Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

রূপগঞ্জের একাধিক মামলার আসামী গিয়ার গ্রুপ প্রধান মাসুম গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ ডিসেম্বর ২০22 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৪৬২জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টারঃ মোঃআবু কাওছার মিঠু 

 নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের হত্যা, চাঁদাবাজি, মাদকসহ একাধিক মামলার আসামী গিয়ার গ্রুপের প্রধান মাসুম বিল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্যের অফিস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


গ্রেপ্তারকৃত মাসুম বিল্লাহ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের বাঘ মুচড়া এলাকার মিলন মিয়ার ছেলে।

ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গোলাকান্দাইল এলাকার কিশোর গ্যাং-র প্রধান মাসুম বিল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে পলাতক অবস্থায় থেকে বিভিন্ন প্রকার অপকর্ম করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় সে ৬ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্যের অফিসে অবস্থানরত রয়েছে। পরে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


তিনি আরো বলেন, তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তার গ্রুপের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সন্ত্রাসী কর্মকান্ড যে-ই করুক কোন ছাড় পাবেনা। সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ি তৎপর রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত মাসুম বিল্লাহকে গোলাকান্দাইল আধুরিয়া এলাকার একটি হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচন সম্পূর্ণের আহবান চেয়ারম্যান প্রার্থীর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থেকে আসন্ন উপজেলা নির্বাচন সম্পূর্ণ করার আহবান জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো: সেলিম আজাদ। শনিবার দুপুরে কালিয়াকৈর মডেল প্রেসক্লাবের আয়োজনে উপজেলার লতিফপুর এলাকায় ঈদ পুনর্মিলন ও মতমিনিসময় সভায় এ আহবান জানান তিনি।

এসময় উপজেলার ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আমি নির্বাচিত হলে দলমত নির্বিশেষে সবাই মিলে এটাকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেসব মিশন নিয়েছেন আমার নেতা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় সেসব উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখবো। এখানকার অসহায় জনগোষ্টিকে স্বাবলম্বী ও বেকারত্ব দূরীকরণে অগ্রনী ভুমিকা পালন করবো। এছাড়া জনগণের ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে উপজেলার প্রতিটি গ্রাম-মহল্লায় গিয়ে উন্নয়ন কাজ করেছি। প্রায় তিন হাজারের বেশি ওয়াজ মাহফিলসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করেছি। আশা করছি এসব কাজের জন্যেই জনগন ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবেন।

কালিয়াকৈর মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমারত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীরের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন- কালিয়াকৈর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল কদ্দুস খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন, দীপ্ত টেলিভিশনের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন- কালিয়াকৈর মডেল প্রেসক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা।


আরও খবর



রাণীশংকৈলে মহান আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image
মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃমহান মে দিবস শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৩৮ বছর আগে ১৮৮৬ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের যে মার্কেটে শ্রমিকেরা কাজের সময় সীমা আট ঘণ্টা নির্ধারণ, কাজের উন্নত পরিবেশ, মজুরি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে ধর্মঘট আহবায়ন করেন। দাবি আদায়ের জন্য বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা সেদিন পথে নেমে এসেছিলেন। অত্যন্ত ববর কায়দায় দমন করা হয়েছিল সেই শ্রমিকের বিক্ষোভ। পুলিশের গুলিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন শ্রমিকেরা। 

এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১ মে) ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় মহান মে দিবস পালন উপলক্ষে উপজেলার মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন, ঠাকুরগাঁও জেলা ট্রাকটাংকলরী কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়ন, ঠাকুরগাঁও জেলা ট্রাক্টর শ্রমিক ইউনিয়ন, উপজেলা দোকান কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়ন ও হোটেল রেস্তোরাঁ শ্রমিক সমিতির যোথ আয়োজনে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শামসুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- সাবেক এমপি ইয়াশিন আলী, সাবেক সাংসদ ও জেলা আ'লীগ সহ-সভাপতি সেলিনা জাহান লিটা,আ’লীগ সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক, মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, আ’লীগ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহম্মেদ, ভাইসচেয়ারম্যান সোহেল রানা,জাতীয় পার্টির যুগ্ম সম্পাদক আবু তাহের, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম ও মোবারক আলী, বাংলাদেশ সহকারি শিক্ষা অফিসার কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি এসএমএ রবিউল ইসলাম সবুজ, এ্যাডভোকেট শেখ ফরিদ,আ'লীগ সহ-সভাপতি মুক্তার আলম, যুবলীগ সম্পাদক রমজান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান, নন্দুয়ার ইউনিয়ন আ'লীগ যুগ্ম সম্পাদক শাহনেওয়াজ আলী,পৌর আ'লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, রাজ-৮৮ সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সহকারি শিক্ষক সাধন বসাক, শ্রমিক নেতা মোকসেদ আলী, আমজাদ আলী,প্রদিপ সাহা,সমির উদ্দিন প্রমুখ।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শ্রমিক নেতা হযরত আলী, 

এছাড়াও বিভিন্ন দলের পদে থাকা রাজনৈতিক নেতা কর্মী বৃন্দ,সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যাক্তি বর্গ শ্রমিকেরা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।অপরদিকে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকে নির্মান শ্রমিক ইউনিয়ন,রিক্সা ভেন শ্রমিক ইউনিয়ন সহ কয়েকটি সংগঠন ট্রেড ইউনিয়ন এক সঙ্গে সমন্বয় করে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেন। 

আরও খবর



বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী বাবর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ২০৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃবঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী দাগনভূঞা উপজেলা আ'লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি কাশেদুল হক বাবর ছিলেন একসময়ের বিএনপির দূর্ধর্ষ ক্যাড়ার পরে আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর হলেন ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক আর বর্তমানে উপজেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি। আ'লীগের মনোনয়নে রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও হয়েছিলেন দলছুট বাবর। বাবর ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করলেও ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি বএনপিতে যোগদেন। বাবর বিএনপিতে যোগদানের পরই তার নির্দেশেই ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত  রাজাপুর ও সিন্দুরপুরে আ'লীগ নেতাকর্মীদের উপর চালানো হয় নির্যাতনের স্ট্রিমরোলার। ঘর-বাড়ী ছাড়তে হয় অনেক নেতাকর্মীকে। বাবরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আ'লীগের নেতাকর্মীরা।

তৎকালীন সময়ে সরাসরি তার নির্দেশে নির্যাতনের শিকার হওয়া আ'লীগ নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন সময়ে রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বজলুর রহমানের নেতৃত্বে জাফর ইমাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির একটি সভায় তৎকালীন ফেনী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও অত্র আসনের সাংসদ জয়নাল আবেদীন ভিপির গলায়দ ফুলের মালা দিয়ে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। সে বিএনপিতে যোগদানের পরপরই রাজাপুর ইউনিয়ন আ'লীগ নেতাকর্মীদের উপর চালাতে থাকে নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার। ঘর বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে গেছে শত শত নেতাকর্মী।

বাবরের নির্যাতনের শিকার তৎকালীণ রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ক্রীড়া ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক, বর্তমান উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক মো. কামাল হোসেন জানান, আমি রাজাপুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদে বসে রইছি তখন বাবরের নেতৃত্বে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপর হামলা চালায় এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ভাংচুর করে। আমি কোনমতে বেঁচে ফিরি। পরে বাবর আমার বাড়ীতে এসে হুমকি দিয়ে যায় যে আমি যেন বাড়ী থেকে চলে যাই। তারপর আমার পরিবার রাতের আঁধারে আমাকে বাড়ী থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল যার হাতে আ'লীগ নেতাকর্মীদের রক্ত লেগে আছে সেই বাবর আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবার আ'লীগের পদ বাগিয়ে নিল এবং আ'লীগের নৌকা নিয়ে সে চেয়ারম্যান ও হল।

কামাল ছাড়াও বাবরের হাতে বিএনপি সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার হয় আ'লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী।  আ'লীগ সমর্থন করার অপরাদে  মুন্সী নুরের জামান, লোকমান, শেখ আহমেদ, কুতুব উদ্দিন, বেলাল, শাহ জালাল, নুর উদ্দিন, নুর আলম, জাহাঙ্গীর, মিয়া, হুমায়ুন, মান্নান, জাহের, মহিউদ্দিন ও মৃত আহছান উল্যাহকে ডেকে এনে তাদেরকে অস্ত্র দিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল বাবর। পরে তখনকার বিএনপির সভাপতির হাতে পায়ে ধরে এদের অভিভাবকরা তাদের জীবন রক্ষা করেন। বিএনপির আমলে বাবরের দূর্ধর্ষতার কাহিনী শুনলে এখনো আঁতকে উঠে রাজাপুরে বাবরের হাতে নির্যাতিত হওয়া আ'লীগ পরিবারের ওইসকল সদস্যরা।

বাবরের হাতে নির্যাতিত হন আ'লীগ নেতা আব্দুল মন্নান জানান, (বর্তমানে কুয়েত প্রবাসী) সে জানা, বিএনপির আমলে আমি দোকানে চা খাইতেছিলাম তখন বাবরের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা  এলজির মাথা দিয়ে চায়ের কাপ ফেলে দিয়ে আমাদের  দোকানে আসার অনুমতি কে দিয়েছে বলে মারধর করে। এবং গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলে।

আ'লীগ নেতা জাহাঙ্গীর (বর্তমান সৌদি প্রবাসী) সে জানান, আমি আ'লীগ সমর্থন করার অপরাদে বিএনপির আমলে বাবরের নেতৃত্ব বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমার চায়ের দোকানে এসে মাঘ মাসের শীতের মধ্যে শত শত মানুষের সামনে আমাকে তিন ঘন্টা গলা সমান পানিতে দাড়িয়ে রেখেছিল। পরে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে আসে।

আ'লীগ সমর্থক বেলাল হোসেন (বর্তমানে সৌদি প্রবাসী) তিনি জানান, আ'লীগ সমর্থন করার কারনে এ বাবর আমাকে এমন নির্মমভাবে মেরেছে তা কখনো ভুলতে পারবোনা। আমাকে বাঁচাতে আসলে আমার পিতাকেও মারধর করে বাবর। তার সেই মাইরের যন্ত্রনা নিয়ে বাবা কবরে চলে গেছে।আর আমি এখনও মাসে মাসে হাজার হাজার টাকার ওষুধ সেবন করতে হয়।

নুর উদ্দীন (বর্তমানে সৌদি প্রবাসী)  সে জানান, আমি আ'লীগ সমর্থন করি শুধু এ অপরাধে আমাকে বাবর ধরে এনে প্রচন্ড মারধর শুরু করে। আমার চিৎকারে একজন বয়স্ক মহিলা(সোনিয়া ডেকোরেটরের মা) ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার প্রাণ রক্ষা করেন।

এতদিন বাবরের অতিতের দূর্ধর্ষতা নিয়ে ভূক্তভোগীরা ভয়ে মুখ খুলেনি। কিন্তু ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে কটূক্তি করার পর আ'লীগ পরিবারের সদস্যরা তার অতিতের দূর্ধর্ষতার লোমহর্ষক বর্ণনা সামনে এনেছেন। তারা মনে করেন বাবর কখনোই মুজিবের আদর্শ লালন করে আ'লীগ করেনি সে ক্ষমতা ভোগদখলের জন্যই আ'লীগে যোগ দিয়েছে। এখন দল তাকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন না দেয়ায় সে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করে মন্তব্য করেছেন। যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করতে পারে সে কখনোই আ'লীগের সমর্থক হতে পারেনা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী বাবরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন তারা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কাশেদুল হক বাবর জানান, আমরা পারিবারিকভাবেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে আসছি। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকেই আজ এ পর্যায়ে এসেছি। আমি কখনোই বিএনপিতে যোগদান করিনি। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একটা অংশ। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আমি দেশের বাহিরে চলে যাই। আমি বিএনপিতে যোগ দিয়েছি এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

রাজাপুর ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবর ২০০১ সালে বিএনপিতে যোগদেন এটা শতভাগ সত্য। তিনি বিএনপিতে যোগদানের পর অনেক আ'লীগ নেতাকর্মীর উপর নির্যাতন চালিয়েছেন। এবং তার নেতৃত্বেই রাজাপুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ভাংচুর করা হয়েছিল।


আরও খবর



জয়পুরহাটে তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন যারা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

এস এম শফিকুল ইসলাম,জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটের  তিন উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোট গণনা শেষে তিন উপজেলায় তিন জনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (৮মে) রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ফজলুল করিম তাদের জয়ী ঘোষণা করেন।

জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ফজলুল করিম জানান,

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিনফুজুর রহমান মিলন (মোটরসাইকেল) মার্কায় ৪২ হাজার ৪৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক (আনারস) মার্কা তৌফিকুল ইসলাম তালুকদার বেলাল ভোট পেয়েছেন (আনারস) মার্কা ৩০৯৪৩।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে গোলাম মোস্তফা  (উড়োজাহাজ ) মার্কা ৩৪ হাজার ৩৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।  নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ছানোয়ার হোসেন  ( টিউবয়েল) মার্কা পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৯১ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মেরিনা খাতুন ( হাঁস) মার্কা ৪৩ হাজার ৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।নিকটতম প্রতিদ্বন্দী মরিয়ম নেছা (কলস) ৩১হাজার ৪১৩ ভোট পেয়েছেন।

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় ক্ষেতলাল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব  দুলাল মিয়া সরদার (দোয়াত কলম) মার্কায় ৩০৪০০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আওয়ামী লীগ নেতা তাইফুল ইসলাম তালুকদার ( আনারস) মার্কায় ২২৯০০ ভোট পেয়েছেন । ভাইস চেয়ারম্যান পদে মতলুব হোসেন (টিওবয়েল) মার্কা ভোট পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬১৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী এস এম তুহিন ইসলাম তৌফিক  (তালা) মার্কা পেয়েছেন ২০ হাজার ৯৩৬ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নুরুন্নাহার গুন্নাহ ( সেলাই মেশিন)  মার্কা পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৩৭০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী নুরবানু খাতুন  (হাঁস) ১৩ হাজার ৪৩৫ ভোট পেয়েছেন।

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোকসেদ আলী মন্ডল (মোটরসাইকেল) মার্কা ১৯৫৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সরদার নুরুন্নবী আরিফ (আনারস) মার্কায় ভোট পেয়েছেন ৩১৮৮। ভাইস চেয়ারম্যান পদে টুটুল হোসেন (টিওবয়েল) মার্কা ভোট পেয়েছেন ৯ হাজার ৫৯৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী তাইজুল ইসলাম ( টিয়া পাখি) মার্কা পেয়েছেন ৯ হাজার ৪৪২ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আছিয়া খানম সম্পা ( প্রজাপতি)  মার্কা পেয়েছেন ১১ হাজার ২৫০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আয়শা সিদ্দিকা ( হাঁস) ৬ হাজার ১৪৩ ভোট পেয়েছেন।

এর আগে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ শেষে শুরু হয় গণনা।

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে জয়পুরহাটের কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর এই তিনটি উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনে তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। আর পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

তিনটি উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৭৬৯ জন। এরমধ্যে কালাই উপজেলায় এক লাখ ২২ হাজার ৭৩৬ জন, ক্ষেতলালে ৯৫ হাজার ১৯১জন ও আক্কেলপুর উপজেলায় এক লাখ ২২ হাজার ৮৮২ জন ভোটার রয়েছে। কালাইয়ে ৩৭টি, ক্ষেতলালে ৩০টি, আক্কেলপুরে ৪২টি সহ মোট ১০৯ টি কেন্দ্রে ভোটাররা ভোট প্রদান করেছেন।


আরও খবর



নওগাঁয় আম বাগান থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁর মান্দায় আলেপ উদ্দিন সরদার (৫০) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার (১১ মে) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার কাঞ্চন সুইসগেট এলাকায় আশরাফ আলীর আম বাগান থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। এসময় আলামত হিসেবে পাশে পড়ে থাকা একটি খয়েরি রংয়ের শার্ট, একটি চার্জার লাইট এবং একটি জুতা জব্দ করা হয়। এটি হত্যা কিনা এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি  হয়েছে। 

নিহত আলেপ উদ্দিন উপজেলার গনেশপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সমসের আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত কাঞ্চন খুদুর মোড়ের পার্শ্বে একটি মাজার সংলগ্ন এলাকায় তার শশুর বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।

নিহতের ভাগ্নে আনারুল ইসলাম বলেন, তার মামা পেশায় একজন শ্রমিক। বছরের অধিকাংশ সময় তিনি ফরিদপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকের কাজ করতেন। গত কয়েকদিন আগে ফরিদপুর থেকে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। বাড়ি ফিরে আসার পরে স্ত্রী, ছেলে-মেয়েদের সাথে পারিবারিক বিরোধ চলছিলো। এরই জের ধরে তার মামাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।

নিহতের স্ত্রী মঞ্জুয়ারা বলেন, আমার স্বামী গতকাল বিকেল ৫ টার দিকে পার্শ্ববর্তী খুদুর মোড়ে চা খাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান। এরপর আর বাড়ি ফিরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। আজ সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে কাঞ্চন সুইসগেট এলাকায় একটি আম বাগানে তার স্বামীর লাশের সন্ধান পান। তবে পারিবারিক বিরোধের বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি। 

মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, সকালে কাঞ্চন সুইসগেট এলাকার একটি আমবাগানে লাশটি দেখতে পায় স্থানীয়রা। তারা থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।  লাশের ময়না তদন্তের জন্য  নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে এবিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আরও খবর