Logo
আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর দৌড়ঝাঁপ টিপু-প্রীতি হত্যা: ৩৩ জনের বিচার শুরু থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রজন্মকে দক্ষতা ও যোগ্যতায় স্মার্ট মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ইসরায়েলি সেনারা যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানালো বাংলাদেশিকে হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল বাফেলো শহর কোরবানির জন্য পশু আমদানির প্রয়োজন নেই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী জয়পুরহাটে নাশকতা ও হত্যা মামলায় জামায়াত-শিবিরের ৬১ নেতাকর্মী কারাগারে এসসিবি-চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ -এ ‘সেরা কৃষি প্রতিষ্ঠান’ স্বীকৃতি পেল আইফার্মার ৫ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ সোমবার

রোজা আরব আমিরাতে শুরু কবে জানা গেল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২৩১জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :আরব আমিরাতে রোজা শুরু কবে জানা গেলআগামী বছর কবে থেকে রোজা শুরু হতে পারে সে খবর জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিজ্ঞান সংক্রান্ত সংস্থা এমিরেটস অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি (ইএএস)। সংস্থাটি বলেছে, ২০২৪ সালের ১১ মার্চ (সোমবার) পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে। খবর- গালফ নিউজ।

এর আগে, গত ১৩ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস ডিপার্টমেন্টের (আইএসিএডি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হিজরি ক্যালেন্ডারে বলা হয়েছিল, দেশটিতে ২০২৪ সালে রমজান মাস শুরু হবে ১২ মার্চ (মঙ্গলবার)। সেসময় দেশটিতে আবহাওয়া তুলনামূলক ঠাণ্ডা থাকবে।

তবে ইএএস’র চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান বলেছেন, আগামী বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে শীতের মৌসুমে রমজান শুরু হবে। তিনি আরও জানান, ২০৩১ সাল অর্থাৎ ১৪৫৩ হিজরি পর্যন্ত আমিরাতে রমজান মাস শীতকালেই শুরু হবে।

আইএসিএডির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে রমজান মাস ২৯ দিন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী, আমিরাতে রমজানের শেষ দিন হবে আগামী বছরের ৮ এপ্রিল।


আরও খবর



নববর্ষের উল্লাসে পালিত হলোনা মধুপুরের পাক হানাদার প্রতিরোধ দিবস

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইলঃসময় চলে যায়। মহাকালের স্রোতে গা ভাসিয়ে আমরাও এগিয়ে চলি সামনের দিকে। পিছনে পড়ে থাকে শুধু স্মৃতি৷ আজ থেকে ৫৪ বছর আগে এমনি একটি পহেলা বৈশাখে মধুপুরের ছাত্র-যুবক সেনাবাহিনীর সদস্যবৃন্দ ১৯৭১ সালের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষনে উজ্জীবিত হয়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। ১৯৭১ সালে মধুপুরের সেই উত্তাল দিনগুলোর প্রত্যক্ষ সাক্ষী মোহন লাল দাস । মধুপুরের ভবিষৎ প্রজন্মদের জন্য তার স্মৃতিচারণ মুলক লেখাটি হুবুহ তুলে ধরা হলো-“তথ্যের অন্তরালে তত্ত্ব।

স্মৃতির পাতার ধারাবারিকতায় ছন্দপতন ঘটিয়ে ১৯৭১ এর ১৪ই এপ্রিল সম্বন্ধে কিছু লেখার লোভ সামলাতে পারলাম না।তাই কিছুটা কাল্পনিক মোড়কে বাস্তব চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করছি। বর্ণনায় অনেক ভুল সেই কথা সাজানোর অক্ষমতার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছিএবং আমার বর্ণনা যদি মধুপুরবাসী কোন পাঠকের হৃদয়ে স্থান পায় নিজেকে ধন্য মনে করবো৷এখানে জানিয়ে রাখি কারো নাম উল্ল্যেখ করে ব্যাক্তি আক্রমন আমার স্বভাব বিরোদ্ধ।তাই কিছুটা কল্পনার আশ্রয় নিয়েছি।

১৪ই এপ্রিল মধুপুর পাক হানাদার প্রতিরোধ দিবস।প্রশ্ন জাগে আজও কি পাক-বাহিনী বাংলার মাটিতে চষে বেড়ায়,আজও কি নরঘাতক পিচাস মা বোনদের ইজ্জত লুন্ঠনকারী স্বৈরাচারী নৱাধম গোষ্টী বর্তমান ? ওরা না কবে তল্পী টোপলা গুটিয়ে চলে গেছে! না _ ওরা চলে গেছে ঠিকই ওধু এক দল সাপুড়িকে সাপ খেলানোর মন্ত্ৰ শিখিয়ে গেছে | ঐ সময় একটা গোষ্ঠি পাক বাহিনীর আগমনের প্রত্যাশায় প্রহর গুনতো।তারা কারা ? তারা তো তারাই যারা বঙ্গবন্ধুর নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে অন্তর থেকে মেনে নিতে পারে নাই৷

মধুপুর যখন আকাশ পথে বোমা বর্ষন হচ্ছে আতঙ্কিত সবাই শুধু প্ৰানটা হাতে নিয়ে উর্দ্ধশ্বাসে ছুটে চলছে ঐ মূহুর্ত্তে জনৈক একজন তিনি দৌড়াচ্ছিলেন বয়সের ভারে দৌঁড়াতে না পেরে পা পিছলে পড়ে যায়। ঐ সময় তার মুখ নিসৃত বাণীটি ছিল এরূপ। “হালারা স্বাধীন মারায়„ পাঠক মহোদয় শেষের শব্দটা আমি হুবুহু তুলে ধরি নাই কারণ অশ্লীলতার একটা সীমা আছে।শুধু এইটুকু জেনে রাখুন তার সংযোজিত শব্দ ছিল ওর চেয়ে আরও ৩ মাত্রা পঞ্চমে। এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় তিনি ছিলেন সকল মুক্তিকামী মানুষের থেকে আলাদা দৃষ্টিভংগী সম্পন্ন।পাক বাহিনী এসে সিও অফিসে তাদের প্রধান কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করলো।

এবার তিনারা ও বিশেষ একটি দলীয় পরিচয় ও মর্যাদা নিয়ে করমর্দন ও স্বাগতম জানালো।পাঠক বুকে বুক মিলাতে পারে নাই কারন তারাও জানতো পাক বাহীনীর মর্জির উপর তাদের জীবন নির্ভর করে। বিষ্টায় যার জন্ম বিষ্টাইতো তার প্রিয়। শুরু হলো পাক বাহিনীর নির্দেশে এই দলের মাধ্যমে রাজাকার আলবদর ভিন্ন ভিন্ন পাক সহায়ক বাহিনী গঠন।এখানে উল্ল্যেখ্য মনপ্রানে এরা সবাই পাক সহায়ক নয় এদেরকে ভয় আর লোভ দেখিয়ে এই নির্দেশক গোষ্ঠি ভরিয়ে দেয়।

বোয়ালী এবং মধুপুরের আশে পাশের গ্রামে আতঙ্কিত মানুষ পূর্বদিকে কুড়ালিয়া চাপড়ি ছাড়াও পূর্ব দিকে বংশ নদীরপাড় এবং পাহাড় অঞ্চলে আশ্রয় নেয়। কতো বৃদ্ধ বৃদ্ধা গর্ভবতী মা ছোট শিশু কোলে নিয়ে মা ছুটছে ক্লান্তি যেন আজ পরাজিত।শতবর্ষের পঙ্কিলতা ধুয়ে মুছে বাংলার মানুষ আজ মানব মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে তাড়িত পিড়িত মানুষকে আশ্রয় দানের জন্য দুহাত সম্প্রসারিত করে বুকে টেনে নিল। অভয় দিল কিন্তু এই গোষ্টিরা সেখানেও হানা দিতে বাকী রাখলো না।হে মধুপুরবাসী আপনারা কয়েক দিন আগে ঈদ উদযাপন করলেন।

হাদিসের নির্দেশ অনুসারে জানমালের নিরাপত্তার জন্য ছাদগা-ফেতরা দান করেছেন, একবার ভাবুন সেই দিনের কথা যারা এই নিরাশ্রয় মানুষকে আশ্রয় দান করেছে ক্ষুধার্ত কে আহার দিয়েছে মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষা করেছে তাদের জন্য কি করুনাময় আল্লাহ দরবারে দোয়া চেয়েছেন? ঐ সময়ে চাপড়ির শুধাংশু ডাক্তার আশুরা গ্রামের সতীশ চন্দ্রের মৃত্যুর মূলে খোজ যারা দিয়েছে তারা এরাই। মধুপুরের বধ্য ভূমিতে টাংগাইল, মির্জাপুর, নাগরপুরসহ  ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে গাড়ী ভরে লোক এনে বংশ নদীর তীরে দাড়া করিয়ে কি নৃশংস হত্যা।

মানুষের দোষ গুন থাকে কিন্তু এমনি করে কারো মৃত্যু দেখে যার আনন্দ হয় সে কে ? পাক প্রভুদের খুশি করার জন্য অনেক নিস্পাপ মেয়ে নিয়ে উপহার দিয়েছে। সুপ্রিয় পাঠক পাপের একটা ভান্ডার আছে যেটা পূর্ণ হলে সবই বিকল হয় বাংলার আকাশে দূর্যোগের ঘনঘটা কেটে গিয়ে কাল রাতের অবসান ঘটিয়ে পুব আকাশে রক্তিম সূর্যের আবাস। এবার পাক বাহিনীর সাথে এই গোষ্ঠিও প্ৰমোদ গুনলো। মধুপুরের বাড়ী ঘর সব কিছু থেকে মুসলমানও বাদ পড়ে নাই কিন্তু এরা সম্পূর্ণ অক্ষত কারণ একটু মাথা ঘামালে পরিষ্কার।

পাক বাহিনীর বিদায় প্রাক্কালে ভেংগে পড়লো এ গোষ্ঠি। অশ্ৰু সজল চোখে এক দৃষ্টিতে জানতে চাইলো হুজুর আমরা কিভাবে অন্তরের মনিকোঠায় ধরে রাখবো চারিদিক তো ক্রমান্বয়ে সংকোচিত।পাক পন্ডিত জী বললেন ‘মত যাব রাও’ এতোদিন তোরা সাপ নিয়ে খেলেছিস কিন্তু পাক বিষাক্ত কেউটে গোমাকে নিঃশেষ করবি তোদের অজানা ছিল তাই ছোবল খেয়েছিস।

কিন্তু সাপ ধরবি সাপ নিয়ে খেলবি কিন্তু তোরা অক্ষত থাকবি? বাঃ কী চমৎকার জলে নামবো সাতার খেলবো কিন্তু কাপড় ভিজবে না বাঃ কী মজা। পাক হুজুর প্রথমে ঐ সাপের বিষাক্ত থলেটা কেটে ফেলে দিবি তারপর যত খুশী খেলাবি খেলা দেখাবি তোরা অক্ষত থাকবি৷ সাবধান সেই গুপ্ত ছদ্মবেশী পাক হানাদারের উত্তরসূরি আজও সমাজে পীর সেজে উদীয়মান তরুনদের মগজ ধোলাই করে মাথা মুন্ডন করে মুরীদ বানাচ্ছে।আজ এদের প্রতিরোধে সজাগ সতর্ক থাকতে হবে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন শাহিন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:৬ ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ১ম ধাপে আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহীন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাওয়ায় ইতিমধ্যে সামাজিক যোগযোগ ফেসবুকে অনেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

দিনাজপুর জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়,হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ হারুন,সাবেক পৌর মেয়র কামাল হোসেন রাজ ও আমিনুল ইসলাম উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দেন।

এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহিন ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল নাহার ও নুরুন্নাহার বেগম মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। যাচাই-বাচাইয়ে ৩ টি পদে ৭ জনেরই মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করে সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসার।

এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আবেদন করেন সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসারের কাছে। তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন শাহীনুর রেজা শাহিন।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাওয়ায় বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহিন বলেন,বর্তমান সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের দিকনির্দেশনায় আগামী ৫ বছরে হাকিমপুর উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে পরিণত করে জনগণের কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত করবো। আমি অত্যন্ত ভাগ্যবান যে,আগামী ৫ বছরও জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে কাজ করতে পারবো।অতীতের মত ভবিষ্যতেও আমি এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের জন্য কাজ করে যাবো।


আরও খবর



বাস ভাড়া কিলোমিটারে ৩ পয়সা কমল

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তেলের দাম কমায় কিলোমিটারপ্রতি বাস ভাড়া কমেছে ৩ পয়সা।দুই দফায় লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম কমেছে ৩ টাকা।সোমবার (১ এপ্রিল) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভাড়া নির্ধারণ কমিটি এ সুপারিশ করেছে।

সোমবার রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ সদর দপ্তরে ভাড়া নির্ধারণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাস মালিকরাও ভাড়া কমানোর সুপারিশে একমত পোষণ করেন।

কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, দূরপাল্লার বাসে প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ২ টাকা ১৫ পয়সা থেকে কমিয়ে ২ টাকা ১২ পয়সা এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২ টাকা ৪৫ টাকা থেকে কমিয়ে ২ টাকা ৪২ টাকা করার প্রস্তাব করা হয় হয়েছে। সরকারের অনুমোদন পেলে হ্রাসকৃত ভাড়া কার্যকর হবে।


আরও খবর



দেশসেরা ইন্সটিটিউট গুলোর মধ্যে নিটার ১৬তম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:বিশ্বব্যাপী সমগ্র  ইন্সটিটিউট সমূহে পরিচালিত মানসম্মত  গবেষণা কার্যক্রমের উপর নির্ভর করে সম্প্রতি আলফার-ডগার সাইন্টিফিক ইনডেক্স  "এডি সাইন্টিফিক ইনডেক্স ২০২৪" শিরোনামে একটি র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী, দেশের ২০৭টি ইন্সটিটিউটের মধ্যে সাভারে অবস্থিত ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ (নিটার) এর অবস্থান ১৬তম এবং  সমগ্র বিশ্বের ২০৬টি দেশের ২৯৮৬টি ইন্সটিটিউটের মধ্যে নিটারের অবস্থান ২২৯২তম।

এডি সাইন্টিফিক ইনডেক্স মূলত বিগত ৫ বছরের নয়টি প্যারামিটারের উপর ভিত্তি করে এই র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করে থাকে এবং মোট ১২টি বিষয় এই র‌্যাঙ্কিং এর অন্তর্ভুক্ত। সেগুলো হলো- এগ্রিকালচার এন্ড ফরেস্টি, আর্টস, ডিজাইন এন্ড আর্কিটেকচার, বিজনেস এন্ড ম্যানেজমেন্ট, ইকোনোমিকস এন্ড ইকোনোমেট্রিক্স, এডুকেশন, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি, হিস্ট্রি, ফিলোসোফি, থ্রিওলোজি, ল এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ, মেডিক্যাল এন্ড হেলথ সায়েন্স, ন্যাচারাল সায়েন্স, সোশ্যাল সায়েন্স। বিশ্বব্যাপী ২০৬ টি দেশের ২৯৮৬টি ইন্সটিটিউটের মধ্যে এই র‌্যাঙ্কিং করা হয়েছে।

র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ইন্সটিটিউট গুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে আছে বাংলাদেশ উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ৩০৮), দ্বিতীয় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২১৩), তৃতীয় বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি কমিশন (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৩৮২), চতুর্থ পথিকৃৎ ইন্সটিটিউট অফ হেলথ স্টাডিজ (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৫৪৪), পঞ্চম বাংলাদেশ কাউন্সিল অফ সাইন্টিফিক এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিয়াল রিসার্চ (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৭৩০), ষষ্ঠ মিলিটারি ইন্সটিটিউট অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৭৯৩), সপ্তম বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ নিউক্লিয়ার এগ্রিকালচার (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৮৩৯), অষ্টম বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্চ ইন্সটিটিউট (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৮৬২), নবম ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বায়োটেকনোলজি (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৯৪৩), দশম স্থানে বাংলাদেশ ফিসারিজ রিসার্চ ইন্সটিটিউট (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৯৬২)।

র‌্যাঙ্কিং পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ-নিটার এর ৩০ জন গবেষকদের মধ্যে দেশের সেরা ৩০% এর মধ্যে আছে একজন গবেষক, দেশ-সেরা ৪০% এর মধ্যেও আছে একজন গবেষক, দেশ-সেরা ৫০% এর মধ্যেও আছে একজন গবেষক, দেশ-সেরা ৬০% এর মধ্যে আছে তিনজন গবেষক,  দেশ-সেরা ৭০% এর মধ্যে আছে নয়জন গবেষক, দেশ-সেরা ৮০% এর মধ্যে আছে ১২ জন গবেষক, দেশ-সেরা ৯০% এর মধ্যে আছে ১৯ জন গবেষক। এছাড়াও, ইন্সটিটিউট টির সেরা গবেষক হিসেবে নাম উঠে এসেছে ইন্সটিটিউটটির কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর জনাব: আনিসুর রহমান এর।


আরও খবর



বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে অন্যের বিরাগভাজন হতে পারি না: সেনাপ্রধান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:একটি বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না, বলেছেন মিয়ানমার ইস্যুতে সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) আয়োজিত প্রতিরক্ষা কূটনীতিবিষয়ক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

সেনাপ্রধান বলেছেন, মিয়ানমারের নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। কিন্তু আপনারা জানেন, মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা নিজেদের ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়ার মতো।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সব দেশই আমাদের বন্ধু। কাজেই একটি বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না। এই বাস্তবতা আমাদের বিবেচনায় রাখতে হয়।

সেনাপ্রধান আরও বলেন, এটি অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে সরকারের সব সংস্থাই দেশের স্বার্থের জন্য কাজ করে। সুযোগ খুঁজে বের করা এবং সহায়ক পরিবেশে কাজ করা হচ্ছে সবচেয়ে ভালো বিষয়। একা একা সফলতা অর্জন করা অসম্ভব। কীভাবে সবার সঙ্গে সহযোগিতা করা যায়, সেটি হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ।

এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের স্বার্থ ও কৌশলের জন্য সামরিক কৌশল দরকার এবং এটির মাধ্যমে বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের অবস্থান ঠিক করি। বিচ্ছিন্নভাবে এটি অর্জন করার সুযোগ নেই। মাঝেমধ্যে আমাদের তাই ভাবনা আসে, কে নেতৃত্ব দেবে বা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কার হাতে থাকবে। এটি কখনও কখনও সমস্যার তৈরি করে।

সরকারি কাজ সমন্বয়ের জন্য একটি সংস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, অনেক বিষয় আছে, যেটি আমরা শুরু করেছিলাম কিন্তু শেষ করতে পারিনি। কারণ, পরবর্তীতে সেটি আমাদের হাতে থাকেনি। যখনই আমি ব্যবসা খাতের জন্য একটি সম্ভাবনা খুঁজে বের করলাম, সেটি পরবর্তীতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চলে যায়।

তিনি আরও বলেন, কাজেই এখানে যে প্রস্তাব এসেছে, সেটি আমি সমর্থন করি এবং মনে করি, একটি সংস্থা দরকার, যেটি সমন্বিত উদ্যোগ নিশ্চিত করবে যার মাধ্যমে যেটি অর্জন করা হয়েছে, সেটি হারিয়ে যাবে না এবং এর ভবিষ্যৎ কার্যক্রম ঠিক করবে।

নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন বলেন, অভিপ্রায় হঠাৎ করে বদলে যেতে পারে। কিন্তু সক্ষমতা হঠাৎ করে বদলায় না। আজ একজন বন্ধু আছে কিন্তু কাল সে বন্ধু না–ও থাকতে পারে। জাতীয় স্বার্থ ও মাতৃভূমি সুরক্ষার জন্য আমাদের তৈরি থাকতে হবে।

তিনি বলেন, পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র “সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়” এবং সামরিক বাহিনী পররাষ্ট্র নীতির উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সবকিছু করছে।

সেনাপ্রধান আরও বলেন, সামরিক বাহিনীর মূল কাজ হচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এবং আমরা এটি কখনো ভুলি না। আমরা সব সময় এর জন্য তৈরি।


আরও খবর