Logo
আজঃ শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৫৬

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ সোমবার (২৯ মে) ডিএমপির জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার সকাল ৬টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানে ৯১ গ্রাম হেরোইন, এক হাজার ৯৪টি ইয়াবা, ১১৪ কেজি ৬৬০ গ্রাম গাঁজা ও ৪৩ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩৩টি মামলা করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।


আরও খবর

এডিসি হারুন রংপুরে যোগ দিলেন

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




৯০ দিনের ছুটি নিয়েছেন খন্দকার মোশাররফ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সংসদ থেকে ৯০ দিনের ছুটি নিয়েছেন ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অসুস্থতার কারণে বর্তমানে তিনি সুইজারল্যান্ডে অবস্থান করছেন।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সংসদে ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসের ছুটির আবেদন পাঠ করে শোনান ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। পরে কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ১৭৯ (২) এ অনুসারে ৯ জুলাই ২০২৩ হতে পরবর্তী ৯০ বৈঠকের জন্য ছুটির জন্য ইমেইলে আবেদন করেন বলে জানান শামসুল হক টুকু। 

আবেদনে ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, অসুস্থজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরে সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে পারছি না। উন্নত চিকিৎসার জন্য সুইজারল্যাণ্ডে অবস্থান করছি।

চিঠিতে তিনি ব্যাক পেইন, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশারসহ নানা রোগে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন বলে জানান। 

তিনি জানান, চিকিৎসকদের পরামর্শে দীর্ঘদিন আরও চিকিৎসা প্রয়োজন। এ জন্য ৯ জুলাই হতে পরবর্তী ৯০ বৈঠকের জন্য ছুটির আবেদন করেন তিনি।

সর্বশেষ ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন মোশাররফ। সেটা ছিল একাদশ জাতীয় সংসদের ১২তম অধিবেশন। মাত্র তিন দিনের জন্য ওই অধিবেশন বসে।

উল্লেখ্য, এমপি পদ বাতিল সম্পর্কে সংবিধানের ৬৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সংসদ সদস্যের আসন শূন্য হইবে, যদি (ক) তাহার নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে নব্বই দিনের মধ্যে তিনি তৃতীয় তফসিলে নির্ধারিত শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিতে ও শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করিতে অসমর্থ হন: তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ মেয়াদ অতিবাহিত হইবার পূর্বে স্পিকার যথার্থ কারণে তাহা বর্ধিত করিতে পারিবেন। (খ) সংসদের অনুমতি না লইয়া তিনি একাধিক্রমে নব্বই বৈঠক-দিবস অনুপস্থিত থাকেন (গ) সংসদ ভাঙ্গিয়া যায় (ঘ) তিনি এই সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের (২) দফার অধীন অযোগ্য হইয়া যান অথবা (ঙ) এই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বর্ণিত পরিস্থিতির উদ্ভব হয়।


আরও খবর

এডিসি হারুন রংপুরে যোগ দিলেন

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




কক্সবাজারে বার্মিজ আচারের নামে বিক্রি হচ্ছে নকল আচার , দেখার কেও নেই!

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

কক্সবাজার প্রতিনিধি:কক্সবাজারে বার্মিজ আচারের নামে বিক্রি হচ্ছে নকল আচার। বাহারি প্যাকেটে মোড়ানো এসব আচার দেখে বোঝা কঠিন। কোনটা আসল আর নকল। এছাড়াও প্যাকেটে লেখা আচারের পরিবর্তে অন্য আচার ঢুকিয়ে দিয়ে প্রতারণা করে যাচ্ছেন কতিপয় বিক্রেতারা। ফলে আচার কিনে রীতিমতো হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন পর্যটক।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের আনাচে কানাচে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হয় বার্মিজ আচার নামে খ্যাত এসব ভুয়া নাম সর্বস্ব নকল আচার। ঘরে কিংবা দোকানে আচার তৈরি করে বাহারি প্যাকেটে ভরে নাম দেওয়া হয় বার্মিজ আচার। এরপর কতিপয় বিক্রেতারা আচারগুলো স্বল্প মূল্যে কিনে নিয়ে বিচের আনাচে কানাচে বিক্রি করে থাকেন। সেখান থেকে পর্যটকরা এইসব আচার কিনে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।মূলতঃ মিয়ানমার থেকে যেসব আচার টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশে আনা হয় এসব হলো আসল বার্মিজ আচার। তবে এসব আচার শহরের বার্মিজ মার্কেটের কয়েকটি দোকান ছাড়া আর কোথাও তেমন বিক্রি করা হয় না।গত আগষ্ট মাসে কক্সবাজার বেড়াতে এসে সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে আচার ক্রয় করে প্রতারণার শিকার হন রোকনুজ্জামান নামে এক পর্যটক ।এ বিষয়ে পর্যটক রোকনুজ্জামান জানান, সুগন্ধা পয়েন্টে সারিবদ্ধ এক দোকান থেকে কয়েকটি বার্মিজ আচারের প্যাকেট ক্রয় করি। আচারের প্যাকেটগুলো দেখতে খুবই সুন্দর ছিল। দামও কম রাখা হচ্ছে। তাই কিছু আচার কিনে নিয়ে রুমে চলে যায়। তারপরের দিন ঢাকা গিয়ে প্যাকেট খুলে দেখি আমের আচারের প্যাকেটে দেওয়া হয়েছে বরই। বাকি প্যাকেটগুলোই আচারের নামের সঙ্গে জিনিসের মিল নেই। আচারগুলো এতো নোংড়া মুখেই দেওয়া যাচ্ছে না। পরে খবর নিয়ে দেখি এগুলো আসলে বার্মিজ আচার নয়। কম দামে নকল আচার বিক্রি করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে এরা। একই কথা জানালেন আরেক পর্যটক আব্দুল কাইয়ুম । তিনি জানান, গেল বছর যখন কক্সবাজার যাই, সেখানে এক দোকান থেকে ১০ হাজার টাকার বার্মিজ আচার কিনেন আমার স্ত্রী, পরে বাড়ি গিয়ে দেখি আচারের কোনো অস্তিত্বই নেই। মূলত বার্মিজ আচারের নামে নকল আচার বিক্রি করা হচ্ছে। বিষয়টি দেখে খুবই খারাপ লাগল। কক্সবাজারের মতো একটি শহরে পর্যটক ঠকানো হচ্ছে এটি আসলে খুবই দুঃখজনক।এ বিষয়ে সুগন্ধা পয়েন্টে এক আচারের দোকানদারের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, কিছু দোকানদার আছেন যারা অল্প দামে নকল আচার বিক্রি করেন। অরিজিনাল বার্মিজ আচারের দাম বেশি, তাই সবাই সেই আচার বিক্রি করে লাভ করতে পারেন না। আবার কিছু কিছু পর্যটক আছেন, যারা অল্প দাম পেলে জিনিস কিনে নিয়ে যায়। আসল বা নকল দেখেন না। সেই সুযোগটা কাজে লাগান কিছু ব্যবসায়ী।ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃকাউছার মিয়া জানান, আমি নিজেই এর ভুক্তভোগী। আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে একবার সরাসরি কয়েকটি দোকানদারকে ধরেছিলাম। পরে তারা মিনতি করে মাপ চাওয়ায় সাবধান করে দেওয়া হয়। কিন্তু এখন দেখছি এর মাত্রা বেড়ে গেছে, অনেকের কাছ থেকে  অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আমি যেহেতু অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি, আমাকে তিনটি জেলা দেখতে হয়। কক্সবাজারে গিয়ে এসব নকল আচার দোকানদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, বিষয়টি আমি নলেজে রাখলাম। খুব শীঘ্রই এসব নকল আচার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর

সেই ধর্ষক জনি ঢাকায় গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




মাগুরার মহম্মদপুরে ইয়াবাসহ দুই মাদক কাররবারি আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরার মহম্মদপুরে ৬২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হচ্ছে মহম্মদপুর উপজেলার মৌশা গ্রামের আবু সাঈদ মোল্যার ছেলে রফিকুল ইসলাম (২২) এবং দাউদ মোল্যার ছেলে আবু জার (২২)।

পুলিশ জানায়, বুধবার ১টার দিকে মহম্মদপুর পুরাতন জেলখানার সামনে এসআই জান্নাতুল ফেরদৌস বাদশার নেতৃত্বে টহলরত পুলিশ মটর সাইকেল আরোহী ওই দুই যুবকের গতিরোধ করে তল্লাশি চালায়। এ সময় তাদের কাছ থেকে কয়েকটি প্লাস্টিক প্যাকেটে রাখা ৬২০ পিস ইয়াব ট্যাবলেট পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত  ইয়াবা ট্যাবলেটের আনুমানিক মূল্য প্রায় তিন লাখ দশ হাজার টাকা।

মহম্মদপুর থানা পুলিশ তাদের কাছ থেকে মাদক কারবারে ব্যবহৃত একটি ১৫০ সিসি সুজুকী জিক্সার মোটরসাইকেল এবং তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে।

মাগুরা পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদ্দৌলা রেজা জানান, মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবেই ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই কারবারিকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মাদকের বিরুদ্ধে সারা জেলাতে এই ধারণে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।


আরও খবর

সিরাজগঞ্জে মাদক বিক্রেতার হামলায় আহত এক যুবক

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

হোমনায় ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার

বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23




সুনামগঞ্জ সীমান্তে যানবাহন ও মালামালসহ গ্রেফতার ১৪

প্রকাশিত:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২২জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা সীমান্তে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে জমজমাট ভাবে চলছে চোরাচালান বাণিজ্য। পৃথক অভিযান চালিয়ে এক ইউপি সদস্যসহ ১৪ জন চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র‌্যাব। এছাড়া ২টি ইঞ্জিনের নৌকা ও ৩টি পিকআপসহ অবৈধ চিনি ও মাদক দ্রব্যের চালান জব্দ করা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় দায়ের করা হয়েছে পৃথক মামলা। তবে সীমান্ত এলাকায় সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামীদের দৌড়াত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে- প্রতিদিনের মতো আজ শনিবার (২ সেপ্টেম্ভর) রাত ২টার পর থেকে জেলার তাহিরপুর উপজেলার তাহিরপুর উপজেলার বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা, সুন্দরবন, চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও, এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা, লালঘাট, বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা, লালঘাট, টেকেরঘাট সীমান্তের চুনাপাথর খনি প্রকল্প, বড়ছড়া, বরুঙ্গা ছড়া, রজনী লাইন, চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া, গারোঘাট, রাজাই, কড়ইগড়া, বারেকটিলা, লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী, সাহিদাবাদ, দশঘর, পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে এক যোগে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে কয়লা ও পাথরসহ চিনি, সুপারী, কসমেটিকস, নাসির উদ্দিন বিড়ি, মাদকদ্রব্য ও গরু পাচাঁর শুরু করে চোরাকারবারীরা। কিন্তু এব্যাপারে কেউ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। অথচ গত শুক্রবার (১ সেপ্টেম্ভর) ভোর ৫টায় পাশের মধ্যনগর উপজেলার মনাই নদীর জামগড়া খালে অভিযান চালিয়ে ২৪লাখ ৫শত টাকা মূল্যের ১৬১ বস্তা (৮ হাজার ৫ কেজি) ভারতীয় অবৈধ চিনি বোঝাই ১টি ইঞ্জিনের নৌকাসহ ওই উপজেলার দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মুজিবুর রহমান ও তার সহযোগী জহুরুল আলম, কালু মিয়া, আহাদ মিয়া, মারুফ মিয়া, বিল্লাল হোসেন ও মুক্তার হোসেনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। অপরদিকে সকাল সাড়ে ৬টায় ছাতক উপজেলার তাজপুর গ্রামের রাস্তা থেকে ১৬৮ বস্তা (৮হাজার ৪শত কেজি) অবৈধ চিনি বোঝাই ৩টি পিকআপ ভ্যানসহ চোরাকারবারী আব্দুল কাইয়ুম কে হাতেনাতে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরআগে গত বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাত ১১টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ধোপাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৯২ বোতল মদসহ ফিরোজ মিয়া, আমীর আলী ও আলী নুর নামের ৩ পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। অন্যদিকে এদিন ভোরে মধ্যনগর উপজেলার উত্তর বংশিকুন্ডা ইউনিয়নের বাঙ্গলভিটা গ্রাম সংলগ্ন খালে অভিযান চালিয়ে ৮০ বস্তা অবৈধ চিনি বোঝাই ১টি ইঞ্জিনের নৌকাসহ চোরাকারবারী রনি মিয়া, এরশাদ মিয়া ও আবুল কাসেমকে গ্রেফতার করে। কিন্তু তাহিরপুর সীমান্তে একাধিক মামলার আসামীরা প্রতিদিন লাখলাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে বিভিন্ন মালামাল অবাধে পাচাঁর করলেও দেখার কেউ নাই। এব্যাপারে তাহিরপুরে কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক আবুল বাশার খান নয়ন, ফজলু সরদার, ইউপি সদস্য ধন মিয়া ও বাবুল মিয়াসহ আরো অনেকেই বলেন- একাধিক মামলার আসামী লালঘাট গ্রামের ইয়াবা কালাম, রুবেল মিয়া, খোকন মিয়া, লাকমা গ্রামের রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, দুধের আউটা গ্রামের জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, শ্রীপুর কুড়েরপাড় গ্রামের নেকবর আলী, জঙ্গলবাড়ি গ্রামের লেংড়া জামাল, হযরত আলী, আইনাল মিয়া, কলাগাঁও গ্রামের রফ মিয়া, সাইফুল মিয়া, বাঁশতলা গ্রামের আনোয়ার হোসেন বাবলু, চাঁনপুর গ্রামের আবু বক্কর, লাউড়গড় গ্রামের মোহাম্মদ মিয়া, জসিম মিয়া, সাহিদাবাদ গ্রামের বায়েজিদ মিয়া ও তাদের কথিত গডফাদার সিন্ডিকেডের মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা ও চুনাপাথরসহ বিভিন্ন মালামাল পাঁচার করে নিজেরা ব্যবসা করছে এবং পুলিশ, সাংবাদিক ও বিজিবির নাম ভাংগিয়ে লাখলাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করে হয়েগেছে কোটিপতি। তাদের কারণে সম্প্রতি লাকমা ও যাদুকাটা নদী দিয়ে ভারত থেকে চোরাচালান করতে গিয়ে ২জনের মর্মান্তিক মৃৃত্যু হয়েছে। এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে ওদের

দৌড়াত্ব বেড়েই চলেছে। মধ্যনগর থানার ওসি এমরান হোসেন সাংবাদিকদের জানান- এই উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে রাতের আধাঁরে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চিনিসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁর করে নৌকা বোঝাই করার সময় অভিযান চালিয়ে চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করেছি। এব্যাপারে থানায় পৃথক মামলা দায়ের করে সবাইকে আদালতের মাধ্যমে কারাঘারে পাঠানো হয়েছে। চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর

সেই ধর্ষক জনি ঢাকায় গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমের পর রহমতের বৃষ্টিতেই জনমনে স্বস্তি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৯০জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোরে গত রবিবার ও সোমবার দিনভর খরতাপ ও প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমের পর শুরু হয়েছে রহমতের বৃষ্টি। সোমবার রাত প্রায় ৮ টা ৫৫ মিনিট থেকে শুরু হয় ভারি বর্ষন। অবশ্য বৃষ্টির আগে কয়েক মিনিট সামান্য পরিমানে ঝড় হয়। তবে কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া  যায় নি। রহমতের বৃষ্টিতেই জনমনে ও আমন চাষীরা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলেছেন।জানা গেছে, গত সপ্তাহের মঙ্গলবারে গভীর রাতে প্রচন্ড ঝড় ও বৃষ্টি হয়। ঝড়ে রাস্তার গাছ উপড়ে পড়ে সেই সাথে  বিদ্যুতের পোল পর্যন্ত ভেঙ্গে পড়ে। মঙ্গলবার, বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এবং শনিবারের দিনে রাতে হালকা মাঝারি বৃষ্টি হয়। কিন্তু গত রবিবার দিনে মাঝারি তাপদহ প্রবাহিত হয়। সেই সাথে ছিল রোদের প্রচন্ড তাপ, ছিল প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম। শরীর থেকে ঘামও বের হয়ে জামা কাপড় ভিজে যায়। সোমবারেও দিনভর মাঝারি তাপদহের সাথে প্রচন্ড খরতাপের কারনে নাজেহাল হয়ে পড়ে জনসাধারণ।  পিচঢালা রাস্তায় দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল তিন টা পর্যন্ত তেমন ভাবে যান বহন দেখা যায়নি । কারন খরতাপের কারনে পিচঢালা রাস্তায় টিকতে পারেন নি ভ্যান ও অটো চালকরা।চার্জার ভ্যান চালক, ওহাব,তৈয়ব, মশিউর ও জাইদুরসহ অনেকে জানান, গত রবিবার ও সোমবারে প্রচুর গরম ছিল। দূরবর্তী ভাড়া মারা যায়নি। দুপুর ১২ টার আগেই বাধ্য হয়ে বাড়িতে চলে আসতে হয়েছে। কারন রাস্তায় থাকায় যাচ্ছিল না।শরীর থেকে প্রচুর পরিমানে পানি বের হচ্ছিল। কিন্তু সোমবার রাতে ২০-২৫ মিনিটের বৃষ্টিতেই গরম ও তাপমাত্রা কমে গেছে। বৃষ্টির আগ পর্যন্ত ভ্যাপসা গরম ছিল।

আমন চাষী সারোয়ার, আইয়ুব, আব্দুর রব, মফিজসহ অনেকে জানান, রবিবার ও সোমবারের তাপমাত্রা ও প্রচন্ড রোদের কারনে জমি জমি শুকিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সোমবার রাত প্রায় ৯ টার কয়েক মিনিট আগে থেকে ৯ টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত একটানা ভারি বৃষ্টি হয়। যা আমন চাষীদের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার বিশাল রহমত। তিনি রহমতের বৃষ্টি দিয়ে তার জমিনে আমন চাষীদের মনে তৃপ্তি এনে দিয়েছেন। বিশেষ করে একটু উঁচু জমিতে একদিন বৃষ্টি না হলে পানি থাকেনা। আগামী মঙ্গলবার কিংবা বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টি না হলে সেচ ছাড়া উপায় ছিল না। কারন রোপনের পর তেমন ভাবে বৃষ্টির পানি না পাওয়ার কারনে আগাছা প্রচুর। এক বিঘা জমিতে আগাছা পরিস্কার করতে ৪-৫ হাজার করে টাকা লাগছে। অবশ্য সোমবার রাত প্রায় ৮ থেকে ৯ টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত  বৃষ্টি হয়। তারপর থেকে ভ্যাপসা গরম শুরু হয়। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুর ২ টার পর থেকে উপজেলা জুড়ে বৃষ্টি হয়েছে। তানোর পৌর সদরে বৃষ্টি থামছে তো কামারগাঁতে হচ্ছে, কামারগাঁতে থামছে তো পাচন্দরে হচ্ছে। এভাবে থেমে থেমে চারদিকেই বৃষ্টি হচ্ছে। মেঘলা আকাশ, তাপমাত্রা একেবারেই কমে  ২০/২১ ডিগ্রি তে নেমেছে। চারদিকেই শীতল আবহাওয়া।স্বর্ন পদক প্রাপ্ত  আদর্শ কৃষক নুর মোহাম্মাদ বলেন, রোপা আমন বৃষ্টি নির্ভর চাষাবাদ। বৃষ্টি দুএকদিন বা অতিরিক্ত  তাপমাত্রা হলেই কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েন। গত সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার বিকেলের বৃষ্টি রোপা আমন ধানের বিশাল রহমত। এবার রোগবালা এখন পর্যন্ত তেমন ভাবে নেই, তবে প্রচুর আগাছা। এটা পরিস্কার করতেই হিমশিম ও অতিরিক্ত খরচ গুনতে হয়েছে চাষীদের।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, উপজেলায় রোপা আমন চাষ হয়েছে ২১ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে। এখন পর্যন্ত রোগ বালার কোন খবর নেই। বিএসরা প্রতিটি সময় মাঠে থেকে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। ধান গাছের চেহারা ভালোই আছে। আসা করছি প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে ফলন ভালো হবে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা। 

আরও খবর

সেই ধর্ষক জনি ঢাকায় গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩