Logo
আজঃ শনিবার ১০ জুন ২০২৩
শিরোনাম

শাকিব বললেন ‘ভুয়া’, সমিতির তালিকায় সেই প্রযোজক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৩৩২জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক ;‘এই বাটপার-প্রতারক রহমত উল্লাহ শুধু আমার সঙ্গে প্রতারণা করেনি, এই দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এই দেশের লাখো মানুষ যারা আমাকে ভালোবাসে, তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমার মনে হয়, এই রহমত উল্লাহ একা ছিল না। এই রহমত উল্লাহর পেছনে অনেক লোক জড়িত। না হলে এই রহমত উল্লাহর মতো এমন ভুয়া প্রযোজক নামধারী বাটপার, ভুয়া প্রযোজক সেজে আমার নামে বিচার চেয়েছে।’ এই কথাগুলো ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের। যা তিনি গেল দুই দিন ধরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বলে আসছেন।

শাকিবের এ কথা বলার পেছনের কারণ হলো- গেল ১৫ মার্চ প্রযোজক রহমত উল্লাহ এই নায়কের বিরুদ্ধে লিখিত আকারে বিস্তর অভিযোগ জমা দেন প্রযোজক-পরিবেশক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতিতে। যেখানে তিনি তুলে ধরেন- অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস ও ধর্ষণের মতো গুরুতর সব অভিযোগ। যা নিয়ে সরগরম শোবিজ অঙ্গন। বিষয়টি নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করেও কোনো ফল হয়নি। বরং হয়েছে উল্টোটা। শাকিব এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে থানায় ও ডিবি কার্যালয়েও গিয়েছেন। যা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে। শাকিবের মুখে বারবার বলতে শোনা যায়- রহমত উল্লাহর একজন ভুয়া প্রযোজক ও নামধারী বাটপার!

কিন্তু  অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে- যাকে শাকিব খান ‘ভুয়া’ বলছেন, সে আসলে ভুয়া নন। ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির একজন সদস্য। সমিতিতে রহমত উল্লাহর নামের পাশে ‘বিদেশ বাংলা মাল্টিমিডিয়া’র প্রতিষ্ঠাতা উল্লেখ করা আছে। আর ২০১৭ সাল থেকে তিনি সমিতির নিয়মিত চাঁদাও পরিশোধ করে আসছেন। যার তথ্য প্রমাণ এসেছে ।

শুধু তাই না, শাকিব খানের সঙ্গে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিং ও মহরতেও দেখা গেছে এই প্রযোজককে। এখন শাকিব যে বলছেন, তিনি এই প্রযোজককে সঙ্গে কোন চুক্তি করেননি; তার মানে কী? শাকিবের কথাও সত্য। শাকিব চুক্তি করেছেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ভারটেক্স মিডিয়ার সঙ্গে। আর এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয় রহমত উল্লাহর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিনেফ্যাক্ট। এই প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বে আছেন রহমত উল্লাহ, মাহির আবেদীন আর অ্যানি সাবরিন। ফলে বলা যায়, ভারটেক্স মিডিয়া আর সিনেফ্যাক্ট দুটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানই যুক্ত হন সিনেমাটির সঙ্গে। সেসময় তিনশত টাকার একটি স্ট্যাম্পে তাদের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন জানে আলম (ভারটেক্স মিডিয়া) ও অ্যানি সাবরিন (সিনেফ্যাক্ট)।

এরপর ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় যখন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’র শুটিং শুরু হয় তখন পুরো দায়িত্বে ছিল সিনেফ্যাক্ট প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। আর এই প্রতিষ্ঠানের হয়ে পুরো শুটিং ইউনিটের সঙ্গে ছিলেন রহমত উল্লাহ আর অ্যানি সাবরিন। সেই সময়ই শাকিবের নজরে পড়ে সহ-প্রযোজক অ্যানি সাবরিনের দিকে। যাকে ধর্ষণের অভিযোগে শাকিবের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ায় মামলাও করা হয়েছে।

রহমত উল্লাহকে শাকিব খান ‘ভুয়া’ বললেও তার তত্বাবধায়নে তিনি শুটিং করেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। শুধু তাই নয়, সিনেমার মহরতে শাকিবের সঙ্গে মঞ্চেও ছিলেন এই প্রযোজক। এছাড়া ‘অপারেশন অগ্নিপথ’র পোস্টারে ভারটেক্স মিডিয়ার সঙ্গে সহ-প্রযোজক হিসেবে সিনেফ্যাক্টের নামও আছে। আর সেসব কাগজ, ছবি ও তথ্য প্রমাণ এসেছে  হাতে।

এদিকে, শাকিব খান ও প্রযোজক রহমত উল্লাহ’র বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করা হয় প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরুর সঙ্গে। তার ভাষ্য, ‘শাকিব যে কথা বলেছেন, এটা ঠিক না। তিনি বলেছেন এই প্রযোজক ভুয়া, কিন্তু রহমত উল্লাহ আমাদের সমিতির একজন সদস্য। ২০১৭ সাল থেকে তিনি নিয়মিত চাঁদা দিয়ে আসছেন। আর “অপারেশন অগ্নিপথ” ছবিটি নিয়ে যতটুকু জেনেছি তা হলো- প্রযোজক রহমত উল্লাহর এই ছবিটির কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। এখন ২০২৩ সাল চলছে। দীর্ঘদিন ধরে একজন শিল্পীর কারণে পুরো ছবির কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না- এটা মানা যায় না। পুরো বিষয়টি যখন রহমত উল্লাহ আমাদের জানান, তখন আমরা নিজেদের মধ্যে বিষয়টি রাখতে এটি বৈঠক করি। যেখানে শাকিব খানও ছিল।’

খসরু আরও বলেন, ‘ওই প্রযোজকের দাবি শাকিব তার ছবির কাজটুকু শেষ করে দিক। আর যেহেতু শাকিব বিরুদ্ধে তিনি নানা কথা বলেছেন, এজন্য একটা সংবাদ সম্মেলন করে সবাইকে তারা জানিয়ে দেবেন- আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। সেদিনের মিটিংয়ে তাদের দুজনকেই বলেছি, যেহেতু শাকিব সরাসরি রহমত উল্লাহর সিনেফ্যাক্টের সঙ্গে চুক্তি করেনি, করেছে ভারটেক্স মিডিয়ার সঙ্গে। তাই পরবর্তী মিটিংয়ে জানে আলমকে নিয়ে আমরা বসব। তখনই বিষয়টি নিজেরা মিটিয়ে ফেলব। কিন্তু পুরো ঘটনাই পাল্টে গেল! এটা খুবই দুঃখজনক। আমি মনে করি এই দ্বন্দ্বের অবসান হোক। এসব কাঁদা ছোড়াছুড়ি আমাদের মিডিয়ার জন্য ভালো ও সম্মানের কিছু না।’


আরও খবর



ঢাকাসহ কয়েক জেলায় অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৯০জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :অবশেষে বহুল প্রত্যাশিত বৃষ্টির দেখা মিলেছে। প্রায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় তাপমাত্রা চরমে থাকার পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কয়েক জেলায় বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। মুষলধারে না হলেও এই বৃষ্টি জনজীবনে খানিকটা স্বস্তি এনেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জ, চাপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুরসহ কয়েক জেলায় বৃষ্টি পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কোথাও পাঁচ মিনিট, কোথাও আধঘণ্টা। আপাতত এতেই সন্তুষ্ট মানুষ। কারণ, এ বৃষ্টিতেই কিছুটা পরম শান্তির আভাস পেয়েছে তারা।

গতকাল দুপুরের পরই রাজধানীর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হতে থাকে। যদিও তাপমাত্রা খুব বেশি কমেনি। এদিন বিকাল সোয়া ৪টা থেকে পৌনে ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর উত্তরায় বৃষ্টি হয়েছে।

গতকাল দুপুর আড়াইটার পর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের আকাশে কালো মেঘের পর শুরু হয় বৃষ্টি। 

চাপাইনবাবগঞ্জে গতকাল বুধবার দুপুর ৩টার দিকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে। ১৫ মিনিটের বৃষ্টিতে স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। দীর্ঘদিনের গরমের পর সামান্য বৃষ্টিকেই তারা পরম পাওয়া মনে করছেন।

দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো গত কয়েকদিন গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে দিনাজপুরের জনজীবন। সেখানেও বৃষ্টির দেখা মিলেছে। গতকাল দুপুরের দিকে প্রায় ১৭ মিনিট ধরে বৃষ্টি হয়েছে জেলার কিছু কিছু এলাকায়। এতে স্বস্তি বোধ করছে মানুষ।

এদিকে, চলমান দাবদাহের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার দেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেইসঙ্গে দিয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাসও।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর



ঢাকায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও তীব্র বজ্রপাত বয়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ এ তথ্য দিয়েছেন।

এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুল হামিদ বলেছেন, ‘এ মাসের শেষ সপ্তাহ বা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে মৌসুমি বায়ু দেশে প্রবেশ করতে শুরু করবে। এটি টেকনাফ হয়ে সাধারণত প্রবেশ করে। অনেক সময় ৪-৫ দিন সময় লেগে যায়। এই মৌসুমি বায়ু প্রবেশের কারণে ঝড়টা কমে যাবে। বৃষ্টি দীর্ঘক্ষণ হবে। এখন যেমন অল্প সময়ে বেশি বৃষ্টি হয় তখন হালকা বৃষ্টি হবে অনেক সময় ধরে। এখন যেমন কোন স্টেশনে ৪০-৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় তখন এটি ২০০ বা ৩০০ মিলিমিটারের চেয়ে বেশি পরিমাণ হবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, আজ মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকাতে ১০২ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১৫ মিলিমিটার।

তিনি জানান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় বিকেলে শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি ১০২ কিলোমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আগারগাঁওয়ে ঝড়ের গতি রেকর্ড করা হয়েছে ৭৪ কিলোমিটার। ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় আগামী সাত ঘণ্টার জন্য দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য পূর্বাভাসে জানিয়েছে, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



মণিপুর ফের উত্তাল, হামলায় সেনা নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে ফের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীদের হামলায় দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর একজন সদস্য নিহত হয়েছেন।

দেশটির সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা জানিয়েছে, ৫-৬ জুন রাতে নিরাপত্তা বাহিনী ও একদল বিদ্রোহীর মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে বিএসএফ এর এক সদস্য নিহত হয় এবং আসাম রাইফেলসের দুইজন সদস্য আহত হয়েছেন। রাজ্যের সেরউ অঞ্চলে ঘটেছে এ ঘটনা।

ভারতীয় সেনাবাহিনী স্পিয়ার কর্পস এক বিবৃতিতে বলেছে, বিএসএফের একজন সদস্য গুরুতর জখম হয়েছে, অন্যদিকে আসাম রাইফেলের দুইজন সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

আসাম রাইফেলস, বিএসএফ এবং পুলিশ মণিপুরের সুগনু/সেরউ অঞ্চলে ব্যাপক এলাকায় অভিযানে ছিল। এরপর ৫-৬ জুন নিরাপত্তা বাহিনী ও একদল বিদ্রোহীর মধ্যে বিরতিহীন গুলি চলে।তল্লাশি অভিযান এখনো অব্যাহত আছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এর আগেও গত মাসের শেষ দিকে সংঘর্ষে এক পুলিশসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১২ জন।

রাজ্যজুড়ে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে 

সেইসময় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী রাজ্যের সেরোউ ও সুগুনু এলাকায় অনেক বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। এরপরেই রাজ্যের বিভিন্ন অংশে নতুন করে সংঘাত বাধে।

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, মণিপুরে মেইতেইরা মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশেরও বেশি। সেখানে নাগা ও কুকিরা ৪০ শতাংশ। এতদিন মেইতেইদের আদিবাসী বলে মানা হতো না।

কিন্তু এবার হাইকোর্ট তাদের সেই তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি দেয়। মেইতেইরা এতদিন ধরে ‘নোটিফায়েড' পাহাড়ি এলাকায় জমি কিনতে পারতো না। কিন্তু এবার তারা পারবে। এ সিদ্ধান্তে অন্য আদিবাসীরা ক্ষুব্ধ হন। হাইকোর্টের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে নাগা ও কুকিরা প্রতিবাদ জানান, যা সহিংসতায় রূপ নেয়।


আরও খবর



বরখাস্ত ডিআইজি মিজান নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক: অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার আইনের মামলায় বরখাস্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ তিনজন নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।

নির্দোষ দাবি করা অপর দুই জন হলেন, ডিআইজি মিজানের ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।

আজ রোববার ঢাকার ছয় নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। এরপর ডিআইজি মিজান এ বিষয়ে লিখিত বক্তব্য দেবেন বলে জানান।

আদালত আগামি ২৪ মে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ ধার্য করেছেন। এ মামলায় ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না পলাতক থাকায় আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করতে পারেননি মিজান। এরআগে মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।


আরও খবর



ঠিকাদার লাপাত্তা রাস্তার খোয়ার ধূলায় অতিষ্ঠ পথচারীরা নানা রোগে আক্রান্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে মুল রাস্তার কাজ ফেলে রেখে লাপাত্তা দিয়েছেন ঠিকাদার বলে অভিযোগ উঠেছে। পিচ ঢালা রাস্তা, পুরাতন খোয়া পাথর উল্টিয়ে উধাও হয়েছেন ঠিকাদার। প্রচন্ড খরতাপে ও পানি না দেওয়ার কারনে লালচে খোয়ার ধূলাই চরম অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন পথচারীরা। সাদা পোশাক পরা অবস্থায় ওই রাস্তায় যাওয়া মানেই লালচে আকার ধারন করা। তানোর টু রাজশাহী রাস্তার কালিগঞ্জ আল মদিনা হিমাগার থেকে গাগরন্দ আদিবাসী পাড়া  ২ কিলোমিটার ও কালিগঞ্জ মোড় থেকে সরনজাই পর্যন্ত ২২ শো কিলোমিটার রাস্তার এমন করুন অবস্থা হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে দ্রুত রাস্তা দুটিতে পিচ ঢালাই  শেষ করার দাবি উঠেছে জোরালো ভাবে।

জানা গেছে, গত কয়েক মাস আগে উপজেলা বাসির শহরে যোগাযোগের মুল রাস্তা।  রাস্তাটির পিচ খোয়া উল্টিয়ে ডাবলু বিএম করে রাখা হয়েছে। কালিগঞ্জ আল মদিনা হিমাগার থেকে গাগরন্দ আদিবাসিপাড়া মোড় পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তাটি এখন যে চরম অস্তির কারন হয়ে পড়েছে। কারন রাস্তায় তিল পরিমান পানি দেওয়া হচ্ছে না। ছোট বড় যান চলা মাত্রই ধূলায় একাকার হয়ে পড়েছে।
পথচারী মুসলেম, শাওন, টুটুল, দেলোয়ারসহ অনেকে জানান, দীর্ঘ প্রায় ২ মাস ধরে পড়ে আছে। ট্রাক বাস যাওয়া মাত্রই লালচে ধূলায় আরো কোন গাড়ী নিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। বাস, ট্রাক যাওয়ার আধা ঘন্টা পর রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করা যায়। রাস্তার দূ ধারে ধানের সবুজ পাতা লালচে হয়ে পড়েছে। দেখে মনে হবে লাল ধান রোপন হয়েছে।

গাগরন্দ মোড়ের ব্যবসায়ী সাজ্জাদ বলেন, রাস্তার ধূলার কারনে দোকান বন্ধ রাখতে হচ্ছে। শুধু তাই না গাগরন্দ প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষার্থীরা আসছেনা। দিনরাত সমান তালে চলে ছোট বড় মাঝারি যানবাহন। রাস্তার পার্শ্বের ঘর বাড়ির দেয়াল লালচে হয়ে পড়েছে। পিচ দিতে দেরি হলেও নিয়োমিতপানি দিলে এত ধূলা উড়তো না। আর খোয়ার ধূলা নাক মুখ দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয়ে  পড়েছেন অনেকে। উপজেলার সকল কর্মকর্তা এরাস্তা দিয়ে দুবেলা শহরে যাতায়াত করেন। তারপর কোন নজরদারি নেই।ওই এলাকার জনসাধারণ জানান, দ্রুত রাস্তার পিচ ঢালায় শেষ না হলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও ঠিকাদরের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি দেওয়া হবে।রাস্তার কাজ করছেন শহরের ঠিকাদার লিটন।সে জানায় ২ কিলোমিটার রাস্তার বিপরীতে প্রায় ৭৮ লাখ টাকা বরাদ্দ। কিন্তু সবকিছুর বাড়তি দাম প্রচুর লোকসান হচ্ছে। তবে অল্প দিনের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে।এদিকে কালিগঞ্জ হাটের মোড় থেকে সরনজাই পর্যন্ত ২২০০ মিটার রাস্তটিও ডাবলু বিএম করে রাখার কারনে খোয়ার ধূলায় অতিষ্ঠ জনসাধারন। রাস্তার দূপাশে বোর ধান রোপন করা আছে। ধানের পাতা লাল হয়ে পড়েছে। 

রাস্তার কাজটি করছেন শহরের ঠিকাদার বোরহান। তিনি জানান, ডাবলু বিএম করে রাখতে হয়। তাহলে রাস্তা টিকসই হয়। রাস্তার কাজ মানেই লোকসান। তারপরও করতে হবে। ২২ শো মিটার রাস্তার বিপরীতে প্রায় ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ।৪২ শো মিটার রাস্তা এখন গলার কাটা হয়ে পড়েছে পথচারীদের কাছে।উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য এবং  নিয়োমিত পানি দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু পানি দেয় নি। কাজ শিডিউল অনুযায়ী বুঝে না পেলে বিল দেওয়া হবে না।মেডিকেলের এক চিকিৎসক বলেন, খোয়ার ধূলা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিশেষ করে যাদের শ্বাসকষ্ট আছে তাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর খোয়ার লালচে ধূলা এবং  শিশুদের জন্য আরো ভয়ংকর। জনবহুল রাস্তা দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে, না হলে নিয়োমিত পানি দিতে হবে। এধূলার কারনে সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্টের রোগী বেড়ে গেছে।

আরও খবর