Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

‘অ্যাভাটার ২’র তিন দিনের আয় ৪ হাজার ৬২২ কোটি টাকা!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ ডিসেম্বর ২০22 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৩১৭জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক ;দীর্ঘ ১৩ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে জেমস ক্যামেরনের বিশ্বব্যাপী আলোড়ন করা সিনেমা ‘অ্যাভাটার’-এর সিক্যুয়েল ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’।আর এই সিনেমা মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে বক্স অফিসে ঝড় উঠবে এটাই স্বাভাবিক। 

গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে হলিউডের সফল এই নির্মাতার নতুন সিনেমা ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’। এটি ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া বিখ্যাত সিনেমা ‘অ্যাভাটার’র দ্বিতীয় কিস্তি।

মুক্তির প্রথম দিন থেকেই আন্তর্জাতিক বক্স অফিস মাতিয়ে যাচ্ছে ‘অ্যাভাটার ২’। প্রথম উইকেন্ড তথা তিনদিনে সিনেমাটির আয় ছাড়িয়েছে ৪৩৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ হাজার ৬২২ কোটি ১২ লাখ টাকারও বেশি।

এর মধ্যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে। বাকিটা এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের বক্স অফিস থেকে। প্রথম তিন দিনের আয়ে এটি টম ক্রুজের ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’র চেয়ে ৮২ শতাংশ এবং ‘অ্যাভাটার’র চেয়ে ৭৮ শতাংশ এগিয়ে।

যদিও হলিউড বক্স অফিস বিশ্লেষকদের মতে, ‘অ্যাভাটার ২’র জন্য এরকম উইকেন্ড প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। এর অন্যতম কারণ চীনের বাজারে সিনেমাটি সুবিধা করতে পারছে না। সেখানে প্রথম তিন দিনে ১০০ মিলিয়ন ডলার আয়ের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু হয়েছে মোটে সাড়ে ৫৭ মিলিয়ন ডলার। তবে সামনের দিনগুলোতে বৈশ্বিক আয়ে ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ এগিয়ে যাবে, এমন প্রত্যাশা বিশ্লেষকদের।

এদিকে ভারতের বাজারে দারুণ ব্যবসা করছে ‘অ্যাভাটার ২’। প্রথম তিন দিনে দেশটি থেকে ১২৭ কোটি ৫০ লাখ রুপি আয় করে নিয়েছে ছবিটি।

উল্লেখ্য, প্রায় ৪৬০ মিলিয়ন ডলার বাজেটে নির্মিত হয়েছে ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’। এতে অভিনয় করেছেন স্যাম ওর্থিংটন, জো সালদানা, স্টিফেন ল্যাংক, সিগার্নি ওয়েভার, কেট উইন্সলেট প্রমুখ।


আরও খবর



দেশবাসী পাশে আছে, কাউকে পরোয়া করি না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৮৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আমার একটাই শক্তি সেটা হচ্ছে-জনগণ। তাদের শক্তি নিয়েই আমি চলি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। জনগণের মধ্যে একটি আস্থা সৃষ্টি হয়েছে যে, আমি তাদের জন্য কাজ করি। কাজেই এই আস্থা ও বিশ্বাসটাই হচ্ছে আমার একমাত্র সম্বল। আর এই সম্বল নিয়েই আমি চলি। এ জন্যই আমি কাউকে পরোয়া করি না। এসময় তিনি দৃঢ় কণ্ঠ আরও বলেন, যতক্ষণ দেশবাসী আমার পাশে আছে ততক্ষণ আমি কাউকে পরোয়া করি না।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপত্বি করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করি। যে কাজগুলো আমরা করেছি তার সুফলটা দেশবাসী পাচ্ছে, সেটাকে স্বীকার করেন। কিন্তু প্রত্যেকটা কাজকে যদি প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে (চেষ্টা) করা হয়, হ্যাঁ তাতে কি করতে পারেন, জনগণের কাছ থেকে তো আমাকে দূরে সরাতে পারবেন না।

তিনি আরও বলেন, হ্যাঁ আমি জানি, আমার বাবার সঙ্গেও একই জিনিস হয়েছে। যতগুলো কাজ তিনি করে গেছেন মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে- সংবিধান দেওয়া থেকে শুরু করে এমন কোন সেক্টর নাই যার ভিত্তিটা তিনি তৈরি করে দেন নাই। তারপরও তাঁর সমালোচনা, তার বিরুদ্ধে নানা কথা লেখা, অনেক কিছু করে তাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। যখন পারেনি তখন তাকে হত্যা করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাকেও হত্যার জন্য বার বার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আমি বেঁচে গেছি সেটাও আমার জনগণ এবং দলের নেতাকর্মীরা সব সময় আমাকে ঘিরে রেখেছে। নিজেরা জীবন দিয়ে আমার জীবন বাঁচিয়েছে। আমি এখন জনগণের জন্যই কাজ করে যেতে চাচ্ছি এবং কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বিগত ১৫ বছরে যে পরিমাণ কাজ করেছে অন্যরা ২৯ বছরেও সে কাজ করতে পারে নাই। পারবেনও না কারণ প্রকল্প দিয়েই তো আগে টাকা খাওয়া। আর আমরা প্রকল্প শেষ করেই ছাড়ি, টাকা খাওয়ার কোনো সুযোগ নেই, এটা হলো বাস্তবতা।

এ সময় পদ্মা সেতু নির্মাণের শুরুতে দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থ প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তাদের অভিযোগের বিরুদ্ধে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন যে, এখানে কোন দুর্নীতি হয়নি এবং বিশ্বব্যাংকও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।

তিনি এ সময় দেশে বিভিন্ন মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে অন্য দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত অধিক অর্থ ব্যয় সংক্রান্ত বিরোধী দলীয় নেতার বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, আমাদের এটা ব-দ্বীপ। এখানকার ভূমি নরম থাকায় যে কোনো অবকাঠামোগত প্রকল্প গ্রহণে অধিক অর্থ ব্যয় হয়।

জিয়াউর রহমানের সময়ে দেশে এলিট শ্রেণি সৃষ্টি করা হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ যে কথায় আসে ঋণখেলাপি, এই সংস্কৃতি কখন শুরু হয়েছিল? ওই জিয়াউর রহমান যখন অবৈধ ক্ষমতা দখল করে, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে সেই সময় থেকে। যার ধারাবাহিকতা আমরা দেখেছি এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলে। সেখান থেকে এখনও পূর্ণমুক্তি পাওয়া যায়নি। এটাই হলো বাস্তবতা। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা আছে।

তিনি বলেন, আজ অনেকেই গণতন্ত্রের কথা বলে। গণতন্ত্রের প্রবক্তা হয়ে গেছে অনেকেই। আমার প্রশ্ন, যারা এখন গণতন্ত্র, গণতন্ত্র করে চিল্লায় তাদের জন্ম কি গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে হয়েছে? না ওই রক্তাক্ত হাতে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, সেই সেনা কর্মকর্তাদের পকেট থেকে? যারা বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিল সেই রাজনৈতিক দল! জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার সাংস্কৃতি জিয়াউর রহমানের আমল থেকে শুরু।

আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বিদ্যুৎ নিয়ে কথা ওঠে। তখন (বিএনপির ১৯৯১ সালের সরকারের আমল) বিদ্যুৎ ছিল মাত্র ১৬শ মেগাওয়াট, বিদ্যুতের জন্য হাহাকার। বিএনপির সময়ে বিদ্যুৎ ও পানির দাবিতে মানুষের আন্দোলনের কথা তুলে ধরেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ প্রথম গণতন্ত্রের স্বাদ পান এবং তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন যে হয় এটা প্রথম উপলব্ধি করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে।

২০০১ সালের নির্বাচনের আগে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাবে রাজি হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতো বলে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় যাব? আমি তো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে। আমার পক্ষে তো দেশ বিক্রি সম্ভব না। আমি রাজি হইনি বলেই ক্ষমতায় আসতে পারিনি।

২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার চিত্র তুলে ধরেন শেখ হাসিনা বলেন, অন্য এলাকায় থাকতে না পেরে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ আমার কোটালিপাড়ায় আশ্রয় নিয়েছিল। এই ছিল দেশের অবস্থা, এই হলো গণতন্ত্র! এই গণতন্ত্র তারা দিয়েছিল। ২০০১-০৬ পর্যন্ত এ তাণ্ডব তাদের চলে।

বাংলাদেশ বিএনপির আমলে দুর্নীতিতে এক নম্বর দেশ, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের দেশে পরিণত হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

২০০৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছিল, একই সঙ্গে ওই নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের ভরাডুবির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেনি। তা হয়েছিল অবাধ, সুষ্ঠু। তাহলে বিএনপি কেন মাত্র ৩০টি আসন পেল? তাহলে তারা এখন কীভাবে বলে নির্বাচনে আসবে না, নির্বাচন হয় না বা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে। জনগণ ভোট দেবে জেনেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

২০২৩ সালের আন্দোলনের সময় (২৮ অক্টোরব) বিএনপি প্রধান বিচারপতির বাড়ির দরজায় হামলা করেছিল বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মারা বিএনপির অভ্যাস আছে। সেটাও তারা করেছিল। সাংবাদিকদের খালি পেটানো না, প্রেসক্লাবে ঢুকে সাংবাদিকদের পিটিয়েছে, সেই রেকর্ডও আছে। অপকর্মের কোনও কিছুর বাদ নেই। তার জন্য আমার প্রশ্ন উঠে, আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখা উচিত!

রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ আইনের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা প্রশ্ন উঠান, বিশেষ আইন কেন করলাম। বিশেষ আইন এ জন্য করেছি, আমি তো ব্যক্তিখাতে সব উন্মুক্ত করে দিয়েছি। ব্যক্তিখাতে উন্মুক্ত করে দিতে হলে আইন করেই করতে হবে। দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা শুধু সরকার দিয়ে হবে না, ব্যক্তিখাত দিয়েই করতে হবে। ব্যক্তিখাত না দিলে কর্মসংস্থানও বাড়ে না।

তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন দেশ আছে যেখানে ক্যাপাসিটি চার্জ ছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর হয়? একটা দেশ দেখান। এখন ক্যাপাসিটি চার্জ বলে চিৎকার। বিশেষ আইনে কাউকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়নি। বরং বেসরকারি খাতে প্রথম বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র করেছিল সামিট, খুলনায় তারা এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে দেরি করেছিল, যে কয়দিন দেরি করেছিল প্রতিদিন ১০ হাজার ডলার করে জরিমানা দিতে হয়েছিল। সেই জরিমানা আমি আদায় করেছিলাম।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ছাড় আমি দেই না সেটা মাথায় রাখতে হবে। তাই এখানে দায়মুক্তির কিছুই নেই। বিদ্যুৎ উৎপাদন যাতে বন্ধ না হয় এ জন্য বিশেষ আইনটি করা হয়েছে। উন্নয়ন করতে হলে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ দেওয়া। বিদ্যুৎ দিতে পারলে কর্মসংস্থান এমনিই তৈরি হয়।

সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র বহুমুখী করেছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা সোলার প্যানেল শুরু করেছি। বায়ুভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র শুরু করেছি। কয়লাভিত্তিক করছি। তেলভিত্তিক-গ্যাসভিত্তিক সবই করছি। মানুষকে বিদ্যুত দিতে চাই। হ্যাঁ লোড। যে প্রচণ্ড গরম। সেখানে লোডশেডিং হয়েছে। আমরা সেটা স্বীকার করি। কিন্তু কৃষক যেন সেচটা পায়, সেখানে কিন্তু ভর্তুকি দেওয়া হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী অভিজাত এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং দেওয়ার কথা বলেন। এ বিষয়টি তিনি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন।

সরকারের উন্নয়ন কাজের সমালোচনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মায় রেললাইন নেই। এটার নাকি প্রয়োজনই নেই। এ রেললাইন ঢাকা থেকে খুলনা হয়ে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত পৌঁছাবে সেইভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটা প্রয়োজন নেই যারা বলেন তাদের কী বলবো অর্বাচীন ছাড়া? এত টাকা খরচ করে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র কেন করলাম? এটার কী প্রয়োজন ছিলো! নিউক্লিয়ার পাওয়ার হচ্ছে সব থেকে ক্লাইমেট ফ্রেন্ডলি। কোনো দূষণ নেই।

তিনি আরও বলেন, সেই ১৯৬২ সাল থেকে এটা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পাকিস্তানিরা আমাদের ধোকা দিয়েছিল। দুটি পাওয়ার প্লান্ট করবে বলে দুটোই নিয়ে গেলো পাকিস্তানে (পশ্চিম পাকিস্তানে)। আজ আমরা পারমাণবিক পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ করেছি। এখান থেকে সব থেকে ভালো বিদ্যুৎ আমরা পাবো। আমরা সেখানে আরও একটা করবো। ইতোমধ্যে আমি কথা বলেছি। ওখানেই আরেকটা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ মেট্রোরেল নিয়েও প্রশ্ন তোলেন? এর কী প্রয়োজন ছিলো! তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে তো যানজটমুক্ত হতো। আজ প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার মানুষ মেট্রোরেল দিয়ে চলতে পারে। এটায় যারা চড়ছে তারা সুফল পাচ্ছে। যারা এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তারা লজ্জা পাচ্ছে কি না জানি না।

শেখ হাসিনা বলেন, কেউ কেউ বলে বাংলাদেশে রাস্তা বানাতে এত খরচ কেন? এদের দেশের মাটি সম্পর্কে মোটেও ধারণা নেই। মাটির সঙ্গে এদের কোনও সম্পর্কই নেই। আমাদের মাটি এটা একটা ব-দ্বীপ। এ মাটি দো-ফসলা। যাকে বলে জোবা মাটি। এ মাটি নরম। এখানে কোনও কিছু করতে গেলে... ওই যেনতেন করতে করতে গেলে দু-চারদিনের বেশি থাকে না। সেখানে আমরা মাটি তুলে আধুনিক প্রযুক্তিতে রাস্তা তৈরি করছি। রাস্তা যখন চড়েন দেখেন না? তো খরচ তো লাগবে। সেখানে শক্তমাটি সেখানে অত খরচ হয় না। নরম মাটি বলেই খরচ বেশি। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কিছু নেই।

বর্তমান সরকারের সঙ্গে অন্যান্য সরকারের উন্নয়ন চিত্রের তুলনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ১৫ বছরে যে পরিমাণ কাজ করতে পেরেছি ওই ২১ বছর আর ৮ বছর, এই ২৯ বছরে কেউ করতে পেরেছে? পারেনি। পারবেও না। প্রকল্প দিয়েই তো আগে টাকা খাওয়া। আর আমরা প্রজেক্ট শেষ করে ছাড়ি। টাকা খাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। বিশ্বব্যাংক চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল। আমরা তা মোকাবিলা করেছি। প্রমাণ করতে পেরেছে? হ্যাঁ কিছু জিনিস আপনারা তৈরি করে গেছেন। ওই জিয়াউর রহমানের আমল থেকে কালচার একটা তৈরি করে গেছে। এদের কিছু আছে। সেখান থেকে কীভাবে উত্তরণ ঘটানো যায় সেই চেষ্টাও আমাদের আছে। আমাদের চেষ্টাই হচ্ছে দেশের উন্নতি করা। আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করি।

সমালোচকদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কাজগুলো আমরা করছি যার সুফল জনগণ পাচ্ছে সেটাকে স্বীকার করেন। প্রত্যেকটি কাজ যদি প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে হয় তাহলে কী করা যাবে। তবে জনগণ থেকে আমাকে দূরে সরাতে পারবেন না। আমার একটা শক্তি হচ্ছে জনগণ। তাদের শক্তি নিয়ে আমি চলি।


আরও খবর



রূপগঞ্জে প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৯৮জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ- নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবিতে ঢাকা-সিলেট অবরোধ করেছে এলাকাবাসী।  গতকাল ২৪ এপ্রিল বুধবার  দুপুরে উপজেলার  ভুলতা বলাইখা এলাকায় প্রায় ২ ঘন্টা ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় এলাকাবাসী  অভিযোগ করে জানান, প্রিপেইড মিটারে টাকা বেশি কেটে নেয়।  প্রিপেইড মিটারে টাকা রিচার্জেও  বিভিন্ন ভোগান্তি পোহাতে হয়।

এ প্রিপেইড মিটার অনেক সমস্যা। গত মঙ্গলবার পল্লী বিদ্যুৎ এর কর্মীরা কোনো নোটিশ ছাড়াই আমাদের পূর্বের মিটার পরিবর্তন করে প্রিপেইড মিটার বসানোর জন্য আসে। আমরা প্রিপেইড মিটার বসানোর জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের কাছে ৩ মাস সময় চেয়ে নিষেধ করি। পর তারা চলে গিয়ে পুনরায় গতকাল বুধবার ভোরে প্রায় ৪ শতাধিক গ্রাহকের বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তারা আরো বলেন, যদি এ প্রিপেইড মিটার লাগানো বন্ধ না হয় এবং আমাদের বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ লাইন সচল না হয় তাহলে পুনরায় ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবরোধ করা হবে। 

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ডিজিএম   শান্ত নুর রায় মুটো ফোনে বলেন, প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবিতে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধের ঘটনা আমার জানা নেই। তবে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গত মঙ্গলবার উপজেলার বলাইখা এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎতের কর্মীরা প্রিপেইড মিটার লাগাতে গেলে এলাকাবাসী তাদেরকে বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে মুখোমুখি হয়। সে কারণেই তাদের বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। বিচ্ছিন বিদ্যুৎ লাইন চালু করার জন্য আলোচনা চলছে। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্ম বাঙগালীকে আলোর পথ দেখায়: পরিকল্পা প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৭৬জন দেখেছেন

Image
নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:পরিকল্পা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বলেছেন,রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্ম বাঙগালীকে আলোর পথ দেখায়। বিশ্বকবি পতিসর কাচারী বাড়ির আঙ্গিনায় বসে অসংখ্য সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি করেছেন। রবীন্দ্রনাথ জমিদার হয়েও সাধারণ মানুষের কাছে নিজেকে নিবেদন করতেন। কবি সকল গুনের অধিকারী ছিলেন।

তৎকালীন সমাজের বৈষম্য ও কুসংষ্কার দূর করে স্বনির্ভর সমাজ গড়ে তোলার কাজ হাতে নিয়েছিলেন। নিজস্ব জমিদারী কালীগ্রাম পরগনা থেকেই সেই কাজ তিনি শুরু করেছিলেন। সাহিত্য রচনার পাশাপাশি কবি সকল বঞ্চনার মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্মোৎসব অনুষ্ঠানে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পতিসরে এসব কথা বলেছেন তিনি।

প্রতি বছরের মত এবারো সংষ্কৃতি মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতায় নওগাঁ জেলা প্রশাসন আলোচনা সভা ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বুধবার বিকেলে কবির নিজস্ব জমিদারী কালীগ্রাম পরগনার কবীর কাচারি বাড়ী দেবেন্দ্র মঞ্চে এই আলোচনা সভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন রবীন্দ্র গবেষক ড. আশরাফুল ইসলাম। এছাড়া নওগাঁ সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শরীফুল ইসলাম খাঁন, কৃষি অর্থনীতি গবেষক অধ্যাপক মোজাফ্ফর হোসেন আলোচনায় অংশনেন। আলোচকরা বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্মময় জীবনী তুলে ধরেন।

এদিন বিকেল সোয়া চারটায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ফেষ্টুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি পরিকল্পা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার ।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য সৌরেনন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, নওগাঁ- ৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্রহানী সুলতান, নওগাঁ- ৬ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক সুমন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফৌজিয়া হাবিব ও আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস,জেলা পরিষদ সদস্য চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহেল রানা। আলোচনা সভা শেষে দেবেন্দ্র মঞ্চে সাংষ্কৃতিক, কবীতা আবৃতি, গান ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়।

আরও খবর



গোদাগাড়ীতে ৩ হাজার ৩০০ ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের মাঝে মশারী ও টুথপেষ্ট বিতরণ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৬০জন দেখেছেন

Image

মুকতার হোসেন,গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ"১৮'র আগে বিয়ে নয় তবেই মেয়ের জীবনে সুখের হাওয়া বয় ১৮'র আগে বিয়ে দুখের হাওয়া বয় জীবনে"বাল্য বিয়েকে না বলুন এই স্লোগানে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে স্পনসর ড ও নন-স্পনসর ড ৩ হাজার ৩০০জনকে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের মাঝে মশারী ও টুথপেষ্ট বিতরণ করেছে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ,গোদাগাড়ী এপি।সোমবার বেলা সাড়ে ১০টায়

উপজেলা শিশু নিকেতন মাঠে।ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, গোদাগাড়ী এপি ম্যানেজার প্রেরণা চিশিমের সভাপতিত্বে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের মাঝে মশারী ও টুথপেষ্ট বিতরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম।বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এস এম বরজাহান পিন্টু,গোদাগাড়ী শিশু নিকেতনের প্রধান শিক্ষক আবু বাক্কার সিদ্দিক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার এন্ড্রিকা সমুর্মু ও প্রোগ্রাম অফিসার সন্তোষমিত্র প্রমূখ।বাল্যবিবাহ সম্পর্কে সচেতনা মূলক ম্যাসেজ প্রদান করা হয়। বক্তারা বলেন, বাল্যবিবাহ নিরোধে মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন। তারা বলেন যে, উক্ত বিষয়ে যে কোন ধরণের সহযোগীতা প্রদান করবেন। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিশুরা অতিথিদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেন যে, তারা নিজেরা কেউ বাল্যবিবাহ করবে না এবং অন্যদের বিয়েও শক্তহাতে প্রতিহত করবে। উপস্থাপনা করেন গোদাগাড়ী এপির উপজেলাযুব ফোরাম সভাপতি মনিরা খাতুন। উল্লেখ্য যে গোদাগাড়ী উপজেলা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ গোদাগাড়ী এপির স্পনসর ড শিশু ৩হাজার ও নন-স্পনসর ড ৩০০জনকে একটি করে মশারী ও একটি করে টুথ পেষ্টতুলা দেয়া হয়। আলোচনা সভায় স্পনসর ড ও নন-স্পনসর ড ঝুঁকিপূর্ণ শিশু ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।



আরও খবর



রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২১

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৯৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

বুধবার (৮ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তাদের হেফাজত থেকে ৩ হাজার ২৪৯ পিস ইয়াবা, ১৫৬ গ্রাম হেরোইন, ১২ কেজি ৩১৬ গ্রাম গাঁজা ও ৭ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৭টি মামলা করা হয়েছে।


আরও খবর