Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

রোপা আমন আগাছায় দ্বিগুণ খরচ হতাশায় ভুগছেন তানোরের কৃষকরা

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৩৫৫জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:বরেন্দ্র অঞ্চল ও কৃষি ভান্ডার ধান উৎপাদনে বিখ্যাত এব  সুপরিচিত রাজশাহীর তানোর উপজেলাটি, রোপা আমন খেতে আগাছা পরিস্কারে দ্বিগুণ খরচ হচ্ছে কৃষকের। এমনকি রয়েছে শ্বরমিক সংকটও। আবার যদিও পাওয়া যাচ্ছে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। আশপাশের জেলা উপজেলার চেয়ে এউপজেলায় রোপা আমন চাষ হয় প্রচুর। কিন্তু এবারে প্রথম থেকেই ভাগড়া পড়েছে কৃষকের কপালে। রোপনের পর সঠিক সময়ে পায়নি বৃষ্টির পানি। ধানী জমি থেকে শুরু করে খাল বিল শুকে চৌচির হয়ে পড়েছিল।  অবশেষে পানির দেখা পাওয়ার কারনে জমিতে প্রচুর পরিমানে আগাছা হয়ে পড়েছে। প্রতিটি মাঠে আগাছা পরিস্কারে কোমর বেধে মাঠে কৃষক শ্রমিকরা।

তানোর পৌর সদর গুবিরপাড়া গ্রামের কৃষক মশিউর জানান, চারবিঘা জমির আগাছা বা ঘাষ পরিস্কার করতে বাহির থেকে শ্রমিক আনতে হয়েছে। এক বিঘায় নিম্মে ৮ জন শ্রমিক থেকে ১২ জন শ্রমিক লাগছে। শ্রমিক প্রতি ৪০০ টাকা করে লাগছে।আরেক প্রবীন কৃষক এমাজউদ্দীন জানান দুবিঘা জমির ঘাস পরিস্কার করতে ২০ জন শ্রমিক লেগেছে। শ্রমিক প্রতি ৪০০ টাকা করে ৮ হাজার টাকা লেগেছে। অতীতে কখনো এরকম ঘাস আগাছা হয়নি। এত পরিমান আগাছা কল্পনাতীত। শুধু আমার না প্রায় কৃষকের একই অবস্থা।শ্রমিক মোস্তফা জানান, ধানতৈড় গ্রামের কৃষক হামিদের আগাছা পরিস্কারের কাজ করেছি। সে ৩০ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করেছেন। এক বিঘায় ১১ জন করে শ্রমিক লেগেছে। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত কাজ করা হয়। শ্রমিক প্রতি ৪০০ টাকা মজুরি। 

কৃষকরা জানান,  রোপনের সময় অনেকে বৃষ্টির পানি পেয়েছে আবার অনেকে পাননি, সেচের পানি দিয়ে রোপন করা হয়েছে। রোপনের পর থেকে পানির জন্য হাহাকারের শেষ ছিল না। গভীর অগভীর নলকূপ থেকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে সেচ দিতে হয়েছে। প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত প্রচুর খরচ গুনতে হয়েছে।  আগাছা পরিস্কারে এক বিঘায় যে পরিমান টাকা লেগেছে, সেই টাকা দিয়ে চাষাবাদ হয়ে গেছে। বিশেষ করে আলু উত্তোলনের পর ধান রোপন করা হয়েছিল। ধান কাটার সময় ন্যাড়া ব্যাপক হারে রাখা হয়েছিল। পানির অভাবে ন্যাড়াগুলোতে পচন ধরানো যায়নি। মুলত এজন্য আর সময়মত বৃষ্টি না হওয়ার কারনে এত পরিমান আগাছা হয়েছে। এক বিঘায় ১০ জন করে শ্রমিক লাগছেই। শ্রমিক প্রতি ৪০০ টাকা করে হলে বিঘায় ৪ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা করে লাগছে।এখন দেখার বিষয় আবারো যদি আগাছা হয় তাহলে কৃষকের কপালে ভাজের শেষ নেই। কারন বাড়তি দামে সার কীটনাশক কিনতে হয়েছে হচ্ছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়,  উপজেলার যেদিকে তাকাই চোখ যায় যতদূর শুধু সবুজের সমারোহ আর সবুজের সমারোহ। মাঠ জুড়ে আমন ধানের ক্ষেত পরিচ্ছন্নতায় ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠতে শুরু করেছে কৃষকের স্বপ্নের ফসল আমন ধান। অন্য বছরের তুলনায় এবছর আমন রোপণের শুরু থেকে কৃষককে ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। আমন চাষের ভরা মৌসুম আষাঢ় মাসেও ছিলনা আকাশের বৃষ্টির পানির দেখা। যার জন্য সঠিক সময়ে আমন ধান রোপণ করতে পারেনি  প্রায় কৃষক। তবে অসময়ে হলেও বাদ পড়ে নি আমন ধান চাষ করতে কোন কৃষকরা। 

 উপজেলার প্রকাশনগর গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন,তিনি ২৫ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। এখন পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। এতে করে তার বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৭হাজার টাকা করে। তিনি বলেন, ধান উঠা পর্যন্ত বিঘা প্রতি আরো খরচ হবে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার মতো। এতে করে এক বিঘা আমন ধান কাটা পর্যন্ত মোট খরচ হবে  ১২ হাজার  টাকার ঊর্ধ্বে ।  

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, রোপা আমনের লক্ষমাত্রা ২২ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত রোপা আমন ধানে কোন রোগ বালা নেই। সবাই মাঠে কাজ করছে। আশা করছি বরাবরের মত এবারো ভালো ফলন হবে। তবে সময়মত বৃষ্টির পানি না পাওয়া, জমি শুকে যাওয়ার কারনে আগাছার পরিমানটা বেশি।  এজন্য কৃষকদের কিছুটা হলেও বাড়তি খরচ হচ্ছে। 


আরও খবর



সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে: সিইসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) বেকায়দায় নেই,বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে উপজেলা ভোট নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি একথা বলেন।

সিইসি বলেন, এটা নিয়মরক্ষার ভোট নয়, নির্বাচন অনিবার্যভাবে প্রয়োজন। আমাদের কাজ নির্বাচন আয়োজন করা, কে কোন দলের প্রার্থী এটা কোনো বিষয় না।

এমপি-মন্ত্রীদের ভোটে প্রভাব বিস্তার প্রসঙ্গে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা কোনো বেকায়দায় নেই। নির্বাচন অবাধ হবে। নির্বাচন প্রভাবিত করতে চাইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ১৪০ উপজেলায় ভোট হবে। ২২ উপজেলায় ইভিএমে ভোট হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭-১৯ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন। পার্বত্য এলাকায় ১৯-২১ জন থাকবেন।

সিইসি আরও বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচনের ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সে ব্যাপারে কমিশনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় চাকরির প্রলোভন দিয়ে টাকা আত্মসাৎ, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৫জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ:নওগাঁর ধামইরহাটের বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. নুরুল ইসলাম খোদাদাদের বিরুদ্ধে মো. শহিদ নামের এক চাকরি প্রার্থীর নিকট থেকে ১৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শহিদ রহমান বাদী হয়ে গতকাল বুধবারে জয়পুরহাট র‍্যাব ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাদ্রাসার শূন্য পদে অফিস সহকারী কাম হসাব সহকারী পদে লোক নিবে বলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়। সেখানে আমি ওই পদের একজন প্রার্থী হিসেবে আবেদন করি। পরে সেই পদে আমাকে নিয়োগ দেবেন বলে আমার কাছে ১৪ লক্ষ টাকা দাবী করে। আমি বেকার হওয়ায় চাকুরীর প্রত্যাশায় বিবাদীর দাবি মেনে তাকে পর্যায়ক্রমে আড়ানগর ইউপি চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমান ও প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের উপস্থিতিতে নগদ ১৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা প্রদান করি। পরবর্তীতে গত ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর ওই পদের লোক নিয়োগ সংক্রান্তে বোর্ড হইলেও সে তার কথামতো আমাকে চাকুরীতে নিয়োগ না দিয়ে অন্য জনকে নিয়োগ দেন। 

এরপর ওই মাসের ২৪ তারিখে মাদ্রাসায় এসে তার আমাকে চাকুরী না দেওয়ার বিষয়ে কথা বললে সে আমার সাথে অশালীন আচরণ করে। আমার দেওয়া টাকা ফেরত চাইলে সে আমার টাকা ফেরত দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। সে এখনো আমার টাকা ফেরত না দিয়ে আমার পাওনা টাকা আত্মসাৎ করার পায়তারা করতেছে। 

উল্লেখ্য যে, একটি এনজিও এর টাকা আত্মসাতের মামলায় তার ৫ মাস সাজা হয়। পরে তাকে গত ৬ মার্চ থানা পুলিশ আটক আদালতে প্রেরণ করেন। কারাবাস অবস্থায় তাকে মাদ্রাসা থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। যদিও বর্তমানে জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বাহিরে আসেন।

ভুক্তভোগী চাকরি প্রার্থী শহিদ রহমান বলেন, আমাকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তিনি আমার কাছে থেকে টাকা নেন। তিনি চাকরি না দেওয়ায় তার কাছে থেকে টাকা ফেরত চাইলেও তিনি এখন পর্যন্ত টাকা ফেরত দেননি। তিনি এখন আর মাদ্রাসায় আসেন না এমনকি তার বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায় না। তাই আমি বাধ্য হয়ে র‍্যাব ক্যাম্পে অভিযোগ দায়ের করেছি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে আড়ানগর ইউপির চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমান বলেন, চাকরি দেওয়ার নামে অধ্যক্ষ আমার সামনে সোহেলের কাছে থেকে টাকা নিয়েছে। 

জানতে চাইলে ওই মাদ্রাসার বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম খোদাদাদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে জয়পুরহাট র‍্যাব ক্যাম্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং বিষয়টি আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

আরও খবর



ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় ভোট দিলেন মোদি-অমিত শাহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ আজ মঙ্গলবার (৭ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঙ্গলবার সকাল সকালই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছেন। আহমেদাবাদের এক স্কুলে ভোট দেন তারা। খবর এনডিটিভির।

এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, নগরীর রানীপ এলাকার নিশান উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন মোদি। এদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছান তিনি। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাকে উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন। পরে তারা দুইজন বুথের দিকে চলে যান।

এসময় প্রধানমন্ত্রীকে এক ঝলক দেখার জন্য রাস্তার দুপাশে ভিড় জমান বহু মানুষ। তাকে দেখামাত্রই উল্লাস করে উঠেন। ‘মোদি মোদি’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে চারপাশ। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পথে তিনি একজন সমর্থককে অটোগ্রাফও দেন।

ভোট দেয়ার পর মোদি বলেন, "আজ তৃতীয় দফার ভোট। আমাদের দেশে এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সেই চেতনা থেকে দেশবাসীকে ভোট দিতে হবে। এখনো চারদফার ভোট বাকি"।

তিনি আরও বলেন, "আমি গুজরাটের ভোটার। এটাই একমাত্র জায়গা যেখানে আমি নিয়মিত ভোট দিই। অমিত ভাই এখান থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজপি) প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন"।

আজকের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি প্রার্থী। যাদের মধ্যে ১২০ জন নারী।

তৃতীয় দফার নির্বাচনে গুজরাটের ২৬টি, কর্নাটকের ১৪টি, মহারাষ্ট্রের ১১টি, উত্তর প্রদেশের ১০টি, মধ্যপ্রদেশের আটটি, ছত্তিশগড়ে সাতটি, বিহারের পাঁচটি, আসামের চারটি, পশ্চিমবঙ্গের চারটি, গোয়ার দুইটি, দাদরা অ্যান্ড নগর হাভেলি এবং দমম অ্যান্ড দিউরের দুইটি আসনে ভোটগ্রহণ হবে।

আজকের ভোটের হেভিওয়েট প্রার্থীরা হলেন- কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী।


আরও খবর

জামিন পেলেন ইমরান খান

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




কামরাঙ্গীর চরে মামার চুড়িকাঘাতে ভাগ্নে নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

শফিক আহমেদ চৌধুরীঃরাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের নূরবাগ এলাকায় মাদকাসক্ত মামার ছুরিকাঘাতে তানিন হোসেন (২৩) নামে ভাগ্নে নিহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় তানিনের বড় ভাই তামিম হোসেন (২৫) গুরুতর আহত হয়েছেন।  মামা রাকিব মাদকাসক্ত।

তাকে মাদকের টাকা না দেওয়ায় দুই ভাগ্নেকে ছুরিকাঘাত করেছে।রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় দুই ভাইকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালের  নিয়ে আসলে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তানিনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড ক্যাজুয়ালটি (ওসেক) সার্ভিসের চিকিৎসক ডা . মোহাম্মদ রাসেল।নিহতের বাবা জামিল হোসেন জানান, আমার দুই ছেলেই ইলেকট্রিকের কাজ করে।

বিকেলের দিকে ওদের মামা রাকিব বাসায় এসে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুই ছেলেকে ছুরিকাঘাত করেন। তাৎক্ষণিকভাবে গুরুতর আহতাবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানিনকে মৃত ঘোষণা করেন।তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলায়। আমার তিন ছেলে এক মেয়ে।ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের আরেক ভাই গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



পাঁকা আমের কাঁচা আটি

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর( নীলফামারী) প্রতিনিধি:উত্তরের ১৬ জেলায় আম পাড়া শুরু না হলেও নীলফামারীর সৈয়দপুর বাজারে কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আমে সয়লাব হয়ে গেছে। আম পাকাশুরু হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ১৮ মে থেকে নির্ধারণ করা হলেও সৈয়দপুরের আড়তে ২৮ এপ্রিল থেকে আম ওঠতে শুরু করেছে। অপরিপক্ক এসব আম নানা নামে ৩৬০০ থেকে ৪০০০ টাকা মন দরে বিক্রি করা হচ্ছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লাল মোহন নামে আমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, গোপাল ভোগ ১৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। অপরিপক্ক এসব আম কেমিক্যাল দিয়ে পাকানোর ফলে আমের উপরের অংশ হালকা হলুদ ও বেশ চকচকে। যা ক্রেতারাও কিনছেন রশালো  ও মিষ্টি ভেবে। 

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এবার গরম আবহাওয়া ও বৃষ্টি না হওয়ার ফলে প্রায় গাছের আম ঝরে গেছে। একই সাথে আম বাড়তে সময় লাগবে।  যেসব গাছে আম আটক হয়েছে সেগুলি ১৮ মের আগে পরিপক্ক হওয়ার কথা নয়। কৃষি বিভাগের ঘোষিত  নির্ধারিত তারিখ ১৮মে ঘোষণা করা হলেও সৈয়দপুরের ফলের আড়ত ও খুচরা বাজারে কেমিক্যাল মিশিয়ে পাকানো আম বেচাকেনা চলছে জোরেশোরেই। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভুষন রায় বলেন, কৃষি বিভাগ ১৮মের পরে আম পাড়ার নির্দেশ দিলেও আমরা ২৩ মে’র আগে আম পাড়াতে নিরুৎসাহিত করছি। কারণ ১৮ মে’র মধ্যে আম পরিপুষ্ট হবে না।একই মতামত ব্যক্ত করেন নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচলক ডক্টর এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাজারে মে মাসের শেষের দিকে আসবে দেশি আঁঠির আম,আর জুন মাসের প্রথম দিকে নামবে গোপাল ভোগ, ল্যাংড়াসহ রংপুরের বিখ্যাত হাড়ি ভাংগা আম। তিনি বলেন,  বাজারের যে সব আম বিক্রি হচ্ছে সেগুলি কেমিক্যাল মিশিয়ে অথবা কিলিয়ে পাকানোর মত।

ক্রেতা সহ সাধারন মানুষ বলছেন বাজারের যে সব আম বিক্রি করা হচ্ছে সেগুলির উপরের অংশ হালকা হলুদ রং এর হলেও মিষ্টি নেই এবং আটি গুলি কাঁচা। অধিকাংশ আমই ১২ ঘন্টার মধ্যে শুকিয়ে যাচ্ছে। শহরের ১ নং রেল ঘুমটি এলাকার একাধিক ফল বিক্রেতা জানান, গিয়াস উদ্দিন নামের এক আড়তদার নাটোর ও শান্তাহার থেকে যেগুলি  আম আড়তে এনেছেন সেগুলির সবই অপরিপক্ক ও কেমিক্যালে পাকানো। ওই আড়তদার বিভিন্ন নামে আম বিক্রি করছেন  এবং দামও নিচ্ছেন অনেক বেশি। তারা বলেন অপরিপক্ক পাকা আম বিক্রির দায়ে রংপুর বিভাগের অনেকের জরিমানা করা হলেও গিয়াস নামের ওই আড়তদার দাপটের সাথেই বিভিন্ন ধরনের আম বিক্রি করে চলেছেন। সৈয়দপু ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব বাদশা মিয়া জানান, সৈয়দপুর শহরের ২/৩ জন আড়তদার খুলনা,নাটোর ও রাজশাহী থেকে আম নিয়ে আসছেন এবং এখান থেকে জেলার বিভিন্ন  বাজারে পাঠাচ্ছেন। কৃষি অধিদপ্তরের নির্ধারীত ১৮মে’র আগে যে গুলি আম বাজারে আনা হচ্ছে সেগুলির প্রায় সবই অপরিপক্ক পাকা আম।

জানতে চাইলে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয় বলেন অপরিপক্ক পাকা আঠালো আম খেলে পেটের পিড়া হবেই হবে। শিশু সহ বয়স্ক মানুষ ওইসব আম খেলে ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। 


আরও খবর