Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে ভুটানের রাজা এখন নিজ দেশের পথে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: ওবায়দুল কাদের কাতারের আমির দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারের সহায়তা নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ এপ্রিলের ট্রেনের টিকেট দশ মিনিটেই শেষ

রূপগঞ্জে আ'লীগ নেতার অর্থায়নে ১ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্যে সামগ্রী বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২৫৫জন দেখেছেন

Image

মোঃআবু কাওছার মিঠু (নারায়ণগঞ্জ)  প্রতিনিধি:

পবিত্র রমজান উপলক্ষে  নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য  আনসার আলীর অর্থায়নে প্রায় ১ হাজার দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।রোববার (২৮ মার্চ) দুপুরে উপজেলার হাবিবনগর এলাকার আলহাজ্ব লায়ন মোঃ হাবিবুর রহমান হারেজ সিটি কলেজ মাঠে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।


খাদ্য সামগ্রীর  মধ্যে রয়েছে, চাল, তেল, লবণ, আলু,  পিয়াজ, ডাল, বুট, মুড়িসহ ইফতার সামগ্রী। এসব খাদ্য সামগ্রী পাওয়া হযরত আলী, ইমান আলী, সফুরা খাতুন, আলী আহমেদ, মনটু মিয়া, আকবর আলীসহ আরো অনেকে বলেন, রূপগঞ্জ ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রাম ওয়ার্ড ও মহল্লার মানুষের মনের এবং ভালোবাসার নাম আনসার আলী। আল্লাহ তাআলা তাকে ভালো করবো। কারণ তিনি করোনা মহামারী, ঈদ, পূজা, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানসহ নিরীহ হতদরিদ্র ও সাধারণ মানুষের পাশে সব সময় থেকে সহযোগিতা করে গেছেন। শুধু তাই নয়, অনেক অসহায় পরিবারের মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন।


এ ধরনের মানুষ পাওয়াটা ভাগ্যের বিষয়। এভাবেই আনসার আলীকে আমরা রূপগঞ্জ ইউনিয়নবাসী সব সময় সুখে-দুখে কাছে পেতে চাই। খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ,সদর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সিনিয়র সহসভাপতি মোমেন মিয়া,সহসভাপতি ফারুক মিয়া,২ন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মনির হোসেন,৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান বাদশা।


৯নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল সালাম,আওয়ামীলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন, নবী হোসেন, সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মোহন মিয়া, সদর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি শাহা মোহাম্মদ জিলানী ভান্ডারী,১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মুরাদ হাছান, যুবলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন, আবু তাহের, আমিনুর ভূঁইয়া, ফরিদ ভূঁইয়া,সাইফুল ইসলাম মামুন,আবু সুফিয়ান,মেহেদী হাছান খান প্রমুখ।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



সড়ক সংস্কারে ধীরগতি, গোজামিলে ড্রেনেজ গাংনী কাথুলী সড়কের বেহাল দশা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী সড়কের বেহাল দশা বিরাজ করছে। গাংনীর কাথুলী থেকে মেহেরপুর শহর পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কের বেশির ভাগ স্থানে ইট-খোয়া ওঠে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পয়নিষ্কাশন ড্রেন নির্মাণেও রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ১৮ গ্রামের মানুষসহ পন্য পরিবহন সংশ্লিষ্ট যানবাহন। সকল কর্মকা-ে পড়ছে ভাটা। সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে ৯ কোটি ৪ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সড়ক সংস্কার ও বাজার এলাকায় পয়নিস্কানের জন্য ড্রেন তৈরির পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। দেশব্যাপী গ্রামীণ বাজার উন্নয়ন প্রকল্পের অধিনে পয়নিষ্কাশন ড্রেন নির্মাণ ব্যায় ধরা হয় ৬৪ লক্ষ টাকা। যার কার্যাদেশ পান ঢাকার আবেদ মনসুর কনষ্টাকশন। কাজ দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে কুষ্টিয়া এলাকার শহিদুল ইসলাম। কাজ শেষ হবার কথা চলতি বছরের মে মাসে।

স্থানীয়রা জানান, কায়েমকাটা মোড়ে থেকে দুটি সড়ক দু’দিকে গেছে। একটি সড়ক শোলমারি, শোভরাজপুর, তেরঘরিয়া গ্রামের দিকে গেছে। অন্যাটি কাথুলী ইউনিয়নের সহগলপুর, হাটপাড়া, গাড়াবাড়িয়া, কাথুলী বাজারে গিয়ে ঠেকেছে। এই সড়কটি দির্ঘ ১২ বছর ধরে খানাখন্দে ভরে থাকে। সড়ক ও জনপদ বিভাগ বছরে একবার করে খানাখন্দগুলো ভরাট করে চলে যায়। কিন্তু নতুন করে কার্পেটিং করার অভাবে পুনরায় নতুন নতুন খানা খন্দ সৃষ্টি হয়ে যানচলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার মানুষের।

গত ফেব্রুয়ারী মাসের শুরুতে ওই সড়কের খানাখন্দ ভরাট করেছে সওজ। শুরু হয়েছে ড্রেন নির্মাণ কাজ। কাথুলী সড়কের কুলবাড়িয়া(যে অংশটি সদর উপজেলাধীন) ও হাটপাড়া বাজার এলাকায় ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই ড্রেন নির্মাণ নিয়ে এলাকার মানুষদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের মতে, যেখানে ড্রেন নির্মাণ করা জরুরী সেখানে না করে অন্যস্থানে ড্রেন করছে।

কাথুলী ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর জিনারুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুমে সড়কের গাড়াবাড়িয়া দারুস সালাম মসজিদ এলাকার সামনে সব চেয়ে বেশি পানি জমে। ওই সময়ে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসিকে। মাঝে মাঝে যানবাহন উল্টে গিয়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যেখানে ড্রেন করা গুরুত্বপূর্ণ সেখানে না করে উচু স্থানে ড্রেন করছে। যা সাধারণ মানুষের কোন কাজে আসবে না।

গাড়াবাড়িয়ার কম্পিউটার দোকানি আলি হোসেন জানান, গত একযুগেও সড়কটিতে মানুষ আরামে চলাচল করতে পারেনি। বেশিরভাগ স্থানে খানাখন্দ। এবারে নতুন করে আরো একটি ঝামেলা তৈরি করেছে তারা।যেখানে ড্রেনের দরকার সেখানে না করে উচু যায়গায় ড্রেন নির্মাণ করছে। আগামী বর্ষায় এই সড়কদিয়ে মানুষ কেন কোন পরিববহনও চলাচল করতে পারবে না। একই অভিযোগ কাথুলী গ্রামের বাসিন্দা লিয়াকত হোসেনের। তিনি আরো জানান, এই সড়কে কোন কাজের ঠিক নেই। এমনিতে কয়েকস্থানে কার্পেটিং তুলে ফেলার কারণে চলাচল করতে কষ্ট হচ্ছে। তার উপর উঁচু স্থানে ড্রেন নির্মাণ।

কাথুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, কাথুলী সড়কে যেখানে ড্রেন নির্মাণের জন্য এলাকাবাসি দির্ঘ দিন থেকে দাবি জানাচ্ছিল। সেই জলাবদ্ধ স্থানে সড়ক বিভাগ ড্রেন নির্মাণ না করে একটি উচু স্থানে ড্রেনটি নির্মাণ করছেন। সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায়ে উন্নয়নকে ম্লান করে দিচ্ছেন এসব কর্মকর্তারা। কয়েকদফা তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর পরও তারা সেখানেই ড্রেনটি নির্মাণ করছে।জানতে চাইলে আবেদ মুনসুর কনস্ট্রাকশনের প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম জানান, কাজ চলমান রয়েছে।

সড়কের উপরিভাগ তুলে ফেলে নতুন করে কার্পেটিং করা হবে। সওজের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুয়ায়ী ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। কোন কোন স্থানে ড্রেন হবে তা আগে থেকে সওজ কর্তৃপক্ষ নির্ধারন করে রেখেছে। এখানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোন গাফলতি নেই।

কোন অনিয়ম হয়নি মর্মে দাবি করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী (এসডি) মুহাম্মদ মনজুরুল করিম জানান, ড্রেন হওয়ার কথা বাজার এলাকায়। সওজ সব সময় তদারকি করে কাথুলী সড়কের তিন স্থানে ড্রেন নির্মাণের কাজ করছে। এর আগে সওজ কয়েকদফা এলাকায় ড্রেন নির্মাণের জন্য স্থান নির্বাচন করেছে। এখানে কোন অনিয়ম হয়নি।


আরও খবর



খাগড়াছড়িতে নব্য পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারকে ফুল দিয়ে বরণ করেন পুলিশ সুপার মুক্তা ধর

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়িতে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল-২০২৪ এ নিয়োগপ্রাপ্ত ১৫ জন নব্য পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গ কে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর  ফুল দিয়ে বরণ
করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে  পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে  'সেবার ব্রতে চাকরি’—এই শ্লোগানে খাগড়াছড়ি জেলায় নিয়োগ যোগ্য শূণ্য পদের বিপরীতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গ কে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।

এসময় অভিভাবকরা আবেগপ্রবণ হয়ে তাৎক্ষণিক অনুভূতি ব্যক্ত করেন যে, তারা কৃষক, দিনমজুর, অটোচালক বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত। যদি বাংলাদেশ পুলিশ স্বচ্ছতা, যোগ্যতা এবং মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ না দিতেন তাহলে আজ তাদের সন্তানেরা বাংলাদেশ পুলিশের মত গর্বিত বাহিনীতে চাকরি করার সুযোগ পেত না । এ সময় তারা মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে তাদের সন্তানদের বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ দেওয়ায় বাংলাদেশ পুলিশের সম্মানিত আইজিপি মহোদয় এবং খাগড়াছড়ি জেলার  পুলিশ সুপার মহোদয় কে ধন্যবাদ জানান।

চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ উষা চিং মারমা'র মা বলেন, আমি একজন গৃহিণী। আমার মেয়ে অনেক কষ্ট করে পড়া লেখা করেছে। আজকে আমার মেয়ে কোন ধরনের তদবির, ঘুষ ছাড়াই সম্পূর্ণ যোগ্যতা, স্বচ্ছতা এবং মেধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ পেয়েছে।ছোট থেকেই আমার মেয়ের পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন ছিল। আজকে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। আমার মেয়ে ১২০ টাকায় চাকরি পেয়েছি। ১২০ টাকায় যে চাকরি হয় আমার মেয়ে না পেলে  বুঝতেই পারতাম না। ১২০ টাকায় চাকরি পেয়ে পুলিশ সুপার মহোদয়কে ধন্যবাদ জানান।

মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করা মো. সুমন মিয়ার বাবা জানান যে,তিনি একজন কৃষক। দরিদ্র পরিবারে স্ত্রী,সন্তান নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করেন তিনি। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ছেলে সুমন চাকুরী পাওয়ায় তিনি খুব আনন্দিত।তিনি চান যে,তার ছেলে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে দেশ ও জাতির সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিক। 

প্রথম স্থান অধিকারী সুমন জানান যে,ছোটবেলা থেকেই পুলিশ হওয়ার স্বপ্নে বিভোর থাকতেন তিনি।আজ তার সেই স্বপ্ন পূরন হতে চলেছে।সুমন আরও প্রত্যাশা করেন যে,পুলিশ বাহিনীতে যোগদান  করে দেশ ও জনগণের সেবার মাধ্যমে দেশের আইন- শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সদা তৎপর থাকবেন।

এ সময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা হতে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত অন্যান্য পুলিশ সদস্য তাদের অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন যে, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর মতো গর্বিত বাহিনীতে তারা সম্পূর্ণ যোগ্যতা, স্বচ্ছতা এবং মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছেন যা তাদের পরিশ্রমের ফসল এবং এ নিয়োগ প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ যোগ্যতা, স্বচ্ছতা এবং মেধার ভিত্তিতে ফলপ্রসু করার পেছনের কারিগর খাগড়াছড়ি জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)  বক্তব্যে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন,  সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব সাথে দেশসেবার মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কাজ করার আহবান জানান। এবং প্রশিক্ষণকালীন বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে তাদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। 

এ সময়  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস)  মো. জসীম উদ্দিন পিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার  সৈয়দ মুমিদ রায়হান সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



কুড়িগ্রামের রৌমারীতে দাপিয়ে চলছে মাটিভর্তি ট্রাক্টর,প্রায় ঘটছে দূর্ঘটনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় চলতি বছরে চলছে ইট তৈরীর মৌসুমে কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে সড়ক ও মহা-সড়ক পথে ইটভাটা ও জায়গা ভরাটে মাটি পৌঁছে দেয়ার জন্য রৌমারী টু ঢাকা মহা-সড়ক ও গ্রামীণ সড়ক’সহ উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কে দিনে-রাতে অবাধে দাপিয়ে চলছে প্রায় ৮ শতাধিক অবৈধ ট্রাক্টর (কাকড়া গাড়ী)। নতুন সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ কার্যকরে স্থানীয় প্রশাসনের জোরালো পদক্ষেপ না নিয়ে অর্থের বিনিময়ে আতাত করে নিরোব ভূমিকা পালন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি। এর কারণে মাটিভর্তি ট্রাক্টর (কাকড়া গাড়ী)। চালকরা আরো বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছে গাড়ী এর কারণে মাঝে মধ্যে ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।

যানাজায়, গত শুক্রবার (৮মার্চ) ট্রাক্টর ও ভটভটির ধাক্কায় আবু সাইদ (৫৫) নামের এক বৃদ্ধ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ছাড়াও গত দুই বছরে নুরজাহান (৪০) আমির হোসেন (৬০), মুগল হোসেন (৪৮), ওয়াসিমা খাতুন (৬০), সোবহান (৬৫). জাহিদুল ইসলাম (২৬), মতিয়ার রহমান (৪০) সহ অনন্ত ২০ জনের মৃত্যু ও আহত হয় স্কুল শিক্ষার্থীসহ প্রয় ৩০ জন।

সম্প্রতি উপজেলার চান্দারচর, চর বামনেরচর, টাপুরচর, মিয়ারচর, গেয়ালগ্রাম,দিগলাপাড়া,খন্ধসঢ়;জনমারাসহ কয়েকটি সড়ক মেরামতের কাজ সম্পূর্ণ করা হলেও অতিরিক্ত মাটি ভর্তি ট্রাক্টর (কাকড়া গাড়ী)। চলাচলের কারণে সড়কটিতে আবারো খানাখন্দ দেখা দিয়েছে। ট্রাক্টর (কাকড়া গাড়ী)’র আঘাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না গ্রামীণ পাকা সড়ক ও কাচা পথগুলো। উপজেলা বাসট্যান্ড, থানা মোড়, ডিগ্রী কলেজ মোড়, উপজেলা মোড় ও ভোলার মোড়ে প্রশাসনের চোখের সামনের এ সড়কসহ বিভিন্ন শাখা সড়কে পিছু ছাড়ছে না যানজট। এতে ঘটছে ছোট খাটো দুর্ঘটনা।

অবৈধ গাড়ীর সামনে মাসিক চাঁদার নামে মানতি কার্ড ব্যবহার করে পুরো উপজেলায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এ অবৈধ যানবাহন গুলো। আর একারণে নিরব ভূমিকা পালন করেন উপজেলা প্রশাসন। পুলিশ রহস্যজনক কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেয় না। এমনকি অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযানের ছোঁয়া ট্রাক্টর চালক-মালিকদের কাছে পৌঁছায় না।

উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে শুধু মোটরসাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রেও পুলিশের বিরুদ্ধে রয়েছে মোটরসাইকেল চালকদের হয়রানি করার অভিযোগ।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাক্টর (কাকড়া গাড়ী)’র চালক বলেন, রৌমারী থানা পুলিশ প্রায় প্রতিদিনই তল্লাশির নামে চেকপোস্ট বসিয়ে বৈধ কাগজপত্র না থাকা যানবাহনের বিরুদ্ধে নাম মাত্র আইনগত ব্যবস্থা নিলেও বৈধ যানবাহন চালক ও পথচারিদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজকরে।

বেশি লাভের আশায় ট্রাক্টর (কাকড়া গাড়ী) মালিকরা স্বল্প বেতনে অপ্রাপ্ত বয়সের চালককে দিয়ে ট্রাক্টর চালানোর কারণে সড়কে চলাচলরত স্কুল ছাত্র,ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ট্রাক্টর (কাকড়া গাড়ী)’র চাপায় পড়ে আহত ও নিহত হচ্ছে। ভ্যানচালক হেলপাররাই এখন ট্রাক্টর (কাকড়া গাড়ী) মালিকদের ভরসা। যে চালক যত বেশি গতিতে গাড়ি চালিয়ে ইটভাটায় ও জায়গা ভরাটে যত বেশি মাটি পৌঁছে দিতে পারবে, সেই চালককে মালিকরা তত বেশি পছন্দ করেন। পাল্লাদিয়ে গাড়ি চালানোর কারণে বিকট শব্দ দূষণ হয়। এতে শিশু,বৃদ্ধ্য ও পথচারীদের সড়কে হাঁটাচলা করতে মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়।

এছাড়া অতিরিক্ত মাটি বহন করার কারণে সড়কে চলার পথে ঝাঁকুনি খেয়ে মাটি পড়ে যায় এবং একটু বৃষ্টি হলেই পাকা সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ ছাড়াও এ উপজেলায় অবাধে চলছে পাওয়ার টিলার দিয়ে তৈরি অবৈধ ট্রলি (ভটভটি)। এগুলোও অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেদের দিয়ে মূল সড়কে চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। এই ধরনের গাড়ি উপজেলার বিভিন্ন স-মিলের জন্য গাছের গুঁড়ি, কাঠ-খড়ি ও গরু-মহিষসহ নানা প্রাণী বহন করে।

জানা গেছে চার বছর ধরে রৌমারী উপজেলায় ফসলি জমির শ্রেণী পরিবর্তন না করে ভূমি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে জমির মালিকদের লোভদেখিয়ে ফাঁদে ফেলে মাটি, ইট ও পুকুর খনন ব্যবসায়ীরা এ পর্যন্ত প্রায় ৬’শ একর ফসলি জমি পুকুরে পরিণত করেছেন বালু খেকোরা।

উপজেলার ট্রাক্টর (কাকড়া গাড়ী) মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক রৌমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু বলেন, মালিক সমিতির আওতায় দেড় শতাধিক ট্রাক্টর আছে। এ ছাড়াও বাইরের এলাকা থেকে ৫০টির মতো ট্রাক্টর এসে কাজ করছে। তিনি আরো বলেন, নতুন সড়ক আইন কার্যকর করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে তারা বৈঠক করেছেন। চালক ও মালিক পক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে প্রকৃত চালক ছাড়া কেউ যেন ট্রাক্টর (কাকড়া গাড়ী) না চালায়। সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে যথাযথ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য প:প:কর্মকর্তা ডা. মো আসাদুজ্জামান বলেন, বালু বোঝাই ট্রাক্টর (কাকড়া গাড়ী) অবাধে চলাচলের কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এবং স্কুল শিক্ষার্থী ও বয়স্ক মানুষ সহ এজমা, সর্দি,কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এসব অবৈধ যানবাহন বন্ধের জন্য উপজেলা প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করছি।

রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লা হীল জামান জানান, ট্রাক্টরগুলো অবাধ চলাচলের কারণে সদরে এক দিকে যেমন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এবং অন্য দিকে ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই আছে। শিগগিরই এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি নাহিদ হাসান খান বলেন, রৌমারীতে অসংখ্য ট্রাক্টর অবাধে চলছে। এসব বন্ধের জন্য আলোচনা সাপেক্ষে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে টাকার বিষয়ে প্রশ্নকরলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।


আরও খবর



মালয়েশিয়ায় কমিউটার ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল ৩ বাংলাদেশির

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মালয়েশিয়ার কমিউটার ট্রেনের ধাক্কায় তিনজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে,রোববার (৩ মার্চ) রাতে কেটিএম পুনকাক উতামা জেড হিল ট্র্যাকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

সালেঙ্গর ফায়ার অ্যান্ড রিসকিউ ডিপার্টমেন্টের (জেপিবিএম) পরিচালক ওয়ান রাজালি ওয়ান ইসমায়েল জানান, আমাদেরকে রাত ১০টা ৫৩ মিনিটে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি বলেন, জরুরি ডাকের পর কাজাং স্টেশন থেকে পাঁচজন কর্মী নিয়ে একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।

সোমবার এক বিবৃতিতে ইসমায়েল বলেন, নিহতদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ এর মধ্য। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যায়নি। তাদের রেলওয়ে ট্র্যাকের পাশে পাওয়া গেছে।’

ঘটনাটি তদন্তে স্থানীয় পুলিশ কাজ করছে বলে জানা গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

খবর  মালয় মেইলের


আরও খবর



কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকান্ডে দগ্ধ-৩৬, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর ( গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকান্ডে শিশু ও নারীসহ ৩৬ জন দগ্ধের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ওই তদন্ত কমিটির কথা জানান গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মো. সফিকুল ইসলাম।

এসময়ে জেলা প্রশাসক বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আগুনে শিশু, নারীসহ ৩৬ জন দগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে ৩৪ জন আছে ঢাকায় আর দুই জন স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। অন্য দুই সদস্য হলেন কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ ও গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরিফিন। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এখানে খুবই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এখানে যারা থাকেন, তাদের গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে অভিজ্ঞতা কম। যার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের দিয়ে অগ্নি মহরা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। এছাড়াও অগ্নিদগ্ধদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে এবং সার্বক্ষণিত তাদের খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।

সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন কালে তার সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুরের পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ, কালিয়াকৈর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজমীর হোসেন, কালিয়াকৈর থানার ওসি এ এফ এম নাসিম, মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল আলমসহ অনেকে।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম বলেন, এখানে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি খুবই মর্মাহত। এ ধরনের ঘটনা যাতে পূনারাবৃত্তি না হয়, এজন্য জনসচেতনতা প্রয়োজন। আইনের কাঠামো থেকে যারা এর ব্যক্তয় ঘটাবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখানে যারা গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করে তাদের ডিলাশীপ ঠিক আছে কি না? সেগুলি দেখা হবে। এখানে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে।উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্ধ্যা পৌণে ৬টার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় ভয়াবহ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ওই আগুনে দগ্ধ হন শিশু, নারীসহ ৩৬ জন। এদের মধ্যে গুরুতর পাঁচজন আইসিওতে ভর্তি আছেন।


আরও খবর