Logo
আজঃ রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু আর নেই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ জানুয়ারী ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

মো শাজাহান খান, আরব আমিরাত থেকে :

ঢাকার দোহার উপজেলায় দোহার প্রেসক্লাব- এর প্রবীণ সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু(৬৭) আর নেই(ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। বুধবার(১৮ জানুয়ারি) বাদ যোহর উপজেলার ঝনকী গ্রামে তার নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ডায়াবেটিস, প্যারালাইসিসসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও চার কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী দুনিয়ায় রেখে গেছেন। 


সাংবাদিকতা পেশাগত জীবনে তিনি দৈনিক সংগ্রাম, দৈনিক দিনকাল, দৈনিক আমার দেশ, সাপ্তাহিক সোনার বাংলা ও সাপ্তাহিক খুলনার বানী পত্রিকার দোহার স্যবাদদাতা ও প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন।

মরহুমের ছোট ভাই আতিকুর রহমান ফনু খান জানান, বুধবার বাদ এশা আল আমিন বাজারের টিনশেটের

কবরস্থান মসজিদের সামনে জানাজা নামাজ শেষে মরহুমের মরদেহ ওই কবরস্থানেই দাফন করা হয়। তার পরিবার-পরিজন, সহকর্মী ও আত্মীয় স্বজন মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।


সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর মৃত্যুতে দোহার প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকেও শোকবার্তা প্রকাশ করা হয়। শোকবার্তায় বলা হয়- ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার প্রবীণ সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু আজ বাদ যোহর মারা গেছেন(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। দোহার প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনসহ শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



‘পাঠান’ মুক্তি না দিলে হল বন্ধের ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৪৮৪জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক: সাফটা চুক্তির আওতায় দেশের বাজারে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের নতুন সিনেমা ‘পাঠান’ মুক্তির বিষয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এরই মধ্যে ভারতের এই সিনেমাটি বাংলাদেশে মুক্তির পক্ষে মত দিয়েছে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯টি সংগঠন। কিন্তু তারপরও ঝুলে আছে ‘পাঠান’ মুক্তি।

এদিকে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতিও দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় সিনেমা মুক্তির দাবি করে আসছে। এবার ‘পাঠান’ সিনেমা মুক্তির অনুমোদন না দেওয়া হলে দেশের সিনেমা হলগুলো বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন তারা।

আজ শনিবার রাজধানী মগবাজারের একটি রেস্তোরায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন ঘোষণা দেন তারা। এসময় তারা জানান, চার বছর আগেও দেশের হলের সংখ্যা ছিল ২৪০টি। এখন চালু হলের সংখ্যা মাত্র ৪০টি। সিনেমা হলগুলো এখন গোডাউনে পরিণত হচ্ছে।


আরও খবর



স্কালোনি দক্ষিণ আমেরিকার বর্ষসেরা কোচ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | ৭১জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ লিওনেল স্কালোনি কিছুদিন আগেই নির্বাচিত হয়েছিলেন ফিফার বর্ষসেরা কোচ। এবার দক্ষিণ আমেরিকার বর্ষসেরা কোচের পুরস্কারও লাভ করেছেন তিনি। ব্রাজিলের ক্লাব পালমেইরাসের কোচ আবেল ফেরেইরাকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে নির্বাচিত হলেন তিনি।

দক্ষিণ আমেরিকার বর্ষসেরা কোচ হওয়ার পথে স্কালোনি পেয়েছেন ১০৭ ভোট। দ্বিতীয় হওয়া আবেল ফেরেইরার সঙ্গে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের এই কোচের পার্থক্য ৭২ ভোটের। এ বছর স্কালোনি জিতলেও গতবার পুরস্কারটি ফেরেইরারই জিতেছিলেন।

এ নিয়ে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘টিওয়াইসি স্পোর্টস’ জানায়, সেরা কোচ নির্বাচিত করতে ২১৮ জন সংবাদকর্মী এই ভোটাভুটিতে অংশ নিয়েছিলেন। ২৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লামেঙ্গোকে গত বছর কোপা লিবার্তোদোরেস জেতানো কোচ দরিভাল জুনিয়র।

১৯৮৬ সাল থেকে দক্ষিণ আমেরিকার বর্ষসেরা কোচের এই পুরস্কার দিয়ে আসছে এল পাইস। যেখানে এ নিয়ে মোট ৩৭ বারের মধ্যে ২১ বারই দক্ষিণ আমেরিকার বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার জিতলেন আর্জেন্টিনার কেউ। মোট ১২ জন আর্জেন্টাইন কোচ এ পুরস্কার জিতেছেন। সর্বোচ্চ পাঁচবার এ মহাদেশের বর্ষসেরা কোচ হয়েছেন আর্জেন্টাইন কার্লোস বিয়াঞ্চি।

প্রসঙ্গত, আর্জেন্টিনা দলের দায়িত্ব নিয়ে লিওনেল স্কালোনি খুবই কম সময়ের মাঝে অভূতপূর্ব একটা ব্যাপার ঘটিয়ে ফেলেছেন। তার হাত ধরে আর্জেন্টিনা তাদের দুই দশকের বেশি সময় ধরে চলা শিরোপাখরা ঘুচিয়েছে। 

শুধু তাই নয়, আর্জেন্টিনাকে কোপা আমেরিকা ও ফিনালিসিমাতেও জিতিয়েছেন তিনি। তার হাত ধরে দলটির পরিবর্তন এখনও হচ্ছে, উন্নতি স্পষ্ট ধরা পড়ছে প্রতিটা ম্যাচে।

যার ফল হিসেবে ২০২২ সালে ফিফার বর্ষসেরা কোচ নির্বাচিত হন সাবেক এই আর্জেন্টাইন ফুটবলার। এর একমাস না পেরোতেই তার মুকুটে আবারও যুক্ত হলো নতুন পালক।


আরও খবর

বাংলাদেশ ইতিহাস গড়ে সিরিজ জিতল

বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩

১০১ রানে শেষ আয়ারল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩




পবিত্র শবেবরাত আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: আরবি ‘শাবান’ মাস একটি মোবারক মাস। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতেন। রমজানের প্রস্তুতির মাস হিসেবে তিনি এ মাসকে পালন করতেন। এ মাসের একটি রাতকে মুসলমানরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, মধ্য শাবানের এই রাত আমাদের এই জনপদে ‘শবেবরাত’ হিসেবে পরিচিত। আজ সেই মহিমান্বিত রাত।

পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ, দোয়া মাহফিল, কোরআন তেলাওয়াত, হামদ-নাতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে পবিত্র শবেবরাতের ফজিলত ও তাৎপর্য নিয়ে ওয়াজ করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমীন। রাত ৮টা ৫০ মিনিটে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে লাইলাতুল বরাতের শিক্ষা ও করণীয় নিয়ে ওয়াজ করবেন মহাখালী গাউসুল আজম জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক আযহারী। রাত সাড়ে ১২টায় নফল ইবাদতের গুরুত্ব ও ফজিলত নিয়ে ওয়াজ করবেন রাজধানীর বাদামতলী শাহজাদা লেন জামে মসজিদের খতিব শায়খুল হাদিস মুফতি নজরুল ইসলাম কাসেমী। রাত সোয়া ৩টায় তাহাজ্জদ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত নিয়ে ওয়াজ করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মিজানুর রহমান। ভোর সাড়ে ৫টায় আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

ফারসি ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত এবং ‘বরাত’ অর্থ সৌভাগ্য। এ দুটি শব্দ নিয়ে ‘শবেবরাত’, অর্থাৎ সৌভাগ্যের রজনী। আরবিতে একে বলে ‘লাইলাতুল বরাত’। আজ ১৪ শাবান মঙ্গলবার দিবাগত রাতটিই পবিত্র শবেবরাত। আল্লাহতায়ালা এ রাতে বান্দাদের জন্য তার অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন। মহিমান্বিত এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিগত জীবনের সব ভুলভ্রান্তি ও পাপতাপের জন্য গভীর অনুশোচনায় আল্লাহর দরবারে সকাতরে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ভারতীয় উপমহাদেশ বিশেষ করে বাংলাদেশে শবেবরাতকে ‘ভাগ্যরজনী’ হিসেবেও অভিহিত করা হয়।

মুসলমানরা শবেবরাতে নফল নামাজ, জিকির-আসকার, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বিনিদ্র রাত কাটায় ও আল্লাহতায়ালার কাছে বিনম্র প্রার্থনা করেন ভবিষ্যৎ জীবনে পাপ-পঙ্কিলতা পরিহার করে পরিশুদ্ধ জীবনযাপনের জন্য। একই সঙ্গে মৃত আত্মীয়স্বজনের কবর জিয়ারত করে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন। পাড়া-মহল্লার মসজিদগুলোতে সন্ধ্যার পর থেকেই ওয়াজ-নসিহত, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। অনেকে গভীর রাত অবধি ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থেকে শেষ রাতে সেহরি খেয়ে পরদিন নফল রোজা রাখেন।

বাঙালি মুসলিম সমাজে শবেবরাতের একটি আনন্দঘন সামাজিক দিকও রয়েছে। এদিন মুসলমানদের বাড়িতে সাধ্যানুযায়ী হালুয়া, পায়েস, রুটিসহ নানা উপাদেয় খাবার রান্না করা হয়। এসব খাবার আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর বাড়িতে পাঠানো এবং গরিব-দুঃখীর মধ্যে বিতরণ করা হয়। অনেকে মুক্ত হস্তে দান-খয়রাতও করে থাকেন। বরাবরের মতোই শবেবরাতের পরদিন অর্থাৎ কাল বুধবার সরকারি ছুটি থাকবে।

শবেবরাতের বরকত, ফজিলত ও মর্যাদা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহতায়ালা মধ্য শাবানের রাতে তার সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন এবং মুশরেক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন। 

আটজন সাহাবির সূত্রে বিভিন্ন সনদে এই হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে। এ হাদিস থেকে প্রমাণ হয় যে, শবেবরাত ফজিলতময় এবং এ রাতে আল্লাহ তার বান্দাদের ক্ষমা করে থাকেন। তবে ক্ষমা পাওয়ার শর্ত হলো- শিরক ও বিদ্বেষ থেকে মুক্ত থাকা। এ দুটি বিষয় থেকে যারা মুক্ত থাকবেন তারা কোনো অতিরিক্ত আমল ছাড়াই এ রাতের বরকত ও ক্ষমা লাভ করবেন। কিন্তু শিরক ও বিদ্বেষ থেকে মুক্ত হতে না পারলে অন্য আমল দিয়ে ওই রাতের বরকত ও ক্ষমা লাভ করা যাবে না। দুঃখের বিষয় হলো, শবেবরাতে আমরা অনেক নফল আমল করলেও ওই দুটি শর্ত পূরণের চেষ্টা খুব কম মানুষই করে থাকি।

আল্লাহতায়ালা যে কোনো সময় তার বান্দার দোয়া-প্রার্থনা কবুল করতে পারেন। তার পরও বছরের এমন কিছু বিশেষ সময়-ক্ষণ রয়েছে, যে সময়গুলোর মর্যাদা ও ফজিলত অন্য সময়ের তুলনায় বেশি। সেসব দিন-ক্ষণে কৃত ইবাদত, দোয়া-মোনাজাতের মর্যাদা বেশি ও সওয়াবের মাত্রা অপরিসীম। এ বিষয়গুলো মুসলমানদের মনে শবেবরাতে ইবাদত-বন্দেগি ও বেশি বেশি নেক কাজ করার স্পৃহাকে জাগিয়ে তোলে। ফলে দেশব্যাপী শবেবরাত উপলক্ষে সৃষ্টি হয় এক ধর্মীয় আবহ। এ রাত কাতর ফরিয়াদ মিশ্রিত দোয়া-মোনাজাতসহ বিভিন্ন নফল ইবাদত-বন্দেগিতে কাটানোর রাত।


আরও খবর



উদ্ধার কাজ স্থগিত আপাতত, সকালে শুরু করবে সেনাবাহিনী

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারের নর্থ-সাউথ রোডের একটি ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে উদ্ধার অভিযান আজকের মতো স্থগিত করা হয়েছে। আজ রাত পৌনে ১১টায় উদ্ধারকাজ স্থগিতের কথা জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগীয় উপ-পরিচালক দিনমনি শর্মা।

দিনমনি শর্মা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় ভবনের ভূ–গর্ভস্থ স্থানে উদ্ধার কাজ চালানো সম্ভব নয়। তাই উদ্ধার কাজ স্থগিত করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার সকালে সেনাবাহিনী আসবে, তারপর উদ্ধার কাজ শুরু হবে।

আজ বিকেলে বিস্ফোরণের পাশাপাশি দুটি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি ভবন সাততলা এবং আরেকটি ভবন পাঁচতলা। এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেসমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়েছে। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলাও বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়। সেখানে উদ্ধারকাজ চালায় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া শতাধিক মানুষকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

সাততলা ভবনটির অবস্থা বেশ নড়বড়ে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা দিনমনি শর্মা। তিনি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের নিচের অংশের অবস্থা খুব খারাপ। এটা নড়বড়ে হয়ে গেছে। এখন যদি ভূগর্ভস্থ স্থানে আমরা তৎপরতা চালাতে চাই তবে সেটা বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। ভবনের কলামগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ভবনটি নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছে। এ অবস্থায় উদ্ধার কাজ চালানো সম্ভব নয়।’

এ পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলে মোট ১৮ জনের মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- কুমিল্লার মেঘনা থানার বাসিন্দা কাতার প্রবাসী মো. সুমন(২১), তিনি রাজধানীর ১ নম্বর সুরি টোলা বংশাল এলাকার পরিবারসহ থাকতেন। বরিশাল জেলার কাজির হাট থানার চর সন্তোষপুর গ্রামের ইসহাক মৃধা(৩৫), তিনি ঢাকার নারায়ণগঞ্জের ঢাকেশ্বরী ২ নম্বর রোড বসবাস করতেন ও ইসলামপুরে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। পশ্চিমপাড়া যাত্রাবাড়ির বাসিন্দা মুনসুর হোসেন (৪০)। ৯৭ লুৎফর রহমান লেন, আলু বাজারের বাসিন্দা মো. ইসমাইল (৪২)। চাঁদপুর জেলার মতলব থানার পশ্চিম লালপুর গ্রামের বাসিন্দা আল আমিন (২৩), তিনি বিবিএ ছাত্র ছিলেন। কেরানীগঞ্জের দক্ষিণ চৈনকুটিয়া গ্রামের রাহাত (১৮)। ১১৫/৭/৫ ইসলাম বাগ, চক বাজার থানার মমিনুল ইসলাম। একই এলাকার নদী বেগম (৩৬)। জেলা মুন্সিগঞ্জ সদরের সৈয়দপুর গ্রামের মাঈন উদ্দিন (৫০)। ৪৭ নং কে পি ঘোষ ষ্ট্রিট, বংশাল এলাকার নাজমুল হোসেন (২৫), তিনি আজাদ স্যানিটারি দোকানের কর্মচারী ছিলেন। মানিকগঞ্জ সদরের চর বেউথা গ্রামের বাসিন্দা ওবায়দুল হাসান বাবুল(৫৫)। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানার বালুয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা আবু জাফর। ১৮/১ আগামাসি লেন, বংশাল এলাকার আকুতি বেগম(৭০)। মীর হাজারীবাগ যাত্রাবাড়ী এলাকার মো. ইদ্রিস মির(৬০)। যাত্রাবাড়ির মাতুয়াইলের নুরুল ইসলাম ভূইয়া (৫৫) ও বংশাল থানার সিদ্দিক বাজার জাবেদ গলি এলাকার হৃদয় (২০), মো. সম্রাট (২২) ও মোহাম্মদ সিয়াম (২০)। হতাহতদের খোঁজে অনেকেই ভিড় করছেন হাসপাতালে। প্রিয়জনদের ছবি দেখিয়ে খোঁজার চেষ্টা করছেন।


আরও খবর



আওয়ামী লীগের সময় ভোট চুরির সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সময় ভোট চুরি বা কারচুপি করে ব্যালট বাক্স ভরার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার বিকেল গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।  

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সরকারে আসার পর যে নির্বাচনগুলো হচ্ছে, অন্তত সেই ধরনের চুরি, ভোট দখল করা বা ভোট কারচুপি করা—সেই সুযোগ এখন নেই। এখন ছবিসহ ভোটার তালিকা। ওই ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে বিএনপি ভোটার তালিকা করেছিল। এখন আর সেটা কেউ করতে পারবে না। এখন ছবিসহ ভোটার তালিকা, আইডি কার্ড হয়ে গেছে, স্বচ্ছ ব্যালট বক্স। সিল মেরে বাক্স ভরে ফেলে দেবেন, সে সুযোগ নেই।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী কাতারে এলডিসি-৫ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারাও সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত আছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে যে উন্নয়ন হয়, সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। এর জন্য অনেক ধৈর্যের দরকার। অনেক গালমন্দ ও অনেক কিছুই তো শুনতে হয়। প্রতিনিয়ই সমালোচনা শুনেই যাচ্ছি। আর আমরাই সুযোগ করে দিয়েছি। কারণ, বাংলাদেশে তো এত টেলিভিশনও ছিল না, রেডিও ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পরে আমরা সব উন্মুক্ত করে দিয়েছি। তাই সবার সুবিধাও আছে কথা বলার।

শুধু দেশে নয়, বিদেশ থেকেও সরকারের সমালোচনা করা হচ্ছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, বিদেশে বসেও আমাদের সমালোচনা করার সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের করে দেওয়া জিনিস দিয়ে, সুযোগ পেয়ে, আমাদের সমালোচনা করে এটাও শুনতে হয়, কিছুই করি নাই। এটাও শুনতে হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে কি না, দেশের মানুষের প্রতি আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্যবোধ আছে কি না, আর যে লক্ষ্যটা আমরা স্থির করেছি, এই সময়ের মধ্যে দেশ আমরা এই পরিমাণ উন্নয়ন করব। সেটা করতে পেরেছি কি না, সেটা সবচেয়ে বিবেচ্য বিষয়। আমি অন্তত এটা দাবি করতে পারি, আমি এটা করতে সক্ষম হয়েছি। সক্ষম হয়েছি এ কারণে, জনগণই আমাদের মূল শক্তি। জনগণ আমাদের পাশে ছিল সে জন্য।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে এলডিসি সম্মেলনে যোগ দিতে ৪ মার্চ কাতার সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফর শেষে ৮ মার্চ তিনি দেশে ফেরেন।


আরও খবর