Logo
আজঃ বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ওলকচু চাষে লাভবান হচ্ছে মাগুরার চাষিরা

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২৩৫জন দেখেছেন

Image

মাগুরা থেকে:মাগুরায় ওলকচু চাষে কৃষকরা হচ্ছেন লাভবান ।ওলকচু চাষকরে সফলতায় কচুগ্রাম হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে মাগুরা জেলার মাগুরা সদর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রাম। মাগুরায় এই প্রথমবারের মতো ওলকচু চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছেন সদরের হাজীপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামের শতাধিক কৃষক । বাড়ির পাশে পতিত জমিতে, লিচু,আম বাগানের মধ্যে ও মাঠে ওলকচু চাষ করছেন এ এলাকার প্রায় শতাধিক কৃষক । বীজ বপন করার পর সাধারণত ৫-৬ মাসে পরিপূণ হয় ওলকচু । মাটির নিচে এ ফসলটি পরিপক্ক হলে ১০-১২ কেজি ওজন হয় । বর্তমানে জেলায় এ চাষ কম হলেও লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন এ চাষে কৃষকরা আগ্রহ বাড়ছে । মাগুরা সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় ,এ গ্রামের অধিকাংশ কৃষকরা প্রায় ৩৬ বিঘা জমিতে এ ওলকচু চাষ করছেন । এলাকার কৃষকরা বলছেন,এ চাষে একটু পরিশ্রম বেশি এবং পরিপক্ক হয়ে উঠতে সময় লাগে । তারপরেও এ ফসলটির চাহিদা জেলায় ও জেলার বাইরে অনেক কদর রয়েছে । আগে মানুষ এ ফসলটি তেমন খেত না কিন্তু বর্তমানে সব সম্প্রদায়ের মানুষের চাহিদা রয়েছে ওলকচু খেতে । এটির অনেক গুণও রয়েছে । ভর্ত্তা,ভাজি ও তরকারিতে মাছের সাথে রান্না করলে খেতে খুবই স্বাসাদু লাগে । তাই বর্তমানে ওলকচুর চাহিদা বাড়ছে । মাগুরা সদর উপজেলার দ্বারিয়াপুর গ্রামের ওলকচু চাষী ভক্ত কুমার বিশ্বাস জানান,সে প্রথমবারের মতো ৬ বিঘা জমিতে ওলকচু চাষে সাফল্য পেয়েছে । গতবছর এ চাষে তার কিছুটা অনাগ্রহ ছিল । কিন্তু জেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে সে আবার চাষ শুরু করে । চাষে কিছুটা পরিশ্রম আছে । তাই ধৈর্য্যসহ কারে আবাদ করলে এ চাষে সাফল্য আসে । সে জেলা কৃষি বিভাগ থেকে বিনামূল্যে বীজ পাওয়ার পর ফাল্গুন-চৈত্র মাসে মাঠে বীজ রোপন করে । বীজ রোপনের পর মাঠের পরিচর্যা আরো বাড়ায় । তারপর বীজ থেকে চারা গজালে ধীরে ধীরে বড় হলে গাছের আগাছা পরিস্কার করতে হয় । ওলকচু উঠতে দুই মাস বাকী । আগামী ভাদ্র মাসের শেষে অর্থাৎ আশ্বিন মাসের শুরুতে ওলকচু উঠাতে হবে । কৃষকরা জানায়, ,মাটির নিচ থেকে ওলকচু উঠাতে হলে প্রথমে কোদালের সাহায্যে গোড়া খুজতে হবে । একটি ওলকচু ১০-১২ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে । তাই শ্রমিক দিয়ে এ কাজ করতে হয় । ৬ বিঘা জমিতে এ ওলকচু উঠাতে ২ সপ্তাহ লাগে । বিঘাপ্রতি চলতি বছর ১৮০-২০০ মণ ওলকচু পাবে বলে তারা আশা করছে । একজন র্কষক জানিান, চলতি বছর তার শ্রমিক ও খরচ বাদে ৮ লাখ টাকা লাভ হবে বলে মনে করছে। । বর্তমানে মাগুরা জেলার ওলকচু জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা,চট্রগ্রাম,রাজশাহী,দিনাজপুর,বরিশাল,ফরিদপুর,মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে । আগের থেকে বর্তমানে ওলকচু চাহিদা বাড়ছে । তাই তাদের গ্রামের অনেকে এখন এ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

একই গ্রামের কৃষক উজ্জল বিশ্বাস বলেন,সে এবার ২ বিঘা জমিতে এ ওলকচু চাষ করেছে । গত বছর ১ বিঘায় এ চাষে ভালো লাভবান হয়েছি তাই এ বছর আরো ১ বিঘা বেশি আবাদ করেছে । তিনি জানান, তাদের গ্রামের অনেকে এখনওলকচু চাষ করছে । এ চাষে একটু পরিশ্রম বেশি কারণ এ ফসলটি মাটির নিচে থেকে খুড়ে বের করতে হয় তাই শ্রমিক মুজুরি অনেক বেশি । বিঘাপ্রতি শ্রমিকের খরচ রয়েছে ২ হাজার টাকা । প্রতি ওলকচু গাছে ১০-১২ কেজি হয় । তাই তাদের খরচ অনেকাংশে উঠে আসে । সব কিছু বাদে লাভ ভালো হয় । মাগুরা জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত ) মো: মোশাররফ হোসেন বলেন,ওলকচু একটি কন্দাল জাতীয় ফসল । মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চলতি বছর জেলায় কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রেখেছে ।এ বছর জেলায় ৪৮ হেক্টর জমিতে এ চাষ হয়েছে । এ চাষে হেক্টর প্রতি উৎপাদন হবে ৩০ টন । এ চাষে পরিশ্রম থাকলেও লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন এ চাষে জেলার কৃষকরা আগ্রহ বাড়াচ্ছে । জেলা কৃষি বিভাগ এ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার প্রদান করেছে । এ চাষে প্রাথমিক পযার্যে মাটিতে গর্ত করে গোরব সার,খড়কুটা,টিএসটি ও ডি এ ইউরিয়া একত্রে মিশিয়ে মাটি প্রস্তত করতে হবে । তারপর বীজ রোপনের পর যতœ বাড়াতে হবে । একটি পরিপক্ক ওলগাছে ১০-১২ কেজি ওল পাওয়া যায় । সাধারণ নিচু ও ছায়াযুক্ত স্থানে এ চাষ ভালো হয় । এ চাষে জেলার কৃষকদের আগ্রহ বাড়লে আগামীতে সব ধরণের সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করা হবে বলে জানান কৃষি বিভাগের এ কর্মকর্তা। ।


আরও খবর

সৈয়দপুরে আগাম শীতকালীন সবজি চাষের ধুম

শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩




দৌলতপুরের নিখোঁজ বিকাশ ব্যবসায়ী ১০ দিনেও সন্ধান মেলেনি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৩০জন দেখেছেন

Image

দৌলতপুর,কুষ্টিয়া:কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার সাদিপুর দাঁড়ের পাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম এর ছেলে লিখন মিয়া (৩৪) দীর্ঘ্য দিন যাবত ঢাকার শ্রীপুর থানার জৈনা বাজার (নয়েছ আলী এর বাড়ীরভাড়াটিয়া) একই মালিকের দোকান ঘরে ব্যবসা করে আসছে । হঠাৎ ১০ দিন যাবত সে নিখোঁজ। একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তিকে হারিয়ে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে। পরিবার সহ এলাকায়বাসী শোকাহত, নিখোঁজ বিকাশ ব্যবসায়ীর লিখন মিয়ার স্ত্রী শ্যামলি আকতার বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘ্য দিন যাবত ঢাকার শ্রীপুর থানার জৈনা বাজার, নয়েছ আলীর দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে বিকাশ এর ব্যবসা পরিচালনা করে আমাদের সংসার পরিচালনা করে আসছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর থেকে ঢাকায় যায় আমার স্বামী এবং ১৫ সেপ্টেম্বর বিকাল থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ। তার সাথে আমরা কোন যোগাযোগ করতে পারছিনা। পরে আমরা এ বিষয়ে শ্রীপুর থানায় একটি জি ডি করেছি, যাহার নং ১৯৮০। ১০ দিন অতিবাহিত হলেও আমার স্বামীর কোন খোঁজ আমরা পাই নাই। আমারা আমার স্বামী কে ফেরত পেতে চাই। এ বিষয়ে জি ডি তদন্তকারী অফিসার সুজন কুমার পন্ডিত এস আই বলেন, শ্রীপুর থানায় একটি জি ডি হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। তবে আমার ধারনা সে মানুষের টাকা পয়সা নিয়ে আত্মগোপনে আছে। অথবা কোন নারী গঠিত বিষয় আছে। তারপরেও আমরা তৎপরতা চালাচ্ছি লিখন মিয়াকে উদ্ধারের জন্য।


আরও খবর



নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে, জানাল ইসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পূর্ণাঙ্গ দল না পাঠালেও সার্কভুক্ত দেশগুলো আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পূর্ণাঙ্গ দল না পাঠালেও আরও অনেক দেশ আছে। সার্কভুক্ত দেশগুলোকে (আফগানিস্তান, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা) আমন্ত্রণ জানাবে নির্বাচন কমিশন। 

মো. আলমগীর বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী যেকোনো দেশের যেকোনো সংস্থা আবেদন করতে পারে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ফেম্বোসার সদস্যদের দেশ বিশেষ করে আমাদের আশপাশের যেসব দেশ আছে তাদের আমরা ইনভাইট করি। আমরা শিগগিরই তাদের ইনভাইট জানাব। সার্কভুক্ত দেশগুলো আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী মাসে তাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হবে। 

ইসি আলমগীর আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত না হলে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হবে। 


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে মূল্য তালিকা ও টেস্ট ফি দৃশ্যমান না থাকায় ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১২জন দেখেছেন

Image

রাকিবুল ইসলাম রাকিব সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জে পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ও টেস্ট ফি দৃশ্যমান না থাকায় ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।এ জরিমানা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে বনবাড়িয়া বাজার, কাশিয়াহাটা বাজার ও কড্ডার মোড় এলাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফ। এ সময় কাশিয়াহাটা বাজার এলাকায় খালেক সবজি ভাণ্ডারকে আলু, ডিম পিঁয়াজের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ১ হাজার, সুমাইয়া ষ্টোরকে আলু, ডিম, পিঁয়াজের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অপরদিকে কড্ডার মোড় এলাকায় ইস্কয়ার হাসপাতালে ডেঙ্গু টেস্টের ফি দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন না করায় ৫ হাজার টাকা জরিমারা করা হয়। এছাড়াও মূল্য তালিকা আছে কিনা, ক্রয়- বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ করছেন কিনা ইত্যাদি তদারকি করা হয়েছে এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু, পেঁয়াজ, ডিম বিক্রয় করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে এবং মাইকিং করে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হয়েছে। পুলিশ লাইন সিরাজগঞ্জ ও সদর থানার সহায়তায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।


আরও খবর



পেট্রোল পাম্প-ট্যাংক লরি মালিক ও শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক–শ্রমিক নেতারা।রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর কাওরান বাজারে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) কার্যালয় অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক–শ্রমিক নেতারা।

বিপিসির পরিচালক (মার্কেটিং) অনুপম বড়ুয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক–শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট স্থগিতে রাজি হয়েছেন। তাদের দাবি নিয়ে বিপিসি কাজ করছে।

৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিপিসির এই কর্মকর্তা।

এর আগে, তিন দফা দাবি আদায়ে রোববার ভোর থেকে সারাদেশে জ্বালানি তেল উত্তোলন পরিবহন ও বিক্রিতে ধর্মঘট পালন শুরু করে পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক–শ্রমিকেদের একাংশ।

এর ফলে দেশের বিভিন্ন ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও সরবরাহ দিনভর বন্ধ ছিল। পেট্রোল পাম্পগুলোতে বিক্রি হলেও তেলের সংকট দেখা দেয় অনেক এলাকায়।


আরও খবর



ঢাকায় আসছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১১জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকোঁ ১ড় সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসছেন। নয়া দিল্লি থেকে তিনি ঢাকায় আসবেন।ঢাকার ফ্রান্স দূতাবাসের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাকোঁ ভারতের নয়া দিল্লিতে ৯–১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি–২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন। এরপর সেখান থেকে তিনি বাংলাদেশে দ্বিপক্ষীয় সফরে আসবেন। বাংলাদেশ সফরকালে ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বা ইন্দো–প্যাসিফিক নিয়ে ফ্রান্সের কৌশল নিয়ে জোর দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে এমন একটি দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর হবে, যে দেশটি দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতি করেছে এবং অংশীদারিত্বে বৈচিত্র খুঁজছে। জলবায়ু নিয়ে প্যারিস এজেন্ডাসহ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে অভিন্নতা রয়েছে। আর প্যারিস এজেন্ডা বাংলাদেশ সক্রিয় সমর্থন করে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ যেহেতু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ, ফলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মানবিক দিক থেকে বাংলাদেশের পাশে থাকার সংকল্প আবারও ব্যক্ত করবেন। বিশেষ করে নিয়মিত বন্যা, যা নিয়মিত হয়ে থাকে।

বিশ্বের শান্তিরক্ষা অথবা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া, আন্তর্জাতিক সংহতিমূলক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারি দেশ।

প্রসঙ্গত, এর আগে ১৯৯০ সালে ফ্রান্সের তৎকালিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরাঁ বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের নভেম্বর প্যারিসে দ্বিপক্ষীয় সফরে গিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি ম্যাকোঁকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এ সময় দুই দেশ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার সম্মতিপত্রে সই করে। দুই দেশ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার যে সম্মতিপত্র সই করেছে, তাতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর দক্ষতা বাড়ানোর জন্য আধুনিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রযুক্তি বিনিময়ের মতো বিষয়গুলো যুক্ত রয়েছে।

২০২১ সালে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকের পর দুই দেশের দেওয়া যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, দুই দেশ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে একমত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নিয়মিত আলোচনা ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে। প্রয়োজনে সামর্থ্য অনুযায়ী এক পক্ষের চাহিদা অনুযায়ী অন্য পক্ষ তা সরবরাহ ও সহযোগিতা করবে। দুই দেশ তাদের এই সম্পর্কের একটি কৌশলগত দিক নির্দেশনা দেওয়ার লক্ষ্যে সহযোগিতার সব বিষয়ে নিয়মিতভাবে রাজনৈতিক আলোচনা আয়োজনের ওপর জোর দিয়েছে।

দুই পক্ষ রাজনীতি, কূটনীতি, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিনিময়সহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ও ফ্রান্স সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে সহযোগিতায় জোর দিয়েছে।


আরও খবর