
অনলাইন ডেস্ক : রমজান ইবাদতের মাস। মহিমান্বিত এ মাস সমাগত। তাই এখন থেকেই প্রয়োজন প্রস্তুতি গ্রহণ করা। যাতে রমজানের যাবতীয় কল্যাণ অর্জন সম্ভব হয়। রমজানের আগেই যদি পারিবারিক, ব্যাবসায়িক ও পেশাগত কাজগুলো গুছিয়ে রাখা যায়, তবে রমজানে অধিক সময় ইবাদতে মগ্ন থাকা যাবে।
রমজানের আগে প্রস্তুতি নেওয়ার কারণ হলো—নিজেকে ইবাদত-বন্দেগি ও সাধনার জন্য প্রস্তুত করা। যেন রমজানের আগেই আলস্য দূর হয়ে যায়। সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য আল্লাহর তাওফিক লাভ করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা আমার উদ্দেশ্যে চেষ্টা-সংগ্রাম করে আমি তাদেরকে অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করব। আল্লাহ অবশ্যই সৎকর্মপরায়ণদের সঙ্গে থাকেন।’ (সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৬৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের দুই মাস আগে থেকেই রমজান লাভের দোয়া করতেন—‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে রজব ও শাবান মাসে বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস : ১৩৬৯)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কোনো বান্দা যেকোনো ভালো কাজ বা আমল যদি যথাযথভাবে উত্তম উপায়ে করে; তবে সে আমল বা কাজ আল্লাহ তাআলা পছন্দীয় হিসেবে গ্রহণ করেন।’ (তাবারানি)
হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, মুমিন রজব মাস থেকে রমজানের প্রস্তুতি শুরু করবে। তবে যারা রজব থেকে শুরু করতে পারেনি, তাদের জন্য সর্বোত্তম সময় শাবান মাস। মহানবী (সা.) শাবান মাসের ব্যাপারে যারা উদাসীন তাদের সতর্ক করেছেন। উসামা বিন জায়িদ (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘...রাসুল (সা.) বলেন, রমজান ও রজবের মধ্যবর্তী এ মাসের ব্যাপারে মানুষ উদাসীন থাকে। এটা এমন মাস, যে মাসে বান্দার আমল আল্লাহর কাছে পেশ করা হয়। আমি চাই, আল্লাহর কাছে আমার আমল এমন অবস্থায় পেশ করা হোক, যখন আমি রোজাদার।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ২৩৫৭)
রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে আগেই আমাদের আল্লাহর কাছে পিছনের সমস্ত গুনাহর জন্য ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। তাওবাহ-ইসতেগফার বা অন্যায় কাজ থেকে ফিরে আসা বা মুখ ফিরিয়ে নেয়া এবং আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
আল্লাহতায়ালার কাছে ক্ষমা চাইলে, তিনি যদি আমাদেরকে ক্ষমা করে দেন- তাহলে পবিত্র মাহে রমযানে নতুন করে আমরা আমাদের জীবনটাকে নেক আমল দিয়ে সাজাতে পারবো ইনশাআল্লাহ!
রমজান মাসে আল্লাহতায়ালা শয়তানকে বন্দি করে রাখেন। তাই এই সময়ে আমাদের ঈমানকে আরো শক্ত মুজবুত করতে আগে থেকেই আল্লাহর কাছে তাওবাহ-ইসতেগফার করতে হবে। এতে করে মহান আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে নেককার মুমিন হবার তাওফিক দিয়ে দিবেন।
এর জন্য আমাদেরকে বেশি বেশি যে বাক্যটিকে পাঠ করতে হবে তা হচ্ছে, – اَللَّهُمَّ اغْفِرْلِىْ : আল্লাহুম্মাগফিরলি, হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দিন।