নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের ফলাফল শূন্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে লিয়াঁজো কমিটির সভা শেষে এ কথা বলেন তিনি। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের মিথ্যাচার থেকে দেশ বাঁচাতে হবে। আলোচনার কথা বলে আওয়ামী লীগ বিশ্বাসঘাতকতা করে। তাই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে। ১০ দফা দাবি আদায়ে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে বিএনপি লিয়াঁজো কমিটি ও এলডিপির বৈঠক হয়।
প্রধানমন্ত্রীর চলমান বিদেশ সফরের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সফরে অর্জন একদম জিরো। মিথ্যা বলে মানুষকে এক-আধদিন বোকা বানিয়ে রাখা যায়। বেশিদিন যায় না। আওয়ামী লীগ সেই কাজটিই করে যাচ্ছে। এইবার তারা ব্যর্থ হবে। এইবার জনগণ তাদের মিথ্যাচার বুঝে গেছে, জারিজুরি বুঝে গেছে। জনগণ এইবার তাদের সরিয়ে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে।
দ্রব্যমূল্যের দাম অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলো পুরোপুরিভাবে খালি করে দেওয়াসহ দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করে দিয়ে অর্থব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যখাত, শিক্ষাখাত সবকিছুতেই একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের ন্যূনতম যে অধিকার- ভোট দেওয়ার অধিকার, কথা বলার অধিকার, স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার; তা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে অধিকারগুলো অর্জন করেছিলাম, সেই অধিকারগুলো পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের একটি মাত্র উদ্দেশ্য, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা আবারও প্রতিষ্ঠা করতে চায়। যেটা তারা করতে চেয়েছিল ১৯৭৫ সালে।
এ সময় এলডিপি প্রেসিডেন্ট ড. অলি আহমদ বলেন, ‘এই আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, এই আন্দোলন মন্ত্রী হওয়ার জন্য নয়, এই আন্দোলন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে মুক্ত করার আন্দোলন।
ড. অলি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মকাণ্ড স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করতে পারছে না। সাংবাদিকরাও লিখতে পারে না, কারণ আইন করে তাদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য দেশকে স্বাধীনতা করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ করি নাই। মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল প্রত্যেকটি মানুষ স্বাধীনভাবে বসবাস করবে এবং তারা ভোট দিয়ে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দেশ পরিচালনা করবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।