Logo
আজঃ মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

পুলিশ, লাইভে সাংবাদিকের মাইক্রোফোন কেড়ে নিল (ভিডিও)

প্রকাশিত:রবিবার ১১ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৭২জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক;; জাতীয় সংসদ ভবনের বাইরে দক্ষিণ প্লাজার পাশের রাস্তায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ সদস্যের হয়রানির শিকার হয়েছেন এক টেলিভিশন সাংবাদিক। আজ রোববার লাইভ চলাকালে তার কাছ থেকে মাইক্রোফোন (বুম) কেড়ে নেন ওই পুলিশ সদস্য।

হয়রানির শিকার ওই সাংবাদিকের নাম সাইদ আরমান। তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য ও বেসরকারি নাগরিক টিভির সিনিয়র রিপোর্টার এ ঘটনায় এক বিবৃতিতে ডিআরইউর কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি মুরসালিন নোমানী এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী সাইদ আরমান বলেন, রোববার জাতীয় সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পূর্বঘোষণা অনুযায়ী পদত্যাগপত্র জমা দিতে যান। এ উপলক্ষে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল সংসদের ভেতরে এবং বাইরে থেকে দফায় দফায় লাইভ করে। তিনিও লাইভ করেন।

বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার পর তিনি সংসদ ভবনের বাইরে দক্ষিণ প্লাজার পাশের রাস্তায় দুপুর ২টার সংবাদে লাইভ দেওয়ার সময় একজন পুলিশ সদস্য অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তার মাইক্রোফোন কেড়ে নেয়। এ সময় তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায়।

অন্যদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ডিআরইউর নেতারা বলেন, সাইদ আরমান তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন। লাইভ চলাকালে তার কাছ থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে তাকে হেনস্তা করা হয়েছে। এটা ন্যাক্কারজনক। এটা স্বাধীন ও মুক্ত সাংবাদিকতার অন্তরায়। ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে প্রশাসনকে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তারা।


আরও খবর



"আল্লাহ যেন দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগের তৌফিক দান করেন"

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শবে কদর রজনীতে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) লাইলাতুল কদর উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘লাইলাতুল কদর এক অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত পবিত্র রজনী। সিয়াম সাধনার মাসের এই রাত্রিতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মানবজাতির পথ নির্দেশক পবিত্র আল-কোরআন পৃথিবীতে নাযিল করেন। মহান আল্লাহ কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তা (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে তুমি কি জানো? কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতারা ও রুহ [জিবরাইল (আঃ)] অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিময় সে রাত বিরাজ করে ফজরের আবির্ভাব পর্যন্ত।’ (সূরা আল-কদর, আয়াত ১-৫)

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কদরের রজনীর অপার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনের সূরা আদ-দুখানে বলেছেন নিশ্চয়ই আমি তা (কুরআন) এক মুবারকময় রজনীতে অবতীর্ণ করেছি, নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফয়সালা হয় ৷

মহান আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরের রজনীকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রজনীতে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তার অসীম রহমত, বরকত ও মাগফিরাত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনিতে দোয়া করি মহান আল্লাহ যেন আমাদের সকল প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে মানবকল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার তৌফিক দান করেন।

পবিত্র এই রজনীতে তিনি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।


আরও খবর



জলঢাকায় গুণীজনদের নিয়ে 'বন্ধন' এর আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image
জলঢাকা,নিলফামারী, প্রতিনিধি:নীলফামারীর জলঢাকায় মানবতার সেবায় সামাজিক সংগঠন "বন্ধন" এর  উদ্যোগে গুণীজনকে নিয়ে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার জলঢাকা সরকারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে "বন্ধন"র এই আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জলঢাকা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সেকশন কমান্ডার ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আব্দুল গফফার। বিশেষ অতিথি ছিলেন, থানা পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রহিম।এতে সভাপতিত্ব করেন "বন্ধন" এর সভাপতি শাহজাহান কবির লেলিন।

মানবতার সেবায় নিয়োজিত সামাজিক সংগঠন "বন্ধন" এর সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী হাসান এর সঞ্চালনায়  অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন,তাক্বওয়া চ্যারিটি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কৈমারী সভাপতি শায়েখ আব্দুর রহমান,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক, ৩ নং বালাগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আহম্মেদ হোসেন ভেন্ডার, প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান, বিশিষ্ট ঠিকাদার ও সমাজসেবক গোলাম মোস্তফা সোহাগ, পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি আনিছুর রহমান যাদু, "বন্ধন" এর সাধারণ সম্পাদক  সাংবাদিক আবেদ আলী, সিনিয়র সাংবাদিক মাহাদী হাসান মানিকআজম বাদশা সাবু, এরশাদ আলম ও মশিয়ার রহমান প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, বন্ধন একটি সেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন।এর লক্ষ উদ্দেশ্য সরকারের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্রমুক্ত ও পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী এবং অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো সহ সমাজের ভাল কাজ গুলোতে অংশগ্রহণ করা।কাজের মাধ্যমে "বন্ধন" এগিয়ে যাবে, এটাই সবার প্রত্যাশা। 

আরও খবর



গম চাষে দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছে আত্রাইয়ের কৃষক

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭৯জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি: দেশের উত্তর জনপদের কৃষিপ্রধান জেলা নওগাঁ। খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে উত্তরের শস্যভান্ডার নামেও পরিচিত এ জেলা। এ জেলায় সব ধরনের ফসল ও শস্য উৎপাদন হলেও দেশের মোট উৎপাদিত ধানের সিংহভাগই হয় এ জেলায়। তবে এ জেলার আত্রাই উপজেলায় ধান, ভূট্টাসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ অধিক হলেও বর্তমানে দিন দিন গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষক। ফলে কয়েক বছরে ধীরে ধীরে এ উপজেলায় কমেছে গম চাষ।

যদিও এটা লাভজনক ফসল। তবে কৃষকেরা বলছে উৎপাদন খরচের তুলনায় মুনাফা না পাওয়া এর অন্যতম কারণ। এদিকে কৃষি অধিদপ্তর বলছে, অল্প সময়ে, স্বল্প খরচে ভূট্টার অধিক ফলন ও মুনাফা হওয়ায় গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক এমনটিই মনে করছেন তারা।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানা যায়, গত বছর উপজেলায় ৪০০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হলেও সেটা এবার বেড়ে ৪৫০ হেক্টরে। জানা গেছে, আত্রাই উপজেলায় দিন দিন গমের চাষ ক্রমাগতভাবে কমে যাচ্ছে।

মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী থাকলেও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, এমনকি ফলন কম হওয়ার কারণে গম চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন কৃষকরা। নানাবিধ কারনে এ উপজেলার গম চাষ হুমকির মুখে পড়েছে। বিগত দিনে এ উপজেলায় গম চাষে কৃষকদের ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও বর্তমান সময়ে গম চাষে কৃষকরা অনাগ্রহী। এ উপজেলার কৃষকরা মনে করেন গম চাষের চেয়ে অন্য ফসল চাষ করে তুলনামূলক ভাবে অনেক লাভবান হওয়া যায়। সে জন্য গমের পরিবর্তে অন্য ফসল চাষ করছেন।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক নাইম হোসেন বলেন, আমি বিগতদিন ভ’ট্টা চাষ করতাম এবার কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী গম চাষ করেছি বর্তমানে আমার ফসলের অবস্থা খুব ভালো। আশাকরছি ফলনও ভালো পাবো।

উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক ওয়াজেদ আলী বলেন, আমি সাধারণত ধান ও ভূট্টার আবাদ বেশি পরিমানে করে থাকি। কিন্ত এবার গমের আবাদও করেছি। জমিতে এসে ফসল দেখলে মনটা জুড়িয়ে যায়। আগামী বছরে আমি সরকারি সহযোগিতা পেলে আরো বেশী জমিতে গমের চাষ করবো।

এছাড়া অন্যান্য উপজেলার একাধিক কৃষক বলেন, সরকারী ভাবে আমার সহযোগিতা পেলে ধান চাষের পাশাপাশি গম চাষ করতে পারবো। ধান চাষের উপর কৃষকদের আগ্রহ ও ফলন বৃদ্ধি করতে যেমন বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে একই ভাবে কৃষকদের গম চাষের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করলে গম চাষের প্রতি আগ্রহী হবেন কৃষকরা।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হাসান জনান, এবার গত বছরের তুলনায় আমাদের এলাকায় গমের আবাদ অনেকটা বেশি হয়েছে। আশা করছি গমের বাম্পার ফলন হবে। কৃষকদের যেন কোন প্রকার সমস্যা না হয় তাই কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে আমরা নিয়োমিত কৃষকদের পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে আসছি।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাপশ কুমার রায় জানান, সকল প্রকার ফসল উৎপাদনে আমরা কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছি। যাতে করে কৃষকরা সহজভাবে কৃষি উপকরণ পায়। বিশেষকরে বীজ, সার ও তেল এর জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।

তিনি আরো বলেন, উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে গম চাষ কমে গেছে, প্রদর্শনী পাট করে কিছু কিছু চাষিদের সার ও গমের বীজ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া এ বছরে গম চাষের উপর কৃষকের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি। সরকারি সকল সুযোগ- সুবিধা, কৃষকদের মাঝে প্রদান করা হয়েছে। গম চাষের উপযোগী জমিতে উচ্চ মূল্যের সবজি চাষ ও ভূট্টা হওয়ায় গম চাষ কমে যাওয়ার একটি কারণ।


আরও খবর



জামিন পেলেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে,শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায়।

এর আগে আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন তারা। সাজার বিরুদ্ধে ড. ইউনূস আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন চান তিনি। ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, সকালের দিকে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হন ড. ইউনূসসহ ৪ জন। গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। ওইদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি তুলে ধরে খালাস চেয়ে আপিল করেন তিনি। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। রায় দেয়া বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়। পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩(৫) ও ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তা প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ ও বিধি ১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩(৩) ও ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে ০৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০৭ ধারার অপরাধে ২৫,০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ (পনেরো) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হলো।


আরও খবর



নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৭জন দেখেছেন

Image

নওগাঁ সংবাদদাতা:নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেল এর মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছে। এসময় নিহতদের ৫ বছর বয়সী এক শিশু সন্তানসহ গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুই জন। মর্মান্তিক এ দূর্ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকালে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার নওগাঁ- বগুড়া মহাসড়কের শাহাপুর এলাকায়। নিহত স্বামী-স্ত্রী হলেন, পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী গ্রামের এনামুল হক (৪৯) ও তার স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার (৩২)। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্তানসহ তারা স্বামী-স্ত্রী একটি মোটরসাইকেল যোগে নওগাঁ থেকে বগুড়ার সান্তাহারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌছালে এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে তারা সড়কের উপর ছিটকে পড়েন এবং দূর্ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানিয়রা তাদের আহত সন্তানসহ অপর মোটরসাইকেল আরোহী একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। 

নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  জাহিদুল হক বলেন, মোটরসাইকেল দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে মোটরসাইকেলের আরোহীরা ছিটকে সড়কের উপর পড়েন। প্রাথমিক ভাবে স্থানিয়রা ধারনা করছেন যে, সড়কের উপর পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে দূর্ঘটনা স্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এদূর্ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল তথ্য ও আলামত জব্দ করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেন। এব্যাপারে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর