Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ২৯৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার দুপুর ৩টায় ক্যাম্পের ‘বি’ ও ‘ই’ ব্লকে এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডে ৫০টিরও বেশি বসতঘর পুড়ে গেছে।

কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, আজ দুপুরে ১১ নম্বর ক্যাম্পের একটি বাড়ি থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম ও জেলা হেড কোয়ার্টার থেকে আরও দুটি টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তবে তাৎক্ষণিক আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের খবর জানাতে পারেননি তিনি।


আরও খবর

হোমনায় ছেলের হাতে মা খুন, ঘাতক ছেলে আটক

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ডোমার কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ ও কবরস্থান কমিটির বার্ষিক কোরআন খানি, ইফতার ও দোয়া মাহফিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৮৪জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ ও কবরস্থান কার্যনিবাহী কমিটির উদ্যোগে সকল কবরবাসীদের রুহের আতœার মাগফেরাত কামনায় বার্ষিক কোরআন খানি, ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (০১ এপ্রিল) বিকালে ঈদগাঁহ ময়দান মাঠে কার্যনিবাহী কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ বিন আমিন এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কমিটির সভাপতি পৌর মেয়র আলহাজ্ব মনছুরুল ইসলাম দানু’র সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরননবী, ইলিয়াস হোসেন, গোলাম মোস্তফা, উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল, ডোমার ইসলামিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ শামসুদ্দিন হোসাইনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফল হক ফাউন্ডেশনের পরিচালক সাবেক বন কর্মকর্তা

আনিসুুল হক গোল্ডেন, সভাপতি আনজারুল হক, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এর আহবায়ক আল-আমিন রহমান, কাউন্সিলর আখতারুজ্জামান সুমন সহ ২১টি মসজিদ কমিটির প্রতিনিধি, ঈমাম, দাতা গোষ্ঠি এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। শেষে দেশ ও জাতীর মঙ্গল কল্পে এবং উক্ত ময়দানের সকল কবরবাসীদের রুহের আতœার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন ডোমার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ঈমাম ও খতিব মুফতি আলহাজ¦ মাহমুদ বিন আলম।


আরও খবর



দেশের উন্নয়ন ও শান্তির জন্য সকলকেঐক্যবদ্ধ হতে হবে: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৫১জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, দেশের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, আমরা পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের জন্য আমাদের শপথ হবে বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে ও দেশের উন্নয়নে যেন আমরা প্রত্যেকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আলাদা বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি থাকার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে এরকম অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি মারি স্টেডিয়াম মাঠে মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) আয়োজিত মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসবের জলকেলি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

জলকেলি উৎসব অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। এ অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়েশা খান এমপি।

সাংগ্রাই উৎসবের শুরুতেই প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা মারমা যুবক যুবতিদের গায়ে পানি ছিটিয়ে জলকেলির শুভ সুচনা করেন। জলকেলির পর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মারমা শিল্পিদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) সভাপতি অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী’র সহধর্মিনী প্রধান শিক্ষক মিজ মল্লিকা ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার সোহেল আহমেদ, বিজিবি রাঙ্গামাটি সদর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোঃ আনোয়ার লতিফ খান, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, বিপিএম (বার), রাঙ্গামাটি সদর পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, দুদক রাঙ্গামাটির উপ-পরিচালক জাহিদ কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়েশা খান এমপি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহি উৎসব সাংগ্রাইয়ের সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যবোধ ও স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে পাহাড়ে সবাই যেন ভালো থাকে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি  বলেন, বৈসাবি একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তিনি বলেন, বৈসাবী উৎসব পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন না। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এই উৎসব। এটা শুধু সাংস্কৃতিক উৎসবই নয়। এটাতে ধর্মীয় অনুভুতিও জড়িত। এদিন মুরব্বীদের কাছ থেকে আশির্বাদ চাওয়া হয়। তাই এটি সামাজিক সাংস্কৃতিক উৎসবের পাশাপাশি ধর্মীয় উৎসবও। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সকল ভাষাভাষী ও সকল ধর্মের লোক সম্প্রীতির ঐক্যের বন্ধনে একই ছাতার নিচে বসবাস করবেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন- লক্ষ্য একটাই- বাংলাদেশের জাতি, সকল ভাষাভাষি গোষ্ঠী, ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে যেন ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি হয়। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, রাঙ্গামাটিতে আজকের এই জল উৎসব অনুষ্ঠান প্রমান করে আমরা শান্তি চাই সম্প্রীতি চাই ঐক্য চাই। তাই দেশের কল্যাণে যা যা করার প্রয়োজন সবাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান তিনি। পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সামিল করার ক্ষেত্রে সকলকে অনন্য ভূমিকা রাখার প্রতিও আহ্বান জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

আরও খবর

হোমনায় ছেলের হাতে মা খুন, ঘাতক ছেলে আটক

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪

কেএনএফের ৯ সদস্য অস্ত্রসহ আটক

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ভারতের রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ভারত সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের ৫৪তম স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপ‌তি দ্রৌপদী মুর্মু।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এক বার্তায় তিনি এ শুভেচ্ছা জানান। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের ফেসবুক পেজে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানানো হয়।

রাষ্ট্রপ‌তি মোহাম্মদ সাহাবু‌দ্দি‌নকে পাঠানো চি‌ঠিতে ভারতের রাষ্ট্রপ‌তি লিখেছেন, ভারত সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে আপনার মাধ‌্যমে বাংলাদেশের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানা‌চ্ছি।

দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, বিগত এক দশকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে গুণগত পরিবর্তনের মাধ‌্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

দুই দেশের নেতৃত্বের মাধ‌্যমে জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশাবাদী।


আরও খবর



বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের কবরে গার্ড অফ অনার ও পুষ্পস্তবক অর্পণ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একাত্তরের রণাঙ্গনের সাহসী সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের কবরে ২৬ মার্চ সকালে গার্ড অফ অনার, পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা ও দোয়ার অনুষ্ঠান অংশ নেন শার্শা উপজেলা প্রশাসন। সমাধিস্থলে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। অনূষ্ঠিত হয় আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠান।

যশোর ৪৯ বিজিবির পক্ষ থেকে গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়। গার্ড অফ অনার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির উপঅধিনায়ক মেজর সেলিমুদ্দোজা। দিনটি উপলক্ষে যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুরে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ এর সমাধিতে সকালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় ৮৫ যশোর, শার্শা ১ আসনের সাংসদ, উপজেলা প্রশাসন, বিজিবি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ এর পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও সরকারী বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, যশোর-১ এর সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু,  যশোর ৪৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক মেজর সেলিমুদ্দোজা, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোজাফ্ফর হোসেন, সরকারী বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাছানুজ্জামান সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের সমাধিতে এদিন শ্রদ্ধা জানান, শহীদের সন্তান এসএম গোলাম মোস্তফা কামাল, মেয়ে হাসিনা খাতুন সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। শ্রদ্ধা জানানো শেষে শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৫৯ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর) যোগদান করেন নূর মোহাম্মদ শেখ। দীর্ঘদিন দিনাজপুর সীমান্তে চাকরি করার পর ১৯৭০ সালের ১০ই জুলাই যশোর সেক্টরে বদলি হন। পরবর্তীতে ল্যান্সনায়েক হিসেবে পদোন্নতি পান।

১৯৭১ সালে যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন নূর মোহাম্মদ শেখ। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে তিন সঙ্গীকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করার অনন্য নজির স্থাপন করেন তিনি। যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর সীমান্তের বয়রা অঞ্চলে শহীদ হন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।


আরও খবর



পরীক্ষামূলক ট্রেন ১ঘন্টা ৪০ মিনিটে ভাঙ্গা থেকে যশোরে পৌঁছালো

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:পরীক্ষামূলক ট্রেন প্রায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে ভাঙ্গা থেকে যশোরের রুপদিয়া রেলস্টেশন পর্যন্ত  ছুটে আসলো। একটি ব্লাস্ট ট্রেন শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ট্রায়াল হিসেবে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে ছেড়ে আসে। ট্রেনটি সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে যশোরের রূপদিয়া রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়। ট্রেনটি প্রায় ১০ মিনিট স্টেশনে অবস্থান করার পর ফের ভাঙ্গার দিকে রওনা হয়।

রেল কতৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই ট্রেনের ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। এ পথে বাণিজ্যিক ট্রেন আগামী জুন মাস নাগাদ চলাচল শুরু হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

এ রেলপথ নির্মাণ করার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা । ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ব্রডগেজ ওই রেলপথে ভাঙ্গা, কাশিয়ানী এবং যশোরের পদ্মবিলা ও সিঙ্গিয়াতে রেলওয়ে জংশন থাকছে। এছাড়া নগরকান্দা, মুকসুদপুর, মহেশপুর, লোহাগড়া, নড়াইল এবং যশোরের জামদিয়া ও রূপদিয়ায় রেলস্টেশন হয়েছে। কাজের অংশ হিসেবে শনিবার ও রোববার দু’দিন ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত বিভিন্ন গতিতে ট্রেন চালিয়ে নির্মাণ অবস্থা পরীক্ষা করা হবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।

ট্রায়ালের অংশ নেওয়া রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, ভাঙ্গা থেকে যশোর অংশের ৮৭ দশমিক ৩২ কিলোমিটার পথ ৮৪ কিলোমিটার বেগে পাড়ি দিয়েছেন তারা। পথে কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি।  এ রুটে আগামী জুনের মধ্যেই বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

রেলওয়ের সূত্রটি আরো জানান, এ প্রকল্প শেষের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত। মাঠপর্যায়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। ২০১৬ সালের ৩ মে একনেকে ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প’ নামে এটির অনুমোদন হয়। এ প্রকল্পের ব্যয় হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা।

পরীক্ষামূলক ট্রেনের চালক আব্দুল মান্নান বলেন, সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে আমরা ভাঙ্গা স্টেশন থেকে ছেড়ে আসি। সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে যশোরের রূপদিয়া স্টেশনে পৌঁছাই। পথে কোন সমস্যা হয়নি।

ট্রেনের সহকারী লোকোমাস্টার হাসান মতিউর রহমান বলেন, ৬০ তেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ট্রেনটি ভাঙ্গা থেকে যশোরে এসেছে। এতে সময় লেগেছে এক ঘন্টা ৪০ মিনিট। ফিরে যাওয়ার সময় আরও ২০ কিলোমিটার বেশি গতিতে যাবে। এরপর যাত্রী নিয়ে যে ট্রায়াল ট্রেন ১২০ কিলোমিটার বেগে আসবে বলে তিনি জানান।

যশোর রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার আয়নাল হাসান বলেন, এই ট্রেন যশোরবাসীর জন্যে প্রধানমন্ত্রীর ঈদের উপহার। ট্রেনটি ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে যশোরে আসে। যাওয়ার সময় আরও বেশি বেগে যাবে। আগামী জুন মাস নাগাদ এ রুটে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে।


আরও খবর