Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

প্রস্তাবিত বাজেট গণবিরোধী, বাস্তবায়ন অযোগ্য: ফখরুল

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৭৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এটি নজিরবিহীন লুটপাট ও অলীক কল্পনার অবাস্তবায়নযোগ্য গণবিরোধী বাজেট।

আজ বুধবার দলটির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ।

ফখরুল বলেন, ‘সরকার গত ০১ জুন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার যে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে তা বর্তমান ফ্যাসিস্ট লুটেরা সরকারের অর্থনৈতিক দুর্নীতির ধারাবাহিকতা রক্ষার এক বার্ষিক ঘোষণাপত্র মাত্র। এই বাজেট কল্পনাবিলাসী বাস্তবায়ন অযোগ্য এক উচ্চাভিলাষী বাজেট। এটা স্রেফ দুর্নীতিবাজ বর্তমান সরকারের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লুটের লক্ষ্যে প্রণীত ‘অর্থ লুটেরাদের বাজেট’।

লিখিত বক্তব্যে বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘বাজেটে চলমান অর্থনৈতিক সংকট, ক্রমবর্ধমান আয়-বৈষম্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে যাওয়া, বেপরোয়া অর্থপাচার, জনগণের কাঁধে রাষ্ট্রীয় ঋণের বোঝা একেবারের জন্যেও স্বীকার করা হয়নি। পরিত্রাণের উপায়ও বলা হয়নি। তেমনিভাবে সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে সুশাসন ও ন্যায়বিচার এর ধারণাকে।

ফখরুল বলেন, ‘এই বাজেট পরিচালনা ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩.৪% এবং উন্ন্য়ন ব্যয় ৩৬.৪%। বাজেটের এই অর্থের সংস্থান হবে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা আয় থেকে, আর ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা ঋনের মাধ্যমে। রাজস্ব আয়ের ৩২.৮% পরোক্ষ কর (ভ্যাট) এবং ৩০.৭% প্রত্যক্ষ কর। এরই সাথে সরকার জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭.৫% এবং মুদ্রাস্ফীতির হার ৬% প্রত্যাশা করছে! এ বাজেট বাস্তবতা বিবর্জিত, প্রতারণামূলক, লোক দেখানো বাজেট, জনকল্যাণের নয়।

‌বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি ও বিনিয়োগসহ সামষ্টিক অর্থনীতির যেসব প্রক্ষেপণ করা হয়েছে তা অর্জনযোগ্য নয়। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭.৫% লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করলেও তা কিভাবে অর্জন করা হবে তার কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা বাজেটে নেই। চলতি অর্থবছরেও ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে প্রবৃদ্ধি হবে ৭.৫%। সংশোধনী বাজেটে তা পরে ৬.৩% পুনঃনির্ধারণ করা হয়। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন- এবারও ৭.৫% টার্গেট অর্জন সম্ভব হবে না। কেননা অর্থনীতি এমনিতেই চাপের মধ্যে রয়েছে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ে ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ। এ চাপ মোকাবেলায় বাজেটে তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন এবং খাদ্যসহ তেল, চাল, আদা, চিনি, ডিম, মুরগিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য অনেক আগেই মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

দেশের অর্থনীতি মহাবিপর্যয়ে রয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘ডলারের সংকট প্রকট। পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খুলতে গেলে প্রায় সকল ব্যাংক ফিরিয়ে দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। সরকারি হিসাব মতে গত ৭ বছরে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে গেছে। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী প্রকৃত রিজার্ভ দাঁড়ায় ২১ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। বিশ্বস্ত সূত্র মতে, ইতিমধ্যে নতুন নোট ছাপিয়ে বাজারে ছাড়া হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকার উপর। একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

‌তিনি বলেন, ‘অর্থপাচার অব্যাহতভাবে বাড়ছে। জিএফআই বলছে, ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বাংলাদেশ থেকে ৪,৯৬৫ কোটি ডলার পাচার হয়। সিআইডি বলছে, শুধু হুন্ডি প্রক্রিয়ায় দেশ থেকে গড়ে বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য মিলে প্রতিবছর কমপক্ষে দেড় লাখ কোটি টাকার সমপরিমাণের বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচার হচ্ছে। বর্তমান বাংলাদেশে চারিদিকে শুধু হাহাকার। তবে এই হাহাকার সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট ও সুবিধাভোগী নব্য ধনীদের জন্য নয়।

ফখরুল আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংক ব্যবস্থায় নজিরবিহীন নৈরাজ্য চলছে। ব্যাংকের অতিরিক্ত ক্যাশ লিকিউডিটি কমেছে ৫৭ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা (ঘবি অমব: ২৪-১-২৩)। ২০০৯ সালে যেখানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা, এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। তবে পুনঃ তফসিলকৃত ঋণ যোগ করলে প্রকৃত খেলাপি ঋণ ৪ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। গত বছরের প্রথম নয় মাসেই খেলাপি বেড়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। গত ৩ মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১১০০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশে খেলাপি ঋণ বাড়ার প্রধান কারণ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা।

গত ৬ বছরে বিদেশী ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে উল্লেক করে ফখরুল বলেন, ‘চীন ও রাশিয়া থেকে নেয়া কঠিন শর্তের ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ২০২৪ সন থেকেই বর্তমানের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে। সে সময় পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। ২০২১-২২ অর্থবছরে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের বোঝা ছিল ৩২৪ মার্কিন ডলার, টাকার অংকে যা প্রায় ৩২ হাজার ৭৪০ টাকা (প্রতি ডলার ১০১ টাকা দরে)। বর্তমানে আরও বেড়েছে। আইএমএফ চাচ্ছে সরকারি ব্যাংকগুলোতে ১০ শতাংশ এর নিচে ও বেসরকারি ব্যাংক গুলোতে ৫ শতাংশ এর নিচে থাকুক খেলাপি ঋণের পরিমাণ। কিন্তু বর্তমানে কৌশলে এক ব্যাংকের আদায়যোগ্য খেলাপি ঋণ আরেক ব্যাংকে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

ফখরুল বলেন, ‘বাজেটে আয় বৃদ্ধির জন্য কর্মসংস্থানের বিশেষ কোনো পদক্ষেপের উল্লেখ করা হয়নি। আর কর্মসংস্থান না হলে মানুষের আয় বাড়বে না। মূল্যস্ফীতির ধাক্কা তারা সামলাবে কিভাবে?’

তিনি বলেন, ‘সরকার ইতোপূর্বে করযোগ্য আয় নেই এমন ব্যক্তিদেরও ৪৪ ধরনের সেবা গ্রহণে কর দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে যা মধ্যবিত্তের উপর জুলুম। প্রশ্ন হলো যার আয় কম তিনি কি ঐ সকল রাষ্ট্রীয় সেবা পাবেন না! একদিকে ন্যূনতম আয়কর সীমা বাড়িয়ে ৩,৫০,০০০ টাকা প্রস্তাব করেছে, অপরদিকে আয় না থাকলেও মিনিমাম ২০০০ টাকা আয়কর ধার্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে যা সাংঘর্ষিক, ন্যায়নীতি বর্জিত এবং ‘আয়ের উপর কর’ নীতিরও পরিপন্থী।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের এই চরম অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে প্রয়োজন ছিল দল, মত ও ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে একটি সাহসি ও বাস্তবসম্মত বাজেট। কিন্তু মোটাদাগে এ বাজেট আইএমএফ এর শর্ত বাস্তবায়ন এবং বিগত অর্থবছরের বাজেটের ১৪-১৫% বর্ধিত অবস্থা ছাড়া কিছুই না। অথচ আইএমএফ এর সঙ্গে ঋণচুক্তির কথা উল্লেখই করেননি অর্থমন্ত্রী। এদিকে আইএমএফ এর শর্তপূরণে বাড়তি আদায় করতে হবে ৪৮ হাজার কোটি টাকা। কর ছাড় কমানোর বড় উদ্যোগ বাজেটে নেই।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে চলমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট দেশের প্রধান জাতীয় সংকটে পরিণত হয়েছে। গণতান্ত্রিক সরকার না থাকলে সরকারের জাবাবদিহিতা থাকেনা। দেশের অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এই জাতীয় সংকট থেকে মুক্তি পেতে জবাবদিহি ও দায়বদ্ধমূলক নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটার একমাত্র পথ নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান।


আরও খবর



কালিয়াকৈরে তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষ্যে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে রোববার সকাল থেকে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা চত্তরে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিনামূল্যে প্রায় সাড়ে ৫শত সাবমারসিবল পাম্প যুক্ত ননকুপ, মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য, বঙ্গবন্ধুর আধুনিক মোড়াল, বীর নিবাস নির্মাণ, আশ্রয়ন প্রকল্প, ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল, শালদহ সেতু, কালভার্ট- ব্রিজ, স্কুল-কলেজ নতুন ভবন নির্মাণ, মসজিদ, মাদ্রাসা, রাস্তা-ঘাটসহ সকল সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে স্থানীয় সরকার। জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষ্যে এসব উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে সকাল থেকে উন্নয়ন মেলা শুরু হয়। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত এ মেলা চলবে। প্রধান অতিথি হিসেবে তিনদিন ব্যাপী মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ। এ মেলায় উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর, কালিয়াকৈর পৌরসভা, চাপাইর, আটাবহ, মৌচাক, ফুলবাড়িয়া, শ্রীফলতলী, ঢালজোড়া, সূত্রাপুর, মধ্যপাড়া ও বোয়ালী ইউনিয়ন স্টলে ব্যানার, লিফলেটের মাধ্যমে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হয়। এ উপলক্ষ্যে উপজেলা চত্তরে একটি র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়। পরে মেলা প্রাঙ্গণে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী নাসরিন আরা পুষনসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বৃন্দ।


আরও খবর



আ.লীগ সব সময় খেলার জন্য প্রস্তুত আছে: ডা. মুরাদ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, আ.লীগ সব সময় খেলার জন্য প্রস্তুত আছে। জামায়াত-বিএনপিকে প্রতিহত করার জন্য আওয়ামী লীগ প্রস্তুত আছে। সময়মতোই খেলা হবে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে  তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করে অ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার স্মৃতি সংসদ। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ডা. মুরাদ হাসান।

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, জামায়াত-বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। তাদের অসৎ উদ্দেশ্য কখনও পূরণ হবে না।

প্রসঙ্গ, ২০২১ সালে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের নির্দেশ দেন। পরে অশালীন ও শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্যের ঘটনায় তাকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।


আরও খবর



ওবায়দুল কাদের দেশে ফিরেই মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে যা বললেন

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৯২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেই মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কথা বলেছেন ।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির দায় সরকারের নয়, যারা নির্বাচনে বাধা দিয়েছিল তাদের জন্য। তবে ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না আওয়ামী লীগ।

চিকিৎসা শেষে আজ শনিবার ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভিসানীতি নিয়ে বর্তমান সরকার পরোয়া করে না। শান্তিপূর্ণ অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চায় আওয়ামী লীগ সরকার। অবাধ শান্তিপূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচন যারা চায়, তাদের ভিসানীতি নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। যারা নির্বাচন চায় না, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের আন্দোলনের ১২টা বেজে গেছে, তারা এখন হতাশা থেকে সবকিছুতেই ইস্যু কিংবা আনন্দ খুঁজে বেড়াচ্ছে। ভিসানীতির বাস্তবায়নের বাস্তবতা দেখা যাবে।

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রকে সুরক্ষা করে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ চায় বিএনপিসহ সবাই নির্বাচনে আসুক। তবে নির্বাচনবিরোধী সব কিছু জনগণ প্রতিহত করবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নিয়মে নির্বাচন হবে, ভোট দেবে দেশের জনগণ। এখানে কেউ পর্যবেক্ষক পাঠাবে কিনা সেটি তাদের বিষয়, কেউ আসলে তাদের সহায়তা করা হবে। গণতান্ত্রিক কোনো দেশ পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না সেটা তাদের বিষয়।

এ অবস্থায় বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক, তারা না আসতে চাইলে আসবে না। সেটা তাদের বিষয়। তবে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না।


আরও খবর



একদিনে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৬১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গুতে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা একদিনে মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১৮ জনে। এর আগে, ১৯ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৬১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে, ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৩৫২ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ২২ হাজার ৬৯৪ জন।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯৮২ জন। ঢাকার বাইরে ১ হাজার ৩৭০ জন। ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গুতে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৭ জন এবং ঢাকার বাইরের ৪ জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ৬৯৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৫৯ হাজার ৫৯২ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৮ হাজার ১০২ জন। এছাড়া এখন পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে মোট ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৪৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৫৫ হাজার ২৩৩ জন এবং ঢাকার বাইরের ৬৩ হাজার ২১১ জন।


আরও খবর



ইবিতে নবীন শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিং, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৩১জন দেখেছেন

Image
ইবি প্রতিনিধি:ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থী তাহমিন ওসমানকে র‌্যাগিং ও মানসিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী নবীন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টার বরাবর অভিযোগ দিয়েছে। আজ রবিবার অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, ইতিমধ্যে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার বরাবর অনুলিপি পাঠিয়ে দিয়েছি। একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, পরিচয়পর্ব শেখানোর নামে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়। গত ২ সেপ্টেম্বর কয়েকজন সিনিয়র জিমনেশিয়ামের পেছনে নিয়ে পরিচয় কিভাবে দিতে হবে তা শেখানো শুরু করে। হাত-পা সোজা থাকতে হবে এরকম নির্দেশ তাদের। কিন্তু আমার হাত একটু মুঠ করায়। তারা বলে, তোর কী আমাদেরকে থাপড়াইতে ইচ্ছে করছে?

একদিন আবার সন্ধ্যায় সাদ্দাম হলের সামনে সবার দিকে তাকিয়ে সালাম দিতে না পারায় মিজানুর ইমন আমাকে বলেন, তুই শুধু ওদের দিকে তাকিয়েই সালাম দিলি। আমাদের দিকে তাকালি না। এর মানে শুধু ওরাই তোর বড়ভাই আর আমরা?

পরেরদিন ৩ সেপ্টেম্বর বিভাগের ক্রিকেটে খেলা ছিল বিকেল। বিকালে খেলার মাঠে আমি যেতে দেরি করি। খেলা শেষে শুভ এবং সাকিব ভাই আমাকে জিমনেশিয়ামের সামনে নিয়ে জিজ্ঞেসা করেন কেন আসতে দেরী করেছি। দেরী করার কারনে আবার তারা মানসিক নির্যাতন শুরু করে। তারা বলেন, যদি আমাদের কথা না মানিস। তোকে ব্যাচ আউট করে দেওয়া হবে। 

অভিযুক্তরা হলেন- হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মিজানুর ইমন, শুভ, পুলক ও সাকিব।  

এদিকে নবীন শিক্ষার্থী র‌্যাগিং কান্ডে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।কমিটির অন্যরা সদস্যরা হলেন, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিন, আইন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনিসুর রহমান ও সহকারী প্রক্টর মিথুন বৈরাগী। এছাড়াও কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে আছেন  উপ-রেজিস্ট্রার আলিবুদ্দিন খান। তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত দিনের ভিতরে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। 
এ বিষয়ে হিউমান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি শিমুল রায় বলেন, প্রশাসনে অভিযোগ হওয়ার পর আমি ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। যেহেতু প্রশাসনে অভিযোগ দিয়েছে সেক্ষেত্রে প্রশাসন যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিবে।

আরও খবর

সহকারী জজ হলেন ইবির ৭ শিক্ষার্থী

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩