Logo
আজঃ বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি অপরাধ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ নভেম্বর 20২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৪১২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি অপরাধ। আমাদের আইন আছে, কিন্তু প্রয়োগ করতে পারি না। আইনটা এখন আরও মজবুত করার উদ্যোগ নিয়েছি।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে ‘বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল’ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। ঠিক মতো অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। রেজিস্ট্যান্স হয় কীভাবে, জনগণকে তা জানাতে হবে। যারা এ সেবার সঙ্গে জড়িত, সাধারণ মানুষ, যারা আমাদের থেকে সেবা নিচ্ছেন, তাদের সবাইকে অ্যান্টিবায়োটিক বিষয়ে জানাতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ এখন যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক নিচ্ছে। আমাদের প্রেসক্রিপশন বেশি হয়। প্রেসক্রিপশনটা জুডিশিয়ালি করা উচিত। গ্রাম এলাকায় চিকিৎসক ছাড়াও অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসক ছাড়া কেউই অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারবে না।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘যারা অ্যান্টিবায়োটিক খান, তারা অনেক সময় কোর্স পূরণ করেন না। এটাও ক্ষতিকর। আবার যেসব অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে তাদের অধিকাংশের প্রয়োজন নেই। গ্রামাঞ্চলে এটা সবচেয়ে বেশি। সেখানে গ্রামীণ চিকিৎসক, যাদের স্বীকৃতি নেই তারা দিচ্ছেন। ঔষধ প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু তাতেও হচ্ছে না। এটাতে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিকের মারাত্মক ব্যবহার হচ্ছে ফার্মগুলোতে। গরু, মুরগি, মাছ ও মাংসে অ্যান্টিবায়োটিকে সয়লাব হয়ে গেছে। পোল্ট্রি খামারগুলোতে ব্যাপক আকারে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী যতটুকু ব্যবহার করা উচিত, তার বাইরে যাতে না হয় সেটা দেখতে হবে। বর্জ্যের কারণে মাছ ও মাংস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে জটিল ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করছে। ফলে অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করছে না।’

অনুষ্ঠানে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার অনেক বেশি। এটা রোধে শক্ত আইনের বিকল্প নেই। ইতোমধ্যে কোয়ালিটি ঠিক না রাখায় ২৭ কোম্পানির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। অযাচিত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের আইন প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী সংসদে সেটা পাস হবে।’

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থাপত্র ও ফুল ডোজ ছাড়া ওষুধ বিক্রি বন্ধ নিশ্চিত করতে হবে। তবে, শুধু আইন করে এটা রোধ করা সম্ভব নয়। মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।’


আরও খবর



গাংনীর পা হারানো আকলিমার জীবন সংগ্রাম

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃসড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা হারানোর যন্ত্রনা ও মনো কষ্টে আল্লাহর কাছে মৃত্যুও কামনা করেছেন কলেজ ছাত্রি আকলিমা। একেতো নারী তার উপর আবার পঙ্গুত্ব। হাসপাতালের বিছানায় এক বছর অসহায় জিবন যাপন করেছেন তিনি। মৃত্যু কামনার পরও তার মৃত্যু হয়নি, বরং সাফলতা অর্জনের সাহসটুকু তিনি পেয়েছেন। গর্ভধারিনী মমতাময়ী মায়ের পরামর্শে আকলিমা পড়া লেখা চালিয়ে গেছেন। এখন তিনি একজন সুনামধন্য স্কুল শিক্ষক। সে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাইপুর গ্রামের হাজী জোয়াদ আলীর মেয়ে।

জানা গেছে, ২০০৬ সালের ৬ মার্চ মেহেরপুর সরকারি কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে আকলিমা খাতুন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার দুটি পা। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে এক বছর তার চিকিৎসা করানো হলেও করিয়েও পা দুটি আর সচল করা যায়নি। কোমর থেকে নিচের অংশটি সম্পুর্ণভাবে অকেজো হয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবে চলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে সে। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে তারমতো অসংখ্য মানুষকে দেখে আতœবিশ্বাস ফিরে পায়। আবার লেখাপড়া শুরু করে।

পঙ্গুত্ব বরন করার পর আকলিমা কিংকর্তব্য বিমুঢ় হয়ে পড়ে। জিবনের সব আশা ভরসা শেষ এই ভেবে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে নিজের মৃত্যু কামনা করতেন আর অঝোরে কাঁদতেন। সেসময় তার পাশে কাউকে না পেলেও মমতাময়ী মা তাকে ছেড়ে যান নি। সব সময় আশা যুগিয়েছেন। মায়ের পরামর্শে আকলিমা আবারো পড়ালেখা শুরু করেন। অদম্য এই মেধাবী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দেন এবং কৃতকার্য হন। বর্তমানে তিনি গাংনী উপজেলার রায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। পায়ে হেটে আসার সামর্থ হারালেও এখন সব ধরনের চলাচল তার হুইল চেয়ারে।

আকলিমা জানান, তার জীবনের এই গল্পটা এতটা সহজ ছিলনা। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আসতে হয়েছে এতদূর। জীবনের সেই দুঃসময়ে একমাত্র মা ছাড়া পরিবারের কেউ তেমন সহোযোগিতা করেনি। ভাইয়েরা বলেছিল অযথাই ওর পড়াশোনার পিছনে টাকা খরচ করে কি লাভ? প্রতিবন্ধীরা যে সমাজের বোঝা নয়, তাদেরকে একটু সুযোগ করে দিলে সমাজে তারাও যে ভালো ভূমিকা রাখবে সেটা পরিবারের লোকজনকে বিশ^াস করানোটা ছিল এক রকম চ্যালেঞ্জ। এখন পাশে অনেকেই আছেন এবং পরিবারের লোকজনও তার পাশে রয়েছে বলেও জানান আকলিমা।

আকলিমার মা মমতাজ খাতুন জানান, আকলিমা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে। দ’ুটি পা অচল হলেও লেখা পড়া বন্ধ করতে দেয়া হয়নি। ছোট বেলা থেকেই সে মেধাবী। তার উপর ভরসা ছিল তাই নানা ধরনের বাঁধা বিপত্তি উপেক্ষা করেও তার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছি। এখন সে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করছে। সে তার সংসারের নিজের সব কাজ নিজেই করে, যেটি পারেনা তখন তাকে সাহায্য করা হয়। প্রতিটি বাবা-মার উচিত তার প্রতিবন্ধী, অক্ষম সন্তানকে বোঝা মনে না করে ভালো কিছু করার সুযোগ করে দেওয়া।

ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, আকলিমা অন্যান্য শিক্ষকদের মতো শিক্ষা দেন। ভাল ভাবে পাঠদান করান। সময়মতো স্কুলে আসেন। তিনি খুব আন্তরিক মানুষ। কেউ স্কুলে না আসলে হুইল চেয়ারে করে তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নেন। কখনও কারো সাথে অসদাচরণ করেন না।

বিদ্যালয়ের প্রধান ফৌজিয়ারা খাতুন জানান, আকলিমা শারীরিক ভাবে অসুস্থ হলেও আর পাঁচজনের মতোই তার কাজ নিজে করেন এবং প্রত্যাশার চেয়ে ভালো করেন। তিনি কোনদিন দেরি করে স্কুলে আসেন না। শিক্ষার্থীদেরকে নিজের সন্তান মনে করে পড়ালেখা করান।

গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নাসির উদ্দিন জানান, আকলিমা দৈহিকভাবে বাধাগ্রস্ত হলেও মানসিকভাবে অবিচল। সাধারণ মানুষের মতই সব কিছু করেন। শিক্ষাদান বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া সঠিক সময়ে পাঠ দানে তার যথেষ্ঠ সুনাম রয়েছে। তাকে দেখে সমাজের আরও যারা এরকম সমস্যায় রয়েছে তারা ঘুরে দাঁড়াবে বলে তিনি মনে করেন।


আরও খবর



মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুতায়িত হয়ে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ীর একটি ঘরের উপর বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, এতে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানসহ পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিস্তারিত আসছে...


আরও খবর



আত্রাইয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে প্রস্তুতি সভা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:নওগাঁর আত্রাইয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে প্রস্তুতি মূলক সভা হয়েছে।২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাংসদ অ্যাড. ওমর ফারুক সুমন।

এসময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিক, ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম ও হাফিজুল ইসলাম, ওসি জহুরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল, উপজেলা আ’লীগ সভাপতি নৃপেন্দ্রনাথ দত্ত দুলাল, আত্রাই প্রেস ক্লাব সভাপতি তপন কুমার সরকার, উপজেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি উত্তাল মাহমুদ, ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক নাদিম, নাজিম উদ্দিন মন্ডল, খবিরুল ইসলাম, আফজাল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় সারাদেশের ন্যায় বাঙালীর ঐতিহ্য বজায় রেখে সকাল আটটায় মঙ্গল শোভাযাত্রা, লাঠি খেলা, বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং দিন ব্যাপী গ্রাম বাংলার কৃষ্টি-কালচার সমৃদ্ধ বৈশাখী মেলার সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে ব্যাংকার, এনজিও, আইনশৃঙ্খলা, সন্ত্রাস ও নাসকতা বিষয়ে সভা হয়। পরে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



হিলিতে দেশীয় পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ২০ টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:মোকামগুলোতে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুরের হিলিতে ৫০ টাকা কেজিতে নামলো পেঁয়াজের দাম। ভারত থেকে আমদানি শুরু হলে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। কেজিপ্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে দাবি করছেন পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা।

আজ সোমবার (১৮ মার্চ) হিলি বন্দরের পাইকারী ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, তিন দিন আগেও যে দেশীয় হালি পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এখন সেই পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা কমে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আমিনুল ইসলাম বলেন,আমি দুই সপ্তাহে আগে পেঁয়াজ কিনে ছিলাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। আজকে বাজারে এসে শুনি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে হচ্ছে। দাম কম হওয়ায় আমি ৫ কেজি পেঁয়াজ কিনলাম।

হিলি বাজরের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মোকারম হোসেন জানান,আমরা পাইকারী বাজার থেকে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৪৮ টাকা দরে কিনে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। তবে আগের তুলুনায় বেচাকেনা কমে গেছে।

হিলি বাজারের পাইকারী পেঁয়াজ বিক্রেতা রুবেল হোসেন বলেন,বর্তমানে মোকামে প্রকারভেদে ১৬ থেকে ১৭ শত টাকা মন বিক্রি হচ্ছে। কিন্ত তিন আগে মোকামে ২৭ থেকে ২৮ শত টাকা মন কিনেছি। সেই পেঁয়াজেই তো এখনোও অনেকে বিক্রি করতে পারিনি। মোকাম থেকে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে আসতে না আসতেই বস্তাপ্রতি দুই থেকে তিন কেজি কমে যায়। এরপর বস্তাপ্রতি ১২০ টাকা পরিবহন খরচ দিতে হয়।সবমিলে ২০ থেকে ২৫ টাকা আমাদের লোকসান গুনতে হয়। তারপর যত ঝড় খুচরা ব্যবসায়ীদের উপর দিয়ে যায়। আমার কয়েক দিনে প্রায় ৬ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। লোকসান হলেও তো আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে পারি না।


আরও খবর



যামিনীপাড়া বিজিবি জোনের উদ্যােগে অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল  প্রতিনিধি:সীমান্ত সূরক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড যামিনীপাড়া ব্যাটালিয়ন (২৩ বিজিবি) বিভিন্ন ধরণের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। তাই পবিত্র মায়ে রমজান উপলক্ষে  খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার যামিনীপাড়া জোনের আওতায় হতদরিদ্র,  দুস্থ, অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

শুত্রুবার (২৯ মার্চ) পবিত্র মায়ে রমজান মাস উপলক্ষে যামিনীপাড়া ব্যাটালিয়ন (২৩ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আলমগীর কবির, পিএসসি ব্যাটালিয়ন সদরে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। 

যামিনীপাড়া ব্যাটালিয়ন (২৩ বিজিবি) এর জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আলমগীর কবির, পিএসসি বলেন,পার্বত্য এলাকায় স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে।যামিনীপাড়া ব্যাটালিয়ন (২৩ বিজিবি) সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরণের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে। এ বছর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইফতার পার্টি আয়োজন না করার ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। তিনি বলেছেন, যাদের ইফতার পার্টি করার আগ্রহ ও সাধ্য আছে তারা যেন সেই ইফতার পার্টির টাকা নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে একাত্মতা পোষণ করে বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবি'র সকল রিজিয়িন, সেক্টর ও ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় যামিনী পাড়া বিজিবি জোনের আওতায় ১০০ জনকে ইফতার ও শুকনা রসদ (চাল, ডাল, চিনি) বিতরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ ২০২৪ তারিখেও স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে যামিনীপাড়া ব্যাটালিয়ন (২৩ বিজিবি) কর্তৃক ১১৫ জন দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছিল।


আরও খবর