Logo
আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

রূপগঞ্জে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)সংবাদদাতা:নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার রসুলপুর গ্রামের  সুমন মিয়া নামের এক যুবককে সন্ত্রাসীরা  কুপিয়ে হত্যা করেছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে  এ হত্যাকান্ডের  ঘটনা ঘটে।  নিহত সুমন মিয়া উপজেলার তারাবো পৌরসভার রসুলপুর এলাকার কালু মিয়ার ছেলে।  

রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান,  পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে ।   নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। অপরাধীদের শনাক্ত করতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।উল্লেখ  গতকাল সোমবার রাত নয়টা পর্যন্ত শোকাহত পরিবারের  পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ  করা হয়নি।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



আড্ডা ও খুঁনসুটিতে ইবির আল হাদীস বিভাগের প্রাণের উচ্ছ্বাস মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image
সাব্বির খান, ইবি:বিশ্ববিদ্যালয় জীবন, বহুমাত্রিক কারণে একজন মানুষের জীবনে সবচেয়ে স্মরণীয় সোনালি অধ্যায়। এই অধ্যায়ে মানুষ তার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সময় পার করে। এসব স্মৃতি কি চাইলেই ভোলা যায়! এই ক্যাম্পাসের চিরপরিচিত আঙিনায় মানুষ পায় বন্ধু, সহপাঠী কিংবা প্রিয়জন। 

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার পর চাইলেই কি দেখা হয় সবার সঙ্গে? কদাচিৎ এসব প্রিয় মানুষের দেখা মেলে। কাজের ফাঁকে ক্যাম্পাসে কাটানো স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসলে যেনবা মনের অজান্তেই মুখের কোণে ফুটে ওঠে এক চিলতে হাসির রেখা। জীবনের চলার পথে এসব প্রিয় মানুষের সঙ্গ অতি কাঙ্ক্ষিত। বহুকাল পরে দেখা হলে তো আর কথাই নেই, স্মৃতিচারণে, আড্ডায় যেন কথার ফুলঝুরি ফোটে। 

আজ সারাদিন এমনই দৃশ্যের অবতারণা ঘটেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন ও বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান অডোটেরিয়াম এলাকায়। পুরোনো সতীর্থদের পেয়ে অনেকেই আবেগে আপ্লুত হয়েছেন। কেউ কেউবা জড়িয়ে ধরছেন একে অপরকে। কেউ কেউবা আড্ডায়, উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। 

দীর্ঘদিন পর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধুদের পেয়ে শিশুদের মতোই খুনসুটিতে মেতেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। আড্ডার আসরে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তাঁরা ফিরে গিয়েছিলেন সেই তরুণ কাঁচা বয়সে, বিশ্ববিদ্যালয়ে সবুজ ক্যাম্পাসে। আড্ডার সঙ্গে সঙ্গে চলছিল বিভিন্ন স্টাইলে তোলা সেলফির ঘনঘটা। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মুখর প্রাণের স্পন্দন জেগেছিল পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে। 

আজ শনিবার প্রথমবারের মত পুনর্মিলনী উৎসবে বাধভাঙা উল্লাসে মেতেছে আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

এসময় বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া, থিওলজি অনুষদের ডিন ড. এ এইচ এ এন এম এরশাদ উল্লাহ ও বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. আ খ ম ওয়ালিউল্লাহ প্রমুখ।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, সৃষ্টি ও মিলনের উচ্ছ্বাস আছে আজকের এই মিলনমেলায়। আপনারাই হচ্ছেন এই বিভাগের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বাসেডর। জীবনে দুইটা জায়গায় হেরে গেলেও আনন্দ বুক ভরে যায় তা হলো সন্তান ও নিজ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে। এই হারবার মধ্যেও রয়েছে এক ধরনের বিজয়। তিনি উপস্থিত অ্যালামনাইদের জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও নীতি নৈতিকতায় সমৃদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য আহবান জানান।

আরও খবর



সিরাজগঞ্জে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার মাজ্জান গ্রামের ৬ বছরের শিশু ফাতেমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করার প্রতিবাদে জড়িত আসামীদের আটক ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।বুধবার দুপুরে গালা ইউনিয়নের মাজ্জান এলাকায় বাধের উপর গ্রামবাসী ও স্বজনদের উদ্যোগে ঘন্টা ব্যাপী এক মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।  

মানববন্ধন কর্মসূচিতে স্থানীয় সমাজ সেবক মোহাম্মদ লাল মিয়া মোল্লা সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সাইফুল শেখ, তাহাজ শেখ, আসাদুল সরকার ও মা নুরজাহান খাতুন সহ স্থানীয় এলাকাবাসী। 

এসময়, বক্তারা বলেন, ধর্ষণ করার পর, দুইজন নারীর সহযোগিতায় নজরুল সহ ৮ জন মিলে শিশু ফাতেমাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে। প্রধান আসামি নজরুল, আক্কাস, সাদ্দাম, ফারুক, পেশকার, আবেদ, হাকিম, মালেক, বুলি ও ময়ূরী বেগমকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দেয়া হলেও পুলিশ শুধু প্রধান আসামি নজরুলকে গ্রেফতার করে। তবে বাকিদের এখনো আসামী না করায় হুমকি দেয়ায় নিহতের পরিবার এখন বাড়ি ছাড়া। তাই দ্রুত বাকি দায়ীদের আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান তারা।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই ফাতেমা নিখোঁজ হবার পর তার স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে পায় না। পরে ৩ আগস্ট পাশের জমিতে ফাতেমার তিন খন্ড মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে ফাতেমার মা দাবি হয়ে শাহজাদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার সূত্রে স্থানীয় সন্ত্রাসী নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। আসামির স্বীকারোক্তি জবানবন্দী তা জানা যায়, নজরুলের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ একটি চক্র ৬ বছরের শিশু ফাতেমাকে ধর্ষণ ও নির্মম ভাবে টুকরো টুকরো করে হত্যা করে পাশের জমিতে ফেলে রেখে যায়।

আরও খবর



বাংলাদেশ-ফ্রান্স সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারত্বে উন্নীত হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:অভিন্ন সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক একটি কৌশলগত অংশীদারত্বে পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সম্মানে আয়োজিত ভোজসভায় বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ আশাবাদ জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ইন্দো-প্যাসিফিক এবং এর বাইরেও সকলের অভিন্ন সমৃদ্ধির জন্য কৌশলগত সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যেতে পারে বলে আমি আত্মবিশ্বাসী।

বর্তমান বিশ্বে যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীবনযাত্রার ব্যয়ের একাধিক সংকট মোকাবিলায় ফ্রান্স–বাংলাদেশের অংশীদারত্ব একটি অর্থবহ শক্তি হতে পারে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ফ্রান্স বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। দুই দেশ দায়িত্বশীল ব্যবসা পরিচালনার দিকে আলোকপাত করে একটি শক্তিশালী বাণিজ্য অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।

ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় সফরে রোববার রাতে ঢাকায় এসেছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। শেখ হাসিনা বলেন, এই ভোজসভায় ফরাসি প্রেসিডেন্টকে আতিথেয়তা দিতে পেরে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত ও সম্মানিত বোধ করছেন।

২০২১ সালের নভেম্বরে এলিসি প্রাসাদে ফরাসি প্রেসিডেন্টের উষ্ণ আতিথেয়তার কথা স্মরণ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।  ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি আনন্দিত যে আপনি আমার ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।’ ‘ফ্রান্স আমাদের হৃদয় ও কল্পনায় একটি বিশেষ স্থানে রয়েছে’ বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ফরাসি প্রেসিডেন্টের জন্য বাংলাদেশের অদ্বিতীয় জনপ্রিয় খাবার কাচ্চি বিরিয়ানির স্বাদ নেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের উভয় জাতিই আমাদের রন্ধনপ্রণালি, সংস্কৃতি এবং ভাষাগত ঐতিহ্যের জন্য অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের দুই জনগোষ্ঠীকে একে অপরের কাছাকাছি আনতে আমাদের দুটি সংস্কৃতির মধ্যে আরও পদ্ধতিগত পন্থা এবং সংমিশ্রণকে উন্নীত করার সময় এসেছে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি কি আমাদের আরেকটি সুস্বাদু খাবার স্থানীয় জনপ্রিয় ফল আমড়ার জুস দিয়ে টোস্ট করার কথা বলতে পারি?

শেখ হাসিনা বলেন, তার পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফরাসি বিপ্লবের চেতনায় গভীরভাবে অনুপ্রাণিত ছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তার আত্মনিয়ন্ত্রণের সংগ্রামে স্বাধীনতা, সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধের প্রসারে তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’–এ (১৯৭১ সালের ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে) এর প্রতিফলন ঘটেছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার আহ্বান আঁদ্রে মার্লোর মতো বিশ্ব বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে প্রতিধ্বনিত হয়েছিল, যারা মুক্তিকামী বাঙালির উদ্দেশ্য সাধনে লড়াই করার জন্য অনেক তরুণকে সংগঠিত করেছিলেন বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এটা প্রায়ই আমার মনে হয় যে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ তার ফরওয়ার্ড মার্চ আন্দোলনের মাধ্যমে মার্লো ও তার অনুসারীদের গর্বিত উত্তরাধিকার বহন করছেন।

ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ভোজসভাস্থলে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে স্বাগত জানান। এ সময় জাতির পিতার ছোট কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: বাসস


আরও খবর



নির্বাচনে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ সক্ষম: আইজিপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৬৭জন দেখেছেন

Image

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ঘিরে যেকোনো আইনশৃঙ্খলাজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ সক্ষম হবে বলে জানিয়েছেন বাহিনীর মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। একসময় দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের হোলিখেলা চলছিল। বাংলাদেশ পুলিশের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তা এখন সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের যে সক্ষমতা আছে তা দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে যে কোনো আইনশৃঙ্খলাজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হব। আমাদের সে আস্থাও আছে।

পুলিশ প্রধান বলেন, ‘আমাদের সব ফোর্স ওয়েল মোটিভেটেড। তারা দায়িত্ব পালনে আগামী দিনে যে কোনো চ্যালেঞ্জ যদি আসে তা মোকাবিলার সক্ষমতা রাখে। আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য যেভাবে করা দরকার সেভাবেই পালন করব। আমাদের আইন আছে, বিধিবিধান আছে। এর ভিত্তিতে আমরা নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের অধীনে তাদের নির্দেশনার আলোকে দায়িত্ব পালন করব।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যরা শহীদ হওয়ার পর জাতির জনকের নাম ইতিহাস থেকে মুছে দেওয়ার একটি চক্রান্ত চলছিল। যিনি নিজের জীবন-যৌবন দিয়ে, যার প্রচেষ্টায় এ দেশ স্বাধীন হয়েছে তার নাম মুছে দেওয়ার চক্রান্ত টেকেনি। বাঙালির হৃদয় থেকে তার নাম মুছে যায়নি।

অনুষ্ঠানে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে পুলিশ প্রধানকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। এরপর তিনি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।


আরও খবর



অতিথিদের হাতে তানোর আ"লীগ ক্ষুব্ধ তৃনমুল লবিং গ্রুপিংয়ের শেষ নেই

প্রকাশিত:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১৩১জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন অতিথিরা, বাগিয়ে নিয়েছেন পদ পদবি, হাতে রেখেছেন দলের মুল চাবিকাঠি, নিয়োগ বানিজ্য পদপদবি বানিজ্য থেকে শুরু করে যাবতীয় সব কিছুই অতিথিদের হাতের মুঠোয়। রাজশাহীর তানোর আ"লীগে চলছে অতিথি চমক। এমন অতিথি চমক অবশ্য আগে দেখেননি তৃনমুল ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা। এসব অতিথিরা অযথা দলে লুবিংগ্রপিং তৈরি করে দলকে চরম ভাবে বিভক্ত করে ফেলেছেন বলে মনে করছেন দীর্ঘ দিনের ত্যাগীরা। এসব অতিথি পাখিদের জন্য একাধিক এমপি মনোনায়ন প্রত্যাশীরা মাঠ কাপাচ্ছেন। তাদের একটাই কথা অতিথি পাখি হতে আ"লীগ কে মুক্ত করতে হলে গোলাম রাব্বানী ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের কোন বিকল্প দেখছেন না।জানা গেছে,  গত বছরের জুলাই মাসে আ"লীগের উপজেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে কৌশলে তৎকালীন সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বাদ দেয়া হয়। নতুন ভাবে কমিটিতে সভাপতি হিসেবে আসেন জামানত হারানো চেয়ারম্যান প্রার্থী মাইনুল ইসলাম স্বপন ও সম্পাদক করা হয় একে সরকার ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জনপ্রিয় হীন প্রদীপ সরকার কে। এরপরে চলতি বছরে জুলাই মাস থেকে আ"লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠন শুরু হয়। কমিটি গঠনে অতিথিদের পরামর্শে উপজেলার কলমা, কামারগাঁ ও পাচন্দর ইউনিয়ন কে দূভাগে বিভক্ত করা হয়। যা সম্পূর্ণ রুপে দলীয় গঠনতন্ত্র বিরোধী। ইউনিয়ন ও পৌর কমিটিতে অধিকাংশ শিক্ষকদের দায়িত্বে এনে চরম সমালোচিত হন এমপি। যাকে বলে জনবিচ্ছিন্ন ব্যক্তিদের কমিটি নিয়ে আসার কারনে গ্রুপিং লবিংয়ের শেষ নেই। এছাড়াও এক প্রকার শিক্ষক নির্ভর আ"লীগ।

বিশেষ করে তানোর ও মুন্ডুমালা পৌর মেয়রকে কোন কমিটিতে নিয়ে আসেননি। তানোর পৌরসভার সভাপতি করা হয় আকচা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আসলাম উদ্দিন কে ও সম্পাদক করা হয় আবুল বাসার সুজনকে। অথচ পৌরসভার মেয়র ইমরুল হক সভাপতি থাকলেও তাকে কোন ভাবেই অবহিত করা হয়নি। এক্ষোভের কারনে সুজন ওয়ার্ড কমিটি করতে এসে পাচ্ছেন তেমন গ্রহণ যোগ্য নেতা।

দলীয় সুত্র জানায়, বিগত ২০১৭ সাল থেকে রাব্বানী ও  এমপির দ্বন্দ্বে দলের হাল ধরে ছিলেন ওই সময় কলমা ইউপির চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর একক ক্ষমতায় বলিয়ান হয়ে উঠেন এমপি। ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে নৌকার প্রতীক পান ময়না। তিনি জাতীয় নির্বাচনে জীবন বাজি রেখে কাজ করার জন্যই তিনি মনোনায়ন পেয়ে চেয়ারম্যান হন। কিন্তু ময়নার ক্ষমতা ধীরে ধীরে খর্ব করে নতুন রুপে ক্ষমতা দেন আবুল বাসার সুজন কে। তিনি এমপির কান ভারি করে একক ক্ষমতা ধরে নেন। তার অনুসারী হাটের কর্মচারী দের পদ পদবি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি করে নতুন রুপে দ্বন্দ্ব শুরু করেন। এত সম্মেলন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শোক সভা ও বর্ধিত সভা করেও দলকে এক কাতারে আনতে পারছেন না। বরং অতিথিদের কারনে নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে এমপি শিবিরে ততই দ্বন্দ্ব লবিংগ্রপিং বাড়তেই আছে। বিশেষ করে ইউপিতে যে সব সভা করা হয় সেগুলোতে নেতাকর্মীর চেয়ে উপকার ভোগীদের বেশি উপস্থিতি। 

এদিকে অতিথিদের জন্য নবীন প্রবীন আ"লীগ এতই ক্ষুব্ধ যে তারা এখন মনোনায়ন প্রত্যাশী গোলাম রাব্বানী ও আয়েশা আক্তার ডালিয়ার সভায় বেশি অংশ নিচ্ছেন। অবস্থাটা এমন জনপ্রিয় হীন নেতৃত্বে ও অতিথি পাখিদের মাস্তানী গুন্ডামী আচরনের কারনে কর্মী সংকট ও ইমেজ সংকটে পড়েছেন এমপি। বিশেষ করে গরু দামানোর মত করে নিয়োগ বানিজ্য করেছেন অতিথি। যার কারনে চরম ইমেজ সংকটে পড়েছেন এমপি। কারন এমপিকে জনবিচ্ছিন্ন করতে অতিথিরা যথেষ্ট বলে মনে করছেন ছিটকে পড়া নেতাকর্মী রা।

দলের একাধিক সিনিয়র নেতারা বলেন, এমপি মনে করছে রাব্বানী ও মামুনকে ছিটকে ফেলে অতিথি দের দিয়ে মাঠ গোছানো হবে। কিন্তু এটা তার দিবাস্বপ্ন ও ক্ষমতার মোহ ছাড়া কিছুই না। অবশ্য তাকে কোন দোষ দিবনা, তার কান ভারি করেছেন অতিথিরা। এই অতিথিই তার সর্বনাশের মুল কারন হবে আগামী নির্বাচনে। এই আসনে যতজন মনোনায়ন প্রত্যাশী আছেন সবার একটাই দাবি এমপি ফারুক চৌধুরী বাদে যাকে মনোনায়ন দিবে তার জন্য দল এক হয়ে কাজ করবে। নচেৎ দলের এই লবিংগ্রপিং দূর হবে না। তৃনমুলের মতামত ও গোয়েন্দা জরীপ চালিয়ে যার জনপ্রিয় তা আছে তাকেই দেয়া হোক নৌকা প্রতীক। তাছাড়া এআসন আর ফিরে আসবে না। কারন জনপ্রিয় নেতাদের দূরে রেখেছেন এমপি। এজন্য তাকেও একদিন মাসুল দিতেই হবে। অবশ্য এমপির অতিথিরা তো সাব বলে দিচ্ছেন মনোনায়ন হয়ে গেছে ঘোষণা বাকি, তারপর প্রত্যাশীদের পিটিয়ে ঘরে তুলবেন। আরেক চাকর তো পদ পেয়ে যারতার হাত পা ভেঙে দিতে চান। এখনো সময় আছে সঠিক পথে আসেন নইলে জনগন কি জিনিস বুঝিয়ে দিবে। যেখানে বিভিন্ন চাপে সরকার তালমাতাল সেখানে অতিথিদের এত কেন বাহাদুরি। আসলে এরাতো সব দিক থেকে সুযোগের পাটি। গায়ে থেকে বিএনপি জাতীয় পার্টির গন্ধ যায় নি তাদের আবার বড় কথা। তবে মনোনয়ন নিশ্চিত বলে ঘোষণা দিচ্ছেন বর্তমান জনপ্রিয় হীন সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন ও সম্পাদক প্রদীপ সরকার। তারা লবিংগ্রপিংয়ের কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেন যে কোন সময়ের চেয়ে দল শক্তিশালী। আগামী নির্বাচনেও ফারুক চৌধুরী এমপি হবেন।ফফওঔওওওফফিওঔফফফজিওওজফঔওি এজন্যই তো গত আগস্ট মাসে গোলাম রাব্বানী বলেছিলেন, সভায় তাদের ভরশা উপকার ভোগীরা, আর আমাদের ভরশা তৃনমুলের ত্যাগীরা। যারা কোন সুযোগ সুবিধা পায়না দলকে পাগলের মত ভালবাসে। মনোনায়ন চেয়ে মাঠে আছি দল যদি মনোনায়ন দেয় ভোট করব না দিলে যিনি নৌকা পাবেন তার হয়ে ভোট করব। কারন বাব দাদা চৌদ্দপুরুষরা আ"লীগ করে এসেছেন, রক্তে মাংসে আ"লীগ, পেলেও থাকতে হবে না পেলেও থাকতে হবে। 


আরও খবর