Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় মহেশখালীর পানচাষীদের মাঝে আনন্দের বন্যা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৪৩০জন দেখেছেন

Image

মোঃআমান উল্লাহ, কক্সবাজার : কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপের মিষ্টি পানে এখন সোনা ফলছে। মহেশখালীর মিষ্টি পান স্থানীয় ও দেশের সর্বত্র  মানুষের মাঝে স্থান  করে নিচ্ছে। ফলে মিষ্টি পান এক প্রকার এখন সোনার হরিণ। এছাড়া পান চাষিরা এক ঝুঁড়ি পান বিক্রি করে পাচ্ছেন লাখ টাকা। তাই পান চাষে জড়িয়ে পড়েছেন বিভিন্ন পেশার লোকজন।চট্টগ্রাম ও ঢাকায় এক বিরা বড় পান বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। এতে মহেশখালীতে উৎপাদিত পানের চাহিদা দেশিয় বাজারে বেশি বলে জানালেন রপ্তানি কারকেরা। এই দিকে হঠাৎ মিষ্টি পানের দাম রেকর্ড পরিমান হওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। এ সপ্তাহ ধরে পান বাজারে উৎপাদিত পানের দাম বেড়ে যাওয়ায় চাষীরা খুশি।

মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দুই সপ্তাহ আগে প্রতি বিরা পান বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা। তবে সপ্তাহ ধরে বেড়ে পানের দাম রেকর্ড হয়েছে। বর্তমানে মাঝারি ও বড় পান প্রতি বিরা পান বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। আর ছোট পান বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।জানা গেছে, কয়েক যুগ ধরে মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী, হোয়ানক, কালারমারছড়া, ছোট মহেশখালী ও শাপলাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন পাহাড়ী ঢালু ও আবাদি কৃষি জমিতে পান চাষ করে আসছে স্থানীয় পান চাষীরা।পাহাড়ী এলাকায় পান চাষ দুই-তিন বছর স্থায়ী হলে ও কৃষি জমিতে পান চাষ টিকে মাত্র ৫ থেকে ৬ মাস। তবে কৃষি জমিতে পান চাষ সেপ্টেম্বর-নভেম্বর মাস থেকে শুরু হয়ে তা মে মাসে শেষ হয়। আর পাহাড়ি এলাকায় পান চাষ যে কোনো সময়ে করা যায় বলে জানিয়েছেন শাপলাপুরের পান চাষিরা।পানের বরজ থেকে পান তুলে নিয়ে চাষীরা স্থানীয় হাট বাজারে নিয়ে তা বিক্রি করছে। উপজেলার গোরকঘাটা, বড় মহেশখালী নতুন বাজার, হোয়ানক ইউনিয়নের টাইম বাজার, পানিরছড়া বাজার, কালারমারছড়া ইউনিয়নের কালারমারছড়া বাজার, জনতাবাজার ও শাপলাপুর বাজারে পানের বাজার বসে। সপ্তাহে দুই দিন এসব পান বাজারের পান বিক্রি হচ্ছে।পানের হাট কালারমারছড়া চালিয়াতলী বাজারে পান বেচা-কেনা করতে দুই শতাধিক চাষী পান বাজারে বেচাকেনা করতে নিয়ে আসে ।

আর ওই বাজারে  দেশের বিভিন্ন জায়গা  থেকে আসা পান ব্যবসায়ীরা চাষীদের কাছ থেকে পান ক্রয় করে থাকে ।পরে এসব পান ট্রাক ভর্তি করে ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম’সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যায়। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, মহেশখালীর পাঁচ ইউনিয়নের পাহাড়ে ও বিলে ১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে পান চাষ হচ্ছে। এ পেশায় ৩৯ হাজার চাষির পাশাপাশি লক্ষাধিক মানুষ জড়িত।মহেশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, বিগত সময়ের চেয়ে এখন পানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন পান চাষীরা। এতে ছোট-বড় মিলে হাটে এক বিরা পান ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০০শ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে পান চাষীদের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।


আরও খবর

মাগুরায় বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




বিজিবির কাজে বাধা,ভারতীয় পন্যে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে যুবক আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১৬৫জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দিনাজপুরের হিলিতে সরকারি কাজে বাধা ও বিজিবির কাছ থেকে ভারতীয় পন্য ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে লিটন (৩২) নামে এক যুবককে আটক করেছে বিজিবির সদস্যরা। পরে হাকিমপুর থানায় মামলা দায়ের পূর্বক পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটককৃত লিটন পৌর শহরের ধরন্দা গ্রামের মৃত আশরাফুল ইসলামের ছেলে। বুধবার বেলা ৩ টায় হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট গেটে এই ঘটনা ঘটে।

হিলি আইসিপি ক্যাম্পের বিজিবি’র নায়েক ওমর আলী হাকিমপুর থানায় মামলা দায়ের এজাহারে উল্লেখ করেন, বুধবার দুপুরে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট গেইটের জিরো পয়েন্টে ডিউটি রত থাকা কালিন সময়ে ভারত থেকে এক নারী পাসপোর্ট যাত্রী দুইটি কাপড়ের কালো ব্যাগে ভারতীয় পন্ডস বিউটি ক্রিম নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসময় ওই পাসপোর্ট যাত্রীকে ব্যাগে পন্যের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে কোন সঠিক উত্তর দিতে না পারায় ওই ব্যাগ দুইটিতে থাকা ৫৮ কেজি পন্ডস ক্রিম হিলি বন্দর শুল্ক অফিসে প্রেরন কালে আসামি লিটন চেকপোস্টের মেইন পিলার ২৮৫/ ১১ এস হইতে আনুমানিক ৩০ গজ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে আমার পথ রোধ করে সরকারি কর্তব্য পালনে বাধা প্রদান করিয়া ভারতীয় পণ্য সামগ্রী বোঝায় কালো কাপড়ের ব্যাগ দুটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং আমাকে ধাক্কা মারলে আমি মাটিতে পড়ে গিয়ে আঘাত পাই। পরে অন্য কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যদের সহযোগিতায় আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাশি করে দুইটি মোবাইল এবং সিমসহ দুইটি সিম জব্দ করা হয়েছে।

এবিষয়ে জয়পুরহাট ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্নেল তানজিলুর রহমান বলেন,বিজিবির কাজে বাধা প্রদান, বিজিবি সদস্যকে ধাক্কা মেরে তার কাছ থেকে পণ্য ছিনিয়ে নেওয়ার কোন ভাবে কাম্য নয়। আমি সংবাদ পাওয়া মাত্রই থানা পুলিশ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবগত করি। আমি নিজেও ঘটনাস্থলে এসে সবার সাথে কথা বলেছি।


আরও খবর



ভুটানের রাজা ঢাকা আসছেন

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১৩১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আগামী সোমবার (২৫ মার্চ) ঢাকায় আসছেন দীর্ঘ ১১ বছর পর ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক চার দিনের সফরে । এ সময় তিনি স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

এই সফরে ভুটানের রাজা সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তিনি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও তার বৈঠক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভুটানের রাজার ঢাকা সফরকালে বেশ কয়েকটি সমঝোতা সই হতে পারে। এছাড়া কুড়িগ্রামে ভুটানের বিনিয়োগের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন, বিদ্যুৎ, কৃষি, স্বাস্থ্য খাতসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার বিষয়ে সফরে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সফর শেষে আগামী ২৯ মার্চ ভুটানের রাজা ঢাকা ত্যাগ করবেন।


আরও খবর



খাগড়াছড়িতে মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টাঙ্গাইল হতে অপহৃত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার, গ্রেফতার দুই

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৯২জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি থেকে অপহৃত কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে  মামলা রুজুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টাঙ্গাইল হতে  উদ্ধার,  ২  অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৩১মার্চ)দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিংয়ে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর (পিপিএম বার) জানান, অপহৃত ছাত্রী ভিকটিম খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের দ্বাদশ ১ম বর্ষের ছাত্রী। সে তার বড় বোনের বাসায় থেকে পড়ালেখা করে। গত ২৪ মার্চ সকালে বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। পরবর্তীতে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও সে বাসায় না ফেরায় বিষয়টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমের পিতা তার বড় মেয়ের নিকট হতে জানতে পেরে চারদিকে ভিকটিম-কে খোঁজাখুজি করেও না পেয়ে মাটিরাঙ্গা থানায় হাজির হয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন এবং সাক্ষীদের নিকট হতে ভিকটিমের পিতা জানতে পারেন যে, ভিকটিম কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সকালে তার বড় মেয়ের বাসা থেকে বের হয়ে মাটিরাঙ্গা হাসপাতাল মোড়ে গাড়ির অপেক্ষায় থাকার সময় মো. রাকিব হোসেন (২০) ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের সহায়তায় জোরপূর্বক সিএনজি গাড়ি যোগে ভিকটিমকে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়।

পরে ভিক্তিমের বাবা বাদী হয়ে মাটিরাঙ্গা থানায় এজাহার দায়ের করলে তার লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে মাটিরাঙ্গা থানার মামলা রুজু করা হয় ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মামলার পরে বাদীর মামলার তদন্তের প্রারম্ভে আধুনিক তদন্ত কৌশল ও বিশ্বস্ত গুপ্তচর নিয়োগ করে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর  সার্বিক তত্ত্ববধানে ও সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনায় মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে একটি অভিযানিক টিম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে খাগড়াছড়িসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা কারে টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী থানা এলাকা থেকে অপহরণকারী আসামি মো. রাকিব হোসেন (২০) ও আমিনুল ইসলাম (২৫)-কে গ্রেফতার করা হয় এবং ভিকটিম-কে উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ এবং ভিকটিম কে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর (পিপিএম বার)।

আরও খবর



সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে: জাহাঙ্গীর কবির নানক

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:কাঁচাবাজারের ব্যাপারে সিন্ডিকেট শব্দটি প্রযোজ্য নয়। ভোক্তারা যাদের কাছে পণ্য কেনে, সেখানে বাজার নিয়ন্ত্রণ হওয়া দরকার। সে কাজটা সরকার করবে, এটা সরকারের দায়িত্ব।বলেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক 

সোমবার (১৫ এপ্রিল) ঈদের পর প্রথম কর্ম দিবসে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সিন্ডিকেট একটা পপুলার শব্দ। সিন্ডিকেট আমার কাছে মনে হয়েছে বড় ব্যাপার। তবে সিন্ডিকেট কাঁচাবাজারের ব্যাপারে প্রযোজ্য নয়। মাঝখানে যারা, ভোক্তা যাদের থেকে পণ্য কেনে সেখানে নিয়ন্ত্রণ হওয়া দরকার। সে কাজটা সরকার করবে, সেটা সরকারের দায়িত্ব। আমরা যারা সরকারের আছি সেটা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি নিয়ে তিনি বলেন, আমরা গ্রামের মানুষ। আমরা যারা সরকারের লোক এবং সরকারে রয়েছি, আমরা কিন্তু রমজানের আগেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি। রমজানের আগেই বাজার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমার নির্বাচনি এলাকা মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরে বাংলা নগরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সুলভমূল্যে কেনাকাটার ব্যবস্থা করেছিলাম। ঢাকার মানুষ যে বাজার পরিস্থিতির মুখোমুখি ছিল মফস্বলের মানুষ, সেই পরিস্থিতির মুখে ছিল না। ঢাকা শহরে এক পরিস্থিতি, মফস্বলের আরেক পরিস্থিতি। তৃণমূল কৃষক যে দামে বিক্রি করে ভোক্তার কাছে এসে তা ৫০-৬০ গুণ বেড়ে যায়। এটা আমরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। জাহাঙ্গীর কবির নানক আরও বলেন, সচিবালয়ে আজ আমারও ভালো লাগেনি। অনেক ভিড়ের সচিবালয়ে আজ ভিড় কম। ঢাকার রাস্তা অস্বাভাবিক। আসলে আমার জানামতে দুই পর্ব মিলে এতো ছুটি হয়নি। এখন স্বল্প সময়ের মধ্যে মানুষ বাড়িতে যায়। সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বাড়িয়ে দিয়েছে। এগুলো সবই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। আমার কাছে মনে হয় এ সপ্তাহ এমন ঢিলেঢালা যাবে। আগামী সপ্তাহে কর্মচাঞ্চল্য ফিরবে। বিএনপি যে দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিল সেই দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ আজকে আর নেই।


আরও খবর



ডেমরায় জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১১১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃরাজধানীর ডেমরা থানাধীন ৬৬ নং ওয়ার্ডের ভুট্টোচত্বর এলাকায় দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের পুরনো একটি রাস্তা বন্ধ করে উঁচু দেয়াল নির্মাণ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর ব্যানারে শনিবার সকাল ১১ টায় ঐ রাস্তার সামনে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর নারী পুরুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।

এ সময় তারা বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের মাঝখানে দেয়াল তুলে সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে লিপি আক্তার নামে এক নারী। এতে প্রায় ৪০ পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে স্কুল পড়ুয়া সন্তানদের নিয়ে পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। এলাকার বাসিন্দাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অবিলম্বে এই সড়কের মাঝে উত্তোলন করা দেয়াল ভেঙে সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা উম্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানান তারা। অবিলম্বে এই সড়কটি অবমুক্ত করে দেওয়া না হলে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি সহ ওয়াসার খাবার পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হবে, সুয়ারেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো অবিলম্বে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এবং এ বিষয়ে ভবিষ্যতে বৃহত্তম কর্মসূচি পালন করারও ঘোষণা দেন তারা।

মানববন্ধন থেকে স্থানীয় ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মশিউর রহমান মোল্লা সজল এবং ডেমরা থানা অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলামকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

উল্লেখ থাকে যে গত ২০০৯ সালে মাতুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মিয়ার উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ কন্ট্রাকটার কে সাথে নিয়ে জনসাধারণের চলাচলের জন্য ১২ ফুট রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। মাতুয়াইল নিউটাউনের গুগল ম্যাপে রাস্তাটি দৃশ্যমান আছে। লিপি আক্তার নামে একজন মহিলা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে গত কয়েকদিন আগে টিনের ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তার উপরে উঁচু দেয়াল নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। রাস্তাটি দেয়াল তুলে বন্ধ করে দেয়ায় ভুক্তভোগী চল্লিশটি পরিবার বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই রাস্তার নিচ দিয়ে স্থানীয়দের গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রতিষ্ঠান ওয়াসার পানির পাইপ পয়ঃনিষ্কাশনের সুয়ারেজ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এ রাস্তাটি এই চল্লিশটি পরিবারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এ রাস্তার ভেতরে বেশকিছু বহুতল ভবন অবস্থিত যেখানে শত শত যানবাহনও চলাচল করে আসছিল দীর্ঘদিন যাবৎ। এছাড়াও বর্তমানে আরো কিছু বহুতল ভবন নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে।ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর পক্ষে আব্দুল কাদের নামক একজন এ বিষয়ে ডেমরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবিতে ভুক্তভোগীরা কয়েক দফা প্রতিবাদ করেছে। সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের  ৬৬নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরকেও বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

বাদশামিয়া রোড সংলগ্ন ভুট্টো চত্বর এলাকার আয়েশা  হক ট্রেড সেন্টার সংলগ্ন এলাকায় জনৈক লিপি আক্তার চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সড়কের প্রধান প্রবেশদ্বারে উঁচু দেয়াল তুলে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। লিপি আক্তার সন্ত্রাসীদের দাঁড় করিয়ে রেখে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে এই স্থানে উচু প্রাচীর নির্মাণ করে। লিপি আক্তারের মা আয়েশা খাতুন ২০০৯ সালে এই জায়গাটি রাস্তার জন্য ছেড়ে দেয়। লিপি আক্তারের মা একই খতিয়ানভুক্ত এই জমি সহ আশেপাশের বিভিন্ন জমি এসব ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর কাছে বিক্রয় করেন। সেই সময় এই রাস্তাটিকেই চলাচলের রাস্তা হিসেবে দলিলে দেখানো হয়েছিল।সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে রাস্তাটি দৃশ্যমান আছে। লিপি আক্তার ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে ও রাস্তা বন্ধের প্রতিবাদ করতে আসা লোকজনকে কাপড় উঁচিয়ে নারী নির্যাতন মামলার ভয় ভীতি দেখিয়ে দমন করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তারা।


আরও খবর