Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

রূপগঞ্জে ইউসুফগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ২৩৬জন দেখেছেন

শাকিল আহম্মেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ইউসুফগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার (৮ অক্টোবর) সকালে উপজেলা পূর্বাচল এলাকায় ইউসুফগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের অডিটোরিয়ামের এ নবীন বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।এতে ইউসুফগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দীন মোহাম্মদ দিলুর সভাপতিত্বে ও ইউসুফগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হালিম মিয়ার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প পরিচালক মনিরুল হক।বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন ভূঁইয়া,নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আনছর আলী।এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন ইউসুফগঞ্জ স্কুল কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবু সাঈদ মিয়া,বাছির উদ্দিন প্রমুখ।


আরও খবর



ফরিদপুরে ১২৭ বোতল ফেনসিডিল'সহ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

টিটুল মোল্লা"ফরিদপুর:১২৭ বোতল ফেনসিডিল সহ ১(এক)মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০,সিপিসি-৩ ফরিদপুর।এ ব্যাপারে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়,গতকাল সোমবার র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন বদরপুর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে চুয়াডাঙ্গা জেলা হতে কুয়াকাটাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে যাত্রী সেজে ফেনসিডিল বহনকালে ১২৭ (একশত সাতাশ) বোতল ফেনসিডিলসহ আনুমানিক যার মূল্য  ৩,৮১,০০০/- (তিন লক্ষ একাশি হাজার) টাকা'সহ ০১(এক) জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মোঃ ওমর আলী (৩৯),পিতা- মৃত দলিল উদ্দিন,সাং- কুতুবপুর (মাঝপাড়া), থানা- দামরহুদা, জেলা- চুয়াডাঙ্গা বলে জানা যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী বলে স্বীকার করেন।সে বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ফেনসিডিলসসহ অন্যান্য মাদকন্ত্রব্য সংগ্রহ করে অভিনব কৌশলে রাজধানী ঢাকা, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল।গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদক মামলা রুজু করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে র‌্যাব জানায়।।


আরও খবর



রৌমারীতে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে ইমান আলী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম জেলায় প্রথমধাপে তফসিল ঘোষণার পরেও সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত উপজেলা পরিষদের গাড়ি ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা, শোডাউন ও মহড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রৌমারী উপজেলা পরিষদের কর্তমান চেয়ারম্যান মো. ইমান আলীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) উপজেলার টাপুরচর ও চরশৌলমারী এলাকায় সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে যাত্রা মঞ্চে ভোট চাওয়ায় কয়েকজন প্রার্থী এ অভিযাগ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানা, প্রথম দফায় উপজেলা পরিষদের তফসিল ঘোষণার পরেও রৌমারী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো.ইমান আলী সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত গাড়ি ব্যবহার করে প্রতিনিয়তই উপজেলার টাপুরচর, চরশৌলমারী, লাউবাড়ি, খরানিরচর, শেখের বাজার, বাগুয়ার চরসহ বিভিন্ন এলাকার নির্বাচনী উঠান বৈঠক, যাত্রা মঞ্চ, মেলা, ধর্মীয় সভা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রচার-প্রচারণা,শোডাউন মহড়া ও দোয়া থেকে শুরু করে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল ধরনের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী গতকাল সোমবার অনলাইনের মাধ্যমে তার প্রার্থীতা নিশ্চিত করেছেন।

অথচ নির্বাচণী পূর্ব সময়ে কোন প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি,সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী কাজে সরকারি প্রচার যন্ত্র, সরকারি যানবাহন, অন্য কোন সরকারি সুয়োগ সুবিধা ভোগ এবং সরকারি কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণকে ব্যবহার করতে পারিবেন না বলে উল্লেখ রয়েছে।এব্যাপারে রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলীকে মুঠোফোনে একাধীকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভির আহমেদ (অতি:) জানান, যেহেতু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, সেহেতু বর্তমান চেয়ারম্যান সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে পারে না। তবে বিষয়টি খোজ নিচ্ছি।

এব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ বলেন, যেহেতু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সেহেতু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবেন না। এ বিষয়ে আমি এখনি জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং অফিসারকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিচ্ছি।


আরও খবর



রেলওয়ের জমি,কোয়ার্টার ওপানির পাম্প দখল অব্যাহত,রেলকর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে রেলওয়ের জমি, কোয়ার্টার ও পনির পাম্প রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তার ঘুষ বাণিজ্যের কারণে রেলওয়ের কোয়ার্টার ও ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে পানির পাম্প ও দখল করে সেখানে স্হাপনা নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে।  এই দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী রেলওয়ে জমিতে স্থাপনাকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে থাকেন বলে দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েও মিলছে না কোনো প্রতিকার। এতে সৈয়দপুর রেলবিভাগ হারাচ্ছে পুরোনো দিনের ঐতিহ্য। যার ফলে প্রায় প্রকাশ্যেই চলছে কোয়ার্টারসহ কোয়ার্টার ভেঙে ঘরবাড়ি নির্মাণ,ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ ও পানির পাম্প দখল। গত ৫০ বছরে সৈয়দপুর রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে প্রায় সারে ৪ শত একর সম্পত্তি ও ১২৩৮কোয়ার্টার।

পার্বতীপুর ৭ নং রেলওয়ের কাছারি ফিল্ড কানুনগো সাজ্জাদ হোসেন দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তৎকালীন রেল কর্তৃপক্ষ এ শহরে রেলকে ঢেলে সাজাতে প্রায় ৮৫০ একর ভূসম্পত্তি অ্যাকুয়ার করে নেন। ১৮৭০ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত রেলওয়ের এসব অ্যাকুয়ারকৃত জমি সুরক্ষিত ছিল। এরপর থেকে শুরু হয় রেলওয়ের জমি দখল বিক্রয়। যেসব জমি বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে খতিয়ান ভুক্ত বা দখল হয়েছে,সেগুলির রেকর্ড সংশোধনী মামলা ও দখলদার উচ্ছেদের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। 

রেলওয়ে কারিগরি পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান জানান,  সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কজন কর্মকর্তার ঢিলামি ও সেলামী নেয়ার কারণে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় সারে ৪ শত একর জমি ও প্রায় ১২৩৮ কোয়ার্টার বেদখলে চলে যায়। দখলবাজরা ওই কজন রেল কর্মকর্তা রেলের জমি দখল বিক্রয় কারিদের সেলামি নিয়ে লাখ লাখ টাকার মালিক হলেও রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে ৪২৭ একর সম্পত্তি ।

শহরের মুন্সিপাড়ার ইসলামিয়া স্কুল সংলগ্ন তন্ময় নামের এক ব্যাক্তি বলেন,ওই এলাকার ফটিক নামের এক ব্যক্তি রেলওয়ের কোয়ার্টার ভেঙে ও পতিত জমিতে একাধিক স্থাপনা নির্মাণ করেছেন এবং তার ছত্র ছায়ায় আশপাশ এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে। এসব বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পকেট ভারী হওয়ায় প্রতিকার বা লাভবান হয়নি অভিযোগকারীসহ রেল বিভাগ। 

জানতে চাইলে ফটিক নামের ব্যাক্তিটি বলেন,মুন্সিপাড়ার কেউই কোয়ার্টার ভেংগে ঘরবাড়ি বানাতে রেলওয়ের লাইসেন্স বা অনুমতি নেয়নি। সবাই যেভাবে ঘরবাড়ি বানাচ্ছেন,আমিও সেভাবেই নির্মান করছি।

 এ ছাড়া শহরের রেললাইনের দুপাশ, ড্র্রেনসংলগ্ন এলাকা ও অফিসার্স কলোনি, রসুলপুর হাওয়াদ পাড়াও গার্ডপাড়া এলাকায় রেলওয়ের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্প দখল করে সেখানে নির্মান হচ্ছে পাকা দোকানপাট। 

স্থানীয়রা বলেন , সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হলেও রেল বিভাগ যেমন লোকসান ভুগছেন তেমনি অভিযোগকারীরা দখলদারদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। তারা বলেন, বাস্তুহারার নামে সৈয়দপুরের কোটি কোটি টাকার মালিকরাও রেলের জমি দখল করে বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণ করেছেন। বাস্তুহারাদের বাদ দিয়ে রেলওয়ের ঐতিহ্য রক্ষায় দখল হওয়া সব জমি উদ্ধার করে অপ্রয়োজনীয় সব জমি বিক্রি করা হলে সে টাকা দিয়ে পদ্মা সেতুর মতো সেতু নির্মাণের অর্ধেক অর্থ জোগান দেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তারা।

শহরের মিস্ত্রি পাড়া মোড়ের বাবু নামের এক ব্যাক্তি বলেন, সেখানকার পানির পাম্প সংলগ্ন কিছু জমি বরাদ্দের জন্য শহীদ সন্তান শেখ জামিল ও নিয়াজ আহমেদ বাবলু পাকশি রেলবিভাগে আবেদন করেন। কিন্ত সেখানে পানির পাম্প বরাদ্দ দেয়া হয় না বলে জানানো হয়। এর পরপরই ঈদের আগে রমজান মাসে সরকারি বেসরকারি সব অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যায়। ছুটি শেষে অফিস খোলার আগেই বাবলু নামের ওই যুবদল নেতা বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্পটি দখল নিয়ে স্হাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে দেন। তিনি আরো বলেন,শেখ জামিল হলেন শহীদ সন্তান। কিন্তু এরপরেও তাঁকে বরাদ্দ না দেয়ায় অভিযোগ দেয়া হয় স্হানীয় উপসহকারী প্রকৌশলীর দপ্তরে। কিন্তু ওই দপ্তরের উপসহকারী আবাসিক প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম  ঘটনাস্থল প্রদর্শন করার পরও কার্যকর কোন পদক্ষেপই নেননি। একজন যুবদল নেতা কিভাবে রেলওয়ের পানির পাম্প ও জমি বরাদ্দ পায়, এবং তার বিরুদ্ধে কিসের স্বার্থে ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছে না সেটি ভাবার বিষয়। বিষয় টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেয়ার জোড় দাবী জানান তিনি। 

বিষয়টি নিয়ে সৈয়দপুর রেলওেয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যাই, সেখানে নিয়াজ আহমেদ প্রথমে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে রাজস্ব প্রদানের কাগজ দেখান, এটাকেই তিনি লাইসেন্স মনে করেন। পরে তার বরাদ্দের কাগজ চাইলে  স্হাপনা নির্মাণের একটি বানিজ্যিক লাইসেন্স প্রদর্শন করেন। তিনি আরো বলেন, যেহেতু জায়গাটি রেলওেয়ের এবং সেখানে পানির পাম্প বিদ্যমান,সেহেতু যদি লাইসেন্স দেয়া হয়, তাহলে সেটি বাতিল করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ষ্টেট বিভাগ পাকশির বিভাগীয় প্রধানের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত লাইসেন্স বাতিল করে পাম্প টি রেলওয়ের নিজ দখলে নিতে পারবো না, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষান্ত হবেন না।  একই সাথে বেদখল হয়ে যাওয়া ভুসম্পত্তি দখলে নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। 


আরও খবর



প্রশাসন ম্যানেজ খাস পুকুর সংস্কার মাটি বানিজ্য ব্রীজের মুখ বন্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৩০জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:জেলা উপজেলা পর্যারের প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ব্যক্তি মালিকানা পুকুর সংস্কারের সাথে সরকারি খাস পুকুরও সংস্কার করে মাটি বানিজ্য ও ব্রীজের মুখ বন্ধ করে দেয়ার কারনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করছেন গ্রাম বাসী বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজশাহীর তানোর উপজেলার সীমান্তবর্তী মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউপির মল্লিকপুর গ্রামে ঘটে রয়েছে এমন ঘটনা। পুকুর সংস্কারের মাটি বিক্রি করার কারনে পাকা রাস্তা মাটির রাস্তায় পরিনত হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ভয়াবহ দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। পুকুরটি সংস্কার করছেন মল্লিক পুর গ্রামের হাজী ওমর আলী। তিনি প্রতারণা করে পুরাতন পুকুর সংস্কারের আবেদন করে সরকারি খাস পুকুরও সংস্কার করছেন। হাজির এমন প্রতারণার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিন্তু হাজি প্রভাব শালী হওয়ার কারনে ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না।সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর পৌরসভার শেষ সীমানা বুরুজ ঘাট থেকে মোহনপুর যাওয়ার পাকা রাস্তার মাঝে বাগবাজারের পূর্ব দিকে রাস্তার দক্ষিণে বিশাল আয়তনের দিঘি রয়েছে। দিঘির মাঝে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। দিঘির মাঝে সরকারি খাস পুকুর রয়েছে। দিঘির মাটি হেরো ট্র্যাক্টরে করে মাটি বহন করার কারনে পাকা রাস্তায় মাটির স্তুপ পড়ে রয়েছে পুরো রাস্তা জুড়ে।রাস্তার উপরে রয়েছে ব্রীজ। ব্রীজ দিয়ে কয়েক গ্রামের পানি বের হয়। সেই ব্রীজের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন। সামান্য পরিমান বৃষ্টি হলে কয়েক গ্রামে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হবে।

সেখানে কয়েকজন ব্যক্তি ছিলেন তারা জানান, হাজি প্রতারণা করে পুকুর পুন সংস্কার করার আবেদন করেন। কিন্তু পুকুরের ভিতরে সরকারি খাস পুকুর রয়েছে। সেটা গোপন করেন হাজি ওমর। শুধু তাই না পুকুরের কাদা মাটি হেরো ট্যাক্টরে করে পাকা রাস্তা দিয়ে বহন করার কারনে ব্যাপক ভাবে মাটি পড়ে রয়েছে। সম্প্রতি বৃষ্টি হয়, একারনে রাস্তা দিয়ে কোন ধরনের যান চলাচল করতে পারেনি। এমনকি মোটরসাইকেল দূর্ঘটনা পর্যন্ত হয়েছে। তারপরও দেদারসে মাটি বিক্রি করে যাচ্ছেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, নিজের পুরাতন পুকুর সংস্কার করতে অনুমোদন নিতে হয়, মাটি বাহিরে দেয়া যাবেনা মর্মে অনুমতি দেয় উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু কিসের বিনিময়ে খাস পুকুর সংস্কার করতে দিয়েছে প্রশাসন বুঝতে হবে। টাকা থাকলে সবই হয়। 

পুকুর পাড়ে ছিলেন হাজি ওমর আলীর ছেলে সুজন তিনি জানান, পুরাতন পুকুর সংস্কার করা হয়েছে। আপনাদের পুকুরে খাস পুকুর রয়েছে সেটা কিভাবে সংস্কার করছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, খাস পুকুর সংস্কার করা হয়নি। তবে আমাদের পুকুরের মধ্যে খাস পুকুর রয়েছে সংস্কার তো করতেই হবে। মাটি বিক্রির অনুমতি নেই কিভাবে বিক্রি করলেন জানতে চাইলে তিনি জানান তাহলে কৃষি জমিতে কিভাবে পুকুর হয়, এদেশে টাকা থাকলে সবই হয় বলে দাম্ভিকতা দেখান তিনি।সেখান থেকেই মোহনপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি মিথিলা দাসকে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা বলেন, পুরাতন পুকুর সংস্কারের অনুমতি দেয়া আছে। কিন্তু কোনভাবেই মাটি বের করা যাবেনা। মাটিও বের করেছে এবং ব্রীজের মুখ বন্ধ করেছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এসব করার কোন সুযোগ নেই। রবিবার অফিসে গিয়ে অনুমতির কাগজ দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুকুরের ভিতরে খাস পুকুরও রয়েছে সেটা সংস্কার করতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, খাস পুকুর সংস্কার করা যাবে না, এসব বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

আরও খবর



হিলি স্থলবন্দরে আন্তর্জাতিক মে দিবস পালিত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৬১জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:আলোচনা সভা,র‌্যালী ও পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আন্তার্জাতিক মে দিবস পালিত হয়েছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় হিলি চারমাথা মোড়ে স্থলবন্দর শ্রমিক সংগঠন কার্যালয়ে জাতীয় ও মে দিবসের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে একটি র‌্যালি বের হয়ে বন্দরের প্রধান প্রধান সড়কগুলি প্রদক্ষিণ করে।

এরপর সেখানে মে দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ইদ্রিস আলী মিঠু এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন।

এতে অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন,বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শাহেদ মল্লিক বাবু,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াত আলী,মে দিবস উদযাপন কমিটির সমন্বয়ক

মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীসহ স্থলবন্দর কুলি শ্রমিক,ইমারত নির্মাণ শ্রমিক,ট্রাক ট্যাংকলরী শ্রমিক,হিলি-বগুড়া-দিনাজপুর বাস মালিক সমিতি,স্থলবন্দর ট্রাক ড্রাইভার সমিতি, ইজিবাইক, অটোরিকশা,ভ্যান চালকসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন মে দিবসে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন,আগামীতে হিলি স্থলবন্দর এলাকার যে কোন সংগঠনের শ্রমিকদের সকল প্রকার সমস্যার দ্রুত সমাধান করার দেন। সেই সাথে সকল শ্রমিক সংগঠন মিলে একটি সংগঠন তৈরির আহবান জানানও তিনি।


আরও খবর