলাম বইটির জন্যে রবীন্দ্রনাথের একটি প্রতিকৃতি এঁকে দিতে। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, আমি কি তাঁকে প্রতিকৃতিশিল্পী মনে করি? বললাম, তা নয়; যে-মনোভাব নিয়ে তিনি সরকারি নীতির বিরুদ্ধে বিবৃতিতে স্বাক্ষর দিয়েছেন, সেই মনোভাব থেকেই যদি ছবিটা এঁকে দেন! তিনি আর দ্বিধা করলেন না। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তখন তাঁর বয়স ৮২, রবীন্দ্রসংগীত-বিষয়ে বিতর্ক এড়িয়ে গেছেন এ-যাবত। তাঁর কাছে যখন আমার সংকলনের জন্যে লেখা চাইলাম, তিনি বললেন, তিনি মুখে-মুখে বলে যাবেন, আমি যেন শ্রুতিলিপি নিই।

একদিন তাঁর বাড়িতে, একদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবনে তাঁর অফিসকক্ষে বসে কাজটা করলাম। পরে তিনি সংশোধন করে দিলে সংকলনের গোড়ায় সেটা ছাপলাম। যতদূর জানি, এটাই শহীদুল্লাহর শেষ লেখা। তিরিশজন প্রাবন্ধিকের লেখা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ বের হলো ১৯৬৮ সালে। এর প্রকাশনা-অনুষ্ঠানে যেমন জনসমাগম হলো, পত্র-পত্রিকায়  তেমনি তার খবর বের হলো গুরুত্বের সঙ্গে। পরের বছরেই তো শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘটল গণ-অভ্যুত্থান, বাঙালি জাতীয়তাবাদের ঢেউ তুঙ্গে উঠল। সভা-সমিতিতে ‘আমার সোনার বাংলা’ গাওয়া প্রায় রেওয়াজ হয়ে দাঁড়াল।’ 

আমরা আমাদের স্বাধীনতার সেই স্বপ্নবুনোন থেকেই রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর রচিত জাতীয় সংগীতকে ভালোবাসি। নজরুলের গান ও কবিতাকে ভালোবেসে আসছি। একাত্তরের যুদ্ধদিনে আমাদের যোদ্ধারা জাতীয় সংগীত ও নজরুলের গান এবং কবিতা গেয়ে যুদ্ধ করতেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকেও রবীন্দ্র নজরুলের গান, কবিতা, বাণী প্রচার করা হতো। বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকে ভালোবাসতেন। তিনি নিজেও জাতীয় সংগীত খুব পছন্দ করতেন। 

একাত্তর সালে পাকিস্তানের পরাধীন থেকে মুক্ত হলে বঙ্গবন্ধু ও সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ সালের ১৩ জানুয়ারি রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানের দশ লাইন জাতীয় সংগীত হিসেবে এবং নজরুলের সন্ধ্যা কাব্য গ্রন্থের ‘নতুনের গান’ কবিতার ‘চল চল চল’ শিরোনামের ২১ লাইনকে রণসংগীত হিসেবে মন্ত্রীসভার বৈঠকে নির্বাচন করে। এর মাধ্যমে প্রধান দুই কবিকে সম্মানের সাথে মূল্যায়ন করা হয়। কিন্ত তারপরও আমাদের দেশে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল নিয়ে বহু আলোচনা সমালোচনা রয়েছে। নজরুলকেও নাস্তিক তকমা দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানপন্থি, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক মানুষেরা এখনো আমাদের সংস্কৃতি থেকে রবীন্দ্র সৃষ্টিকে দূরে রাখার সর্বদা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি পাঠ্যপুস্তক থেকেও রবীন্দ্র রচনা মূছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। চেষ্টা করা হয়েছে আমাদের জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতার অন্যতম মূলমন্ত্র ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা। বঙ্গবন্ধু বারবার বলেছেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। সকল ধর্মকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করা’।

আমরা বাঙালি, আমাদের দেশে বহু ধর্মের মানুষ মিলে মিশে বসবাস করে আসছি আমরা। আমরা যেমন আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও ভূখন্ড এবং জাতীয়তাকে ভালোবাসি ঠিক একইভাবে রবীন্দ্র নজরুল সৃষ্টিকে ভালোবাসি। কারণ রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল আমাদের চির আধুনিক কবি। আমাদের দেশের কবি, মাটির কবি, বাংলাদেশের কবি আমাদের যুদ্ধদিনের কবি।   

তথ্য সহায়ক 
০১. মিজানুর রহমান খান, রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে নজরুলকে ব্যবহার, প্রথম আলো, ১৭ ফ্রেবয়ারি, ২০১৪।
০২. বিশ^জিৎ ঘোষ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় এবং রবীন্দ্রনাথ, প্রথম আলো, ০৩ মে, ২০১৩।
০৩. বাশার খান, নজরুলকে ঢাকার আনার ইতিহাস, বাংলা ট্রিবিউন, ২৭ আগস্ট, ২০১৯।
০৪.  সৌমিত্র শেখর, কবি নজরুলকে কেন প্রয়োজন, ২৭ আগস্ট, ২০১৫।
০৫. দীপঙ্কর গৌতম, আমাদের জাতীয় সংগীত ও রবীন্দ্রনাথ, দৈনিক জাগরণ, ০৮ মে, ২০১৯।
০৬. অনন্য মুশফিক, সনজীদা খাতুন ও আলোর পথযাত্রী, দৈনিক ভোরের কাগজ, ০৬ এপ্রিল, ২০১৮। 
০৭. আগে তো আমাদের বাঙালি হতে হবে, সনজীদা খাতুন, দ্য ওয়াল, পুজো ম্যাগাজিন, ১৪২৬।
০৮. আনিসুজ্জামান, রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ, ৬ মে, ২০১৮, কালি ও কলম।
০৯. ড. তানভীর আহমেদ, বঙ্গবন্ধুর ভাবনায় রবীন্দ্রনাথ, রাইজিংবিডি.কম, ৭ আগস্ট ২০২১ 
১০. মোজাফ্ফর হোসেন, টার্গেট রবীন্দ্রনাথ না জাতীয় সংগীত, রাইজিংবিডি.কম, ৫ আগস্ট, ২০১৯)


আরও খবর



প্রথম ধাপে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।সম্ভব্য প্রার্থীরা মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ২৬৩জন দেখেছেন

Image

গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রথম ধাপে(৮মে) অনুষ্ঠিত হবে।নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভব্য প্রার্থীরা গণসংযোগ ও ইফতার মাহফিলে ব্যস্ত সময় পার করছে।বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রাণ কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত গোদাগাড়ী উপজেলা ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপজেলাটি জাতীয় পাটি,আওয়ামীলীগ ও বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিল।গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের জাহাঙ্গীর আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়।বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ছাড়াও সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে গণসংযোগ ও মতবিনিময় করছেন গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি ও ব্যবসায়ী রবিউল আলম,দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বেলালউদ্দীন সোহেল,সাবেক সহকারী কমিশনার(কাস্টমস)সুনন্দন দাস রতন,জামায়াত ইসলামীর রাজশাহী জেলা(পশ্চিম) আব্দুল খালেক,জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন(এনডিএম)এর ধর্ম,সংখ্যালঘু এবং পার্বত্য বিষয়ক সম্পাদক ড.আব্দুর রহমান মুহসেনী ও বিএনপি নেতা সাজেদুর রহমান মার্কনী।আওয়ামীলীগের সম্ভব্য চার প্রার্থী স্থানীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারক চৌধুরীর ঘনিষ্ট। তবে তিনি(এমপি)বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে সমর্থন জানিয়ে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে ভোটের মাঠে জাহাঙ্গীর আলমের জন্য কাজ করতে। সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে গোদাগাড়ী পৌর এলাকায় বাড়ী জাহাঙ্গীর আলম,রবিউল আলম, ড.আব্দুর রহমান মুহসেনী ও আব্দুল খালেকের।আর দেওপাড়ায় বেলালউদ্দীন সোহেল ও মাটিকাটায় সুনন্দন দাস রতনের।গত নির্বাচনে সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বদিউজ্জামানকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন ক্লিণ ইমেজের জাহাঙ্গীর আলম।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি সুফিয়া বেগম মিলি,সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সাবেক সদস্য কৃঞ্চাদেবী,জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক উম্মে কুলসুম মেমোরী।গত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বীদ্বিতায় নির্বাচিত হন নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসাবে পরিচিত সুফিয়া খাতুন মিলি।ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুল সরকার,পৌর আওয়ামীলীগরে যুগ্ন-সম্পাদক নাজমুল হক ও পৌর যুবলীগ সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন,জাতীয় আদিবাসী পরিষদের জেলা বিমল চন্দ্র রাজোয়াড়,জামায়াতের মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।গত নির্বাচনে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মালেকের কাছে পরাজিত হন শফিকুল সরকার।বাকী তিনজন নির্বাচনে নতুন।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে গোওসিয়া মিঠাই ও গোওসিয়া আইটি শো-রুমের উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁও শহরের সুনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গোওসিয়া মিঠাই ও গোওসিয়া আইটি শো-রুমের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।  

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের রোডের সুগার মিলস গেট সংলগ্ন এলাকায় ঐ দুটি শো-রুমের উদ্বোধন করা হয়।  

ফিতা কেটে গোওসিয়া মিঠাই ও গোওসিয়া আইটি শো-রুমের শুভ উদ্বোধন করেন বে-সরকারি এনজিও সংস্থা ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আহমেদ রাজু, ডেইলি স্টার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক কামরুল ইসলাম রুবায়েত, ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একরামুল দৌল্লা সাহেব, গোওসিয়া মিঠাই ও গোওসিয়া আইটি শো-রুমের পরিচালক মো. ওয়াসিম আকরামসহ ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।  

গোওসিয়া মিঠাই ও গোওসিয়া আইটি শো-রুমের পরিচালক মো. ওয়াসিম আকরাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ঠাকুরগাঁও জেলায় সুনামের সঙ্গে গোওসিয়া রেষ্টুরেন্ট ব্যবসা করে আসছে। আমরা সবসময় মানসম্মত খাবার পরিবেশেন করে থাকি। এবার আমরা আরও দুটি শো-রুমের উদ্বোধন করেছি। ইনশাআল্লাহ এই দুটি শো-রুমের মাধ্যমে আমরা সাধারণ মানুষদেরকে ভালো মানের সেবা দিয়ে ঐতিহ্য রক্ষা করব। 

উদ্বোধন শেষে গোওসিয়া মিঠাই ও গোওসিয়া আইটি শো-রুমের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।  

আরও খবর



আত্রাইয়ে গণহত্যা দিবস পালিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর আত্রাইয়ে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গনহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে।

২৫ মার্চ সোমবার সকালে আত্রাই রেলওয়ে স্টেশন গনকবরে উপজেলা পরিষদ ওপ্রশাসন , মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড এবং আত্রাই থানা পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে পুস্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিক,সহকারী কমিশনার (ভূমি) অঞ্জন কুমার দাস, ওসি জহুরুল ইসলাম,ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন মন্ডল, যুব উন্নয়ন অফিসার এসএম নাসির উদ্দিন,মহিলা বিষয়ক অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন, আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বি জুয়েল,বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলু, আফজাল হোসেন, আফিল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস তার দেয়া বক্তৃতায় বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে পাকিস্তানিরা নীলনকশা শুরু করে।

নীলনকশা অনুযায়ী ১৯৭১ সালের এ দিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্বপরিকল্পিত অপারেশন সার্চলাইটের নামে আন্দোলনরত বাঙালিদের কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু করে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম গণহত্যা।


আরও খবর



ঈদযাত্রা ট্রেনে নির্বিঘ্ন করতে সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে: মন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম জানিয়েছেন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের ট্রেনযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে । বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

জিল্লুল হাকিম বলেন, বিনা টিকিটে যাতে কেউ রেল ভ্রমণ করতে না পারে তা তদারকি করতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চত করতেও রেলের আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সতর্ক ও তৎপর থাকতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন গন্তব্য যাতে সময় মতো ট্রেন চলাচল করে সেজন্যও আগে থেকেই নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। ফিরতি যাত্রাও যাতে নিরাপদ ও আরামদায়ক হয় সে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রেলের যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হবে আশা করছি।

প্রসঙ্গত, বুধবার থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে রেল যাত্রীদের ঈদযাত্রা শুরু হয়ছে। সকালের দিকে যাত্রীদের ভিড় স্বাভাবিক সময়ের মতো হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরমুখো যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকে। তবে ঈদ যতই ঘনিয়ে আসবে ততই যাত্রীর ভিড় বাড়বে বলে জানিয়েছেন রেলওেয়ের কর্মকর্তারা।


আরও খবর

সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




মোটরসাইকেল চোর গ্রেফতার:চোরের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিলেন জনতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image
মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের কুখ্যাত মোটরসাইকেল চোর আব্দুর রাজ্জাক(৩৬) মোটরসাইকেল চুরি করতে গিয়ে আবারো জনতার হাতে আটক হয়েছে।। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার এবং গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। গত কাল বুধবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পৌরশহরের প্রগতি ক্লাবের পিছনে এক ইফতার পার্টিতে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। এএসপি সার্কেল রেজাউল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। 

জানা গেছে, এদিন পৌর শহরের কুয়েতি মসজিদের পাশে আজিজুল হক তার বাড়িতে এক ইফতার পার্টির আয়োজন করেন। বাড়ির বাইরে তার নিজেরসহ অতিথিদের মোটরসাইকেল রাখা ছিল।এরমধ্যে চোর রাজ্জাক তার দুই সহকর্মীকে নিয়ে ওই স্থান থেকে আজিজুলের মোটরসাইকেলটি তার এক সহকর্মীকে দিয়ে সরিয়ে ফেলার সময় এক মহিলা তা দেখে ফেলেন। ওই মহিলা দ্রুত এসে আজিজুলকে খবর দিলে তিনি বাইরে দাঁড়ানো রাজ্জাক ও তার সহকর্মীকে মোটরসাইকেলসহ ধরে ফেলেন। চারদিক থেকে লোকজন ছুটে এসে চোর রাজ্জাককে ঘেরাও করে। ক্ষিপ্ত জনতার রোষ থেকে বাঁচার জন্য রাজ্জাক ও তার সহকর্মী আজিজুলের বাড়িতে ঢুকে যায়। এদিকে ক্ষিপ্ত জনতা রাজ্জাকের মোটরসাইকেলটি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।

এ সময় খবর পেয়ে  ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়। এরমধ্যে এএসপি সার্কেল রেজাউল হক, ইউএনও রকিবুল হাসান, ওসি সোহেল রানাসহ বিপুল সংখ্যক  সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে এসে হাজির হন। প্রায় দু' ঘন্টাব্যাপি পুলিশ ও জনতার মধ্যে ইটপাটকেল ছোঁড়া ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এক পর্যায়ে  পুলিশ লাঠিচার্জ করে জনতাকে সরিয়ে রাজ্জাক ও তার সহকর্মী রেজওয়ানকে  উদ্ধার ও গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। 

এএসপি সার্কেল রেজাউল হক বলেন,  রাজ্জাকের  বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে একাধিক মামলা রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের দু'জনকে থানা কাস্টডিতে নেওয়া  হয়েছে। ওসি সোহেল রানা জানান, এনিয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আজ বৃহস্পতিবার ৪ এপ্রিল  আসামিদেরকে জেলা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। 

আরও খবর