Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

রোনালদোকে বরণ করে নিল আল নাসেরে

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৩২২জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক; ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নিল সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরে। মঙ্গলবার রাতে রোনালদোকে নিজেদের খেলোয়াড় হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয় ক্লাবটি।

ক্লাবটির মাঠ মরসুল পার্কে এদিন ২৫ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে ভক্তরা তাল মিলিয়ে ‘রোনালদো, রোনালদো’ ধ্বনি তুলে তাকে বরণ করে নিয়েছেন।

এদিন ছাই রংয়ের স্যুটের সঙ্গে হালকা নীল রংয়ের টাই পরে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন রোনালদো। তার বয়স যে ৩৭ বছর দেখে বোঝা কষ্ট। মনে হচ্ছিল, সেই তারুন্যদীপ্ত রোনালদো।

সংবাদ সম্মেলনে রোনালদো ঘোষণা করেন, ‘ইউরোপে আমার অভিযান শেষ। সেখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব ক্লাবেই খেলেছি। এখানে ভালো লাগছে। সৌদি আরবের মানুষ চমৎকার।

রোনালদো আরও বলেন, ‘ইউরোপে অনেক সুযোগ পেয়েছি। ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং পর্তুগাল থেকেও ডাক পেয়েছি। তবে আমার জন্য এটি এক বড় সুযোগ। কোচ চাইলে (ক্লাবের) আমি পরের ম্যাচেই মাঠে নামতে প্রস্তুত।

পাঁচবার ব্যালন ডি’অরজয়ী ও পাঁচবার চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী রোনালদো কিছুদিন আগে সৌদি ক্লাব আল নাসরে যোগ দেন। ক্লাবটির জার্সি হাতে আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে সেখানে যোগ দেওয়ার ছবি প্রকাশ করেছিলেন রোনালদো।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স’র কাছে জিম্মি দুই সহগ্রাধিক গ্রাহক

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ‘প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি’র কাছে হাজার হাজার গ্রাহক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নির্দিষ্ট মেয়াদ ৫/৬ বছর আগে শেষ হলেও তাদের জমাকৃত অর্থ এবং বিশেষ সুবিধা পাওয়া এখন চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বীমা

গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা না দিয়ে ফুলবাড়ী অফিসের কর্মকর্তা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন অফিস স্টাফরা বলে জানিয়েছেন অনেক গ্রাহক।জীবন বীমা একটি চুক্তি যার অধীনে নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে একজন বীমা গ্রাহকের উপর ঘটে যাওয়া আকস্মিক কোন দুর্ঘটনা বা মৃত্যুর জন্য তার পূর্ব নির্ধারিত মনোনীতককে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। এ চুক্তি কার্যকর করার জন্য বীমা গ্রাহক বীমা কোম্পানিকে প্রতিনিয়ত প্রিমিয়াম প্রদান করে থাকেন । সেইপ্রিমিয়াম প্রদানসম্পন্ন করেও ৫/৬ বছর অতিবাহিত হলেওবিশেষ সুবিধা কিংবা ন্যায্য পাওনা থেকে এখন অনেকটাই অনিশ্চিত।

ফুলবাড়ী ‘প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি’টি মেইন রোড সংলগ্ন মধ্যগৌরী পাড়ায় ৩ তলা বিল্ডিংয়ের নিচতলায় অফিস। পার্বতীপুর, বিরামপুর, চিরির বন্দর, দিনাজপুর সদর, বিরল, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, আমবাড়ী, দাউদপুর এসব উপজেলা-স্থান নিয়ে ফুলবাড়ী অফিসটি।

ভুক্তভোগী বীমা গ্রাহকের বর্ণনা:আব্দুল কাদের, পিতা-মৃত রমজান আলী। গ্রাম রামেশ্বরপুর।পলিসি নম্বর ০৫৯৩৩৮২-৩। ভ্যান গাড়ি চালায়। ফুলবাড়ীর অফিস থেকে বাড়ি ১৮ কি.মি. দূরে। ২০০৯ সালে বছরে ২টি কিস্তি ১১০০ টাকা করে দিয়ে ১২ বছরে মেয়াদ পূর্ণ হয় ২০২১ সালে। মোট সঞ্চয় জমা হয় ২৪ হাজার ৮০০ টাকা। তিনি এখন সঞ্চয়সহ মুনাফার জন্য ২০২১ সাল থেকে ধর্না দিচ্ছেন ! প্রতি মাসে নিজের কাজ ফেলে ৩/৪ বার করে আসেন।অফিসে তারা ব্যবহারও ভালো করেন না।এই টাকা পেলে তিনি কর্জ পরিশোধ করতেন।

সৈয়দ ইমাম হাসান (প. নম্বর ০৫৯৩২২৮-৮)নামের একজন গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন,তিনি এখানকার অফিসের কথা শুনে ঢাকার অফিসে গিয়ে তারা বলছেন,যা কিছু করার সব স্থানীয় ফুলবাড়ীর অফিসেই করবে।তাদের সাথেই কথা বলতে বলেছেন।

আর এক অভিযোগকারী রাধানগর গ্রামের জাহানারা বেগম। পলিসি নম্বর ০৫৭৭৮৫৯-৫ ।স্বামী থেকেও নেই, অন্যের বাড়িতে কাজ করেন।২৭.০৬.১৯১০ তারিখে বীমা শুরু করেন।২০২২সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। ৩বছর ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন! এমন অভিযোগ শত সহ¯্রজনের।প্রতিদিনই অফিসে বীমাকারীদের ভিড় বাড়ছে।২০১৯ সাল থেকে গ্রাহকের চেক দেয়া প্রায় বন্ধ রেখেছে। অথচ গ্রাহকদের মেয়াদ৫/৬ বছর আগেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। ফুলবাড়ীর অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে গ্রাহক চেক পাবেন ১০ থেকে ১৫ টি। ২০২০ সালে চেক পাবেন ৭০ থেকে ৭৫টি। ২০২১ সালে চেক পাবেন ৩০০ থেকে ৩৫০ টি। ২০২২সালে চেক পাবেন ৪ শতাধিক। ২০২৩ সালে চেক পাবেন ২ শতাধিক। ২০২৪ সালে জানুয়াারি পর্যন্ত ১ শতাধিক।এই হিসেবটি একমাত্র অফিসের।কিন্তু ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ ২ সহগ্রাধিক।

ভুক্তভোগী বীমা গ্রাহক:১.লোকমান আলী পলিসি নম্বর ০৩১৫১৮৮-৬ ২.খাদিজা খাতুন প.নম্বর ০৫৯৩৩২২-৫ ৩.হাফিজুর রহমান প.নম্বর ০৫৯৩০৫৮-৮ ৪.সৈয়দ ইমাম হাসান প. নম্বর ০৫৯৩২২৮-৮ ৫.অশোক কুমার হালদার প. নম্বর ০৪৬৫৮৫৯-৪ ৬.শরিফা খাতুন প.নম্বর ০১৯৯৮৪৪-৬ ৭.মো. মোহন প.নম্বর ০১৯৯৯২২-৫ ৮.মো. সোহরাব হোসেন প.নম্বর ০৩০৭১৬৭ -২ ৯.মো.আরজুল হক প.নম্বর ০৩০৭১২২-৫ ১০.লুৎফর রহমান প.নম্বর ০৩০৬৮৯২ -০ ১১.মো. আনোয়ার হোসেন প.নম্বর ০৩০৬৮৯১-০ ১২.মোছা. পারভিন বেগম প.নম্বর ০৩০৭২১৩-৩ ১৩. মুশফিকুর রহমান প.নম্বর ০৫৮৫২৮৪-৪ ১৪.এনামুল হক প.নম্বর ০৫৮৫২৭২-২ ১৫.আব্দুল কাদের প.নম্বর ০৫৯৩৩৮২-৩ ১৬.সাইফুল ইসলাম প.নম্বর ০৫৯৩৩৮১ -৫ ১৭. জাহানারা বেগম প.নম্বর ০৫৭৭৮৫৯-৫।

পাশের দোকানদার নুরুজ্জামান জামান এবং মো.ফায়সাল জানান, এই প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কো. লি. -এ প্রতিনিয়ত গ্রাহক এসে দেখা যায় অফিসের লোকদের সাথে তর্কবিতর্ক করছে। টাকা দিতে না পারায় ভুক্তভোগীরা অফিসে এসে গ্যাঞ্জাম করে।অফিসটি গ্রাহকদের চরম হয়রানি করাচ্ছে।পাওনাদারের টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।

প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) শাখার জিএম ও ইনচার্জ মো.আনিছুর রহমান বলেন, করোনা মহামারীর পর থেকে প্রায় ১৮ মাস অফিস বন্ধ থাকায় অনেক গ্রাহকের মেয়াদ উত্তীর্ণ কাগজপত্র জমা প্রদান করেন গ্রাহকগণ।

২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। পর্যায়ক্রমে চেক প্রদান করলেও প্রায় ১১ শতাধিক গ্রাহকের চেক প্রদান না করতে পারায় বর্তমান অফিস ইনচার্জ হতাশার মুখে। ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে ‘হবে হচ্ছে দিচ্ছি এভাবে সময়ক্ষেপণ করায় প্রতিনিয়ত ফুলবাড়ী অফিসে শত শত গ্রাহক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ইনচার্জ কখনো অফিসে বসেন, কখনো বসেন না। প্রতিনিয়ত গ্রাহকের উৎপীড়নে অফিসে দেখা করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে।অবশ্য গ্রাহকের মধ্যে একেবারে চেক দেয়া বন্ধ হয়নি,তবে সন্তোষজনক নয়। ফুলবাড়ীর ইউএনও মীর মো. আল কামাহ তমাল বলেন, গ্রাহকের হয়রানির বিষয়টি আমার জানা নেই।কেউ অভিযোগ দিলে সে বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এতগুলো বীমাকারীর সাথে হয়রানির অভিযোগ গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।

পৌরসভার মেয়র মাহমুদ আলম লিটন বলেন, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লি. ফুলবাড়ী লোভনীয় অফার-নিশ্চয়তা দিয়ে মানুষকে সর্বস্বান্ত করছে। সহগ্রাধিক লোকের সাথে মশকরা করছে। আমার কাছেও অভিযোগ এসেছে। জিএম সাহেবের সাথে কথাও বলেছি। কোনো কাজ হয়নি। ফুলবাড়ীর এই প্রগ্রেসিভ কোম্পানি হাজার হাজার মানুষকে ধোঁকা দিয়ে দিন ডাকাতি করছে। সর্বশান্ত করছে এলাকার মানুষকে। কোন প্রতিকার পাচ্ছে না কোন গ্রাহক। এর দায়ভার কার? কে নিবে এদের দায়িত্ব?


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




ঢাকার রেস্তোরাঁয় অভিযান, ধানমন্ডিতে আটক ১৯

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীতে রেস্তোরাঁয় অভিযান শুরু করেছে পুলিশ,বেইলি রোডে রেস্টুরেন্ট ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জন মারা যাওয়ার পর। অনিয়ম ও অবব্যবস্থপনার ধানমন্ডিতে ১৫টি রেস্তোরাঁয় অভিযোগে ১৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (৩ মার্চ) ধানমন্ডি, গুলশান, মিরপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, রাজধানীতে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন আছে কিনা, নিরাপদ স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করছে কিনা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটুকু, অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র এবং ঝুঁকির বিষয়টি দেখা হয়। রোববার রাত ১০টা পর্যন্ত আটক করা হয়েছে বিভিন্ন রেস্তোরাঁর ৩৫ কর্মীকে। তাদের মধ্যে কয়েকটি রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপকও রয়েছেন। এছাড়া যেসব রেস্তোরাঁয় ছোটখাট অনিয়ম পাওয়া গেছে তাদের মুচলেকা রেখে সতর্ক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন ধানমন্ডির হোয়াইট হল নামের রেস্তোরাঁর শামীম হোসেন তুহীন, ম্যারিটেজ ঢাকার খুরশীদ আলম, এ্যারিস্টোক্যাটের সাব্বির হোসেন, আদি কড়াই গোস্তের খালিদ হোসেন, দি লবি লাউঞ্জের মারুফ হোসেন, ইয়ামচা ডিস্ট্রিক্টের পুলক বিশ্বাস, ক্যাফে ডোলচের আশিক তালুকদার, ক্যাফে সাওপাওলোর শাহিন সারোয়ার, ক্যাপিট্যাল লাউঞ্জের রেদুয়ান আহম্মেদ, পার্ক এন্ড স্ট্রার্টের মিজানুর রহমান, খানাজের শরিফুল ইসলাম, ক্যাফে ইউফোরিয়ার আল আমিন, টুইন পার্কের আল আমীন মোস্তফা তালুকদার, স্টার দেশীর মেহেদী হাসান, ডিকে-১৩ এর রাসেল পালমা, বেস্টার প্রের আমিনুল ইসলাম রিফাত, চা-টাইপের সামিত আলম সিয়াম, চয়ন হালদার ও বিবিকিউ’র সুমিত রায়।

পুলিশের মাঠ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে হোটেল-রেস্তোরাঁ চালানো হচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে আগে সেভাবে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়নি। এ কারণে মাঠপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছেন।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় প্রাণ হারান ৪৬ জন। তাদের মধ্যে ৪৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। আহত ১৩ জনের মধ্যে ৬ জনকে ছাড়পত্র দেন চিকিৎসকরা। বাকিদের চিকিৎসায় গঠন করা হয়েছে ১৭ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।


আরও খবর



জীবন সংসার নিয়ে ফিরছেন শামীম হাসান ও তাসনুভা তিশা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৪১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢালিউডে জনপ্রিয় এক সিনেমার ‌নাম ‌‘জীবন সংসার’। জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৬ সালে। এতে অভিনয় করেছেন অমর নায়ক সালমান শাহ। তার সঙ্গে জুটি হয়ে দর্শকের মনে দোলা দিয়েছিলেন ঢালিউড কুইন শাবনূর। ছবিতে আরও আছেন ফারুক-ববিতা জুটি। মিষ্টি প্রেমের গল্প ও গান সমৃদ্ধ সিনেমাটির আবেদন আজও ফুরায়নি।

সেই জীবন সংসার নতুন করে ফিরে এলো নাটকে। একই নামে নাটক নির্মাণ করেছেন জিয়াউদ্দিন আলম। আসছে ঈদের জন্য এই ফিকশনটি বানিয়েছেন তিনি। নামটুকু ছাড়া অবশ্য আর কোনো কিছুতেই মিল নেই দুই জীবন সংসারের মধ্যে। আলমের নাটকের সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন সুস্ময় সুমন। এতে জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন শামীম হাসান সরকার, তাসনুভা তিশা। তাদের সন্তান আয়াজ চরিত্রে অভিনয় করেছে শিশুশিল্পী তাওহিদুল ইসলাম তাইফ।

জীবন সংসার নাটকে দুইটি গান ব্যাবহার করার হয়েছে, গান দুইটি গেয়েছেন রেজোয়ান শেখ ও ইয়াসমিন লাবন্য , গান দুটি লিখেছেন পরিচালক নিজেই। সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন রেজোয়ান শেখ।

সুলতান মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে নাটকটির প্রযোজনা করেছেন তানভির মাহমুদ। নাটকটি নিয়ে জিয়াউদ্দিন আলম বলেন, ‘প্রথমে নাটকটির নাম ছিল বৃত্তের ভেতর। কিন্তু একটা সময় মনে হলো এর গল্পটা জীবন সংসার নামের সঙ্গেই বেশি মানাবে। সেজন্য নামটি বদলে ফেলা। এটা খুবই আনন্দের বিষয় যে, সালমান-শাবনূর অভিনীত সিনেমার প্রসঙ্গটি ফিরে এসেছে আমাদের নাটকের মধ্য দিয়ে। আমি

জীবন সংসার সিনেমাটি কয়েকবার হলে গিয়ে দেখেছি। সিনেমার গানগুলোও ছিল দারুণ রোমান্টিক। জাকির হোসেন রাজু ভাইয়ের অনবদ্য একটা সৃষ্টি আমি মনে করি এই সিনেমা।নিজের নাটকের গল্প সম্পর্কে আলম জানান, নাটকের গল্পে দেখা যাবে আসিফ আর মিলির সংসার।

তাদের সন্তান আয়াজ স্কুলে পড়ে। সমস্যা হলো আসিফ ও মিলি তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে এত ব্যস্ত যে, সংসার ও সন্তানকে তারা সময় দিতে পারে না। এসব দায়িত্ব নিয়ে প্রায়ই দুজনের ঝগড়া চলতে থাকে।

মিলি প্রমোশনের আশায় বসের সঙ্গে বন্ধুত্বে জড়িয়ে পড়ে। সে নিয়ে কলহ চলতে থাকে আসিফের সঙ্গে। হঠাৎ তাদের সন্তান আয়াজ অসুস্থ হওয়ায় সবকিছু বদলে যেতে থাকে। এমনই এক পারিবারিক গল্প নিয়ে জীবন সংসারে হাজির হবেন শামীম ও তিশা।


আরও খবর



হাসপাতালে ভর্তি হলেন বেগম খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার , স্টাফ রিপোর্টার : বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বুধবার, মার্চ ১৩, ২০২৩, রাতে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ম্যাডামকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। কয়েকটি পরীক্ষায় একটু সময় লাগেবে, সেজন্য উনাকে ভর্তি করা হয়েছে। পরীক্ষাগুলোর রিপোর্ট পাওয়ার পর মেডিকেল বোর্ড উনার পরবর্তী চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।'

এর আগে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন রাত সাড়ে ৭টার দিকে রওনা হন। এ সময়ে বাসায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব আমিনুল হক,  খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। রাত সাড়ে ৮টায় এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান বিএনপি চেয়ারপারসন।

আরও খবর



খাগড়াছড়িতে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ১২০ টাকায় কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেলেন ১৫ জন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:সেবার ব্রতে চাকরি’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে খাগড়াছড়িতে মেধা ও শারীরিকভাবে ফিটনেস যোগ্যতার ভিত্তিতে ১২০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় কোনো প্রকার তদবির কিংবা ঘুষ বাণিজ্য ছাড়া, চাকরি পেলেন ২ জন নারীসহ মোট ১৫ জন প্রার্থী।মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত পুলিশ কনস্টেবল পদে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের  ফুল দিয়ে বরণ করেন জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর (পিপিএম বার)।

বুধবার (১৩ মার্চ)  বিকালে খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে সম্পূর্ণভাবে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে মৌখিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।

খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে আয়োজিত এ “ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি)/কনস্টেবল” পদে নিয়োগ পরীক্ষায় শারীরিক মাপ ও শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৬৬ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষা অংশগ্রহণ করেন । লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে ৪৯ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।মৌখিক পরীক্ষায় পুরুষ প্রার্থী ছিলেন ৪৫ জন এবং নারী ছিলেন ৪ জন। তাদের মধ্যে থেকে ১৫জন উত্তীর্ণ হয়।

এ সময় বিনা টাকায় পুলিশের চাকুরিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থী ও অভিভাকরা খুশিতে আবেক-আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন। তারা তখনো বিশ্বাস করতে পারছেনা টাকা ছাড়াই পুলিশে চাকুরি পেয়েছে। অশ্রুসিক্ত নয়নে অনেকের কান্না উপস্থিত সকলের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।

চাকরি প্রার্থী পলি চাকমা বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়ে খুশিতে আমি আত্মহারা। আমার বাবা একজন দিনমজুর। আমাদের সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই। বাবা অনেক কষ্ট করে লেখাপড়ার খরচ যুগিয়েছেন। আমি ১২০ টাকায় চাকরি পেয়েছি। আমাকে ১২০ টাকায় চাকরি দেওয়ার জন্য মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়কে ধন্যবাদ জানাই।

চাকরি প্রার্থী রেখা আক্তার বলেন, আমার বাবা একজন স্বল্প আয়ের শ্রমিক। আমার বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতাল শয্যাশায়ী। আমার পরিবারে আমিই একমাত্র উপার্জনক্ষম। ছোট থেকেই আমার পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন ছিল। আগের বছর ভাইবা দিয়েছি কিন্তু চাকরি হয় নাই। আজকে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। আমি ১২০ টাকায় চাকরি পেয়েছি। ১২০ টাকায় যে চাকরি হয় আমি না পেলে বুঝতেই পারতাম না। ১২০ টাকায় চাকরি পেয়ে পুলিশ সুপার মহোদয়কে ধন্যবাদ জানান।

এসময় পুলিশ সুপার মুক্তা ধর (পিপিএম বার) বলেন, “শারীরিক ফিটনেস, যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে আপনারা সকলে আজ এই জায়গায়।”পুলিশ সুপার আরও বলেন, সততা ও কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে, গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ।” পরে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর নির্বাচিত প্রার্থীদের অভিব্যক্তি শুনতে চান। এ সময় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নির্বাচিত কয়েকজন আনন্দে আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন। তখনো তারা বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়েছেন।

এ সময়  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস)  মোঃ জসীম উদ্দিন পিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার জনাব সৈয়দ মুমিদ রায়হান সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর