Logo
আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম
লোহিত সাগরের জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে নিহত ৩৩ রানা প্লাজা ধস: সাক্ষ্যগ্রহণেই পার ১১ বছর এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সাথে ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ দেহ ব্যবসা সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করেছে কাফরুল থানা পুলিশ ডেমরায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার দুই ব্যাক্তি ! সুনামগঞ্জ সীমান্তে চোরাচালান বাণিজ্য জমজমাট: ইয়াবাসহ ২জন গ্রেফতার বেনজীর আহমেদ মামলা লড়তে আইনজীবী নিয়োগ দিলেন বাংলাদেশ-কাতারের ১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই তৃষ্ণার্ত মানুষের জন্য খাবার পানি সরবরাহ করছেন কাফরুল থানা পুলিশ

পিএসজির জয় মেসি-এমবাপ্পের নৈপুণ্যে

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৯২৭জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক; লিগ ওয়ানে গতকাল রোববার রাতে মুখোমুখি হয়েছিল পিএসজি ও মার্সেই। লিগ টেবিলে যথাক্রমে এক ও দুই নম্বরে অবস্থানে থাকা দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এক দ্বৈরথ দেখার অপেক্ষা ছিল সবার। তবে মেসি ও এমবাপ্পের নৈপুণ্যে সেটি আর হয়নি। পিএসজি জয় পেয়েছে অনায়াসে।

লিগ ওয়া; নের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মার্সেইকে ৩-০ ব্যবধানে হারায় ক্রিস্তেফ গালতিয়ের দল। তিনটি গোলেই জড়িয়ে ছিল মেসি-এমবাপ্পের নাম। মেসির এসিস্ট থেকে এমবাপ্পে করলেন জোড়া গোল, আর এমবাপ্পের বাড়ানো পাস থেকে মেসি পেলেন তার মাইলফলক গোল। দুইজনের জুটিতে নেইমারের শুন্যতা অনুভব করেনি পিএসজি।

মাঠে শুরু থেকে আধিপত্য ছিল পিএসজির। প্রতিপক্ষের মাঠে ২৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় গলতিয়ের শিষ্যরা। মেসির বাড়ানো বলে এমবাপ্পের নিখুঁত ফিনিশ। চার মিনিট পরে আসা পিএসজির দ্বিতীয় গোলে প্রথম গোলের বিপরীত ভূমিকায় এই দুই তারকা। এবার এমবাপ্পের এসিস্টে মেসির লক্ষ্যভেদ। আর এই গোলের মাধ্যমে আর্জেন্টাইন মহাতারকা ঢুকে গেলেন ইতিহাসের পাতায়।

ক্লাব ক্যারিয়ারে এটি তার ৭০০তম গোল। এর মধ্যে বার্সেলোনার হয়ে করেছেন ৬৭২টি, পিএসজির হয়ে ২৮টি। ফুটবল ইতিহাস ও পরিসংখ্যান নিয়ে গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্টরি অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকসের (আইএফএফএইচএস) তথ্য অনুসারে, শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাব ফুটবলে ৭০০ ক্যারিয়ার গোল এখন মাত্র দুজনের। মেসির আগে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ক্লাব ক্যারিয়ারে ৯৫৭ ম্যাচে যার গোল ৭০৯ টি। তবে ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগে খেল ৭০০ গোল করেছেন একমাত্র মেসিই। রোনালদোর ৭০৯ গোলের মধ্যে ৮টি সৌদি প্রো লিগ ও পাঁচটি পর্তুগিজ প্রিমেরা লিগায়।

৫৫ মিনিটে এমাবাপের সৌজন্যে তৃতীয় গোলটি পায় পিএসজি। এবারো বলের যোগানদাতা মেসি।শেষ দিকে ব্যবধান কমানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন ভিতিনিয়া। কিন্তু অনেকটা দোন্নারুম্মা বরাবর শট নিয়ে দলকে হতাশ করেন এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। এই জয়ে ২৫ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও সুসংহত করল পিএসজি। শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে এগিয়ে গেল ৮ পয়েন্টে। ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে মার্সেই।


আরও খবর

মেসির জোড়া গোলে জিতল মায়ামি

রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪




বিএনপিসহ সব অপশক্তিকে প্রতিহত করব: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপিসহ স্বাধীনতা বিরোধী সব অপশক্তিকে প্রতিহত করব,বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকের এ দিনে বিএনপিসহ স্বাধীনতা বিরোধী সন্ত্রাসী সব অপশক্তি, যারা আমাদের বিজয়কে সংহত করার প্রতিবন্ধক, এদের আমরা পরাজিত করব, পরাভূত করব, প্রতিহত করব। আমাদের লড়াইকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব।

স্বাধীনতা পাওয়ার পর আমাদের কোনো অর্জন বাকি আছে যেটা আমরা এখনো পূরণ করতে পারিনি- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অর্জন করার বাকি আছে সেটা আমি নিজেই আমার বক্তব্যে বলেছি। বিজয়কে সুসংহত করার পথে প্রতিবন্ধকতা হলো, বিএনপির মতো সাম্প্রদায়িক, সন্ত্রাসী, অশুভ শক্তি। এই শক্তিকে পরাজিত করতে হবে, প্রতিহত করতে হবে।

বিএনপি দিবসটিকে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে ঘোষণার যে দাবি জানিয়েছে সে প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি তো কোনো দাবি নিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু বলতে পারি না। মন্ত্রিসভা আছে, প্রধানমন্ত্রী আছেন। তারা এত বছর পর দাবিটা তুলছেন, কেন তুলছেন এটাও জানার দরকার আছে।

তিনি আরও বলেন, আজকের এই দিনে আমরা শপথ নেব মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ধারাবাহিক লড়াইয়ে আমরা এগিয়ে যাব। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বয়ে নিয়ে যাব, এটাই হোক আমাদের শপথ।


আরও খবর



আজও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন বুয়েটে

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দ্বিতীয় দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি চালুর চেষ্টা পুরোপুরি বন্ধসহ ৬ দফা দাবিতে।

রোববার (৩১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় বুয়েট ক্যাম্পাসে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ক্যাম্পাসে এখন শুনশান নিরবতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন এলাকায় কোনো শিক্ষার্থীকে দেখা যায়নি। তবে অফিস খোলা রয়েছে। চলছে দাপ্তরিক কাজ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারী বলেন, শিক্ষার্থীরা কেউ আসে নাই। গতকাল থেকে ক্লাস পরীক্ষায় কেউ আসে না। আমাদের তেমন কোনো কাজ নেই, বসে আছি।

এর আগে, ২৮ মার্চ রাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের প্রবেশকে ঘিরে পরদিন (২৯ মার্চ) দুপুর থেকে ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে গতকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।

গত ২৮ মার্চ মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২১তম ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বির হলের সিট বাতিল করেছে বুয়েট প্রশাসন। এদিকে বুয়েট ক্যাম্পাসে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি চালুর দাবিতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সমাবেশ করছে ছাত্রলীগ।


আরও খবর



বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মনীষা আব্রাহাম

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে শেহজাদ মুনীমের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মনীষা আব্রাহাম, যা আগামী ০১ জুলাই ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে। বিএটি বাংলাদেশের ১১৪ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম নারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক হতে যাচ্ছেন তিনি। এফএমসিজি (ফাস্ট-মুভিং কনজ্যুমার গুডস) ও তামাক সহ বিভিন্ন খাতে বিপণন ও সাধারণ ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৩০ বছরের বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে মনীষার।

মনীষা গত বছরের মার্চ থেকে বিএটি বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদে একজন অ-নির্বাহী পরিচালক (নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিএটি গ্রুপের অংশ সিলন টোব্যাকো কোম্পানি পিএলসি থেকে বিএটি বাংলাদেশে যোগ দিচ্ছেন। সিলন টোব্যাকো কোম্পানিতে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

কর্মজীবনে তিনি এশিয়া প্যাসিফিক, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের একাধিক দেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৯৫ সালে আবুধাবিতে কর্মজীবন শুরু করার আগে মনীষা ভারতের জ্যোতি নিবাস কলেজ থেকে বি.কম ও বিরলা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে মার্কেটিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স বিষয়ে এমবিএ সম্পন্ন করেন।

এক বার্তায় নতুন এই দায়িত্বের বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মনীষা বলেন, “১১৪ বছর ধরে এই অঞ্চলে কাজ করার ক্ষেত্রে সফলতা ও ইতিবাচক প্রভাবের সমৃদ্ধ পরম্পরা রয়েছে এমন একটি প্রতিষ্ঠান (বিএটি বাংলাদেশ) নেতৃত্বের জন্য আমার ওপর আস্থা রাখায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

বিএটি বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির যাত্রা এগিয়ে নিতে ও সর্বোচ্চ সততার সাথে প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা বজায় রাখতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ করদাতা ও সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অংশীদার হিসেবে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। আমার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সকলের জন্য একটি সম্ভাবনাময় আগামী নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে আশাবাদী আমি।”

মনীষা আব্রাহাম শেহজাদ মুনীমের স্থলাভিষিক্ত হবেন, যিনি ব্যবসায়িক সফলতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে বিএটি বাংলাদেশে একটি দৃঢ় পরম্পরা তৈরি করেছেন। শেহজাদ মুনিম বিএটি বাংলাদেশের একজন টেরিটরি অফিসার হিসেবে ১৯৯৭ সালে যোগদান করেন এবং ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম বাংলাদেশি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। অবিচল নেতৃত্বের মাধ্যমে শেহজাদ কেবল তার প্রতিষ্ঠানের মানুষদেরই অনুপ্রাণিত করেননি, একইসাথে দেশের করপোরেট খাতের বাকিদের মধ্যেও স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার বুনন করেছেন। মনীষা আগামী ০১ জুলাই থেকে বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন। অসাধারণ জ্ঞান ও দক্ষতার পাশাপাশি তার নেতৃত্ব গুণাবলী প্রতিষ্ঠানের সাফল্য ও দেশের প্রবৃদ্ধি অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।


আরও খবর



থানার ভিতরেই নষ্ট হচ্ছে ৩ কোটি টাকা মুল্যের মোটরসাইকেল, কারও মাইক্রোবাস

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রায় শতাধিক দামি মোটরসাইকেল পড়ে আছে সৈয়দপুর থানার খোলা আকাশের নিচে। শুধু মোটরসাইকেল নয়, পাশেই রয়েছে জরাজীর্ণ মাইক্রোবাস প্রাইভেট কার, সহ অন্যান্য যানবাহন। নিত্যদিনের রোদ, বৃষ্টি,আর ধুলায় এসব গাড়ির যন্ত্রাংশে মরিচা ধরে গেছে। একই স্থানে দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন, অবহেলায় পড়ে থাকায় অধিকাংশ যানবাহন অকেজো হয়ে গেছে।এ যানবাহনগুলোর অধিকাংশই বিভিন্ন অপরাধে জব্দ করা মামলার আলামত। যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে এগুলো। আইনি জটিলতার কারণে অনেক মালিকই ছাড়িয়ে নিতে পারেন না এসব।  অন্যদিকে আইনি জটিলতার কারণে নিলাম না হওয়ার কারনে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

গতকাল ১ এপ্রিল সোমবার থানায় গিয়ে দেখা যায়, থানা প্রাঙ্গণে খোলা আকাশের নিচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে জব্দ করা প্রায় শতাধিক যানবাহন। সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় যানবাহন খোলা স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। 

থানার কর্মকর্তাদের দাবি, জব্দ করা যানবাহন রাখার জন্য আলাদা  নির্দিষ্ট কোন গ্যারেজ নেই। গ্যারেজ থাকলে জব্দ করা যানবাহন গুলো নষ্ট হতো না। সরকারের কোষাগারে জমা হতো পর্যাপ্ত রাজস্ব।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সৈয়দপুর থানায় জব্দকরা যানবাহনগুলো একই স্থানে পড়ে আছে বছরের পর বছর। ১০/১২ বছর আগে আটক করা গাড়িও আছে সেখানে। যার অধিকাংশই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অনেক গাড়ি রয়েছে যেগুলোর ভেতরে, বাইরে ধুলা, ময়লা জমে যন্ত্রাংশ ক্ষয়ে খসে পড়ছে।

থানা সূত্রে জানা যায়, জব্দ করা মোটরসাইকেলের সংখ্যা  প্রায় শতাধিক। এ ছাড়া ৩ টি প্রাইভেটকার ১ টি মাক্রোবাস সহ অন্যান্য যানবাহন খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, বিভিন্ন অপরাধে এসব যানবাহন জব্দ করা হয়েছে। কাগজপত্র না থাকায় সঠিক মালিকের কাছেও হস্তান্তর করা যাচ্ছে না। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন বলে তিনিও মনে করেন। কিন্তু গ্যারেজের মত সেড না থাকায় সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘দৈনিক অথবা মাসে যে পরিমাণ গাড়ি আমাদের এখানে জমা হচ্ছে, সে অনুসারে মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে না। আইনি জটিলতার ফলে জব্দ হওয়া বাহনের সংখ্যা বাড়ছে। অল্প জায়গায় অধিক যানবাহন রাখার কারণে নষ্ট হচ্ছে যন্ত্রাংশ। জায়গা না থাকায় এগুলোকে খোলা আকাশের নিচে রাখতে হয়।

ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন বলেন গাড়ি রাখার ভালো কোন জায়গা না থাকায় অনেক সময় অনলাইনের মাধ্যমে জরিমানা করে গাড়ি ছেড়ে দেয়া হয়। ভালো জায়গা থাকলে ও কাগজ পত্র বিহীন গাড়ির দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হলে, খোলা আকাশের নিচে যানবাহন নষ্ট হতো না এবং সরকারও পেতো রাজস্ব। 


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে পাইকারী বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ১৫ টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার হাটবাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়াসহ উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় পাইকারী বাজারে ১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। মরিচের দাম কমে আসায় লোকসানের মুখে পড়েছেন মরিচ চাষিরা।গতকাল শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে ফুলবাড়ী পৌর এলাকার পাইকারী সবজির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা প্রতি কেজি উচ্চ ফলনশীল জাতের (অগ্নি, মধুমতি, বিন্দু ও বিজলী ২০২০) কাঁচা মরিচ প্রকার ভেদে ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে দাম আরও কমতে থাকে। সর্বশেষ সকাল ১০ টার দিকে পাইকারি বাজারে ১৫ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে।

পাইকারী বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা পার্বতীপুরের ঢাকুলা গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী গোলাম রহমান, মধ্যপাড়ার আবুল হোসেন বলেন, গত পাঁচদিন আগেও পাইকারী বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৩২ থেকে ৩৫ টাকা দরে কিনতে হয়েছে। কিন্তু আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ১৫ টাকা কেজিদরে প্রয়োজনীয় মরিচ কিনেছেন। এগুলো নিজ নিজ এলাকায় প্রতিকেজি ১৮ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি করবেন।

উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের আমডুঙি গঙ্গাপ্রসাদ গ্রামের কাঁচা মরিচ চাষি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কলেজ শিক্ষার্থী নির্মল মার্ডি বলেন, চলতি মরিচ চাষ মৌসুমে ২৭ শতক জমিতে উচ্চ ফলনশীল মধুমতি ও বিজলী ২০২০ জাতের মরিচ চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি খেত থেকে প্রায় ৫০ মণ মরিচ তুলেছেন বিক্রির জন্য। কিন্তু দাম পড়ে যাওয়ায় মরিচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। আশা করেছিলেন,পাইকারী বাজারে কমপক্ষে ২৩ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু দাম পড়ে যাওয়ায় এখন উৎপাদন খরচও উঠবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন।

পাইকারী মরিচ ব্যবসায়ী ব্যবসায়ি মিলন মিয়া ও আমজাদ হোসেন বলেন, বর্তমানে হাটবাজারে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মরিচের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ক্রেতার অভাবে দাম পড়ে গেছে। তবে আগামীতে মরিচের দাম আরো কমে আসবে বলে তাদের ধারনা।

উপজেলার দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রামের মরিচ চাষি গোলাম মোস্তফা আকন্দ বলেন, এক বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল অগ্নি ও বিন্দু জাতের মরিচ চাষ করেছেন।এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ২২ হাজার টাকা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ওই জমি থেকে অন্তত ৬৫ থেকে ৭০মণ মরিচ পাবেন। কিন্তু বর্তমানে মরিচের যে দাম, এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে মরিচ বেঁচে উৎপাদন খরচ উঠলেও কোনো লাভ হবে না। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রাসরণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানুর ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় পৌর এলাকাসহ ৭ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ১১০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬৫ মেট্রিক টন। এ বছর তেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকাসহ রোগবালাই না ধরায় আশানুরুপ ফলন হয়েছে মরিচের।


আরও খবর