Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

প্রেম-পরকীয়ায় ভাংছে সোনার সংসার ও রঙিন স্বপ্ন

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২৩১জন দেখেছেন

Image

মেহেরপুর প্রতিনিধি:মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কুঞ্জনগর গ্রামের ছৈরদ্দীনের ছেলে দুলাল হোসেন। সংসারের রয়েছে দুই মেয়ে ও এক ছেলে। মোবাইল ফোনের মিস কলের সুত্র ধরে পরিচয় ঘটে নতুন পাড়ার রফিকুলের স্ত্রীর সাথে। বেশ কিছু দিন স্বামির অনুপস্থিতি সেই সাথে দুলালের মিষ্টি কথায় শুরু হয় মন দেয়া নেয়া। অবশেষে দুজনেই পাড়ি জমিয়েছে একে অপরের হাত ধরে। এদিকে সর্দার পাড়ার আসমতের স্ত্রী বিদেশ গেছেন বছর দেড়েক আগে। সংসারের অভাব ঘোচাতে কোলের শিশু সন্তানকে ফেলে বিদেশ গেলে আসমত ফরিদপুরে কাজের সন্ধানে যায়। সেখানে নিজেকে ধনী লোক ও অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে এক বিবাহিত নারীর সাথে পরোকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছে দুজন। 

শুধু দুলাল কিংবা আসমত নয়, তার মতো সর্বনাশা প্রেম ও পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ছে মেহেরপুরের অনেকেই। প্রেম পরোকীয়া মাদক আসক্তির চেয়েও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এখানে। হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ছে পরকীয়া প্রেমিক-প্রেমিকা। ভেঙ্গে যাচ্ছে সোনার সংসার ও রঙিন স্বপ্ন। স্থানীয় জনতা ও পুলিশের হাতে আটক পরকীয়া জুটির জবানবন্দীতে বেরিয়ে এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর ও মর্মান্তিক কাহিনী। এসব ঘটনার কোন তদন্তই হয় না। সামাজিক বিচারে কয়েকজন সংসারে ফিরে গেলেও সিংহভাগ হারিয়েছে সোনার সংসার। অনেকেই বেছে নিয়েছে আত্মহত্যার পথ।

প্রেম ও পরোকীয়ায় জড়ানোর ব্যাপারে পাওয়া গেছে বিচিত্র সব তথ্য। সংসারে স্বামী বা স্ত্রীর অনুপস্থিতি, অশান্তি, দাম্পত্য কলহ, নিজেকে নিঃসঙ্গ ভেবে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ছে অনেকেই। সামান্য পরিচয়ের সুত্র ধরে সম্পর্ক তৈরি ও নিজেকে সিঙ্গেল দাবি করে ছেলে মেয়েরা বিয়ের প্রলোভনে অনৈতিক সম্পর্ক তৈরী করছে। বিশেষ করে ফেসবুক ও মোবাইল ফোন পরকীয়া করাকে খুবই সহজ করে দিয়েছে। পরকীয়ায় জড়ানোর ক্ষেত্রে জীবনসঙ্গীর চোখের আড়ালে সুযোগ বুঝে নিজেকে সিঙ্গেল পরিচয় দিয়েও পরকীয়া করেন অনেক মানুষ। নিজের সম্পর্কে মিথ্যা কাহিনী তৈরি করে বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করে। এক সময় দুজন দুজনের প্রকৃত ঘটনা জানার পরও জৈবিক চাহিদার উন্মাদনার কারণে প্রেমে আগ্রহী হয়ে ওঠে।

গাংনী উপজেলার একটি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত তিন মাসে ২৪২ টি সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ১৮৯ টি বিবাহ বিচ্ছেদ স্ত্রী নির্যাতন ও  দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনা যার নেপথ্যে পাওয়া গেছে পরোকীয়া প্রেম। এসব সালিশে ৫৫ জন স্বামীর ঘর ফিরে পেলেও বাকীদের ভেঙ্গেছে সোনার সংসার। অনেকের মামলা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আবার অনেকেই পিতামাতার অবস্থা বিবেচনা করে নির্যাতন সইয়ে স্বামীর সংসারে রয়েছেন।

বামন্দীর বিশিষ্ট নিকাহ রেজিস্টার সোহেল রানা বাবু জানান, বিয়ের সময় কাগজ পত্রের জটিলতা এড়াতে ছেলে মেয়েরা অধিকাংশ নিজেকে কুমার-কুমারী দাবী করে। আবার অনেকেই বিধবা পরিচয় দিয়ে বিবাহ রেজিস্ট্রি করতে আসেন। তাদের অবিবাহিত বা কুমারীত্ব প্রমাণের কোন সুযোগ থাকে না। তথ্য গোপন করলেও তাৎক্ষনিকভাবে যাচাই সম্ভব হয় না। তিনি আরো জানান, তালাক প্রদানের পর সরকারী নিয়মানুযায়ি স্থানীয় চেয়ারম্যান বা পৌর মেয়রের কাছে নোটিশ প্রদান করতে হবে। সেই সাথে স্বামী স্ত্রীকে নোটিশ পাঠাতে হবে। নোটিশ প্রাপ্তির ১০০ দিন পর তালাক নামা কার্যকর হবে। অথচ ছেলে মেয়েরা তথ্য গোপন করায় এ আইন কার্যকর হচ্ছে না।

বেশ কয়েকজন পুৃলিশ কর্মকর্তা জানান, যতগুলো পরকীয়া প্রেমের টানে ঘর ছাড়ার ঘটনা ঘটেছে এবং পুলিশের হাতে যারা আটক হয়েছে তার সব কয়টি স্থানীয় সমাজপতি এবং প্রেমিক প্রেমিকা জুটির পরিবারের লোকজন নিজ জিম্মায় নিয়েছে। তবে কয়েকটি ধর্ষণের মামলা হয়েছে সেগুলো প্রক্রিয়াধীন। প্রেমিক জুটির পরিবারের লোকজন কেউ মামলা চালাতে চান না আবার অনেকেই নিজ সংসারে ফেরত যাবার জন্য আইনের আশ্রয় নিতে চান না। এক্ষেত্রে পুলিশের কিছুই করার থাকেনা। সবার আগে নৈতিকতা শিক্ষা ও প্রযুক্তির যুগে নেতিবাচক শিক্ষা পরিহার করে ইতিবাচক শিক্ষা গ্রহন আবশ্যক। 

মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ জানান, স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকে পরোকীয়া জুটিরা নানা ধরনের তথ্য জানিয়েছেন। অনেকের স্বামী বিদেশে অবস্থান করছেন। তাদের স্ত্রীরা বিভিন্ন মার্কেটে কেনা কাটা করতে গিয়ে অন্যের সাথে পরিচিত হন। তাছাড়াও ফেসবুক, ইমু, টুইটার হোয়াট্স আপে পরিচয় ঘটে অন্য যুবকদের সাথে। তার পরে তারা জড়িয়ে পড়ে পরোকীয়ায়। আবার অনেক পরিবারের স্বামী স্ত্রী দুজনই চাকরী করেন। কর্মস্থলে দুজনই বিপরীত লিঙ্গের মানুষের সাথে পরোকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। কেউ বা ঘর ভাঙছেন । আবার কেউ বা একই ছাদের নীচে বসবাস করেন বিষময় জিবন। একই কথা জানিয়েছেন রাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন ছেপু এবং ষোলটাকা ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান।

গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজের বাংলা বিভাগীয় প্রভাষক রমজান আলী বলেন, মানুষের নীতি-নৈতিকতা এবং মূল্যবোধ নষ্ট হওয়ার কারণে পরকীয়া, খুন হত্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে আত্মীয়তার সর্ম্পক। অপসংস্কৃতি চর্চায় মানুষের চাহিদা দিনে দিনে বৃদ্দি পাচ্ছে। ফলে স্বামী-স্ত্রীরা বিদ্যমান সর্ম্পকের বাইরে গিয়ে অন্য মানুষের সঙ্গে সর্ম্পকে তৈরি করছে। ফলে সোনালী সংসার ভেঙ্গে যাচ্ছে। এ থেকে রেহাই পেতে ভবিষ্যত প্রজন্মকে নৈতিক শিক্ষা ও সামাজিক মূল্যবোধ শেখাতে হবে। সেই সাথে ইন্টারনেটের অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



বিএনপি সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করেছিল: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত আমরা সরকারে ছিলাম না। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের দেশের মানুষ প্রাথমিক যে স্বাস্থ্য সেবা পাবে সেই সুযোগটা বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে আমাদের জনসংখ্যা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্থবিরতা নেমে আসে।

বুধবার (১৫ মে) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘আইসিপিডি থার্টি গ্লোব্যাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভার্সিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভলডমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ সংগ্রামের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতির পিতার নেওয়া পদক্ষেপ অনুসরণ করে সকলের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে নতুন জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করি। বিশেষ করে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানোর জন্য সারা দেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন কাজ শুরু করি। সেই সময় জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচি গ্রহণ করি। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে আমরা বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করি। নারী শিক্ষা বিস্তার এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে ছিল আমাদের আন্তরিক প্রয়াস।

তিনি বলেন, জাতির পিতার নিদের্শে ’৭৩-৭৮ সাল পর্যন্ত প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়। তিনি একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ন্যাশনাল কাউন্সিল কমিশন গঠন করেন। জাতির পিতাকে হত্যা করার পরে এদেশে অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর সমস্ত অর্জনগুলো একে একে নষ্ট করে দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পুনরায় সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আসার পর আমরা আইসিপিডি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনের ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি ২০১২ প্রণয়ন করি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মাতৃ মৃত্যু ও নবজাতক মৃত্যুহার হ্রাস, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও কিশোর-কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প আবারও চালু করি। বর্তমানে সারাদেশে সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। এগুলোর মাধ্যমে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাসহ ৩০টি অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার ক্লিনিকে স্কিলড বার্থ অ্যাটেনডেন্স সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন ৩ হাজার ২৯০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র বা পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক হতে মা, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২ হাজার ২০০টি কেন্দ্র থেকে সার্বক্ষণিক স্বাভাবিক প্রসব সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রসূতি সেবা প্রদানের জন্য এসব কেন্দ্রে ৪ জন করে ধাত্রী নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমি ৩০ হাজার ধাত্রী নিয়োগের অঙ্গীকার করেছিলাম। এর ধারাবাহিকতায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ করা সম্ভব হবে বলে আমি আশা করি। মাতৃ স্বাস্থ্য সেবায় জরুরি প্রসূতি সেবা নিশ্চিত করতে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। ‘মা টেলিহেলথ সার্ভিস’-এর মাধ্যমে প্রসূতি মায়ের গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মা ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য ‘মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৩ লাখ উপকারভোগীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।


আরও খবর



মধুপুরে ছরোয়ার আলম খান আবু'র নির্বাচনী কর্মীসভা জনসভায় পরিনত

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১২১জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইলঃটাঙ্গাইলের মধুপুরে আগামী ৮মে বুধবার আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছরোয়ার আলম খান আবু'র এক বিশাল নির্বাচনী কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (৪মে) সন্ধায় দোয়াত কলম প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও সাবেক মেয়র মাসুদ পারভেজ এর আয়োজনে মধুপুর পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ডের পুন্ডুরা সেওড়াতলা এলাকায় এই নির্বাচনী কর্মী অনুষ্ঠিত হয়। 

মধুপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক খন্দকার আব্দুল গফুর মন্টু এর সভাপতিত্বে উক্ত কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়ছার।অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াত কলম মার্কার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছরোয়ার আলম খান আবু। এ-সময় আরও বক্তব্য রাখেন, মধুপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও দোয়াত কলম মার্কার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মাসুদ পারভেজ, পৌর কাউন্সিলর বাবলু আকন্দ।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।বিকেল হতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে দলেদলে মিছিল নিয়ে কর্মী সভায় যোগ দেয়ার জন্য নারী পুরুষ সহ দোয়াত কলম মার্কার হাজার হাজার সমর্থকগন সভাস্থলে এসে উপস্থিত হতে থাকেন। সন্ধার মধ্যেই পুরো এলাকা জনসমুদ্রে পরিনত হয়।অনুষ্ঠান শুরু হয় মধুপুরের বিখ্যাত বাউল শিল্পী সানোয়ার হোসেনের নির্বাচনী গানের মধ্য দিয়ে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন  উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগ সহ আরও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।উক্ত নির্বাচনী কর্মীসভায় বক্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী আমরা একটি সুন্দর নিরপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন চাই, যে নির্বাচনে ভোটারগন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে র্নিভিঘ্নে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।তারা অভিযোগ করে বলেন, আমরা বিভিন্ন স্থানে কর্মীসভা, পথসভা ও প্রচার প্রচারনায় প্রতিপক্ষের দ্বারা বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছি।

আমাদের বিভিন্ন পথসভায় নেতাকর্মীদেরকে শতশত মোটরসাইকেল দিয়ে শোডাউন করে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে যা নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন।এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনারের সুদৃষ্টি কামনা সহ সর্বস্তরের জনগণকে ছরোয়ার আলম খান আবুকে দোয়াত কলম প্রতীকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করার  আহবান জানান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



জয়পুরহাটে বৃষ্টির মধ্যেই তিন উপজেলায় ভোট গ্রহণ চলছে

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৮৪জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে জয়পুরহাটের কালাই,ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর  উপজেলায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।বুধবার  সকাল ৮টা থেকে ১০৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ ভোটগ্রহণ।নির্বাচনে তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

নির্বাচন অফিস জানায়, তিনটি উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৭৬৯ জন। এর মধ্যে কালাই উপজেলায় এক লাখ ২২ হাজার ৭৩৬ জন, ক্ষেতলালে ৯৫ হাজার ১৯১জন ও আক্কেলপুর উপজেলায় এক লাখ ২২ হাজার ৮৮২ জন ভোটার রয়েছেন। 

এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কেন্দ্রগুলিতে আনসার-ভিডিপি ও পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মো. ফজলুল করিম বলেন,  নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




দেশের বাজারে ওয়ানপ্লাসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১১৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্মার্টফোন প্রযুক্তিতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ানপ্লাস আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের স্মার্টফোন বাজারে যাত্রা শুরু করেছে। গতকাল (১৪ মে) সন্ধ্যায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জনপ্রিয় এই ব্র্যান্ডের প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে তৈরি করা স্মার্টফোন - নর্ড এন৩০ এসই ফাইভজি উন্মোচন করা হয়।

আনুষ্ঠানিক এই যাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সকল ব্যবহারকারীর জন্য ব্যতিক্রমধর্মী বিক্রয়-পরবর্তী সেবা, বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য সাপোর্ট সিস্টেম নিশ্চিত করবে ওয়ানপ্লাস। পাশাপাশি, ওয়ারেন্টি স্ট্যাটাস বিবেচনায় না নিয়ে ওয়ানপ্লাসের গ্লোবাল ভার্সনের স্মার্টফোনে ভার্টিকাল লাইনের সমস্যার ক্ষেত্রে বিনামূল্যে রিপেয়ার সেবা দিবে প্রতিষ্ঠানটি। প্রথম পর্যায়ে সারাদেশের ৩৫টি স্থানে (২২টি সার্ভিস সেন্টার ও ১৩টি সার্ভিস পয়েন্ট) বিক্রয়-পরবর্তী সেবা পাওয়া যাবে।একইসাথে, গ্লোবাল ভার্সনের পণ্যের ক্ষেত্রে ৭ দিনের স্মার্টফোন রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি ও ১২ মাসের স্মার্টফোন সার্ভিস দিবে ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশ’র আফটার-সেলস সার্ভিস ডিরেক্টর মো. রুবায়েত ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, “আমরা নির্ভরযোগ্য বিক্রয়-পরবর্তী সেবার গুরুত্ব বুঝি। তাই, দেশের সকল ওয়ানপ্লাস ব্যবহারকারীর জন্য ইতিবাচক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের গ্লোবাল ভার্সন স্মার্টফোনের ডিসপ্লের ভার্টিকাল লাইনের সমস্যায় ফ্রি রিপেয়ার সার্ভিস দিবো।”

স্থানীয় উৎপাদনের শুরুতেই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে তৈরি স্মার্টফোন ‘বিগার, লাউডার, ফাস্টার’ ওয়ানপ্লাস নর্ড এন৩০ এসই ফাইভজি বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। নতুন এই ডিভাইসে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৬০২০ ফাইভজি প্ল্যাটফর্ম ও ৩৩ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জিংয়ে সক্ষম এমন শক্তিশালী ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত প্রথম মডেল নর্ড এন৩০ এসই ফাইভজি’র মধ্য দিয়ে ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশে তৈরি ফাইভজি স্মার্টফোনের বিস্তৃত সমাহার নিয়ে আসবে ওয়ানপ্লাস।

আজ ১৫ মে থেকে ডিভাইসটি প্রি-অর্ডার করা যাচ্ছে; আর মাত্র ১৫,৯৯৯ টাকায় ৪ জিবি র‍্যাম ও ১২৮ জিবি রম ভ্যারিয়েন্টটি শোরুমে পাওয়া যাবে আগামী ২২ মে থেকে। পাশাপাশি, র‍্যাফেল ড্র’র মাধ্যমে (স্বাগত অফার) ওয়ানপ্লাস গ্রাহকদের মাত্র ৩০ টাকায় ডিভাইসটি কেনা বা ওয়ানপ্লাস নর্ড বাডস ২ বা একটি টি-শার্ট জিতে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ দিচ্ছে এই ব্র্যান্ডটি। এমন আকর্ষণীয় অফারের মধ্য দিয়েই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মডেল নর্ড এন৩০ এসই ফাইভজি’র যাত্রা শুরু হলো।

এ বিষয়ে ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশ’র সিইও মেঙ্ক ওয়াং বলেন, “সারাবিশ্বের মানুষের জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য; আর বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করার মধ্য দিয়ে আমাদের এই লক্ষ্য পূরণের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেলাম। স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের মাধ্যমে আমরা একটি প্রোডাক্ট ইকোসিস্টেম তৈরি করবো, যা ক্রেতাদের জন্য আকর্ষণীয় মূল্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি আরও সহজলভ্য করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।”

দেশের সকল প্রযুক্তিপ্রেমী মানুষের জন্য স্মার্টফোন প্রযুক্তির সর্বাধুনিক উদ্ভাবন ব্যবহারের সুযোগ নিশ্চিত করতে ওয়ানপ্লাস এর ফ্ল্যাগশিপ মডেল থেকে শুরু করে নর্ড সিরিজের সকল পণ্য বাংলাদেশ নিয়ে আসছে। এছাড়া, ব্যবহারকারীর ডিজিটাল জীবনযাত্রাকে আরও সমৃদ্ধ করতে ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২, ওয়ানপ্লাস প্যাড ২ সহ আরও নানান আইওটি পণ্য বাজারে নিয়ে এসেছে ব্র্যান্ডটি। প্রযুক্তিপ্রেমীরা নিচের লিঙ্ক থেকে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন -https://www.oneplus.com/bd/n30-se ।


আরও খবর



বাংলাদেশ ২ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১২১জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৯ রানের জয় পেয়েছে । টাইগাররা এর মধ্য দিয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে। তাওহীদ হৃদয় সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন এবং ৩ উইকেট শিকার করেন সাইফউদ্দিন।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়েকে ১৬৬ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের দাপটে পাত্তাই পায়নি সিকান্দার রাজার দল। শেষ দিকে জয়ের আশা জাগালেও ৯ রানে হারে তারা।

রান তাড়ায় মাঠে নেমে ধারাবাহিক বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবুয়ে। ১০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাড়ায় ৪ উইকেটে ৬৫ রান। মোটামুটি কঠিন লক্ষ্যে ব্যাট করতে থাকা সফরকারীরা তখন অনেকটাই চাপে।

এক পর্যায়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাড়ায় ৮ উইকেটে ৯১ রান। এরপর আকরাম ও মাসাকাদজা টানা বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেন। তবে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৫৬ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করেন লিটন দাস ও তানজিদ তামিম। চতুর্থ ওভারে বাজেভাবে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন লিটন। পরের ওভারেই সিকান্দারের বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত।

তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন তানজিদ তামিম। তিনিও বিদায় নেন ২১ রানের ইনিংস খেলে। এরপর জাকের আলী ও হৃদয়ের ব্যাটে লড়াকু সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

হৃদয় বোল্ড হন ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫৭ রানের ইনিংস খেলে। একই ওভারে মুজারাবানি শিকার করেন ৪৪ রান করা জাকেরকেও। শেষ দিকে মাহমুদউল্লা রিয়াদ ও রিশাদের ব্যাটে ১৬৫ রানের সংগ্রহ গড়ে টাইগার শিবির।


আরও খবর