Logo
আজঃ শনিবার ১০ জুন ২০২৩
শিরোনাম

প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি অপরাধ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ নভেম্বর 20২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ২২২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি অপরাধ। আমাদের আইন আছে, কিন্তু প্রয়োগ করতে পারি না। আইনটা এখন আরও মজবুত করার উদ্যোগ নিয়েছি।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে ‘বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল’ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। ঠিক মতো অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। রেজিস্ট্যান্স হয় কীভাবে, জনগণকে তা জানাতে হবে। যারা এ সেবার সঙ্গে জড়িত, সাধারণ মানুষ, যারা আমাদের থেকে সেবা নিচ্ছেন, তাদের সবাইকে অ্যান্টিবায়োটিক বিষয়ে জানাতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ এখন যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক নিচ্ছে। আমাদের প্রেসক্রিপশন বেশি হয়। প্রেসক্রিপশনটা জুডিশিয়ালি করা উচিত। গ্রাম এলাকায় চিকিৎসক ছাড়াও অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসক ছাড়া কেউই অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারবে না।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘যারা অ্যান্টিবায়োটিক খান, তারা অনেক সময় কোর্স পূরণ করেন না। এটাও ক্ষতিকর। আবার যেসব অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে তাদের অধিকাংশের প্রয়োজন নেই। গ্রামাঞ্চলে এটা সবচেয়ে বেশি। সেখানে গ্রামীণ চিকিৎসক, যাদের স্বীকৃতি নেই তারা দিচ্ছেন। ঔষধ প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু তাতেও হচ্ছে না। এটাতে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিকের মারাত্মক ব্যবহার হচ্ছে ফার্মগুলোতে। গরু, মুরগি, মাছ ও মাংসে অ্যান্টিবায়োটিকে সয়লাব হয়ে গেছে। পোল্ট্রি খামারগুলোতে ব্যাপক আকারে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী যতটুকু ব্যবহার করা উচিত, তার বাইরে যাতে না হয় সেটা দেখতে হবে। বর্জ্যের কারণে মাছ ও মাংস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে জটিল ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করছে। ফলে অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করছে না।’

অনুষ্ঠানে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার অনেক বেশি। এটা রোধে শক্ত আইনের বিকল্প নেই। ইতোমধ্যে কোয়ালিটি ঠিক না রাখায় ২৭ কোম্পানির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। অযাচিত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের আইন প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী সংসদে সেটা পাস হবে।’

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থাপত্র ও ফুল ডোজ ছাড়া ওষুধ বিক্রি বন্ধ নিশ্চিত করতে হবে। তবে, শুধু আইন করে এটা রোধ করা সম্ভব নয়। মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।’


আরও খবর



রোমাকে হারিয়ে ইউরোপার সপ্তম শিরোপা জিতল সেভিয়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:চরম উত্তেজনার ম্যাচ শেষে টাইব্রেকারে রোমাকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ইউরোপা লিগের রেকর্ড সপ্তম শিরোপা জিতল সেভিয়া। খেলার নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ১-১ গোলের পর অতিরিক্ত সময়ও ওই স্কোরলাইনে শেষ হয়।

ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা এই প্রতিযোগিতায় সেভিয়া আগে ছয়বার ফাইনালে উঠে প্রতিবারই ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল। ফাইনালে শতভাগ সাফল্যের সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখল তারা। অন্যদিকে, রোমার কোচ জোসে মরিনিয়ো ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় আগে পাঁচবার ফাইনালে উঠে প্রতিবারই পেয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ। এবার তাকে ফিরতে হলো খালি হাতে, মন বেজার করে।

বুধবার রাতের ফাইনালে হাঙ্গেরির পুসকাস অ্যারেনায় মাঠে নামে রোমা ও সেভিয়া। তবে পেনাল্টি শ্যুটআউটে সেভিয়ার চার জন শট নিয়ে সবাই পান সাফল্য। আর রোমার মাত্র একজন জালের দেখা পান, ব্রায়ান ক্রিস্তান্ত।

সেভিয়ার হয়ে অসাধারণ সেভ করে নায়ক বনে যান কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর হয়ে চমক দেখানো গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো।

ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যায় রোমা। মাঝমাঠে প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জের মুখে সেভিয়ার ইভান রাকিতিচ পজেশন হারান, বল ধরেই মানচিনি দারুণ পাসে খুঁজে নেন দিবালাকে। দুই ডিফেন্ডারের মধ্য দিয়ে ক্ষিপ্র গতিতে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।

দ্বিতীয়ার্ধে চাপ বাড়ায় সেভিয়া। এরই মাঝে ৫৫তম মিনিটে ভুলটা করে বসেন ডিফেন্ডার মানচিনি। হেসুস নাভাসের একটি বিপজ্জনক ক্রস হেডে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে পাঠান তিনি। স্বস্তির সমতায় ফেরে সেভিয়া। এরপর আর কোনো দল গোল না পাওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত প্রথম ১৫ মিনিটে কোনো দলই পারেনি উল্লেখযোগ্য কিছু করতে। এই পর্বের দ্বিতীয়ার্ধও কেটে যাচ্ছিল সেভাবে। যোগ করা সময়ও পেরিয়ে যায় ১০ মিনিট। একেবারে শেষ মৃহূর্তে সুযোগ পেয়ে যায় রোমা; কিন্তু ইংলিশ ডিফেন্ডার ক্রিস স্মলিংয়ে হেড ক্রসবারে বাধা পায়।

৪০ ফাউলের (সেভিয়া ২১, রোমা ১৯) ঘটনায় বারবার ছন্দপতন এবং বাড়তি দৈর্ঘ্যের লড়াই শেষে শুরু হয় টাইব্রেকার। যেখানে স্নায়ুচাপ সামলাতে ব্যর্থ রোমা। তাতে আরও একবার বিজয়ীর বেশে রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন সেভিয়া।


আরও খবর



দাম বাড়ছে যেসব পণ্যের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বেশকিছু পণ্য ও সেবার ওপর শুল্ক কর এবং ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে ওই সব পণ্য ও সেবার দাম বাড়বে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ হলো এলপিজি সিলিন্ডার, মোবাইল ফোন, সিগারেট, ফ্ল্যাট নিবন্ধন, বিদেশ ভ্রমণ প্রভৃতি।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করেন। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।

এবারের বাজেটে যেসব পণ্য ও সেবার দাম বাড়ছে তার অন্যতম হলো-

এলপিজি সিলিন্ডার: রান্নার কাজে ব্যবহৃত তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার উৎপাদনে ব্যবহৃত স্টিল ও ওয়েল্ডিং ওয়্যার আমদানিতে শুল্ক আরোপ এবং উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে বাজেটে। এর ফলে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়তে পারে।

মোবাইল ফোন: প্রতি বছর মোবাইলফোন পাল্টানো ফ্যাশনের অংশ, যা শখে পরিণত হয়েছে। রাজস্ব আয় বাড়াতে আইএমএফ-এর পরামর্শে মোবাইলফোনকে বিলাসীপণ্য বিবেচনায় নিয়ে বাজেটে ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে। বর্তমানে মোবাইলফোন উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি আছে, সেখানে ২ শতাংশ ভ্যাট বসানো হচ্ছে। আর সংযোজন পর্যায়ে ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ এবং ৫ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে। এ কারণে খুচরা পর্যায়ে মোবাইলফোনের দাম বাড়তে পারে।

গৃহস্থালি সামগ্রী: বাজেটে প্লাস্টিকের তৈরি সব ধরনের টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, গৃহস্থালি সামগ্রী উৎপাদনে থাকা ৫ শতাংশ ভ্যাটকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে। একইহারে বাড়ানো হচ্ছে অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি গৃহস্থালি সামগ্রী ও তৈজসপত্রের (হাঁড়িপাতিল, থালাবাসন) ভ্যাট। কিচেন টাওয়াল, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন টিস্যু, ফেসিয়াল টিস্যু/পকেট টিস্যু ও পেপার টাওয়াল উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট আছে, এটি বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে টিস্যু পেপারের দাম বাড়তে পারে। হরে বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত বাড়িতে খাবার গরম করতে মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার করা হয়।

শুল্ক ফাঁকি রোধে বাজেটে সব ধরনের মাইক্রোওয়েব ওভেন আমদানির শুল্ক ৩০ শতাংশ বাড়াচ্ছে। এর ফলে মাইক্রোওয়েব ওভেনে মোট করহার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ হচ্ছে। এতে বিদেশি গৃহস্থালি পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে।

বাসমতি চাল: রসনা বিলাসে বিরিয়ানি-তেহারির প্রধান উপকরণ বাসমতি চাল আমদানিতে ভ্যাট বসানো হচ্ছে। এতে চালের দাম বাড়তে পারে। বাসমতি চালের দাম বাড়ায় বাড়তে পারে বিরিয়ানি কিংবা কাচ্চির দামও।

নির্মাণসামগ্রী: বাড়ি নির্মাণের প্রধান উপকরণ সিমেন্টের কাঁচামাল ক্লিংকার আমদানিতে বর্তমানে টনপ্রতি ৫০০ টাকা শুল্ক আছে, এটি বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হচ্ছে। এ কারণে সিমেন্টের দাম বাড়তে পারে। বিদেশি টাইলস আমদানিতে এতদিন কর রেয়াত ছিল, যা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এ কারণে বিদেশি টাইলসের দাম বাড়তে পারে।

ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও চট্টগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (সিডিএ) এলাকায় জমি নিবন্ধনের ট্যাক্স বিদ্যমান ৩ শতাংশ ও ৪ শতাংশ থেকে বেড়ে যথাক্রমে ৪ শতাংশ ও ৫ শতাংশ হতে পারে। এছাড়া ফ্ল্যাট বিক্রিতে বিদ্যমান গেইন ট্যাক্স বাড়তে পারে। ফলে আগামী অর্থবছর থেকে উভয় ক্ষেত্রে বাড়তি খরচ গুণতে হবে।

কলম: কলম উৎপাদনে বর্তমানে ভ্যাট অব্যাহতি রয়েছে, সেখানে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানো হচ্ছে। এতে কলমের দাম বাড়তে পারে।

সিগারেট: বাজেটে সব ধরনের সিগারেটের দাম বাড়ানো হচ্ছে। নিম্নস্তরের এক প্যাকেট (২০ শলাকার) সিগারেটের (যেমন-হলিউড, ডার্বি) দাম ৯০ টাকা, মধ্যমস্তরের (স্টার, নেভি) ১৩৪, উচ্চস্তরের (গোল্ডলিফ) ২২৬ এবং অতি উচ্চস্তরের (বেনসন, মালবোরো) সিগারেটের দাম ৩০০ টাকা করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ানো হচ্ছে জর্দা-গুলের দামও। তবে বিড়ির দাম অপরিবর্তিত থাকবে।

বিদেশি ফল: দেশে কাজুবাদাম চাষকে উৎসাহিত করতে এ ফলটি আমদানিতে শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৩ শতাংশ করা হচ্ছে। তাই আমদানি করা কাজু বাদামের দাম বাড়তে পারে। বাজেটে তাজা ও শুকনা খেজুর আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে। এর ফলে বেড়ে যাচ্ছে বিদেশি এ ফলটির দাম। বাজেটে শুল্ক ও ভ্যাট আরোপ করায় অন্যান্য বিদেশি ফলের দামও বাড়তে পারে।

চশমা: চশমার ফ্রেম ও সানগ্লাস আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এছাড়া উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে সব ধরনের চশমার দাম বেড়ে যেতে পারে।

বিদেশ ভ্রমণ: ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে বাড়তি করের চাহিদা মেটাতে বিদেশগামী যাত্রীদের ওপর ৩০০-৫০০ টাকা বাড়তি কর আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার। এতে বিদেশে যাওয়া-আসা খরচ বেড়ে যেতে পারে। তবে হজ কিংবা চিকিৎসার জন্য যারা বিদেশ ভ্রমণ করবেন, তারা আগের মতোই কর সুবিধা পাবেন।


আরও খবর



বনানীতে পিস্তল দিয়ে নিজের বুকে গুলি চালালেন পুলিশ কনস্টেবল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীর বনানীতে পুলিশ চেকপোস্টে পিস্তল দিয়ে নিজের বুকে গুলি চালিয়েছেন আশরাফুজ্জামান রনি (২২) নামের এক কনস্টেবল। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রনির পরিচয়পত্র থেকে জানা গেছে, তার পুলিশ আইডি নম্বর- বিপি০১২০২২৯২৬২, রক্তের গ্রুপ ‘এ নেগেটিভ’। ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামে তার বাড়ি।

২০২০ সালে চাকরিতে যোগদান করেছিলেন রনি। তিনি পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) দক্ষিণ বিভাগের এএসটিএফ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। মিরপুর পুলিশ লাইনে থাকতেন তিনি। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বনানী ১১ নম্বর রোডের চেকপোস্টে সকাল থেকে ডিউটি ছিল রনির। সেখানে একটি বাথরুমে গিয়ে নিজের ইস্যুকৃত পিস্তল দিয়ে নিজের বুকেই গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। সে সময়ে সেখানে তিনি একাই ছিলেন।

পরে গুলির শব্দ পেয়ে সহকর্মীরা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশের ধারণা, পারিবারিক কোনো কারণে হয়তো তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, পুলিশ সদস্যের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।


আরও খবর



ডিএনসিসির সব রাস্তা ও ফুটপাতে গাছ লাগানো হবে: মেয়র আতিকুল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সব রাস্তা ও ফুটপাতে গাছ লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মেয়র আনিসুল হক সড়কে ডিএনসিসি এলাকায় ২ লাখ গাছ লাগানোর কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা জানান।

অনুষ্ঠানে শুরুতেই মেয়র আতিকুল ইসলাম অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে গাছের চারা রোপণ করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব, নগর পরিকল্পনাবিদ আখতার হামিদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ।

উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র বলেন, ‘ডিএনসিসি এলাকার সব রাস্তা ও ফুটপাতে গাছ লাগানো হবে। কোনো জায়গা খালি রাখতে চাই না। ফুটপাতে ছাতিম, বকুল, কাঠবাদাম, কৃষ্ণচূড়া, সোনালু, সড়কের মিডিয়ানে কাঁটা মেহেদী, রঙ্গন, করবী ও বাগান বিলাস, বামন জারুল, রসকাউ লাগানো হবে। আর আমাদের খালের পাশে বিভিন্ন ধরনের ফলজ গাছ, আম, জাম, কাঁঠাল ও ওষুধি গাছ লাগাব।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নগরে কোনোপাখি নাই। আমরা বন বিভাগের সাথে আলাপ আলোচনা করে রসকাউ লাগাচ্ছি। রসকাউ ফলটা পাখিদের খুবই প্রিয়। ক্লিনিং, গ্রিনিং ও ফিডিং এই তিনটিকে বিবেচনায় নিয়ে গাছ লাগানো হবে।

তিনি বলেন, ‘সবুজে বাস, বারো মাস এই স্লোগানের মাধ্যমে আমারা আজকে বৃক্ষরোপণ শুরু করলাম। আমি নগরবাসীকে আহ্বান করছি যার যার বাড়ির সামনে ফাঁকা জায়গায় গাছ লাগাবেন। আমি রাজউকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই- ‘‘প্রতিটি বাড়িতে এক কাঠায় অন্তত একটি গাছ’’ এটি যেন রাজউক অবিলম্বে বাস্তবায়ন করে।

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘গাছ লাগানো অনেক সহজ কিন্তু গাছ বাঁচানো অনেক কঠিন। গাছকে লালন-পালন করা অনেক কঠিন। তাই গাছকে আমরা লালনের জন্য এই প্রথমবারের মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ১০০ জন মালি নিয়োগ দিবে। একেক জন মালিকে ১ কিলোমিটারের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এক কিলোমিটারের মধ্যে যত গাছ আছে সেসব গাছের রিপোর্ট তারা আমাদেরকে দেবেন। আমরা একটি জিআইএস ম্যাপ তৈরি করেছি। যেটির মাধ্যমে জায়গা নির্বাচন, গাছ মনিটরিং এগুলো করা হবে।

মেয়র বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নিজেদের ইচ্ছা মতো কোন গাছ লাগাচ্ছে না। প্রত্যেকটি গাছ বন বিভাগ, পরিবেশবাদী ও নগর পরিকল্পনাবিদের পরামর্শ নিয়ে নির্বাচন করা হয়েছে। আমরা যে গাছগুলো লাগাচ্ছি সেই গাছগুলোর মাধ্যমে বায়ুদূষণ কমে যাবে, এক্সট্রিম হিট কমবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ঢাকা সামাজিক বন অঞ্চলের বন সংরক্ষক আর এস এম মনিরুল ইসলাম, উপপ্রধান বন সংরক্ষক মঈনুদ্দিন খান প্রমুখ।


আরও খবর



ইভিএমে ভূত-পেত্নী দেখতে পেলে আদালতে যান: সিইসি

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) কেউ ভূত-পেত্নী দেখে থাকলে আদালতে যেতে বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ বুধবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে সংশয় থাকলে আদালতে যান। আমাদের বলবেন না। আমরা ইভিএমে ভূত-পেত্নী দেখিনি। আপনারা দেখতে পেলে আদালতে যান। ইভিএম নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। আপনাদের কাছে কোনো প্রমাণ থাকলে সরাসরি আদালতে পেশ করেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে না। এটি একটি স্বাধীন সংস্থা।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আচরণ বিধিমালা প্রার্থীদের মেনে চলতে হবে। তা না হলে নির্বাচন কমিশন প্রার্থিতা বাতিল করতে বিন্দুমাত্র দেরি করবে না।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, নির্বাচন সচিব জাহাংগীর আলম, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রাজশাহীর পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেন, রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার আনিসুর রহমান, রাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর