Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প রেলপথ মন্ত্রী কতৃক মাগুরার নির্মানাধীন রেলপথ নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন প্রচারণায় জমে উঠেছে আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না: ওবায়দুল কাদের মাগুরার মহম্মদপুর ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ

ওলকচু চাষে লাভবান হচ্ছে মাগুরার চাষিরা

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৩৬৭জন দেখেছেন

Image

মাগুরা থেকে:মাগুরায় ওলকচু চাষে কৃষকরা হচ্ছেন লাভবান ।ওলকচু চাষকরে সফলতায় কচুগ্রাম হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে মাগুরা জেলার মাগুরা সদর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রাম। মাগুরায় এই প্রথমবারের মতো ওলকচু চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছেন সদরের হাজীপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামের শতাধিক কৃষক । বাড়ির পাশে পতিত জমিতে, লিচু,আম বাগানের মধ্যে ও মাঠে ওলকচু চাষ করছেন এ এলাকার প্রায় শতাধিক কৃষক । বীজ বপন করার পর সাধারণত ৫-৬ মাসে পরিপূণ হয় ওলকচু । মাটির নিচে এ ফসলটি পরিপক্ক হলে ১০-১২ কেজি ওজন হয় । বর্তমানে জেলায় এ চাষ কম হলেও লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন এ চাষে কৃষকরা আগ্রহ বাড়ছে । মাগুরা সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় ,এ গ্রামের অধিকাংশ কৃষকরা প্রায় ৩৬ বিঘা জমিতে এ ওলকচু চাষ করছেন । এলাকার কৃষকরা বলছেন,এ চাষে একটু পরিশ্রম বেশি এবং পরিপক্ক হয়ে উঠতে সময় লাগে । তারপরেও এ ফসলটির চাহিদা জেলায় ও জেলার বাইরে অনেক কদর রয়েছে । আগে মানুষ এ ফসলটি তেমন খেত না কিন্তু বর্তমানে সব সম্প্রদায়ের মানুষের চাহিদা রয়েছে ওলকচু খেতে । এটির অনেক গুণও রয়েছে । ভর্ত্তা,ভাজি ও তরকারিতে মাছের সাথে রান্না করলে খেতে খুবই স্বাসাদু লাগে । তাই বর্তমানে ওলকচুর চাহিদা বাড়ছে । মাগুরা সদর উপজেলার দ্বারিয়াপুর গ্রামের ওলকচু চাষী ভক্ত কুমার বিশ্বাস জানান,সে প্রথমবারের মতো ৬ বিঘা জমিতে ওলকচু চাষে সাফল্য পেয়েছে । গতবছর এ চাষে তার কিছুটা অনাগ্রহ ছিল । কিন্তু জেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে সে আবার চাষ শুরু করে । চাষে কিছুটা পরিশ্রম আছে । তাই ধৈর্য্যসহ কারে আবাদ করলে এ চাষে সাফল্য আসে । সে জেলা কৃষি বিভাগ থেকে বিনামূল্যে বীজ পাওয়ার পর ফাল্গুন-চৈত্র মাসে মাঠে বীজ রোপন করে । বীজ রোপনের পর মাঠের পরিচর্যা আরো বাড়ায় । তারপর বীজ থেকে চারা গজালে ধীরে ধীরে বড় হলে গাছের আগাছা পরিস্কার করতে হয় । ওলকচু উঠতে দুই মাস বাকী । আগামী ভাদ্র মাসের শেষে অর্থাৎ আশ্বিন মাসের শুরুতে ওলকচু উঠাতে হবে । কৃষকরা জানায়, ,মাটির নিচ থেকে ওলকচু উঠাতে হলে প্রথমে কোদালের সাহায্যে গোড়া খুজতে হবে । একটি ওলকচু ১০-১২ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে । তাই শ্রমিক দিয়ে এ কাজ করতে হয় । ৬ বিঘা জমিতে এ ওলকচু উঠাতে ২ সপ্তাহ লাগে । বিঘাপ্রতি চলতি বছর ১৮০-২০০ মণ ওলকচু পাবে বলে তারা আশা করছে । একজন র্কষক জানিান, চলতি বছর তার শ্রমিক ও খরচ বাদে ৮ লাখ টাকা লাভ হবে বলে মনে করছে। । বর্তমানে মাগুরা জেলার ওলকচু জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা,চট্রগ্রাম,রাজশাহী,দিনাজপুর,বরিশাল,ফরিদপুর,মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে । আগের থেকে বর্তমানে ওলকচু চাহিদা বাড়ছে । তাই তাদের গ্রামের অনেকে এখন এ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

একই গ্রামের কৃষক উজ্জল বিশ্বাস বলেন,সে এবার ২ বিঘা জমিতে এ ওলকচু চাষ করেছে । গত বছর ১ বিঘায় এ চাষে ভালো লাভবান হয়েছি তাই এ বছর আরো ১ বিঘা বেশি আবাদ করেছে । তিনি জানান, তাদের গ্রামের অনেকে এখনওলকচু চাষ করছে । এ চাষে একটু পরিশ্রম বেশি কারণ এ ফসলটি মাটির নিচে থেকে খুড়ে বের করতে হয় তাই শ্রমিক মুজুরি অনেক বেশি । বিঘাপ্রতি শ্রমিকের খরচ রয়েছে ২ হাজার টাকা । প্রতি ওলকচু গাছে ১০-১২ কেজি হয় । তাই তাদের খরচ অনেকাংশে উঠে আসে । সব কিছু বাদে লাভ ভালো হয় । মাগুরা জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত ) মো: মোশাররফ হোসেন বলেন,ওলকচু একটি কন্দাল জাতীয় ফসল । মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চলতি বছর জেলায় কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রেখেছে ।এ বছর জেলায় ৪৮ হেক্টর জমিতে এ চাষ হয়েছে । এ চাষে হেক্টর প্রতি উৎপাদন হবে ৩০ টন । এ চাষে পরিশ্রম থাকলেও লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন এ চাষে জেলার কৃষকরা আগ্রহ বাড়াচ্ছে । জেলা কৃষি বিভাগ এ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার প্রদান করেছে । এ চাষে প্রাথমিক পযার্যে মাটিতে গর্ত করে গোরব সার,খড়কুটা,টিএসটি ও ডি এ ইউরিয়া একত্রে মিশিয়ে মাটি প্রস্তত করতে হবে । তারপর বীজ রোপনের পর যতœ বাড়াতে হবে । একটি পরিপক্ক ওলগাছে ১০-১২ কেজি ওল পাওয়া যায় । সাধারণ নিচু ও ছায়াযুক্ত স্থানে এ চাষ ভালো হয় । এ চাষে জেলার কৃষকদের আগ্রহ বাড়লে আগামীতে সব ধরণের সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করা হবে বলে জানান কৃষি বিভাগের এ কর্মকর্তা। ।


আরও খবর



আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধি ছাড়া প্রকৃত মানুষ হওয়া সম্ভব নয়: ধর্মমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image
লিয়াকত হোসাইন লায়ন,জামালপুর থেকে:ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, শিশুরা আমাদের নিকট থেকেই শিখবে। আমরা শিশুদের জন্য কী করছি-এটা আমাদেরকে ভেবে দেখতে হবে।আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধি ছাড়া প্রকৃত মানুষ হওয়া সম্ভব নয়।

বুধবার(১৫ মে) ঢাকার আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অডিটোরিয়ামে জাতীয় শিশু-কিশোর ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, প্রতিযোগিতা একটি শিখন প্রক্রিয়া। প্রতিযোগিতা হারজিতের বিষয় নয়, বরং এটি শেখার এবং সমৃদ্ধ হওয়ার বিষয়। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিযোগীদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, ব্যক্তিত্বের বিকাশ এবং আত্ম-উন্নতির সুযোগ ঘটে থাকে। এটি একজন মানুষকে দক্ষ  করে তোলে।

ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, আজকের এই শিশু-কিশোরই আগামীদিনে জাতির কর্ণধার। তারাই দেশকে নেতৃত্ব দিবে, জাতিকে এগিয়ে নিবে। যারা আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দিবে তাদেরকে অবশ্যই নেতৃত্ব দেওয়ার উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। আগামী দিনের যে পৃথিবী, সেই পৃথিবীর সাথে সমান তালে তারাও যেন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারে, সেভাবেই তাদেরকে দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে তৈরি করতে হবে। শিশুদের চিন্তা-চেতনা ও মননে সততা, নৈতিকতা, দেশপ্রেম, মানবিকতা, ইনসাফ বা ন্যায়পরায়নতা, সময়ানুবর্তিতা, সৌজন্যবোধ প্রভৃতি সদগুণের উন্মেষ ঘটাতে হবে। 

প্রতিযোগীদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী বলেন, প্রতিযোগিতায় নিজেকে সর্বোত্তমভাবে উপস্থাপনের কৌশল রপ্ত করতে হবে। যে বিষয়ে  প্রতিযোগিতায় তুমি অংশ নিতে যাচ্ছো সেই বিষয়টি পুরোপুরিভাবে আয়ত্তে আনতে হবে। সময় ব্যবস্থাপনায় দক্ষ হতে হবে। নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। মন্ত্রী শিশুদের চিন্তা-চেতনা ও মননে সততা, নৈতিকতা, দেশপ্রেম, মানবিকতা, ইনসাফ বা ন্যায়পরায়নতা, সময়ানুবর্তিতা, সৌজন্যবোধ প্রভৃতি সদগুণের উন্মেষ ঘটানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক  ড. মহাঃ বশিরুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার,ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য ও ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট শায়েখ আল্লামা খন্দকার গোলাম মাওলা নকশাবন্দী, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মাওলানা মো: আবদুর রশিদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোঃ হাবেজ আহমদ প্রমুখ। 

এ অনুষ্ঠানে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ক্বিরাত, হামদ, নাত, আযান, আবৃত্তি, বক্তৃতা, রচনা ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারী ৬০ জন প্রতিযোগীদের হাতে মন্ত্রী ও অতিথিবৃন্দ পুরস্কার  তুলে দেন।

উল্লেখ্য, এ প্রতিযোগিতাটি উপজেলা থেকে শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে আয়োজন করা হয়ে থাকে।

আরও খবর



ঢাকা সেনানিবাসে দুই ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত এএফআইপি ভবন এবং আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম, ‘সেনাপ্রাঙ্গণ’ উদ্বোধন করেছেন।

রোববার (৫ মে) সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত এএফআইপি ভবন এবং আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম, সেনাপ্রাঙ্গণের উদ্বোধন করেন তিনি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ গড়ার। সেই স্বপ্নকে হৃদয়ে ধারণ করে বর্তমান সরকার দেশের অন্যান্য সেক্টরের উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে গড়ে তুলেছে অত্যন্ত আধুনিক, দক্ষ ও সময়োপযোগী বাহিনী হিসেবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গসহ জনসাধারণের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) বিভাগের জন্য এ নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার, সামাজিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি আয়োজনের লক্ষ্যে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম, সেনাপ্রাঙ্গণ এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, তিন বাহিনী প্রধানগণ, ঢাকা সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন পদবির অফিসার, অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, জেসিও, অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যগণ এবং মিডিয়া ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বেনজীরের বিরুদ্ধে দুদকে ব্যারিস্টার সুমনের অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

রোববার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সংস্থাটির চেয়ারম্যান বরাবর এই আবেদন করেন।

আবেদনে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক। তিনি ৩০তম পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেছেন এবং ৩৪ বছর ৭ মাস পর অবসরে গেছেন। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা গেছে, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন, যা তার বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে অসম। দৈনিক কালের কণ্ঠ গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজিরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে ৬টি কোম্পানি, রাজধানীর উচ্চবিত্ত এলাকায় দামি ফ্ল্যাট ও বাড়ি, বেস্ট হোল্ডিংয়ে শেয়ার, ফাইভ স্টার হোটেল- লা মেরিডিয়ান ঢাকা-র শেয়ার, গোপালগঞ্জের ‘সাভানা ইকো রিসোর্ট’, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৪১৮ ডিসিমালের বিশাল জমি। এসব সম্পদ বেনজীর, তার স্ত্রী এবং কন্যাদের বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার বৈধ আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। উপরোক্ত তথ্য ও পরিস্থিতিতে বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও দুই কন্যার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদন করার পর ব্যারিস্টার সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ এসেছে, সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না নিতে দেখে এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমি দুদকে এসেছি। দুদকে আবেদন করে এসবের অনুসন্ধান করতে বলেছি।

তিনি আর বলেন, সাবেক আইজিপির যদি এতো সম্পদ থাকে তাহলে পুলিশ বাহিনীর মধ্যে যারা সৎ কর্মকর্তা রয়েছেন তারা খুব বেশি হতাশাগ্রস্ত হবেন। যারা সৎ আছেন তাদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। আর যারা অসৎ, তারা অর্থ কামানোর প্রতিযোগিতায় নামবেন। এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়ে থাকলে অসৎ কর্মকর্তারা বলবেন- আমরা বেনজীর হতে চাই। যদি দুদক এসব অভিযোগের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে হাইকোর্টে যাব।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ গত শনিবার নিজের ফেসবুকে একটি বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে তিনি কিছু স্বীকার করেছেন, কিছু অস্বীকার করেছেন। এখন আইজিপির ৩৪ বছরের চাকরি জীবনে বেতন হয় প্রায় পৌনে দুই কোটির টাকা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শত শত কোটি টাকার মালিকানা উনার আছে, যা কাগজের হিসাবে এসেছে। আর বেহিসেবে যে কি আছে তা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না। বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও মেয়েদের আয়ের কোনো উপায় ছিল না। এরপরও ছয়টি কোম্পানি থেকে শুরু করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ বানিয়েছেন। গোপালগঞ্জে ১৪শ’ বিঘা জমি করেছেন। আরকিছু দিন সময় পেলে মনে হয় তিনি গোপালগঞ্জই কিনে ফেলতেন। বৈধ না অবৈধ তা পরের বিষয়। যে হারে তিনি সম্পদ বানিয়েছেন, আর কিছুদিন হলে হয়ত উনার জমির ওপর দিয়েই আমাদের বঙ্গবন্ধুর মাজারে যেতে হতো।

সুমন বলেন, এতো সম্পদের রিপোর্ট আসার পর ভেবেছিলাম দুদক নিজেই হয়ত একটা উদ্যোগ নেবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে এতো বড় দুর্নীতির বিষয়ে কি আর কেউ কোনো কথা বলবে না? দুদক নিজে কাজ না করলে নাগরিক হিসেবে আমাদের দ্বায়িত্ব দুদককে একটু নড়েচড়ে বসার কথা বলা। আমরা বলছি না যে, বেনজীর আহমেদ দুর্নীতি করেছেন। যে অভিযোগটা এসেছে তা বাংলাদেশের মানুষের সামনে, জাতির সামনে পরিষ্কার হোক। তিনি যেখানেই গেছেন, সেখানেই সম্পদ গড়েছেন। দুদক যদি এই আবেদন আমলে না নেয় তাহলে আমি হাইকোর্টে যাব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন হচ্ছে- দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়তে হবে। আমি এমপি হিসেবে এই প্রথম দুদকে এসেছি। যেসব জায়গায় দুর্নীতির বিষয়ে অন্যরা কথা বলবে না, আমার সাহস-সামর্থ্য থাকলে আমি কথা বলব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংসদ আইন প্রণয়নের জায়গা। সুযোগ পেলে সংসদে আমি দুদকের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করব।

তিনি আরও বলেন, একজন অপরাধী নিজে তার দোষ স্বীকার করেন না। দুদক বলুক যে, বেনজীরের কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। কোনো দুর্নীতি করেননি। সব সম্পদ সাদা পানির মতো। দুদক নিজে স্টার্ট নেয় না। দুদককে ধাক্কা দিয়ে স্টার্ট করে দিতে হয়। কিছু পুরাতন গাড়ি আছে যা সেল্ফ স্টার্ট নেন না। দুদকও তেমন। এখন আমরা ও সাংবাদিকরা পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়ার কাজটা করলে তখন চলতে পারবে। দুদক চেয়ারম্যান এক ইন্টারভিউয়ে বলেছেন, দুর্নীতিবাজরা এখন বুক ফুলিয়ে রাস্তায় হাঁটে। শুধু এ কথা বললেই উনার দ্বায়িত্ব শেষ হবে না। দুর্নীতিবাজরা যেন বুক ফুলিয়ে হাঁটতে না পারে সেই ব্যবস্থা উনাকে গ্রহণ করতে হবে। আর যদি একেবারেই কোনো ব্যবস্থা না নেন, তাহলে আমাদের সবার দেশ ছাড়তে হবে।


আরও খবর



বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা বিশ্বের মধ্যে স্মার্ট হবে: ধর্মমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১১০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আগামীদিনে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা,বলেছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ অনুসারে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে হজ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে। হজ ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত যে পোর্টালটি রয়েছে সেখানে আমরা নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করছি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে ঢাকা হজ অফিসের সম্মেলন কক্ষে হজযাত্রী প্রশিক্ষণ ২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, আপনারা সবাই যাতে সহী-শুদ্ধভাবে হজব্রত পালন করতে পারেন সেজন্যই মূলত আজকের এই প্রশিক্ষণ। আমরা প্রশিক্ষণের জন্য অত্যন্ত দক্ষ প্রশিক্ষক নির্বাচন করেছি। আপনারা যদি প্রশিক্ষণের প্রতি মনযোগী হতে পারেন তাহলে আপনারা হজের নিয়ম-কানুন, হুকুম-আহকাম, ধারাবাহিক আনুষ্ঠানিকতা- সবকিছু আয়ত্তে আনতে পারবেন, ইনশাল্লাহ। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই প্রবণতা হলো জীবনের শেষ প্রান্তে এসে হজ পালন করা।

তিনি বলেন, হজ অনেক পরিশ্রমসাধ্য ইবাদত; এর জন্য শারীরিক সামর্থ্য থাকা বাঞ্চনীয়। অনেকেরই সেই শারীরিক সামর্থ্য থাকে না। যার কারণে তাদের পক্ষে হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন করা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। আমরা অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে জমানো সঞ্চয় দিয়েই হজব্রত পালন করতে যায়। এদেশের অধিকাংশ মানুষেরই দ্বিতীয় বার হজ করার মতো আর্থিক সঙ্গতি থাকে না। সে কারণে আপনার পরিশ্রম ও অর্থ যেন বিফলে না যায় সেজন্য অবশ্য মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে হজ সম্পাদন করতে হবে। সহী ও শুদ্ধভাবে হজব্রত পালন করতে হবে। মো. ফরিদুল হক খান আরও বলেন, সৌদি আরবে আপনার পরিচয় শুধু একজন হজযাত্রী নয়, আপনার পরিচয়-আপনি একজন বাংলাদেশি। আপনার আচার-আচরণ, কথাবার্তা ও চালচলনের মাধ্যমেই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রকাশ পাবে। তিনি সৌদি আরবের আইন-কানুন, নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রতিপালনে কোনরূপ বিচ্যুতি না ঘটে সেদিকে যতœবান থাকার আহ্বান জানান। এছাড়া, কারো জন্য দেশের ভাবমূর্তি ও সম্মান যেন ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে বিশেষভাবে সর্তক থাকার জন্য হজযাত্রীদেরকে অনুরোধ জানান। এ প্রশিক্ষণে সরকারি মাধ্যমে নিবন্ধিত ঢাকার হজযাত্রীরা অংশগ্রহণ করছেন। ধর্মসচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মতিউল ইসলাম, যুগ্মসচিব ড. মোঃ মঞ্জরুল হক ও ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বক্তব্য প্রদান করেন।


আরও খবর



মেহেরপুরে তাপদাহের উত্তাপ বেড়েছে কাঁচা বাজারে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুর:তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে অস্বস্থিতে ভুগছেন মেহেরপুরের মানুষ। ক্ষেত খামারে তাপপ্রবাহের উত্তাপের পাশাপাশি এর প্রভাব পড়েছে কাঁচা বাজারে। বর্তমানে সকল ধরনের সবজির দাম উর্ধ¦মূখী। গেল এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি আলুতে ১০ টাকা এবং পেঁয়াজে বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ টাকা করে। এছাড়াও সব ধরনের সবজির দর বৃদ্ধি পেয়েছে কেজিতে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত।

সোমবার ও আজ মঙ্গলবার মেহেরপুর ও গাংনী কাচা বাজার এবং বামন্দী বাজারে পাওয়া গেছে ভিন্ন ভিন্ন চিত্র। পাইকারী বাজারে পেঁয়াজ ৬০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা এবং সবজির মধ্যে বেগুন ৬০ টাকা, উস্তে ৫০ টাকা, পটল ৪৫ টাকা, ঢেড়স ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারী বাজারে গেল সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০ টাকা ও আলুর দর ছিল ৩৮ টাকা।

এদিকে পাইকারী বাজার থেকে ‍খুচরা বাজার পর্যন্ত প্রতি কেজিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে আরও ২৫-৩৫ টাকা পর্যন্ত। যা ভোক্তাদের তাপদাহের অস্বস্তির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

গাংনী কাঁচা বাজারের সততা ভান্ডারের সত্বাধিকারী সাহাদুল ইসলাম জানান, এখনও আলু ও পেঁয়াজ সংরক্ষণ পর্যায়ে রয়েছে। ক্ষেত থেকে পরিপক্ক আলু পেঁয়াজ তোলার পর সেগুরো সংরক্ষণ হয়ে থাকে। আর কিছুদিন পরেই সংরক্ষণকৃত এসব পেঁয়াজ ও আলু বাজারে বিক্রি শুরু হবে। তখন বাজার স্থিতিশীল হওয়ার আশা করছেন তিনি।

বামন্দী বাজারের সবজি ব্যবসায়ি মনিরুল ইসলাম জানান, পাইকারী হিসেবে যে সবজি কেনা হয় তার সাথে পরিবহন খরচ ও নিজের মুনাফা যোগ করেই খুচরা বিক্রি করতে হয়। তাছাড়া আড়তেও দাম বেশি। মাঠে কৃষক পর্যায়ে সবজি খুবই কম। সেখান থেকেই বেশি দামে আড়তে সবজি আসছে। ফলে দাম উর্ধ্বমূখী।

ভোক্তারা বলছেন, তীব্র তাপদাহে জনীবন অতিষ্ট। কোথাও নেই স্বস্তি। এর মধ্যে আলু পেঁয়াজের দর বৃদ্ধি তাদের বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। বছরের এ সময়টাতে প্রচুর পরিমাণে সবজি পাওয়া যায়। তবে এবার সেই চিত্রের ভিন্নতা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই দর বৃদ্ধি পাচ্ছে।


আরও খবর