Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩
শিরোনাম

পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত থাকতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রিয়াসুস সতর্ক করে বলেছেন, বিশ্বকে পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এমনকি এটি কোভিড-১৯ মহামারীর চেয়েও মারাত্মক হতে পারে বলে জানান তিনি।

আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৭৬তম সভায় এক প্রতিবেদন পেশ করার সময় এসব কথা বলেন তেদরোস।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তা বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসের স্বাস্থ্য হুমকির সমাপ্তি নয়।

তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বে করোনাভাইরাসের আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট উদ্ভূত হওয়ার হুমকি এখনও রয়ে গেছে। যা নতুন করে এই রোগ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াতে পারে। এর ফলে মারাত্মক শঙ্কাসহ নতুন করে আরও রোগজীবাণু উদ্ভূত হওয়ার হুমকিও রয়ে গেছে।

ডব্লিউএইচও’র প্রধান বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অধীনে স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত লক্ষ্যগুলো অর্জনের বিরুদ্ধে কোভিড-১৯ উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে, যার সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত। এছাড়া করোনা মহামারি ২০১৭ বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে ঘোষিত ট্রিপল বিলিয়ন লক্ষ্যমাত্রার অগ্রগতিকেও ক্ষতির মুখে ফেলেছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহুান শহরে করোনা ভাইরাসের প্রথম উৎপত্তির খোঁজ পাওয়া যায়। এর কিছুদিনের মধ্যেই পুরো দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস।


আরও খবর



নাসিরনগরে ধর্মীয় শিক্ষক সহ ৬ জনের বিরোদ্ধে মিথ্যা ডাকাতির মামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ২১৪জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান: ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নাসির নগর উপজেলার সাবেক ফান্দাউক মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার ও বর্তমানে কুন্ডা উচ্চবিদ্যালয়ের  ধর্মীয় শিক্ষক বুড়িশ্বর ইউনিয়নের ভোলাউক বাসিন্দা মাওলানা জসিম উদ্দিন সহ গ্রামের আরো নিরীহ ৬ জনের বিরোদ্ধে জসিমের আপন বড় ভাই নুর উদ্দিনের স্ত্রী মোছাঃ জাহানারা বেগম বাদী হয়ে  ৫ই এপ্রিল ২০২৩  তারিখে  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে  সি,আর  মামলা নং -১৭৯/২৩ দায়ের করেন।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত পূর্বক প্রতি্েদন দাখিলের নির্দেশ দেন।বাদীনি তার মামলায় উল্লেখ করেন, আসামীগনের সুনির্দিষ্ট কোন পেশা না থাকায় তারা ঘটনাস্থল সহ আশেপাশের এলাকায় চুরি ডাকাতি করে জীবিকা নির্বাহ করে। ৬নং আসামী মাওলানা জসিম উদ্দিন সকল আসামীদের অপকর্মের গড ফাদার হিসাবে কাজ করে এবং আসামীদের বিরুদ্ধে চুরি ছিনতাইয়ের মামলা মোকদ্দমা হইলে তাদেরকে তদবির করে জামিনে মুক্তি করে নিয়ে আসেন।

তিনি আরো উল্লেখ করেন  আসামী মাওলানা  জসিম উদ্দিনের সহযোগীতার কারণে অন্যান্য আসামীরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে সাধারণ মানুষের প্রতি অত্যাচার নির্যাতন এবং গ্রাম সহ আশেপাশের এলাকায় ও বিভিন্ন সময় রাতের বেলায় রাস্তায় গাড়ী আটকাইয়া চুরি ছিনতাই ও ডাকাতি করে থাকে। আসামীদের বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানা সহ আশেপাশের বিভিন্ন থানায় চুরি ছিনতাই, ডাকাতি, ডাকাতির প্রস্তুতি সহ বিভিন্ন  মামলা মোকদ্দমা চলমান আছে।এদিকে মামলা দায়েরের  পর থেকে এলাকায় চলছে নানা আলোচনা সমালোচনার ঝড়।

জসিম ধর্মীয় শিক্ষক ছাড়াও তিনি ঐতিহ্যবাহী ফান্দাউক দরবার শরীফের মোবাল্লিক ও ফান্দাউক মদিনাতুল উলুম আলিম মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক এবং বর্তমানে কুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষক মাও ক্বারী জসিম উদ্দিনকে নিয়ে।তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি  দারুল কেরাত মাজিদিয়া ফুলতলী ট্রাষ্টের খামিছ জামাতের পরিক্ষকও বটে। এমন একজন ব্যক্তির উপর এমন মামলা দায়ের করায় সমস্ত গ্রামবাসী সহ  আশপাশ এলাকা ও নাসির নগর উপজেলার সচেতন মহল ও আলেম উলামাদের  মাঝে  চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।

মাওলানা ক্বারী জসিম উদ্দিন  শুধু শিক্ষকতাই করেন না এসাথে তিনি স্হানীয় একটি মসজিদের জুম্মা নামাজ পড়ানোর ইমামের দায়িত্বও পালন করে যাচ্ছেন।এ বিষয়ে সরজমিনে এলাকায় গিয়ে মামলায় জসিম হুজুরকে আসামী করার কারন জানতে চাইলে বাদীনি জানায় ডাকাতির সময় রাত ৩ ঘটিকার জসিম বারান্দায় দাড়িয়ে ছিল।অথচ বাদীনির স্বামী মোঃ নুর উদ্দিন বলেন জসিম হুজুর এ দিন বিকালে বাড়িতে এসে সবাইকে ডাকাতি করার জন্য নির্দেশ দিয়ে চলে যায়।

গ্রামের সুরব্বি  অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী,সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ শিরু মিয়া গ্রাম পুলিশ মোঃ আব্দুল আওয়াল,ইউপি সদস্য মোঃ ইলিয়াছ মিয়া  স্থানীয় মসজিদের ইমাম সহ আশপাশের শত শত নারী পুরুষ জানায় ভোলাউক গ্রামে এ ধরনের কোন চুরি ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি।জমি থেকে পানি নিস্কাশনের রাস্তা নিয়ে দু পক্ষের মাঝে ঝগড়া হয়েছে।জসিম হুজুরের বিরোদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা তারা অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।এলাকাবাসী জানায় জাহানারা বেগম খুব ভয়ংকর প্রকৃতির মহিলা ।ঐ মহিলার বিরুদ্ধে কোন ব্যক্তি মুখ খুলতে সাহস পায় না।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আসামী জসিম হুজুর মামলাটি সঠিক তদন্ত পূর্কব প্রয়োনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সহ মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সুবিচার দাবী করেন।মুঠোফোনে এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর  মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম চলছে। প্রকৃত সত্য উদঘাটন করেই আদালতে চার্জসীট দেয়া হবে।ঘটনার সাথে জড়িত না থাকলে কোন লোককে অন্যায় ভাবে ফাঁসানো সম্ভব হবে না।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



মাগুরায় চলতি মৌমুমে ২৫ কেটি টাকার লিচু উৎপাদন

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে: মাগুরায় প্রচন্ড তাপদাহে লিচুর গুটি ঝরে গেলেও চাষিদের প্রচেষ্টায় মাগুরায় লিচুর ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। তবে আকার হয়েছে ছোট। ইতোমধ্যে দেশী জাতের লিচু আগাম বাজারে উঠতে শুরু করেছে। চলতি বছর তাপদাহে লিচুর ফলন কম হলেও অন্তত 

২৫ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় লিচু ব্যবসায়ী ও চাষিরা।

জানা গেছে , জেলার সদর উপজেণার হাজরাপুর , ইছাখাদা , রাউতড়া , খালিমপুর , হাজীপুর , রাঘবদাইড়, নড়িহাটি ,  শিবরামপর সহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লিচুর চাষ হয়ে আসছে । উল্লেখিত এলাকায় তিন  হাজারেও বেশি লিচুর বাগান রয়েছে। যেখানে দেশী জাতের পাশাাপাশি  বোম্বাই ও চায়না-৩ জাতের লিচুর বাগান গড়ে উঠেছে।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর, হাজীপুর ও রাঘবদাইড় ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ৫৮০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। বাগান গড়ে উঠেছে ২১০০টি। এছাড়া অন্যান্য ইউনিয়নে আরো কয়েক হাজার বাগানে লক্ষাধিক গাছ রয়েছে। এ বছর লিচুর ফলন কম হলেও ২৫ কোটি টাকার লিচু পাওয়া যাবে বলে লিচু চাষিরা মনে করছেন।

ইতিমধ্যে এসব বাগানের স্থানীয় জাতের লিচু মাগুরা শহরের বিভিন্ন বাজারে উঠতে শুরু করেছে। যেখানে প্রতি শত লিচু  দুই শত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



গোদাগাড়ীতে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে গোলটেবিল বৈঠক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

মুক্তার হোসেন গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ”ছড়িয়ে দিই তারুণ্যের কন্ঠস্বর” এই প্রতিপাদ্যে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে গোলটেবিল বৈঠক। মঙ্গলবার দুপুর ২টার সময় উপজেলা পরিষদ হলরুমে ওর্য়াল্ড ভিশন বাংলাদেশ, গোদাগাড়ী এপি’র আয়োজনে।ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ,গোদাগাড়ী এপি ম্যানেজার প্রেরণা চিশিশের সভাপতিত্বে। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত। গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথি ছিলেন গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন,উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আলমগীর কবির তোতাসহ বিভিন্ন ধর্মের ইমাম ও পুরোহিতরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ল্ড ভিশণ বাংলাদেশ,গোদাগাড়ী এপির প্রোগ্রাম অফিসার এন্ড্রিকাস মুর্মু, মিল্টন রোজারিও, শ্যামল কস্তা, ডেভিড সাংমা, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার, ফিলিপ বিশ^াস, সন্তোষ মিত্র। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে গোলটেবিল বৈঠকটি উপস্থাপনা করেন উপজেলা শিশু ফোরাম সভাপতি মনিরা খাতুন।বক্তারা বলেন, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর মূল বিষয়সমূহ সকলের কাছে উপস্থাপন করে বলেন, বাল্যবিবাহ আমাদের দেশের একটি প্রধান সমস্যা যা ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বা প্রতিবেদনে আমরা দেখতে পাই।

বাংলাদেশ সরকারও উক্ত বিষয়ে সর্তক অবস্থানে আছে এবং তা প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। তিনি সকলকে আহবান করে প্রত্যেকের নিজ নিজ অবস্থান সচেতনতা বৃদ্ধিসহ প্রতিরোধ করার জন্য। পাশাপাশি বিশেষ অতিথিগণও উক্ত বিষয়ে সচেতন তাদের সকল ধরণের সহযোগীতা প্রদান করার জন্য। প্রধান আলোচকসহ সকল অতিথিগণ গোদাগাড়ী এপি, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ কে ধন্যবাদ জানান এত সুন্দর একটি গোল টেবিল বৈঠক আয়োজন করার জন্য। উল্লেখ্য যে, সংস্থাটি ২ থেকে ৩১মে, ২০২৩ বিশ্ব ব্যাপী “মে মোমেন্টাম” ক্যাম্পেইন এর অংশ হিসেবে বাল্য বিবাহ হ্রাস করার লক্ষ্যে উক্ত কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে যেখানে কিশোর কিশোরী, যুবক যুবতী, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দসহ এলাকার সূধীজন অংশগ্রহণ করে উক্ত বিষয়ে তাদের মূল্যবান মতামত প্রদান করে।


আরও খবর



মাগুরায় ৬ ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রীকে অচতন করে মাইক্রোবাসে তুলে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে: মাগুরায় ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে অচেতন করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে  শ্লীলতাহানি অভিযোগ পাওয়া গেছে।

১৩ বছরের ঐ মেয়েটি কোচিং সেন্টারের যাওয়ার সময় অজ্ঞান করে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। ২ ঘন্টা পর দুর্বৃত্তরা অচেতন অবস্থায় ওই মেয়েকে  উপজেলা পরিষদের সামনে ফেলে রেখে গেলে স্বজনরা উদ্ধার করে প্রথমে শালিখা থানা ও পরে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল ভর্তি করে। শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ওই মেয়েকে অচেতন করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে পুনরায় রেখে যায়। শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শনিবার জেলার শালিখা উপজেলা আড়পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
শ্লীলতাহানির শিকার ওই মেয়ের নানা এনামুল কবির মেয়েটির বরাত দিয়ে জানান, ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী তার নাতি প্রতিদিনের মতো বিকালে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে আড়পাড়া কালী মন্দির এর সামনে তিনটার দিকে পৌঁছালে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তার মুখে রুমাল চেপে তাকে অজ্ঞান করে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এরপর বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে অচেতন অবস্থায় শালিখা উপজেলা পরিষদ অফিসের সামনে ফেলে রেখে চলে যায়। মেয়েটি অচেতন থাকায় ঠিক তার উপরে কতজন কি নির্যাতন করেছে সে কিছু বলতে পারছে না। তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মাগুরার শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ মেয়েটিকে অচেতন করে সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করে  দুই ঘন্টা পর তাকে শালিখা উপজেলা পরিষদ অফিসের সামনে ফেলে রেখে গিয়েছে । মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেয়েটির বক্তব্য অনুযায়ী তাকে যারা কোচিংয়ে যাওয়ার পথে বিরক্ত করতো তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট প্রাপ্তি ও মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



তানোর পৌরসভার জন্ম নিবন্ধনের প্রায় ৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ১১৯জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌরসভার জন্ম নিবন্ধনের প্রায় ৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন মাস্টার রোল কর্মচারী দেলোয়ার বলে নিশ্চিত করেন মেয়র ইমরুল হক। আত্মসাতের ঘটনা জানতে পেরে মেয়র দেলোয়ারকে সে দায়িত্ব থেকে বাদ দিয়ে কাজিম নামের আরেক জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একজন মাস্টার রোল কর্মচারী এত টাকা কি ভাবে আত্মসাৎ করেন এটা নিয়ে পৌর কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে, সেই সাথে মেয়রের বিরুদ্ধেও উঠেছে সমালোচনার ঝড়। কারন মেয়রের ইন্ধন ছাড়া এত টাকা গায়েব করা অসম্ভব বলে মনে করছেন তারা।

জানা গেছে, বিগত ২০২১ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি তানোর পৌরসভা ভোটে প্রথমবারের মত নির্বাচিত হন নৌকার প্রার্থী পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি ইমরুল হক। দায়িত্ব পেয়ে তার আত্মীয় ধানতৈড় গ্রামের দেলোয়ারকে চুক্তি ভিত্তিক বা মাস্টাররোলে নিয়োগ দেওয়া হয়। সে ওই গ্রামের মৃত আওয়ালের পুত্র। দেলোয়ার জন্ম নিবন্ধনের কাজ শুরু করেন। কাজ শুরু পর থেকে জন্ম নিবন্ধনের টাকা সরকারী কোষাগারে জমা না দিয়ে তছরুপ করেন। সম্প্রতি বিষয়টি ধরা পড়লে মেয়রসহ কর্মকর্তারা হতাশ হয়ে পড়েন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তারা জানান, জন্ম নিবন্ধনের টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দিতে হয়। কিন্তু বিগত ২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকে টাকা জমা না দিয়ে নিজের পকেটে রাখেন দেলোয়ার। শুধু তাই না নিবন্ধন নিতে আসা ব্যক্তিদের কাছে নানা তালবাহানায় অধিক টাকা আদায় করে থাকেন এবং  খারাপ আচরণ করেন। এসব নিয়ে মেয়রকে একাধিকবার বলা হলেও কোন গুরুত্ব দেন নি। না দেওয়ার কারনে ও মেয়রের ইশারায় টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে আমরা মনে করছি। কারণ দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা কাজিমকে কোন কাজ করতে দেওয়া হত না। কিন্তু টাকা আত্মসাতের পর পুনরায় কাজিমকে কাজ করতে দেওয়া হয়েছে। 

অভিযুক্ত দেলোয়ার বলেন, আমি টাকা আত্মসাৎ করিনি, টাকা নিয়ে আলু কিনেছিলাম, আলু বিক্রি করে গত সপ্তাহে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ করা হয়। আপনি কার অনুমতি নিয়ে টাকা কোষাগারে জমা না দিয়ে ব্যবসা করেছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ধানে বাতাস দিচ্ছি পরে কথা বলছি। পরে আর কথা বলতে চাননি। অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী ও সচিব সরদার জাহাঙ্গীরের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। এতদিন ধরে টাকা জমা হয়নি আপনি কেন জানতেন না প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন মেয়র ভালো বলতে পারবে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মেয়র ইমরুল হক বলেন, আমি জানার পর টাকা ফেরত দিতে বলি, দেলোয়ার বলে আমি আলু কিনেছি বিক্রি করে টাকা ফেরত দিব। এজন্য তাকে চাপ দেওয়া হয়নি। গত সপ্তাহে আলু বিক্রি করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে। ১০ টাকা কেজি আলু কিনে ২৮ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছে, ভালোই দান মেরেছে। আমি এ সুযোগ তাকে দিয়েছিলাম। দেলোয়ার বলেছে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে আরো কয়েক লাখ টাকা পাবে জানতে চাইলে মেয়র জানান না এত টাকা হবে না বলে দায় সারেন তিনি।


আরও খবর