Logo
আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

পবিত্র কাবায় মুষলধারে বৃষ্টি (ভিডিও)

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ২৭১জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি আরবের মক্কায় ওমরাহ পালনকারী মুসল্লিরা স্বস্তির বৃষ্টি উপভোগ করলেন। আল-আরাবিয়া নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার পবিত্র মক্কা শহরে মুষলধারে বৃষ্টি নেমেছে।

এই নিয়ে মক্কার আঞ্চলিক কার্যালয়ের টুইটার পেজ থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বৃষ্টির মুহূর্তে মুসল্লিরা তাওয়াফ করছেন, অনেকে কাবা প্রদক্ষিণ করছেন এবং কেউ কেউ বৃষ্টির মাঝে দাঁড়িয়ে কাবার সামনে নামাজ ও দোয়া আদায় করছেন।  

ভারী বৃষ্টির মুহূর্তে সেখানে নিয়োজিত নিরাপত্তা ও জরুরি সংস্থার কর্মকর্তা এমন আবহাওয়ায় কোনো অঘটন যেন না ঘটে তা নিশ্চিত করেছেন।

যেকোনো সময়ের চেয়ে রমজান মাসে ওমরাহকারীর সংখ্যা বেড়ে যায়। এ বছরে সৌদি আরবে পবিত্র মাস শুরু হয়েছে গত ২৩ মার্চ এবং তা শেষ হবে আগামী ২১ এপ্রিল।

ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন: 


আরও খবর



তানোরে দুই শতাধিকের অধিক আম গাছ কেটে জমি দখলের চেষ্টা! উত্তেজনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে দুই শতাধিক আম গাছ কেটে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী হাসানের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরের দিকে পৌর এলাকার জিওল গ্রামে ঘটে ঘটনাটি। এঘটনায় জমির মালিকের ছেলে জিওল গ্রামের আলি হোসেন বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গাছ কেটে জমি দখলের ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মূহুর্তে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ীর মত সংঘর্ষ বলে আশঙ্কা গ্রামবাসির। 

জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার জিওল মৌজার অন্তর্গত আরএস ৩৩ নম্বর খতিয়ানে আরএস ২৫৩ দাগে জমি রয়েছে সাড়ে ১৮ শতাংশ। জমিটির মালিক ওই গ্রামের মুন্তাজের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। তার নিজ নামে খাজনা খারিজও রয়েছে। যার খারিজ কেস নম্বর ৩৫৬০/1x-1/২০০৫-২০০৬ ইং, প্রস্তাবিত খতিয়ান নম্বর ১৯৭, হিসাব নম্বর ২০৩। কিন্তু জমিটি নিয়ে বারবার ঝামেলা ও দখল করার পায়তারা করে আসছেন জিওল গ্রামের প্রভাবশালী হাসান আলী। 
সরেজমিনে দেখা যায়, জিওল গ্রামের ধানী মাঠে পোল্ট্রি খামারের পূর্ব দিকে জমিটির অবস্থান। জমিটিতে গত মঙ্গলবার মালিক আনোয়ারা বেগমের ছেলে আলী হোসেন প্রায় আড়াই শত মত আম গাছ রোপন করেন। আমের জাত আমরুপালি। গাছ রোপনের পরদিন বুধবার  দখলদার হাসান গংয়ের নেতৃত্বে তরতাজা আম গাছ কর্তন ও ত্যারের বেড়া ভেঙে চুরমার করে ফেলেছে। গাছগুলো কাটা অবস্থায় নিথর ভাবে পড়ে রয়েছে। 

সেখানেই ছিলেন, জমির মালিকের ছেলে আলী হোসেন তিনি জানান, বিগত ১৯৮১ সাল থেকে জমিটি আমাদের দখলে ছিল। মাঝে মধ্যেই হাসান দলবল এনে দখল বাজী ও আবাদের ক্ষতি করে থাকে। আমার মা বিগত ১৯৮১ সালের দিকে  এজমিসহ আরো জমি কিনেন। কিনার পর খাজনা খারিজ করা হয়েছে। হাসান খারিজ বাতিলের জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। কিন্তু তার লাঠি ও টাকার জোরে দখলের চেষ্টা করে থাকেন। তিনিই থানায় অভিযোগ করেন, তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় বসার কথা হয়। অথচ বসার আগেই আমার রোপনকৃত গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে। এতে করে আমার প্রায় ১ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চায়। জমি তার হলে অবশ্যই ছেড়ে দিব।

দখলদার হাসান বলেন, আমি জমিটি বিগত ২০০৫ সালে কিনেছে। কিন্তু তারা কিভাবে খাজনা খারিজ করে ফেলেছে আমি জানিনা। আমার দলিল আগে। আপনার দলিল আগে হলে তো মিস কেস করলে খারিজ বাতিল হবে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এডিসিতে আবেদন করেছিলাম, সে রায় ভূমি অফিসে আছে। রায় থাকলে তো জমি খারিজ হয়ে যাবে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সদ উত্তর না দিয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বসে মিমাংসা করা হবে বলে দায় সারেন তিনি। 
জমির মালিক আনোয়ারা বেগম ও তার স্বামী মুন্তাজ আলী বলেন, কাগজ যার জমি তার। আমার নামে খাজনা খারিজ আছে। হাসানের কাগজ যদি সঠিক থাকে  ও খারিজ বাতিল করতে পারলে এবং আমাদের বিপক্ষে রায় গেলে আমরা জমি ছেড়ে দিব। কিন্তু বারবার লাঠিয়াল বাহিনী এনে সব নষ্ট করে ফেলা কোন কাজ। এতগুলো আমগাছ কেটে ফেললো এর ক্ষতি পূরুন কে দিবে। তার লোকজন ও টাকা পয়সা আছে বলেই সবকিছু করবে এটা কোন ধরনের কথা। আমরা এসবের ন্যায্য বিচার চাই।  গাছ কাটার পর থানা পুলিশ তদন্ত করেছেন।

থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর



নতুন করে কোনো রিজার্ভ চুরি হয়নি: বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৩১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার ভারতের হ্যাকাররা গত কয়েক সপ্তাহে চুরি করে নিয়ে গেছে বলে ভারতের একটি নিউজ পোর্টালে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মঙ্গলবার (১৪ মে) ভারতীয় গণমাধ্যম ‘নর্থইস্ট নিউজে’ রিজার্ভ চুরির বিষয়ে খবরটি প্রকাশিত হয়। তবে ভারতীয় পোর্টালের সেই খবর নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারা বলছে, নতুন করে কোনো রিজার্ভ চুরি হয়নি। ওই খবরটি সম্পূর্ণরূপে ভুয়া (ফেইক)।

ভারতীয় গণমাধ্যম ‘নর্থইস্ট নিউজে’ রিজার্ভ চুরির বিষয়ে খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর মতিঝিলের ব্যাংকপাড়া, সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অনেকে এ তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে জানানো হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক নিউইয়র্ক ফেডের সঙ্গে লেনদেনে নিশ্চয়তার ক্ষেত্রে বর্তমানে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নীতি চালু রেখেছে। ফলে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তা সঠিক নয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, রিজার্ভ চুরি সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি সঠিক নয়, এখন রিজার্ভ চুরির কোনো ঘটনা ঘটেনি।

মঙ্গলবার (১৪ মে) ভারতের ‘নর্থইস্ট নিউজ’ নামের ওই নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত খবরটির শিরোনাম ছিল- ‘চলতি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোটি কোটি ডলার চুরির পেছনে ভারতীয় হ্যাকাররা জড়িত?

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‌‘অজ্ঞাত পরিচয়ের সন্দেহভাজন ভারতীয় হ্যাকাররা ডিজিটাল উপায়ে প্রায় এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার চুরি করেছে। দুই দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো ‘চাঞ্চল্যকর’ এ চুরির বিষয়ে অবগত আছে এবং তারা নীরবে এ ঘটনার তদন্ত করছে। এমন একটি সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে যখন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে রয়েছে। কিছু কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন, রিজার্ভ চুরির সংখ্যাটি ‘একক’ হতে পারে। এটি আমদানি বিল নিষ্পত্তিতে ‘চরম অসুবিধা’ সৃষ্টি করতে পারে।

এর আগে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে (ফেড) রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে একটি মেসেজের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কায় একটি ‘ভুয়া’ এনজিওর নামে ২০ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেওয়া হলেও বানান ভুলের কারণে সন্দেহ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়।

বাকি চারটি মেসেজের মাধ্যমে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার সরিয়ে নেওয়া হয় ফিলিপিন্সের মাকাতি শহরে রিজল কর্মাশিয়াল ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখায় ‘ভুয়া তথ্য’ দিয়ে খোলা চারটি অ্যাকাউন্টে। অল্প সময়ের মধ্যে ওই অর্থ ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়া হয়। ফিলরেম মানি রেমিট্যান্স কোম্পানির মাধ্যমে স্থানীয় মুদ্রা পেসোর আকারে সেই অর্থ চলে যায় তিনটি ক্যাসিনোর কাছে।

এর মধ্যে একটি ক্যাসিনোর মালিকের কাছ থেকে দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করে বাংলাদেশ সরকারকে বুঝিয়ে দেওয়া হলেও বাকি অর্থ উদ্ধারে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। জুয়ার টেবিলে হাতবদল হয়ে ওই টাকা শেষ পর্যন্ত কোথায় গেছে, তার কোনো হদিস মেলেনি।


আরও খবর



কেএনএফের ৯ সদস্য অস্ত্রসহ আটক

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১৫৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার দুর্গম এলাকা থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে চলমান যৌথ অভিযানে পাহাড়ী সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফের ৯ সদস্যকে ৯টি অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে সেনাবাহিনীর ১৬ ই বেংগল দোপানিছড়া পাড়া এলাকায় সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীবের নেতৃত্বে একটি টহল দল কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পায়। পরে ওই এলাকা ঘেরাও করে ৯ জনকে আটক করে।

এ সময় ৯টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্তুজ, দু’টি মোবাইল ফোন এবং দু’টি আইডি কার্ড উদ্ধার করে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এসব তথ্য জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে সোনালী ব্যাংক এবং কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি ঘটনা ঘটে। সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সশস্ত্র সদস্যরা এ সময় ব্যাংকে নিয়োজিত গ্রামপুলিশ ও ব্যারেকে থাকা আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র ও গুলি লুট করে। এছাড়াও ডাকাতির সময় ব্যাংক ম্যানেজার নেজামউদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে অভিযানে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় রুমা ও থানচি থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। ব্যাংক ডাকাতি ও গোলাগুলির ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে।


আরও খবর



দেশের উন্নয়ন ও শান্তির জন্য সকলকেঐক্যবদ্ধ হতে হবে: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ১২৬জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, দেশের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, আমরা পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের জন্য আমাদের শপথ হবে বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে ও দেশের উন্নয়নে যেন আমরা প্রত্যেকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আলাদা বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি থাকার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে এরকম অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি মারি স্টেডিয়াম মাঠে মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) আয়োজিত মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসবের জলকেলি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

জলকেলি উৎসব অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। এ অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়েশা খান এমপি।

সাংগ্রাই উৎসবের শুরুতেই প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা মারমা যুবক যুবতিদের গায়ে পানি ছিটিয়ে জলকেলির শুভ সুচনা করেন। জলকেলির পর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মারমা শিল্পিদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) সভাপতি অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী’র সহধর্মিনী প্রধান শিক্ষক মিজ মল্লিকা ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার সোহেল আহমেদ, বিজিবি রাঙ্গামাটি সদর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোঃ আনোয়ার লতিফ খান, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, বিপিএম (বার), রাঙ্গামাটি সদর পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, দুদক রাঙ্গামাটির উপ-পরিচালক জাহিদ কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়েশা খান এমপি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহি উৎসব সাংগ্রাইয়ের সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যবোধ ও স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে পাহাড়ে সবাই যেন ভালো থাকে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি  বলেন, বৈসাবি একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তিনি বলেন, বৈসাবী উৎসব পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন না। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এই উৎসব। এটা শুধু সাংস্কৃতিক উৎসবই নয়। এটাতে ধর্মীয় অনুভুতিও জড়িত। এদিন মুরব্বীদের কাছ থেকে আশির্বাদ চাওয়া হয়। তাই এটি সামাজিক সাংস্কৃতিক উৎসবের পাশাপাশি ধর্মীয় উৎসবও। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সকল ভাষাভাষী ও সকল ধর্মের লোক সম্প্রীতির ঐক্যের বন্ধনে একই ছাতার নিচে বসবাস করবেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন- লক্ষ্য একটাই- বাংলাদেশের জাতি, সকল ভাষাভাষি গোষ্ঠী, ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে যেন ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি হয়। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, রাঙ্গামাটিতে আজকের এই জল উৎসব অনুষ্ঠান প্রমান করে আমরা শান্তি চাই সম্প্রীতি চাই ঐক্য চাই। তাই দেশের কল্যাণে যা যা করার প্রয়োজন সবাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান তিনি। পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সামিল করার ক্ষেত্রে সকলকে অনন্য ভূমিকা রাখার প্রতিও আহ্বান জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

আরও খবর



মা দিবসে ইবি সিআরসির ব্যতিক্রমী আয়োজন

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ২২জন দেখেছেন

Image
সাব্বির খান,ইবি প্রতিনিধি:ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাম ফর রোড চাইল্ড (সি আর সি) এর উদ্যোগে মা দিবস উপলক্ষ্যে ১০ জন হত দরিদ্র মাকে শাড়ি এবং সামান্য কিছু উপহার প্রদান করা হয়েছে। রবিবার (১২ মে) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্ত্বর এলাকায় এই ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানটি সংগঠনটির সভাপতি মোঃ শাহীদ কাওসারের সভাপতিত্বে এবং সাইফুন্নাহার প্রেমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রোভার স্কাউট গ্রুপের ইউনিট কাউন্সিলের সভাপতি মুসা হাশেমী। 

এছাড়া এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঐক্যমঞ্চের আহ্বায়ক রাবেয়া খাতুন এবং ঐক্যমঞ্চের সদস্য সচিব এস এইচ এ ওয়ালীউল্লাহ, তারুণ্যের সভাপতি মারুফ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক রিফাত মাশরাফি প্রত্যয়। 

আরও উপস্থিত ছিল কাম ফর রোড চাইল্ড সংগঠনের সাবেক সভাপতি রনি শাহা, সহ সভাপতি এস এম সৌরভ, হাসিবুর রহমান, স্কুল পরিচালক মশিউর রহমান, প্রচার সম্পাদক সাইফুল, জেরিন আক্তার উর্মি,  উপ তথ্য-যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রেখা খাতুন, , দপ্তর সম্পাদক মুরছালিন, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ফারিহা আখি, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক  মিতা খাতুন,আনোয়ার হোসেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রমজান আলিসহ সি আর সি সংগঠনের অর্ধশত সদস্যবৃন্দ। 

জানা যায়, ক্যাস্পাসের আশেপাশে থাকা কিছু অতি দরিদ্র বৃদ্ধা মায়েদের নিয়ে মা দিবসে যেখানে  অনলাইনে পোস্টের ছড়াছড়ি সেই সময়ে মায়েদের মাঝে ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উক্ত সংগঠনটি।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের ইউনিট কাউন্সিলের সভাপতি মুসা হাশেমী বলেন, 'দিবসটিকে যখন গতানুগতিক ধারায় পালন করে  সবাই । সেখানে এমন ব্যতিক্রম আয়োজনে প্রশংসার দাবি রাখে।' 

ঐক্যমঞ্চের সদস্য সচিব এস এইচ এ ওয়ালীউল্লাহ বলেন, 'আমাদের  নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা উচিত। এর মাধ্যমে নিজদের নৈতিকতা জাগ্রত হলে কোনো একদিনকে  ঘিরে মায়েদের পাশে দাড়ানোর প্রয়োজন পরবে না। প্রতিদিন মায়েদের পাশে দাড়াতে পারবো।'

সার্বিক বিষয়ে সিআরসির সভাপতি মোঃ শাহীদ কাওসার বলেন, 'প্রতিবছর মা দিবসে সবাই নিজ নিজ পরিবারের সঙ্গে দিনটি উদযাপন করেন। তবে এসব হত দরিদ্র মায়েরা সেই মা দিবসের দিনেও বিভিন্ন বিষয়ে বঞ্চিত থাকেন। আমরা সেই মায়েদের মাঝে ভালোবাসা ভাগাভাগি করতে আজ খাবার, বস্ত্র, ঔষধ ও সময় দিয়ে  এই দিবসটি  উদযাপন করছি। আমরা এখানে যারা উপস্থিত আছি মা দিবসের প্রত্যাশা আমাদের এটাই হোক, অন্তত আমাদের আশপাশের কোন মা যেন অবহেলিত ভাবে দিন না কাটায়।'

প্রসঙ্গত, এসময় মায়েদের নিয়ে খাবার খাওয়া ও উক্ত মায়েদের মাঝে উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।

উল্লেখ্য, ‘থেকে একসাথে যুক্ত, করবো পৃথিবী পথশিশু মুক্ত’ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৬ সাল থেকে ইবিতে সিআরসি’র কার্যক্রম শুরু হয়। পথশিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নানা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে সংগঠনটি।

আরও খবর