Logo
আজঃ সোমবার ২৯ মে ২০২৩
শিরোনাম

অগ্নিকান্ডে নিহত মিরাজ মুন্সীর পরিবারকে জেলা প্রশাসকের টিন ও আর্থিক সাহায্য প্রদান

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

  মাগুরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার; মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের বাগবাড়িয়া গ্রামে অগ্নি দুর্ঘটনায় নিহত মিরাজ মুন্সীর পরিবারকে ২৫,০০০  ও ৯,০০০ টাকার দুইটি চেক ও তিন বান্টিল ঠেউটিন প্রদান করা হয়েছে। গত ১৩ মার্চ গোয়াল ঘরের অগ্নিকান্ডে গরু ছাগল বাঁচাতে যেয়ে মিরাজ মুন্সী নামের কিশোর নিহত হয়। মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ ২১ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িতে যেয়ে নিহতের পিতা ফয়জুর মুন্সীর হাতে সাহায্য সামগ্রী প্রদান করেন। দুর্ঘটনার দিন তাৎক্ষনিকভাবে চাল,ডাল,তেল ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয়  পণ্য প্রদান করা হয়েছিল বলে জেলা প্রশাসক জানান। এ সময় তার সাথে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।




আরও খবর



প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে জাহাঙ্গীরের রিট

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। রিটে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

আজ রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিনি এ রিট আবেদন করেন। পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট একটি দ্বৈত বেঞ্চে এ রিটের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে গত ৪ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীর আলমের করা আপিল নামঞ্জুর হয়। জাহাঙ্গীরের করা আপিল নামঞ্জুর করেন ঢাকা বিভাগীয় নির্বাচন কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম।

ওইদিন জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রার্থিতা ফিরে পেতে আমি হাইকোর্টে যাব। আমার এই বিষয়টি যেহেতু হাইকোর্টে স্টে ছিল, তারা এই স্টেটা আমলে নেয় নাই। আমি ন্যায়বিচার পাইনি। এখন আমি সর্বোচ্চ আদালতে যাব। আগামী রোববার আমি হাইকোর্টে যাব।

গত ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তবে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এদিকে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন জাহাঙ্গীর আলম।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি করপোরশেন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর আলম। তবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে জাহাঙ্গীরকে দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

এরপর জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তবে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে গাজীপুরের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।


আরও খবর



যশোর জেলা ‍বিএনপির ৪৪ নেতাকর্মী আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান : যশোরে বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় শুক্রবার রাতে মামলা করেছেন এসআই জয় বালা। মামলায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, আহবায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান খান, কাজী আজম, সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম, মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহম্মেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বাবুল, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পিকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ২৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। একইসাথে পাঁচটি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এছাড়া,  যশোরে কোতোয়ালি থানাসহ বিভিন্ন থানায় পৃথক নাশকতা মামলায় মোট ৪৪ নেতাকর্মীকে আটক করে শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। 

কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় বাদী এসআই জয়বালা উল্লেখ করেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন শুক্রবার বিকেলে শহরের পূর্ববারান্দীপাড়া শতদল পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গুরুত্বপূর্ন স্থাপনায় নাশকতা কর্মকান্ড ঘটানোর জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা হাতবোমা, লাঠি ও ইট পাটকেল নিয়ে অবস্থান করছেন। তাৎক্ষনিক পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ২২ নেতাকর্মীকে আটক করে। একই সাথে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি ককটেল, তিনটি কাঠের লাঠি ও পাঁচ টুকরা ইট উদ্ধার করে। আটককৃতরা হলেন, আহবায়ক কমিটির সদস্য মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, বারান্দী মোল্লাপাড়ার মনিরুল করীম ওরফে ফল নান্নু, একই এলাকার সাইদুর রহমান শাহীন, পূর্ব বারান্দিপাড়ার অ্যাডভোকেট এস এম আব্দুর রাজ্জাক, নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার আব্দুর রব, বারান্দীপাড়া বৌবাজারের আব্দুল কাদের, সিটি কলেজপাড়ার শেখ মোহাম্মদ, বারান্দী মালোপাড়ার তৌহিদুর রহমান, পূর্ববারান্দী মোল্লাপাড়ার রাব্বি হোসেন, শংকরপুরের তাইজুল ইসলাম তাজু, সিদ্দিকুর রহমান, মনিরুজ্জামান মানু, মনোহরপুর গ্রামের দাউদ ইব্রাহিম, সিরাজসিঙ্গা গ্রামের খালেকুজ্জামান, ভগবতীতলার হাফিজুর রহমান, শাহাপুর গ্রামের কাওছার আলী, পাচবাড়িয়া গ্রামের সাইফুজ্জামান মুন্না, নওদাগ্রামের আবু খায়ের, রুপদিয়ার শাহিন রহমান, জিরাট গ্রামের আব্দুল গণি, তেতুলিয়ার প্রভাষক মনিরুজ্জামান, ওয়াপদা পাড়ার মাহাবুব হোসেন আপন। এ ছাড়া তদন্তে প্রাপ্ত আরও তিন আসামি সুজলপুরের নিছার আলী, ভাতুরিয়ার মহাসিন আলী ও জগমোহনপুরের ফারুক হোসেনকে এ মামলায় আটক দেখানো হয়েছে। 

শনিবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া এ মামলার পলাতক আসামিরা হলেন, বাউলিয়ার মোহাম্মদ মহাসিন, চান্দুটিয়ার শফিয়ার রহমান, নারাঙ্গালী গ্রামের ইদ্রিস আলী, আড়পাড়ার আমিনুর রহমান মধু, ঝুমঝুমপুরের জাহাঙ্গির হোসেন, পূর্ববারান্দীপাড়ার তারেক হোসেন চুন্নু, জিরাট গ্রামের আবু রাসেল, রুপদিয়ার হাসানুর রহমান লিটু, নরেন্দ্রপুরের আতিয়ার দফাদার, চাউলিয়ার সোহেল রানা তোতা, বিএম গোলাম রসুল, নরেন্দ্রপুরের আজিম হোসেন মিন্টু, ভেকুটিয়ার খাইরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, সুজলপুরের শামসু ওরফে ভাংড়ি শামছু। 

উল্লেখ্য, কোতোয়ালি থানা পুলিশ ২৫জন ছাড়াও শার্শা থানায় ছয়জন, বেনাপোল পোর্ট থানায় পাঁচজন, বাঘারপাড়ায় তিনজন, চৌগাছায় দুইজন, ঝিকরগাছায় দুইজন ও মণিরামপুর থানা পুলিশ একজনকে নাশকতার পৃথক পেন্ডিং মামলায় আটক করেছে। জেলায় শনিবার বিএনপির ৪৪ নেতাকর্মীকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর নামে শান্তি পদক প্রবর্তনের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে শান্তি পুরস্কার প্রবর্তন করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আজ রোববার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদকপ্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপনের আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় এ ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন। আমাদের কাছে একটা প্রস্তাব এসেছে— জাতির পিতা শান্তি পুরস্কার দেওয়ার। সেই প্রস্তাবটিতে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। শুধু তাই নয়, আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে শান্তি পদক প্রবর্তন করার ব্যবস্থা করছি।

তিনি আরও বলেন, ‘সারাবিশ্বে যারা শান্তির জন্য কাজ করবে, তারা এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হবেন।

সরকার প্রধান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শান্তির বাণী শুনিয়েছেন, কিন্তু নিজেকে জীবন দিতে হয়েছে। আমরা কোনো অশান্তি চাই না। কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। জাতির পিতার এই নীতিতে আমরা এখনো চলি।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির সহায়ক মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে, শান্তির মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান হোক। আমরা সংঘাত চাই না, সবার উন্নতি চাই।

তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির মাধ্যমে আমরা পেরেছি, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় করেছি আলোচনার মাধ্যমে, তাহলে আজ কেন এই অস্ত্র প্রতিযোগীতা?

বিশ্বের কাছে প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘অস্ত্র প্রতিযোগীতায় যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে সেই অর্থ কেন ব্যয় হয় না ক্ষুধার্ত শিশু ও মানুষের জন্য? এই অস্ত্র প্রতিযোগীতার কারণে বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার মানুষ, শিশু, নারী মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি, তারাও নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। কাজেই আমরা চাই, বিশ্বে শান্তি ফিরে আসুক।

বিশ্ব শান্তিতে বঙ্গবন্ধুর চিন্তাকে স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তৎকালীন শান্তি পরিষদের মহাসচিব বলেছিলেন, শেখ মুজিব কেবল বঙ্গবন্ধু নন, তিনি বিশ্ববন্ধু। মাত্র ৯ মাসে তিনি সংবিধান উপহার দেন। যাতে শান্তির কথা ও দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা ছিল। তিনি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন।

জাতির পিতার কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকে তিনি নির্যাতিত মানুষের পাশে ছিলেন, সেই ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষে ছাত্র শেখ মুজিব মানুষের পাশে ছিলেন। ৪৫ সালে দাঙ্গার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেখ মুজিব দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সব সময় তিনি শান্তির পথে ছিলেন। শান্তির কথাই তিনি বলে গেছেন।


আরও খবর



উপকূলীয় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না কাঙ্খিত ইলিশ, ঋণের বোঝায় দিশেহারা জেলেরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

রাসেল কবির মুরাদ কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরে গত দুই মাস যাবৎ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না কাঙ্খিত ইলিশ। সরগরম নেই কুয়াকাটা-আলীপুর- মহিপুর মৎস্য পল্লীতে। মাঝে মধ্যে দুই একটি ট্রলার অল্প কিছু মাছ পেলেও বেশিরভাগই ট্রলার সমুদ্র থেকে ফেরে শুন্য হাতে। ফলে উপকূলের জেলে পল্লীগুলোতে চলছে হাহাকার। ঋণের বোঝায় দিশেহারা কলাপাড়ার অত্যন্ত ৩০ হাজার জেলে পরিবার। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে মৎস্য পল্লী ঘুরে দেখা যায়, মৎস্য আড়তগুলোতে আগের মতো কর্মব্যস্থতা নেই। ঘাটের বয়স্ক শ্রমিকরা বেকার বসে আছেন। পাইকারী ব্যবসায়ীরা চায়ের দোকানে বসে গল্প আড্ডায় সময় পার করছেন। জেলেরা পুরানো জালের ছিড়া-ফাড়া বুনছেন। আড়দের মালিকরা ব্যবসার লাভ ক্ষতি হিসাব কষছেন। এক

কথায় কর্মব্যস্ত মাছবাজারের মানুষগুলো কর্মহীন অবস্থায় সময় পার করছেন। এমন চিত্র আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের। খাপড়াভাঙ্গা নদীর পাশের একটি মৎস্য আড়দে পুরানো জাল বুনছেন কয়েকজন জেলে। কথা হয় তাদের সাথে। তারা জানান, প্রচ- গরমে সাগরে মাছ নেই। বৃষ্টি না হলে সাগরে গিয়ে লাভ নেই। গত দুই মাসে ৫ বার সাগরে গিয়ে শুন্য হাতে ফিরে এসেছেন। প্রতিবারই বাজারের টাকা লোকশান হয়েছে। তাই এখন সাগরে না গিয়ে পুরানো জাল বুনছেন। মাছের দেখা মিললে সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যাবেন তারা।

মৎস্য শ্রমিক জলিল প্যাদা বলেন, গত দুই মাস ধরে মাছ খুবই কম। ট্রলার ঘাটে আসলে কিছু সময় কাজ থাকে। দিনের বেশিরভাগ সময় অলস থাকতে হয়। আয় কম, সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। ধুলাসার ফিসের মালিক আবু জাফর হাওলাদার বলেন, সমুদ্রে মাছ কম। বাজার সওদা করে ট্রলার সাগরে পাঠাই, ফিশিং শেষে শুন্য হাতে ফিরে আসে। গত মাসে আমার সাড়ে ৮ লাখ টাকা লোকশান হয়েছে। আলীপুরের বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী মনি ফিসের মালিক আব্দুল জলিল ঘরামী বলেন, আমার আড়দে গত কয়েক বছর দৈনিক যে মাছ উঠছে তা পুরো মৌসুমে আসে নাই। ব্যবসার অবস্থা ভালো না। অন্য ব্যবসার চিন্তা করছি। তিনি আরো বলেন, যে হারে বৈধ-অবৈধ টলিং সমুদ্রে মাছ শিকার করছে তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মাছই থাকবে না। টলিং জালে সমস্ত মাছের পোনা মারা যাচ্ছে। আমাদের সমুদ্রের মৎস্য সম্পদ রক্ষা করতে হলে অবৈধ ট্রলিং জাল বন্ধ করতে হবে।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ইলিশ মাছ হচ্ছে গভীর সমুদ্রের মাছ। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রচন্ড গরম, অনাবৃষ্টির কারণে মাছ কম পানিতে আসছে না। তাই কুয়াকাটার উপকূলে কম ইলিশ ধরা পরছে। আশা করছি আবহাওয়া পরিবর্তন হলে পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পরবে। তিনি আরো বলেন, কুয়াকাটা সংলগ্ন সমুদ্রে দীর্ঘ ডুবোচর থাকায় রামনাবাদ, আগুনমুখা, আন্ধারমানিক ও বলেশ্বর মোহনায় ইলিশের আনাগোনা কমে গেছে।


আরও খবর



পায়রা বন্দর এখন অপারেশনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

রাসেল কবির মুরাদ কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল গোলাম সাদেক বলেন, সরকার পায়রা বন্দরকে একটি আধুনিক, ব্যবসা-বান্ধব ও পরিবেশ-বান্ধব স্মার্ট পোর্ট হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে।বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তিনি পায়রা বন্দরের হলরুমে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় একথা বলেন। তিনি বলেন, পায়রা বন্দর এখন সর্বদা অপারেশনের জন্য সম্পুর্ণ প্রস্তুত। বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিং সম্পন্ন হওয়ার ফলে ২৬ মার্চ থেকে প্রতিনিয়ত বন্দরে ১০ থেকে সাড়ে ১০ মিটার নাব্যতার বিদেশি মাদার ভ্যাসেল পণ্য নিয়ে আসছে।

পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান আরো বলেন, রাবনাবাদ চ্যানেলের চারিপাড়ায় বন্দরের ফার্স্ট টার্মিনাল চালু হলে এ বন্দরের অপারেশন কার্যক্রম আরো বহুগুনে বৃদ্ধি পাবে। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে জানান, পায়রা বন্দর এখন অপারেশনের জন্য সম্পুর্ণরূপে প্রস্তুত। এসময় অন্যান্যের মধ্যে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য প্রকৌশল ও উন্নয়ন রাজীব ত্রিপুরা, সদস্য হারবার ও মেরিন ক্যাপ্টেন জাহিদ হোসেন, পরিচালক ট্রাফিক কাজী ফারুক, বন্দরের সচিব সোহরাব হোসেন, উপ-পরিচালক ট্রাফিক আজিজুর রহমান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর