Logo
আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

পিবিআই প্রধানের মামলা: অব্যাহতি পেলেন বাবুল আকতার ও তার বাবা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৩১৪জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক:পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার ও তার বাবা আবদুল ওয়াদুদ মিয়াকে অব্যাহতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ও বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুর বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এ মামলায় আজ মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এএম জুলফিকার হায়াত চার্জশিট আমলে গ্রহণের শুনানিতে এ আদেশ দেন।

সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন পলাতক থাকায় এদিন আদালত তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে আগামী ৩১ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেছেন ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম।

চার্জশিটে সকল আসামিকেই অভিযুক্ত করা হয়েছিল। আসামিদের মধ্যে বাবুল কারাগারে এবং তার বাবা ও ভাই জামিনে ছিলেন।

গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়।

মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্রের তথ্য বলছে, বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যা মামলা নিয়ে ইলিয়াস ফেসবুক ও ইউটিউবে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। বাবুল, তার বাবা ও ভাইয়ের যোগসাজশে ইলিয়াস এ ধরনের তথ্য প্রচার করেন। এতে পিবিআই ও সংস্থাটির প্রধানের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে খুন হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা। এ ঘটনায় ৬ জুন বাবুল বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন।

মাহমুদা হত্যার ঘটনায় ২০২১ সালের ১২ মে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। বাবুলের করা মামলায় তিনিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে পিবিআই গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসীম উদ্দিনের আদালতে মাহমুদা হত্যা মামলার বিচার চলছে।


আরও খবর



চাকরির বয়সসীমা নিয়ে সুপারিশের কার্যকারিতা এখন আর নেই: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার সুপারিশের আর কার্যকারিতা নেই , মাত্র এক শতাংশ শিক্ষার্থী ত্রিশ বছর বয়সে চাকরি পাচ্ছেন। যেখানে এক শতাংশ মাত্র, সেখানে ৩৫ করলে আর কতই-বা বাড়বে?

রোববার (১২ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল সংক্রান্ত’ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমার দেওয়া সুপারিশপত্রের কার্যকারিতা এখন আর নেই। এটা নিয়ে জলঘোলা করে নানা জায়গায় দাঁড়িয়ে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা কখনোই কাম্য না।

তিনি আরও বলেন, আমি আলোচনা করে জানতে পেড়েছি, মাত্র এক শতাংশ শিক্ষার্থী ত্রিশ বছর বয়সে চাকরি পাচ্ছেন। যেখানে এক শতাংশ মাত্র, সেখানে ৩৫ করলে আর কতই-বা বাড়বে? সেটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার সুপারিশ প্রসঙ্গে মহিবুল হাসান বলেন, কিছু চাকরিপ্রার্থী বিষয়টি নিয়ে অনুরোধ করেছিলেন, তাদের সঙ্গে আলোচনাকালে মনে হয়েছিল, এ বিষয়ে একটা সুপারিশ করা যেতে পারে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেই সুপারিশপত্র পুঁজি করে অনেকেই জলঘোলা করার চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জাতীয় সংসদে পরিষ্কার করে বলেছেন, যে সরকারের বা রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্ত কী। এই বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে এই মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত নেই, সেটা তিনি (জনপ্রশাসন মন্ত্রী) বলে দিয়েছেন।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, কিন্তু একটি পক্ষ দেখা যাচ্ছে, সেই সুপারিশপত্র পুঁজি করে সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। সেখানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। আমি তাদের বলব, তারা একটি খারাপ কাজ করার চেষ্টা করছেন। এখানেই বিষয়টির সমাপ্তি ঘটেছে।


আরও খবর



মাগুরায় তীব্র তাপদাহ নিয়ন্ত্রনে হোটেলে কৃত্রিম পানির ফোয়ারা শীতল করছে পরিবেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় তীব্র তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে  এক হোটেল ব্যাবসায়ীর কৃত্রিম পানির ফোয়ারা এলাকায় সাড়া ফেলেছে।  জেলা শহরের রেজিস্ট্রি অফিসের পেছনে তার হোটেলে কৃত্রিম পানির ফোয়ারা সৃষ্টি করে হোটেল টিকে শীতল করে মানুষের মাঝে  আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। হোটেলের টিনের চালায় ওয়াটার কুলিং সিস্টেম লাগিয়ে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরি করে হোটেল ঘরের টিনসহ সর্বত্র শীতল পরিবেশ তৈরি করে খাবার হোটেলের ব্যবসা করছে রবিউল ইসলাম। মাগুরায় প্রচন্ড দাবদাহে জনজীবন যেখানে অতিষ্ট এবং বর্তমানে মাগুরায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে সেখানে ওয়াটার কুলিং সিস্টেমের কারণে রবিউলের হোটেলের ভিতরের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নামিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে।

তীব্র গরমে যেখানে জনজীবন অতিষ্ট সেখানে প্রাকৃতিক শীতল পরিবেশ পেয়ে রবিউলের হোটেলে খাবারের জন্য আসা মানুষের ভীড় বাড়ছে দিনদিন।  বৃষ্টিহীন দিনে টিনের চালে বৃষ্টির ঝুমঝুম আওয়াজ, এসি নেই, তবুও এই গ্রীষ্ম মৌসুমে হোটেলের ভিতর শীতল পরিবেশ। ঢেউটিন বেয়ে ঝরছে বৃষ্টির মত পানি। আর এমন নির্মল ঠান্ডা পরিবেশে বসে খাবার খাচ্ছেন ক্রেতারা। তারা এখানে এসে আনন্দিত।

হোটেল মালিক রবিউল ইসলাম জানায়, ২৫ হাজার টাকা ব্যায়ে নিমার্ণ করেছেন এই কৃত্তিম বৃষ্টি। তীব্র গরমে কাস্টমাররা ঠিকমতো আসতো না দোকানে। তাই বৃষ্টির চিন্তা মাথায় রেখে এমন ভাবনা আসে মাথায়। এখন নিয়মিতই আসেন কাস্টমার।

দোকানে খাবার খেতে এসে লোকজন জানায়, তারা হোটেলের ভিতরে শীতল পরিবেশ পেয়ে আরামে খাবার খেতে পারছেন। বাইরের গরম অসহ্য। কোথাও বসে খাবার খাওয়ার ঠান্ডা পরিবেশ পাচ্ছিলেন না তারা। তাই রবিউলের দোকানে এসে এমন চিত্র দেখে তারা হোটেলে বসেই একটু শান্তিতে খাবার খেতে পারছেন।

হোটেলের টিনের চালে দেখা যায় কয়েকটি গার্ডেনিং ফোয়ারা। সেখান থেকে পানি বের হয়ে টিনের চাল বেয়ে পানি পড়ছে নিচে। এতে চালের টিন ভিজে ঠান্ডা হচ্ছে রুমের ভিতরে। পাশাপাশি রুমের ভিতরে রয়েছে ফ্যান। এতে গরম ভাব সহজেই দূর হচ্ছে রুম থেকে। দোকানের উপরে টিনে দিয়ে বৃষ্টির মত পানি পড়তে দেখে পথচারীরাও মুগ্ধ হয়ে দেখছে এই দৃশ্য। হোটেলে খাবার খেতে আসা ক্রেতাদের অনেক ভিড়ও হচ্ছে। রবিউলের হোটেলে এমন ব্যাতিক্রমী উদ্দ্যোগ ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে শহরজুড়ে।


আরও খবর



মাদক কারবারে সাবেক এমপি বদির ২ ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে সিআইডি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) থেকে জানানো হয়েছে,মাদক ব্যবসার সঙ্গে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগের সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

‘সিআইডির জালে মাদকের গডফাদাররা: বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সিআইডি ৩৫টি মামলা তদন্ত করে মাদক মামলার মূল হোতা তথা গডফাদারদের মাদক ব্যবসা থেকে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ (ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা), ক্রয়কৃত জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটসহ বিভিন্ন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পায়। এসব মামলায় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৭৮.৪৪ কোটি টাকা। সিআইডি ইতোমধ্যে উল্লিখিত মামলাসমূহের মধ্যে ৩টি মামলায় গডফাদারদের ৯.১৪ একর জমি ও ২টি বাড়ি যার মূল্য ৮.১১ কোটি টাকা ক্রোক এবং মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে রাখা ১ কোটি ১ লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করেছে। আরও ৩৫ দশমিক ১৭৩ একর জমি, ১২টি বাড়ি ও ১টি গাড়ি যার মূল্য ৩৬ দশমিক ৮২ কোটি টাকা ক্রোকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া আরও বলেন, মাদকের গডফাদার হিসেবে কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির নাম বার বার উঠে এসেছে। ৩৫ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডি বদি বা তার ভাইয়ের মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। মাদক মামলার মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। বদির বিরুদ্ধেও যদি আমরা সাক্ষ্য-প্রমাণ পাই তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। যার বিরুদ্ধেই তথ্য-প্রমাণ পাব ধরা হবে, ছাড় দেওয়া হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কক্সবাজারে পর্যায়ক্রমে মাদকের সব গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক ব্যবসায় যারা অবৈধভাবে সম্পদ ও অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন তাদের অবৈধ সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারি কোষাগারে চলে যাবে। দেশ প্রেমিক নাগরিকদের প্রতি মাদক গড ফাদারদের তথ্য সিআইডিকে প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।


আরও খবর



হজযাত্রীদের থেকে কুরবানির টাকা নিতে পারবে না এজেন্সি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:কোরবানির অর্থ হজযাত্রীদের কাছে থেকে নেওয়া যাবে না। পাশাপাশি হজ এজেন্সিগুলোকে ফ্লাইট ডাটা সঠিকভাবে ও নিয়মিত সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি দিতে হবে। এছাড়া হজযাত্রীর মাধ্যমে জর্দার কার্টুন না পাঠানোসহ কতিপয় বিষয়ে হজ এজেন্সিগুলোকে হুঁশিয়ার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, হজ প্যাকেজে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের নিকট হতে হজে গমনের পূর্বে কোরবানি বাবদ অর্থ নিচ্ছেন। হজযাত্রী তার ইচ্ছা মাফিক সৌদি সরকারের ব্যাংকের কুপন ক্রয় করে বা তার নিজের ব্যবস্থাপনায় কোরবানি সম্পন্ন করবেন। এজেন্সি কোনোভাবেই কোরবানির টাকা নিতে পারবে না। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গত ১২ মে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জুম প্ল্যাটফর্মে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের জেদ্দা এয়ারপোর্ট সার্ভিসের মহাপরিচালক আব্দুর রহমান ঘ্যানামের সঙ্গে সভা শেষে এ নির্দেশনাসমূহ জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

সভায় আরও জানানো হয়-সৌদি আরবের পক্ষ হতে হজ এজেন্সি কর্তৃক ফ্লাইট ডাটা সঠিকভাবে ও নিয়মিত সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি না দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, হজ ফ্লাইট ডাটা এন্ট্রি না দেওয়ার কারণে মদিনা ও জেদ্দা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারছে না সৌদি কর্তৃপক্ষ। ফলে কোন ফ্লাইটে কতজন হজযাত্রী আসছে, তারা কোন মোয়াল্লেমের হজযাত্রী এবং কোন হোটেল বা বাড়িতে তাদের আবাসন ইত্যাদি বিষয়ে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া, হজযাত্রী ও তাদের লাগেজ পরিবহনের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। মোয়াল্লেমের প্রতিনিধিও হোটেল বা বাড়িতে সার্ভিস দেওয়ার জন্য উপস্থিত থাকছে না। এ কারণে হজযাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না এবং রুট-টু-মক্কার সুবিধা থেকে হজযাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

এ সভায় হজ ফ্লাইট যাত্রা শুরুর পূর্বেই সঠিকভাবে ফ্লাইট ডাটা সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি করার অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে জানানো হয়।

হজযাত্রীর মাধ্যমে জেদ্দায় জর্দা পাঠাচ্ছে এজেন্সি, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা হজযাত্রীর মাধ্যমে জেদ্দায় জর্দা পাঠাচ্ছে এজেন্সি, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হজ এজেন্সিগুলোকে আরও কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। কিছু এজেন্সি তাদের হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টুন পাঠিয়েছে যা জেদ্দা বিমানবন্দরে আটক হয়েছে। এতে দেশের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের সঙ্গে হজ গাইড বা প্রতিনিধি না পাঠানোর কারণে হজযাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়ছেন।


আরও খবর



গাংনীতে অফিসে না গিয়েও হাজিরা খাতায় শতভাগ উপস্থিত স্বাস্থ্যকর্মী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

মেহেরপুর প্রতিনিধি:মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ইনচার্জ আমির হামজা অফিস করছেন স্বেচ্ছাচারিতার ভিত্তিতে। দুয়েক দিন অফিসে আসলেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে অফিস ত্যাগ করেন। তবে রোগী পেলে বিভিন্ন পরীনিরীক্ষার জন্য লিখে দিয়ে চলে যান। এতে এলাকার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

সরজমিনে সোমবার দুপুরে তার অফিসে গিয়ে দেখা মেলেনি। অফিসে কর্মরত এক নারী কর্মচারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাড়ির কাজে তিনি ব্যস্ত আছেন। ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করছেন। রোববার তিনি অফিসে আসেননি। তবে কিছুক্ষণ পরেই ওই কর্মচারী কথা ঘুরিয়ে নেন। তিনি এবার দাবি করেন, তিনি (আমির হামজা) আজ অফিসে এসেছিলেন। তবে এর পরে তিনি কোথায় গেছেন তা আমি জানি না।

জানা গেছে, আকস্মিক কেউ অফিসে গেলে কর্মচারীরা তার উপস্থিতি এবং অনুপস্থিতির বিষয়ে এভাবেই তথ্য দিয়ে থাকেন। মিথ্যা ঢাকার জন্য নানা অপকৌশলের মধ্যেই কেটে যাচ্ছে দিনের পর দিন। ছুটি গ্রহণ বাদে হাজিরা খাতায় তার সাক্ষর শতভাগ। তাই দাপ্তরিকভাবে উপস্থিতি ঠিক রাখা হলেও বাস্তবতার সাথে মেলেনা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, আমির হামজা অফিস করেন ইচ্ছেমাফিক। সপ্তাহের প্রায় দিনই তিনি অফিসে থাকেন না। দুয়েকদিন সকালে অফিসে আসলেও তার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সেবা পাননা এলাকার মানুষ। অফিসে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পরে বের হয়ে যান। তবে তিনি কোথায় যান সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি অফিসে কর্মরতরা।

জানা গেছে, গেল জুন মাস থেকে আমির হামজা অন্য জেলা থেকে বদলি হয়ে গাংনীতে আসেন। সাহারবাটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে উপ সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) হিসেবে যোগদান করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল্লাহ আল আরাফাত (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) বলেন, হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর আছে, তবে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। তদন্তে তার অনুপস্থিতির বিষয়টি যদি প্রমান পাওয়া যায় তাহলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর