নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার এবং সহযোগিতা করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ প্রক্রিয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই ব্যক্তিদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্যরা রয়েছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে নামের তালিকা প্রকাশ করেনি।
এদিকে জোর গুঞ্জন উঠেছে নিষেধাজ্ঞায় চার বিচারকের নাম রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
সম্প্রতি এ বিষয়ে বেসরকারি একটি টেলিভিশনের টকশোতে কথা বলেছেন সাবেক এ বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি আমারও নাম নাকি ভিসানীতিতে আছে। বিচারপতি খায়রুল হকের নামও নাকি আছে। এটা দিয়ে কি হবে। আমাদের তো আমেরিকা যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আমি তো লন্ডনে থাকি।
আমি জানি না, কিছু লোক বলছে। যারা নির্বাচন বিরোধিতা করছে, তাদের জন্য ভিসানীতি। আমরা তো চাই নির্বাচন হোক। সুতরাং আমার নাম যদি তালিকায় থেকে থাকে, তবে তা কীসের ভিত্তিতে।
সাবেক এই বিচারপতি বলেন, ‘শুনেছি সুপ্রিমকোর্টের সাবেক চার বিচারপতির নাম তালিকায় রয়েছে। এতে কিছু যাই আসে না। এতে আমাদের মাথাব্যথার কিছু নেই। কিছু লোককে যদি আমেরিকায় না যেতে দেয়, এতে নির্বাচনের কোনো ক্ষতি হবে না।
ভিসানীতি আসার জন্য কারা দায়ী সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এর দায় সম্পূর্ণ বিএনপির। আমার নাম যদি সত্যি থেকে থাকে, তা হলে নিশ্চিত বিএনপি আমার নাম পাঠিয়েছে। পয়সার জোরে তারা এটি করিয়েছে। আমি তো আর নির্বাচন পণ্ড করতে চাই না।
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানান। এর পরই ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গটি ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়।