Logo
আজঃ সোমবার ২৯ মে ২০২৩
শিরোনাম

রূপগঞ্জে গরু চোর চক্র গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৪৩জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গরু চোর চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অস্ত্রসহ লুন্ঠিত ১৯টি গরু ও ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে।গ্রেপ্তারকৃররা হলেন, তোফা মীর শাওন (৩৩), নাদিম হাসান আনিস (৩০), জুয়েল (২৯), কাউছার (৩০), ফরহাদ (২৬) ও মোজাম্মেল (২৬)।মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জনান রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এফএফএম  সায়েদ।

তিনি জানান, ৬ মার্চ ভোর রাত সাড়ে ৪টায় এশিয়ান হাইওয়ে ফ্লাইওভারের পূর্ব পাশে রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল এলাকায় ৭ থেকে ৮ জনের ১টি চোরের দল নিজেদের ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে দিনাজপুর থেকে কুমিল্লাগামী ১টি গরু বোঝাই ট্রাক পিস্তল ঠেকিয়ে নিয়ে যায়।এসপি গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, এ ঘটনায় তোফা মীর শওন ও নাদিম হাসান আনিস নামের দুইজনকে পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি মতে, লুন্ঠিত গরু ও ট্রাক উদ্ধার ও ঘটনায় জড়িত আসামীদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় নিয়মিত ডাকাতি মামলা ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র মামলার রুজু প্রক্রিয়াধীন। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



বিএনপিই মূল বাধা সুষ্ঠু নির্বাচনে: কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্নের কিছু নেই। এটি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়। আমরা একটি সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে নির্বাচন হোক সেটা চাই, যুক্তরাষ্ট্র আগামী নির্বাচনে সেটাই দেখতে চায়। এক্ষেত্রে বিএনপিই মূল বাধা। আন্দোলন করে বিএনপি নির্বাচনকে ব্যাহত করতে চায়, বানচাল করতে চায়। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন বিএনপি বানচালের চেষ্টা করেছিল। সেরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেজন্যই যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।

শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আওয়ামী লীগ বিচলিত নয়। ওই নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। সিটি করপোরেশন, পৌরসভার মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফলাফলে অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে। গাজীপুরে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে, আমরা এটাই চেয়েছিলাম। আমরা আগের মতো আবারও জাতিকে দেখিয়েছি বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব।

আন্দোলন করে আগামী নির্বাচনকে বিএনপি ব্যাহত করতে পারবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি আন্দোলন করে কোনভাবেই বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না, আগামী নির্বাচনকেও ব্যাহত করতে পারবে না। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে। তারপরও বিএনপি যদি ষড়যন্ত্র করে অসাংবিধানিক সরকারকে ক্ষমতায় আনতে চায়, নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তাহলে এ দেশের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা মোকাবিলা করবে। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করবে।

টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউর রহমান চঞ্চলের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনি, সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মানিক প্রমুখ।


আরও খবর



রাজপথে জনগণের দাবির ফয়সালা হবে : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশের মানুষ তাদের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘সরকারের কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র, দমন, প্রলোভন এই আন্দোলনকে বিভ্রান্ত, বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। তাই সময় থাকতেই জনগণের মনোভাব বুঝে বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা মেনে নিয়ে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় রাজপথে জনগণের দাবির ফয়সালা করা হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষ গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার তথা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা এবং ভোটের অধিকার প্রয়োগসহ মুক্ত মত প্রকাশের জন্য স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে। আজকে সেই দেশে, মানুষের সকল অধিকার হরণ করা হচ্ছে, হয়েছে। চলছে দুর্নীতি আর মিথ্যাচারের এক মহোৎসব।

দেশে বর্তমানে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং চলছে। এর ফলে এসএসসি পরিক্ষার্থীরা অস্বাভাবিক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে, কৃষক সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সেদিকে কোনো ভ্রূক্ষেপ না করে বিগত দিনের ন্যায় ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের ওপর বিভিন্ন কৌশলে নির্যাতন নিপীড়নের যাত্রা শুরু করেছেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী মতের দলগুলো এবং দেশবাসী এই সরকারের অধীনে নির্বাচন না করা এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে যখন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, ঠিক সে সময় অবৈধ সরকারের মন্ত্রী এবং শাসকগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যাচার ও অলিক কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। জনগণ ইতিমধ্যে এই সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে রক্ত দিয়ে শহীদ হয়েছে। অবৈধ সরকার আন্দোলন যখন দানা বেঁধে উঠছে, ঠিক সেই সময় মামলা-হামলা দিয়ে বিরোধী মতকে স্তব্ধ করতে চায়।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর সরকার মামলা-হামলা অব্যাহত রেখেছে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি আরও বলেন, ‘গাজীপুরের একটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়েছে। একতরফা বিভিন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন, বাড়ি-বাড়ি তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে। সিলেটে বিএনপি নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার, বাসায় বাসায় তল্লাশি করছে; বিষয়টি সিলেট পুলিশ কমিশনারকে অবহিত করা হয়েছে।

এই অবৈধ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে না জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না। সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে এই অবৈধ সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। এই অবৈধ সরকার দেশের মানুষের ওপরে অত্যাচার নির্যাতন চালানোর জন্য এবং অধিকার হরণের জন্য রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগ যথা আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগ সর্বশেষ বিচার বিভাগকে এই সরকার দখল করে নিজেদের ইচ্ছামত বিরোধী মতের মানুষসহ দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ওপরে অন্যায় অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুমের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এ দেশের জনগণের দ্বারা প্রত্যাক্ষিত বর্তমান সংসদকে ব্যবহার করে ইতিমধ্যে মানুষের ভোটের অধিকার স্তব্ধ করে একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার সব কালা কানুন তৈরি করেছে। শাসন বিভাগকে ব্যবহার করে যখন তখন যেকোনো মানুষকে গ্রেপ্তার, নির্যাতন, হত্যা ও খুন এখন নিত্যদিনের এই অবৈধ সরকারের রুটিনে পরিণত হয়েছে।

সর্বশেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকার প্রধানের ইচ্ছামতো মানুষকে কারাগারে বন্দী রাখা, নির্যাতন করা বিচার বিভাগের অবৈধ সরকারের নির্দেশে ফরমায়েশি রায় প্রদান করে বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে মামলা-হামলায় কারাগারে প্রেরণ ও সাজা প্রদান করছে। তারই ধারাবাহিকতায় উচ্চ আদালতের জামিনে থাকার পরেও নেতাকর্মীকে নিম্ন আদালত কারাগারে প্রেরণ করেছেন, যা আইনের শাসনের পরিপন্থী বলে জনগণ মনে করে।

এখন পর্যন্ত প্রায় এক লাখ সাড়ে ১১ হাজার মামলায় বিএনপিসহ বিরোধী মতের প্রায় ৪০ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে সারাদেশে বিএনপিসহ বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের নামে ১ লাখ ১১ হাজার ৫৪৩টির অধিক মামলা এই অবৈধ সরকার দায়ের করেছেন। আসামির সংখ্যা প্রায় ৩৯ লাখ ৭৮ হাজার ৪৮১ অধিক। তার মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২ হাজার ৮৩০ এর অধিক ঢাকাতেই ১৫শ মামলা


আরও খবর



টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি মোখার তাণ্ডবে

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া দুই এলাকায় বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী মো. কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান। 

আজ রোববার বিকেল ৩টার দিকে প্রচণ্ড গতির বাতাস নিয়ে কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মোখা।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সেন্টমার্টিন, টেকনাফ সদর, পৌর এলাকা, সাবরাং, ডেইলপাড়া, জাদিমুড়া এলাকায় প্রচুর গাছপালা ভেঙে পড়ে আছে। উড়ে গেছে ঘরের চালা। বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় লোকজনকে সড়কে পড়ে থাকা গাছ সরাতে দেখা গেছে। ঘূর্ণিঝড়ে দ্বীপের মাঝরপাড়া, কোনারপাড়া, গলাচিপা, দক্ষিণপাড়া, পশ্চিমপাড়া, উত্তরপাড়ার অন্তত ৩৪০টি ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। কয়েক শ গাছপালা ভেঙে পড়েছে। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে উত্তরপাড়া, পশ্চিমপাড়া ও পূর্বদিকের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। তিনটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৩৭টির বেশি হোটেল রিসোর্ট ও কটেজে অবস্থান করছেন স্থানীয় প্রায় ৬ হাজার মানুষ। বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

টেকনাফের ইউএনও মো. কামরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঝড়ের কারণে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। কিছু এলাকায় গাছ ও ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। দুই এলাকায় বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার সংবাদ পেয়েছি।’

সেন্টমার্টিনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিনের অনেক ঘরবাড়ি উড়ে নিয়ে গেছে। কয়েকজন আহত হওয়ার খবর শুনেছি।

বিকেল ৪টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সেন্টমার্টিনে দুপুর ১টার দিকে ১০০ কিলোমিটার বেগে, ২টার দিকে ১২১ কিলোমিটার বেগে, ২টা ২০ মিনিটের দিকে ১৫১ কিলোমিটার বেগে এবং ২টা ৩০ মিনিটে ১৪৭ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেছে।

এদিকে বেলা ১টা থেকেই ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব বাড়তে শুরু করে টেকনাফের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে। ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ছে পুরা টেকনাফ উপজেলায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট বাতাসের গতিবেগ যদি ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার হয়, তাকে ঘূর্ণিঝড় বা ট্রপিক্যাল সাইক্লোন বলা হয়। গতিবেগ যদি ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার হয়, তখন তাকে তীব্র ঘূর্ণিঝড় বা ‘সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বলা হয়। আর বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৮ থেকে ২১৯ কিলোমিটার হয়, তখন সেটিকে হ্যারিকেন গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় বা ‘ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বলা হয়। গতিবেগ ২২০ কিলোমিটার বা তার বেশি হলে তাকে ‘সুপার সাইক্লোন’ বলা হয়।


আরও খবর



টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে গ্রামের একটি অংশের নাম পরিবর্তনের প্রচেষ্টা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি ঘাটাইল (টাঙ্গাইল): টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার নবগঠিত সংগ্রামপুর (বৃহত্তর সন্ধানপুর) ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শত বছরের পুরাতন বগা গ্রামের পূর্ব   অংশের নাম পরিবর্তন করে বগা তরফদার পাড়া করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সম্প্রতি ১০ মে (বুধবার) গ্রামের পূর্ব অংশে তরফদার বংশের কিছু লোক একত্রিত হয়ে  গ্রামের পূর্ব অংশের নাম পরিবর্তন করে পাকুটিয়া থেকে দেওজানা রোডে ৩টি আলাদা আলাদা জায়গায়  ব্যানারে 'তরফদার পাড়া' লিখে নাম পরিবর্তনের চেষ্টা চালাচ্ছে।

বগা গ্রামের পূর্ব অংশে তরফদার বংশের বসবাস। আগে বগা পূর্বপাড়া অথবা চটাপাড়া নামে পরিচিত ছিল। তরফদার পাড়ার পূর্ব অংশে মূলবাড়ী গ্রাম, দক্ষিণে সত্তুরবাড়ী গ্রাম, উত্তরে বগা উত্তরপাড়া  এবং পশ্চিমে বগা পুকুরচালা অবস্থিত। ২০১২ সালে স্থাপিত বগা তরফদার পাড়া বায়তুন নুর জামে মসজিদ এর বারান্দার দক্ষিণ রাস্তা মুখী একটি পোস্টার, পূর্বে মজিবর তরফদারের বাড়ীর পূর্ব পাশে ব্রিজ পাড়ে, এবং পশ্চিমে আঃ ছামাদ তরফদারের বাড়ির পশ্চিমে মোট তিনটি " স্বাগতম তরফদার পাড়া, বগা পোস্টার টানানো হয়।

মূলত উত্তরে ওয়াহেদ কারী তরফদার এর বাড়ী,  পূর্বে মজিবর তরফদার থেকে পূর্ব  দক্ষিণে জুলহাস তরফদার, দক্ষিণ পশ্চিমে কামরুল তরফদার পশ্চিম উত্তরে আঃ ছামাদ তরফদার  এর বাড়ী পর্যন্ত তরফদার পাড়া নামে পরিচিত।এ অংশে একটি মসজিদ, মসজিদের পাশেই রয়েছে গোরস্থান এবং মাদ্রাসা নির্মাণের কাজ চলিতেছে। উল্লেখ্য তরফদারদের মূলবাড়ী গোরস্থান সহ ৪টি গোরস্থান থাকলে বর্তমানে মসজিদ গোরস্থান হচ্ছে এদের কেন্দ্রীয় গোরস্থান। সজীব তরফদার সাঈম জানায়, বর্তমানে ৪৫ টির মতো পরিবারের মধ্যে মাত্র ৫/৬ টি পরিবার রয়েছে অন্য বংশের।

সকলের  সন্মতিতে ২০১২ সালে মসজিদ তৈরি করে আমরা বগা তরফদার পাড়া জামে মসজিদ নামকরণ করেছি। এখন আমরা  মহল্লার পুরো অংশের নাম পরিবর্তন করা চেষ্টা চালাচ্ছি। জানা যায়, বগা গ্রামটি শত বছরের পুরাতন একটি গ্রাম। গ্রামে বিভিন্ন বংশের লোক বসবাস করলে পূর্ব পাশের পুরো অংশে একটি বংশের লোক বসবাস করে আর তা হলো তরফদার বংশ। ১৮ শতকের শেষের দিকে গুমান তরফদার ভুয়াপুর উপজেলা থেকে ঘাটাইলের দেউলাবাড়ী ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে বসবাস শুরু করে।

এবং ১৯ শতকের শুরুর দিকে তার ছেলে চানঁ তরফদার ও তার চার মেয়ে ও তিন ছেলে জুলমত তরফদার, এবার উদ্দিন তরফদার ও রেফাজ উদ্দিন তরফদার কে নিয়ে পাহাড়িয়া বগা গ্রামের পূর্ব অংশে এসে বসবাস শুরু করেন। এরপরে বড় ছেলে জুলমত তরফদার মারা যান স্বাধীনতার পূর্বে, তাকে দাফন করা হয় তার বাড়ির পশ্চিম পাশে পুরনো গোরস্তানে। তার ২ মেয়ে ও ৩ ছেলে মাজম আলী তরফদার, হোসেন আলী তরফদার, শমসের আলী তরফদার। ছোট ছেলে রেফাজ উদ্দিন তরফদার মারা যান ১৯৩৮ সালে, তাকে দাফন করা হয় তার বাড়ির পাশেই।

তার ২ ছেলে তোরাপ আলী তরফদার ও আরশেদ আলী তরফদার। মেজো ছেলে এবার উদ্দিন তরফদার মারা যান ১৯৭৭ সালের ১৭ মার্চ রোজ বুধবার, এবং তার সহধর্মিণী আহাতন নেছা মারা যান ১৯৮৬ সালের ২৩ মে রোজঃ বুধবার। তাদের  দাফন করা হয় রেফাজ উদ্দিন তরফদারের কবরের পাশে।  তাদের ৭ ছেলে আকবর আলী তরফদার, ওয়াহেদ কারী তরফদার, জাফর আলী তরফদার, বর্তমানে জীবিত আছে ছোট চার ছেলে হলো কলিম উদ্দিন তরফদার।

মজিবর রহমান তরফদার, ফজলুর রহমান তরফদার, কাজী আব্দুল আউয়াল তরফদার। তিন কবরের গোরস্থান বর্তমানে মজিবর ও ফজলুর তরফদারের বাহির বাড়িতে অবস্থিত। গুমান তরফদার থেকে শুরু করে বর্তমানে অষ্টম প্রজন্ম এখানে মিলে মিশে যুগ যুগ ধরে গ্রামের অন্য বংশের লোকজনের সাথে সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে আসছেন। এ ছাড়াও তরফদার বংশের কিছু লোক বগা মধ্যপাড়ার মাদ্রাসার পাশে বসবাস করে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ঢাকার বায়ু আবারও অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: একদিনের ব্যবধানে আবারও অবনতি হয়েছে রাজধানী ঢাকার বাতাস। গতকাল সোমবার ঢাকার বায়ু সহনীয় থাকলেও আজ মঙ্গলবার তা অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে চলে গেছে।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় আবহাওয়ার মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক বলছে ঢাকার স্কোর ১৩৮। আর গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার স্কোর ছিল ৬৫। অর্থাৎ ঢাকার বাতাসের দূষণমাত্রা সহনীয় পর্যায় থেকে একদিনের ব্যবধানে অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে চলে গেছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে থাকে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে তথ্য দেয় এবং কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানিয়ে থাকে।

একিউআই তথ্য অনুসারে, একই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ৬১২ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ অবস্থায় রয়েছে ভারতের দিল্লি। আর ৩৭১ স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর দ্বিতীয়। একিউআইয়ের স্কোর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

অপরদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার বোসান শহর ১৬৪ স্কোর নিয়ে রয়েছে তালিকার তৃতীয় স্থানে। ১৬১ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে চীনের ওহান এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে চেংদু, যার স্কোর ১৬০।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর