Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ প্রশাসন ভবনে তালা লাগিয়ে

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ২৪৭জন দেখেছেন

Image

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রশাসন ভবনের গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।

এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে যোগ দেন।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, ‌‘আমাদের শতশত ভাইয়েরা আহত হয়ে মেডিকেল ভর্তি আছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। প্রশাসনের ঘুমন্ত চেহারা আমরা অনেক দেখেছি। গতকালের ঘটনায় আমরা প্রশাসনের কাউকেই পাশে পাইনি।’

এ সময় প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন ভবনের পর উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও হুমকি দেন তারা।


আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুহিলপুরে ঈদ পুনঃমিলনী অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩০জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নানঃএকতাই  শক্তি, একতাই বল,এই শ্লোগানকে সামনে রেখেই  ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সুহিলপুর চাঁন্দের হাটি ( সুতার মুড়া)  আব্বাস আলী ফাউন্ডেশনের কর্তৃক আয়োজিত ঈদ পুনঃমিলনী অনুষ্ঠান ও দোয়া মাহফিল  অনুষ্টিত হয়েছে। রবিবার বিকেলে চান্দের হাঁটিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রশিদ ভূঁইয়া চেয়ারম্যান সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ, প্রধান বক্তৃা স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত সাবেক চেয়ারম্যান মোবারক মুন্সী, বিশেষ অতিথি , ৪, ৫, ৬  ওয়ার্ডের নারী সদস্য সুমি আক্তার।

প্রধান উপদেষ্টা হাজ্বী উসমান গনী, হামিদ মিয়া,  ৩ বারের সাবেক মেম্বার চাঁন মিয়া,হাজ্বী  হাবিবুর রহমান, রৌশন  সরদার, আবদুর রহমান, , বিশিষ্ট  ঠিকাদার আবুল কাশেম, কাউসার মিয়া, কাদের মিয়া,  আব্দুস সাত্তার, লোকমান মিয়া,  উপদেষ্টা গণ।  মরহুম আব্বাস উদ্দিন ফাউন্ডেশনের সভাপতি  ফারুক ওসমান সভাপতিত্বে, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক এহসানুল হক রিপনের সঞ্চালনায়, সাধারণ সম্পাদক  বিশিষ্ট সমাজসেবক  ও সালিশ কারক  সাদির মিয়ার দিক  নির্দেশনায়  অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন  সহ সভাপতি আব্দুল হাসিম  , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিক আহমেদ , আব্দুর রাহিম কোষাধক্ষ্য , শাহিন মিয়া শানু মিয়া প্রচার  সম্পাদক , নিজাম উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক , সালাউদ্দিন ও নানু মিয়া,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অলি মিয়া, আব্দুল জব্বার,মুসলিম মিয়া,  সোহেল মিয়া প্রমুখ।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর

সাজেকে ড্রাম ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ১০

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করল কে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপি নেতারা বলেন- ২৫ মার্চ নাকি আওয়ামী লীগের নেতার পালিয়ে গিয়েছিলেন। তাহলে যুদ্ধটা করল কে? বিজয় কে আনল? বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 

বুধবার (২৭ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস- ২০২৪ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এমন প্রশ্ন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিব নগর সরকার গঠন করে শপথ নিয়ে তারা যুদ্ধ পরিচালনা করলেন। সরকারপ্রধান ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তার গ্রেপ্তারের পর উপ-রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে সেই সরকারের অধীনে এ দেশে যুদ্ধ হলো। এখন যারা বলছে, পালিয়ে গেলো-তাহলে যুদ্ধটা করল কে? আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে জিয়াউর রহমান তো বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে চাকরি করেছেন। সামরিক অফিসার হিসেবে তিনি এখানে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি যে মেজর থেকে মেজর জেনারেল হলেন, সেটা কে দিয়েছেন? আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে। এটাও অকৃতজ্ঞরা ভুলে যায়।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ এক কদম এগুতে পারেনি। আমি বলি, এক কদম এগুতে দেওয়া হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা প্রতিবেশীসহ অনেক দেশের সহায়তা। আবার পেয়েছি, অনেক বড় বড় দেশের বৈরিতা। অবশ্য, সে দেশের নাগরিকদের সমর্থনও পেয়েছি। যারা আমাদের স্বাধীনতায় সহায়তা করেছে, তাদের আমরা সম্মানিত করেছি, স্বীকৃতি দিয়েছি। একমাত্র বাংলাদেশই এটা করেছে। এতে বাংলাদেশও সম্মানিত হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, কেউ বলছে, গণতন্ত্র নেই। দেশের কোনো উন্নতিই হয়নি। স্বাধীনতার পরও এমন কিছু কার্যক্রম আমরা দেখেছি। জাতির পিতাকে সময় দেয়নি। স্বাধীন হওয়ার পরই শুরু হয়ে গেলো সমালোচনা। নতুন বিপ্লবসহ নানা ধরনের কথা। এদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, স্বাধীনতাবিরোধীরা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল মানুষের মন থেকে জাতির পিতাকে মুছে ফেলা। তারা সফল হয়নি। যার কারণে তাকে থামিয়ে দিতে হত্যার পথ বেছে নেয়। একটি জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে বিজয় এনে দেওয়া জাতির পিতার মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ছিল বলে সম্ভব হয়েছে। সেই সঙ্গে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলা, সবই তিনি করেছেন। এ জাতির ভাগ্য পরিবর্তনে বঙ্গবন্ধু নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার করেছি, এর ২৯ বছর ছিল জাতির দুর্ভাগ্যের। স্বাধীনতার পর পরই মাত্র তিন বছরে একটি স্বল্পোন্নোত দেশ হিসেবে গড়ে তোলেন শেখ মুজিব। আইন, নীতিমালাসহ সবকিছু করে দিয়ে যান। একটি সংবিধান আমাদের উপহার দিয়েছেন। এতে আমাদের প্রতিটি অধিকারের কথা বলা আছে।

আজকের আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, দলের স্বাস্থ্য সম্পাদক ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি প্রমুখ।


আরও খবর



জলঢাকায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জনসহ ১২জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৩৬জন দেখেছেন

Image
(জলঢাকা),নিলফামারীর:নিলফামারী  জলঢাকায় ২১ মে /২০২৪ আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৮জন সহ মোট১২ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।রোববার মনোনয়ন পত্র জমাদানের শেষদিন বিকেল ৪ টা পযর্ন্ত অনলাইনের মাধ্যমে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন ।এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দেন বতর্মান উপজেলা পরিষদ  চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর, উপজেলা আ'লীগের সাবেক সভাপতি আনছার আলী মিন্টু, উপজেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ শামীম ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আজম এলিচ। 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন, উপজেলা শ্রমিক লীগ নেতা শাহিনুর রহমান, ব্যবসায়ী নুর আলম,  মনোয়ার হোসেন লিটন ও তোফায়েলুর রহমান (পায়েল)। এছাড়াও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বতর্মান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগম, অনিতা রানী রায়,রাহেনা বেগম ও মাসুমাবেগম।রিটার্নিং অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ১০৫ টি ভোট  কেন্দ্রে  ২লক্ষ ৮০ হাজার ২৩৯ জন ভোটার তাদের ভোট প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৫৯ জন। মহিলা ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ১৭৯ জন ও একজন ৩য় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন । আগামী ২৩ শে এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই   হবে এবং ৩০ শে এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত‍্যাহারের শেষ দিন। ২ মে প্রতীক বরাদ্দ ও ২১শে 
মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আরও খবর



ব্যবস্হাপকের পারিবারিক কাজে ব্যবহার হচ্ছে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রেষ্টহাইজ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রেষ্ট হাউজটি ব্যবস্হাপকের পারিবারিক কাজে ব্যবহার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে দিয়ে ও প্রতিকার না পাওয়ার ও অভিযোগ পাওয়া যায়।সরে জমিন গিয়ে দেখা যায়, দেশ বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ যাত্রীদের দিন বা রাত্রি যাপন করার জন্য সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ সৈয়দপুর বিমানবন্দর সংলগ্ন প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি দ্বিতল ভিআইপি ভবন নির্মাণ করে। যেখানে রয়েছে, ডাবল বেড এর ৪ টি রুম।খাবারের জন্য বিশাল মাপের ডাইনিং। প্রতিটি শয়নকক্ষে একটি করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র। ড্রয়িং ও ডাইনিং রুমে রয়েছে একই মানের যন্ত্র। খাবার তৈরির জন্য ইলেকট্রিক হিটারও চুলা। কিন্তু এরপরও সেখান থেকে একটি পয়সা ও ইনকাম হয়না সিভিল অ্যাভিয়েশনের।কারন এটি ব্যবস্হাপক নিজ দখলে রেখে পারিবারিক কাজে ব্যবহার করছেন। 

চাকরি হারানোর ভয়ে নাম প্রকাশ করতে না চাওয়া অনেকেই বলেন,ভিআইপি কোন যাত্রী রেষ্ট হাউজটি ভাড়া চাইতে গেলে বলা হয় রেষ্ট হাউজটি খালি নাই।একারনে সেটি ভাড়াও হয়না মাসের পর মাস।ব্যবস্হাপক ওই রেষ্ট হাউজে রাজ হাসও কবুতরের খামার গড়ে তুলেছেন। আর এসব দেখাশোনা করছেন,৩ জন সরকারি কর্মচারী। আর তাদের বেতন দেয়া হয় সরকারের কোষাগার থেকে। রেষ্ট হাউজের এসি ও ইলেকট্রিক খরচ বছরে হয় ১ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল। সংস্কার বাবদ প্রতি বছর ব্যয় ধরা হয়,দেড় থেকে ২ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে প্রতিবছর প্রায় ১৫ লাখ টাকার ও বেশি ব্যয় হচ্ছে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের। কর্তৃপক্ষ সরেজমিন গিয়ে তদন্ত করলেই সব কিছুই দেখতে পাবেন।

এছাড়া বিমানবন্দর ব্যবস্হাপকের বসবাসের যে বাসাটি বরাদ্দ রয়েছে, সেটিতে তিনি বসবাস না করে ১১ ও ১৪ গ্রেডের কর্মচারীদের নামে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যার কারনে সেখান থেকে এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ তেমন একটা ভাড়াও পান না।এমনকি সরকারি টাকায় ক্রয় করা গাড়ি নিজের পরিবারের কাজে ব্যবহার করছেন ব্যবস্হাপক। অথচ তেল খরচ করছেন,সরকারের। এসব বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দিয়ে ও প্রতিকার মেলেনি,বরং হেনস্তা হয়েছেন,অভিযোগ কারিরা। 

তবে বিমানবন্দর ব্যবস্হাপক সুপ্লব কুমার বলেন, রেষ্ট হাউজটি ভাড়া হয়না বলেই সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রাজ হাস ও কবুতরের খামার করা হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য অভিযোগ ভিত্তি হীন বলে মনে করেন তিনি। 

আরও খবর

সাজেকে ড্রাম ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ১০

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




খাগড়াছড়িতে ৫দিনব্যাপী বৈসাবী উৎসবের উদ্বোধন করলেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের পশ্চাদপদ মানুষকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সম্পৃক্ত করতেই পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের সাথে আমাদের পার্বত্য মানুষের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য তুলে ধরতেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা চাই, সকল জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করা।

 শুত্রুবার (৫এপ্রিল) খাগড়াছড়ি সদরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আয়োজিত ৫দিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী বৈসাবী উৎসব ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি এসব কথা বলেন।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপুর সভাপতিত্বে ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড  খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান, ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি জেলার ডিজিএফআই কমান্ডার কর্ণেল আব্দুল্লাহ মো. আরিফ, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, খাগড়াছড়ি বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো. নাজমুল হক,  খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো.শানে আলম, খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক জিতেন চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

 প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন সম্প্রদায় আছেন যারা সংস্কৃতিমনস্ক সৃজনশীল কাজের প্রতি অনুরাগী। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের ফলেই পার্বত্য অঞ্চলের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে।

জানিয়ে তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষ্টি সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও এর ধারা অব্যাহত রাখতেই রাজধানী ঢাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সম্পৃক্ত থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। বিগত সময়গুলোতে আমাদের যে বৈষম্য বিরাজমান ছিল তা দুর করতে চাই। আগামিতে সাহস নিয়ে, শক্তি নিয়ে অদম্য গতিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, সম্প্রীতির বন্ধনে সকলে মিলে পাহাড়ে শান্তিপূণ সহাবস্থান ও সুসম বন্টন নিশ্চিত করবো। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামিতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের উন্নয়ন কাজে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

 পাহাড়ীরা বর্ষবরণ উৎসব পালন করে বিভিন্ন নামে। কেউ বৈসু, কেউ সাংগ্রাই আবার কেউ বিজু। বর্ষবরণ উৎসবকে ত্রিপুরারা বৈসু, মারমারা সাংগ্রাই ও চাকমারা বিজু বলে অভিহিত করে এবং এগুলি বৈসাবি নামে পরিচিত। নতুন বছরের প্রথম দিন বর্ষবরণ উৎসব বৈসাবি পালিত হয় খাগড়াছড়ি, রাংগামাটি ও বান্দরবান জেলায়।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বর্ণিল সাজে সজ্জিত বৈসাবী আনন্দ র‌্যালিতে যোগ দেন। বৈসাবি  বাংলাদেশের  তিন পাহাড়ী জাতিগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব। বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু এই তিন নামের আদ্যাক্ষর নিয়ে বৈসাবি নামের উৎপত্তি। তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করে বাংলা নববর্ষ।

আরও খবর