Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সাকিব প্রেসিডেন্ট হতে চান

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২৯৬জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক; দায়িত্ব পেলে দুই মাসেই বিপিএল এর মত টুর্নামেন্টের খোলনলচে বদলে দেবেন। টুর্নামেন্ট শুরুর ক’দিন আগে এমন কথাই জানিয়েছিলেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। পক্ষে-বিপক্ষে মতপার্থক্য থাকলেও সাকিবের সমালোচনা যে ঠিক ছিল সে কথাও উঠে এসেছে বিভিন্নজনের কথায়। বিপিএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্ব পেলে তিনি বিপিএলকে দুই-এক মাসের মধ্যেই ঢেলে সাজাবেন, এমন মন্তব্যও করেন।

সত্যিই যদি বিপিএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব আসে, তাহলে সাকিব কী করবেন? আজ একটি পণ্যের দূতিয়ালি করতে গিয়ে এ প্রশ্নের মুখোমুখি হন সাকিব। উত্তরে তিনি মজা করেই বললেন, ‘হলে তো প্রেসিডেন্ট হওয়াই ভালো।’

এর আগে, গত ৪ জানুয়ারি এক দিনের জন্য গালফ অয়েলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হয়ে প্রতিষ্ঠানটির অফিসে বসেছিলেন এই তারকা অলরাউন্ডার। সেখানে সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল বিপিএল আয়োজনের দায়িত্ব পেলে কী করবেন? সাকিবের সোজাসাপটা উত্তর ছিল এমন, ‘আমাকে যদি সিইওর দায়িত্ব দেওয়া হয়, আমার বেশি দিন লাগবে না। সব ঠিক করতে সর্বোচ্চ এক থেকে দুই মাস লাগবে।

পেশাদারত্বে বিপিএলকে তিনি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চেয়েও পিছিয়ে রেখেছিলেন তার মন্তব্যে, ‘একটা যা-তা অবস্থা। এর থেকে আমাদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) আরও ভালোভাবে হয়। কারণ, আগে থেকেই দল গোছানোর সুযোগ থাকে। আরও আগে থেকে জানে যে দলটা কী হচ্ছে এবং তারা সেভাবে প্রস্তুতি নিতে পারে।

সাকিব মনে করেন বিপিএলের বিপণনটা ঠিক হয়নি। দেশে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার উদাহরণ টেনে সাকিব বলেন, ‘গ্রামে এমন কোনো প্রত্যন্ত অঞ্চল নেই, যেখানে ক্রিকেট খেলা হচ্ছে না। এমন তো না যে জনপ্রিয়তা নেই। ১৬-২০ কোটি মানুষের একটা দেশে এতো পছন্দের একটা খেলা, তার বাজারটা ঠিক হবে না, এটা খুবই দুঃখজনক। মানে আমি অন্তত বিশ্বাস করি না।

এমন মন্তব্য করেও সাকিবকে কোনো শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে না। বিপিএলের নতুন মৌসুমের প্রথম ম্যাচের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এটা সঠিক সময় নয়। আমরা সুন্দর টুর্নামেন্টের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, আমরা আশা করব আপনারা সহযোগিতা করবেন। এখন এ বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ না। আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সফলভাবে টুর্নামেন্ট শেষ করা।’

সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের মন্তব্যের জবাবে টুর্নামেন্টের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান শেখ সোহেল বলেন, ‘আমি প্রথমে সাকিবকে স্বাগত ও ধন্যবাদ জানাই। সে যদি বিপিএলের সিইও হয়ে আসতে চায়, আমরা গভর্নিং বোর্ড থেকে তাকে স্বাগতম জানাই। সে যদি চায়, সামনের বছর থেকেই সিইওর দায়িত্বটা পালন করুক।


আরও খবর



মাতুয়াইল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও মেধা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৬৭জন দেখেছেন

Image

মুশফিকুর রহমানঃ 

মাতুয়াইল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও মেধা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ৯ মার্চ সকাল ১০ ঘটিকায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোঃ শফিকুল ইসলাম খান দিলু। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মশিউর রহমান মোল্লা সজল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন উইং) ডক্টর এ কিউ এম শফিউল আজম, উপ প্রকল্প পরিচালক ডক্টর সৈয়দ শামসুদ্দোহা, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মিয়া। এতে অন্যানের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, আব্দুর রহিম মিয়া, লুৎফর রহমান মোল্লা, আব্দুল বাতেন মোল্লা, আব্দুস সালাম খান,জয়নাল আবেদীন খান, ফাইজুল হক খান, এডভোকেট এনায়েত হোসেন সরদার, নজরুল ইসলাম খানসহ অনেকে।


আরও খবর



মিরসরাইয়ে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার গাঁজাসহ আটক ১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:মিরসরাইয়ে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার গাঁজাসহ ১ জনকে আটক করেছে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। উদ্ধারকৃত গাাঁজার পরিমাণ ২৪ কেজি।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসভার রেলগেইট এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ শংকর শীল (৪৪) কে আটক করে পুলিশ। শংকর মাগুরা জেলার শালিখা থানার ধনেশ^রকাটি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের তিলখড়ি এলাকার নরেন্দ্র নাথ শীলের সন্তান।

জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল্ল্যাহ আল হারুন বলেন, উদ্ধারকৃত গাঁজার চালান খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ঢাকার দিকে নেওয়া হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাঁজাসহ আসামী শংকর শীলকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে জোরারগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



চট্টগ্রাম ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংকে (ইউসিবি) আগুন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক ;চট্টগ্রাম নগরের রাইফেল ক্লাব ভবনের ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংকে (ইউসিবি) আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট।

আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

চন্দনপুরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ আলী জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে চারটি ইউনিট কাজ করছে।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




যশোরের রমজান শেখ হত্যা মিশনের প্রধান পিচ্চি রাজা সহ ৫ জন আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১৬৬জন দেখেছেন

Image
ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরের রেলগেটের আলোচিত মাদক কারবারী ৩২ মামলার আসামি রমজান শেখ (৩০) হত্যাকান্ডের ঘটনায় র‌্যাব-৬ যশোরের সদস্যরা মোস্টওয়ান্টেড পিচ্চি রাজাসহ হত্যা মিশনের ৫ জনকে আটক করেছেন। ১১ মার্চ দিনভর ৩টি অভিযানে একে একে ওই ৫ দুর্বৃত্তকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৩টি চাইনিজ কুড়াল, দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, দা, চাকু গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের আটকে চলমান রয়েছে অভিযান।

গত ৮ মার্চ মধ্যরাতে যশোর শহরের রেলগেট এলাকার বাবুর দোকানের সামনে ১০/১২ জনের একটি দুবৃত্ত দল কুপিয়ে হত্যা করে রমজানকে। ঘটনার রাত থেকেই হত্যা ঘটনায় কে বা কারা জড়িত খোঁজখবর নেয়া শুরু করে পুলিশ। এ সময় নিহত রমজানের পরিবারের লোকজনের দাবি, এলাকার পিচ্চি রাজা ও তার সহযোগিরা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তারা দ্রুত পিচ্চি রাজা সহ খুনীদের আটক ও কঠোর শাস্তি দাবি করেন। এদিকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৯ মার্চ সন্ধ্যায় এলাকার চিহ্নিত ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দেন নিহত রমজানের মা রেখা বেগম।

আসামি করা হয় রেলগেট কলাবাগান পাড়ার রাজা ওরফে পিচ্চি রাজা (২৫), তুহিন (২৮), চোরমারা দীঘিরপাড় এলাকার কুদরত (৩০), সাগর (২৬), শাওন ওরফে পটকে শাওন (২২), খড়কী এলাকার ইবাদুল (২৫), রেলগেট পশ্চিমপাড়ার দেলোয়ার হোসেন (২৪), শুকুর আলী (২৮), রায়পাড়া তুলাতলা এলাকার বাবু ওরফে পলিথিন বাবু (৩৫), রেলগেট পশ্চিমপাড়ার ইয়াছিন (২৬), চাঁচড়া ডালমিল এলাকার পায়েল (২২), বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার সুমন ওরফে ট্যাটু সুমন (২৮) ও আশ্রম রোড মহিলা মাদ্রাসার পাশের মেহেদী (৩০)কে।

মামলার পর ছায়া তদন্তে মাঠে নামে র‌্যাব ৬ যশোরের কয়েকটি চৌকস টিম। ১১ মার্চ যশোরের শংকরপুর, বাঘারপাড়া ও শার্শা এলাকা থেকে রমজান হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি দুর্র্ধর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি রাজা সহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে দেশি বিদেশি অস্ত্রসহ। আটককৃত অন্যরা হচ্ছে শাওন ওরফে পটকা শাওন (২২) ইবাদুল (২৫), সুমন ওরফে ট্যাটু সুমন ও তুহিন (২৮)।

অভিযানের ব্যাপারে র‌্যাব জানিয়েছে, ১১ মার্চ ভোর রাতে চাঞ্চল্যকর রমজান আলী হত্যা মামলার আসামি শাওন ওরফে পটকে শাওন (২২) ও ইবাদুলকে (২৫) শংকরপুর ইসমাইল কলোনী এলাকা থেকে আটক করা হয়। তাদের তথ্যে একইদিন ভোর রাতে শংকরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ট্যাটু সুমনকে আটক করা হয়েছে।

তার তথ্যে ভোর ৫ টায় বাঘারপাড়ার চাড়াভিটা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রমজান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি তুহিনকে আটক করা হয়।

আটককৃত ওই ৪ জনের তথ্যে ১১ মার্চ বিকেল ৩ টায় শার্শার দাদখালী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রধান আসামি ও দুর্র্ধর্ষ সন্ত্রাসী রাজা ওরফে পিচ্চি রাজাকে আটক করা হয়েছে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো স্থান থেকে রেলগেট চোরমারা দীঘির পাড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ম্যাগাজিনসহ ১ টি বিদেশি পিস্তল, ১ টি ওয়ান শুটারগান, ৪ রাউন্ড গুলি, ১ টি টিপ চাকু, ৩ টি চাইনিজ কুড়াল, ১ টি চাকু ও ১ টি দা উদ্ধার করা হয়েছে।যে কারণে রমজান খুন

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে রমজান হত্যাকান্ড কি কারণে সে তথ্য মিলেছে। আটককৃত ৫ জন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানায়, মামলার প্রধান এজাহারনামীয় আসামি পিচ্চি রাজা যশোর শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল এবং তাকে সেল্টার দিত নিহত রমজান আলী। রমজান আলী ও পিচ্চি রাজা একসাথে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করত। কিন্তু তাদের মধ্যে এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বিরোধ তৈরি হয়। কয়েক মাস আগে মাদক কেনাবেচা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়। তারা একসাথে চলাফেরা করলেও রমজানের প্রতি পিচ্চি রাজার ক্ষোভ ছিল। ঝামেলা হওয়ার কিছুদিন পর আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে পিচ্চি রাজার স্ত্রী ইয়াবাসহ আটক হয়। এই আটকে রমজানের হাত আছে বলে আসামি পিচ্চি রাজা সন্দেহ করে।

এছাড়াও বেশ কয়েকদিন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পিচ্চি রাজাকে আটকের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিল। পিচ্চি রাজাকে আটকে রমজান আাইশৃংখলা বাহিনীকে সহায়তা করতে পারে ভেবে পিচ্চি রাজা রমজানের উপর প্রতিশোধ নিতে সুযোগের অপেক্ষায় ছিল।

আরও খবর



ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে,১৯৭১ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।

এই মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ই মার্চ দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে পড়ে। একইভাবে এ ভাষণ শুধু রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের একটি সম্ভাবনাও তৈরি করে। মূলত বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে বাঙালি। পরে ২৫ মার্চের কালরাতে পাকবাহিনীর নৃশংস গণহত্যার পর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ।

২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।

একাত্তরের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। এরপর দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর এই বজ্রনিনাদে আসন্ন মহামুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত মুক্তির লক্ষ্যে।

১৯৪৭ সালে ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা ও দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিসত্তা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের যে ভিত রচিত হয় তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের পর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণে গর্জে ওঠে উত্তাল জনসমুদ্র। লাখ লাখ মানুষের গগনবিদারী শ্লোগানের উদ্দামতায় বসন্তের মাতাল হাওয়ায় সেদিন আকাশে ওড়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের পতাকা। লক্ষ শপথের বজ্রমুষ্টি উত্থিত হয় আকাশে। আর সেদিন বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আরোহণ করেন বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে। ফাগুনের সূর্য তখনো মাথার ওপর। মঞ্চে আসার পর তিনি জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। তিনি তার ভাষণের শুরু করেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি...।’

এরপর জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতার মহাকাব্যের কবি ঘোষণা করেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম..., এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণ। এই স্বল্প সময়ে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন। তিনি তার ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ করে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া এবং বিভিন্ন স্থানের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রীত্বের লোভ দেখিয়ে আমাকে নিতে পারেনি। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিতে পারেনি। আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র-মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এই রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করব। আজও আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত।’

তিনি বলেন, ‘আমি বলে দিতে চাই আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোনো কর্মচারী অফিসে যাবেন না। এ আমার নির্দেশ।

এছাড়া, বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সর্বশেষ দু’টি বাক্য, যা পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিক-নির্দেশনা ও প্রেরণার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয়বাংলা।’

ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান তার একটি লেখায় বলেছেন, ‘সাত মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক চিন্তাধারার পরিচয় দিয়েছেন। রণকৌশলের দিক থেকে এই ভাষণ অসাধারণ। এই বক্তৃতা এখনো মানুষকে শিহরিত করে।

তিনি বলেন, এই বক্তৃতার আগে রাজনৈতিক কর্মী ও জনসাধারণ স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা ঘোষণা করলে যে পাকিস্তানি সেনা শাসকরা সর্বশক্তি প্রয়োগ করে তাদের উপর দমন-পীড়ন চালিয়ে যাবে, সে বিষয়েও তিনি অবহিত ছিলেন।

আনিসুজ্জামান বলেন, স্বাধীনতা ঘোষণা করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু নিউজউইকের এক সাংবাদিককে বলেছিলেন ‘আমরাতো সংখ্যাগরিষ্ঠ। পশ্চিমাদের উপর নির্ভর করছে তারা বিচ্ছিন্ন হতে চায় কি না।’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা তোফায়েল আহমেদ তার একটি লেখায় বলেন, বঙ্গবন্ধু তার চশমাটা সেদিন ডায়াসের উপর রেখে ১৯ মিনিটের যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তার পুরোটাই অলিখিত। একদিকে তিনি পাকিস্তানিদের প্রতি চার দফা শর্ত আরোপ করলেন, অন্যদিকে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে বললেন। ভাতে মারার কথা বললেন, পানিতে মারার কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সাতই মার্চের আগে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি গিয়েছিলাম। একজন তাকে বললেন জনগণ কিন্তু সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা ছাড়া মানবে না। বঙ্গবন্ধু তাকে বললেন, তুমি তোমার কাজ কর। আমি তাদের নেতা, আমি তাদের পরিচালিত করব, তারা আমাকে নয়।

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের শ্রেষ্ঠত্বের কথা তুলে ধরে ইতিহাসের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের পর গোটা বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের পরিবর্তে বাঙালিদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। অনেকে বিভিন্ন জায়গায় পূর্ব পাকিস্তান শব্দ মুছে বাংলাদেশ লিখে।

তিনি বলেন, এ ভাষণের পর গোটা দেশ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় চলতে থাকে। এ ভাষণ গুটি কয়েক রাজাকার ছাড়া গোটা বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল।

আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আজ ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এছাড়া এদিন বিকেল ৪ টায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে (তেজগাঁও) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। :বাসস


আরও খবর