
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলায় রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন পরিষদে একটি ধর্ষণের ঘটনায় মীমাংসার নামে শালিস বৈঠক থেকে ধর্ষক আবুল বাশার ওরফে ছ্যানা বশার (৩৫) কে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
যদিও পরে রাঙ্গাবালী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে স্থানীয় জনতার সহায়তায় ধর্ষক আবুল বাশারকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ ধর্ষণের মত ঘটনার বিচার করতে পারেনা। কিন্তু এমন দুঃসাহসিক কাজ করে ধর্ষকের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান মামুনের বিরুদ্ধে।
বুধবার, ১১’মে রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান মামুনের নির্দেশে ইউনিয়ন পরিষদের তিন সদস্য আব্দুল মান্নান, আমিন ও ছাইদুর রহমানসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ শালিস বৈঠকের আয়োজন করে ঘটনার ধামাচাপা দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। এতে স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গত ২০ এপ্রিল রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের চর কাসেম ৫নং ওয়ার্ডের সামুদাবাদ গ্রামের ১৩ বছর বয়সী কিশোরী মেয়েকে তার অন্য ভাই বোনদের হত্যার হুমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে স্থানীয় নামকরা সন্ত্রাসী আবুল বাশার ওরফে ছ্যানা বাশার।
এই বিষয়ে ২৪ এপ্রিল রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করার নামে কালক্ষেপন করে আসছিলো। একপর্যায়ে গত ১১’মে বুধবার বিকেলে চেয়ারম্যান উপস্থিত না থেকে ইউনিয়ন পরিষদের তিন জন ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে শালিসের নাম করে ধর্ষককে পালাতে সহযোগিতা করেছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
রাঙ্গাবালী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক এনায়েতুর রহমান জানান, ওসি স্যারের নির্দেশে আসামি পালানোর এক ঘন্টার মধ্যে ইউনিয়নের কাছিয়াবুনিয়া ইউসুফ মৃধার বাড়ি থেকে ইউনিয়ন পরিষদের প্রহরী আরিফ তাকে ধরতে সক্ষম হয় পরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
তবে রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ঘটনার বিষয়ে জানতে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশফাকুর রহমান বলেন, ধর্ষণের মত ঘটনার বিচার বা শালিস করার কোন ইখতিয়ার ইউনিয়ন পরিষদের নেই। তবে রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন পরিষদ এরকম কোন ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে, তারা আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে বলে আমি মনে করি।