Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

র‌্যাব-৮ এর অভিযানে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৯৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃশরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা এলাকা থেকে যাত্রাবাড়ি থানার গণধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৮।  গণধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার ব্যক্তির নাম মো. দেলোয়ার মুন্সী(৪৫)। তার পিতার নাম রশিদ মুন্সী। তার গ্রামের বাড়ি জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায়।

র‌্যাব-৮ এর শরীয়তপুর জেলার কোম্পানী কমান্ডার ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বৃহস্পতিবার ২৬ অক্টোবর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে গনধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি দেলোয়ার মুন্সী কে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তি ওই গণধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন বলে র‌্যাব জানিয়েছে।গ্রেফতার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানায় র‌্যাব।

গত ১৬ অক্টোবর ২০২২ সালে যাত্রাবাড়ীর গোবিন্দপুর রূপসী গার্মেন্ট সংলগ্ন ২৬/এ বাড়ীর ৫ তলার সাথী নামে এক নারীর ৫/১ নং ভবনের কক্ষে ৪ জন মিলে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। পরে ডেমরার বাঁশেরপুল বার্জার পেইন্ট সংলগ্ন ডেমরা যাত্রাবাড়ী রাস্তার পাশে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় ফেলে চলে যায় আসামীরা। এ ঘটনায় লিজা আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেন।


আরও খবর



২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২৪ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৪৩জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৫০০ ছাড়িয়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫২০ জনে। এই সময়ে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৬২৩ জন রোগী। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৪৯ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২৭৪ জন।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৫ হাজার ৭৫৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ৫০৭ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ হাজার ২৪৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

এতে আরও বলা হয়েছে, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ৪ হাজার ৫৭৬ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৮৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ৩৯০ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ২ হাজার ১৮৪ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৮৭ হাজার ২০৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

২০২২ সালে ডেঙ্গুতে মারা যান ২৮১ জন এবং হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। ওই বছর ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩




বিজিবি পুরোপুরি প্রস্তুত নির্বাচনি দায়িত্ব পালনে: মহাপরিচালক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পূর্ণ প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, নির্বাচনে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে বিজিবি।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিজিবি ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজে (বিজিটিসিএন্ডসি) বিজিবির শততম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন বিজিবি মহাপরিচালক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি নতুন সৈনিকদের সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা, আনুগত্যের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সবার আগে দেশ, এরপর বাহিনীর স্বার্থ, অতঃপর অধীনস্থ ও সহকর্মীদের স্বার্থ এবং সবশেষ নিজের স্বার্থকে বিবেচনায় রেখে সবাইকে কাজ করতে হবে।

প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ বছর বাহিনীতে সীমান্ত রক্ষার শপথ নিয়েছেন ৩৮ জন নারীসহ ৫৮২ জন নবীন সৈনিক।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩




সিলেটে দ্বিতীয় স্মার্ট ক্লাসরুম উদ্বোধন করলো চীনা দূতাবাস

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :চীনা দূতাবাস গতকাল রোববার (৩ ডিসেম্বর২০২৩) সিলেটের সফির উদ্দিন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্মার্ট ক্লাসরুম উদ্বোধন করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের উদ্যোগ ও অর্থায়নে দ্বিতীয় স্মার্ট ক্লাস স্থাপিত হলো।   এই উপলক্ষে সফির উদ্দিন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে আজ ‘চায়না বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

 স্মার্ট ক্লাসরুমে হুয়াওয়ে আইডিয়াহাব-এরএকটি উন্নত লার্নিং সল্যুশনব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এটি শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের উন্নত অনসাইট ও অনলাইনে শিক্ষা প্রদান এবং পড়াশোনার ক্ষেত্র তৈরিতে সহায়তা করবে। এ প্রকল্পের টেকনিক্যাল পার্টনার হিসেবে স্মার্ট ক্লাসরুমে চেয়ারটেবিলও অন্যান্য সরঞ্জামাদি দিয়ে সহায়তা করেছে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া।

 

স্মার্ট ক্লাসরুমের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যান জুনফেং। এছাড়া এই অনুষ্ঠানে চীনা দূতাবাস ও হুয়াওয়ে’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

উদ্বোধনের সময় সফির উদ্দিন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে এ স্মার্ট ক্লাসরুমের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়। পরেঅতিথিদের সামনে হুয়াওয়ে’র আইডিয়াহাবের সুযোগ-সুবিধাগুলো তুলে ধরা হয়। যেখানে একটি স্মার্ট দেশের জন্য স্মার্ট নাগরিক তৈরিতে স্মার্ট ক্লাসরুমের বিভিন্ন ফিচার তুলে ধরা হয়।

 

মোঃ জসিম উদ্দিনঅতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) বলেন, “স্মার্ট ক্লাসরুম চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের নিদর্শন। বিজয়ের এই মাসে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে একধাপ এগিয়েছি। ৫জি প্রযুক্তির অগ্রগতির মাধ্যমে আজকের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দেবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগের জন্য আমাদের নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। আগামী বছরে সিলেটের আরও অনেক প্রতিষ্ঠান এ ধরনের স্মার্ট ক্লাসরুম পাবে বলে আশা করছি।

 

বাংলাদেশে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, “বন্ধু হিসেবে চীন বাংলাদেশের জনগণকে উন্নয়নের নিয়ে যেতে চায়। এই দেশের প্রধানমন্ত্রী একটি স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন। এর জন্য আমাদের অবশ্যই স্মার্ট নাগরিকস্মার্ট মানুষস্মার্ট ছাত্র থাকতে হবে। এজন্য আমাদের স্মার্ট ক্লাসরুম আছে। এই ক্লাসরুমের সাহায্যে শিক্ষার্থীদের শেখার সর্বোত্তম সুযোগ থাকবে। শ্রেণীকক্ষকে আমরা সিলেট ও সারা দেশে ছড়িয়ে দেব। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে পরের বছর আমরা চীন সফরের জন্য কিছু ছাত্র এবং শিক্ষক নির্বাচন করব।”

 

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী প্যান জুনফেং বলেন, “বিশ্বব্যাপী আইসিটি অবকাঠামোর নেতৃত্বের জায়গা থেকে হুয়াওয়ে সবসময় স্থানীয় প্রতিভা বিকাশের প্রোগ্রামগুলিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। আমাদের প্রকল্পগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের বৈশ্বিক দিগন্ত প্রসারিত করার জন্য অসামান্য সুযোগ প্রদান করছে। গত বছরআমরা হুয়াওয়ে আইসিটি একাডেমি চালু করেছি। এ বছর চীনা দূতাবাসের উদ্যোগে চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প শুরু হয়েছে। তারই একটি অংশ হিসাবে আমরা শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষার সুযোগ প্রদানের জন্য সবচেয়ে উন্নত এবং বহু-কার্যকরী শিক্ষাদান সরঞ্জাম সহ স্মার্ট ক্লাসরুম সরবরাহ করেছি। বাংলাদেশে আইসিটি প্রতিভা বিকাশের জন্য এটি একটি খুব ভাল এবং গুরুত্বপূর্ণ যৌথ প্রচেষ্টা।

 

সফির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক রশিদ আহমেদ বলেন, “আমাদের স্মার্ট ক্লাসরুম উপহার দেওয়ার জন্য আমি চীনা দূতাবাস এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই। আমি আশা করি এবং দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে চীনা বন্ধুদের এই সহায়ক হাত চিরকাল এই প্রতিষ্ঠানের সাথে থাকবে।”

 

২০২৩ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস এবং হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়া চাঁদপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম ডিজিটাল ক্লাসরুম উদ্বোধন করে।


আরও খবর



সুপার সাইক্লোন সিডরের ১৬ বছরঃ ২৪২ কোটি টাকার বাঁধে ভাঙ্গন, চিন্তিত উপকূলবাসী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:সুপার সাইক্লোন সিডরের ১৬ বছরেও আতঙ্ক কাটেনি বাগেরহাটের শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জবাসীর। নির্মানাধীন টেকসই বেড়ীবাঁধে ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় হতাশা বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। ২৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬২ কিলোমিটার টেকসই বেড়ীবাঁধের একাধিক স্থানে ফাটল ধরেছে। প্রায় ৭‘শ মিটার বাঁধের ব্লক ধ্বসে বিলীন হচ্ছে বলেশ্বর নদীতে। 

ঝুকির মধ্যে রয়েছে অন্তত ২০ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধ, হস্তান্তরের আগেই এমন অবস্থা হওয়ায় চিন্তিত এলাকাবাসী। নদী শাসন না করে এবং মাটির পরিবর্তে বালুর ব্যবহারে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে দাবি এলাকাবাসীর। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে নদী শাসন প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, অনুমোদন হলে কাজ শুরু হবে।

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সুপার সাইক্লোন সিডরের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বাগেরহাটসহ উপকূলীয় কয়েকটি জেলা। সরকারি হিসেবে এই দিনে প্রায় ৯‘শ ৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল সিডরের আঘাতে। আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল কয়েকশ কোটি টাকার। স্বজন হারানো বেদনা ও আর্থিক ক্ষতি ভুলে শরণখোলা-মোরেলগঞ্জবাসীর একমাত্র দাবি ছিল টেকসই বেড়ীবাঁধ। 

গণ মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সরকার ২০১৫ সালে ২৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প (সিইআইপি-কোস্টাল ইমব্যাংকমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট) নামে একটি প্রকল্পের অধীনে মোরেলগঞ্জ থেকে শরণখোলা উপজেলার বগী-গাবতলা পর্যন্ত ৬২ কিলোমিটার টেকসই বাঁধ নির্মান শুরু হয়। বেড়ীবাঁধের ৯৫ শতাংশ কাজ শুরু হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

তবে সম্প্রতি ১৮ অক্টোবর বলেশ্বরের ভাঙ্গনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ বেড়ীবাঁধের গাবতলা নামক স্থানে মূল বাধের নিচে ১০০ফুট এলাকার বেশকিছু সিসি ব্লকও নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। এছাড়া শরণখোলা উপজেলার বগী, ও মোরেলগঞ্জের আমতলা এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। বাঁধের ব্লক ধ্বসে বিলীন হচ্ছে নদীতে। বাঁধের ব্যাপক এলাকা জুড়ে বিশাল ফাটল ধরেছে। এছাড়াও বেশকয়েকটি স্থান ঝুকিপূর্ণ রয়েছে। হস্তান্তরের আগেই এমন অবস্থা হওয়ায় চিন্তিত এলাকাবাসী।

শরণখোলা উপজেলার দক্ষিন সাউথখালী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেক বলেন, বলেশ্বর নদীর ভাঙ্গনে আমার ও পরিবারের প্রায় ১৫০ বিঘা জমি হারিয়েছি। সিডরে স্বজন হারিয়েছি, বাঁধ নির্মান শুরু হলে আশায় বুক বেঁধেছিলাম। ভাঙ্গন ও দূর্যোগ থেকে মুক্তি পাব। সেই স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে রুপ নিয়েছে। টেকসই বেরিবাঁধেই ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। যেকোন মুহুর্তে বড় ধরণের ভাঙ্গন শুরু হবে। এখন মনে হচ্ছে বিপুল টাকার এই বাঁধ আমাদের কোন কাজে আসবে না।

গাবতলা এলকার আব্দুর রশীদ বলেন, বাঁধ নির্মানের শুরুতেই আমরা নদী শাসনের দাবি করেছিলাম। এজন্য সভা, সমাবেশ, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছিলাম। তারপরও নদী শাসন না করে বাঁধ নির্মান করেছে সিইআইপি প্রকল্প। এখন বাঁধে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, ফসলি জমি, গাছপালা, বসত ঘর ঝুকির মধ্যে রয়েছে।

দক্ষিন সাউথখালী গ্রামের জামাল জমাদ্দার বাঁধ নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ করে বলেন, বেরিবাঁধের দুই পাশে মাটি দিয়ে মাঝখানে ১০ থেকে ১২ ফুট উচ্চতায় বালু দেওয়া হয়েছে। যেকোন মুহুর্তে ব্লক সরে গেলে, সব বালু নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। তখন কোটি টাকার এই বাঁধ কোন কাজেই আসবে না।

মোরেলগঞ্জের খাউলিয়া ইউনিয়নের ফসিয়াতলা এলাকার দেলোয়ার তালুকদার বলেন, প্রতিনিয়তই ভাঙ্গনে ধ্বসে পড়ছে টেকসই বাঁধের ব্লকগুলো। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন জিওব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন বন্ধের চেষ্টা করলেও, কোন কাজে আসছে না। নদীতে পানির গভীরতা ৫০ থেকে ৬০ হাতের উপরে। সরকারের কোটি কোটি টাকা জলেই যাচ্ছে।

এদিকে ভাঙ্গনরোধে জরুরী ভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলে কোন কাজে আসছেনা বলে জানিয়েছেন ঠিকাদারের প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, গেল ১৫ দিনে গাবতলায় ভাঙ্গনরোধে ২০০ মিটার জায়গায় ১৪ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। তারপরেও ভাঙ্গন রোধ হচ্ছে না। এখানে কংক্রিটের ব্লক ফেলানো জরুরী বলে জানান তিনি।

শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত বলেন, সিডরের পরে আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মানের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড সিআইপি প্রকল্পের দূরদর্শিতার অভাবে নদী শাসন না করেই বাঁধ নির্মানের ফলে আজ বাঁধটি হুমকির মধ্যে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন ও ফাটল দেখা দিয়েছে। আমাদের আবারও দাবি খুব শীঘ্রই নদী শাসন করে বাঁধটি টেকসই করতে হবে।

সিইআইপি প্রকল্পের মাঠ প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল ইসলাম নাহিদ বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের ৬২ কিলোমিটার বেরিবাঁধ নির্মানের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে কাজ হস্তান্ত করা হবে। তবে বলেশ্বর নদীর স্রোত তীব্র হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। আমরা মাঠে থেকে পর্যবেক্ষন করে কাজ করছি। তবে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদী শাসন জরুরী হয়ে পড়েছে বলে জানান এই প্রকৌশলী।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ বলেন, ৬২ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধের ২০ কিলোমিটার ঝুকিপূর্ণ। নদীর গভীরতা ও স্রোত বেশি থাকায় ভাঙ্গন সৃষ্টি হওয়ায় নদী শাসনের একটি প্রকল্প প্রস্তাব উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে ভাঙ্গনের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। 


আরও খবর



বিজয়ীদের হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৫৯জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:২০২২ সালে চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ২৭ ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবির খন্দকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

এ বছর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে যৌথভাবে পুরস্কার জিতেছে মুহাম্মদ কাইয়ুম ও মো. তামজিদ উল আলম প্রযোজিত ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ এবং ‘পরান’ চলচ্চিত্র।

সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন তার ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ (বাংলায় ‘শিমু’ নামেও পরিচিত) চলচ্চিত্রের জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন।

চঞ্চল চৌধুরী ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রে প্রধান ভূমিকার জন্য সেরা অভিনেতা নির্বাচিত হন। সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন যৌথভাবে ‘দ্য বিউটি সার্কাস’ চলচ্চিত্রের জন্য জয়া আহসান এবং ‘শিমু’ চলচ্চিত্রের জন্য রিকিতা নন্দিনী শিমু।

আজীবন সম্মাননা যুগ্মভাবে দেওয়া হয়েছে অভিনেতা খসরু ও চিত্রনায়িকা রোজিনাকে। দেশের বাইরে থাকায় খসরুর পুরস্কার নেন অভিনেতা আলমগীর।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩