Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইলে ডাকাতি মামলার ২ আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৩১৪জন দেখেছেন

Image

রুপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃমোঃআবু কাওছার মিঠু 

নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের, দক্ষিণপাড়া সরকারবাড়ি এলাকা থেকে ডাকাতি মামলার ২ আসামি  মাছুম ওরফে টোরলা মাছুম (৩২) ও সোহান (২৬) গ্রেপ্তার হয়েছে। বহুদিন তারা আত্মগোপন করেছিলো।পুলিশ  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।


ভূলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আসামি  মাছুম ওরফে টোরলা মাছুম ও তার সহযোগী সোহানের নামে রূপগঞ্জ থানায় একাধিক চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। আমাদের পুলিশ ফাঁড়ির  টিম দীর্ঘদিন চেষ্টা করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে ৩টার দিকে এই ২জন আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। পরে তাদের রুপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং যথা নিয়মে তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



ইবির নতুন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৫০জন দেখেছেন

Image
সাব্বির খান, ইবি প্রতিনিধি:ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নতুন ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল।  

শনিবার (৩০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের এইচ. এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। এতে তিনি সদ্য বিদায়ী ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.  শেলীনা নাসরীন-এর স্থলাভিষিক্ত হন। 

অফিস আদেশ ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ. এম. আলী হাসান জানান, 'ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে শনিবার (৩০ মার্চ) থেকে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহকে পরবর্তী ০১ (এক) বছরের জন্য উপাচার্য মহোদয় নিয়োগদান করেছেন। এ অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি বিধি মোতাবেক সুযোগ সুবিধা পাবেন।'

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে যে দায়িত্ব অর্পণ করেছে, সে বিষয়ে আমি পূর্ণ যত্নবান থাকবো। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে আন্তরিকভাবে কাজ করার চেষ্টা করবো।'

উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির পরিচালক ছিলেন।

প্রসঙ্গত, অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন দীর্ঘদিন একান্ত নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে ছাত্র উপদেষ্টা দায়িত্ব পালন করায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কর্তৃপক্ষ।

আরও খবর



"আল্লাহ যেন দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগের তৌফিক দান করেন"

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শবে কদর রজনীতে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) লাইলাতুল কদর উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘লাইলাতুল কদর এক অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত পবিত্র রজনী। সিয়াম সাধনার মাসের এই রাত্রিতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মানবজাতির পথ নির্দেশক পবিত্র আল-কোরআন পৃথিবীতে নাযিল করেন। মহান আল্লাহ কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তা (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে তুমি কি জানো? কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতারা ও রুহ [জিবরাইল (আঃ)] অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিময় সে রাত বিরাজ করে ফজরের আবির্ভাব পর্যন্ত।’ (সূরা আল-কদর, আয়াত ১-৫)

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কদরের রজনীর অপার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনের সূরা আদ-দুখানে বলেছেন নিশ্চয়ই আমি তা (কুরআন) এক মুবারকময় রজনীতে অবতীর্ণ করেছি, নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফয়সালা হয় ৷

মহান আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরের রজনীকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রজনীতে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তার অসীম রহমত, বরকত ও মাগফিরাত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনিতে দোয়া করি মহান আল্লাহ যেন আমাদের সকল প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে মানবকল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার তৌফিক দান করেন।

পবিত্র এই রজনীতে তিনি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।


আরও খবর



মাগুরার ঈদ বাজারে বেচাকেনা কম ক্রেতাদের হাতে পয়সার অভাব

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৭২জন দেখেছেন

Image
মাগুরা থেকে সাইদুর রহমান:মাগুরায় ঈদকে সামনে রেখে ঈদের বাজার   যেমন জমে ওঠার কথা তা এবার পরিলক্ষিত হয়নি। রোজা শেষ হতে চললেও মাগুরা শহরের দোকানপাটে বেচা কেনা আশানুরূপ হচ্ছেনা একথা জানান ব্যবসায়ীরা। একেত মানুষের কাছে পয়সার অভাব, অপরদিকে ভারতীয় পণ্য বর্জনের প্রভাবের ফলে ব্যবসায়ীরা ভাল বেচাকেনা করতে পারছেনা। অপরদিকে ক্রেতারা তাদের প্রয়োজনীয় দ্রব ক্রয়ের বাজেট করেও   কিনতে  হীমসিম খাচ্ছে। মাগুরা বেবীপ্লাজায় ঈদের কাপড় চোপড় কিনতে আসা রুকসানা পারভিন জানান, পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্য ১৫ রমজানের পর থেকে কিছু কাপড় চোপড় কিনে এখন বাকি সদস্যদের জন্য কিনতে বাজেট শেষ। ঈদকে সামনে রেখে   যুবক যুবতীরা রোজার প্রথমদিকে  তাদের পছন্দের পোশাক কিনতে বিভিন্ন দোকানে ভিড় করে। সে সময়   শহরের নুরজাহান প্লাজা, সুপার মার্কেট, বেবি প্লাজা, জামান মার্কেট, মরিয়ম প্লাজা, কাজী টাওয়ার, সমবায় মার্কেট, খন্দকার প্লাজায় কাপড় বিক্রি হয়েছে।  সকাল ৯ টা থেকে রাত১২ টা পর্যন্ত চচলে বেচা কেনা। তবে দোকানীরা বলেন, ক্রেতার চেয়ে দেখার জন্য ভীড় এবার বেশী ছিল। মাস শেষে বেতন পাওয়ার পর 

বৃহস্পতিবার দেখা গেছে, বিভিন্ন দোকানে ঈদের পোশাক ক্রয়ে মানুষের ভিড় বাড়ছে। দোকানীরাও বলছে বর্তমানে বেচাকেনা মোটামুটি হচ্ছে। ঈদে শিশুদের পছন্দের তালিকায় সবার আগে রয়েছে আফগানী সালোয়ার কামিজ।  তাছাড়া দোকানিরা জানান  গাইনি ও বুটিক কাজের কাপড় মেয়েদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়।  শহরের হাজীপুর কমপ্লেক্সের দোয়েল ফেব্রিক্স ও টেইলার্সের মালিক মোঃ আলাউদ্দিন।  বলেন, সামনে ঈদ নিয়ে কয়েকদিন আমরা খুব ব্যস্ত সময় পার করছি।  তিনি আরও বলেন, এবারের ঈদে মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে দেশি থ্রি পিস।  দেশি থ্রি পিসের দাম ৭০০ থেকে ১৫০০ টাকা। বিদেশী থ্রি পিচ ১০০০ থেকে ২২০০ টাকার মধ্যে বিতরণ করা হয়। তবে বেচা কেনা কম। বড় বড় দোকানে ভীড় তেমন একটা না থাকলেও শেষ দিকে রাস্তার পাশের ছোট ছোট দোকানে নিম্নবিত্তের মানুষের ভীড় দেখা যাচ্ছে। রাস্তার পাশের ছোট দোকানে ছেলে মেয়ের জন্য ঈদের কাপড় কিনতে আসা রিকসা চালক রওশন মিয়া বলেন, তিনটি ছেলে মেয়ে তাদের কাপড় কেনার ইচ্ছা নিয়ে দোকানে এসে কাপড়ের যা দাম তাতে কিনতে না পেরে ফিরে যাচ্ছি। এক সাথে তিনজনের না কিনলে হবেনা। তাই টাকা জমা করে আবার আসতে হবে। আর নিজেদের কাপড় কেনার কথা গত তিনচার বছর চিন্তাও করিনা। ভারতীয় পণ্য বর্জনের প্রভাব মাগুরায় ও পরিলক্ষিত হচ্ছে। থ্রীপিস মেয়েরা দেশী কিনছে  এছাড়া ভারতের শাড়ীর প্রতি দুর্বলতা খাকলেও ভারতীয় পণ্য বর্জনের প্রভাবে ভাটা পড়ছে ভারতীয় শাড়ী বিক্রিতে। মাগুরা শহরের বকশী মার্কেটর মদিনা শাড়ীর দোকানের শাড়ী বিক্রেতা বিপ্লব জানান, এবার ভারতীয় কাপড় ক্রেতারা তেমন একটা চাচ্ছেনা। মানুষের হাতে টাকা কম তাই কেনা কাটায় প্রভাব পড়েছে। এদিকে জেলা পুলিশ প্রশাসন ঈদের বাজারের শান্তিশৃংখলা রক্ষায় সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মাগুরা ঈদের বাজারে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজে অংশ নিতে পারবেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৭৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:৩৫ হাজার মুসল্লির অংশ নিতে পারবেন জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রধান জামাতে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, এই জামাতে নারীদের নামাজের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএসসিসি মেয়র। জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।

তিনি বলেন, এখানে ৩৫ হাজার মুসল্লির জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা আশা করছি কোনো ধরনের বৃষ্টিপাত হবে না। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আমরা সে ধরনের তথ্য পেয়েছি। কালবৈশাখী ঝড় অথবা প্রবল বৃষ্টিপাত হলেও এখানে যেন সুষ্ঠুভাবে জামাত অনুষ্ঠিত করা যায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি। পুরোটা অংশ আমরা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। যেন পানি পড়তে না পারে এবং কোনো দুর্ভোগ না হয়।

মেয়র তাপস আরও বলেন, এখানে আমাদের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থাকবে এবং সব স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা থাকবে। যাতে করে কোনো মুসল্লির কোনো সমস্যা না হয়। জামাতে প্রবেশের জন্য ৪টি প্রবেশ পথ তৈরি করা হয়েছে। নারীদের জন্য আলাদা প্রবেশ পথ রয়েছে। এছাড়া জামাত শেষে বেরোনোর জন্য আরও তিনটি ফটক আমরা রেখেছি। যাতে কর দ্রুত সবাই বের হয়ে যেতে পারে।


আরও খবর



ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যত অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১১৭জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ:নওগাঁর মান্দার উত্তরা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবব্রত চক্রবর্তী ওই কলেজের উপাধ্যক্ষ  আবদুল মজিদকে সরিয়ে বিধিবহির্ভূত ভাবে পৌনে দুই বছর যাবৎ অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা বহির্ভূত ভাবে অনার্স শাখায় সেমিস্টার সহকারী পদে ৮ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। এ নিয়ে শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের মাঝে চলছে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা।

অভিযোগে জানা যায়, ওই কলেজের অর্থনীতি বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক দেবব্রত চক্রবর্তী গত ২০২২ সালের ১১জুন দায়িত্ব নিয়ে এখন পর্যন্ত বিধিবহির্ভূত ভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ গত ৫ ফেব্রুয়ারি জারী হওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়ার পরিপত্রটিকেও তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছেন। এমনকি সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় পদ না থাকলেও তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর অবৈধভাবে অনার্সের ৮টি শাখায় সেমিনার সহকারী পদে ৮ জনকে নিয়োগ দিয়েছে। গত ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর ইতিহাস ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের নিয়োগপ্রাপ্তরা যোগদান করেন এবং ওই বছরের ১৭ অক্টোবর অন্যান্যরা যোগদান করেন। নিয়োগ প্রাপ্তরা হলো, বাংলা বিভাগে মো. কামরুল হাসান, ইসলামের ইতিহাস বিভাগে রবিউল ইসলাম, ইতিহাস বিভাগে সাগিরা খাতুন, রাস্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মো. নুরুল আমিন, মনোবিজ্ঞান বিভাগে ইফতেখার হোসেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগে রীনা খাতুন, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে আনোয়ার হোসেন ও ভূগোল বিভাগে মোস্তাফিজুর রহমান।

জানতে চাইলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন, আমি যখন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেই তখন কলেজের সিনিয়র ৫ জন শিক্ষকের মধ্যে একজন দায়িত্ব নেওয়ার নিয়ম ছিল। বর্তমানে আমার কলেজে কোন গভর্নিং বডি নেই গভর্নিং বডি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই বডি পাশ হয়ে আসলে তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। আপনার সময়ে ওই কলেজে বিধিবহির্ভূত ভাবে ৮জন সেমিস্টার সহকারী কিভাবে নিয়োগ দিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমপিও নীতিমালায় পদগুলো না থাকলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিপত্র আছে। সেই পরিপত্রের ভিত্তিতে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জারীকৃত সেই পরিপত্র চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি।

জানতে চাইলে ওই কলেজের উপাধ্যক্ষ আবদুল মজিদ বলেন, আমি ওই কলেজের উপাধ্যক্ষ আমি আগে ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ করে তৎকালীন গভার্নিং বডির সভাপতি আমাকে বাদ দিয়ে আমার কলেজের অর্থনীতি বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক দেবব্রত চক্রবর্তীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছেন। তখন থেকে তিনিই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ পরিপত্র অনুযায়ী তিনি ওই পদে থাকতে পারেন না। 

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা আরজুমান বানু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

আরও খবর