
আমান উল্লাহ, কক্সবাজার: কক্সবাজারের রামুর পানেরছড়ায় নির্বিচারে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির মহোৎসব চলছে। পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট পাহাড়ের মাটি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অপরদিকে বনবিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল কেটে পাচার করা হচ্ছে। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সংঘবদ্ধ পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট পাহাড়ের মাটি ও গাছ কেটে ডাম্পার যোগে বিভিন্ন জায়গায় পাচার করছে।
এভাবে নির্বিচারে পাহাড় কাটার ফলে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে,বর্তমানে রামুর পানেরছড়ার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপকহারে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির কাজে লিপ্ত রয়েছে পাহাড় সিন্ডিকেটের চিহ্নিত সদস্যরা। প্রাপ্ত অভিযোগে প্রকাশ,স্থানীয় বন বিভাগকে ম্যানেজ করে বিশাল আকারে উঁচু পাহাড় কেটে মাটি ডাম্পার ভর্তি করে পাচার করছে দক্ষিণ মিঠাছড়ির চাইল্যাতলী এলাকার মোহাম্মদ আলীর পুত্র আব্দুল্লাহ ভুট্টো,মৃত মোহাম্মদ হোসন এর পুত্র মোক্তার আহমদ,মৃত শরবত আলীর পুত্র মনির আহমদ প্রকাশ মনিয়া।সচেতন মহল জানান, উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের অভিযান তৎপরতা না থাকায় পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট সদস্যরা প্রকাশ্যে দিবালোকে পাহাড় কেটে মাটি, বালি ও গাছ পাচার করছে।
ডাম্পার ও পিকআপ যোগে মাটি ও গাছ ভর্তি করে বিভিন্ন এলাকায় মাটি দিয়ে জায়গা ভরাট করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি বনভূমি হতে পাহাড় কর্তন ও মাটি সরবরাহ নিষিদ্ধ থাকলেও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় সঙ্ঘবদ্ধ সিন্ডিকেট সদস্যরা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একের পর এক পাহাড় কেটে ও বনায়নের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এবিষয়ে পানেরছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা রতন লাল মহত জানান,পাহাড় কাটা ও গাছ কাটার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।ইতিমধ্যে পাহাড় কাটা ও গাছ কাটায় জড়িত অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়ছে।এসব অপরাধে যারা জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।পানেরছড়া বিট কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান,খবর পেয়ে সরজমিনে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।তবে ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি।আমরা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।