Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আমানউল্লাহ আমান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২১৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর কেরাণীগঞ্জে দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকীর প্রস্তুতি সভায় বক্তৃতাকালে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে সেখান থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তিনি প্রফেসর ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়েরুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘আগামী ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে বিকাল তিনটায় কেরাণীগঞ্জের হযরতপুর এলাকায় এক প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। সভা চলাকালে সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ করে তিনি মাথা ঘুরে পড়ে যান। এসময় তাকে ধরাধরি করে গাড়িতে করে এভারকেয়ার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে ভর্তির পর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’


আরও খবর



ঢাবি'র অধ্যাপক ড.জিয়া রহমান এর প্রয়ানে স্মরনসভা ও দোয়া মাহফিল

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃ ঢাবি'র অধ্যাপক ড.জিয়া রহমান এর প্রয়ানে স্মরনসভা ও দোয়া মাহফিলঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ক্রিমিনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম অধ্যাপক ড.জিয়া রহমানেরপ্রয়ানে স্মরনসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ৩০ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ মিলনায়তনে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড.আতিয়ার রহমান।পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া,ও সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা, ঢাবি পদার্থ বিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক কামরুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজওয়ানুল ইসলাম, সাংবাদিকতা ও গণ যোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক সায়ন্তি, ডিবিসি টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম, অপ্রয়াত অধ্যাপক ড. জিয়ার স্ত্রী ফৌজিয়া খান (শীলা) সহ ক্রিমিনোলজি বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থী,ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক বৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন,জিয়া রহমান সকলের সাথে হাসি মুখে কথা বলতেন, সবার সাথে চলাফেরা করতেন। তিনি আমার বন্ধু ছিলেন, খুব ক্লোজ চলাফেরা ছিলো আমাদের। আমরা সকলেই চলে যাবো, কিন্তু কোনো কোনো মৃত্যু একটা বড় ক্ষতি করে যায় আমাদের জন্যে ও প্রতিষ্ঠানের জন্যে। জিয়া রহমানের মৃত্যু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড় ক্ষতি। 

অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, ক্রিমিনোলোজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সিনেট সদস্য, শিক্ষক সমিতি ও নীলদলের সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।ড. জিয়া রহমান গত ২৩ মার্চ রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।


আরও খবর



ঈদ পর ফের বাড়লো হিলিতে আলু,পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে আলু আমদানি। তবে আমদানিতেও কমছে না ভারতীয় ও দেশীয় আলুর দাম। ভারতীয় আলু কেজিতে বেড়েছে ৮ টাকা আর দেশীয় আলু কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এদিকে ঈদের পর থেকে ফের দাম বাড়তে শুরু করেছে দেশীয় রসুন, পেঁয়াজ ও আদার দাম। দেশীয় রসুন কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকা,আমদানিকৃত আদা কেজিতে বেড়েছে ৬০ টাকা। আর দেশীয় পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। পণ্যগুলোর দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা সাধারণ। বিক্রেতারা বলছেন,টানা ছুটি থাকায় আমদানি বন্ধ ছিল ও সরবরাহ কমে যাওয়া দাম বেড়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের আগে দেশীয় আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে,আজ সেই আলু ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশী রসুন আগে ছিল ৮০ টাকা কেজি দরে,তা এখন ১০০ টাকা বেড়ে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকৃত চায়না আদা আগে বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা কেজি দরে, তা এখন ৬০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা এখন ১৫ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানিকৃত আলু বন্দর থেকেই দেশেরস্থানে পাঠানো হচ্ছে। তবে ক্রেতারা সাদ নেই বলে আমদানিকৃত আলু কিনতে চায় না।হিলি বাজারে আলু আদা,পেঁয়াজ ও রসুন কিনতে আসা ফরহাদ বলেন,বাড়িতে মেয়ে-জামাই এসেছে তাই বাজার করতে আসলাম। এসে দেখি সব জিনিসের দাম বেশি।

আমি ঈদের আগে দেশীয় আলু কিনেছি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে,আজকে সেই আলু ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে কিনলাম। আগে রসুন কিনেছি ৮০ টাকা কেজি দরে, আজ সেই রসুনের দাম চাচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে,আদা কিনেছি ১৮০ টাকা কেজি দরে,আজ আদা কিনেছি ২৪০ টাকা কেজি দরে। কি আর করার নিতেই হবে আমাকে তাই অল্প অল্প করে নিলাম।

হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ,রসুন ও আদা বিক্রেতা ময়নুল ইসলাম বলেন,ঈদের আগে সরবরাহ বেশি ছিল তাই দামও কম ছিল। টানা ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ও সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। আমরা গেলো শনিবারও আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছে। গত তিন দিন থেকে কেজিতে আলুর দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এখন আমরা খুচরা বিক্রি করছি ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। আদা কেজিপ্রতি বিক্রি করেছি ১৮০ টাকায়,এখন কেজিতে ৬০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।রসুন ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি এখন সেই রসুন কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও ১৫ টাকা বেড়ে এখন ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত তিন থেকে পাইকারী বাজারে দাম বেশি। আমরা কম দামে কিনতে পারলে কম দামেই বিক্রি করে থাকি। আলুর দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশীয় আলু বেশি ভাগ ষ্টোর করেছেন কৃষকরা।আমদানিকৃত আলুর সাদ ভালো না হওয়ায় আমরা আমদানিকৃত আলু বিক্রি করিনা।যদিও দুই একজন নিয়ে আসে। তাও আবার সেইগুলো বিক্রি করতে অনেক সময় লাগে। টানা ৬ দিন ছুটি শেষে গতকাল সোমবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে একদিনে ২৭টি ভারতীয় ট্রাকে ৬৯৩ মেট্রিকটন আলু আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত আলু বন্দরে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ৩৯ থেকে ৪০ টাকায়। এর আগে ছিল ৩১ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে।


আরও খবর



হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বৃদ্ধিতে দাম কমেছে,বেড়েছে কিচমিচ ও সাদা ফলের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল হিলি প্রতিনিধি:ভারত থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে মসলা পণ্যের আমদানি। তিন মাসের ব্যবধানে কেজিপ্রতি জিরার দাম কমলো ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।আর কিচমিচ ও সাদা ফলের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১৬০ থেকে ১০০ টাকায়। এবার ঈদে মসলা পণ্যের দাম কমায় খুশি সাধারণ ক্রেতারা। শুক্রবার (৫এপ্রিল) দুপুরে বাংলাহিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে,মসলার দোকানগুলোতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জিরার প্যাকেট সাজিয়ে রেখেছেন।

দোকানগুলোতে মসলা কিনতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়। আমদানিকৃত কাকা জিরা ৬০০ টাকা,বাবা জিরা ৬২০ টাকা,মধু জিরা ৬২০ টাকা, অমরিত জিরা ৬০০ টাকা, সোনা জিরা ৬৩০ টাকা ও ডিবিগোল্ড জিরা ৬৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত এক মাসেও দাম বাড়েনি যেসব পণ্যের বড় জাতের কালো এলাচ ২ হাজার ৬ শত টাকা কেজি দরে, ছোট জাতের কালো এলাচ ২ হাজার ৪ শত টাকা কেজি দরে, দারুচিনি মোট জাতের ৫২০ টাকা কেজি দরে, চিকন জাতের দারুচিনি ৪২০ টাকা কেজি দরে, লং ১৭০০ শত টাকা কেজি দরে, গোল মরিচ ৯০০ টাকা কেজি দরে, কালোজিরা ২৮০ টাকা কেজি দরে, কাজু বাদাম ১২০০ শত টাকা কেজি দরে, কাট বাদাম ১ হাজার ৬০ টাকা কেজি দরে। এক মাস থেকে যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে ভালো মানের সাদা এলাচ ২ হাজার ৫ শত টাকা কেজি দরে, যা আগে ছিল ২ হাজার ৪ শত টাকা, কিচমিচ ৫৮০ থেকে ৬৮০ টাকা কেজি দরে, যা আগে ছিল ২৬০ থেকে ৪০০ শত টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তিন মাস আগেও খুচরা পর্যায়ে মানভেদে ভারতীয় জিরা প্রতিকেজি ১১ শ’ টাকা থেকে ১২ শ’ ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সেই জিরা আজ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ শত থেকে ৬০০ টাকায়।

বিস্ধসঢ়;মিল্লাহ মসলা ঘরের আব্দুল আউয়াল সবুজ জানান, চলতি মৌসুমে ভারতে জিরার ফলন অনেক ভালো হয়েছে। হিলি বন্দর দিয়ে ব্যপক আমদানি হচ্ছে। এরফলে প্রতিনিয়ত কিছু পণ্যের দাম কমছে আবার কিছু পণ্যের দাম বাড়ছে। গত তিন মাসে পর্যায়ক্রমে জিরার দাম কমেছে কেজিপ্রতি ৫৫০ টাকা। ঈদকে সামনে রেখে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেক ক্রেতা আসেন জিরাসহ বিভিন্ন মসলা কেনার জন্য। আগের থেকে জিরাসহ সবধরেণ মসলাপণ্যর বেচাকেনা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের মসলাপণ্য আমদানিকারকরা জানান, দেশে মসলা পণ্যের চাহিদা থাকায় বন্দর দিয়ে আমদানিও বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারকরা। জিরাসহ অন্যান্য পণ্য আসছে ভারতের গুজরাট থেকে। এসব মসলাপণ্য বন্দরের স্থানীয় বাংলাহিলি বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়।


আরও খবর



গম চাষে দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছে আত্রাইয়ের কৃষক

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫৩জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি: দেশের উত্তর জনপদের কৃষিপ্রধান জেলা নওগাঁ। খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে উত্তরের শস্যভান্ডার নামেও পরিচিত এ জেলা। এ জেলায় সব ধরনের ফসল ও শস্য উৎপাদন হলেও দেশের মোট উৎপাদিত ধানের সিংহভাগই হয় এ জেলায়। তবে এ জেলার আত্রাই উপজেলায় ধান, ভূট্টাসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ অধিক হলেও বর্তমানে দিন দিন গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষক। ফলে কয়েক বছরে ধীরে ধীরে এ উপজেলায় কমেছে গম চাষ।

যদিও এটা লাভজনক ফসল। তবে কৃষকেরা বলছে উৎপাদন খরচের তুলনায় মুনাফা না পাওয়া এর অন্যতম কারণ। এদিকে কৃষি অধিদপ্তর বলছে, অল্প সময়ে, স্বল্প খরচে ভূট্টার অধিক ফলন ও মুনাফা হওয়ায় গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক এমনটিই মনে করছেন তারা।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানা যায়, গত বছর উপজেলায় ৪০০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হলেও সেটা এবার বেড়ে ৪৫০ হেক্টরে। জানা গেছে, আত্রাই উপজেলায় দিন দিন গমের চাষ ক্রমাগতভাবে কমে যাচ্ছে।

মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী থাকলেও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, এমনকি ফলন কম হওয়ার কারণে গম চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন কৃষকরা। নানাবিধ কারনে এ উপজেলার গম চাষ হুমকির মুখে পড়েছে। বিগত দিনে এ উপজেলায় গম চাষে কৃষকদের ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও বর্তমান সময়ে গম চাষে কৃষকরা অনাগ্রহী। এ উপজেলার কৃষকরা মনে করেন গম চাষের চেয়ে অন্য ফসল চাষ করে তুলনামূলক ভাবে অনেক লাভবান হওয়া যায়। সে জন্য গমের পরিবর্তে অন্য ফসল চাষ করছেন।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক নাইম হোসেন বলেন, আমি বিগতদিন ভ’ট্টা চাষ করতাম এবার কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী গম চাষ করেছি বর্তমানে আমার ফসলের অবস্থা খুব ভালো। আশাকরছি ফলনও ভালো পাবো।

উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক ওয়াজেদ আলী বলেন, আমি সাধারণত ধান ও ভূট্টার আবাদ বেশি পরিমানে করে থাকি। কিন্ত এবার গমের আবাদও করেছি। জমিতে এসে ফসল দেখলে মনটা জুড়িয়ে যায়। আগামী বছরে আমি সরকারি সহযোগিতা পেলে আরো বেশী জমিতে গমের চাষ করবো।

এছাড়া অন্যান্য উপজেলার একাধিক কৃষক বলেন, সরকারী ভাবে আমার সহযোগিতা পেলে ধান চাষের পাশাপাশি গম চাষ করতে পারবো। ধান চাষের উপর কৃষকদের আগ্রহ ও ফলন বৃদ্ধি করতে যেমন বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে একই ভাবে কৃষকদের গম চাষের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করলে গম চাষের প্রতি আগ্রহী হবেন কৃষকরা।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হাসান জনান, এবার গত বছরের তুলনায় আমাদের এলাকায় গমের আবাদ অনেকটা বেশি হয়েছে। আশা করছি গমের বাম্পার ফলন হবে। কৃষকদের যেন কোন প্রকার সমস্যা না হয় তাই কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে আমরা নিয়োমিত কৃষকদের পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে আসছি।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাপশ কুমার রায় জানান, সকল প্রকার ফসল উৎপাদনে আমরা কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছি। যাতে করে কৃষকরা সহজভাবে কৃষি উপকরণ পায়। বিশেষকরে বীজ, সার ও তেল এর জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।

তিনি আরো বলেন, উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে গম চাষ কমে গেছে, প্রদর্শনী পাট করে কিছু কিছু চাষিদের সার ও গমের বীজ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া এ বছরে গম চাষের উপর কৃষকের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি। সরকারি সকল সুযোগ- সুবিধা, কৃষকদের মাঝে প্রদান করা হয়েছে। গম চাষের উপযোগী জমিতে উচ্চ মূল্যের সবজি চাষ ও ভূট্টা হওয়ায় গম চাষ কমে যাওয়ার একটি কারণ।


আরও খবর



নন্দীগ্রামে চুরির অপবাদে দুই কিশোরকে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন, গ্রেফতার দুই

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image
মনির নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি:বগুড়ার নন্দীগ্রামে দুইশো টাকা চুরির অপবাদে দুই কিশোরকে বাজারের মধ্যে প্রকাশ্যে রশি দিয়ে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। কয়েক দফায় অমানবিক নির্যাতনের একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এঘটনায় রবিবার (৩১ মার্চ) রাতে নির্যাতনের শিকার কিশোর সুমনের বাবা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। ইতিমধ্যে সেই মামলায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতাররা হলেন- নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার নামুইট গ্রামের মাতব্বর নজরুল ইসলাম ও কাচু প্রামানিক।

বুধবার (২৭ মার্চ) নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার নামুইট তিনমাথা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। সড়কের মাঝখানে কড়ইগাছে বেঁধে নির্যাতনের শিকার দুই কিশোর উপজেলার তাঁরাটিয়া এলাকার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মুর্শিদুল ও ভাটরা গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে সুমন।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, নামুইট তিনমাথা বাজারে ওয়াক্ত নতুন জামে মসজিদের দানবাক্স থেকে টাকা চুরির অভিযোগ তুলে দুই কিশোরকে রাস্তা থেকে ধরে আনে নামুইট গ্রামের মাতব্বর নজরুল ইসলাম ও কাচু প্রামানিক। পরে গ্রামের কয়েকজন মোড়ল একত্রিত হয়ে দুই কিশোরকে রশি দিয়ে গাছে বেঁধে সালিশ বসায়। অমানবিক নির্যাতন ও গাছে বেঁধে হেনস্তার সময় গ্রাম্য মোড়লদের হাতে-পায়ে ধরেও রক্ষা পায়নি দুই কিশোর। এতিম মুর্শিদুলকে নির্যাতনের সময় তার ভিক্ষুক মা মোড়লদের পায়ে পড়ে কান্না করলেও সন্তানকে রক্ষা করতে পারেননি। তারা আহত হলেও চিকিৎসা করানো হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। সড়কের মোড়ে নির্যাতনের সময় শতশত জনতা ভিড় করেন। যানবাহন থামিয়ে চালক, যাত্রী, পথচারি ও স্থাানীয়রা দাঁড়িয়ে থেকে দর্শকের মতো নির্যাতন দেখেন। দুই কিশোরকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি কেউ। তবে কয়েকজন ব্যক্তি মারধর না করার অনুরোধ করলেও গ্রাম্য মোড়লরা ছিল বে-পরোয়া।

নির্যাতনের শিকার সুমন জানায়, তারা বাবা-ছেলে অটোভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। সকালে দুই বন্ধু অটোভ্যান নিয়ে নন্দীগ্রাম শহরের দিকে যাচ্ছিলো। নামুইট মোড়ে ভ্যান থামানোর সঙ্গে সঙ্গে পেছন থেকে চোর চোর করে চিৎকার করে নামুইট গ্রামের মাতব্বর নজরুল। কয়েকজন মোড়ল ও স্থানীয় লোকজন এসে যাচাই না করেই দুই কিশোরকে মারতে মারতে রাস্তার পাশে নিয়ে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চোর আখ্যা দিয়ে একঘন্টা অমানবিক নির্যাতন করা হয়। প্রমাণ ছাড়া মারধরের বিষয়ে উপস্থিত কয়েকজন প্রশ্ন তোলায় দুই কিশোরকে মসজিদের ভেতর নিয়ে যায়। সেখানে প্রায় আধাঘন্টা নির্যাতনের পর দুই কিশোরকে নামুইট তিনমাথা মোড়ে এনে কড়ইগাছে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে।

গ্রাম্য মাতব্বররা দাবি করেন, ফজর নামাজ শেষে মসজিদ থেকে মুসল্লিরা চলে যাওয়ার পর দুই কিশোর দানবাক্স থেকে টাকা চুরি করে। তাদেরকে আটক করে শাসন করে ছেড়ে দেওয়া হয়।

নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমগীর হোসাইন বলেন, চুরির অপবাদে গাছে বেঁধে হেনস্থা ও নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না। ভিডিওসহ তথ্য পেয়েই অভিযানে নেমেছে পুলিশ। এঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

আরও খবর