Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না: ওবায়দুল কাদের মাগুরার মহম্মদপুর ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত শেখ হাসিনা "সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক" যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী আফতাবনগরের গরুর হাটের ইজারার নিয়ে যত তালবাহনা !

পত্নীতলায় সরিষার বাম্পার ফলনের আশা

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৮৬জন দেখেছেন

Image
পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:পত্নীতলায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। সম্প্রতি সময়ে ভোজ্য তেলের মূল্য ও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। সরিষা চাষে সেচ ও সার কম লাগে, ফলে কম খরচ বেশি লাভ হয়। এছাড়াও ফুল ও পাতা ঝড়ে জৈব সার তৈরি করে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। তাই পত্নীতলার অনেক কৃষক'ই সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। আর এবার বাম্পার ফলনের পাশাপাশি দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, জমিতে দু-একটি চাষ দিয়েই সরিষা বীজ বপণ করা যায়। সরিষা আবাদে সেচ, সার ও কীটনাশক কম লাগে। তাই কম খরচে সরিষা উৎপাদন করা সম্ভব। বর্তমানে মাঠগুলোতে সরিষার ফুল থেকে বীজ এসেছে। সরিষা কেটে  কৃষকেরা বোরোধান চাষ করবেন। চলতি মৌসুমে কৃষি অধিদপ্তর থেকে উপজেলায় ৬ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার বেশি পরিমাণ জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে বলে কৃষি অধিদপ্তর জানায়। উপজেলার পত্নীতলা , পাটিচরা ,ঘোষনগর , কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন সহ বেশকিছু এলাকার বিস্তীর্ণ মাঠগুলো ঘুরে দেখা গেছে এবারে সরিষার চাষাবাদ ভালো করেছেন চাষিরা।  কৃষকের মনে বইছে আনন্দের জোয়ার। উপজেলার পাটিচরা ইউপির নুনাপাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেন ও সাইফুল ইসলাম জমিতে সরিষা লাগিয়ে ব্যাপক সাফল্যের  আশা করছেন। তারা জানান, গত বছর থেকে নিজ উদ্যোগে আবাদযোগ্য জমিতে সরিষা চাষ করে প্রতি মৌসুমে অন্যান্য ফসল আবাদের তুলনায় অতিরিক্ত লাভ করে আসছেন। উপজেলার পাটিচরা ইউপির গাহন গ্রামের সাইদুল ইসলাম তিন একর এবং আজাদুল ১ একর এবং পত্নীতলা ইউপির বাজিতপুর গ্রামরে মোস্তফা আলী ১ একর  জমিতে  সরিষা চাষ করেছেন। চলতি মৌসুমে সরিষার ফলন বেশি হওয়ায় এবং বর্তমানে সরিষার বাজার মূল্য তুলনামূলক বেশি হওয়ায় এবারে বেশি লাভের আশা করছেন তারা।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সহিদুল ইসলাম জানান, এ উপজেলার মাটি সরিষা চাষের জন্য উপযোগী। সরিষা চাষ করলে খাবার তেলের চাহিদা  পূরণসহ পাতা ও ফুল পড়ে জৈব সার তৈরি করে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। গতবারের তুলনায় উপজেলায় প্রায় আড়াই'শ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ বেশি হয়েছে। মূলত ভোজ্য তেলের ওপর নির্ভরতা কমাতে কৃষকরা এই বিপ্লব ঘটিয়েছেন। আমরা বহুদিন ধরে কৃষকদের সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করছি। সরিষা চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে ভালো ফলনের লক্ষে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষক পর্যায়ে প্রণোদনা প্রদান, নতুন নতুন উন্নত জাতের বীজ উদ্ভাবনে ফলন বৃদ্ধি, পতিত জমিতে সরিষা চাষ এবং বাজারে সরিষার ভালো মূল্য পাওয়ায় এ চাষে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আশা করছি, প্রত্যাশার চেয়ে লাভবান হবেন কৃষকরা।

আরও খবর



সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আপাতত সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই সরকারের,জানিয়েছেন জাতীয় সংসদে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। সোমবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে পৃথক দুটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

এসময় সম্পূরক প্রশ্নে চাঁদপুর-৫ আসনের রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম ও সংরক্ষিত আসনের এমপি ফরিদা ইয়াসমিন চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে কিনা তা জানতে চান।

রফিকুল ইসলাম তার প্রশ্নে বলেন, সরকারি চাকরিতে যোগদানের যে বয়সসীমা রয়েছে তা অনেক আগে নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে আমাদের দেশের মানুষের আয়ুকাল ৬২ বছর থেকে ৭২ বছরে এসে পৌঁছেছে। এখন এটা অত্যন্ত যৌক্তিক হবে সরকারি চাকরিতে যোগদানের বর্তমান বয়সসীমা শিথিল করে অন্তত ৩৫ বছরের কাছে নিয়ে যান। এটা হলে কর্মসংস্থানের অভাবে আমাদের হতাশাগ্রস্ত তরুণ ও যুবসমাজ প্রতিযোগিতায় এসে সরকারি চাকরিতে ঢুকতে পারবে।

জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, গত ১৫ বছরে সরকার অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চাকরির বয়স ছিল ২৭ বছর, সেখান থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সেটা ৩২ বছর করা হয়েছে। চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়েছে। আমরা সবসময় যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জনবল কাঠামো ও নিয়োগ প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন করে থাকি। যুগের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে আমরা পরিবর্তনও করে থাকি।

বয়স বাড়ানো প্রশ্নে তিনি বলেন, এটি নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। আমরা সবসময় বলে আসছি, ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট যারা তাদের রিক্রুট করতে চাই। এটা সরকারের একটা পলিসি। আমরা বিসিএস-এর মাধ্যমে দেখে থাকি ২২/২৩ বছর বয়স থেকেই তারা বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকেন। তারা ৬/৭ বছর সময় পেয়ে থাকেন। এজন্য তারা যোগদানের যথেষ্ট সময় পাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টি সংসদে জানিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় যুগের প্রয়োজনে নতুন যেটা করলে ভালো হবে সেটা চিন্তা-ভাবনা করে থাকি। তবে আমি মনে করি, এটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। আমরা চাকরির বয়স-আগামীতে বাড়াব কী বাড়াব না, বাড়ালে ভালো হবে কিনা?— এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। এটা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারব।

সংরক্ষিত আসনের ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, চাকরির বয়স ৩৫ বছর করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী একটি আধাসরকারি পত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন। সরকারের এটা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা?

জবাবে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে এ ধরনের একটি পত্র আমরা এরইমধ্যে পেয়েছি। আগেই বলেছি এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরও আলাপ-আলোচনা করব। তবে আপাতত চাকরির প্রবেশের বয়স বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্ত নেই। এটা নিয়ে আরও আলোচনা-পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে দেখব।


আরও খবর



আক্কেলপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া জরাজীর্ণ ঘরেই দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে রেজাউল

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image
আক্কেলপুর(জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়িতেই পরিবারের সদস্য নিয়ে কষ্টে বসবাস করছেন দিনমজুর রেজাউল করিম। গত শুক্রবার দুপুরে পৌর এলাকার গুরকী গ্রামে তার বসতবাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে তার ঘরের টিনের ছাউনি, কিছু আসবাবপত্র পুড়ে যায়। পুড়ে যাওয়া ঘর পুনরায় সংস্কার করা তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ কারনে তিনি আর্থিক সহযোগীতা প্রত্যাশা করেছেন।

রোববার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, দিনমুজর রেজাউলের ঘরের মাটির তালা কয়লায় পরিপূর্ণ হয়ে আছে। টিনের ছাউনি আগুনে পুড়ে ফায়ার সার্ভিসের পানির চাপে ঘরের চারদিকে এলোমেলো পরে রয়েছে। বাড়ির ভিতর ও বাহিরে রাখা আছে আগুনে পুড়ে যাওয়া আসবাবপত্র, টিন ও অন্যান্য তৈজসপত্র। বাড়ির দুটি কক্ষে গাদাগাদি করে রাখা আছে বেঁচে যাওয়া অন্যান্য আসবাবপত্র।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ্য ওই বাড়িতেই পরিবারের দুই মেয়ে, দুই নাতি ও রেজাউল দম্পতির বসবাস। ওই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি দিনমজুর রেজাউল হওয়াই তাদের পক্ষে ওই বাড়িটি মেরামত করা সম্ভব হয়নি। একারণে ঘরের উপরে ছাউনি না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে প্রচন্ড তাপদাহে কষ্ট করে সেখানেই অবস্থান করছেন তারা। যে কোন সময় ঝড় বা বৃষ্টি হলে পরিবারটি পরতে পারে মহা বিপদে। 

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুরে পৌর এলাকার গুরকী গ্রামে দিনমজুর রেজাউলের বাড়িতে গোয়াল ঘরে চুলার কয়লার আগুন থেকে আগুনের সূত্র পাত হয়। মূহুর্তের মধ্যে সাড়া বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে তার বাড়ির টিনের চালা, ঘরের মাটির তালাতে রাখা খরকুটো সহ অন্যান্য কিছু আসবাব পুড়ে যায়। খবর পেয়ে আক্কেলপুর ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনা স্থলে পৌঁছে পৌনে এক ঘন্টা ব্যাপী প্রচেষ্টা চালিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। এ ঘটনায় ওই পরিবারের আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।

দিনমজুর রেজাউল করিম বলেন, এনজিও থেকে কিস্তির টাকা নিয়ে আমার বাড়ির টিনের ছাউনী দিয়েছিলাম। কিস্তি পরিশোধের আগেই আগুনে পুড়ে অনেক ক্ষতি হয়েছে। পোড়া বাড়িতেই প্রচন্ড গরমের মধ্যে পরিবার নিয়ে আছি। বর্তমানে এটা ছাড়া আমার থাকার মতো কোন পথ নাই। আমি অন্যের বাড়িতে কামলা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। এখন আমার অন্যের সহযোগীতা প্রয়োজন।

আক্কেলপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আব্দুল কাদের বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌনে এক ঘন্টা প্রচেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রন করা হয়। গোয়াল ঘরের পাশের চুলার জ¦লন্ত কয়লার আগুন থেকে অগ্নিকান্ড ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।পৌর মেয়র শহীদুল আলম চৌধুরী বলেন, দিনমজুর রেজাউলকে পৌরসভার পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য করা হবে। তার বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

আরও খবর



সদরে আনারুল, মুজিবনগরে মিলু

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image
মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুর:মেহেরপুর-১ আসনের অর্ন্তভুক্ত ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে সদর ও মুজিবনগর উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই নেতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের পাচঁজন নেতা। 

প্রথম ধাপে আজ বুধবার উপজেলা নির্বাচনে মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আমদহ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম ৩০ হাজার ৪১৬ ভোটের ব্যবধানে  জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম শাহীনকে পরাজিত করেন।

মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু আনারস প্রতিক ১৭ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতাকেে এক হাজার ৯৬৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে। রফিকুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ১০০।

এদিকে সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাশেম আলী চশমা প্রতীকে, ভাইস চেয়ারম্যান পদে লতিফুন্নেছা বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

অন্যদিকে মুজিবনগর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে বি.এম জাহিদ হাসান রাজীব টিউবয়েল প্রতীকে তকলিমা খাতুন কলস প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন।

মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৫ টি ভোট কেন্দ্রে ৭টি অস্থায়ী বুথ সহ ২৩৬ টি বুথে একযোগে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোট ভোটার ৮৫ হাজার ২৫৯ জন। এর মধ্যে ৪২ হাজার ৫৩৮ জন পুরুষ এবং ৪২ হাজার ৭২১ জন নারী ভোটার।

আরও খবর



নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলালিংক ও হুয়াওয়ের চুক্তি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৭৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক ও হুয়াওয়ের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিটির লক্ষ্য হলো কৌশলগত পারস্পারিক সহযোগিতা ও নেটওয়ার্ক অবকাঠামো আধুনিকায়নের মাধ্যমে নেটওয়ার্কের মান বৃদ্ধি করা।  

এই চুক্তির ফলে গ্রাহকরা উচ্চমানসম্পন্ন নেটওয়ার্ক সেবার আওতায় আসবেন যা দেশের সেরা মোবাইল ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলালিংকের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে। বাংলালিংক গত চার বছর ধরে দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবাপ্রদানকারী হিসেবে ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড জিতে আসছে। 

চুক্তির অংশ হিসেবে হুয়াওয়ে তাদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও বিশেষ এলগরিদম ব্যবহার করে বাংলালিংকের ফোর-জি নেটওয়ার্ক কভারেজ ও সামগ্রিক সেবার মান বৃদ্ধি করবে। হুয়াওয়ের এই সর্বাধুনিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ফলে বাংলালিংক গ্রাহকরা উন্নত ডিজিটাল অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।

বাংলালিংকের সিইও এরিক অস ও হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়ান প্রেসিডেন্ট  ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সম্প্রতি বাংলালিংক কর্পোরেট অফিসে এ চুক্তি স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংকের চিফ টেকনোলজি এন্ড ইনফরমেশন অফিসার  হুসেইন তুর্কের, বাংলালিংকের চিফ এথিক্স অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স অফিসার মুনিরুজ্জামান শেখ, বাংলালিংকের প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ডিরেক্টর কে এম জাকারিয়া, হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সিবিএঞ্জির সিইও হু ইউ, হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়ার সিটিও মা জিয়ান এবং হুয়াওয়ের একাউন্ট ডিরেক্টর।    

বাংলালিংকের সিইও এরিক অস বলেন, “বাংলাদেশে ডিজিটাল সেবার বিস্তার ঘটানোর লক্ষ্যে  হুয়াওয়ে-এর সাথে আমাদের চলমান যৌথ কার্যক্রমটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই যৌথ কার্যক্রমের উদ্দেশ্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে উন্নত সংযোগ ও বর্ধিত গ্রাহকসেবা প্রদান ও টেকসই শক্তি ব্যবহার করে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা। আমরা বাংলালিংক-এর নেটওয়ার্ক কভারেজ দ্বিগুণ করেছি ও সেবাদানের সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি। কৌশলগত উন্নতির মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নে হুয়াওয়ে-এর সাথে আমাদের চুক্তিটির প্রয়োজনীতা অপরিসীম।” 

হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়ান প্রেসিডেন্ট  ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং বলেন, “বাংলালিংক ইতোমধ্যে বাংলাদেশে সেরা মানের ডিজিটাল অভিজ্ঞতা প্রদানকারী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে, চারবারের ওকলা  স্বীকৃতিই যার প্রমাণ। বাংলাদেশে হুয়াওয়ে গত ২৫ বছর ধরে শীর্ষ আইসিটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের উন্নতিতে অবদান রেখে যাচ্ছে। বাংলালিংক-এর এই অগ্রগতিতে সঙ্গী হতে পেরে আমরা আনন্দিত। গ্রাহকদের উন্নত অভিজ্ঞতা দিতে আমরা বাংলালিংক-এর সাথে কাজ করে যাব।  এই কৌশলগত অংশিদারীত্বের মাধ্যমে ও উন্নতি প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা গ্রাহকদের উন্নত ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পারবো।”    

গ্রাহকদের উন্নত মানের উদ্ভাবনী সেবা দিতে বাংলালিংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হুয়াওয়ের সাথে এই যৌথ উদ্যোগ শক্তিশালী সংযোগ, সেরা মানের সেবা ও দ্রুতগতির ইন্টারনেটের সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নেরই প্রচেষ্টা।


আরও খবর



বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মনীষা আব্রাহাম

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৪০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে শেহজাদ মুনীমের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মনীষা আব্রাহাম, যা আগামী ০১ জুলাই ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে। বিএটি বাংলাদেশের ১১৪ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম নারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক হতে যাচ্ছেন তিনি। এফএমসিজি (ফাস্ট-মুভিং কনজ্যুমার গুডস) ও তামাক সহ বিভিন্ন খাতে বিপণন ও সাধারণ ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৩০ বছরের বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে মনীষার।

মনীষা গত বছরের মার্চ থেকে বিএটি বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদে একজন অ-নির্বাহী পরিচালক (নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিএটি গ্রুপের অংশ সিলন টোব্যাকো কোম্পানি পিএলসি থেকে বিএটি বাংলাদেশে যোগ দিচ্ছেন। সিলন টোব্যাকো কোম্পানিতে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

কর্মজীবনে তিনি এশিয়া প্যাসিফিক, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের একাধিক দেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৯৫ সালে আবুধাবিতে কর্মজীবন শুরু করার আগে মনীষা ভারতের জ্যোতি নিবাস কলেজ থেকে বি.কম ও বিরলা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে মার্কেটিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স বিষয়ে এমবিএ সম্পন্ন করেন।

এক বার্তায় নতুন এই দায়িত্বের বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মনীষা বলেন, “১১৪ বছর ধরে এই অঞ্চলে কাজ করার ক্ষেত্রে সফলতা ও ইতিবাচক প্রভাবের সমৃদ্ধ পরম্পরা রয়েছে এমন একটি প্রতিষ্ঠান (বিএটি বাংলাদেশ) নেতৃত্বের জন্য আমার ওপর আস্থা রাখায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

বিএটি বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির যাত্রা এগিয়ে নিতে ও সর্বোচ্চ সততার সাথে প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা বজায় রাখতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ করদাতা ও সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অংশীদার হিসেবে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। আমার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সকলের জন্য একটি সম্ভাবনাময় আগামী নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে আশাবাদী আমি।”

মনীষা আব্রাহাম শেহজাদ মুনীমের স্থলাভিষিক্ত হবেন, যিনি ব্যবসায়িক সফলতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে বিএটি বাংলাদেশে একটি দৃঢ় পরম্পরা তৈরি করেছেন। শেহজাদ মুনিম বিএটি বাংলাদেশের একজন টেরিটরি অফিসার হিসেবে ১৯৯৭ সালে যোগদান করেন এবং ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম বাংলাদেশি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। অবিচল নেতৃত্বের মাধ্যমে শেহজাদ কেবল তার প্রতিষ্ঠানের মানুষদেরই অনুপ্রাণিত করেননি, একইসাথে দেশের করপোরেট খাতের বাকিদের মধ্যেও স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার বুনন করেছেন। মনীষা আগামী ০১ জুলাই থেকে বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন। অসাধারণ জ্ঞান ও দক্ষতার পাশাপাশি তার নেতৃত্ব গুণাবলী প্রতিষ্ঠানের সাফল্য ও দেশের প্রবৃদ্ধি অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।


আরও খবর