Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে ভুটানের রাজা এখন নিজ দেশের পথে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: ওবায়দুল কাদের কাতারের আমির দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারের সহায়তা নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ এপ্রিলের ট্রেনের টিকেট দশ মিনিটেই শেষ

প্রায় ৫০ হাজার বিঘা জমিতে সরিষা চাষ ফলন ও দামে খুশি তানোর কৃষকরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৩২৬জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর, তানোর : রাজশাহীর তানোরে রেকর্ড পরিমান প্রায় ৫০ হাজার বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করে লাভ বান হচ্ছেন কৃষকরা। দেশ স্বাধীনের পর এই প্রথম এত পরিমান জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে বলে মনে করছেন কৃষি বিভাগ। সরিষা উঠতে শুরু করেছে ফলনও ভালো দামেও খুশি চাষীরা। এতে করে সল্প খরচে অধিক লাভ পাচ্ছেন কৃষকরা। ফলে আগামীতে আরো বেশি পরিমান জমিতে সরিষা চাষ হবে বলে মনে করছেন কৃষি বিভাগ।

জানা গেছে, উপজেলায় চলছে বোরো রোপন। সেই সাথে সরিষা কাটা মাড়াই চলছে। কারন সরিষা তুলে ওই জমিতে বোরো রোপন করবেন চাষীরা। উপজেলার প্রায় প্রতিটি মাঠে হয়েছে সরিষা চাষ। যা ইতিপূর্বে কখনো হয় নি। যে সব জমিতে অতীতে আলু চাষ হয়েছিল সেই সব জমিতে এবার সরিষা চাষ করে বাম্পার ফলন পাচ্ছেন চাষীরা। 

সুত্রে জানা যায়, বিগত বছর থেকে এখন পর্যন্ত সকল ধরনের তেলের দাম দ্বিগুন। আমদানি নির্ভর সোয়াবিন ও পাম ওয়েল তেল। বিশেষ করে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে লাগাম হীন তেলের বাজার। যার কারনে দেশে তেল উৎপাদন করতে দেশব্যাপী সরকার সরিষা বীজ ও সার বিনা মুল্যে কৃষকদের দেন। যার কারনে সারা দেশের সাথে তাল মিলিয়ে উপজেলায় রেকর্ড পরিমান জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। অতীতে হাতে গোনা কিছু কৃষক সরিষা চাষ করতেন। কিন্তু প্রনোদনা পেয়ে উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে সরিষা চাষ করেছেন প্রান্তিক কৃষকরা।

 কামারগাঁ ইউপি ছাঐড় গ্রামের কৃষক  আব্দুল জানান, ২ বিঘা জমিতে সরিষা রোপন করেছি, সরিষার গাছ ভালো আছে, ১০-১২ দিনের মধ্যে তুলা হবে। বিঘাপ্রতি ৫ হাজার টাকা  খরচ হয়েছে। একই এলাকার কৃষক মামুন ৩ বিঘা, আপেল মোহাম্মাদ আলী পুর দেড় বিঘা, তমিজ হাতিনান্দা দেড় বিঘা,জুয়েল ১ বিঘা, জাহাঙ্গীর দশ কাঠা, আব্দুর রহমান গুবিরপাড়া ১০ কাঠা,হাবিবুর ১ বিঘা জমিতে সরিষা রোপন করেছেন। তবে গুবিরপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান জানান, ১০ কাঠা জমিতে সরিষা রোপন করে মাড়াই করা হয়েছে, কিছু কম তিন মন সরিষা হয়েছে। চাষীরা আরো জানান, যাদের নিজস্ব জমি, তাদের খরচ বিঘাপ্রতি ৫ হাজার টাকা হবে।আর লীজের জমিতে ৭ হাজার টাকা খরচ হবে। সরিষা চাষে খরচ আরো কম হত যদি সার কীটনাশকের দাম বাড়তি না হত।

কৃষি অফিস সুত্র জানা যায়, এই প্রথম উপজেলায় ৬ হাজার ২১০ হেক্টরের বেশি জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বারি-৯- জাতের সরিষা ৮৩ হেক্টর, বারি ১৪,- ৪৭৮৬ হেক্টর- বারি১৫- ৭৩ হেক্টর বারি ১৭- ১১৮৯ হেক্টর বারি ১৮-৪৭ হেক্টর বিনা -৯ ২৪ হেক্টর এবং বিএডিসি-১- ৮ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। বিঘাপ্রতি সর্বোচ্চ খরচ ৭ হাজার টাকা, বিঘায় ফলন নিম্মে ৬ মন, বাজারে ১ মন সরিষা প্রকার ভেদে ৩২০০-৩৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিঘায় নিম্মে হলেও ৭ হাজার থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা লাভ হবে।

 উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, বর্তমান সরকার তেলের ঘাটতি মিটাতে সরিষা চাষের সঠিক সময়ে উপজেলার  ৩৫০০ জন প্রান্তিক কৃষক বীজ ও সার প্রনোদনা পেয়েছিলেন। একারনে রেকর্ড পরিমান জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। সরিষা চাষে খরচ কম, লাভ ভালো।  সরিষা থেকে তেল, মধু ও জালানি হিসেবে ব্যবহার হয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকার কারনে এবং সার্বক্ষনিক মাঠ তদারকির ফলে রোগ বালা নেই। যেখানেই সমস্যা হয়েছে, সেখানেই পৌছে সঠিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর সুফলও পেয়েছেন চাষীরা। সরিষা মাড়াই করে বা খোজ নিয়ে জানা গেছে ৬- ৭ মন ফলন হচ্ছে। আগামীতে আরো বেশি জমিতে সরিষা চাষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই কৃষিবিদ কর্মকর্তা।


আরও খবর



জমে উঠেছে ঈদবাজার

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে জমে উঠেছে ঈদবাজার। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ক্রেতাদের আনাগোনা ততই বাড়ছে। শহরের বিভিন্ন বিপনী বিতানের পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানগুলোতে  কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। ধনী-গরীব সকলের কাছে  ঈদ আনন্দ উথলে পড়েছে। 

শহর ঘুরে দেখা যায় শহরের শহীদ ডাক্তার জিকরুল হক সড়কের বিভিন্ন বিপনি বিতান, রেলওয়ে মার্কেট আধুনিক পৌর প্লাজা মার্কেট,ও রেললাইন সংলগ্ন  মার্কেটের  দোকানগুলোতে কেনাকাটায় মানুষের ভীড় লক্ষ করা গেছে ।

ঈদের পোশাকসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে দোকানগুলোতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ক্রেতাদের ভীড় চোখে পড়ার মত। রমজানের প্রথম থেকে বাজারগুলোতে কেনাকাটা  মোটামুটি শুরু হলেও  দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ক্রেতাদের ভীড় দিগুণ। নির্বিঘ্নে ঈদের  কেনাকাটা করতে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। 

ক্রেতারা বলছেন, গতবছরের ন্যায় তুলনামূলকভাবে এবারও ঈদ পোশাক সহ সকল পণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া, কিন্তু এরপরেও ঈদ পালন করতে কিনতেই হবে।

দেখা গেছে, ল্যাহেঙ্গা, বুটিকস, চোষা, আড়ং, জিপসি, দেশীয় সূতি থ্রী-পিস, ভারতীয় থ্রী পিস, নাইরাকাট, এবারের মূল আকর্ষণ। 

এছাড়া বাজারে ভারতীয় সারারা-জারারা ও  থ্রি-পিসের  পাশাপাশি  দেশীয় পোশাক মেয়েদের পছন্দের র্শীর্ষে। এবার ভাল মানের শাড়ী ফোর-প্লাই, মনিপুরী শাড়ি ৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা এবং ল্যাহেঙ্গা ৫ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা,  সারারা-জারারা ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা, নাইরা কাট আড়াই হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা, সূতি থ্রী-পিস ১ হাজার ৫’শ থেকে ৫ হাজার টাকা, ভারতীয় জিপসি ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার ৯’শ টাকা, দেশীয় বুটিকস, চোষা, আড়ং ও কাতান  থ্রী পিস ১৭০০ থেকে ৩ হাজার টাকা এবং ছেলেদের পাঞ্জাবী ৮শ’ টাকা থেকে ৬ হাজার টাকা, প্যান্ট ৮ শ’ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা, ফতুয়া ৪ শ’ টাকা থেকে ১২শ’ টাকা, বিভিন্ন ধরনের শার্ট ৮’শ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা, জুতা ১ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা ও বাচ্চাদের বিভিন্ন পোষাক ৭’শ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত দরে পাওয়া যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা তাদের শো-রুমে নিত্যনতুন শাড়ী ও ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বাহারী পোষাকের সমারহ ঘটিয়েছে। 

আসফাক নামের এক দোকানিরা বলছেন, হালকা বৃষ্টির পর থেকে ঠান্ডা আবহওয়ার কারণে সকাল ৯ টায় দোকান খোলার পর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ক্রেতাসাধারনের উপস্থিতি কম। বেলা ১২ টার পর ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়ে যাচ্ছে। আবার সন্ধ্যার পর বেচাকেনা হচ্ছে দিগুণ । নিম্ন-মধ্যবিত্তদের ঈদের কেনাকাটাও জমে উঠেছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। মূল্য নাগালের বাইরে থাকলেও স্বল্প আয়ের মানুষগুলো ঈদের কেনাকাটা সারছে এ দোকানগুলোতেই।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, ব্যবসায়ি সহ ক্রেতাসাধারনের নিরাপত্তার ব্যবস্হা জোড়দার রয়েছে। ক্রেতা সাধারণ যাতে করে নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারে,সেজন্য সকল ব্যবস্হাই রয়েছে বলে জানান তিনি। 


আরও খবর



ঋতুরাজ বসন্তে প্রকৃতিতে আম মুকুল ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৫২জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) : আমের রাজধাণী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে উত্তর জনপদের জেলা নওগাঁ। এ জেলার আত্রাই উপজেলায় এখন আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি। মুকুলের সেই সুমিষ্ট সুবাস মাতিয়ে তুলছে সকলের মন।

ছয় ঋতুর এই বাংলাদেশে পাতাঝড়া ষড়ঋতুর রাজা বসন্ত। আবহমান বাংলার সৌন্দযের্র রাজা বলে পরিচিত গ্রীষ্মকাল। ফাগুনের ছোঁয়ায় পলাশ- শিমুলের বনে লেগেছে আগুন রাঙা ফুলের মেলা। শীতের জড়তা কাটিয়ে কোকিলের সেই সুমধুর কুহুতানে মাতাল করতে আবারও ফিরে এলো বাংলার বুকে ঋতুরাজ বসন্ত। উপজেলার প্রতিটি এলাকা জুড়ে এখন সর্বত্র গাছে গাছে শুধু আমের মুকুল মৌ মৌ ঘ্রাণ।মুকুলের ভারে নুয়ে পড়ার উপক্রম যেন প্রতিটি আমগাছ। সেই সুবাদে মৌমাছিরাও আসতে শুরু করেছে মধু আহরণে। রঙিন-বন ফুলের সমারোহে প্রকৃতি যেমন সেজেছে বর্ণিল সাজে, তেমনি নতুন সাজে যেন সেজেছে আত্রাই উপজেলার আম বাগানগুলো। আমের মুকুলে ভরপুর আর ঘ্রাণে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার সবত্র জানান দিচ্ছে বসন্তের বার্তা। শোভা ছড়াচ্ছে নিজস্ব মহিমায়। মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে বাগানগুলো। প্রায় ৮০ শতাংশ গাছেই এসেছে মুকুল।

বাগান মালিক, কৃষিবিদ, আমচাষিরা আশা করছেন বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ উপজেলায় আমের বাম্পার ফলন হবে। আমচাষি ও বাগান মালিকরা বাগানে পরিচর্চা নিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। অবশ্য গাছে মুকুল আসার আগে থেকেই গাছের পরিচর্চা করে আসছেন তারা। যাতে করে গাছে মুকুল বা গুটি বাঁধার সময় কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয়। সারিবদ্ধ গাছে ভরপুর আমের মুকুল যেন শোভা ছড়াচ্ছে তার নিজস্ব মহিমায়। এ উপজেলা ফজলি, খিড়সা, মোহনা, রাজভোগ, রূপালী, গোপালভোগসহ অন্যান্য জাতের আম চাষের উপযোক্ত হওয়ায় চাষিরা নিজ উদ্যোগে প্রথমে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চারা সংগ্রহ করে আমের বাগান তৈরি করলেও বর্তমানে তারা নিজেরাই চারা উৎপাদন করে তাদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সুফলও পেয়েছেন অনেকেই। আম চাষে সফল কৃষক ভবানীপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম জানান, পুরাপুরিভাবে এখনো সব গাছে মুকুল আসেনি। কয়েকদিনের মধ্যেই সকল গাছেই মুকুল আসবে। আমি গত বছর আম থেকে অনেক টাকা আয় করেছি।

আশরাফুল ইসলামের মতো ভবানীপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম রফিক, আব্দুর রাজ্জাক, আনছার আলী, আনিছসহ অনেকেই আমের বাগান তৈরি করেছেন। তারা জানান, ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ কম থাকায় এবার কাঙ্খিত ফলনের আশা করছেন তারা।

সুবিধাভোগীদের সুফল দেখে চাষিরা আম চাষে উৎসাহিত হয়ে নিজ নিজ উদ্যোগে নতুন নতুন বাগান তৈরি করছেন। ধীরে ধীরে এ উপজেলা জুড়ে সম্পসারিত হচ্ছে নতুন নতুন আমের বাগান। উৎপাদিত আম মানসম্মত হওয়ায় চাহিদাও বাড়বে অনেক।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাপশ কুমার রায় জানান, আত্রাই উপজেলার বিরাজমান আবহাওয়া ও মাটি আম চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আমের উৎপাদন গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি পাওয়ার আশা করা যাচ্ছে। আবহওয়া অনুকুলে থাকায় এবার গাছে খুব একটা কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন নেই।

তবে ছাত্রাকজনিত রোগেও আমের মুকুল- ফুল-গুটি আক্রান্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে আম চাষীদের আম গাছে মুকুল আসার আগে এবং আমের গুটি হবার পর নিয়মিত ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া জৈব বালাইনাশক ও ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে আমসহ অন্যান্য ফল চাষে কৃষকদেরকে উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে। তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবং বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমের ফলন ভাল হবে আশা করছেন তিনি।


আরও খবর



ঘুষের টাকা নিয়ে ফেঁসে গেলেন গাংনী শিক্ষা অফিসের ক্লার্ক রেজাউল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধিঃঅসহায় এক শিক্ষক পরিবারের কাছ থেকে ঘূষ নিয়ে ফেঁসে গেলেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শিক্ষা অফিসের আলোচিত অফিস সহকারি কাম কাম্পিউটর অপারেটর রেজাউল ইসলাম। স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষক সমাজের প্রতিবাদের মুখে সোমবার (০৪ ফেব্রুয়ারী) তিনি ঘূষের টাকা ফেরত দিলেও তার অপসারণসহ দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। অবশ্য ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগের পর বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা অফিস।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার বালিয়াঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আবু তাহের গত ১৪ ফেব্রুয়ারী পেনশনরত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। নিয়মানুযায়ী আবু তাহেরের স্ত্রীর নামে পারিবারিক পেনশন চালুর জন্য শিক্ষা অফিসে ধর্না দেয় তার পরিবারের লোকজন। এসময় তাদের সাথে সাক্ষাত হয় অফিস সহকারি কাম কম্পিউটর অপারেটর রেজাউল ইসলামের সাথে। দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার জন্য ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন রেজাউল। অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা এবং সংসার খরচের কথা চিন্তা করে ঘুষ দিতে রাজি হন প্রয়াত শিক্ষক আবু তাহেরের ছেলে। মৌখিক চুক্তিমত দুই হাজার টাকা দিয়ে যায় রেজাউলের হাতে। তবে সময়মত কাজ না হওয়ায় ঘটনাটি জানাজানি হয়।

সোমবার বিকেলে স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষক সমাজ রেজাউলের কাছে গিয়ে প্রতিবাদ জানায়। এসময় তাদের সামনে অপরাধ স্বীকার করে দুই হাজার টাকা ফেরত দেয় রেজাউল। তবে টাকা ফেরত দিলেও রেজাউল ইসলামের ঘুষ বাণিজ্যের নানা অভিযোগ উঠে আসলে স্থানীয়দের মধ্যে এক উত্তাল অবস্থা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে আবু তাহেরের পরিবারের লোকজন। রেজাউল ইসলামের দুর্নীতি ও অসাদচরণের সুষ্টু বিচার দাবি করা হয় এ লিখিত অভিযোগে।

কয়েকজন শিক্ষক জানান, পেনশনরত অবস্থায় কোন শিক্ষক মারা গেলে তার পরিবারের জন্য পারিবারিক পেনশন চালু হয়। যা একটি মাত্র ফরম পুরণ করে অফিসে দাখিল করলেই দ্রুত কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। অথচ আবু তাহেরের পরিবারের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ঘুষ বাণিজ্য করেছে রেজাউল ইসলাম। যা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ হিসেবেই দেখছে শিক্ষক সমাজ।

অভিযোগে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে রেজাউল ইসলাম গাংনী উপজেলা শিক্ষা অফিসে কর্মরত। তার বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ নতুন নয়। শিক্ষা অফিসে সেবা নিতে আসা সব মানুষের কাছ থেকেই তিনি টাকা নিয়ে থাকেন। তার অত্যাচারে শিক্ষকরা অফিসে গিয়ে তার কাছ থেকে লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করেন। কর্তৃপক্ষ রেজাউলের ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টি জেনেও না জানার ভান করে। তবে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার দৃষ্টান্তমূলক সাজা না হলে আন্দোলন কর্মসুচীতে যাবে শিক্ষক সমাজ। এমনটি জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি নেতৃবৃন্দ।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাছির উদ্দীন বলেন, সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দীনকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামি তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত করে তারা প্রতিবেদন দাখিল করবেন। এর প্রেক্ষিতে পরবর্তী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



প্রতিপক্ষদের জমি দখলে চেষ্টা ফুলবাড়ীতে সংখ্যালঘুর জমিতে বিষ প্রয়োগে ধানক্ষেত নষ্ট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউপির গনিপুর গ্রামে সংখ্যালঘু বিশ্বজিত রায় (৩৮) এর পিতার ক্রয়কৃত ৯৭শতাক জমিতে প্রতিপক্ষরা বিষ প্রয়োগ করে ধানক্ষেত পুড়ে দেন। এছাড়াও উক্ত জমি খাজাপুর গ্রামের মোঃ হাসান আলী ও মোঃ ফয়জার রহমান গংরা দখল করার চেষ্টা করেন। ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউপির গণিপুর গ্রামে সংখ্যালঘু মৃত্যু কৃষ্ণপদ সরকার এর পুত্র বিশ্বজিত রায় এর লিখিত অভিযোগে জানান যায় যে, গণিপুর মৌজার সিএস খতিয়ান নং-২১৩, এসএ খতিয়ান নং-২৩২, দাগনং-১৬৬৬, জমির পরিমান-১ একর ৫৫ মধ্যে ৯৭শতক জমি একই গ্রামের শ্রী দিগেন্দ্র কুমার সাহার নিকট থেকে ০৭/০৯/১৯৯৭ইং সালে ৩৯১৩নং কবলা দলিল মূল ক্রয় করেন। যাহার খারিজ খতিয়ান ৬৪৪, দলিল নং-৩৯২৮। বিশ্বজিত রায় পিতা কৃষ্ণপদ সরকার মৃত্যুবরণ করার পর খাজাপুর গ্রামের মৃত্যু আব্দুস সালামের পুত্র মোঃ হাসান আলী ও মৃত্যু আব্দুস সালাম এর পুত্র মোঃ ফয়জার রহমান গংরা উক্ত জমি বার বার দখল করার চেষ্টা করেন। গত ১২/০৩/২০২৪ইং তারিখে বিশ্বজিত রায় এর জমিতে বিষ প্রয়োগ করে জমির ধান নষ্ট করে দেন। উল্লেখ্য যে, গত ২১/১১/২০২১ইং সালে ঐ জমিতে জিরা ধান চাষ করার পর পরবর্তীতে উক্ত ব্যক্তিরা লাঠিশোটা নিয়ে জোর করে ধান কেটে নিয়ে যায়। ঐ ঘটনায় উক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ০১/১২/২০২১ইং সালে ফুলবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-০১।

তারিখ-০১/১২/২০২১। পরবর্তীতে ঐ সংখ্যালঘু পরিবারের বিরুদ্ধে আবারও ০৫/০৭/২০২১ইং তারিখে তারা দলবল নিয়ে জমি দখল করতে গেলে বিশ্বজিত রায় ০৭/০৭/২০২১ইং তারিখে ফুলবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগ মামলা আকারে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রের সি.আর.পি.সি আদালত খ অঞ্চল দিনাজপুর। মামলা নং-এনজিআর-২৩৩/২১। উক্ত মামলায় প্রতিপক্ষ হাসান আলী ও ফয়জার রহমান গংরা আদালতে অঙ্গীকার নামা দিয়ে বলেন, উক্ত জমিতে আর কোন দিন জাব না। কিন্তু আবারও তারা জমি দখল ও ফসল নষ্ট করা শুরু করেছে। এই ঘটনায় জমির মালিক বিশ্বজিত এর মা বীনা রানী গত ১৩/০৩/২০২৪ইং তারিখে ফুলবাড়ী থানায় মোঃ হাসান আলী ও মোঃ ফয়জার রহমান এর বিরুদ্ধে ধানক্ষেত নষ্ট করা এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় জমির মালিক বিশ্বজিত রায় এর সাথে ০১৭২২৬০৮৯৪০ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উক্ত জমি আমার পিতার মৃত্যুর আগে ক্রয় করেন এবং খারিজ খাজনা করেন। আমার পিতার মৃত্যুর পর উক্ত ব্যক্তিরা আমার জমি বারবার দখল করার পায়তারা করছে। এবং ফসল নষ্ট করছে।

তাদের কোন বৈধ্য কাগজ পত্র নাই। বর্গচাষী শ্রী তরুনী ও আব্দুল বারী জানান, দির্ঘদিন ধরে আমি বিশ্বজিত রায়ের জমি চাষাবাদ করছি। হঠাৎ করে তারা বার বার জমির ফসল নষ্ট করছেন। বিশ্বজিত জানান, সংখ্যালঘু হওয়ায় তারা আমাদের উপর অত্যচার চালাচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চাই।


আরও খবর



ঈদযাত্রায় যুক্ত হবে বিআরটিসির ৫৫০ বাস

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) ৫৫০টি বাস,আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে রাজধানী শহর ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী পরিবহনে অংশ নেবে  । দূরপাল্লার বাসগুলোর পাশাপাশি এই বাসগুলো সার্ভিস দেবে।

সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে মতিঝিল বিআরটিসি ভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আমরা গত সপ্তাহে ঈদে উপলক্ষ্যে মিটিং করেছি। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ঢাকা শহরে আমাদের ৬০০টি বাস আছে। এখান থেকে ঢাকা শহরের জন্য ৫০টি বাস রেখে বাকি ৫৫০টি বাস ঈদ সার্ভিসে যুক্ত করা হবে। এছাড়া আমাদের বাকি দূরপাল্লার বাসগুলো নিয়মিত চলবে। এবার ঈদের ছুটি লম্বা হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ঈদ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা পত্রিকায় গণ বিজ্ঞপ্তি আকারে কয়েকদিনের মধ্যেই দিয়ে দেবো।

তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের বহরের গাড়িগুলোর মাত্র ৩৪টির লিজে আছে। আমরা আর গাড়ি লিজে চালাবো না। এটি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে।

তিনি বলেন, ২০২০ সালে ১ হাজার ৮২৫টি বাসের মধ্যে ৮৮৫টি বাস অনরুট ছিল; ২০২১ সালে ১ হাজার ৭৬২টি বাসের মধ্যে ১ হাজার ১০৬টি বাস অনরুটি ছিল, ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৫০টি বাসের মধ্যে ১ হাজার ২৩৩টি বাস অনরুটে ছিল এবং ২০২৩ সালে ১ হাজার ৩৫০টি বাসের মধ্যে ১ হাজার ২৫৩টি বাস অনরুটে ছিল।


আরও খবর