Logo
আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

প্রায় ৫০ হাজার বিঘা জমিতে সরিষা চাষ ফলন ও দামে খুশি তানোর কৃষকরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৯২জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর, তানোর : রাজশাহীর তানোরে রেকর্ড পরিমান প্রায় ৫০ হাজার বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করে লাভ বান হচ্ছেন কৃষকরা। দেশ স্বাধীনের পর এই প্রথম এত পরিমান জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে বলে মনে করছেন কৃষি বিভাগ। সরিষা উঠতে শুরু করেছে ফলনও ভালো দামেও খুশি চাষীরা। এতে করে সল্প খরচে অধিক লাভ পাচ্ছেন কৃষকরা। ফলে আগামীতে আরো বেশি পরিমান জমিতে সরিষা চাষ হবে বলে মনে করছেন কৃষি বিভাগ।

জানা গেছে, উপজেলায় চলছে বোরো রোপন। সেই সাথে সরিষা কাটা মাড়াই চলছে। কারন সরিষা তুলে ওই জমিতে বোরো রোপন করবেন চাষীরা। উপজেলার প্রায় প্রতিটি মাঠে হয়েছে সরিষা চাষ। যা ইতিপূর্বে কখনো হয় নি। যে সব জমিতে অতীতে আলু চাষ হয়েছিল সেই সব জমিতে এবার সরিষা চাষ করে বাম্পার ফলন পাচ্ছেন চাষীরা। 

সুত্রে জানা যায়, বিগত বছর থেকে এখন পর্যন্ত সকল ধরনের তেলের দাম দ্বিগুন। আমদানি নির্ভর সোয়াবিন ও পাম ওয়েল তেল। বিশেষ করে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে লাগাম হীন তেলের বাজার। যার কারনে দেশে তেল উৎপাদন করতে দেশব্যাপী সরকার সরিষা বীজ ও সার বিনা মুল্যে কৃষকদের দেন। যার কারনে সারা দেশের সাথে তাল মিলিয়ে উপজেলায় রেকর্ড পরিমান জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। অতীতে হাতে গোনা কিছু কৃষক সরিষা চাষ করতেন। কিন্তু প্রনোদনা পেয়ে উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে সরিষা চাষ করেছেন প্রান্তিক কৃষকরা।

 কামারগাঁ ইউপি ছাঐড় গ্রামের কৃষক  আব্দুল জানান, ২ বিঘা জমিতে সরিষা রোপন করেছি, সরিষার গাছ ভালো আছে, ১০-১২ দিনের মধ্যে তুলা হবে। বিঘাপ্রতি ৫ হাজার টাকা  খরচ হয়েছে। একই এলাকার কৃষক মামুন ৩ বিঘা, আপেল মোহাম্মাদ আলী পুর দেড় বিঘা, তমিজ হাতিনান্দা দেড় বিঘা,জুয়েল ১ বিঘা, জাহাঙ্গীর দশ কাঠা, আব্দুর রহমান গুবিরপাড়া ১০ কাঠা,হাবিবুর ১ বিঘা জমিতে সরিষা রোপন করেছেন। তবে গুবিরপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান জানান, ১০ কাঠা জমিতে সরিষা রোপন করে মাড়াই করা হয়েছে, কিছু কম তিন মন সরিষা হয়েছে। চাষীরা আরো জানান, যাদের নিজস্ব জমি, তাদের খরচ বিঘাপ্রতি ৫ হাজার টাকা হবে।আর লীজের জমিতে ৭ হাজার টাকা খরচ হবে। সরিষা চাষে খরচ আরো কম হত যদি সার কীটনাশকের দাম বাড়তি না হত।

কৃষি অফিস সুত্র জানা যায়, এই প্রথম উপজেলায় ৬ হাজার ২১০ হেক্টরের বেশি জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বারি-৯- জাতের সরিষা ৮৩ হেক্টর, বারি ১৪,- ৪৭৮৬ হেক্টর- বারি১৫- ৭৩ হেক্টর বারি ১৭- ১১৮৯ হেক্টর বারি ১৮-৪৭ হেক্টর বিনা -৯ ২৪ হেক্টর এবং বিএডিসি-১- ৮ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। বিঘাপ্রতি সর্বোচ্চ খরচ ৭ হাজার টাকা, বিঘায় ফলন নিম্মে ৬ মন, বাজারে ১ মন সরিষা প্রকার ভেদে ৩২০০-৩৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিঘায় নিম্মে হলেও ৭ হাজার থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা লাভ হবে।

 উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, বর্তমান সরকার তেলের ঘাটতি মিটাতে সরিষা চাষের সঠিক সময়ে উপজেলার  ৩৫০০ জন প্রান্তিক কৃষক বীজ ও সার প্রনোদনা পেয়েছিলেন। একারনে রেকর্ড পরিমান জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। সরিষা চাষে খরচ কম, লাভ ভালো।  সরিষা থেকে তেল, মধু ও জালানি হিসেবে ব্যবহার হয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকার কারনে এবং সার্বক্ষনিক মাঠ তদারকির ফলে রোগ বালা নেই। যেখানেই সমস্যা হয়েছে, সেখানেই পৌছে সঠিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর সুফলও পেয়েছেন চাষীরা। সরিষা মাড়াই করে বা খোজ নিয়ে জানা গেছে ৬- ৭ মন ফলন হচ্ছে। আগামীতে আরো বেশি জমিতে সরিষা চাষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই কৃষিবিদ কর্মকর্তা।


আরও খবর

পোরশায় কৃষদের মাঝে রবি শস্য বীজ বিতরণ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

গাংনীর ফুলকপি চাষীদের মাথায় হাত

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




শীর্ষ ডেটা স্টোরেজ প্ল্যাটফর্মের স্বীকৃতি পেল হুয়াওয়ে ওশানস্টোর প্যাসিফিক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১২জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি গবেষণা ও পরামর্শক সংস্থা গার্টনার সম্প্রতি হুয়াওয়ে ওশানস্টোর প্যাসিফিককে অন্যতম শীর্ষ ডেটা স্টোরেজ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সম্প্রতি গার্টনার প্রকাশিত ‘২০২৩ ক্রিটিক্যাল ক্যাপাবিলিটিজ ফর ডিসট্রিবিউটেড ফাইল সিস্টেমস অ্যান্ড অবজেক্ট স্টোরেজ’ রিপোর্টের মাধ্যমে এ স্বীকৃতি দেয়া হয়। এটি হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের উচ্চক্ষমতার ভারসাম্যপূর্ণ স্কেল-আউট স্টোরেজ সল্যুশন। গার্টনারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্যবহারিক পর্যায়ের সাতটি ক্ষেত্রের মধ্যে পাঁচটিতেই শীর্ষস্থান অর্জন করেছে ওশানস্টোর প্যাসিফিক।

এ প্রতিবেদন তৈরির জন্য গার্টনার বিভিন্ন জটিল সক্ষমতা ও সাতটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতিটি স্টোরেজ প্রোডাক্টের মূল্যায়ন করেছে। এবং তারপর একটি বিস্তৃত রিপোর্ট তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। রিপোর্টে বিভিন্ন স্টোরেজ প্রোডাক্টের সক্ষমতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেওয়া হয়েছে। ফলে গ্রাহকদের জন্য এটি একটি অপরিহার্য রেফারেন্স গাইড হয়ে উঠেছে।

প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে সবসময়ই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর এটা হলো ওশানস্টোর প্যাসিফিকের পণ্যের সক্ষমতার ধারাবাহিক রূপান্তরের একটি মূল কারণ, যাতে করে গ্রাহকদের সব ধরণের ব্যবসায়িক চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়।

হুয়াওয়ে স্কেল-আউট স্টোরেজ ডোমেইনের প্রেসিডেন্ট ওয়াং ইডং বলেন, “গার্টনার ক্রিটিক্যাল ক্যাপাবিলিটিজ রিপোর্টে হুয়াওয়ে ওশানস্টোর প্যাসিফিকের এ অর্জন দেখতে পারা অত্যন্ত আনন্দদায়ক। আমরা বিশ্বাস করি, গ্রাহক-কেন্দ্রিক চিন্তা করে যে উচ্চমানের প্রোডাক্ট তৈরির সক্ষমতা আমাদের রয়েছে, এ স্বীকৃতি তারই প্রমাণ। এই অর্জন আমাদের আরও বেশি কিছু করার উৎসাহ প্রদান করবে। ইয়োটাবাইট যুগে যাতে নতুন নতুন অ্যাপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়, সে জন্য আমরা প্রোডাক্ট সক্ষমতার ক্ষেত্রে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব। এবং হুয়াওয়ে স্কেল-আউট স্টোরেজ সল্যুশনের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রির পার্টনারদের জন্য আরও নির্ভরযোগ্য ও দক্ষ অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটাব।”

ভবিষ্যত-উপযাগী স্মার্ট সল্যুশন্স এর মাধ্যমে পুরোপুরি কানেক্টেড ও ইন্টেলিজেন্ট বিশ্ব তৈরির জন্য হুয়াওয়ে’র যে প্রতিশ্রুতি, তারই প্রমাণ হলো হুয়াওয়ে ওশানস্টোর প্যাসিফিকের এ অসাধারণ অর্জন।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে মেয়েকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় শিশু কন্যা রাইয়া খাতুন হত্যার অভিযোগ প্রমানীত হওয়ায় বাবা মনিরুল ইসলাম রঞ্জু (২৫) কে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে।

আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. আবুল বাশার মিঞা এই কারাদন্ড প্রদান করেন।দন্ডপ্রাপ্ত মনিরুল ইসলাম রঞ্জু সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার চৌবিলা পশ্চিম পাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে।

এই আদালতের অতিরিক্ত পিপি জেবু ন্নেছা (জেবা রহমান) এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত মনিরুল ইসলাম রঞ্জু নিজেই তার শিশু সন্তানকে হত্যা করেছেন। এবিষয়ে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। অভিযোগ প্রমানীত হওয়ায় আদালত তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে। এবং আগামী ৭ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে আপিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মামলার অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার চৌবিলা পশ্চিম পাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে মনিরুল ইসলাম রঞ্জুর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী  উল্লাপাড়া উপজেলার নজরুল ইসলামের মেয়ে নাজনীন নাহারের সঙ্গে ২০২০ সালে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।

বিয়ের পর তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় মনিরুল ইসলাম রঞ্জু তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। এর মধ্যে নাজনীন নাহার একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয়। পারিবারিক বিরোধের কারনে নাজনীন নাহার তার বাবার সঙ্গে ঢাকায় বসবাস শুরু করে। ২০২২ সালের  ২৭ মার্চ নাজনীন নাহার তার গ্রামের বাড়ি উল্লাপাড়ায় বেড়াতে আসেন।

নাজনীনের খবর পেয়ে ২৯ মার্চ মনিরুল ইসলাম রঞ্জু আত্মীয়  স্বজন নিয়ে তার শশুর  বাড়িতে আসে এবং শশুর  বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে সমঝোতা করে তার স্ত্রী নাজনীন নাহার ও দেড় বছরের শিশু কন্যা সন্তান  রাইয়া খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে সলঙ্গায় নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। পারিবারিক বিরোধের জেরে ৩০ মার্চ মনিরুল ইসলাম রঞ্জু তার শিশু কন্যা মাটিতে আছড়ে হত্যা করে। এঘটনায় শিশু রাইয়া খাতুনের নানা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে তিন জনকে আসামী করে সলঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর মনিরুল ইসলাম রঞ্জুকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব সদস্যরা। পরে মনিরুল ইসলাম রঞ্জ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। মামলার তদন্ত শেষে মনিরুল ইসলাম রঞ্জ কে আসামী করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে পুলিশ।

মামলা চলাকালে ১২ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন করে আদালত। স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ আদালতের বিচারক মনিরুল ইসলাম রঞ্জ কে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন।

আরও খবর



পোরশায় দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে খাদ্যমন্ত্রীর মতবিনিময়

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০০জন দেখেছেন

Image

পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি :দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নওগাঁর পোরশায় দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন নওগাঁ-১ আসনের সাংসদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।শনিবার দুপুরে উপজেলার সারাইগাছী দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনারুলের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ্ধসঢ়; মঞ্জুর মোরশেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন মোল্লাহ। সভায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজিবুল ইসলামসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সকল নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নির্বাচনের ব্যালট জেলায় জেলায় কখন যাবে, জানাল ইসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১২২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানো হবে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর। আর নির্বাচনের তিন থেকে চারদিন আগে জেলায় জেলায় ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ে কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম এসব তথ্য জানান।

এর আগে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান জানিয়েছিলেন, দুর্গম ও দ্বীপাঞ্চল ছাড়া যেসব জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো সেখানে ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। অন্যদিকে সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠানোর চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। কাগজের ব্যালটের নির্বাচনে যাতে কোনো রকম অপব্যবহার না হয়, সেজন্য ইসি এই কৌশল অবলম্বন করতে পারে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইসি সচিব বলেন, ভোটের মাঠে ব্যালট পেপার কখন যাবে এই বিষয়টি নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

তফসিল ঘোষণার পর থেকে নিয়োগ বদলি ও রাজনৈতিক চাপ অনুভব করছেন কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে জাহাংগীর আলম বলেন, আরপিওতে সুস্পষ্ট বলা আছে নির্বাচনকালীন সরকারের কোন কোন বিষয়গুলো পূর্ব অনুমোদন করতে হবে। সেখানে বলা আছে জেলা প্রশাসক, ডিএমপি কমিশনার ও তাদের অধস্তন কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষেত্রে ইসির পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।


আরও খবর



নির্বাচন ঘিরে মাঠে নামল ৮০২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০১জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা নিশ্চিতে ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মাঠে নামিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) থেকে এসব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নেমেছেন। ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

আতিয়ার রহমান জানান, প্রতি উপজেলায় একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। তবে ১৫টির বেশি ইউনিয়ন (পৌরসভাসহ) হলে উপজেলায় দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। জেলা সদরের ‘এ’ ক্যাটাগরির পৌরসভায় একজন, তবে ৯ ওয়ার্ডের বেশি হলে দুইজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫ জন, চট্টগ্রাম সিটিতে ১০ জন, খুলনা সিটিতে ছয়জন, গাজীপুর সিটিতে চারজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। এ ছাড়া অন্যান্য সিটি করপোরেশনে তিনজন করে ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন।

এর আগে, গত ২৩ নভেম্বর ইসির পক্ষ থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৯ দিনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাঠে থাকতে বলা হয়। আচরণবিধি লঙ্ঘন বা পরিস্থিতির অবনতি হলে তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। ১৫টি পর্যন্ত ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত উপজেলায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে।

ইসির চিঠিতে কমবেশি ৮০২ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে। এতে প্রতিটি উপজেলায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে। যেসব উপজেলায় ১৫টির বেশি ইউনিয়ন রয়েছে সেখানে দুজন ম্যাজিস্ট্রেট দিতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বিভাগীয় কমিশনারের পরামর্শক্রমে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) উল্লিখিত ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যার কমবেশি করতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। আর ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।


আরও খবর