Logo
আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম
রাফাহতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২২ ফিলিস্তিনি নিহত আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ মারা গেছেন ইন্দোনেশিয়া ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল টানা ৭২ ঘণ্টা ১৫০ উপজেলায় মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৭ শতাংশে নেমে আসবে: সংসদে অর্থ প্রতিমন্ত্রী জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে নুরুন্নবী হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন মধুপুরে কৃষকের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মে‌শিন বিতরণ ‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালন করলো এনার্জিপ্যাক উপজেলা নির্বাচনে সৎ যোগ্য প্রার্থীদের জনগন বেছে নেবে: সাকিব আল হাসান এমপি মাগুরায় তীব্র তাপদাহে ঝরে পড়ছে লিচুর গুটি ১শ' কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা কৃষকদের

পত্নীতলায় মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image
পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:পত্নীতলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। 

বুধবার দিবসের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১মিনিটে উপজেলা প্রসাশন সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ, পত্নীতলা থানা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারের বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া মুনাজাত করা হয়।

সকালে শহীদদের স্মরণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ভাবে উত্তলন, শিশু কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মুনাজাত ও প্রার্থনা, হাসপাতালে উন্নত খাবার পরিবেশন, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ সহ নানা কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।

বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টুকটুক তালুকদারের সভাপত্বিতে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবির, কৃষি অফিসার শহীদুল ইসলাম, পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন, সমাজ সেবা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শহিদুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোকলেসুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এটিএম জিল্লুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রল্লাদ কুমার কুন্ড, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ রাহাদ সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ, রাজনৈতিক ও সমাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক মন্ডলী, সুধিজন, সাংবাদিকবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ প্রমূখ। 

এর আগে সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তলন করে বঙ্গবন্ধুর মোরালে পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে দোয়া মুনাজাত ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আরও খবর



আমরা আইন শৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে চাই-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সরকারের আইন-শৃঙ্খলা অনুসরণ করেই পরিচালিত হয়ে আসছে। তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই পার্বত্য অঞ্চল বিশেষ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তির ফলস্বরূপ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়েছে। এ অঞ্চলের সকল সংস্থাগুলো আইন শৃঙ্খলার মাধ্যমেই পরিচালিত হয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আইন-শৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে। আমরা আইন শৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে পারলেই আমাদের স্বার্থকতা বাস্তবায়ন হবে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষ এনেক্স ভবনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২য় সভায় পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

বৈঠক শেষে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের অদৃশ্য শক্তি বলে কোন কথা নেই কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিংএর বিষয়টি একনেক সভায় উপস্থাপন করা আছে, পাশ হলেই আগামী অর্থ বছরে কাজ শুরু হবে। পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি শৃঙ্খলা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। সম্মিলিতভাবে সকলেরই এতে অংশগ্রহণ থাকতে হয়। তিনি বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সকল জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়, সকল গোষ্ঠী সহাবস্থানের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের মুল স্রোতধারার সাথে আমাদের এক হয়ে এগুতে হবে। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চল শুধু নয়, পুরো বাংলাদেশকে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখানে জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায় আলাদা কিছুই থাকবে না। বাংলাদেশের উন্নয়নে সকল সম্প্রদায়কে একসাথে কাজ করতে হবে। 

পার্বত্য অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, আগামী দিনগুলোতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার আরো বেশী তরান্বিত করা হবে। 

সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, দীর্ঘ বছর পর সাজেকের রাস্তাঘাট হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা না থাকলে দুর্গম অঞ্চল সাজেকের মতো জায়গায় এতো তরিৎ গতিতে রাস্তাঘাট নির্মাণ করা ও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া এবং সীমান্ত বর্ডার রোড তৈরী করা চারর্টিখানি কথা না। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা থাকলে এই রাস্তা আরো দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হবে।

বৈঠক শেষে পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সরেজমিনের পরিদর্শন করেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী  বীর_বাহাদুর_উশৈসিং_এমপি’র সভাপতিত্বে  পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী  কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি  দীপংকর তালুকদার এমপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি  মোঃ মঈন উদ্দিন, যশোর-১ আসনের এমপি  শেখ আফিল উদ্দিন,  সংরক্ষিত মহিলা আসন-৪৮ এমপি  জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যাঁ, উপজাতীয় শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান  সুদত্ত চাকমা (সিনিয়র সচিব), পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, প্রাথমিক ও গণশিক্ষার মহাপরিচালক  শাহ রেজওয়ান হায়াত (অতিরিক্ত সচিব), পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব  আমিনুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব), পার্বত্য মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটির সচিব  অমলেন্দু সিংহ (যুগ্ন সচিব), পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান  হারুন-অর_রশিদ (যুগ্ন সচিব), তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের সিইও বৃন্দ, আঞ্চলিক পরিষেদের প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্বরত উপসচিব এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের কর্মকর্তাবৃন্দ।
উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



কক্সবাজারে পরিবেশ ও প্রকৃতি সুরক্ষায় লিফলেট বিতরণ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image
এমরান আলী রানা সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি:বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে পরিবেশ ও প্রকৃতি সুরক্ষায় জনসচেতনতার লক্ষে লিফলেট বিতরণ করেছেন পরিবেশ ও প্রকৃতি আন্দোলন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় কক্সবাজারের কলাতলী, হিমছড়ি, ইনানী বিচে এসব বিতরণ করেন পরিবেশ ও প্রকৃতি আন্দোলনের সভাপতি মোল্লা মো. এমরান আলী রানা।

লিফলেট বিতরণকালে পরিবেশ ও প্রকৃতি আন্দোলন  ও সিংড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোল্লা মোঃ এমরান আলী রানা বলেন, পরিবেশ ও প্রকৃতি সুরক্ষায় আমাদের সচেতন হতে হবে। একটি গাছ কাটার আগে অন্তত ৫ থেকে ১০টি সমকক্ষ গাছ লাগাতে হবে। প্রকৃতিতে আজ বিরুপ প্রভাব পড়েছে। চলছে তাপদাহে প্রচন্ড গরম আবাহাওয়া  আগের মত ব্যাঙের ডাক, ঝিঝি পোকার ডাক শোনা যায়না। তার মানে প্রকৃতি থেকে এসব প্রাণী আজ হারিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে প্রকৃতি তার ভারসাম্য রক্ষা করতে পারছে না। ভেকু দিয়ে মাটি কেটে পুকুর খনন বন্ধ করতে হবে। কারণ একটা সময়ে হয়তো কৃষি জমির পরিমাণ কমে গেলে দেশে ধানের উৎপাদন কমে যাবে তখন বিদেশ থেকে ধান চাল আমদানি করতে হবে। ধুলাবালি থেকে নিজেকে সুরক্ষায় মাস্ক ব্যবহারের অভ্যাস করতে হবে। নিজের জন্য এবং আপনার আমার সন্তানদের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্যই পরিবেশ ও প্রকৃতি সুরক্ষায় কাজ করে যেতে হবে।

আরও খবর



আত্রাইয়ে তীব্র গরম,দুর্ভোগে শ্রমজীবী মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:বৈশাখের শুরুর দিন থেকেই নওগাঁয় আত্রাইয়ে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। সকাল থেকে সূর্য যেন আগুন ছড়াচ্ছে চারদিকে।বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের তাপ। তাপমাত্রা বাড়ায় ভোগান্তি বেড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের।বিশেষ করে গাড়ি চালক ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষদের কষ্ট বেড়েছে অনেক বেশি।

তীব্র গরমে ছন্দপতন ঘটেছে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়। জীবিকার তাগিদে প্রতিকূল পরিবেশ উপেক্ষা করেও তারা ঘর থেকে বাইরে বেরোচ্ছেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘসময় কাজ করতে না পারায় এবং রাস্তায় মানুষের আনাগোনা কম থাকায় ভাটা পড়েছে তাদের আয়ে।

শনিবার উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সূর্যের প্রচন্ড তাপে নাজেহাল অবস্থায় রিকশাচালক, পথচারী, হকার, ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ খেটে খাওয়া মানুষেরা বাইরে আছেন। রোদ থেকে বাঁচতে মাথায় গামছা ও কেউবা আবার মাথায় মাথাল ব্যবহার করছেন। আবার গরমে হাঁপিয়ে ওঠা অনেকে ক্লান্তি দূর করতে সড়কের পাশে ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে শরবত পান করে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন।

উপজেলার তারাটিয়া ছোটডাঙ্গা গ্রামের সিএনজি চালক রায়হান আলী বলেন, সকাল ১১টার পর থেকে রোদের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এ সময় গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয় আমাদের। অন্যদিকে, আগের মতো ভাড়া পাওয়া যায় না।

আবার বেশি সময় ধরে রিকশা চালানোও যায় না। অল্পতেই পানি পিপাসা পায়। এত কষ্টের মধ্যেও আমাদের জীবন বাঁচানোর তাগিদে রাস্তায় বের হতে হয়। কষ্ট পাচ্ছে প্রাণিকুল। এদিকে কৃষকদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে মাঠের কার্যক্রম।উপজেলার বজ্রপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, কাঠ ফাটা রোদ মাথায় নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে কৃষকদের। খুব বেশি সময় মাঠে থাকা যায় না। অন্যদিকে শুকিয়ে যাচ্ছে নওগাঁর নদ-নদীর পানি। ফলে চাষাবাদে ব্যবহারের জন্য পানি পেতে কষ্ট পেতে হবে চাষিদের। সব মিলিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার জনজীবন।

শাহাগোলা রেলওয়ে স্টেশন এলাকার ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী মতিউর রহমান তিনি বলেন, আগে এরকম গরম দেখিনি। পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হয়েছি। একটু হাঁটার পরপরই বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। গরমে দৈনিক ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় কমে গেছে।

শনিবার নওগাঁয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, চলমান তাপপ্রবাহ আরও কিছুদিন পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ঈদ উপহার নিয়ে হাজির হলেন খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা থানার পশ্চিম পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প ও আশপাশের এলাকার শতাধিক গরীব অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।

সোমবার ( ৮ এপ্রিল) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)  মেরুং জ্বরজুরি পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে উপস্থিত থেকে অসহায় দের মাঝে এ ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।

‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন-গৃহহীন ছিন্নমূল মানুষকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের আওতায় এনেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা ঘোষণা দিয়েছেন, ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না।’ বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন এবং পর্যায়ক্রমে সেগুলি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)  মেরুং জ্বরজুরি পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে অসহায় গরীব ও দুস্থ পরিবারের জন্য ঈদ উপহার সামগ্রী নিয়ে হাজির  হয়েছেন। ঈদ উপহার নিতে আসা মানুষের চোখে মুখে আনন্দের ছোঁয়া দেখা যায়। উপহার নিতে ছোট বড় বৃদ্ধা সকল বয়সী লোকের সমাগম ঘটে।

ঈদ উপহার নিতে আসা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা শাহেদা বেগম বলেন, আগে কোনো স্যার এভাবে আমাদের কথা ভাবেনি। এই স্যার আমাদের শীতের সময় কম্বল দিয়েছেন। আজ আবার ঈদ উপহার দিয়েছেন। সত্যিই আমরা অনেক আনন্দিত। কারণ এভাবে কেউ কখনো আমাদের মূল্যায়ন করেন না। আমরা পুলিশ সুপার মহোদয়ের জন্য দোয়া করি যাতে আল্লাহ উনার মঙ্গল করেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, আমি একজন দিনমজুর। আমার বয়স ৬২ বছর। আমি বৃদ্ধ হয়ে গেছি। এখন তেমন কাজ পাই না। এই বছর ঈদ উপলক্ষ্যে কিছু কিনতে পারি নাই। পুলিশ সুপার মহোদয় আমাদের জন্য ঈদ উপহার সামগ্রী নিয়ে এসে আমরা ভালভাবে ঈদ পালন করতে পারবো।আল্লাহপাক যেন পুলিশ সুপার স্যারের মঙ্গল করেন।

এ সময় খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড আপস)  মো. জসীম উদ্দিন পিপিএম, খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  মো. তফিকুল আলম, দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  মো. নূরুল হক, মেরুং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নজরুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য মো. আবদুর রহমান সহ উপকার ভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন, খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সবসময় মানবতার সেবায় নিয়জিত। পবিত্র ইদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করতেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অসহায় গরীব ও দুস্থ পরিবারের জন্য আমাদের এ আয়োজন। ভবিষ্যতেও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এবং সকল বাহিনীর সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সকল মানবিক কাজে অংশগ্রহণ করবে।জানিয়ে তিনি  আরো বলেন, খাগড়াছড়ি জেলায় মাদকমুক্ত সৃজনশীল তারুণ্য তৈরির মাধ্যমে সবুজ ও পরিচ্ছন্ন স্বপ্নের আগামী নির্মাণ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। 

আরও খবর



জামিন পেলেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৫১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে,শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায়।

এর আগে আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন তারা। সাজার বিরুদ্ধে ড. ইউনূস আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন চান তিনি। ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, সকালের দিকে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হন ড. ইউনূসসহ ৪ জন। গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। ওইদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি তুলে ধরে খালাস চেয়ে আপিল করেন তিনি। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। রায় দেয়া বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়। পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩(৫) ও ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তা প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ ও বিধি ১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩(৩) ও ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে ০৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০৭ ধারার অপরাধে ২৫,০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ (পনেরো) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হলো।


আরও খবর