Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

অতিথিদের হাতে তানোর আ"লীগ ক্ষুব্ধ তৃনমুল লবিং গ্রুপিংয়ের শেষ নেই

প্রকাশিত:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৪৫২জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন অতিথিরা, বাগিয়ে নিয়েছেন পদ পদবি, হাতে রেখেছেন দলের মুল চাবিকাঠি, নিয়োগ বানিজ্য পদপদবি বানিজ্য থেকে শুরু করে যাবতীয় সব কিছুই অতিথিদের হাতের মুঠোয়। রাজশাহীর তানোর আ"লীগে চলছে অতিথি চমক। এমন অতিথি চমক অবশ্য আগে দেখেননি তৃনমুল ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা। এসব অতিথিরা অযথা দলে লুবিংগ্রপিং তৈরি করে দলকে চরম ভাবে বিভক্ত করে ফেলেছেন বলে মনে করছেন দীর্ঘ দিনের ত্যাগীরা। এসব অতিথি পাখিদের জন্য একাধিক এমপি মনোনায়ন প্রত্যাশীরা মাঠ কাপাচ্ছেন। তাদের একটাই কথা অতিথি পাখি হতে আ"লীগ কে মুক্ত করতে হলে গোলাম রাব্বানী ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের কোন বিকল্প দেখছেন না।জানা গেছে,  গত বছরের জুলাই মাসে আ"লীগের উপজেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে কৌশলে তৎকালীন সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বাদ দেয়া হয়। নতুন ভাবে কমিটিতে সভাপতি হিসেবে আসেন জামানত হারানো চেয়ারম্যান প্রার্থী মাইনুল ইসলাম স্বপন ও সম্পাদক করা হয় একে সরকার ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জনপ্রিয় হীন প্রদীপ সরকার কে। এরপরে চলতি বছরে জুলাই মাস থেকে আ"লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠন শুরু হয়। কমিটি গঠনে অতিথিদের পরামর্শে উপজেলার কলমা, কামারগাঁ ও পাচন্দর ইউনিয়ন কে দূভাগে বিভক্ত করা হয়। যা সম্পূর্ণ রুপে দলীয় গঠনতন্ত্র বিরোধী। ইউনিয়ন ও পৌর কমিটিতে অধিকাংশ শিক্ষকদের দায়িত্বে এনে চরম সমালোচিত হন এমপি। যাকে বলে জনবিচ্ছিন্ন ব্যক্তিদের কমিটি নিয়ে আসার কারনে গ্রুপিং লবিংয়ের শেষ নেই। এছাড়াও এক প্রকার শিক্ষক নির্ভর আ"লীগ।

বিশেষ করে তানোর ও মুন্ডুমালা পৌর মেয়রকে কোন কমিটিতে নিয়ে আসেননি। তানোর পৌরসভার সভাপতি করা হয় আকচা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আসলাম উদ্দিন কে ও সম্পাদক করা হয় আবুল বাসার সুজনকে। অথচ পৌরসভার মেয়র ইমরুল হক সভাপতি থাকলেও তাকে কোন ভাবেই অবহিত করা হয়নি। এক্ষোভের কারনে সুজন ওয়ার্ড কমিটি করতে এসে পাচ্ছেন তেমন গ্রহণ যোগ্য নেতা।

দলীয় সুত্র জানায়, বিগত ২০১৭ সাল থেকে রাব্বানী ও  এমপির দ্বন্দ্বে দলের হাল ধরে ছিলেন ওই সময় কলমা ইউপির চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর একক ক্ষমতায় বলিয়ান হয়ে উঠেন এমপি। ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে নৌকার প্রতীক পান ময়না। তিনি জাতীয় নির্বাচনে জীবন বাজি রেখে কাজ করার জন্যই তিনি মনোনায়ন পেয়ে চেয়ারম্যান হন। কিন্তু ময়নার ক্ষমতা ধীরে ধীরে খর্ব করে নতুন রুপে ক্ষমতা দেন আবুল বাসার সুজন কে। তিনি এমপির কান ভারি করে একক ক্ষমতা ধরে নেন। তার অনুসারী হাটের কর্মচারী দের পদ পদবি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি করে নতুন রুপে দ্বন্দ্ব শুরু করেন। এত সম্মেলন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শোক সভা ও বর্ধিত সভা করেও দলকে এক কাতারে আনতে পারছেন না। বরং অতিথিদের কারনে নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে এমপি শিবিরে ততই দ্বন্দ্ব লবিংগ্রপিং বাড়তেই আছে। বিশেষ করে ইউপিতে যে সব সভা করা হয় সেগুলোতে নেতাকর্মীর চেয়ে উপকার ভোগীদের বেশি উপস্থিতি। 

এদিকে অতিথিদের জন্য নবীন প্রবীন আ"লীগ এতই ক্ষুব্ধ যে তারা এখন মনোনায়ন প্রত্যাশী গোলাম রাব্বানী ও আয়েশা আক্তার ডালিয়ার সভায় বেশি অংশ নিচ্ছেন। অবস্থাটা এমন জনপ্রিয় হীন নেতৃত্বে ও অতিথি পাখিদের মাস্তানী গুন্ডামী আচরনের কারনে কর্মী সংকট ও ইমেজ সংকটে পড়েছেন এমপি। বিশেষ করে গরু দামানোর মত করে নিয়োগ বানিজ্য করেছেন অতিথি। যার কারনে চরম ইমেজ সংকটে পড়েছেন এমপি। কারন এমপিকে জনবিচ্ছিন্ন করতে অতিথিরা যথেষ্ট বলে মনে করছেন ছিটকে পড়া নেতাকর্মী রা।

দলের একাধিক সিনিয়র নেতারা বলেন, এমপি মনে করছে রাব্বানী ও মামুনকে ছিটকে ফেলে অতিথি দের দিয়ে মাঠ গোছানো হবে। কিন্তু এটা তার দিবাস্বপ্ন ও ক্ষমতার মোহ ছাড়া কিছুই না। অবশ্য তাকে কোন দোষ দিবনা, তার কান ভারি করেছেন অতিথিরা। এই অতিথিই তার সর্বনাশের মুল কারন হবে আগামী নির্বাচনে। এই আসনে যতজন মনোনায়ন প্রত্যাশী আছেন সবার একটাই দাবি এমপি ফারুক চৌধুরী বাদে যাকে মনোনায়ন দিবে তার জন্য দল এক হয়ে কাজ করবে। নচেৎ দলের এই লবিংগ্রপিং দূর হবে না। তৃনমুলের মতামত ও গোয়েন্দা জরীপ চালিয়ে যার জনপ্রিয় তা আছে তাকেই দেয়া হোক নৌকা প্রতীক। তাছাড়া এআসন আর ফিরে আসবে না। কারন জনপ্রিয় নেতাদের দূরে রেখেছেন এমপি। এজন্য তাকেও একদিন মাসুল দিতেই হবে। অবশ্য এমপির অতিথিরা তো সাব বলে দিচ্ছেন মনোনায়ন হয়ে গেছে ঘোষণা বাকি, তারপর প্রত্যাশীদের পিটিয়ে ঘরে তুলবেন। আরেক চাকর তো পদ পেয়ে যারতার হাত পা ভেঙে দিতে চান। এখনো সময় আছে সঠিক পথে আসেন নইলে জনগন কি জিনিস বুঝিয়ে দিবে। যেখানে বিভিন্ন চাপে সরকার তালমাতাল সেখানে অতিথিদের এত কেন বাহাদুরি। আসলে এরাতো সব দিক থেকে সুযোগের পাটি। গায়ে থেকে বিএনপি জাতীয় পার্টির গন্ধ যায় নি তাদের আবার বড় কথা। তবে মনোনয়ন নিশ্চিত বলে ঘোষণা দিচ্ছেন বর্তমান জনপ্রিয় হীন সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন ও সম্পাদক প্রদীপ সরকার। তারা লবিংগ্রপিংয়ের কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেন যে কোন সময়ের চেয়ে দল শক্তিশালী। আগামী নির্বাচনেও ফারুক চৌধুরী এমপি হবেন।ফফওঔওওওফফিওঔফফফজিওওজফঔওি এজন্যই তো গত আগস্ট মাসে গোলাম রাব্বানী বলেছিলেন, সভায় তাদের ভরশা উপকার ভোগীরা, আর আমাদের ভরশা তৃনমুলের ত্যাগীরা। যারা কোন সুযোগ সুবিধা পায়না দলকে পাগলের মত ভালবাসে। মনোনায়ন চেয়ে মাঠে আছি দল যদি মনোনায়ন দেয় ভোট করব না দিলে যিনি নৌকা পাবেন তার হয়ে ভোট করব। কারন বাব দাদা চৌদ্দপুরুষরা আ"লীগ করে এসেছেন, রক্তে মাংসে আ"লীগ, পেলেও থাকতে হবে না পেলেও থাকতে হবে। 


আরও খবর



ছারছীনা দরবার শরীফের ১৩৩ তম ঈছালে ছওয়াব মাহফিল শুরু, আজ প্রথম দিন

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯০জন দেখেছেন

Image

ছারছীনা থেকে মোঃ আবদুর রহমান : ছারছীনা দরবার শরীফের ১৩৩ তম ঈছালে ছওয়াব মাহফিল ও বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহ সম্মেলন শুরু হয়েছে। গতকাল বাদ মাগরীব হযরত পীর ছাহেব কেবলা জিকিরের তা’লীম প্রদান ও ইফতেতাহী আলোচনা এবং কুরআন তেলাওয়াত, হামদ-না’তের মাধ্যমে তিনদিনব্যাপী মাগহফিলের শুরু হয়। আগামী শুক্রবার বাদ জুময়াহ তিনদিনব্যাপী মাহফিলের আখেরী মুনাজাত অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।

তিনদিনব্যাপী মাহফিলে বাদ ফজর ও মাগরীব হযরত পীর ছাহেব কেবলা গুরুত্বপূর্ণ তা’লীম দিয়ে থাকেন। এছাড়াও দরবার শরীফের বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরামগণ ইসলামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলীর উপর আলোচনা করেন।

ইতোমধ্যে মাহফিল ময়দানে বিভিন্ন স্থান থেকে পীর-ভাই, মুহিব্বীন সহ হাজার হাজার হাজার মুসুল্লি ও ভক্তবৃন্দ উপস্থিত হয়েছেন। এছাড়াও মাহফিলে অংশগ্রহণের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাস, লঞ্চ ও অন্যান্য যানবাহন রিজার্ভ করা যানবাহনের মাধ্যমে উপস্থিত হওয়ার জন্য যাত্রাপথে আছেন। উক্ত মাহফিলে সকল পীর ভাই, মুহিব্বীন সহ সর্বস্তরের মুসল্লীদের শরীক হওয়ার জন্য বিশেষভাবে আহ্বান জানিয়েছেন মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটির পক্ষে অধ্যক্ষ ড. সৈয়দ মোঃ শরাফত আলী।


আরও খবর



যশোরে বিজয়ের ৫২ বছর উপলক্ষে বিজয় শোভাযাত্রা

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরে বিজয়ের ৫২ বছর উদযাপন উপলক্ষে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট বিজয় শোভাযাত্রা করেছে। শুক্রবার বিকেলে টাউন হল ময়দান থেকে মোটরসাইকেলে এ শোভাযাত্রা বের হয়।

শোভাযাত্রাটি শহরের দড়াটানা, মনিহার, মুড়লী, পালবাড়ী ও চাঁচড়ামোড় হয়ে পূণরায় টাউন হল মাঠে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দীপংকর দাস রতন, সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু, দৈনিক কল্যাণ সম্পাদক একরাম-উদ-দ্দৌলা, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু, উদীচীর সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান খান বিপ্লব, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক যোগেশ চন্দ্র দত্ত, সাংবাদিক সাজেদ রহমান বকুল, হারুন অর রশিদ, ব্যঞ্জন থিয়েটারের সভাপতি আনিসুজ্জামান পিন্টু, বীরমুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল, উদযাপন কমিটির আহবায়ক হাবিবা শেফা, জয়তী সোসাইটির পরিচালক অর্চনা বিশ্বাসসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা।


আরও খবর



স্টেম ফিল্ডে বাংলাদেশী নারীদের অংশগ্রহণ বিষয়ক ব্রিটিশ কাউন্সিলের সিম্পোজিয়াম

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :৫ ডিসেম্বর ঢাকার ফুলার রোডে অবস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিলে স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) ফিল্ডের সাথে জড়িত বাংলাদেশী নারীদের জন্য একটি সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়। স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) ফিল্ডে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করার লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কান্ট্রি জেন্ডার অ্যাসেসমেন্ট ২০২১ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের সকল স্টেম পেশাজীবীদের মধ্যে নারীর সংখ্যা মাত্র ১৪ শতাংশ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তথ্য অনুসারে, আগামী দুই দশকের মধ্যে স্টেম বিষয়ক দক্ষতার প্রয়োজন নেই নারীদের জন্য এমন চাকরি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে৷ যদিও নারী শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক উভয় পর্যায়ে পুরুষ শিক্ষার্থীদের তুলনায় ভাল করছে, উচ্চশিক্ষায় নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ অনেক কম। গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, সরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাত্র ৩৮ শতাংশ এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাত্র ৪৫ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী স্টেম বিষয়ে পড়ালেখা করেন। বাংলাদেশের সামনে এখন অর্থনৈতিক স্থবিরতা থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক মহামারী ও ক্রমবর্ধমান বৈষম্য সহ বিভিন্ন কঠিন চ্যালেঞ্জ আছে। এসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি-নির্ভর বিশ্বে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি দেশের উন্নয়ন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চার মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। এবং স্টেম সংক্রান্ত পেশায় নারীদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।

স্বাগত বক্তব্যে ব্রিটিশ কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক অ্যাড্রিয়ান চ্যাডউইক বলেন, “স্টেম ফিল্ডে লিঙ্গবৈষম্য একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। আমরা নারীদের কর্মজীবনের তিনটি মূল ধাপে (সুযোগ, অগ্রগতি এবং নেতৃত্ব) পরিবর্তন নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করছি। যথেষ্ট সুযোগের অভাব (অ্যাক্সেস) স্টেম ফিল্ডে নারীদের তুলনামূলক কম প্রতিনিধিত্বের অন্তরায়। ২০১৮ সাল থেকে আমরা যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টেম বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভে দক্ষিণ এশিয়ার ১০০ জন নারীকে সহায়তা করেছি৷ অগ্রগতি নিশ্চিত করতে আমরা দক্ষিণ এশিয়ার সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে অংশীদারিত্বে কাজ করছি এবং স্টেম ফিল্ডের নারীদের পেশাদার উন্নয়নে সহায়ক হবে এমন নীতি বাস্তবায়নে সাহায্য করছি। নেতৃত্বে বিকাশের জন্য আমরা মূল বাধাগুলো শনাক্ত করে নারীর ক্ষমতায়ন ত্বরান্বিত করার উপায় বের করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিশেষ করে নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করে দক্ষিণ এশিয়ার এমন ১০০ জন নারীর পথচলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করছি আমরা।”

সিম্পোজিয়ামে প্যানেল আলোচনা এবং একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। গোলটেবিল বৈঠক থেকে প্রাপ্ত ফলাফল গবেষণায় ভূমিকা রাখবে। এছাড়া, স্টেম ফিল্ডের সাথে জড়িত যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাদের পরবর্তী বছরের কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষেত্রে দিক নির্দেশনা পাবেন।

ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার এবং ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল বলেন, “স্টেম ফিল্ডের সাথে যুক্ত বাংলাদেশী নারীদের জন্য আয়োজিত এই সিম্পোজিয়ামে সম্ভাবনাময় পেশাজীবীদের মতামত ও ভাবনা জানতে পেরে আমি আনন্দিত। যুক্তরাজ্যের নতুন শ্বেতপত্র (হোয়াইট পেপার) অনুযায়ী, উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। আমরা জানি যে, নারীরা প্রযুক্তি-ভিত্তিক বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং সবার জন্য সমতাভিত্তিক টেকসই ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য নারীদের প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি বাস্তবায়নে একসাথে কাজ করতে পেরে আনন্দিত। এই নীতি নারী ও মেয়েদের তাদের পরিপূর্ণ সম্ভাবনা বিকাশের জন্য ক্ষমতায়ন করবে। আসুন সবাই মিলে ব্যবধান ঘোচাতে কাজ করি এবং এমন একটি ভবিষ্যত তৈরি করি যেখানে লিঙ্গ-বৈষম্য সাফল্যের পথে কোন বাধা হয়ে না দাঁড়ায়।”

প্যানেল আলোচনায় বক্তা হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক হাসিনা খান; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোঃ আব্দুস ছামাদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ওয়াইল্ড টিমের বোর্ড সদস্য ডাঃ আলিফা বিনথা হক।

ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি, টেকস্টার স্যাটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও টেকনো গ্রীন-কার্বন লিমিটেডের চেয়ারপার্সন আনিকা আলী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগ ডঃ মুস্তাক ইবনে আইয়ুব সিম্পোজিয়ামটি পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ ও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।


আরও খবর



'মুক্তিযোদ্ধা দিবস' সরকারীভাবে ঘোষনার দাবীতে আলোচনা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক:১ ডিসেম্বর বিজয়ের মাসে 'মুক্তিযোদ্ধা দিবস' সরকারীভাবে ঘোষনার দাবীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আগামী প্রজন্মের সমন্বয়ে- আলোচনা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান।

পবিত্র কোরআন থেকে তিলওয়াত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। অদ্য ১ ডিসেম্বর/২০২৩ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়ের প্রথম প্রহর। সরকারী ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবসটি পালনের নিমিত্তে- দীর্ঘদিন যাবৎ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সেবামূলক প্রতিষ্ঠান- ন্যাশনাল এফ. এফ. ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আগামী প্রজন্মের সমন্বয়ে পথসভা ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চলছে। অদ্য আলোচনা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান- প্রফেসর ডাঃ আবদুস সালাম খান। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহা-সচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- ড. এস. এম. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহ্য তথা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের কথা আগামী প্রজন্মের নিকট সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার লক্ষ্যে- ১ ডিসেম্বর কে সরকারী ভাবে 'মুক্তিযোদ্ধা দিবস' রাষ্ট্রীয় ভাবে ঘোষনা প্রদান করার বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষন কামনা করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন যুদ্ধকালীন গ্রুপ কমান্ডার- সুবেদার আবদুল ওহাব (অবঃ), বীর প্রতীক, ড. আবদুল ওয়াদুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও জনাব মোঃ সালাউদ্দিন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। আগামী প্রজন্ম তথা মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ডের পক্ষে বক্তব্য রাখেন- মোঃ নজরুল ইসলাম বাচ্চু।

অনুষ্ঠান শেষে- করোনাকালে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রজন্মদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে জনগনের পাশে থাকার জন্য আহবান জানানো হয়। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক নিযুক্ত হওয়ায় ন্যাশনাল এফ, এফ, ফাউন্ডেশন ও আগামী প্রজন্মের সন্তানরা অত্যন্ত গর্বিত এবং আনন্দিত।

উপস্থিত সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা আগামী প্রজন্মকে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা- জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডকে বেগবান করারu দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



পাঁচন্দর ও কলমা ইউপিতে এমপির মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১২জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ও  ইউনিয়ন (ইউপির)  বিভিন্ন শ্রেণী পেশার জনসাধারণের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন এমপি ফারুক চৌধুরী। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে কৃঞ্চপুর স্কুল মাঠে চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এমপি ফারুক চৌধুরী। ইউপির উত্তর শাখার সাধারন সম্পাদক একরামুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ"লীগ সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, উপজেলা আ"লীগ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা লীগ সভাপতি সোনিয়া সরদার, ভাইস চেয়ারম্যান কৃষক লীগ সম্পাদক আবু বাক্কার সিদ্দিক, পাঁচন্দর ইউপির উত্তর শাখার সভাপতি হাজী ইসরাইল হোসেন, চান্দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি সভাপতি মজিবর রহমান, তানোর পৌর সম্পাদক আবুল বাসার সুজন, মুন্ডুমালা পৌর সম্পাদক কাউন্সিলর মোহাম্মাদ হোসেন মুন্টু, তালন্দ ইউপি চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন বাবু, ইউপি সভাপতি মেম্বার আবুল হাসান, মুন্ডুমালা পৌর যুবলীগ সভাপতি আবু রায়হান তপন, সম্পাদক কাউন্সিলর বোরহান উদ্দিন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শামসুল ইসলাম, সম্পাদক রামিল হাসান সুইট, ইউপি উত্তর শাখার  যুবলীগ সভাপতি কামরুল, সম্পাদক দুলাল, দক্ষিণের সভাপতি জিয়া, ইউপি সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রাব্বি আল আমিন প্রমুখ। এসময় ইউপির নয় ওয়ার্ডের দলীয় নেতাকর্মী ছাড়া বিভিন্ন পেশার কয়েক হাজার জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে বিকেলের দিকে কলমা ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ও পরিষদ চেয়ারম্যান খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এমপি। ইউপির পূর্ব শাখার সম্পাদক প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ও পশ্চিমের সম্পাদক আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে ছিলেন পূর্বের সভাপতি আব্দুর রহিম, পশ্চিমের সভাপতি প্রধান শিক্ষক মুনসুর রহমান, ইউপি সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তানভীর রেজা প্রমুখ। এসময় ইউপির বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কয়েক হাজার জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর