Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সাগরে ৬৫ দিন মাছধরা সরকারি নিষেধাজ্ঞায় জেলেদের দুর্বিষহ জীবন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২৩০জন দেখেছেন

Image

আমান উল্লাহ, কক্সবাজার: সাগরে ইলিশসহ অন্যান্য প্রজাতির মাছের প্রজননকালে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে মাছধরার উপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এতে জীবিকার একমাত্র মাধ্যম মাছ ধরা বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজনের ভরণপোষণ   নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে অন্তত এক লক্ষাধিক  জেলে।জেলেরা জানান, বন্ধের এই দিনগুলোতে জেলেদের জনপ্রতি সরকারি যে সহায়তা প্রদান করা হয়-তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। সরকারি সহায়তার বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি তাদের। এ নিয়ে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা জানান, মাছধরা বন্ধের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার লক্ষ্যে জেলেদের সহায়তাসহ নানা কর্মসূচি সরকারের রয়েছে। প্রতি বছরই তা বাড়ছে।শুক্রবার (১৯মে) মধ্যরাত থেকে মাছধরা বন্ধের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ায় শুক্রবার বিকালের মধ্যেই সাগর থেকে উপকূলে ফিরেছে অধিকাংশ ট্রলার। অল্পসংখ্যক ট্রলার সাগরে অবস্থান করলেও মাছধরার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগেই মধ্যরাতের মধ্যে ফিরে আসার কথা রয়েছে। সাগর থেকে ফিরে আসা সারি সারি নোঙর করা এসব ট্রলারের দেখা মিলেছে কক্সবাজার শহরে বাঁকখালী নদীর বিভিন্ন নৌঘাটে। এতে ট্রলার থেকে মাছধরার জালসহ অন্যান্য মালামাল সরিয়ে নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা।কিন্তু দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সাগরে মাছধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় পরিবারের স্বজনদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।

তারা জানান, নিত্যপণ্যের বাজারে জেলেদের সরকারি সহায়তার বরাদ্দ অপ্রতুল। প্রকৃত অনেক জেলে নিবন্ধনের আওতায় না এলেও ভুঁয়া অনেকে তালিকাভুক্ত হয়েছেন।আব্দুল ওদুদ  নামে এক জেলে জানান, কদিন আগে গেল ঘূর্ণিঝড় মোখা। এরপর ছিল সমুদ্র উত্তাল। আর এখন ৬৫ দিনের জন্য সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ। সুতরাং সামনের দিনগুলো খুবই কষ্টের মধ্যে যাবে। এই বেকার সময় সবচেয়ে বেশি কষ্ট লাগে সরকারের পক্ষ থেকে যে সহায়তা দেওয়া হয় তাও ঠিকমত বণ্টন করা হয়না।আব্দুর রহমান  নামে আরেক জেলে জানান, ৮ সদস্যের পরিবারের ভরণ-পোষনের দায়িত্ব তার কাঁধে। সরকারের পক্ষ থেকে যে সহযোগিতা করা হয় তা যতেষ্ট নয়। তারমধ্যে সবকিছুর দাম বাড়তি। ওই বন্ধের দিনগুলোতে রিক্সা চালিয়েও সংসার চলেনা।বাহাদুর  নামে আরেক জেলে জানান, অনেক সময় দেখা যায় জেলেদের জন্য আসা বরাদ্দ ঠিকমত বণ্টন হয়না। যারা দায়িত্বে থাকে তারাও ওখানে ভাগ বসায়। এছাড়া অনেক সময় তালিকায় প্রকৃত জেলেদের নাম বাদ দিয়ে অন্য পেশার লোকজনকে যুক্ত করা হয়।

প্রশাসনের কাছে এই দুর্নীতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য সমবায় সমিতির উপদেষ্টা এবং কক্সবাজার সদর উপজেলা মৎস্যজীবী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জয়নাল আবেদীন জানান, মাছধরার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে জেলেদের সহায়তার বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি। প্রকৃত জেলেদের নিবন্ধনের আওতায় এনে তালিকাভুক্তদের স্বচ্ছতার সাথে সহায়তার ব্যবস্থা নিতে হবে।কক্সবাজার সদরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তারাপদ চৌহন জানান, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সাগর থেকে মাছ আহরণ, পরিবহন ও বিপণনসহ সবধরণের কর্মকাণ্ড নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। আইন অমান্যকারিদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলেদের সহায়তার বিষয়টি সরকারের চলমান কর্মতৎপরতারই অংশ।শুক্রবার মধ্যরাত থেকে আগামী ২৩ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত সাগরে মাছধরার উপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে। জেলা মৎস্য অফিসের তথ্য মতে, জেলায় মাছধরার নিবন্ধিত ট্রলার রয়েছে ৫ হাজার ১৫৩টি এবং নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৬৪ হাজার ৩৯৪ জন। এছাড়া অনিবন্ধিত ট্রলার রয়েছে অন্তত ৩ হাজার এবং অনিবন্ধিত জেলের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। 


আরও খবর



গাংনীতে শসা চাষিদের জন্য আশির্বাদ রমজান মাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরের গাংনী উপজেলার শসা চাষিদের জন্য আশির্বাদ হয়ে এসেছে রমজান মাস। বাজার দর বৃদ্ধি পেয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় হাঁসি ফুটেছে এসব শসা চাষিদের মুখে। ১০ টাকা দরের শসা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। এমন দামে ভোক্তারা অসন্তোষ প্রকাশ করলেও চাষি আর ব্যবসায়ীরা বেশ খুশি।

গাংনী বামন্দি কাঁচা বাজারের আড়ৎদার আব্দুল হালিম জানান, রমজানের দশদিন আগে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হয়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা দরে। শসা কেনার লোকও পাওয়া যায়নি। ফলে শসা পচে গেছে। কিন্তু রমজানের শুরু থেকেই শসার চাহিদা বেড়েছে আশংকাজনক হারে। সেই সাথে বেড়েছে দামও।

শাহারবাটি গ্রামের সবজি চাষি মকসেদ আলী জানান, শসা বর্তমানে গাংনীর চাষিদের কাছে একটি জনিপ্রয় চাষ রমজানের আগে শসা কম দামে বিক্রি করে লেবার খরচ হয়নি। রমজান মাস আসায় শসা চাষিদের কপাল খুলেছে। শসা এখন আড়তে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে। আর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি শসা ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জোড়পুকুর গ্রামের শসা চাষি ইমারুল জানান, যে ব্যবসায়ীরা শসা কেনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তার্ধাসঢ়;ই এখন শসা কিনতে ভিড় জমাচ্ছে চাষিদের কাছে। বাজার চড়া হওয়ায় এখন একই সাথে চাষি এবং ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে। একই কথা জানালেন শসা চাষি কুঞ্জনগরের আব্দুল হাকিম।

ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, রমজানের আগে শসা কিনে মোটা অংকের লোকসান গুণেছি। কিন্তু রমজান মাস আসায় চাহিদা বেড়ে গেছে। ফলে বাজার দরও বেড়ে গেছে। এখন আগের লোকসান অনেকটায় কাটিয়ে উঠেছি।

ক্রেতা সাধারণ জানান, রমজানে দ্রব্য মুল্যের স্থীতিশীল রাখা দরকার। ১২ টাকার শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০/৮০ টাকায়। এটা চাষি ও ব্যবসায়িদের স্বেচ্ছাচারিতা। সাধারণত ৫/১০ টাকা দাম বাড়লেও ক্রেতা সাধারনের নাগালের মধ্যে থাকে কিন্তু ৫/৬গুন মুল্য বৃদ্ধি যেন মরার উপর খাড়ার ঘাঁ। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, তিনি দ্রব্য মুল্য স্থিতিশীল রাখতে বিভিন্ন বাজারে আড়তদার ব্যবসায়ি এবং চাষিদের সাথে কথা বলছেন। ইতোমধ্যে আশানুরুপ সাড়া মিলেছে। কেউ সরকারী নির্দেশনা অমান্য করলে প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



নন্দীগ্রামে ৪২৩ জন বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি:বগুড়ার নন্দীগ্রামে কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের বৃত্তিপ্রাপ্ত ৪২৩ জন শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

শনিবার বেলা ১১টায় নন্দীগ্রাম মর্ডাণ প্রি-ক্যাডেট একাডেমী চত্বরে কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুস ছাত্তারের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা এলএলবি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মেয়র আনিছুর রহমান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, শিল্প ও বণিক সমিতির সহ-সভাপতি একেএম ফজলুল হক কাশেম, সাধারন সম্পাদক শাবান আলী, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক তীর্থ সলিল রুদ্র, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক এফ ফারুক কামাল প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, নন্দীগ্রামে কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা মতিন। পরে বৃত্তিপ্রাপ্ত ৪২৩ জন শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




পত্নীতলায় জাতীয় ভোটার দিবস পালিত

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image
দিলিপ চৌহান, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:পত্নীতলায় জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার পত্নীতলায় উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে একটি র‌্যালী উপজেলা চত্বর প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার টুকটুক তালুকদারের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ অডিটেরিয়াম হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

‘সঠিক তথ্যে ভোটার হবো-স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো’ এই প্রতিপাদ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল গাফ্ফার।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার জাহিদুর রহমান, উপজেলা মৎস্য অফিসার আবু সাঈদ, পল্লী উন্নয়ন অফিসার প্রোল্লাদ কুমার কুন্ডু, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সহিদুল ইসলাম, জাতীয় মহিলা সংস্থা পত্নীতলার দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার আমিনুল হক।

পত্নীতলা প্রেসক্লাবের সাঃসম্পাদক আলহাজ্ব মনিবুর রহমান চৌধুরী, সাংবাদিক মিজনুর রহমান, পরেশ টুডু, আল-আমিন রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




পরাধীনতা থেকে মুক্তির মহাকাব্য ৭ মার্চের ভাষণ: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালির জন্য পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির মহাকাব্য,বলেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন । আগামীকাল ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’ উপলক্ষে বুধবার (৬ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বজ্রকণ্ঠে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। পুরো বাঙালি জাতি সেদিন মন্ত্রমুগ্ধের মতো অবগাহন করেছিলো রাজনীতির মহাকবি বঙ্গবন্ধুর অমর কবিতা।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মাত্র ১৮ মিনিটের এই মহাকাব্যে ধ্বনিত হয়েছিল বাঙালি জাতির মুক্তির মহামন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর শানিত ও প্রদীপ্ত উচ্চারণে কেঁপে উঠেছিল পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের মসনদ। মূলত ৭ মার্চের ভাষণেই নিপীড়িত-নির্যাতিত বাঙালি জাতি খুঁজে পেয়েছিল শোষণমুক্তির কাঙ্ক্ষিত পথ। তাই ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালির জন্য পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির মহাকাব্য।

৭ মার্চ বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন-উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন। তবে তা একদিনে অর্জিত হয়নি। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭১ এর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের দীর্ঘ বন্ধুর পথে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম সাহস, সীমাহীন ত্যাগ, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং সঠিক দিকনির্দেশনা জাতিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১ মার্চ থেকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে এক ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, অনন্য বাগ্মিতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় ভাস্বর ওই ভাষণে বাঙালির আবেগ, স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষাকে একসূত্রে গেঁথে বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ঐতিহাসিক সেই ভাষণের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন বাঙালি জাতির বহুকাঙ্খিত স্বাধীনতা। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর অন্যতম। একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে, বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, বাংলার মানুষের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মার সম্পর্ক ছিল। তাই, তার ভাষণে মূলত মানুষের মনে কথাগুলো ফুটে উঠেছিলো। বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল আমাদের নয় বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্যও প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।


আরও খবর



খাগড়াছড়িতে মাস ব্যাপী নারী পুলিশ সদস্যদের স্কুটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন..পুলিশ সুপার মুক্তা ধর

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:"নারীর সমঅধিকার সমসুযোগ,এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ ”এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে খাগড়াছড়িতে  আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে মাস ব্যাপী জেলা পুলিশের আয়োজনে স্কুটি রাইডিং প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে। 

শুক্রবার (৮ মার্চ)  খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইন্স মাঠে স্কুটি রাইডিং প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।এ প্রশিক্ষণে ১০জন নারী প্রশিক্ষক ৬০জন নারী প্রশিক্ষণার্থীদের কারিগরিভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)  বলেন, অর্থনৈতিক বিনিয়োগ শুধুমাত্র বিনিয়োগ নয়, প্রশিক্ষণ ও বিনিয়োগ এর একটি বড় অংশ। তাই, প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নাই। প্রতিভা বিকাশে নারীদের প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বী হতে হবে। তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে স্কুটি রাইডিং প্রশিক্ষণ নেয়া নারীদের জন্য অপরিহার্য। স্বল্প সময়ে নিজেদের কাজকর্ম দ্রুত সমাধান করতে স্কুটি রাইডিং একটি মাধ্যম। জেলা পুলিশ নারী পুলিশ সদস্যদের নিয়ে যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে তা প্রশংসনীয়। এই প্রশিক্ষণ নারী পুলিশ সদস্যদের জন্য মাসব্যাপী  চলবে।

খাগড়াছড়িতে নারী পুলিশ সদস্যদের জন্য স্কুটি প্রশিক্ষণের উদ্যোগে প্রশিক্ষণার্থীরা খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

প্রশিক্ষণার্থীরা বলেনে, স্কুটি প্রশিক্ষণ কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতের বাড়তি সুবিধা এনে দিবে  ভিড় ঠেলে বাসে ওঠা নারীদের জন্য প্রায় অসম্ভব। আর গণপরিবহন নিরাপদও নয়। সবচেয়ে বড় কথা, আমি স্বাধীন নারী, আমার চলার পথও আমিই নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। স্কুটি চালানো তুলনামূলক নিরাপদ।

প্রশিক্ষকরা বলেন, যাতায়াতের সুবিধার্থে স্কুটি চালানো নারীদের জন্য সহজ উপায়।  প্রাশিক্ষকরা বলেন, তারা চান নারীরা স্বাধীনভাবে ও নিরাপদে চলাফেরা করবে। সেই প্রত্যাশা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে তারা স্কুটি চালানো শেখানোর কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তাঁদের মতে, স্কুটি নারীদের চলাফেরা তুলনামূলক স্বাধীন ও নিরাপদ করবে।

এ সময়  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড আপস)  মো. জসীম উদ্দিন পিপিএম, খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  মো. তফিকুল আলম, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. তানভীর হোসেন সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪