Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

রৌমারীর কৃষকরা ডিজিটাল যন্ত্রের সাহায্যে রোপন করছেন রোপা আমন

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৩৯০জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রেীমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ ডিজিটাল যন্ত্রের সাহায্যে রোপা আমন চাষ করছেন কুড়িগ্রামের রৌমারীর কৃষির উপর নির্ভরশীল কৃষকরা। অপরদিকে সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মাঠে রয়েছে রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা,এবং সঙ্গে রয়েছে উপসহকারী কর্তারাও। রাইচ ট্রান্সপ্লান্টার এই ডিজিটাল যন্ত্রের দ্বারা রোপা আমন রোপনে প্রতি বিঘায় খরচ কমে অর্ধেকে নেমেছে বলে জানিয়েছে চাষিরা। রাইস ট্রা¯œপ্লান্টার দ্বারা শুধু রোপা আমনই চাষ করা যায় তা কিন্ত নয় আপনি বোরো রোপনেও এই ডিজিটাল যন্ত্রটি ব্যবহার করে স্বালম্বী হতে পারেন। এমনটি জানিয়েছেন রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধরী। তিনি রৌমারী উপজেলায় কর্মস্থলে জয়েন্ট করার পর থেকেই পাল্টে গেছে কৃষি অফিসের সকল কার্যকলাপ। এই কর্মকর্তা সকাল থেকে সারাক্ষণ মাঠে গিয়ে নিজেই কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে কৃষকের সমস্যা সমাধানে ব্যসন্ত সময় পার করছেন তিনি। শুধু তাই নয় সকল বিষয়েই তিনি নীতিতে অটল ভূমিকা পালন করার ফলে বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ¦ল হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের যে মিশন ৪১ সালের মধ্যেই এই দেশটিকে দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশের সারিতে অবস্থান করবে এই দেশ। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার কৃষকদের নানাভাবে সহযোগিতা করে যাওয়ার ফলে দেশ ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষক রোকুজ্জামান, আবেদ আলী, জহুরুল ইসলামসহ আরও অনেকেই বলেন রাইস ট্রা¯œপ্লান্টার দ্বারা ধান রোপনে খরচ অর্ধেকে কমে যায়। এসময় কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে ছিলেন উপসহকারী কর্মকর্তা সুমন মিয়া আফছার আলী আঙ্গুর। এবিষয় রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধরীর সঙ্গে কথা হলে তিনি রৌমারী উপজেলার কৃষকদের ব্যাপারে বলেন চলতি মৌসুমে ৮হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষমাত্র ছিলো, কিন্ত তা ছাড়িয়ে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হবে এমনটি ধারনা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন রৌমারী উপজেলায় কৃষির উপর নির্ভরশীল কৃষকের সংখ্যা প্রায় মানুষ গুলোই এদের সবসময়ই সহযোগিতা করা হচ্ছে যাতে কৃষকদের কোন সমস্যা না হয় সেদিকে সুনজর দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



বিশ্বকবির ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখের এই দিনে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

বাঙালির আত্মিক মুক্তি ও সার্বিক স্বনির্ভরতার প্রতীক, বাংলাভাষা ও সাহিত্যের উৎকর্ষের নায়ক তিনি। তার লেখা ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গান বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। এদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার অনেক কবিতা ও গান ছিল সীমাহীন প্রেরণা উৎস।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে তার গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। কবির গান-কবিতা, বাণী এই অঞ্চলের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তির ক্ষেত্রে প্রভূত সাহস যোগায়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে শুধু নয়, চিরকালই কবির রচনাগুলো প্রাণের সঞ্চার করে। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ নোবেল বিজয়ী এই বাঙালি কবিকে স্মরণ করবেন তার অগণিত ভক্তরা। শুধু দুই বাংলার বাঙালিই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলা ভাষাভাষী কবির জন্মবার্ষিকীর দিবসটি পালন করবে হৃদয় উৎসারিত আবেগ ও শ্রদ্ধায়।

বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার পতিসরে, কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়ী, সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর এবং খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে। এ উপলক্ষে রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্রবিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।

কবি গুরুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বেলা ১১টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ছায়ানটের রবীন্দ্র-উৎসব ২৫ ও ২৬ বৈশাখ (৮ ও ৯ মে) ছায়ানট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়। দুইদিনব্যাপী এই উৎসবে পরিবেশিত হবে একক ও সম্মেলক গান, নৃত্য, পাঠ-আবৃত্তি। অনুষ্ঠানে ছায়ানটের শিল্পী ছাড়াও আমন্ত্রিত শিল্পী ও দল অংশ নেবেন। ছায়ানট মিলনায়তনে আয়োজিত এই উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত।


আরও খবর



রৌমারীতে এলডিডিপি প্রকল্পে দুর্নীতি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সরকারি অর্থায়নে ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব শেড নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপকারভোগীরা। তাদের অভিযোগ, নিজেদের একাউন্টে টাকা আসলেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৌশলে তাদের কাছ থেকে চেকের পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে টাকা উত্তোলন করে ছাগল ও মুরগির পরিবেশ বান্ধব ঘর নির্মানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সিংহভাগ টাকা পকেট অস্ত্র করেন।

সরেজমিনে গিয়ে উপকারভোগীদের সাথে কথা বলে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য পাওয়া গেছে। একাধিক সূত্রের মতে, উপকারভোগীদের একাউন্টে প্রেরিত অর্থ দিয়ে তাদের নিজেদের পরিবেশ বান্ধব ঘর তৈরির কথা থাকলেও সংশিষ্ট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাদের সে সুযোগ না দিয়ে নিজেরাই এসব ঘর তৈরীর কাজ শুরু করেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কাজের শুরুতেই এলডিডিপি প্রকল্পের প্রস্তাবিত পরিবেশ বান্ধব সেড নির্মাণে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার শুরু করলে দুর্নীতিপরায়ণ ওই কর্মকর্তা দ্বয় উপকারভোগীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন। সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) কর্তৃক উপজেলা পর্যায়ে গঠিত প্রডিউসার গ্রুপে (পিজি) সদস্যদের জন্য ইনভেস্টমেন্ট সাপোর্টের আওতায় ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব সেড (ঘর) নির্মাণের জন্য এলডিডিপি প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এ বরাদ্দ দেয় । 

অভিযোগ উঠেছে , এসব পরিবেশ বান্ধব সেড নির্মাণের জন্য ৯৭ জন উপকার ভোগীর জন্য ২৫ হাজার করে এবং ৩৪ জন উপকারভোগীর জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে মাত্র সাত আট হাজার টাকায় প্রতিটি সেড নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়। এভাবেই অবশিষ্ট সিংহভাগ টাকা পকেটস্থ করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন উপকারভোগী জানান, "আমাদের কাছ থেকে প্রথমেই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার কথা বলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ছবি  নিয়ে ব্যাংকে একাউন্ট খুলে দেন। পরবর্তীতে ওই একাউন্টে সেড নির্মাণের বরাদ্দ আসলে প্রাণিসম্পদ কর্মককর্তারা ছাগল রাখার ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে চেকের পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে টাকা উত্তোলন করে নেন।

জানা গেছে, নীতিমালা অনুযায়ী প্রকল্পের অর্থে শেড নির্মাণের জন্য উপকারভোগীদের সাথে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা সম্পাদন করেন ওই প্রকল্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। এমন কি স্ট্যাম্পের টাকাও উপকারভোগীদের কাছ থেকে আদায় করে নেওয়া হয়। এছাড়াও সেড ঘরের সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়ার জন্য প্রতি সদস্যদের কাছ থেকে ২ শ থেকে ৩ শত টাকা নেওয়া হয়। এসব অর্থ খরচের বৈধ কোন ভাউচার পাওয়া যায়নি।  

উপকারভোগীদের বরাদ্দে টাকার পরিমানে কমবেশি থাকলেও সরজমিন ঘুরে ১৩১ টি ঘর একই রকম পাওয়া গেছে। যার প্রতিটি ঘর তৈরি করতে সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা লাগতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন। সংশিষ্ট সূত্র জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর বামনেরচর ৩৬ টি, জিগ্নীকান্দী ৩৩ টি, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চরধনতল ২৮ টি ও হরিণধরা গ্রামে ৩৪ টি ঘর নিমার্ণ করা হয়। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এলডিডিপির সহযোগীতায় বাস্তবায়ন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল রৌমারী।

একাধিক উপকারভোগীর দাবী, "বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে আমরা সেড নির্মাণ করলে শেডগুলো পরিবেশ বান্ধব এবং টেক সই হতো। যা অনেকদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যেত। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা শেড গুলো অল্পদিনের মধ্যেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। 

অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন উপকারভোগীকে ম্যানেজ করে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদুন্নবী মিলন ঠিকাদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে অত্যন্ত কৌশলে উপকারভোগীদের নামে আসা বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা পকেটস্থ করেছেন। 

এদিকে প্রকল্পের ডিজাইন অনুযায়ী কাঠ, টিন, কনক্রিটের খাম ব্যবহার না করায় উপকারভোগীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে শেড ঘরের মেঝে পাকা করার কথা থাকলেও  ওই কর্মকর্তারা তা না করে শেড ঘরের মেঝে পাকা করার জন্য উপকারভোগীদের কাছে দ্বায়িত্ব চাপিয়ে দেন।

রৌমারী সদর ইউনিয়নের চরবামনেরচর গ্রামের পিজি কমিটির সভাপতি ও সদস্য হোসনে আরা বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আমাদের কাছ থেকে কাগজ পত্র নিয়ে তারাই ব্যাংকে একাউন্ট খুলে আমাদের কাছ থেকে চেকে সই করে তারা টাকা উত্তোলন করেন। যে ঘর নিমার্ণ করে দেন তা একে বারেই নি¤œমানের।

এব্যাপারে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ সম্পসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন জানান, দেখা শুনার দ্বায়িত্বে ছিলাম এর বেশি কিছু জানিনা। আমরা বড় স্যারের নির্দেশেনায় কাজ করেছি। নি¤œমানের শেড নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নীরব থাকেন।

রৌমারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান বলেন, সদস্যদের দ্বায়িত্ব দিলে এসব ঘরের কাজ ভালো ভাবে হবেনা তাই আমরা নিজেরাই করেছি। শেড নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কৌশলে বিষয়টি এগিয়ে যান।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মো মোনাক্কা আলীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, শেড নির্মাণে অনিয়ম হয়ে থাকলে লেখেন আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।



আরও খবর



শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৩১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না। তিনি পরোয়া করেন দেশের জনগণকে।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

প্রতিবেশী দেশ আওয়ামী লীগকে নিয়ন্ত্রণ করে’ সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলার চেতনা।

তিনি আরও বলেন, দেশি-বিদেশি কোনো শক্তি নয়, আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশের জনগণ। আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশের সংবিধান। এই সংবিধানের বাইরে আমরা যাবো না। আজকে যত ষড়যন্ত্রই করুক, যত বিদেশি শক্তির নামে হুমকি-ধমকি দিতে পারে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে বিচক্ষণ নেতার নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকে যে পরিবর্তন হয়েছে, সেই পরিবর্তনের রূপান্তরের রূপকার শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ম্যাজিশিয়ান অব পলিটিক্স। আজ বাংলাদেশের দৃশ্যমান উন্নয়ন শেখ হাসিনার ম্যাজিক।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনেকে বলেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয়। ১১ হাজার স্বাধীনতাবিরোধী কারাগারে ছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এদের মুক্তি দিয়েছিল। যার মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল ৭১৩ জন। এদের মুক্তি দিয়েছিল জিয়াউর রহমান।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের পর জিয়াউর রহমান নাস্তা খেতে খেতে আমাদের বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর ১১শ’ নেতাকর্মীকে ফাঁসি দিয়েছিল। এই ইতিহাস ভুলে গেছেন? কথায় কথায় আজ বলেন, কারাগার। আমি কি মিথ্যা বলেছি? জিয়াউর রহমান কী করেছিল এর প্রমাণ আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি নেতারা পালিয়ে গিয়ে এখন বেসামাল হয়ে প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে আক্রমণ করছে। আমি তাদের বলতে চাই, মুক্তির কথা বলেন, লজ্জা করে না? জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দলের ৬২ হাজার নেতাকে জেলে রেখেছিল। আপনাদের কতজন নেতা জেলে আছে? ৩ হাজার আমাদের নেতাকর্মী ও সরকারি অফিসারদের গুম করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখে-শুনে বলছি নিজেদের শত্রু নিজেরা না হই। আপন ঘরে যাদের শত্রু, তাদের বাইরের শত্রুর দরকার হয় না। আজ শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা নিতে হবে। তার সততা, সাহস থেকে। সাহস আর সততায় শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মতোই হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের শেখ হাসিনার নির্দেশ মেনে চলতে হবে। তার নির্দেশনার বাইরে যেন না যাই, অপকর্ম না করি, সতর্ক হয়ে যান। তিনি চুপচাপ আছেন বলে শাস্তি পাবেন না, তা নয়। শাস্তি ভোগ করতে হবে। যারা শাস্তি পেয়েছেন, তারা বুঝবেন। আর যারা পাননি, তারা স্মরণ করবেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শহীদ আলতাফ মাহমুদের কন্যা শাওন মাহমুদ, শহীদ বুদ্ধিজীবী আলীম চৌধুরীর কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বেনজির আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ।


আরও খবর



১৩৯ উপজেলায় ভোট পড়েছে ৩০-৪০ শতাংশ: সিইসি

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল  দাবি করেছেন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে বলে।

বুধবার (৮ মে) বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকের তিনি বলেন, এই নির্বাচনে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মধ্যে ভোট পড়েছে।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, প্রথম ধাপের ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। কিছু অনিয়ম সংঘাতের মতো ঘটনা ঘটেছে। দুটি কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এরকম ৩৪টি ঘটনা ঘটেছে, যাতে ৩৭ জন আহত হয়েছে। এর সবই হয়েছে কেন্দ্রে বাইরে।

ভোট কম পড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুম, ধান কাটার মৌসুমের কারণে হয়তো ভোটার উপস্থিতি কম ছিলো। তবে কম ভোট পড়ার কারণ ভোটারদের অনাগ্রহ কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান সিইসি।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনা। এই ধাপে ২২টি উপজেলায় ইভিএমে এবং ১১৭টিতে ব্যালটে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকাল আটটা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত। সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কিছুটা বাড়ে।

এবার স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে চার ধাপে। প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণ করা হলো রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে।

এই ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।


আরও খবর



ভোটে মন্ত্রী-এমপিরা প্রভাব বিস্তার করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা: সিইসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:অধাধ ও সুষ্ঠু উপজেলা নির্বাচন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এমনকি এই নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব রহিত করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে কোনো মন্ত্রী-এমপি প্রভাব বিস্তার করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সিইসি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না। তবু কোনো মন্ত্রী ও এমপি ভোটে প্রভাব বিস্তার করেন কি না, তা কেন্দ্রীয়ভাবে নজরদারি করা হবে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক প্রতিবেদনে জানা যায়, উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ১৩ জন মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন। তারা হলেন- মাদারীপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আসিবুর রহমান, সুবর্ণচর উপজেলার আতাহার ইশরাক চৌধুরী, সারিয়াকান্দি উপজেলার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, বেড়া উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আব্দুল বাতেন ও আব্দুল কাদের, নাজিরপুর উপজেলার এস এম নূর ই আলম, সোনাতলা উপজেলার মিনহাদুজ্জামান, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সফিকুল ইসলাম ও আলী আফসার, কুষ্টিয়া সদরের আতাউর রহমান, ধনবাড়ী উপজেলার হারুন অর রশীদ, মাদারীপুর সদরের পাভেলুর রহমান এবং রামগড় উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বিশ্ব প্রদীপ কারবারী।


আরও খবর