Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

পলাশবাড়ীর গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ধান-চাল সংরক্ষণের বাঁশের তৈরি গোলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৩৮জন দেখেছেন

Image
সিরাজুল  ইসলাম রতন, গাইবান্ধার : গ্রামাঞ্চলে ধান-চাল সংরক্ষণে বাঁশের তৈরি বড় পাত্রের নাম গোলা। এটি গাইবান্ধার অঞ্চলে ডুলি বা বেড় নামেও পরিচিত। বাঁশ দিয়ে এ গোলা তৈরি করা হয়। গ্রামের গৃহস্থ্য পরিবার গুলো পুরো বছরের খাদ্যের সংস্থানে গোলায় ধান সংরক্ষণ করে থাকেন।প্রতি ধানের মৌসুমে ধান মারাকাটি করে শুকিয়ে গোলাজাত করা হয়ে থাকে। প্রয়োজনের সময় গোলা থেকে ধান বের করে পূনরায় রোদে শুকিয়ে ধান ভেঙ্গে চাউলে রূপান্তর করা হয়। তবে বাজারে বিক্রি করার সময় নতুন করে আবার ধান শুকানোর আর প্রয়োজন পড়েনা। 

এশিয়া মহাদেশে অন্যান্য ১৯টি দেশের সাথে বাংলাদেশেও মানুষের প্রধান খাদ্য হচ্ছে ভাত। চাল রান্নার পর হয় ভাত। গোলা থেকে ধান নামিয়ে তা মেশিনে ভাঙ্গিয়ে তুলনামূলক অধিক ছোট পাত্রে রাখা হয় চাল। আর সেখান থেকেই চাল নিয়ে ভাত রান্না করা হয়।গোলা ভর্তি ধান না থাকলে এক সময় গ্রামের গৃহস্থ্য পরিবার সেই বাড়িতে ছেলে-মেয়েদের বিয়ে পর্যন্ত দিতে আগ্রহী হতো না। এ কথা এখনো গ্রামাঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে ঘুরে-ফিরে। যাতে নষ্ট না হয় সে কারণে গোলায় ধান রেখে সেই গোলার মুখ মাটির লেপ দিয়ে বদ্ধ করে রাখা হয়।

 আবার টাকার প্রয়োজন হলে গোলা থেকে ধান নিয়ে বাজারে বিক্রি করা হতো। সে সময়ের সমাজ ব্যবস্থা এখনকার মতো এত উন্নত ছিলনা। তখন চোর-ডাকাতের ভয়ে ধানের গোলার ভিতর স্বর্ণ ও টাকা পয়সা সংরক্ষণ করে রাখা হতো। ধান রাখার এ পাত্রকে গোলা বা বেড় দুই নামে আখ্যায়িত করার কারণও রয়েছে। বেড় অপেক্ষাকৃত গোলা মজবুত।গোলা দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। বাঁশের তৈরি গোলা ব্যবহার দিন দিন কমে গিয়ে এখন শূন্যের কোঠায়। কারণ আমাদের পারিবারিক বাঁশঝাড় গুলো ক্রমেই বসতভিটায় পরিণত হওয়ায় তা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। 

সম্প্রতি বেশির ভাগ বাঁশঝাড় গ্রামের বিত্তশালীদের পাকা স্থাপনা, বহুতল ভবন নির্মাণে সহায়ক সামগ্রী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে বিত্তশালীরা চড়াদামে বাঁশ কিনে নিয়ে যাচ্ছে নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে। আর বাঁশের উৎপাদনও কমে যাচ্ছে। একদিকে উৎপাদন কমে যাচ্ছে অপরদিকে চাহিদা বৃদ্ধিগ পাওয়ায় বাঁশের দাম ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। গোলা তৈরির প্রধান উপকরণ বাঁশের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে।তাই বর্ধিত মূল্যে উৎপাদিত গোলা বিক্রি করতে হচ্ছে। গোলা বিভিন্ন সাইজের হয়ে থাকে। একটি বড় গোলায় ৪০ থেকে ৫০ ও একটি ছোট গোলায় ২০ নুন্যতম ৩০ মন ধান সংরক্ষণ করা যায়।

তবে গৃহস্থ্য পরিবার তাদের চাহিদানুযায়ী গোলা তৈরি করে থাকেন। তবে গোলায় ধান রাখলে অনেক সময় নানা সমস্যাতেও পড়তে হয় গৃহস্থ্য পরিবার গুলোকে। গোলায় ধান সংরক্ষণ করলে ইদুঁর ধান নষ্ট করে বেশি। গ্রামের প্রতিটি বসতবাড়িতে ইদুঁর উৎপাত-বিদ্রুপ করে থাকে বেশী। ইদুঁরের প্রধান খাদ্য ধান। গোলার ধান খেয়ে ইদুঁর মাটিতে ফেলে দেয়। গৃহস্থ্যরা জানায়, ইদুঁরের হাত থেকে ধান রক্ষার জন্য সাম্প্রতিক সময়ে গোলার ব্যবহার অনেকটাই কমে গেছে। বাঁশের তৈরি গোলার স্থান দখল করে নিয়েছে স্থায়ী পাকা অথবা টিনের ড্রাম। 

টিনের ড্রাম ঘরের বাইরেও রাখা যায়। বাঁশের তৈরি ধানের গোলা বাইরে রাখলে চুরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাছাড়া স্থায়িত্ব কম হওয়ায় অনেকে টিনের গোলা তৈরি করার ফলে বাঁশের তৈরি গোলার চাহিদা কমে গেছে। চাহিদা কমে যাওয়ায় বাঁশের তৈরি গোলার কারিগরও অনেক কমে গেছে। তাদের পূর্ব পুরুষের পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে গেছে। তাছাড়া এ পেশা মৌসুমী হওয়ায় অনেক কারিগর পেশার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। নতুন প্রজন্ম এ পেশায় আসতে তেমন আগ্রহী নয়। 

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা সদরের নুনিয়াগাড়ী গ্রামের গোলা তৈরির কারিগর আমিন ও আল-আমিন ও তাদের পরিবারের সদস্য স্ত্রী-সন্তানদের সাথে বাড়ির উঠানে বসে কথা হয়। তারা পারিবারিক ভাবে বিগত ১৭ বছর যাবত গোলা তৈরি করে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে থাকেন। 

তারা জানান, নিকটাতীতের এখন বাঁশের তৈরী গোলার চাহিদা অনেক কমে গেছে। ইতোপূর্বে সদরের কালিবাড়ি বাজারে সাপ্তাহিক হাটবারে শতাধিক গোলা বিক্রি করতাম। এখন এর স্থলে ১০ থেকে ১৫টি গোলাও বিক্রি হয় না। একটি বড় গোলা প্রায় ৮’শ থেকে ১ হাজার ও একটি ছোট গোলা ৫শ’ থেকে ৬’শ টাকায় বিক্রি করা যায়। এতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে খুব একটা লাভ আসে না। ফলে দীর্ঘদিনের এ পেশা ধরে রেখে পারিবারিক চাহিদা মেটানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

আরও খবর



যশোরের শার্শায় নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে সেমিনার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরের শার্শায় নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধকালীন বীরত্বগাথা ইতিহাস শুনানো ও কুইজ প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১ টার সময় শার্শা উপজেলা কমপ্লেক্স অডিটরিয়াম ভবনে সেমিনারের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠানটি করেছেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। শার্শা উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রকল্পের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ), যুগ্ম-সচিব শাহ আলম সরদার। শার্শা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র পাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনা করেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রকল্পের পরিচালক, উপ-সচিব, ড. মোহাম্মদ নুরুল আমিন।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে নতুন প্রজন্মের কাছে যশোর- কোলকাতা সড়কের নামকরণসহ মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইতিহাস তুলে ধরেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু।

উক্ত অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরেন শার্শা উপজেলামুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর হোসেন, ডেপুটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন, বেনাপোল ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম হাওলাদার, লক্ষণপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের ও বাগআঁচড়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গিয়াস উদ্দিন। পরে, আলোচ্য বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতা ও বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।




আরও খবর



বাজারে হুহু করে বাড়ছে নৃত্য পণ্যের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪৮জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ- জেলার নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে মাছের পাশাপাশি হুহু করে বাড়ছে সবজি,ডিম,চিনি,রসুন, এল,পি,জি গ্যাস সহ নৃত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মুল্যের দাম।যা আকাশ ছোঁয়া ও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।।গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন এতে করে পড়েছেন  মহা বিপাকে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম বেড়ে হয়েছে গ্রায় দ্বিগুণ ।


এক সপ্তাহ আগে পটল,জিঙ্গা, চিচিঙ্গা, ভরবটি, টমেটো, কাঁচামরিচ, ধনিয়া পাতা,লাউ,মিষ্টি কুমড়া,চালকুমড়া,কচু,কঁচুর লতা,কচুর মুকি, কাঁচা পেপে,ঢেঁড়শ,কাঁচকলা,করল্লা,কাকরুল, সহ অন্যান্য সবজি যে দামে বিক্রি হতো বর্তমানে প্রতিটি পণ্যেরই কেজিতে দাম বেড়ে গেছে। সবজির সাথে তাল মিলয়ে বাড়ছে পেঁয়াজ,রসুন,আদার ঝাজ।আর পাশাপাশি চিনি ও  মাছের দামওতো বাড়ছেই।


অপরদিকে কিছুদিন আগে রান্নার এল,পি,জি প্রতি সিলিন্ডার গ্যাস সরকারী ভাবে ৯৯৯ টাকা কনে বিক্রি করার সরকারীভাবে সিদ্ধান্ত হলেও  বর্তমানে প্রতিটি সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ১২৮০ টাকা  থেকে ১৩২০ টাকা।আবার কোন কোন মালে ওজনে কম দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।ডিজিটাল মাপে প্রতি কেজিতে ১শ থেকে দেড়শ গ্রাম কম পাওয়া যায়। তার কারণ পাল্লা বন্ধ করে পুনরায় চালু না করার কারনে  ওজন বেড়ে যায়। যা অনেকেরই অজানা।


সরেজমিনে নাসিরনগর থানা সংলগ্ন সবজি বাজার,বুড়িশ্বর বাজার,লক্ষীপুর বাজার  সহ বিভিন্ন বাজার ঘুড়ে এ চিত্র দেখা গেছে। তবে বিক্রেতাদের দাবি দেশের পরিস্থিতির কারণে দাম বেশি দিয়ে আনতে হয়,তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। কিন্তু ক্রেতারা বলছেন,ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে।বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



পার্লার থেকে সেজে ছিনতাই করতে বের হতেন মুক্তা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পার্লার থেকে সেজে ছিনতাই করতে বের হতেন মুক্তা নামের ৪০ বছরের এক নারী। তিনি মার্কেটে গিয়ে কোনো তরুণীর সঙ্গে শুরুতে ঝগড়া বাধিয়ে দিতেন, এরপর সুযোগ বুঝে মোবাইল ও টাকা হাতিয়ে পালিয়ে যেতেন। এবার আর শেষ রক্ষা হলো না। 

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে আটক হন। এরপর ৯৯৯-এ ফোন করলে মিরপুর মডেল থানা পুলিশের একটি দল তাকে ১০নং সেকশনের ওয়াসা ভবনের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। 

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

পুলিশ জানায়, পার্লারে সেজে অভিনব পদ্ধতিতে ছিনতাই করতে বের হন মুক্তা। তিনি মার্কেটে গিয়ে কোনো তরুণীর সঙ্গে শুরুতে ঝগড়া বাধিয়ে দেন, এরপর সুযোগ বুঝে মোবাইল ও টাকা হাতিয়ে পালিয়ে যান। গ্রেপ্তার মুক্তা তালিকাভুক্ত শীর্ষ নারী ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা রয়েছে। তিনি সাতবার গ্রেপ্তারও হয়েছেন।

পুলিশ আরও জানায়, মুক্তা প্রথম তার মায়ের কাছ থেকে চুরি করা শেখেন। তার মা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হলে নিজেই দল গড়েন মুক্তা। সঙ্গে একজনকে নিয়ে পুরো ঢাকা শহরে ছিনতাই শুরু করেন। মানুষের সন্দেহ এড়াতে তিনি অভিনব এক কৌশল গ্রহণ করেন। প্রতিবার ছিনতাইয়ে বের হওয়ার আগে বিউটি পার্লারে গিয়ে সেজে আসেন তিনি। তার সাজ দেখে উচ্চবিত্ত নারী মনে হওয়ায় সহজেই তাকে কেউ সন্দেহ করেন না। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ছিনতাই করছিলেন মুক্তা।

রোববারও একই কায়দায় শাওন আফরোজ নামের এক তরুণীর মোবাইল ও ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মুক্তা। কিন্তু ভুক্তভোগী তরুণীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে মুক্তাকে আটক করে। পরে ৯৯৯-এ ফোন করলে মিরপুর মডেল থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।


আরও খবর



গাজীপুরে ছেলের হাতে বাবা খুন

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃগাজীপুরে কিশোর ছেলের হাতে  পিতা খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ৩২ নং ওয়ার্ড গাছা থানার উত্তর জাঝর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম রাজিব হোসেন (৩৫)। তিনি জাঝর এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত নিহত রাজিব হোসেনের  পুত্র শিশির (১৫)। সে স্থানীয় একটি স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র।

পরিবারের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে গাছা থানার ওসি মো. ইব্রাহিম হোসেন জানান, নিহত রাজিব হোসেন মাদকাসক্ত ছিল। সে প্রায় সময়ই পরিবারের সদস্যদের মারধর ও নানাভাবে নির্যাতন করতেন। নেশার টাকার জন্য পরিবারের লোকদের সে অতিষ্ঠ করে তুলেছিলেন।

ওসি জানান, রবিবার সকালে পারিবারিক কলহের জেরে নিহতের ছেলে (১৫) চাপাতি দিয়ে তার পিতা রাজিবকে এলোপাতাড়িভাবে কোপায়। এতে রাজিব গুরুত্বরভাবে আহত হন। তাকে দ্রুত গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনি মারা যান। ঘটনার পর থেকে তার ছেলে পলাতক রয়েছে।

তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নিয়ে আসে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



চন্দ্রযান সাড়া না দিলেও ভারত আশা ছাড়ছে না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর ডাকে সাড়া দিচ্ছে না চন্দ্রযানের অবতরণ বাহন (ল্যান্ডার) বিক্রম। ফলে সময় যতো গড়াচ্ছে ততোই কমে আসছে চন্দ্রযানটির সজাগ হওয়ার আশাও।

তবে এখনই হাল ছাড়ছে না ইসরো। চন্দ্র দিবস শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা চেষ্টা চালিয়ে যাবে। পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান চাঁদের একদিন।

শুক্রবার ইসরো জানিয়েছে, তারা ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। তবে তারা কোনো সংকেত পাচ্ছে না।

আগস্ট মাসে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করে ভারতের চন্দ্রযান-৩। দুই সপ্তাহ চাঁদের মাটিতে সচলভাবে কাটানোর পর চন্দ্ররাত নামলে বিক্রম ও রোভারকে স্লিপিং মুডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ইসরোর বিজ্ঞানীদের আশা ছিল চন্দ্র দিবসে রোদ্রালোক পেলেই জেগে উঠবে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান।

তবে সেই আশায় আপাতত গুঁড়েবালি। ইসরোর ডাকে সাড়া দিচ্ছে না চন্দ্রযানের দুই অংশ।


আরও খবর

অবশেষে ক্ষমা চাইলেন ট্রুডো

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩