Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২৯৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতারক কুরবান আলী (৬২)’কে চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া হতে গ্রেফতার।বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব- ৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থাও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

২। গ্রেফতারকৃত আসামী প্রতারক কুরবান আলী(৬২) ২০১৫ সালে ভিকটিম মোহাম্মদ শফিফুল ইসলাম এর নিকট জমি বিক্রির কথা বলে ৬,০০,০০০ টাকা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে কুরবান আলী বিভিন্ন অজুহাতে শফিকুল ইসলামকে জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়নি। কোনক্রমেই জমি রেজিস্ট্রি করতে না পারায় শফিকুল ইসলাম বাধ্য হয়ে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যার সিআর মামলা নম¦র ১৪৯/১৬। পরবর্তীতে টিআর মামলা নম্বর ৫৫৮/১৭, ধারা -৪২০/৪০৬ পেনাল কোড আমলে নিয়ে সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালত প্রতারক কুরবান আলীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিন কারাদন্ড প্রদান করেন।

৩। বর্ণিত মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে প্রতারক কোরবান আলী আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানার ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক আসামী প্রতারক কুরবান আলী চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া এলাকায় অবস্থান আছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখ ১৬০৫ ঘটিকায় বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মুহাম্মদ কোরবান আলী, পিতা- মৃত মোজাহারুল হক চৌধুরী, সাং- নাজিরবাড়ি, থানা- পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম মহানগরীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

৪। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত মামলার ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিন কারাদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় সে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ ০৬ বছর যাবৎ কক্সবাজার জেলাসহ চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পরিচয়ে আত্মগোপনে ছিলেন।

৫। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



সৈয়দপুরে রেললাইন সংলগ্ন অবৈধ স্হাপনা উচ্চেদের পর আবার দখল

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image
সৈয়দপুর (নীলফামারী)প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে রেললাইন সংলগ্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় গত ৪ মার্চ । মাত্র ৪/৫ দিনের ব্যবধানে  সেগুলো আবার দখলে নিয়েছে দখলদাররা । উচ্ছেদ অভিযানের নামে এভাবেই চলছে ভাঙা-গড়ার খেলা। মাঝে মধ্যে অর্থ সংকট দেখা দিলে পকেট ভারী করতেই রেললাইন সংলগ্ন অবৈধ স্হাপন উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় বলে অভিযোগ  রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। 

অভিযোগে বলা হয় ৩ মার্চ রোববার রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ১ নং রেলক্রসিং হতে ২ নং রেলক্রসিং  পর্যন্ত রেল লাইনের দু’ধারে গড়ে ওঠা প্রায় দুই শক্তাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। সৈয়দপুরের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মো. সুলতান মৃধা নেতৃত্বে রেলওয়ে থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে। কিন্তু এ অভিযানের  পর মাত্র ৫/৬ দিন উচ্ছেদ করা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুরনো চিত্রে রূপ নেয়। 

সরেজমিনে দেখা গেছে,  উচ্ছেদের মাত্র ৫/৬ দিন যেতে না যেতেই ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ জায়গায় অস্থায়ী দোকান বসিয়ে ফের ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। রেললাইনের দুইপাশ আগের সেই অবস্থাতেই ফিরে গেছে। এতে করে ঝুঁকি নিয়ে চলছে একাধিক ট্রেন। ক্ষমতাসীন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী, রেলওয়ে আসাধু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রেল  পুলিশের  কারণেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।দুই নং রেলক্রসিং এলাকা থেকে  ফলের দোকান ও শীতবস্ত্রের দোকানসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। 

কিন্তু রেল কর্মকর্তা  সুলতান মৃধা চলে যাওয়ার পরপরই আবার ওই স্থান দখল হওয়া শুরু হয়ে যায়।  নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বললেন, ‘এখানকার কয়েকজন নেতা, রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রেলওয়ে থানা পুলিশকে নিয়মিত টাকা দিতে হয়।’কারন আমরা গরীব মানুষ। দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করার সামর্থ নেই আমার। একারনে তাদের মাসিক কিছু দিয়ে রেললাইন সংলগ্ন ব্যবসা করেছি। কয়েক দিন আগে এই এলাকার ব্যবসায়িদের কাছে বেশি টাকা দাবী করেন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও কয়েকজন রেল পুলিশ। তাদের দাবী কৃত অর্থ দিতে না পারায় আমাদের দোকানপাট গুড়িয়ে দেয়া হয়। 

রেলওয়ে শ্রমিক লীগের এক নেতা বলেন, সারা সৈয়দপুরে রয়েছে রেলওয়ের প্রায় সারে ৮ শ একর সম্পত্তি। এরমধ্যে গরীবের চেয়ে বড়লোকরাই বেশি রেলওয়ের জমি অবৈধ ভাবে দখল করে ঘরবাড়ি ও মার্কেট নির্মাণ করে আছেন। কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপই নেন না। কারন অর্থ বানিজ্য। গরীবরা তাদের দাবীকৃত অর্থ দিতে পারে না বলেই বার বার উচ্ছেদ করা হয়। তাছাড়া সামনে রমজান ও পবিত্র ঈদে টাকার দরকার আছে বলেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানান তিনি। রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন কারখানা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ রোবায়েতুর রহমান বলেন, রেলপথ বিভাগের মনোভাবের কারণে রেললাইন সংলগ্ন অবৈধ স্হাপনা গড়ে তুলেছেন অনেকেই এবং ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন।

সৈয়দপুরের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মো. সুলতান মৃধা বলেন অভিযান অব্যাহত থাকবে। উপর মহলের নির্দেশ পেলে আগামীতে রেললাইন সংলগ্ন অবৈধ ভাবে কোন দোকান পাটই নির্মান করতে দেয়া হবে না বলে জানান তিনি। 

আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




ডোমারে চাকুরী দেয়ার নামকরে ২৫ লক্ষটাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারক দুলাল পলাতক, থানায় মামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ২৯জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমার কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম এলাকার মৃত-আঃ কাদের এর ছেলে দুলাল হোসেন (৫২) এলাকার বেকার যুবককে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিভিন্ন পদে চাকুরী দেয়ার নাম করে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে এক ভুক্তভুগি দুলালের বিরুদ্ধে ডোমার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা সুত্রে জানাযায় ডোমার ডিমলার সাবেক এমপি ইঞ্জিঃ শাহরিন ইসলাম তুহিন সাহেবের গাড়ী চালক ছিলেন দুলাল। বিএনপি ক্ষমতা চলে যাওয়ার পরথেকে দুলাল তার ৬ষ্ঠ তম স্ত্রী রানু বেগমকে নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করে। চলাফেরার ভাব ছিলো রাজকীয়, এলাকায় আসতেন বিভিন্ন ধরণের দামী গাড়ী নিয়ে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লোগো স্টিকার লাগিয়ে মানুষের সাথে সক্ষ্যতা তৈরী করে। নিজেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি মহোদয়ের গাড়ী চালকের পরিচয় দিয়ে নিয়োগপত্র দেখিয়ে এলাকার

বেকার অনেক যুবককে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিভিন্ন পদে চাকুরী দেয়ার নাম করে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা নেয়ার পরথেকে ফোন থেকে শুরু করে সবধরণের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় প্রতারক দুলাল। বিষয়টি সন্দেহ হলে ভুক্তভুগিরা ঢাকায় খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে তারা কোন চাকুরী করে না, দুই স্বামী স্ত্রী এবং দুলালের ছেলে ইমরান খান (২৪) তারা একটি ঐক্যবদ্ধ চক্র ঢাকা তুরাগ থানা এলাকার ভাবনার টেক মাতবর বাড়ীতে হাজী আঃ রশিদের ৩ তলা ভবনে ভাড়া থেকে বিভিন্ন এলাকায় এধরণের প্রতারণা কর্মকান্ড চালায়। গত ৬মার্চ ২৪ তুরাগ থানা এলাকার মাতবর বাড়ী হাজী আঃ রশিদের বাড়ীতে গিয়ে বাসা ওয়ালার কাছ থেকে জানাযায়, তার বন্ধু হাজী জাফর আলীর ছেলেকে চাকুরী দেয়ার নাম করে ২ জনের কাছে ৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গত ২৭ ফেব্রুয়ারী ৪ মাসের ঘড় ভাড়া না দিয়ে রাতে অন্ধকারে মালামাল রেখে স্বামী ও স্ত্রী ছেলে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে হাজী জাফর আলী জানান, আমি গতবার হজে¦ যাওয়ার আগে মিস্টি মিস্টি কথা বলে সক্ষ্যতা তৈরী করে। এক পর্যায়ে বলে আপনি হজ¦ থেকে এসে দেখবেন আপনার ছেলে চাকুরীতে জয়েন্ট করেছে। এমনি ভাবে ৮লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এক সময় তার মা রংপুর মেডিকেলে ভর্তির কথা বলে এবং শেষে মা মারাগেছে লাশ বাড়ীতে নেয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নেয় দুলাল। অথচ পরে জানতে পারি তার মা বেঁচে আছে, এমন প্রতারকের নামে

মামলা করবে বলে তিনি জানান। দুলালের ফুপা কেতকীবাড়ী চান্দখানা ইন্দিরার পাড় এলাকার আশরাফ আলী মুন্সি বলেন, দুলাল আমার ভাতীজা হয়,আমার ছেলে রবিউলের চাকুরী দেয়ার নামে প্রথমে বিশ^াস স্থাপন করার জন্য সামান্য কিছু। পরে ধাপে ধাপে ডিও লেটার, ভুয়া নিয়োগ পত্র দেখীয়ে মোট ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে ফোন নম্বর বন্ধ করে রাখে। সে কতটা খারাপ লোক নিজ গ্রামে, ফুপা, বোনের শশুর এমন কি মেয়েকে উকিল দিয়ে সেই নতুন জামাইকেও ছাড় দেয়নি প্রতারক দুলাল। চিলাহাটি আদর্শ পাড়ার ওছমান গনির ছেলে নাজমুল ইসলাম বলেন তার কাছ থেকে ভুয়া নিয়োগপত্র দেখিয়ে মোট ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার, সিরাজুল ইসলামের ছেলে গোলাম হোসেনের কাছে ২ লক্ষ ৮০ হাজার হাতিয়ে নিয়ে পলাতক রয়েছে ঐ প্রতারক চক্রটি। এ বিষয়ে একজন ভুক্তভুগির অভিভাবক আনিছুর রহমান মানিক বাদী হয়ে গত ১৬ মার্চ ডোমার থানায় দুলাল ও তার স্ত্রী রানু বেগম এবং ছেলে ইমরানের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। চক্রের মুল হোতা দুলালসহ সহযোগিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানান ভুক্তভুগি পবিাররের সদস্যগণ।


আরও খবর



মাগুরায় মহম্মদপুর উপজেলা বিএনপির ১০ নেতাকর্মী জেল হাজতে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:নাশকতার মামলায় মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মৈমুর আলী মৃধা সহ ১০ নেতাকর্মী আদলতে আত্মসমর্পন করায় সোমবার তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১লা সেপ্টেম্বর মহম্মদপুর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের সময় পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মহম্মদপুর থানায় সুনির্দিষ্ট ১শ ১ জন সহ ১ হাজার ৩শ জনের নামের নামে মামলা দায়ের হয়।

অন্যদিকে ১ নভেম্বর উপজেলার ধোয়াইল আদর্শ নুরানী হাফেজি মাদ্রাসা ও এতিমখানার সামনে রাত ১২ টার দিকে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণ এবং নাশকতার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৭জনকে আটক করা হয়। এ ঘটনার পরদিন বিএনপির সুনির্দিষ্ট ৯৯ জন সহ ১শ ৫০ জনকে আসামী করে মামলা হয়।

আসামী পক্ষের আইনজীবী রোকনুজ্জামান খান জানান, উভয় মামলার ১০ আসামী সোমবার মাগুরা জেলা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমনা পাল তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামীরা মহম্মদপুর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী বলে তিনি জানান।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




২০২৪-২৫ সেশনে নারীদের জন্য স্টেম স্কলারশিপ নিয়ে এলো ব্রিটিশ কাউন্সিল

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:যুক্তরাজ্যের শিক্ষার সুযোগ ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক নিশ্চিতের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ কাউন্সিল, সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে ‘ব্রিটিশ কাউন্সিল স্কলারশিপ ফর ইউমেন ইন স্টেম’ প্রোগ্রাম চালুর ঘোষণা দিয়েছে। স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) বিষয়ে যুক্তরাজ্যে স্নাতকোত্তর করতে আগ্রহী নারীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।বৈচিত্র্য, ভিন্নমত ও উদ্ভাবন নিশ্চিত ও প্রসার করতে স্টেম খাতে নারীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।

নারীদের অংশগ্রহণ কেবল লিঙ্গবৈষম্য কমিয়ে আনবে না, তাদের অনন্য দক্ষতা কর্মক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলবে; যা সর্বোপরি সমাজকে বিজ্ঞানভিত্তিক ও প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কান্ট্রি জেন্ডার অ্যাসেসমেন্ট ২০২১ এর হিসাব অনুযায়ী, দেশের স্টেম পেশাজীবীদের মধ্যে মাত্র ১৪ শতাংশ নারী। গবেষণায় দেখা যায়, সরকারি প্রতিষ্ঠানে নারী শিক্ষার্থীদের স্টেম বিষয়ে ভর্তির হার মাত্র ৩৮ শতাংশ, আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির হার ৪৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার বাকি দেশগুলোর স্টেম বিষয়ে অধ্যয়নরত নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫টি স্কলারশিপ ঘোষণা করা হয়েছে। কুইন মেরী ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন, অ্যাংলিয়া রাসকিন ইউনিভার্সিটি, গ্রিনিচ ইউনিভার্সিটি, দ্য ইউনিভার্সিটি অব সাউথ্যাম্পটন ও কভেন্ট্রি ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্যের এই ৫টি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নের ক্ষেত্রে স্কলারশিপের সুযোগ থাকছে। যুক্তরাজ্যের সমৃদ্ধ স্টেম খাতে অধ্যয়নের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজ দেশে গবেষণা ও উদ্ভাবন এগিয়ে নিতে এবং এই খাতে নিজেদের ক্যারিয়ার গঠন করতে বৃত্তিপ্রাপ্তদের দক্ষ করে তুলবে এই স্কলারশিপ। সাইটেবল রিসার্চের (গবেষণা) ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য বর্তমানে বিশ্বের ৩য় অবস্থানে রয়েছে এবং যুক্তরাজ্যে ভিত্তিক সমস্ত প্রকাশনার ৫৫.২ শতাংশই সম্মিলিত প্রচেষ্টার (সহযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক গবেষণা) মাধ্যমে সম্পূর্ণ করা হয়।

এই স্কলারশিপের আওতায় টিউশন ফি, স্টাইপেন্ড, ভ্রমণ খরচ, ভিসা, হেলথ কভারেজ ফি ও ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ সাপোর্ট থাকছে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি ডেটা সায়েন্স, কম্পিউটার সায়েন্স,ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং,ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট, ইনটেলিজেন্ট হেলথকেয়ার এবং

অ্যাকচুয়ারিয়াল সায়েন্সে পড়ার সুযোগ পাবেন।এ বিষয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের হেড অব এডুকেশন বাংলাদেশ তৌফিক হাসান বলেন, “বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনংসংখ্যাই নারী, প্রতিনিধিত্ব করছেন গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় মেধাশক্তির। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিজ্ঞান ও গবেষণায় নারীদের পূর্ণ অংশগ্রহণ প্রয়োজন। কেবল ধারণা হিসেবে নয়, বরং মানবজাতির সমৃদ্ধির জন্যই এখন লিঙ্গসমতা নিশ্চিত করা জরুরি। উইমেন ইন স্টেম স্কলারশিপের মতো আমাদের এই উদ্যোগের লক্ষ্য স্টেম বিষয়ে শিক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্রে নারীদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা প্রদান, তাদের সক্ষমতার বিকাশে সাহায্য করা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য অবদান নিশ্চিত করা।”


২০২০ সাল থেকে এই প্রোগ্রামটি ৩০০টি’রও বেশি স্কলারশিপ প্রদান করেছে। বৈশ্বিকভাবে ২০২৩-২৪ সেশনে নির্ধারিত কোর্সে ৯২জন শিক্ষার্থী এই সুযোগ পেয়েছেন। বিশ্বায়নের এই যুগে নারীদেরকে সফল হতে এবং স্টেম খাত সংশ্লিষ্ট বৈশ্বিক স্বীকৃতি পাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়ার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কাউন্সিলের অব্যহত প্রতিশ্রুতির অংশ এই স্কলারশিপ।নারীদের নেতৃত্ব বিকাশ এবং নিজ দেশ ও যুক্তরাজ্যে স্টেম বিষয়ে অধ্যয়নরত নারীদের মধ্যে যোগাযোগের সুযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে স্টেম খাতে ক্যারিয়ার গঠন ও অবদান রাখার জন্য নারীদের অনুপ্রাণিত করাই এই স্কলারশিপের লক্ষ্য। নারীরা ডিপেন্ডেন্ড সহ (নির্ভরশীল সদস্য) এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে

পারবেন, সেক্ষেত্রে তারা অতিরিক্ত কিছু সহযোগিতাও পাবেন।
এবছরের মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে আবেদন গ্রহণের শেষ সময় যা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পূর্ণাঙ্গ তালিকা, কোর্সের তালিকা,

নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের শেষ সময়, ভর্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা বা অন্য যেকোনোতথ্যের জন্য ভিজিট করুন https://www.britishcouncil.in/study-uk/scholarships/womeninstem-
scholarships

আরও খবর



যারা ৭ই মার্চ পালন করে না তাদের নিয়ে সন্দেহ আছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:যারা ৭ই মার্চ মানে না বা পালন করে না, তারা স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে কি না সন্দেহ আছে,বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস উপলক্ষ্যে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা আজকে ৭ই মার্চকে অস্বীকার করে, তারা আসলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে কতটুকু বিশ্বাস করে এটি হচ্ছে সন্দেহজনক। বাংলাদেশের ইতিহাস, স্বাধীনতা ৭ই মার্চ ছাড়া হতে পারে না।

সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এরপর দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আরও একবার ফুলেল শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে স্বাধীনতার মহানায়কের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা। এ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।


আরও খবর