Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীর ১৫ বছরের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরেছেন নাজির মিয়া

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৯৭জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া:আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া -১সংসদীয় ২৪৩ নাসিরনগর আসনের ১৩ টি ইউনিয়নের ১০৮ টি গ্রামের ১১৭  ওয়ার্ডে দিন রাত চষে বেড়াচ্ছেন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃনাজির মিয়া ও তার,সহধর্মীনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি রোমা আক্তার,তার শ্যালক উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি জি এম আরমান নুর সহ তাদের সফর সঙ্গীরা।

আলহাজ্ব নাজির মিয়া বলেন তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় গিয়ে জনগণের সামনে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের বিগত ১৫ বছরের উন্নয়নের ফিরিস্তি জনতার সামনে তুলে ধরেছেন।এভাবে  তিনি নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করেছেন।গতকাল ৫ নং ফান্দাউক ইউনিয়ের ৫নং ওয়ার্ডের মাধ্যমে তার ১১৭ উঠান বৈঠকের কাজ সম্পন্ন করেছেন।

উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট নাসিরনগর গড়তে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ নাসিরনগর আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চান তিনি।প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নৌকা মার্কায় ভোট প্রদানের জন্য অনুরোধ করে চলেছেন তিনি। তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরাও চায় নাজির মিয়া কে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হউক। কর্মী সমর্থকরা মনে করেন তিনি সংসদ সদস্য হলে নাসিরনগরের উন্নয়নে সর্বাত্মক ভূমিকা রাখবেন। কর্মী সমর্থকদের কাছে নাজির মিয়া একজন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা হিসেবে পরিচিত।

তিনি স্কুল জীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতিরসাথে জড়িয়ে পড়েন।১৯৭৯ সালে যখন দশম শ্রেনীর ছাত্র ছিলেন নাজির মিয়া তখন বঙ্গবন্ধুর প্রতি অকৃত্তিম ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৮১ সালে ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তারপর ১৯৮৬ সালে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এবং ১৯৯১ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য নির্বাচিত হন৷নাজির মিয়া ২০০৩ সালে বাংলাদেশ কৃষকলীগ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়ে কৃষকলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন।

পরপর ২০০৬ ও ২০১৯ সালে টানা দুই মেয়াদে বাংলাদেশ কৃষকলীগ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে কৃষকদের কল্যানে কাজ শুরু করেন।তার প্রয়াত পিতা হাজী মো. অলি মিয়া ও পরিবারের সকলেই বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার সহধর্মিনী নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রোমা আক্তার। তার শশুর প্রয়াত বীরমুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অবঃ) গোলাম নূর ছিলেন নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া তিনি নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানও ছিলেন। আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হওয়ার কারণে দলের দূর্দিনের সময় তিনি ও তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সময় জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির প্রতি প্রচণ্ড আত্ববিশ্বিাসী এ কৃষকলীগ নেতা। তিনি  জনসেবায় নিজেকে সব সময় জড়িয়ে থাকতে পছন্দ করেন। বর্তমানে স্থানীয় এমপি থাকা সত্বেও এলাকার মানুষ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা নিতে আসেন তার কাছে । সদালাপি ও ধৈর্য্য ধরে মানুষের কথা শোনেন, সেই কারণে মানুষের কাছে তিনি একজন পরিচ্ছন্ন মানুষ হিসেবে পরিচিত। তিনি সকলের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন সবসময়।বাংলাদেশ কৃষকলীগ,কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মো. নাজির মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নেত্রীত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যদা অর্জন করেছে।জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ১৪ বছরের উন্নয়ন কর্মকান্ড গুলো জনগনের সামনে তুলে ধরছেন তিনি।

সেই সঙ্গে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেত্রীত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত-সমৃদ্ধ, সুন্দর ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করতে তরুণদের কাজে লাগাতে চান তিনি। গড়তে চান স্মার্ট নাসিরনগর। দলের দু:সময়ে নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের হাল ধরে দলকে ঐকবদ্ধ করেছেন তিনি।করোনা কালিন সময়ে তিনি নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে নিজস্ব অর্থায়নে নাসিরনগর উপজেলার অন্তত ৬ হাজার কর্মহীন, দরিদ্র, দিনমজুর ও অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ছুটে গিয়েছেন।

দলের নিবেদিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের পাশে দাড়িয়েছেন।বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত হিসেবে তাকেই নেত্রী মনোনীত করবেন বলে আশাবাদী তিনি ও তার সমর্থকরা। তাকে দলের মনোনয়ন দিলে দলের ত্যাগী ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে দলমত নির্বিশেষে সবাই তাকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করবেন বলে তিনি আশাবাদী।

উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগসহ আওয়ামীলীগের  অঙ্গ-সংগঠনের সমর্থকরা রয়েছেন তার সঙ্গে। তারা মনে করছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে তিনি নৌকার প্রতীক নিয়ে আসতে পারবেন। কারণ তারা বলছেন, অন্য প্রার্থীর থেকে  নাজির মিয়ার কোনও বিকল্প নেই। নাসিরনগরের উন্নয়নে নাজির মিয়ার মত যোগ্য ব্যক্তি প্রয়োজন বলে জানান তার  কর্মী সমর্থক ও দলীয় লোকজন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



খাগড়াছড়িতে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮টি নতুন ভবন উদ্বোধন

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়িতে  শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এর বাস্তবায়িত  ১৫ কোটি টাকা ব্যায়ে জেলার স্কুল, মাদ্রাসার ৮টি  নতুন  একাডেমিক ভবনের  উদ্বোধন করা হয়েছে।

রবিবার (১২নভেম্বর)সকালের দিকে খাগড়াছড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এর বাস্তবায়িত ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮টি  নতুন  একাডেমিক ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নলেন্দ্র ত্রিপুরা, র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব ভবন উদ্বোধন করেন 

খাগড়াছড়ি আসনের সংসদ সদস্য ও ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান ( প্রতিমন্ত্রী) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

যেসমস্ত নতুন  একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে খাগড়াছড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, খাগড়াছড়ি মিউনিসিপাল মডেল উচ্চ বিদ্যালয়,

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার  মনিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়,মহালছড়ি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,মহালছড়ি উপজেলার বীরশ্রেষ্ট মুন্সি আব্দুর রউফ উচ্চ বিদ্যালয়,  দীঘিনালা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, দীঘিনালা উপজেলার চংড়াছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, মাটিরাঙ্গা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা।

এসময়  খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা,  খাগড়াছড়ি সহকারী পুলিশ সুপার সৈয়দ মুমিদ রায়হান,  খাগড়াছড়ি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এর নির্বাহী প্রকৌশলী প্রিসলি চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সনজীব ত্রিপুরা, পেরাছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তপন বিকাশ ত্রিপুরা সহ জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



"সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র"

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬০জন দেখেছেন

Image
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন (ফাইল ছবি)

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উপমহাদেশে রাজনীতি ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র বলেছেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, গণতন্ত্রের মানসপুত্র সোহরাওয়ার্দী ছিলেন প্রতিভাবান রাজনীতিক, আইনজ্ঞ, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা ও গণপরিষদের সদস্য এবং অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি শ্রমজীবীসহ এতদঞ্চলের অবহেলিত মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে নাবিক, রেল কর্মচারী, পাটকল ও সুতাকল কর্মচারী, রিকশাচালক, গাড়িচালকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মেহনতি মানুষের স্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তুলেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন বিচক্ষণ ও প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিক সংগঠক। তিনি ব্রিটিশ ভারতে মুসলমানদের সংগঠিত করতে ১৯২৬ সালে ইন্ডিপেন্ডেন্ট মুসলিম পার্টি ও ১৯৩৭ সালে ইউনাইটেড মুসলিম পার্টি গঠন করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগ (পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ) প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে যুক্তফ্রন্টের অনবদ্য বিজয়েও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আমৃত্যু আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, গণতন্ত্রের বিকাশ ও এতদঞ্চলের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী যে অবদান রেখে গেছেন জাতি তা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, তার জীবন ও কর্ম আগামী প্রজন্মকে গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনা ও জনগণের সার্বিক কল্যাণে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩




ঠাকুরগাঁওয়ে চার কলেজের পাস করেনি কেউ

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

হরিপুর ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:২০২৩ সালের সকল শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠনগুলির পাসের হার মোটামোটি ভালো থাকলেও জেলার ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাসের সংখ্যা শূন্য এবং চারটিতে পাস করেছে মাত্র একজন করে।

রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকালে ঠাকুরগাঁও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আকতার একটি ফলাফলের তালিকা দেন। সেই তালিকায় দিনাজপুর বোর্ডের অধিনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় ঠাকুরগাঁওয়ের ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন ফলাফল।

১ জনও পাস করেনি যেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সেসব প্রতিষ্ঠান হচ্ছে-মোড়লহাট জনতা স্কুল এন্ড কলেজ, হাজীপুর কলেজ, কদমরসুল হাট স্কুল এন্ড কলেজ ও পীরগঞ্জ আদর্শ কলেজ।

১ জন করে পাস করেছে যেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সেসব প্রতিষ্ঠান হলো- রত্নাই বগুলাবাড়ী হাই স্কুল এন্ড কলেজ, বাশগাড়া আইডিয়াল কলেজ, ঠাকুরগাঁও নিউ মডেল স্কুল এন্ড কলেজ ও কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ।

এবারে ঠাকুরগাঁও জেলায় ৩৬ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে মোট ১৪ হাজার ৭৯৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ২০ টি কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ৮ হাজার ৯৫৬ জন, ০৫ টি কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৩৫ জন ও ১১ টি কেন্দ্রে ভোকেশনাল ও বিএম শাখায় ৪ হাজার ৮০৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

জানতে চাইলে সদর উপজেলার কদম রসুল হাট স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন বাবুল বলেন, ‘আমাদের কলেজ থেকে শুধু মানবিক বিভাগ থেকে মোট ৪ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষা দিয়েছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ পাস করতে পারেনি।

পাস না করতে পারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘এদিকে গ্রামাঞ্চলের ছেলে মেয়ে গুলো তেমন কলেজে আসে না ও ক্লাশ করতে চায় না। শিক্ষকরা প্রতিদিন কলেজে আসলেও ক্লাশে তেমন ছাত্র-ছাত্রী আসতো না। আবার যারা আসতো তাদের মধ্যে শুধু মাত্র ৪ জন পরীক্ষা দিয়েছে। বাকি প্রায় আরও ৩০ জনের মতো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ-ই করেনি।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আকতার বলেন, ‘আমি ঠাকুরগাঁওয়ে যোগদান করেছি মাত্র কয়েকদিন হচ্ছে। তাই এ মুহুর্তে আমি তেমন কিছু বলতে পারছিনা।


আরও খবর



যমুনা নদীতে নিখোঁজের ৩দিন পর বাঁধ নির্মাণ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে যমুনা নদীর তীর রক্ষার বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজের ৩ দিন পর শ্রমিক আকোব্বর আলী (৬০) লাশ উদ্ধার করেছে চৌহালী নৌ পুলিশ।

রবিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার জনতা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন যমুনা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে স্বজন ও নৌ পুলিশকে খবর দিলে তারা লাশ উদ্ধার করে। 

শ্রমিক আকোব্বর আলী কুষ্টিয়া জেলার খোকশা উপজেলার কোমরভোগ গ্রামের মৃত কাছেদ আলীর ছেলে।

গত বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) উপজেলার জোতপাড়া এলাকায় বিকেলে যমুনায় নৌকা ঘোরানোর সময় হালের বাড়ি লেগে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় তিনি। নিখোঁজের পর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালায়। দুইদিনেও খুঁজে না পাওয়ায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করেন। 

এ বিষয়ে চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সামছুল হক বলেন, জোতপাড়া এলাকায় বাঁধের কাজ করতে আসা এক শ্রমিক নৌকা থেকে পড়ে গত তিন দিন আগে নিখোঁজ হয়। আজ বিকেলে জনতা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন যমুনা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে আমাদের খবর দিলে আমরা গিয়ে উদ্ধার করি।

আরও খবর



মোরেলগঞ্জ যুবলীগ কর্মীর রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৪২জন দেখেছেন

Image

মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে তৌহিদুল ইসলাম (৪২) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে পিটিয়ে কুপিয়ে হাত, পা ভাঙ্গাসহ পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১ টা ৪০ মিনিটের দিকে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বৌ বাজার এলাকায় এ মারপিটের ঘটনা ঘটে। রাত ৩ টার দিকে স্বজনেরা তৌহিদুলকে উদ্ধার করে আশংকাজনক অবস্থায় বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আলীম জনান, কামলা গ্রামের আমির হোসেন হাওলাদারের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম ঢাকায় বিদ্যুৎ বিভাগের ঠিকাদারি কাজ করে। সে যুবলীগের ত্যাগী কর্মী। রাতে পরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা করা হয়েছে। তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, ঘটনার সময় ৫ মাস বয়সী শিশু সন্তানের জন্য ওষুধ কেনার জন্য নিকটস্থ বাজারে গেলে দুর্বৃত্তরা তৌহিদুলের ওপর হামলা করে। তার অবস্থা আশংকাজনক।

এ ঘটনার জের ধরে (৬ ডিসেম্বর আজ বুধবার) সকাল ৯টার দিকে কামাল বাজার এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে দ্#ু৩৯;দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। এখনও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো সাইদুর রহমান বলেন, মারপিটের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। পরিস্থিতি শান্ত আছে।


আরও খবর