Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না: ওবায়দুল কাদের মাগুরার মহম্মদপুর ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত শেখ হাসিনা "সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক" যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী

অবশেষে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত শিশু ওমরের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৩০১জন দেখেছেন

Image

তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি; অবশেষে সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিক আহত শিশু ওমরের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকালের দিকে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সবাইকে কাদিয়ে জ্ঞানশূন্য অবস্থায় মারা যান শিশু ওমর। গত সোমবার সকালের দিকে তানোর পৌর সদর  গুবিরপাড়া গ্রামের মোড়ে সড়ক দূর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন ৫ বছরের শিশু ওমর। দীর্ঘ প্রায় ২৪ ঘন্টা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে সবাইকে কাদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে ওমরের নানির বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার কুযিশহর গ্রামে দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে শিশু ওমরের মরদেহ বহনকারী এম্বুলেন্স গুবিরপাড়া মোড়ে আসা মাত্রই তার খালাসহ গ্রামের মহিলা পুরুষ দেখার জন্য আসলে সবাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কোন ভাবেই এমন মৃত্যু মানতে পারছেন না ওমরের নানি ও পিতা মাতা এবং স্বজনরা। সেই সাথে ঘাতক বাইক চালক ধানতৈড় গ্রামের হাজী শৈয়বের উড়ন্ত ছেলের শাস্তির দাবিতে ফুসে উঠেছেন স্থানীয়রা। কারন মুজাহিদের বাইক চালানো বেপরোয়া এর আগেও গুবিরপাড়া গ্রামের দরিদ্র ভ্যান চালক মুস্তাকিমের ছেলেকে ধাক্কা মেরে পা হাত ভেঙ্গে ফেলেন। সোমবার খবরের শিরোনাম ছিল নানির সাথে খালার বাড়ির পরিবর্তে হাসপাতালে শিশু ওমর। তার এমন অকাল মৃত্যু ও মরদেহ নানির গ্রামে আসামাত্রই কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে পড়ে।

জানা গেছে, গত ১৪ নভেম্বর সোমবার সকালের দিকে শিশু ওমরকে নিয়ে তার নানি কুযিশহর গ্রাম থেকে গুবিরপাড়া গ্রামে শিশুটির খালার বাড়িতে ভ্যান যোগে মোড়ে নামা মাত্রই ধানতৈড় গ্রামের সার কীটনাশক ব্যবসায়ী হাজী শৈয়বের বখাটে ছেলে মুজাহিদ বিপরীত দিকে থেকে দ্রুত গতিতে আরওয়ান সুজকি হুলুদ কালারের মটরসাইকেল জোরে ধাক্কা দেয়। সাথে সাথে মাথা ফেটে মগজ দেখা যাচ্ছিল। বাইকে ধাক্কা লাগার সাথে সাথে শিশু ওমর চিৎকার দিয়ে নুড়ে পড়েন। এঅবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে অবস্থা বেগতিক দেখে রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। 
পাড়ার বেশকিছু মহিলারা জানান, মুজাহিদ বেপরোয়া বাইক চালক। তার খামখেয়ালীতেই দরিদ্র শিশু ওমর মারা গেল। চিকিসাও অবহেলা করেছে মুজাহিদের পিতা। সময় মত রক্ত দিতে পারেনি। এসব লোকাল রাস্তায় এতো জোরে মটরসাইকেল কেন চালাতে হবে। এর আগেও কয়েকবার দূর্ঘটনা ঘটায়।
তবে মুজাহিদ জানান, আমি তানোর থেকে ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে আসার পথে গুবিরপাড়া মোড়ে ভ্যান থেকে নেমেই শিশুটি দৌড় দিয়ে রাস্তাপার হওয়ার সময় মোটরসাইকেলের হ্যান্ডেলের সাথে ধাক্কা লাগে।
হাজি শৈয়বের একান্ত এক সহযোগী জানান, দুপুরের আগে শিশু ওমরের আত্মীয় স্বজনরা এসেছিল, তাদেরকে বলা হয়েছে লাশ দাফন করেন দশজনে যেটাই বলবে সেটাই করা হবে। 
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুরের আগে তানোর পৌর সদর তানোর টু তালন্দ রাস্তার গুবিরপাড়া মোড়ে বাবু সরদারের শ্বাশুড়ী তার নাতি ওমরকে নিয়ে মোড়ে ভ্যান থেকে নামে। রাস্তা পার হওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে মুজাহিদ প্রচন্ড গতিবেগে বাইক চালিয়ে আসছিল। এঅবস্থায় বাইকের হ্যান্ডেলের সাথে শিশু ওমরের  জোরে ধাক্কা লাগে।
শিশু ওমরের পিতার নাম লিটন, বাড়ী রাজশাহী শহরে। কিন্তু ওমর কে ছোট অবস্থায় নানি এনে দেখাশোনা করেন। অভিভাবক বলতে তার নানিই সবকিছু।

আরও খবর



২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপিতে মোট বরাদ্দ থাকছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় মাত্র দুই হাজার কোটি টাকা । বেশি দেশে চলমান অর্থনৈতিক চাপের কারণে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বাড়াচ্ছে না সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভায় এই উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোট বরাদ্দের বৈদেশিক ঋণ বা অনুদান লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ কোটি টাকা। তবে এবারও উন্নয়ন বাজেটে পরিবহন ও বিদ্যুৎখাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ দুই খাতে তুলনামূলকভাবে অর্থ বরাদ্দও থাকছে বেশি।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রণয়নে গত ১৪ মার্চ নির্দেশনা দেয় পরিকল্পনা কমিশন। সেই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সব বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছ থেকে এডিপির জন্য মোট দুই লাখ ৭৬ হাজার ৪০২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার প্রাথমিক চাহিদা পাওয়া যায়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক লাখ ৮৫ হাজার ৩৯১ কোটি ১৯ লাখ টাকা ও প্রকল্প ঋণ-অনুদান ৯১ হাজার ১১ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

পরে অর্থ বিভাগ থেকে পাঠানো নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপির আকার দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণপূর্বক কার্যক্রম বিভাগকে অবহিত করা হয়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বা ৬২ দশমিক ২৬ শতাংশ। উন্নয়ন ব্যয় মেটাতে বৈদেশিক ঋণ-অনুদানের টার্গেট এক লাখ কোটি টাকা বা ৩৭ দশমিক ৭৪ শতংশ।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এডিপিতে এক অর্থবছরের ব্যবধানে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বাড়ছে ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

সরকার নতুন উন্নয়ন বাজেটে পরিবহন ও বিদ্যুৎ খাত সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত এডিপির আকার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মূল এডিপি অপেক্ষা দুই হাজার কোটি টাকা বা দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি এবং সংশোধিত এডিপি অপেক্ষা ২০ হাজার কোটি টাকা বা ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি।


আরও খবর



মেহেরপুরে পাটের আবাদ কমেছে

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃপাটের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, অনাবৃষ্টি আর পাট পচানোর পানি সংকটের কারণে পাটের আবাদ কমেছে মেহেরপুরে। চলতি বছরে পাটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। চাষিদের দাবী, প্রতি বছরে পাট চাষে একরকম লোকসান গুণতে হয়। বাধ্য হয়ে অন্য ফসল আবাদ করছেন তারা। তবে কৃষি অফিস বলছে, পাট চাষে চাষিদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে দেয়া হচ্ছে প্রণোদনা ও বিকল্প পদ্ধতিতে পাট পচানোর পরামর্শও দেয়া হচ্ছে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি অফিসের তথ্যনুযায়ি, কৃষি নির্ভরশীল এ জেলায় চাষিদের অর্থনৈতিক ফসল হিসেবে বিবেচিত সোনালী আঁশ পাট। চলতি বছরে এ জেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২২ হাজার হেক্টর। আর পাট চাষ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৬৩০ হেক্টর যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হাজার ৩৭০ হেক্টর কম। চাষিরা জেআরও ৫২৪, বি জে আর আই তোষাপাট-৮, ভারতীয় কৃষি কল্যাণ, মহারাস্ট্র ও চাকা জাতের পাট আবাদ করে থাকেন।

চাষিরা জানান, গেল বছর অনাবৃষ্টি থাকলেও তেমন তাপদাহ ছিল না তাই সেচ দিয়ে পাট চাষ করেছেন চাষিরা। কিন্তু পাট জাগ দেয়ার মতো পানির ব্যবস্থা ছিল না। অনেকেই কাদা মাটি দিয়ে পাটজাগ দেয়ার পাটের মান নষ্ট হওয়ায় ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। চলতি মৌসূমে অনাবৃষ্টির সাথে যোগ হয় তীব্র তাপদাহ। ফলে অনেকেই পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। উপরন্ত পাট পচানোর জন্য কোন উম্মুক্ত জলাশয় না থাকায় চাষিরা পাট চাষ করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। অনেকেই খাল বিল সংস্কার ও দখল হয়ে যাওয়া জলাশয় উম্মুক্ত ঘোষণা করার আহবান জানান।

গাংনীর পলাশীপাড়ার পাটচাষি জুলফিকার আলী জানান, প্রতিবছর চাষিরা এ পাট আবাদ করে মোটা অংকের টাকা আয় করেন। কিন্তু পানি সংকটের কারণে চাষিদের পাট পচাতে সইতে হয় নানা বিড়ম্বনা। অনেকেই খালে বিলে পানি না পেয়ে বাড়ির পাশে গর্তে সামান্য পানি দিয়ে পাট পচাতে দেন। এতে এক দিকে যেমন চাষিদের খরচ বেড়ে যায় তেমনি পাটের রং নষ্ট হয়। ফলে পাটের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন।

পাটচাষি তেতুঁলবাড়িয়ার মিজান জানান, গেল বছর তিনি ৪ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলেন। চলতি মৌসূমে তিনি দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। অনাবৃষ্টি ও তাপদাহের কারণে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পাট বীজ বপন করতে পারেনি। উপরন্ত পাটক্ষেতে সেচ দিতে না পারায় পানির অভাবে পাট গাছ বাড়ছে না। অন্যদিকে পাট পচানোর ব্যবস্থা না করতে পারলে সামনে বছর আর পাট চাষ করবেন না বলেও জানান এই চাষি।

পাটচাষি করমদি গ্রামের জিবন হোসেন জানান, চলতি মৌসূমে অনাবৃষ্টিতে পাট বপন করার সময় সেচ দিয়ে পাট বপন করতে হয়েছিল। পরবর্তীতে প্রচ- তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে পাট ক্ষেত বিনষ্ট হয়। পাট বপনের দেড় মাস অতিবাহিত হলেও পাট উচ্চতায় বৃদ্ধি পায়নি। আর যারা সেচ দিয়ে পাট আবাদ করছেন তারা পাট পচানো নিয়ে বেশ চিন্তিত। চাষিদের দাবী, হাজা মজা খাল বিল সংস্কার করে পানি প্রবাহ ঠিক রাখলে পাট পচানো সম্ভব। চাষিরা উম্মুক্ত জলাশয়ে পাট জাগ দিতে পারলে পাট চাষ বৃদ্ধি পাবে।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, চলতি মৌসূমে পাটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। অনাবৃষ্টির কারণে অনেকেই পাট বীজ বপন করতে পারেনি। আর যারা আবাদ করেছেন পানির অভাবে পাটগাছ বাড়েনি। অন্যদিকে পাট পচানো নিয়েও চাষিরা নানা বিড়ম্বনায় পড়েন। তবুও চাষিদেরকে প্রণেঅদনাসহ অন্যান্য সুবিধা দেয়া হচ্ছে পাট চাষে আগ্রহী করে তোলার জন্য। বিকল্প পদ্ধদিতে পাট পচানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলেও জানালেন এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের আহ্বান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ,চলমান দাবদাহ ও গ্রীষ্ম মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে। এছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবহারে গ্রাহকদের সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, বিগত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন সত্ত্বেও চলমান দাবদাহে বিদ্যুতের চাহিদা অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। তা সত্ত্বেও গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। একই সঙ্গে গ্রাহকদের আরও পরিমিত ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারে আহ্বান জানাচ্ছে।

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে গ্রাহকের প্রতি কিছু আহ্বান জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

সেগুলো হলো- রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা। নিম্নহারে বিদ্যুৎ বিল সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে দোকান, শপিংমল, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অতিরিক্ত বাতি ব্যবহারে বিরত থাকা। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী হলিডে স্ট্যাগারিং প্রতিপালন করা।

এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর ওপরে রাখা। দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে হুকিং বা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিরত থাকা। বেআইনিভাবে ইজিবাইক ও মোটরচালিত রিকশার ব্যাটারি চার্জিং থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এছাড়া বিদ্যুতের অপচয় রোধে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

বিদ্যুৎ সেবা প্রাপ্তিতে যে কোনো অভিযোগ বা তথ্যের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের হট লাইন নম্বর ১৬৯৯৯ যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।


আরও খবর



ডোমারে ডিএনসি’র অভিযানে মাদক কারবারি খোরশেদা বেগম গ্রেফতার

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৪১জন দেখেছেন

Image

মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমার এবং ডিমলায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)র অভিযানে হেরোইন ও ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নারী মাদক কারবারি খোরশেদা বেগম, টুটুল দাস ও তহিদুল ইসলাম হেবলা নামে ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা ডিএনসি’র এসআই সফিয়ার রহমানের নের্তৃত্বে এএসআই সাইফুল ইসলাম, অভিক দাস ও সঙ্গীয় ফোর্স সোমবার (১৩ মে) দুপুরে ডিমলা বাবুর হাট এলাকার বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় এলাকার মৃত সুশিল দাসের ছেলে টুটুল দাস (২৮) এবং নেছার উদ্দিনের ছেলে তহিদুল ইসলাম হেবলা (৩৬) কে গ্রেফতার করে। তল্লাসি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে হেরোইন ও ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে ডিএনসি টিম। অপরদিকে সন্ধ্যায় ডোমার পৌর এলাকায় ৯নং ওয়ার্ড জোড়পাখুড়ী এলাকায় মাদক কারবারি বাবুর হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালালে সুকৌশলে বাবুল পালিয়ে যায়। তার স্ত্রী খোরশেদা বেগম (৪৫) কে আটককালে তল্লাসি চালিয়ে শরীরের গোপন স্থানে লুকিয়ে রাখা পোলেথিনের ব্যাগে মোড়ানো হেরোইন উদ্ধার করে অভিযানকারী দল। এ বিষয়ে এসআই সফিয়ার রহমান জানান, গ্রেফতারকৃত ৩জনের বিরুদ্ধে ডিমলা ও ডোমার থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথকভাবে ২টি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। খোরশেদার বেগমের স্বামী বাবুল হোসেন পলাতক রয়েছে।


আরও খবর



নবীনগর শিবপুরে, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা দেখতে দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ২০৬জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রতিনিধি:আধুনিক সভ্যতার আড়ালে হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে , ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের যুব সমাজ কর্তৃক  আয়োজিত গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নড়াইলের লাঠিয়াল দলের এই লাঠি খেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুতুল নাচ প্রদর্শনী ও আকর্ষণীয় বাশঁ নৃত্য দেখতে  উচ্ছ্বাসিত গ্রামবাংলার মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায় । 

গেল বুধবার  বিকালে শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গগণের উপস্থিথিতে মনোমুগ্ধকর, মনোরম পরিবেশে, পুতুল নাচ প্রদর্শনী ও  লাঠি খেলাটি দেখতে দুপুরের পর থেকেই দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসে নানা বয়সী মানুষ ।  ঢাক, ঢোল আর সানাইয়ের শব্দের তালে তালে নেচে প্রতিপক্ষের আঘাত পাল্টাআঘাত মোকাবেলা আর টানটান উত্তেজনা ছিল খেলার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। প্রচণ্ড রৌদ্রতাপের মধ্যেও লাঠি খেলায় উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা যায়।

লাঠিয়ালদের শব্দের তালে তালে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন একে অন্যের ওপর। এ সময় প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চলে প্রতিপক্ষকে হারানোর অদম্য চেষ্টা। এমন দৃশ্য দেখে আনন্দে উচ্ছ্বাসিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসী ও দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসা দর্শনার্থীরা।

দর্শকদের করতালি আর হৈ-হুল্লোড়ে আরো জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে উঠে লাঠি খেলার আসর। বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই, শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, এই লাঠি খেলা দেখতে দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়ছিল ।

শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি হাজী মোহাম্মদ  মুসা মিয়ার সভাপতিত্বে ও শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্যশামীম আহমেদ দুদু ও শহীদুল্লাহ বাপ্পির যৌথ সঞ্চালনায় , উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাজী লিটন মেম্বার। 

অনুষ্ঠিত গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা প্রধান অতিথি  বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক ফারুক আহমেদ ও প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস , ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামীলীগ নেতা কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটু , ও নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ  মাহাবুব আলম, প্রধান মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন সরকার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক কুয়েত প্রবাসী মোঃ রতন মিয়া সহ - অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গগণ । 

পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন দুবাই প্রবাসী সমাজ সেবক সজরুল ইসলাম  সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন নূরনগর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর