Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছে কৃষক গোলাম মোস্তফা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৩৫জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি;প্রথমবারের মতো দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হাকিমপুর উপজেলায় রঙিন ফুলকপি চাষ করে সাড়া ফেলেছেন গোলম মোস্তফা নামের এক কৃষক। কম খরচে অধিক লাভ ও পুষ্টিগুন সম্পন্ন হওয়ায় আগ্রহ দেখাচ্ছে অন্যান্য কৃষকেরাও। কৃষি বিভাগ বলছেন, পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ নতুন জাতের এ ফুলকপির আবাদ বাড়াতে সবধরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামীতে ব্যপক হারে এই বেগুনি রঙিন কপির আবাদ ছড়িয়ে দিতে মাঠ প্রদর্শণীসহ নানা ভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার খট্রামাধবপাড়া ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামে উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ২০ শতক জমিতে রঙিন প্রজাতির ফুলকপি ভ্যালেনটিনা চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেন উপজেলার কৃষক গোলাম মোস্তফা। এরপর থেকেই একজন কৃষি ইউনিয়ন ব্লক সুপার ভাইজারের সার্বক্ষণিক তত্বাবধানে তিনি এই রঙিন ফুলকপির চাষাবাদ করেন। নতুন জাতের এই দৃষ্টিনন্দন ফুলকপি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়রা। নতুন জাতের এই ফুলকপি আবাদ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তারা। এ ফুলকপি বাজারজাত শুরু হওয়ার পর থেকেই অনেকে আসছেন কিনতে। সেই সাথে এই ফুলকপিতে

এন্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি বেশি পরিমাণে থাকায় ক্যান্সার বিরোধী। তাই এ সবজির আবাদ বাড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সচেতনাতার পাশাপাশি দিয়ে যাচ্ছেন প্রণোদণা। আগামীতে একটি পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়নে এই রঙিন ফুলকপি চাষাবাদ বৃদ্ধি করার লক্ষে উপজেলা কৃষি অফিসা সবধরণের সহযোগিতা দিয়ে যাবে। রঙিন ফুলকপি চাষী গোলাম মোস্তফা বলেন,উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্য বীজ সার দিয়েছে। ২০ শতক জমিতে প্রতি পিস ফুলকপি উৎপাদনে খরচে হয়েছে ১০ টাকা। এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে।

হাকিমপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার অমিত রায় বলেন,এ উপজেলায় প্রদর্শণী খামারের মাধ্যমে প্রথম বারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ করা হচ্ছে। রঙিন হওয়ায় বাজারে এর দামও যেমন রয়েছে। বাজারে এর চাহিদায়ও বেশি। এ উপজেলায় রঙিন ফুলকপি চাষ বৃদ্ধি ও কৃষকদের উৎসাহীৎ করার লক্ষে উপজেলা প্রশাসন থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন,দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রথম বারের মতো হাকিমপুর উপজেলার খট্টামাধবপাড়া এলাকার বলরামপুর গ্রামে বেগুনি রঙিন ফুলকপির একটি প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে।এই ফুলকপিতে এন্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি বেশি পরিমাণে থাকায় ক্যান্সার বিরোধী।

অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ, রঙিন বিদেশি সবজি,বাজারে এর চাহিদা বেশি। চাষাবাদে কম পরিমাণ কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। এই ফুলকপির আবাদ সম্প্রসারণ করা গেলে কৃষকরা লাভবান হবে। সাধারণ ভোক্তার নিটক পুষ্টি পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি সহজলভ্য হবে ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।


আরও খবর

পাঁকা আমের কাঁচা আটি

শনিবার ০৪ মে ২০২৪




রূপগঞ্জে ডাকাতি মালামালসহ ১জন ডাকাত গ্রেফতার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু,রুপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ- নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের কিং-ফিশার ডগইয়ার্ডের পাশ থেকে ডাকাতি করা ড্রেজারের মালামাল ও দেশীয় অস্ত্রসহ ওমর ফারুক নামের এক ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে রুপগঞ্জ ইছাপুরা নৌ পুলিশ। আজ ভোরে উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের দড়িকান্দী এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে কিং ফিসার ডকইয়ার্ড পাশ থেকে ইছাপুরা নৌ পুলিশের ইনচার্জ মোস্তফা কামাল অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। 

এসময় ২ টি নৌকা, ৩টি রাম দা, ৩টি কাটার, সাপল, ছুরি, লোহার হকি, হেক্সো ব্লেট, হাতুরি, হামারসহ ডাকাতি করা ড্রেজারের মালামাল জব্দ করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে  ইছাপুরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জানান, আটককৃত ডাকাত মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানার বউ বাজার এলাকার মেহেদী হাসানের ছেলে ওমর ফারুক এবং সে বর্তমানে রুপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার বরাব ছাপড়া মসজিদ এলাকায় ভাড়া থাকেন বলে জানা গেছে, ও আটকৃত ডাকাতের সাথে থাকা আরো ৩জন ডাকাত দলের সদস্য ছিলো তারা পালিয়ে যায়।  

তারা নোয়াপাড়া পিনীষ ঘাট এলাকার মনিরের ছোট ভাই রমজান, তরাবো হাটিপাড়া এলাকার রাব্বি ও যাত্রামুড়া এলাকার মোকতার হোসেন। পরে পলাশ থানার একটি ড্রেজার থেকে ডাকাতি হওয়া মালামাল ও ডাকাতের কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রসহ তাকে পলাশ থানায় হস্তান্তর করা হয়।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



আমরা আইন শৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে চাই-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সরকারের আইন-শৃঙ্খলা অনুসরণ করেই পরিচালিত হয়ে আসছে। তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই পার্বত্য অঞ্চল বিশেষ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তির ফলস্বরূপ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়েছে। এ অঞ্চলের সকল সংস্থাগুলো আইন শৃঙ্খলার মাধ্যমেই পরিচালিত হয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আইন-শৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে। আমরা আইন শৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে পারলেই আমাদের স্বার্থকতা বাস্তবায়ন হবে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষ এনেক্স ভবনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২য় সভায় পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

বৈঠক শেষে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের অদৃশ্য শক্তি বলে কোন কথা নেই কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিংএর বিষয়টি একনেক সভায় উপস্থাপন করা আছে, পাশ হলেই আগামী অর্থ বছরে কাজ শুরু হবে। পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি শৃঙ্খলা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। সম্মিলিতভাবে সকলেরই এতে অংশগ্রহণ থাকতে হয়। তিনি বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সকল জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়, সকল গোষ্ঠী সহাবস্থানের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের মুল স্রোতধারার সাথে আমাদের এক হয়ে এগুতে হবে। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চল শুধু নয়, পুরো বাংলাদেশকে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখানে জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায় আলাদা কিছুই থাকবে না। বাংলাদেশের উন্নয়নে সকল সম্প্রদায়কে একসাথে কাজ করতে হবে। 

পার্বত্য অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, আগামী দিনগুলোতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার আরো বেশী তরান্বিত করা হবে। 

সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, দীর্ঘ বছর পর সাজেকের রাস্তাঘাট হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা না থাকলে দুর্গম অঞ্চল সাজেকের মতো জায়গায় এতো তরিৎ গতিতে রাস্তাঘাট নির্মাণ করা ও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া এবং সীমান্ত বর্ডার রোড তৈরী করা চারর্টিখানি কথা না। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা থাকলে এই রাস্তা আরো দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হবে।

বৈঠক শেষে পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সরেজমিনের পরিদর্শন করেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী  বীর_বাহাদুর_উশৈসিং_এমপি’র সভাপতিত্বে  পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী  কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি  দীপংকর তালুকদার এমপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি  মোঃ মঈন উদ্দিন, যশোর-১ আসনের এমপি  শেখ আফিল উদ্দিন,  সংরক্ষিত মহিলা আসন-৪৮ এমপি  জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যাঁ, উপজাতীয় শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান  সুদত্ত চাকমা (সিনিয়র সচিব), পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, প্রাথমিক ও গণশিক্ষার মহাপরিচালক  শাহ রেজওয়ান হায়াত (অতিরিক্ত সচিব), পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব  আমিনুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব), পার্বত্য মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটির সচিব  অমলেন্দু সিংহ (যুগ্ন সচিব), পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান  হারুন-অর_রশিদ (যুগ্ন সচিব), তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের সিইও বৃন্দ, আঞ্চলিক পরিষেদের প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্বরত উপসচিব এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের কর্মকর্তাবৃন্দ।
উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



রেলওয়ের জমি,কোয়ার্টার ওপানির পাম্প দখল অব্যাহত,রেলকর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে রেলওয়ের জমি, কোয়ার্টার ও পনির পাম্প রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তার ঘুষ বাণিজ্যের কারণে রেলওয়ের কোয়ার্টার ও ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে পানির পাম্প ও দখল করে সেখানে স্হাপনা নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে।  এই দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী রেলওয়ে জমিতে স্থাপনাকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে থাকেন বলে দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েও মিলছে না কোনো প্রতিকার। এতে সৈয়দপুর রেলবিভাগ হারাচ্ছে পুরোনো দিনের ঐতিহ্য। যার ফলে প্রায় প্রকাশ্যেই চলছে কোয়ার্টারসহ কোয়ার্টার ভেঙে ঘরবাড়ি নির্মাণ,ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ ও পানির পাম্প দখল। গত ৫০ বছরে সৈয়দপুর রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে প্রায় সারে ৪ শত একর সম্পত্তি ও ১২৩৮কোয়ার্টার।

পার্বতীপুর ৭ নং রেলওয়ের কাছারি ফিল্ড কানুনগো সাজ্জাদ হোসেন দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তৎকালীন রেল কর্তৃপক্ষ এ শহরে রেলকে ঢেলে সাজাতে প্রায় ৮৫০ একর ভূসম্পত্তি অ্যাকুয়ার করে নেন। ১৮৭০ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত রেলওয়ের এসব অ্যাকুয়ারকৃত জমি সুরক্ষিত ছিল। এরপর থেকে শুরু হয় রেলওয়ের জমি দখল বিক্রয়। যেসব জমি বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে খতিয়ান ভুক্ত বা দখল হয়েছে,সেগুলির রেকর্ড সংশোধনী মামলা ও দখলদার উচ্ছেদের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। 

রেলওয়ে কারিগরি পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান জানান,  সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কজন কর্মকর্তার ঢিলামি ও সেলামী নেয়ার কারণে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় সারে ৪ শত একর জমি ও প্রায় ১২৩৮ কোয়ার্টার বেদখলে চলে যায়। দখলবাজরা ওই কজন রেল কর্মকর্তা রেলের জমি দখল বিক্রয় কারিদের সেলামি নিয়ে লাখ লাখ টাকার মালিক হলেও রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে ৪২৭ একর সম্পত্তি ।

শহরের মুন্সিপাড়ার ইসলামিয়া স্কুল সংলগ্ন তন্ময় নামের এক ব্যাক্তি বলেন,ওই এলাকার ফটিক নামের এক ব্যক্তি রেলওয়ের কোয়ার্টার ভেঙে ও পতিত জমিতে একাধিক স্থাপনা নির্মাণ করেছেন এবং তার ছত্র ছায়ায় আশপাশ এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে। এসব বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পকেট ভারী হওয়ায় প্রতিকার বা লাভবান হয়নি অভিযোগকারীসহ রেল বিভাগ। 

জানতে চাইলে ফটিক নামের ব্যাক্তিটি বলেন,মুন্সিপাড়ার কেউই কোয়ার্টার ভেংগে ঘরবাড়ি বানাতে রেলওয়ের লাইসেন্স বা অনুমতি নেয়নি। সবাই যেভাবে ঘরবাড়ি বানাচ্ছেন,আমিও সেভাবেই নির্মান করছি।

 এ ছাড়া শহরের রেললাইনের দুপাশ, ড্র্রেনসংলগ্ন এলাকা ও অফিসার্স কলোনি, রসুলপুর হাওয়াদ পাড়াও গার্ডপাড়া এলাকায় রেলওয়ের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্প দখল করে সেখানে নির্মান হচ্ছে পাকা দোকানপাট। 

স্থানীয়রা বলেন , সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হলেও রেল বিভাগ যেমন লোকসান ভুগছেন তেমনি অভিযোগকারীরা দখলদারদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। তারা বলেন, বাস্তুহারার নামে সৈয়দপুরের কোটি কোটি টাকার মালিকরাও রেলের জমি দখল করে বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণ করেছেন। বাস্তুহারাদের বাদ দিয়ে রেলওয়ের ঐতিহ্য রক্ষায় দখল হওয়া সব জমি উদ্ধার করে অপ্রয়োজনীয় সব জমি বিক্রি করা হলে সে টাকা দিয়ে পদ্মা সেতুর মতো সেতু নির্মাণের অর্ধেক অর্থ জোগান দেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তারা।

শহরের মিস্ত্রি পাড়া মোড়ের বাবু নামের এক ব্যাক্তি বলেন, সেখানকার পানির পাম্প সংলগ্ন কিছু জমি বরাদ্দের জন্য শহীদ সন্তান শেখ জামিল ও নিয়াজ আহমেদ বাবলু পাকশি রেলবিভাগে আবেদন করেন। কিন্ত সেখানে পানির পাম্প বরাদ্দ দেয়া হয় না বলে জানানো হয়। এর পরপরই ঈদের আগে রমজান মাসে সরকারি বেসরকারি সব অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যায়। ছুটি শেষে অফিস খোলার আগেই বাবলু নামের ওই যুবদল নেতা বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্পটি দখল নিয়ে স্হাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে দেন। তিনি আরো বলেন,শেখ জামিল হলেন শহীদ সন্তান। কিন্তু এরপরেও তাঁকে বরাদ্দ না দেয়ায় অভিযোগ দেয়া হয় স্হানীয় উপসহকারী প্রকৌশলীর দপ্তরে। কিন্তু ওই দপ্তরের উপসহকারী আবাসিক প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম  ঘটনাস্থল প্রদর্শন করার পরও কার্যকর কোন পদক্ষেপই নেননি। একজন যুবদল নেতা কিভাবে রেলওয়ের পানির পাম্প ও জমি বরাদ্দ পায়, এবং তার বিরুদ্ধে কিসের স্বার্থে ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছে না সেটি ভাবার বিষয়। বিষয় টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেয়ার জোড় দাবী জানান তিনি। 

বিষয়টি নিয়ে সৈয়দপুর রেলওেয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যাই, সেখানে নিয়াজ আহমেদ প্রথমে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে রাজস্ব প্রদানের কাগজ দেখান, এটাকেই তিনি লাইসেন্স মনে করেন। পরে তার বরাদ্দের কাগজ চাইলে  স্হাপনা নির্মাণের একটি বানিজ্যিক লাইসেন্স প্রদর্শন করেন। তিনি আরো বলেন, যেহেতু জায়গাটি রেলওেয়ের এবং সেখানে পানির পাম্প বিদ্যমান,সেহেতু যদি লাইসেন্স দেয়া হয়, তাহলে সেটি বাতিল করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ষ্টেট বিভাগ পাকশির বিভাগীয় প্রধানের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত লাইসেন্স বাতিল করে পাম্প টি রেলওয়ের নিজ দখলে নিতে পারবো না, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষান্ত হবেন না।  একই সাথে বেদখল হয়ে যাওয়া ভুসম্পত্তি দখলে নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। 


আরও খবর

পাঁকা আমের কাঁচা আটি

শনিবার ০৪ মে ২০২৪




বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে শ্রমিক লীগের মে দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি;দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গতকাল পহেলা মে সকাল ১১টায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ রেজি নং-১৯০২ এর সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিব হাসান এর নেতৃত্বে এক বিশাল র‌্যালি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বের হয়ে কয়লা খনি এলাকা প্রদক্ষিণ করে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে তাপিবদ্যুৎ কেন্দ্রের হলরুমে এক আলোচনা সভা সিবি এর সভাপতি  শহিদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সিবি এর সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিব হাসান। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বড়পুকুরিয় কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ আমজাদ হোসেন।

মে দিবস এর র‌্যালিতে বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের প্রায় ৫শতাধিক শ্রমিক ও সংগঠনের নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। এ সময় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। আয়োজনে ছিলেন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ।


আরও খবর

পাঁকা আমের কাঁচা আটি

শনিবার ০৪ মে ২০২৪




প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রজন্মকে দক্ষতা ও যোগ্যতায় স্মার্ট মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের এ প্রজন্মকে দক্ষতা ও যোগ্যতায় স্মার্ট মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ, বিজ্ঞান মেলা এবং ৮ম জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রী ও সুধিজনদের উদ্দেশে এ কথা বলেন।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান-এর সভাপতিত্বে  খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, পিপিএম(বার) খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. সরাফত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, সারা দুনিয়া এখন প্রযুক্তি নির্ভর। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মই আমাদের হাতিয়ার, আমাদের সম্পদ। বিজ্ঞানমনস্ক এ প্রজন্মই আগামিতে দেশ পরিচালনা করবে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে আগামি প্রজন্মকে নিবেদিত হতে হবে। দেশে নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, নিজেকে একজন যোগ্য, দক্ষ ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, যার যার জায়গা থেকে প্রত্যেকের কর্মদক্ষতা ও দেশপ্রেমই গড়ে তুলতে পারে স্মার্ট বাংলাদেশ। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য ইংরেজি ভাষা শিখার পাশাপাশি চীনা, জাপানি, কোরিয়ান, ফ্রান্স, জার্মানি ভাষা শেখার তাগিদা দেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশের ছেলেমেয়ে অন্যদের চেয়ে কোনো অংশে পেছনে নেই।

আলোচনা শেষে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বিজ্ঞান মেলায় ছাত্রছাত্রীদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ পরিদর্শন করেন। 

আরও খবর